• ঢাকা রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পুড়ছে সুন্দরবন, সকালে শুরু হবে নেভানোর কাজ
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।  শনিবার (৪ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন লতিফের ছিলা নামক এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।  খবর পেয়ে বন বিভাগ, স্থানীয় এলাকাবাসী ও জেলার মোরেলগঞ্জ ও মোংলা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করতে পারেনি।  ফায়ার সার্ভিস বলছে, ফায়ার ফাইটিংয়ের মেশিন ও যন্ত্রপাতি নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছানো যায়নি। এ ছাড়া যেখানে আগুন লেগেছে, সেখান থেকে পানির দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার। যে কারণে এখন পর্যন্ত আগুন নির্বাপণের কাজ শুরু করতে পারিনি তারা।  ফায়ার সার্ভিসের মোংলার স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ কায়মুজ্জামান জানান, রোববার সকালে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা হবে।  স্থানীয়রা বনবিভাগের কর্মীরা জানান, আগুন দেখার পর ফায়ার সার্ভিসকে খরব দেওয়া হয়। সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বলছে। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ নুরুল কবির জানান, যেখানে আগুন লেগেছে, সেখান থেকে পানির দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার। তাছাড়া ওই স্থানে আগুন নেভানোর যন্ত্রপাতি নিতেও সময় লাগবে। তবে কি ভাবে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের পর বিস্তারিত জানানো হবে।   
দেশে ফের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে আজ, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
নীলক্ষেতে খাবার হোটেলে আগুন
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (৫ মে)
বরিশালে বাস-মাহিন্দ্রা শ্রমিকদের সংঘর্ষ, আহত ৩
‘একজন খেলোয়াড় তৈরি করব, দেশবাসী গর্ব করবে’
ভুল চিকিৎসায় নবজাতকসহ মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতাল ভাংচুর
অর্থনৈতিক উন্নয়নে সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে : সেনা প্রধান
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সিলেট
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা দ্বিতীয় জয়ে চোখ টাইগারদের
সকালের মধ্যে যেসব জেলায় ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
১২ বছর ধরে নকল খাবার স্যালাইন সরবরাহ করছে তারা
ঝিনাইদহ-১ উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী নায়েব আলী
তাপজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে আসছে জাতীয় নির্দেশিকা
অন্তঃসত্ত্বা নারী, শিশু এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে তাপজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে রক্ষার জন্য আসছে জাতীয় নির্দেশিকা। স্বাস্থ্য ও অন্যান্য খাতের বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় তৈরি এ নির্দেশিকায় তাপ-সম্পর্কিত স্বাস্থ্যঝুঁকি কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে বিস্তৃত নির্দেশনা থাকবে বলে জানা গেছে। রোববার (৫ মে) আনুষ্ঠানিকভাবে এই নির্দেশিকা উদ্বোধন করা হবে। ইউনিসেফের সহায়তায় জাতীয় এ গাইডলাইন চালু করছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস)। জানা গেছে, এই গাইডলাইনের উন্নয়ন এবং হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে ইউনিসেফ। শনিবার (৪ মে) ইউনিসেফ জানায়, সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচি গ্রহণ এবং নাগরিকদের বিশেষ করে শিশু, গর্ভবতী নারী ও গর্ভের সন্তানের কল্যাণ নিশ্চিত করতে এই আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। তাপজনিত অসুস্থতাবিষয়ক জাতীয় নির্দেশিকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। আর বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে যোগ দেবেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এমা ব্রিগহাম এবং অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
যে ৪ বিভাগে রোববার তাপপ্রবাহ থাকতে পারে
যে ৪ বিভাগে রোববার তাপপ্রবাহ থাকতে পারে
সাড়ে ৩১ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
সাড়ে ৩১ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
বনানী কবরস্থানে মোহাম্মাদ আলীর দাফন সম্পন্ন
বনানী কবরস্থানে মোহাম্মাদ আলীর দাফন সম্পন্ন
পরিবেশ সাংবাদিকতার সুরক্ষায় প্রতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেওয়া হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
পরিবেশ সাংবাদিকতার সুরক্ষায় প্রতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেওয়া হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা নির্বাচন  / প্রথম ধাপে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে ইসির নির্দেশনা 
প্রথম ধাপে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে ইসির নির্দেশনা 
‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কার জিতে যা বললেন মিথিলা
শাহরুখ-সালমানদের মতো ঘটনা ঘটছে শাকিব-সিয়ামদের বেলায়ও
হলিউড কিংবা বলিউড সিনেমার শুটিংগুলো বেশ গোপনীয়তা রক্ষা করে হয়ে থাকে। কঠিন গোপনীয়তা ভেদ করে সেসব ছবির শুটিংয়ের দৃশ্য ফাঁসও হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। হলিউড-বলিউড ছবির বেলায় এমন ঘটনা হরহামেশাই ঘটে। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঢালিউড সিনেমা। এইন্ডাস্ট্রির ছবিরশুরু থেকেই শুটিংয়ের দৃশ্য, ফুটেজ শিল্পী ও কলাকুশলীনিজেরাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে থাকেন। ব্যতিক্রম ঘটছেকয়েক বছর ধরে। ঢালিউডের অনেক ছবিই এখন গোপনীয়তা রক্ষা করে শুটিং হয়। শুটিংয়ের কোনো কিছুই সামনে আনতে চান না নির্মাতা-শিল্পীরা। তবে তারা না চাইলেও গোপনীয়তা ভেদ করে সেসব ছবির দৃশ্যও হলিউড-বলিউড স্টাইলে ফাঁস হয়। আসন্ন ঈদুল আজহায় মুক্তির ঘোষণা দেওয়া দুটি ছবি ‘তুফান’ ও ‘জংলি’র শুটিং অনেক গোপনীয়তা রক্ষা করেই হচ্ছিল। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই যুগে গোপন আর রাখা গেল না। সম্প্রতি দুটি ছবির শুটিং দৃশ্যই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হয়েছে। রায়হান রাফি পরিচালিত ‘তুফান’-এর নাম ভূমিকায় রয়েছেন শাকিব খান। তুমুল আলোচনায় থাকা এ ছবির শুটিং চলছে কলকাতায়। বৃহস্পতি ও শুক্রবার ছবির দুটি শুটিং দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। দুই দিনে রীতিমতো তা ভাইরাল। কেউ বলছে, সিনেমাটির হাইপ তৈরি করতে নির্মাতা-কলাকুশলীরা ইচ্ছা করেই দৃশ্যগুলো ফাঁস করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তুফান টিমের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘শুটিংয়ের দৃশ্য ফাঁস হওয়ার বিষয়টি আমাদের জানার বাইরে। শুটিংয়ে মোবাইল ফোন নেওয়ার অনুমোদন নেই। কেউ না কেউ গোপনে ছবি তুলে ফেলে তা ছড়িয়ে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এতে আমাদের কোনো হাত নেই। আমরা কিছু প্রকাশ করলে অফিসিয়ালিই তা করব।’ এম রাহিম পরিচালিত ‘জংলি’ ছবিতে মূল ভূমিকায় অভিনয় করছেন সিয়াম আহমেদ। ঢাকার পর মানিকগঞ্জের সিংগাইরে চলছিল ছবিটির শুটিং। অনেকটা গোপনীয়তা রক্ষা করেই ছবির শুটিং করছেন বলে জানালেন পরিচালক রাহিম। এরমধ্যে ছবিটির দৃশ্য ফাঁস ও তা ভাইরাল হওয়ায় অবাক তিনি। বললেন, ‘জংলির শুটিংয়ে সিয়ামেরযেদৃশ্য ফাঁস হয়েছে সেটি আমার চোখেও পড়েছে। এতে আমাদের কিছুই করার নেই। এত নিরাপত্তা নিয়ে শুটিং করছি। সেটে মোবাইল ফোন অ্যালাও করছি না। দর্শনার্থীদেরও মোবাইল আনার অনুমতি নেই। এরপরও গোপনে অনেকেই ছবি তুলে সেই ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে দিয়েছে। এতে রীতিমতো অবাক হয়েছি। তবে এতে আমাদের কিছুই করার নেই।’ দেশের ছবির শুটিংয়ের দৃশ্য হলিউড-বলিউড স্টাইলে এভাবে ফাঁস হওয়া এবং তা নিয়ে আলোচনাকে পজিটিভ চোখেই দেখছেন সিনেমা সংশ্লিষ্টরা। তাদের ভাষ্য, যে সিনেমাগুলো দর্শকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে, সেই ছবিরই শুটিং দৃশ্য এভাবে ফাঁস হয়। এতে ছবির হাইপ বাড়ে, আলোচনা হয়; যা সিনেমার জন্য সম্পূর্ণ পজিটিভ।
শাহরুখ-সালমানদের মতো ঘটনা ঘটছে শাকিব-সিয়ামদের বেলায়ও
মাত্র ৩২ হাজার টাকা খরচ করলেই থাকা যাবে শ্রীদেবীর বাড়িতে!
বলিউডের প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেত্রী শ্রীদেবী তার মেয়ে জাহ্নবী কাপুরের জন্য চেন্নাইয়ে একটা বাড়ি কিনেছিলেন। সেই বাড়িতেই শৈশবের স্মৃতিকে আটকে রেখেছেন শ্রীদেবীকন্যা। যখনই সুযোগ পান কিংবা মায়ের কথা মনে পড়ে, একছুটে চেন্নাইয়ের সেই বাড়িতেই পৌঁছে যান জাহ্নবী। এবার সেই বাড়িতেই থাকার সুযোগ রয়েছে সাধারণ মানুষের জন্য। ভেবে অবাক হচ্ছেন কীভাবে! খবর অনুযায়ী, আমেরিকান হোসস্টে প্রতিষ্ঠান এআরবিএনবির সাহায্য়ে জাহ্নবী এই বাড়িকেই গেস্ট হাউস বানাচ্ছেন। পিউপিলের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, এয়ারবিএনবি অভিনেত্রীর প্রয়াত মা এবং কিংবদন্তি অভিনেতা শ্রীদেবীর কেনা প্রাসাদটিকে তাঁদের ১১টি আইকন সম্পত্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। ফলে সাধারণ মানুষ ভাড়া নিয়ে থাকতে পারবেন এই বাড়িতে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাহ্নবী তার চেন্নাই ম্যানশনের দরজা খুলবেন এয়ারএনবিএন ‘নির্বাচন’ করা ব্যবহারকারীদের জন্য। এক রাতের থাকার মধ্যেই প্যাকেজে রয়েছে জাহ্নবীর সঙ্গে তাঁর ‘প্রিয় বিউটি হ্যাকস’ এবং ‘তাজা, খাঁটি দক্ষিণ ভারতীয় খাবারের স্বাদ নেওয়া’ সম্পর্কে কথোপকথনও অন্তর্ভুক্ত। জানা যায়, মাত্র ২৫ হাজার রুপি বা ৩২ হাজার টাকা খরচ করলেই আপনি থাকতে পারবেন শ্রীদেবীর এই চেন্নাইয়ের বাড়িতে।  
মাত্র ৩২ হাজার টাকা খরচ করলেই থাকা যাবে শ্রীদেবীর বাড়িতে!
‘এক-দুটি সিনেমায় কাজ করেই তারা ঠিকই সুযোগটি লুফে নিচ্ছে’
সম্প্রতি চলচ্চিত্রের বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস)। এতে হাজির হয়েছিলেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট গুণিজনরা। সশরীরে এই বৈঠকে অংশ না নিতে পারলেও এক অডিও-বার্তায় বাচসাস-কে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন ঢালিউডের রুপালী পর্দার এক সময়ের সাড়া জাগানো নায়ক সোহেল রানা। সাধুবাদের পাশাপাশি চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সংগঠন ও বাচসাসকে একসঙ্গে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্ব বজায় রেখে কাজ করার আহ্বান জানান এই দাপুটে অভিনেতা। ঢাকাই চলচ্চিত্র সূচনার আগেই বাচসাস প্রতিষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা যখন চলচ্চিত্রে কাজ করতাম তখন বাচসাস এবং আমরা একত্রে মিলে চলচ্চিত্রের মঙ্গলের জন্য কাজ করতাম। আমরা একে অন্যের পরিপূরক ছিলাম। আগে আমরা ভুল করলে সাংবাদিক বন্ধুরা সেটা ধরিয়ে দিতেন। আমাদের তারা শেখাতেন। কিন্তু এখনকার সাংবাদিকতা সে পর্যায়ে নেই। তবে চলচ্চিত্রের স্বার্থে একে অন্যের পরিপূরক হতে হবে। তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তির কল্যাণে বর্তমানে শিল্পী, কুশলী ও সাংবাদিক তিনটি একসাথে মিলে ঘাসের মতো বেড়ে উঠেছে। এখানে শিখে আসতে হয়। সম্মান রেখেই বলছি—অনেকেই এখন হাতে ক্যামেরা পেলে যে কারও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করছে খেয়াল খুশি মতো। যার ভিডিও ধারণ করা হচ্ছে তিনি সেটার উপযোগী কি না, সেটা কেউ বিচার করছে না। এখানে আমাদের বিরাট একটা গ্যাপ হয়ে যাচ্ছে। নতুন যারা সাংবাদিক হিসেবে আসছেন, তাদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে বাচসাস থেকে। একজন শিল্পী ও কুশলীকে কিন্তু শিখে আসতে হচ্ছে। চাইলেই কিন্তু সে আসতে পারছে না। কিছু শিল্পীরা হয়ত লাভ দিয়ে চলে আসতে পারে। তবে অন্যদের প্র্যাকটিস করেই আসতে হচ্ছে। সাংবাদিকতায় আসতে হলে পড়াশোনা করে এবং জেনেশুনে আসতে হবে। কেউ ভুল করলে তার ভুল যাচাইয়ের পজিশন থাকতে হবে। আমার মনে হয় এদের ব্যাপারে বাচসাস’র শক্তিশালী সিদ্ধান্তে আসা উচিত। যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য কাজ করছে তাদের জন্য বাচসাস থেকে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা উচিত বলে মনে করি। ঠিকমতো বাংলা উচ্চারণ করতে জানে না, সেও ইন্টারভিউ নিতে চায় উল্লেখ করে এই অভিনেতা বলেন, আমি তাদের ইন্টারভিউ দিই না। অনেকেই দেখছি ইন্টারভিউ দেয়। হয়ত কখনো ইন্টারভিউর সুযোগ পায়নি। এক-দুটি সিনেমায় কাজ করেছে তারা ঠিকই সুযোগটি লুফে নিচ্ছে। যে একটা দৃশ্য করেছে তাকে তো শিল্পী বলা যাবে না। শিল্পী সমিতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে সোহেল রানা বলেন, নির্বাচন করার জন্য যাকে খুশি তাকে সদস্য বানিয়ে দিও না। প্রকৃত শিল্পীদের নিতে হবে। এ নিয়ে গত দুই বছর অনেক গণ্ডগোল হয়েছে। আমরা সিনিয়র পাঁচ জন মিলে অনেককে বাদ দিয়েছিলাম যাচাই-বাছাই করে। যেসব তরুণরা এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য কাজ করছে তাদের একটা নিয়মের মধ্যে আনতে হবে। যারা নিয়ম মানবে না তাদের ব্যান করে দিতে হবে। বাচসাসকে দায়িত্ব এড়িয়ে গেলে চলবে না। মূল সাংবাদিক ও শিল্পীদের চিহিৃত করতে হবে। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সকল সমিতি মিলে এক হয়ে কাজ করতে হবে। সর্বশেষে তিনি বলেন, বাচসাস ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের মাধ্যমে সুন্দর একটি সমাধান আনতে পারবে সেই প্রত্যাশা করি। উভয়ের মধ্যে পুরনো দিনের ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্ব বজায় থাকুক সেটাই কামনা করি। চলচ্চিত্রের মঙ্গলের জন্য বাচসাসকে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।
‘এক-দুটি সিনেমায় কাজ করেই তারা ঠিকই সুযোগটি লুফে নিচ্ছে’
সিনেমায় সুদিন ফিরছে : সজল
দর্শকপ্রিয় অভিনেতা আব্দুন নূর সজল। নাটকে এখন আর তাকে আগের মতো দেখা না গেলেও সিনেমা ও ওয়েব সিরিজ নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যম কাজসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছে তার সঙ্গে।    ওই সাক্ষাৎকারে সজল বলেন, নতুন নাটক-সিনেমায় কাজের ক্ষেত্রে আমার কাছে সব সময়ই প্রাধান্য পায় গল্প। এখন আমাদের যে সিনেমা বা ওয়েব কন্টেন্টগুলো হচ্ছে, সবগুলোই এক্সপেরিমেন্টাল কাজ। আর এ ধরনের কাজই আমার বেশি পছন্দ।  সিনেমায় সুদিন ফিরছে মন্তব্য করে এই অভিনেতা আরও বলেন, অবশ্যই বলতে হবে সিনেমায় সুদিন ফিরছে। কারণ, এখন অনেক ভালো ভালো কাজ হচ্ছে। নতুন নতুন গল্প ও গল্প ভাবনা নিয়ে কাজ হচ্ছে। যেটি সত্যিই অনেক ভালো। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আব্দুন নূর সজল বেশ কিছু কাজ করছেন। তবে তার সংখ্যা বা নাম এখনই বলতে নারাজ তিনি। তার ভাষ্য, বিষয়টি নিয়ে এখনই বলা সম্ভব না। বলা যাবে ঠিক ঈদের আগ মুহূর্তে। কারণ, কাজ তো চলমান।
সিনেমায় সুদিন ফিরছে : সজল
বরিশালে বাস-মাহিন্দ্রা শ্রমিকদের সংঘর্ষ, আহত ৩
ভুল চিকিৎসায় নবজাতকসহ মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতাল ভাংচুর
অর্থনৈতিক উন্নয়নে সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে : সেনা প্রধান
নির্বাচন নিয়ে ভাইরাল বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন মন্ত্রীর ভাই
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সিলেট
আশুগঞ্জে জাতীয় গ্রিডে বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দেওয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পুরো সিলেট বিভাগ। শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে বিপর্যয় দেখা দেয়। এতে বিভাগের চার জেলা একসঙ্গে ব্ল্যাক আউট (পুরো গ্রিড অকার্যকর) হয়ে যায়। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে অন্তত ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুল কাদির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আশুগঞ্জে জাতীয় গ্রিডে এ বিপর্যয়ের কারণে পিডিবির গ্রাহকরা ছাড়াও পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরাও অন্ধকারে রয়েছেন। তবে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি হাসপাতাল ও স্থাপনার বিশেষ ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। শনিবার (৪ মে) রাত সাড়ে নয়টায় পাওয়া সর্বশেষ খবরে সিলেট ছাড়াও সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের গ্রাহকরা অন্ধকারে রয়েছেন। কোথাও বিদ্যুৎ সংযোগ নেই বলে জানা গেছে। আকষ্মিক এ বিপর্যয়ের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষজন। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুল কাদির বলেন, আশুগঞ্জে জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় দেখা সিলেট বিভাগ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটের একেবারে ব্ল্যাক আউট হয়ে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও ৬-৭ ঘণ্টা লাগতে পারে। আবার কম সময়ের মধ্যেও সচল করা সম্ভব হতে পারে। তিনি বলেন, এর আগে যখন সিলেটে এরকম বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল, তখন বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে যত সময় লেগেছিল এবারও তত সময় লাগতে পারে। পাওয়ার স্টেশন চালু হতে একটু সময় লাগে। অন্তত ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। তিনি আরও বলেন, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলে হাসপাতালসহ কিছু হাসপাতাল ও স্থাপনা যেগুলো খুবই জরুরি। বিদ্যুৎ স্বাভাবিক রাখতে আশুগঞ্জ থেকে জরুরি ভিত্তিতে ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনা হয়েছে। এটি দিয়ে আপাতত এ হাসপাতাল ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। এদিকে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে বলা হয়-১৩২ কেভি গ্রিড লাইন ট্রিপ (বিপর্যয়) করায় দপ্তরের সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। এতে গ্রাহকদের কিছু সময় অপেক্ষা করতে বলা হয়। বিউবো সূত্রে জানা গেছে, আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। এতে সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎসরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। এর ফলে বিভাগের সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ জেলায় বিউবো ও পল্লী বিদ‌্যুতের গ্রাহকেরা ভোগা‌ন্তিতে পড়েন। শনিবার রাত পৌনে আটটার দিকে বিভাগের সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। 
জিম্মি চুক্তিতে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা যেকোনো সময়
যে কারণে মক্কায় প্রবেশে সৌদির বাসিন্দাদের অনুমতি লাগবে
ইন্দোনেশিয়ার মধ্যাঞ্চলে বন্যায় ১৫ জনের মৃত্যু
পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো ভারত
পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো ভারত
যে কারণে ইসরায়েলকে আইসিসির সতর্কবার্তা
যে কারণে ইসরায়েলকে আইসিসির সতর্কবার্তা
ব্রাজিলে প্রবল বর্ষণে নিহত ৩৯, নিখোঁজ ৭০
ব্রাজিলে প্রবল বর্ষণে নিহত ৩৯, নিখোঁজ ৭০
কানাডায় নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ৩ ভারতীয় গ্রেপ্তার
কানাডায় নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ৩ ভারতীয় গ্রেপ্তার
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা দ্বিতীয় জয়ে চোখ টাইগারদের
গুজরাটকে বিধ্বস্ত করে চতুর্থ জয় বেঙ্গালুরুর
‘একজন খেলোয়াড় তৈরি করব, দেশবাসী গর্ব করবে’
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, টেনিস যেকোনো খেলার সম্মানের দিক থেকে অনেক উপরে। বিশ্বের অনেক লিজেন্ডরা গ্যালারিতে বসে টেনিস খেলা দেখেন। আগে অভিজাত পরিবার ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা টেনিস খেলতো। এখন আর সেরকম জৌলুস নেই। একজন টেনিস খেলোয়াড় ১০০ জনকে পথ দেখাবে। এমন একজন টেনিস খেলোয়াড় তৈরি করব, যার জন্য দেশবাসী গর্ববোধ করবে। শনিবার (৪ মে) রাজধানীর বিজয়নগরে একটি হোটেলে বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফুটবল খেলোয়াড়রা একসময় উন্মাদনা তৈরি করেছিল। সেই উন্মাদনা আমাদেরকে মাঠে নিয়ে যেত। আমরা বয়স ভিত্তিক টেনিস খেলাকে গুরুত্ব দিয়েছি। সাধারণকে টেনিস মাঠে নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করছি। উপজেলা পর্যায়ে টেনিস খেলা চলে গেছে। টেনিসের প্রতি মানুষের আগ্রহ আছে। প্রচারণার সেই জায়গাটাই নিয়ে যেতে চাই। টেনিসের প্রতি যাদের প্রেম, ভালবাসা আছে তাদেরকে আগামীতে নির্বাচিত করবেন। ফেডারেশন ও কাউন্সিলররা মিলে খেলোয়াড় তৈরি করবেন। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে থেকে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি। মানব কাঠামো তৈরি হচ্ছে না। এগিয়ে যাওয়ার জন্য ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সংস্কৃতি ও ক্রীড়াকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করছেন। ক্রিকেটে ওডিআই ও টেস্ট স্ট্যাটাস তার সময় এসেছে। ক্রিকেট এখন সমীহ জাগানো বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমরা কৃতজ্ঞ। তিনি শেখ জামাল জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্স আধুনিক করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, টেনিস ফেডারেশনকে জবাবদিহিতার জায়গায় রাখতে চাই। সীমাবদ্ধতা আছে। সেগুলো দূর করে টেনিসকে এগিয়ে নিতে চাই। অনুষ্ঠানে রিপোর্ট পেশ করেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ মোহাম্মদ হায়দার এবং কোষাধ্যক্ষ খালেদ আহমেদ সালাহউদ্দিন।
ঘরের মাঠে গুজরাটকে অল্পতেই থামালো বেঙ্গালুরু
ঘরের মাঠে গুজরাটকে অল্পতেই থামালো বেঙ্গালুরু
নতুন যাত্রায় সাকিবকে পাশে পেলেন রুবেল
নতুন যাত্রায় সাকিবকে পাশে পেলেন রুবেল
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলগুলোর স্কোয়াড দেখে নিন 
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলগুলোর স্কোয়াড দেখে নিন 
রান না পেলেও লিটনের পরিশ্রমে সন্তুষ্ঠ ব্যাটিং কোচ
রান না পেলেও লিটনের পরিশ্রমে সন্তুষ্ঠ ব্যাটিং কোচ
তামিম-হৃদয়কে প্রশংসায় ভাসালেন কোচ ডেভিড হেম্প
তামিম-হৃদয়কে প্রশংসায় ভাসালেন কোচ ডেভিড হেম্প
গরমে সূর্যের তাপে হতে পারে চোখের বড় ক্ষতি
গরমের কারণে শুধু ত্বক বা চুলের ক্ষতি হয় না, একই সঙ্গে ক্ষতি হতে পারে চোখেরও। সূর্যের কড়া রশ্মির মধ্যে রয়েছে আলট্রাভায়োলেট অর্থাৎ অতিবেগুনি রশ্মি এ ও বি। ইউভিএ ও ইউভিবি-র প্রভাবে চোখের নানা বিপদ হতে পারে। এমনকি চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই চোখ বাঁচাতে কিছু কাজ না করলেই নয়। গ্রীষ্মের মৌসুমে চোখ বাঁচাতে যা করণীয়- ইউভি ব্লকিং সানগ্লাস- সাধারণ সানগ্লাস পরলে লাভ হবে না। বরং ইউভি রশ্মি ঠেকাতে পারে এমন সানগ্লাস এই সময় পরতে হবে। ৯৯ থেকে ১০০ শতাংশ ইউভি রশ্মি প্রতিরোধী সানগ্লাস কিনতে হবে। বড় হ্যাট- টুপি নয়, একটি বড় ছায়া দেয় এমন হ্যাট কিনে নিন। এই হ্যাট মাথায় পরলে চোখও রেহাই পায়। এতে চোখের মধ্যে সরাসরি সূর্যের রশ্মি বা তাপ এসে লাগে না। ফলে চোখের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। বারোটা থেকে তিনটার রোদে কম বেরনো- দুপুর বারোটা থেকে বিকাল তিনটার রোদে কম বের হলে ভালো হয়। একান্ত কাজ থাকলে বেরতো হতেই হয়। সেক্ষেত্রে যতটা কম বের হওয়া যায়, ততটাই ভালো। পানি, বালি ও বরফ থেকে দূরে থাকা- এই তিনটি উপাদান বেশি পরিমাণে ইউভি রশ্মি প্রতিফলিত করে। তাই এর থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা জরুরি। এই তিনটির মধ্যে থাকলে চোখে সানগ্লাস পরে থাকা ভালো। যতটা সম্ভব ছায়ায় থাকা- রোদের মধ্যে অযথা বেশি সময় না ঘোরাই ভালো। বরং যতটা সম্ভব ছায়ার মধ্যে থাকলে তা চোখের জন্য ভালো। পাশাপাশি শরীরের জন্যও উপকারী এই অভ্যাস। ওষুধের জের- কিছু ওষুধের জেরে চোখ অনেক বেশি সংবেদনশীল হয়ে পড়তে পারে। ফলে ইউভি রশ্মির আক্রমণে সহজেই চোখের নানা রোগের আশঙ্কা থাকে। তা চোখ বাঁচাতে চিকিৎসকের কাছ থেকে ওষুধগুলোর ব্যাপারে পরামর্শ নেওয়া ভালো। নিয়মিত চোখ পরীক্ষা- গরমকালে একটু ঘন ঘন চোখের পরীক্ষা করানো ভালো। এতে চোখের কোনও সমস্যা হলে তা হাতে সময় থাকতেই সারিয়ে ফেলা যায়।
এসি কেনার আগে যে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবেন
এসি কেনার আগে যে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবেন
খালি পেটে মিছরি ভেজানো পানির উপকারিতা
খালি পেটে মিছরি ভেজানো পানির উপকারিতা
সজনে পাতার ভর্তা বানাবেন যেভাবে
সজনে পাতার ভর্তা বানাবেন যেভাবে
অনলাইন জরিপ
রোববার থেকে আপিল বিভাগে বিচারকাজ চলবে দুই বেঞ্চে 
ঢাবির প্রশ্নপত্র ফাঁস: ৮৭ শিক্ষার্থীসহ সব আসামি খালাস
ঢাবির প্রশ্নপত্র ফাঁস: ৮৭ শিক্ষার্থীসহ সব আসামি খালাস
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বিচারককে যা বললেন মিল্টন সমাদ্দার
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বিচারককে যা বললেন মিল্টন সমাদ্দার
কোর্টের সব এজলাস কক্ষে এসি স্থাপনে আইনি নোটিশ
কোর্টের সব এজলাস কক্ষে এসি স্থাপনে আইনি নোটিশ
শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার।  বৃহস্পতিবার (২ মে) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে বলা হয়, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাস কমিয়ে মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়। যদি একান্তই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে হয় তাহলে মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত তাপদাহের সময়ে ক্লাসের সময় সকাল শিফট ভোর ৬টা থেকে সকাল ৮টা এবং ডে শিফট সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চালু রাখা দরকার। পাশাপাশি প্রচলিত পেপার পেন্সিল পরীক্ষার পরিবর্তে শুধু অ্যাসাইনমেন্ট, প্রকল্পভিত্তিক কাজ, অনুসন্ধানমূলক কাজ এর মাধ্যমে মূল্যায়নের বিষয়ে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লিখিত নির্দেশনা জারির ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ১৯৪৮ থেকে চলতি বছর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি তাপপ্রবাহ হয়েছে এবারের এপ্রিল মাসে। ফলে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি থেকে ২৪ এপ্রিল প্রকাশ করা ‘তাপপ্রবাহ: বাংলাদেশ, আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন অনুসারে উত্তর ও দক্ষিণ ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৯০ শতাংশ এলাকা তীব্র তাপপ্রবাহের বিপদে রয়েছে। আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমাদের গাণিতিক মডেল বিশ্লেষণ বলছে, মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের কিছু অংশে প্রত্যাশিত বৃষ্টিপাত হলেও মে মাসে দেশে সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হতে পারে। তিনি আরও বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সিলেট অঞ্চল, বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের কিছু অংশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব চট্টগ্রাম অঞ্চলে কিছু স্বস্তির বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও এতে সারা দেশে চলমান দাবদাহ হ্রাসের সম্ভাবনা কম।  প্রথমবারের মতো আবহাওয়াবিদরা জলবায়ু বিশেষজ্ঞ এবং অ্যাক্টিভিস্টদের সঙ্গে একমত হয়েছেন যে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়া অস্বাভাবিক আচরণ করছে এবং এর ফলে ধীরে ধীরে তাপদাহের অঞ্চল প্রসারিত হচ্ছে। তারা বলছেন, দাবদাহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ অংশ এবং আংশিকভাবে পূর্ব এশিয়ার দেশ ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামকে প্রভাবিত করেছে।  নিউইয়র্ক টাইমস এর তথ্য অনুসারে, দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েক মিলিয়ন মানুষ প্রবল তাপদাহে ভুগছে। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে, কৃষি কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে এবং হিট স্ট্রোক ও সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য জটিলতার ঝুঁকি বেড়েছে। সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের পরিস্থিতিও বিশেষভাবে স্বীকার করা হয়েছে যে কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত আর্দ্রতা তাপমাত্রাকে আরও অসহ্য করে তুলেছে।  আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গড় তাপমাত্রা ১-৭ ডিগ্রি পর্যন্ত বেড়েছে। তাপমাত্রার পাশাপাশি জলীয় বাষ্পের আধিক্য রয়েছে। একদিকে তীব্র গরম, অপরদিকে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য। এ কারণে মানুষের শরীরে প্রচুর ঘাম হচ্ছে। আর্দ্রতা বেশি থাকায় শরীরের ঘাম সহজেই শুকচ্ছে না। পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল স্কুল–কলেজ খোলার কথা থাকলেও দেশজুড়ে হিট অ্যালার্ট ও তাপপ্রবাহের কারণে তা এক সপ্তাহ পিছিয়ে যায়। তীব্র তাপপ্রবাহ আর হিট অ্যালার্টের মধ্যেই গত ২৮ এপ্রিল স্কুল-কলেজ চালু হয়। তবে প্রচণ্ড গরমে বিভিন্ন স্থানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পাওয়া যায়। গরমে অসুস্থ হয়ে শিক্ষকসহ কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন গত সোমবার হাইকোর্টের নজরে আনা হয়। এরপর শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে চলমান তাপপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়।  অথচ শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন গণমাধ্যমে আরও বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাংবিধানিক এখতিয়ার আছে, সেখানে এ বিষয়ে যদি কোনো সিদ্ধান্ত (আদালতে) হয়ে থাকে তবে অবশ্যই আমরা তার উপরের আদালতে, আপিল বিভাগে যাব। একটু আগে শুনেছি, আদালত একটা নির্দেশ দিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী হাইকোর্ট জনদুর্ভোগ বিবেচনায় কোনো আদেশ দিলেই কথায় কথায় আপিল বিভাগে চলে যান এবং সেখানে উন্নত দেশের বিভিন্ন উদাহরণ অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেন। অথচ একেক দেশের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয় সেই দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং পরিবেশ পরিস্থিতি অনুসারে। এটি কি শিক্ষামন্ত্রী আসলে বুঝতে চান না, নাকি বুঝেও না বোঝার ভান করেন? আমেরিকা, কানাডা, ইউকে, অস্ট্রেলিয়াসহ উন্নত দেশগুলোতে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পার্টটাইম কাজ করে নিজের গাড়ি, বাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া সম্পন্ন করার আগেই করে ফেলে। তাদের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে, সব শিক্ষার্থী ভাতা পান, অনলাইন ও অফলাইন দুই ব্যবস্থাতেই শিক্ষা নেয়ার সুযোগ আছে। এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই পড়া শেষ করার পাশাপাশি পরীক্ষাও নেয়া হয় ওপেন বুক পদ্ধতিতে। উন্নত দেশগুলোতে কারিগরি ও কর্মমুখী শিক্ষা দেওয়া হয় ফলে কোনো শিক্ষার্থী শিক্ষাজীবন শেষ করে বেকার থাকে না। উন্নত দেশগুলোর আবহাওয়াও আমাদের দেশের মতো নয় এবং উন্নত দেশগুলোর কোনো শিক্ষা কারিকুলাম ও সুবিধা বাংলাদেশে বিদ্যমান নেই। তাই কথায় কথায় আপিল করার অভ্যাস আর উন্নত দেশের উদাহরণ দেওয়া বন্ধ করে স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট এডুকেশন কীভাবে চালু করা যায়, কীভাবে স্কুল-কলেজে থাকতেই উন্নত দেশের বাচ্চাদের মতো বাংলাদেশের বাচ্চারাও আয় করতে পারে সেই রকম শিক্ষা কার্যক্রম চালু করুন।  এ ছাড়া শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলেছেন, ইংলিশ মিডিয়ামের ক্লাস চলবে আর বাংলা মিডিয়াম সব বন্ধ থাকবে। এটা বৈষম্যমূলক। ইংলিশ মিডিয়ামের সব কার্যক্রম ব্রিটিশ কারিকুলামে পরিচালিত হয় এবং পরীক্ষাও হয় ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে। ইংলিশ মিডিয়ামে অতি ধনী পরিবারের সন্তানেরা পড়াশোনা করে, যারা এসি গাড়িতে চলে এবং ক্লাসও করে এসি রুমে। সুতরাং সেই শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রচলিত শিক্ষা কার্যক্রমের তুলনা করার কোনো মানেই হয় না।  আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। একইসঙ্গে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও সবার আগে মাথায় রাখতে হবে। এটা মনে রাখতে হবে, একটা শিশু যদি কোনো কারণে মারা যায়, এর পুরো দায়ভার সরকার ও সমগ্র জাতির উপর এসে বর্তাবে। দাবদাহ ও হিট অ্যালার্ট একটা প্রাকৃতিক বিপর্যয়। এ ধরনের ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখাটাই উচিত। করোনার সময়েও দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল, অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালু ছিল। একইভাবে ঘূর্ণিঝড়ের সময়ও সবাই সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নেয়, স্কুল বন্ধ থাকে। এমন দুর্যোগ যদি দেশব্যাপী হয়, তাহলে এর আগামীর ভাবনাটা আমাদের ভাবতে হবে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন অনেক করেছি আমরা। কিন্তু এটা ভাবিনি যে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। গ্রামের বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কারণ, লোডশেডিং হচ্ছে। খাবার পানি, লোডশেডিংয়ের মতো বিষয়গুলো মাথায় রেখেই স্কুল-কলেজ খোলা রাখার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।  স্কুল-কলেজ বন্ধ রেখে সিলেবাস কমিয়ে মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাস নিয়ে পরবর্তীতে তা অন্যভাবে পুষিয়ে নিতে হবে। আগে শিশুদের বাঁচাতে হবে। তারপর লেখাপড়া, চলাফেরা, খাওয়া-দাওয়া সবকিছু। শিক্ষক মারা গেলেন, শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে গেল স্কুল থেকে আসার পথে এই অবস্থায় স্কুল-কলেজ কি করে খোলা থাকে? এটা কোনো অবস্থাতেই যুক্তিসঙ্গত না। এই গরমে স্কুলে আসলে লেখাপড়া হয় না। শিক্ষকও পড়াতে পারেন না, শিক্ষার্থীরাও মনোযোগ দিতে পারে না। বরং তাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়। শিশুদের বিষয় এটা। বড়দের ব্যাপার না যে কোনোরকমে সইয়ে নেবে।  শিক্ষামন্ত্রী এর আগেও চলতি বছরের রমজান মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের ধর্মীয় কার্যক্রম পালনে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছিলেন। আবারও প্রচণ্ড দাবদাহ ও হিট অ্যালার্টের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের অবর্ণনীয় কষ্ট ও ভোগান্তি প্রদান করছেন। শিক্ষামন্ত্রী নিজে এসি অফিসে কাজ করেন, এসি বাসায় থাকেন, এসি গাড়িতে চলাচল করেন তাই আপনার কাছে হয়তো দাবদাহ কোনো সমস্যা বলে মনে হয় না।  একবার এসি বন্ধ রেখে সাধারণ মানুষের মতো বাস, রিকশায় চলাচল করে দেখুন তাহলে বুঝতে পারবেন দাবদাহ কাকে বলে। আপনার জায়গায় আমি শিক্ষামন্ত্রী হলে ৬ মাসের মধ্যে পুরো বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিণত করার পাশাপাশি উন্নত দেশগুলোর মতো শিক্ষার্থীদের আয়ের ব্যবস্থাও চালু করতাম। যা আপনার মতো সনাতন চিন্তাধারার শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষে বাস্তবায়ন কোনো দিনই সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না। শিক্ষামন্ত্রী বাংলাদেশের শিক্ষা কার্যক্রম হিটলারের স্টাইলে চালানোর চেষ্টা করে শিক্ষার্থীদের মনে পড়ালেখা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভীতি তৈরি করছেন।  আপনার কার্যক্রমে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনার বিরুদ্ধে প্রচুর লেখা হচ্ছে। অনেকে লিখেছেন স্বাধীন বাংলাদেশে আপনার মতো অযোগ্য শিক্ষামন্ত্রী আর কেউ ছিল না। আপনার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিতর্কিত হচ্ছে। তাই আপনি ১ নাম্বার নোটিশ গ্রহীতা উন্নত দেশগুলোর মন্ত্রীদের মতো জনমনে আপনার বিষয়ে যে ক্ষোভ আছে তা নিরসনে তথা জনদুর্ভোগ অনুধাবন করতে আপনি ব্যর্থ সেই দায়ভার কাঁধে নিয়ে অনতিবিলম্বে শিক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাস কমিয়ে মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
মিল্টন সমাদ্দারের ৭ দিনের রিমান্ড চায় ডিবি
জাল মৃত্যু সনদ তৈরি, টর্চার সেলে মানুষজনকে নির্যাতন ও মানবপাচারের অভিযোগে চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। সেই মামলায় তাকে আদালতে পাঠিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছে ডিবি পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২ মে) তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় তাকে রাখা হয় আদালতের হাজতখানায়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের এসআই কামাল হোসেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। পরে সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ। তার বাড়ি বরিশালের উজিরপুরে। বাবাকে পেটানোর কারণে এলাকাবাসী তাকে এলাকাছাড়া করে। এরপর ঢাকায় চলে আসেন তিনি। ডিবিপ্রধান বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তার স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে তা জঘন্য অপরাধ। প্রমাণ মিললে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। একাধিক মামলা হবে। মিল্টনের বিরুদ্ধে মানবপাচার, শিশুদের ওপর হামলা, আত্মীয়-স্বজন গেলে তাদের মারপিট এবং তার টর্চার সেল, সব কিছুই মামলার মধ্যে আসবে। তিনি বলেন, মিল্টন ঢাকায় এসে শাহবাগে ফার্মেসিতে কাজ শুরু করেন। ওষুধ চুরি করে বিক্রির কারণে মিল্টনকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর একজন নার্সকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ স্থাপনের জন্য স্ত্রীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেন।  
মিল্টন সমাদ্দারের ৭ দিনের রিমান্ড চায় ডিবি
জামিন পেলেন ড. ইউনূস
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় জামিন পেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বাকি ১৩ আসামি। বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন। এদিন অর্থ আত্মসাতের আলোচিত এ মামলার অভিযোগ গঠনে শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। এর আগে সকালে ড. ইউনূস পূর্বশর্তে জামিন আবেদন করেন। এরপর এ মামলায় হাজিরা দিতে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে আদালতে পৌঁছান তিনি। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে  ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এরপর চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নতুন একজন আসামির নাম যুক্ত করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার। আসামিদের বিরুদ্ধে ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ২ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ চার্জশিট গ্রহণ করে মামলার বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলির আদেশ দেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। সদস্যদের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের ৯ মে অনুষ্ঠিত ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় হিসাব খোলা হয়। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট চুক্তি হয় ওই বছরের ২৭ এপ্রিল। গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ড সভার হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত ৯ মে হলেও হিসাব খোলা হয় একদিন আগে ৮ মে। সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টেও ৮ মে ব্যাংক হিসাব দেখানো আছে, যা বাস্তবে অসম্ভব। এরকম ভুয়া সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত অনুযায়ী ও ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০২২ সালের ১০ মে গ্রামীণ টেলিকমের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মিরপুর শাখা থেকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় ৪৩৭ কোটি ১ লাখ ১২ হাজার ৬২১ টাকা স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তী সময়ে ২২ জুন অনুষ্ঠিত গ্রামীণ টেলিকমের ১০৯তম বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে অতিরিক্ত ১ কোটি ৬৩ লাখ ৯১ হাজার ৩৮৯ টাকা প্রদানের বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়। অন্যদিকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাব থেকে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন নামীয় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিসের হিসাব থেকে তিন দফায় মোট ২৬ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু কর্মচারীদের লভ্যাংশ বিতরণের আগেই তাদের প্রাপ্য অর্থ তাদের না জানিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ২০২২ সালের মে ও জুন মাসের বিভিন্ন সময়ে সিবিএ নেতা মো. কামরুজ্জামান, মাইনুল ইসলাম ও ফিরোজ মাহমুদ হাসানের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখার হিসাবে ৩ কোটি টাকা করে মোট ৯ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়।  একইভাবে অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলীর কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলনের ধানমন্ডি শাখার হিসাবে ৪ কোটি টাকা ও দ্য সিটি ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাবে ৫ কোটি টাকা এবং অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ ও অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলীর স্ট্যান্ডার্ড টাচার্ড ব্যাংকের গুলশান নর্থ শাখায় যৌথ হিসাবে ৬ কোটি স্থানান্তর করা হয়, যা তাদের প্রাপ্য ছিল না। দুদকের রেকর্ডপত্র অনুযায়ী, অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে প্রকৃতপক্ষে হস্তান্তরিত হয়েছে মাত্র ১ কোটি টাকা। বাকি ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বোর্ড সদস্যদের সহায়তায় গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা এবং অ্যাডভোকেটসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অসৎ উদ্দেশ্যে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত লঙ্ঘন করে জালিয়াতির আশ্রয়ে গ্রামীণ টেলিকম থেকে ওই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। যা দণ্ডবিধি ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।  এদিকে শ্রমিক-কর্মচারীদের অর্থ আত্মসাতের মামলায় আসামিরা হলেন, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলাম।  
জামিন পেলেন ড. ইউনূস
কৃষিজমি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা মানা হবে না: হাইকোর্ট
কৃষিজমি থেকে মাটি কেটে চাষাবাদের অনুপযোগী করা ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ ধারার অপরাধের মধ্যে পড়ে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, এই মাটি ক্ষয় চক্রের হাত থেকে অসহায় কৃষকদের বাঁচাতে হবে। কৃষিজমি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি কেটে চাষাবাদের অনুপযোগী করার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের লিখিত আদেশে এসব মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (২ মে) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ লিখিত আদেশ দেন। আদেশে বলা হয়েছে, মাটির উপরের স্তরেই বেশিরভাগ জৈব পদার্থ, পুষ্টি এবং জীবন্ত অণুজীব ঘনীভূত হয়। এটি মাটির সবচেয়ে উর্বর স্তর, যেখানে গাছপালা বেড়ে ওঠে এবং যেখানে পৃথিবীর বেশিরভাগ জৈবিক মাটির কার্যকলাপ ঘটে। উপরের মাটি কাটা হলে মাটির জীবন দুর্বল হয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে যে সাতকানিয়ার কিছু দুর্বৃত্ত অবৈধভাবে বা জোরপূর্বক প্রায় ৪০ থেকে ৫০ ফুট গর্ত করে মাটি কাটছে এবং খনন করছে যার জন্য কৃষকরা সেখানে চাষাবাদ করতে পারছেন না। কৃষিজমি খননের এই কার্যকলাপ সেই এলাকার পরিবেশের পাশাপাশি জীব বৈচিত্র্যের ভারসাম্যেরও ক্ষতি করেছে। এ অবস্থায় এতটুকু বলাই যথেষ্ট যে, বিবাদীদের উচিত এই মাটি ক্ষয় চক্রের হাত থেকে অসহায় কৃষকদের বাঁচানো। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবকিছু জেনেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় না। এখানে উল্লেখ্য যে জমিগুলো গর্ত করা হয়েছে সেই জমিগুলো ঢাকা-কক্সবাজার রেললাইনের খুব কাছে, যা উপরের মাটি কাটার কারণে হুমকির মুখে পড়েছে। এই ধরনের আচরণ ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ ধারার অধীনে অপরাধের মধ্যে পড়ে। এসব কারণে আমরা বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছি। তদন্ত কমিটিকে যে বিষয়গুলো তদন্ত করতে হবে সেগুলো হলো- ১. কীভাবে ওই অঞ্চলের কৃষিজমি সুরক্ষিত হবে তার সুপারিশ করতে হবে এবং ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন করতে হবে। ২. চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় কৃষি জমির উপরের মাটি কাটার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে হবে। ৩. প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অবহেলা, স্থানীয় প্রশাসনের কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা তদন্ত করতে হবে। ৪. ওই এলাকার কৃষিজমির উপরের মাটি কাটার কারণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেটা তুলে ধরতে হবে। ৫. ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য ক্ষতির পরিমাণ কীভাবে নির্ধারণ করা যায়, তার সুপারিশ করতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজকে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করার জন্য একজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে মনোনীত করতে হবে। বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার মনোনয়নের তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদেশে। এছাড়া আদেশে বিবাদীদের সাতকানিয়ায় কৃষিজমির উপরের মাটি ভরাট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যা ইতোমধ্যে কাটা হয়েছে, ৩০ দিনের মধ্যে বাইরে থেকে পলিমাটি এনে তা ভরাট করতে বলা হয়েছে।সেইসঙ্গে সাতকানিয়া থানার মধ্যে কতটি ইটভাটা রয়েছে এবং তাদের অবস্থা কী, তাদের পরিবেশগত ছাড়পত্র আছে কি না, তা আদেশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিচার বিভাগীয় এ আদেশে। আদেশের সময় অনলাইনে আদালতে হাজির ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, সাতকানিয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ওসি। এর আগে সোমবার (২২ এপ্রিল) চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি (টপসয়েল) কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রতিপালন না হওয়ায় ব্যাখ্যা জানতে তাদেরকে অনলাইনে তলব করেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার দুপুর ১টায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয় তাদের।  
কৃষিজমি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা মানা হবে না: হাইকোর্ট

নামাজের ওয়াক্ত শুরু

তারিখ : ০৫ মে, ২০২৪
অনলাইন সংস্করণ
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র
আওয়ামী লীগ কখনও ইতিহাস বিকৃতিতে বিশ্বাস করে না: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ কখনো ইতিহাস বিকৃতিতে বিশ্বাস করে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বরং জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেছেন। বিএনপির শাসনামলে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিকৃত ও মিথ্যা ইতিহাস প্রচার করা হয়েছে। এমনকি ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ পর্যন্ত বাজাতে দেওয়া হয়নি। শনিবার (৪ মে) আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খানের পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না। প্রকৃত ইতিহাস তার আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হবে। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী এবং গণতন্ত্র হত্যাকারী একজন স্বৈরশাসক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় থেকে যাবেন। জিয়াউর রহমান বাঙালি জাতির কাছে একজন সামরিক স্বৈরশাসক হিসেবেই অভিহিত হবেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক যে কোনো বিষয়কে বিএনপি ফাঁদ মনে করে। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, প্রথা, বিধি-বিধান ও নির্বাচন তাদের কাছে ফাঁদ বলে মনে হয়। সে কারণে তারা চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে হালকা হিসেবে জনগণের সামনে তুলে ধরার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।  তিনি বলেন, বিএনপির লক্ষ্যই হলো ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে যে কোনো উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নস্যাৎ করা। সেজন্য তারা লাগাতারভাবে মিথ্যাচার-অপপ্রচার ও গুজব সৃষ্টি করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপরাজনীতি করে। বিএনপিকে এদেশের মানুষ ভালো করেই চেনে। বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন এবং তাদের নেতাদের হাক-ডাকে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। সূত্র : বাসস
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (৫ মে)
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য দিনকে দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য তাই মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন বৈদেশিক মুদ্রা। লেনদেনের সুবিধার্থে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে ৫ মে ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হার তুলে ধরা হলো- বৈদেশিক মুদ্রার নাম   বাংলাদেশি টাকা   ইউএস ডলার   ১১৭ টাকা ৭৬ পয়সা   ইউরোপীয় ইউরো   ১২৫ টাকা ৩০ পয়সা   ব্রিটেনের পাউন্ড   ১৪৬ টাকা ২০ পয়সা    ভারতীয় রুপি   ১ টাকা ২৯ পয়সা   মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত   ২৪ টাকা ৪০ পয়সা   সিঙ্গাপুরের ডলার   ৮৫ টাকা ৬০ পয়সা   সৌদি রিয়াল   ২৯ টাকা ২৭ পয়সা   কানাডিয়ান ডলার   ৮৪ টাকা ১০ পয়সা   অস্ট্রেলিয়ান ডলার   ৭৬ টাকা ৮০ পয়সা   কুয়েতি দিনার   ৩৭৯ টাকা ৩৬ পয়সা   ** যেকোনো সময় মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তন হতে পারে।
সেভ দ্য চিলড্রেনে ইন্টার্নশিপের সুযোগ
ভূমি মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ, নেবে ২৩৮ জন
স্নাতক পাসে চাকরি দেবে এসিআই, কাজ সপ্তাহে ৫ দিন
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে চাকরি, বেতন ১ লাখ ১০ হাজার
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে আজ, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
দেশে ফের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি
মোবাইল ডাটা দ্রুত শেষ না হওয়ার উপায়
সকালের মধ্যে যেসব জেলায় ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়
এপ্রিলে ১৯৩ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার
ভিক্ষাবৃত্তির জন্য শিশু নোমানের আঙুল পুড়িয়ে দেওয়া হয়
মিল্টনকে রিমান্ডে নিয়ে সব অপকর্ম বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা / পিনাকী ভট্টাচার্যকে অভিযুক্ত করে সিটিটিসির চার্জশিট
মোবাইল ডাটা দ্রুত শেষ না হওয়ার উপায়
আইফোনের বিক্রি কমেছে বিশ্বজুড়ে
হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার, নিয়ম না মানলেই অ্যাকাউন্ট ব্যান
গ্রামীণফোন গ্রাহকদের জন্য সুখবর
X
Fresh