• ঢাকা রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। রোববার (৫ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মন্ত্রীর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ফেসবুকে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এরমধ্যে ২০ দিন নতুন কারিকুলামের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, তবে শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে। এর আগে, গত ৩০ এপ্রিলও মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষামন্ত্রী একই ধরনের কথা বলেছিলেন। ওইদিন তিনি বলেছিলেন, যদি শিক্ষাদিবস কমে যায়, তাহলে শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও স্কুল খোলা রাখা হতে পারে। যদিও একদিন পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল শুক্রবার ক্লাস নেওয়ার চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে দেওয়া ছুটি শেষে আজ রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগেই ঘোষণা দিয়েছে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও ক্লাস চলবে।  
সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে হেলিকপ্টার থেকে ছিটানো হচ্ছে পানি 
সেনাবাহিনী মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে: প্রধানমন্ত্রী
মানবপাচার মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার
শিরোপার দিকে ছুটছে ম্যানসিটি
তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে নতুন পলিসি নির্ধারণে রিট
বাইডেনের ‘জেনোফোবিক’ মন্তব্যে জাপান-ভারতের প্রতিবাদ 
ফ্লাইট ওঠানামা ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে শাহজালালে 
ট্রান্সজেন্ডার অধ্যায় বাদসহ যা চায় হেফাজতে ইসলাম
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
একনজরে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি
সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমানবাহিনী
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
সেনাবাহিনী মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে: প্রধানমন্ত্রী
বাণিজ্য সম্প্রসারণে মিশর-বাংলাদেশ বৈঠক 
ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন ও সেনাপ্রাঙ্গণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) ভবন এবং আর্মি সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম (সেনাপ্রাঙ্গণ) ভবন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (৫ মে) ঢাকা সেনানিবাসে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব উন্নয়নকাজের উদ্বোধন করেন বলে আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। আইএসপিআর জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নের বিভিন্ন পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবারসহ জনসাধারণের উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) বিভাগের জন্য এ নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।   এছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সভা, সেমিনার, সামাজিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি আয়োজনের লক্ষ্যে আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম সেনাপ্রাঙ্গণ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, বাহিনী প্রধান, ঢাকা সেনানিবাসের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বজ্রপাত বাড়বে, বাড়তে পারে প্রাণহানি
বজ্রপাত বাড়বে, বাড়তে পারে প্রাণহানি
প্রিসাইডিং অফিসারের আঙুলের ছাপে দেওয়া যাবে ভোট
প্রিসাইডিং অফিসারের আঙুলের ছাপে দেওয়া যাবে ভোট
এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ঢাকায় আসছেন আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ
ঢাকায় আসছেন আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ
তাপজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে আসছে জাতীয় নির্দেশিকা
তাপজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে আসছে জাতীয় নির্দেশিকা
‘সাবসিন’ বন্ধ, সাবটাইটেল পাবেন যেখানে 
মা দিবসে রুনা লায়লার নতুন গান
কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। আগামী ১২ মে ‘বিশ্ব মা দিবস’ উপলক্ষে আসছে তার নতুন গান। ‘এই না বৃদ্ধাশ্রম’ শিরোনামের গানটিতে গুণী এই শিল্পীর সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন খায়রুল ওয়াসী। আল আমিন জমাদ্দার সবুজের কথায় এটির সুরও করেছেন তিনি। সংগীত পরিচালনা করেছেন রিপন খান। গানটি নিয়ে গণমাধ্যমকে রুনা লায়লা বলেন, ‘এই না বৃদ্ধাশ্রম’ গানটির কথাগুলো বেশ টাচি। মায়েদের প্রতি সম্মান জানিয়েই এই গান। এখন যারা সন্তান, একদিন তারাও বাবা-মা হবে। তাই বাবা-মাকে তাদের স্রষ্টার আশীর্বাদ মনে করা উচিত। গানেও এই বার্তা থাকবে।  সুরকার ও শিল্পী খায়রুল ওয়াসী বলেন, ছোটবেলা থেকেই প্রিয় স্বপ্নের কণ্ঠশিল্পী ও ব্যক্তিত্ব রুনা লায়লা ম্যামের গান শুনে শুনে বড় হয়েছি। গানচর্চায় এত দ্রুত ম্যামের সঙ্গে দ্বৈত গান গাইতে পারব ভাবতে পারিনি। আমি সত্যিই অনেক ভাগ্যবান তিনি আমার সুরে আমার সঙ্গেই গান গেয়েছেন। একইসঙ্গে মাথায় হাত রেখে দোয়া করে বলেছেন, ভালো ভালো কাজ যেন অব্যাহত রাখি। গীতিকার আল আমিন জমাদ্দার সবুজ বলেন, কত স্বপ্ন, কত কষ্ট ও কত আশা নিয়ে বাবা-মা তার সন্তানদের বড় করেন। অথচ কিছু সন্তান নামের কুলাঙ্গার বাবা-মাকে শেষ জীবনে বোঝা মনে করে। নিজেদের কাছে রাখতে চায় না। ফলে তাদের ঠিকানা হয় বৃদ্ধাশ্রমে। কিন্তু এ সময় তারা ভুলেই যায় কদিন পর তারাও বাবা-মা হবে, বৃদ্ধ হবে। তাদের সন্তানরাও তাদের সঙ্গে একই আচরণ করতে পারে। বাস্তবতার এমন নিরিখেই ‘এই না বৃদ্ধাশ্রম’ গানটি লেখা। লেখার পাশাপাশি গানটির মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন গীতিকার আল আমিন জমাদ্দার সবুজ নিজেই। এটি এজেএস ওয়ার্ল্ডের ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশ হবে। 
মা দিবসে রুনা লায়লার নতুন গান
কর্ণিয়ার কারণেই ঢাকাতে জ্যাম!
ঢাকার জ্যাম এমনিতেই অসহ্য, তার সঙ্গে বর্তমানে যুক্ত হয়েছে চড়া তাপমাত্রা। এমন সময় জানা গেল, এই জ্যামের কারণ নাকি কণ্ঠশিল্পী জাকিয়া সুলতানা কর্ণিয়া। না, এটা কোনো জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থার তথ্য নয়। সম্প্রতি এই কণ্ঠশিল্পী নিজের ইউটিউব চ্যানেলে হাজির হয়েছেন ‘ঢাকাতে জ্যাম’ শিরোনামের একটি নতুন গান নিয়ে। গানটির ভিডিওতে দেখা যায়, রাজপথে দাঁড়িয়ে কর্ণিয়া গাইছেন, ঢাকাতে জ্যাম শুধু আমারই কারণে।  গানটি নিয়ে এই কণ্ঠশিল্পী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঢাকাতে জ্যাম’ গানের  অডিও তৈরি হয়েছে বেশ আগে। এরমধ্যে আমি এটি বিভিন্ন স্টেজ ও লাইভ শোতেও গেয়েছি। ভালো সাড়া পাচ্ছিলাম। সবাই বলতেন, গানটা বেশ মজার। ভিডিও কবে আসবে। অবশেষে সেই ক্ষণ এলো। ভিডিও প্রকাশ হলো। কর্ণিয়া আরও বলেন, গানটি প্রকাশের পর থেকেই দারুণ সাড়া পাচ্ছি। ইউটিউবের কমেন্টস বক্সে দেখছি মানুষ তাদের ভালো লাগার কথা লিখছে।  ‘ঢাকাতে জ্যাম’ শিরোনামের গানটির কথা লিখেছেন সুদীপ কুমার দীপ, সুর ও সংগীতায়োজনে ছিলেন অম্লান এ চক্রবর্তী। ভিডিও নির্মাণ করেছেন রাজ বিশ্বাস শঙ্কর। এতে শিল্পী কর্ণিয়ার সঙ্গে মডেল হিসেবে দেখা গেছে নাফিসা নুসরাত প্রোনোমি, শিশির সরদার ও আপন অর্ঘ্যকে।
কর্ণিয়ার কারণেই ঢাকাতে জ্যাম!
ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূতের দায়িত্বে কারিনা কাপুর
বলিউডের অন্যতম সফল অভিনেত্রী করিনা কাপুর খান। দর্শকদের উপহার দিয়েছেন একের পর এক হিট সিনেমা। নতুন খবর হলো, এই অভিনেত্রী এবার পেয়েছেন নতুন দায়িত্ব। মনোনীত হয়েছেন ভারতে ইউনিসেফের জাতীয় শুভেচ্ছা দূত হিসেবে। শনিবার (৪ মে) নিজেই এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন কারিনা কাপুর। তিনি লিখেছেন, আমার জন্য খুব আবেগের একটা দিন। ইউনিসেফের দূতের দায়িত্ব পেয়ে আমি ধন্য। ভারতীয় গণমাধ্যম জিনিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, সেলেব্রিটি অ্যাডভোকেট হিসেবে ২০১৪ সালে ইউনিসেফের সঙ্গে পথচলা শুরু হয় কারিনা কাপুরের। এবার সেই পদ থেকে দায়িত্ব পেলেন ন্যাশনাল অ্যাম্বাসেডরের। কিছুদিন আগে কারিনাকে দেখা গেছে  ‘ক্রু’ সিনেমায়। এতে টাবু ও কৃতির সঙ্গে বিমানসেবিকার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। বক্স অফিসে সিনেমাটি দারুণ ব্যবসাও করে।
ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূতের দায়িত্বে কারিনা কাপুর
‘মা পদক’ পাচ্ছেন আনোয়ারা
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি অভিনেত্রী আনোয়ারা। এবার তিনি ভূষিত হচ্ছেন ‘মা পদক’-এ। আগামী ১২ মে ‘বিশ্ব মা দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে তার হাতে এ পদক তুলে দেওয়া হবে।  বিষয়টি নিয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত আনোয়ারা। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, অভিনয়ের জন্য এর আগে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়েছি নয়বার। এবার অসংখ্য সিনেমায় মায়ের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য পেতে যাচ্ছি ‘মা পদক’। এটা সত্যিই অন্যরকম ভালোলাগার বিষয়। সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ। আলী-রূপা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আগামী ১২ মে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে। যার সার্বিক সহযোগিতায় থাকছে পারফেক্ট ইলেকট্রনিক্স। এই আয়োজনে  সিনেমা, নাটক, গান, নৃত্যাঙ্গনসহ দেশের প্রশাসন, শিক্ষা, সাংবাদিকতা, সেনাবাহিনীসহ আরও কয়েকটি ক্যাটাগরিতে পদক প্রদান করা হবে।
‘মা পদক’ পাচ্ছেন আনোয়ারা
সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে হেলিকপ্টার থেকে ছিটানো হচ্ছে পানি 
আমদানির খবরে হিলিতে কমেছে পেঁয়াজের দাম
ওবায়দুল কাদেরের ভাইয়ের মনোনয়ন বাতিল
খালে নোঙর করা ট্রলারে আরেকটির ধাক্কা, জেলে নিখোঁজ 
চাঁদপুরে ২ বিএনপি নেতা বহিষ্কার
দলীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় চাঁদপুরে দুই বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।  শনিবার (৪ মে) বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। বহিষ্কার করা বিএনপি নেতারা হলেন- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আবু সুফিয়ান মজুমদার রানা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোসা. রাবেয়া আক্তার রুবি। আবু সুফিয়ান মজুমদার রানা হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং রাবেয়া আক্তার রুবি জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় গঠণতন্ত্র মোতাবেক বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। এরমধ্যে ২৬ জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী।  বিএনপির সাংগঠনিক বিভাগ ‘কুমিল্লা বিভাগ’ থেকে দুজন প্রার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই প্রার্থীই চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার।  হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আবু সুফিয়ান রানা ‘ঘোড়া’ প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে এবং রাবেয়া আক্তার রুবি ‘প্রজাপতি’ প্রতীক নিয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বাইডেনের ‘জেনোফোবিক’ মন্তব্যে জাপান-ভারতের প্রতিবাদ 
জিম্মি চুক্তিতে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা যেকোনো সময়
যে কারণে মক্কায় প্রবেশে সৌদির বাসিন্দাদের অনুমতি লাগবে
ইন্দোনেশিয়ার মধ্যাঞ্চলে বন্যায় ১৫ জনের মৃত্যু
ইন্দোনেশিয়ার মধ্যাঞ্চলে বন্যায় ১৫ জনের মৃত্যু
পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো ভারত
পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো ভারত
যে কারণে ইসরায়েলকে আইসিসির সতর্কবার্তা
যে কারণে ইসরায়েলকে আইসিসির সতর্কবার্তা
ব্রাজিলে প্রবল বর্ষণে নিহত ৩৯, নিখোঁজ ৭০
ব্রাজিলে প্রবল বর্ষণে নিহত ৩৯, নিখোঁজ ৭০
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
একনজরে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি
শিরোপার দিকে ছুটছে ম্যানসিটি
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়াটার ফাইনালে কোয়াটার ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে শিরোপার লড়াই থেকে ছিটকে গেছে ম্যানচেস্টার সিটি। তবে প্রিমিয়ার লিগে শিরোপা জয়ের পথে ছুটছে সিটিজেনরা। সেই সঙ্গে ছন্দে ফিরেছেন দলের প্রাণভোমরা আরলিং হালান্ড। সবশেষ ম্যাচে উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে ৫-১ গোলের দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছে তারা। যেখানে একাই চারটি গোল করলেন ম্যানসিটির নরওয়েজিয়ান গোল মেশিন আরলিং হালান্ড। এই ম্যাচ জিতলেও আর্সেনালের চেয়ে ১ পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে ম্যানসিটি। ৩৫ ম্যাচে সিটির পয়েন্ট ৮২। এক ম্যাচ বেশি খেলে ৮৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে আর্সেনাল।  শনিবার (৪ এপ্রিল) রাতে ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধেই হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তিনি। চলতি মৌসুমে এ নিয়ে তৃতীয় হ্যাটট্রিক করলেন হালান্ড আর ম্যানসিটির জার্সিতে এ নিয়ে করলেন নবম হ্যাটট্রিক। হালান্ডের করা প্রথম তিন গোলের দুটিই পেনাল্টি থেকে।  ১২ মিনিটে ইয়োস্কো গাভারদিওল ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি কাজে লাগিয়ে দলকে এগিয়ে দেন হলান্ড। ৩৫তম মিনিটে করা দ্বিতীয় গোলটি আসে হেড থেকে। রদ্রির ক্রস থেকে আসা বল দীর্ঘ উচ্চতা কাজে লাগিয়ে লাফিয়ে চমৎকার হেড নেন হলান্ড। ৪৫ মিনিটে উলভস সেন্টার ব্যাক নেলসন সেমেদো হালান্ডকে বক্সের মধ্যে ফেলে দিলে ভিএআর চেকের মাধ্যমে আরেকটি পেনাল্টি পায় সিটি।  যা কাজে লাগাতে ভুল হয়নি নরওয়েজিয়ান তারকার। এবারের আগে গত মৌসুমে নটিংহাম ফরেস্টের বিপক্ষেও প্রথমার্ধে হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি। হলান্ড তার চতুর্থ গোলটি করেন বিরতির পর, ম্যাচের ৫৪তম মিনিটে। এই গোলেই স্ট্রাইকার হলান্ডের সামর্থ্যের ছাপ ছিল সবচেয়ে বেশি। ফোডেন নিজেদের অর্ধ থেকে চমৎকার এক শটে উঁচু করে বল হলান্ডের দিকে বাড়ান। সেটি দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ান হলান্ড। ৮২তম মিনিটে হলান্ডকে তাকে মাঠ থেকে তুলে নেন সিটি কোচ। ৮৫ মিনিটে সিটির স্কোরলাইন ৫-১ করে দেন হুলিয়ান আলভারেজ। ম্যাচে উলভসের একমাত্র সান্ত্বনা হয়ে থাকে ৫৩ মিনিটে হি-চাং হোয়াংয়ের গোলটিই।
২০২৪ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা
২০২৪ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা
৭ ম্যাচে তৃতীয় হ্যাটট্রিক রোনালদোর
৭ ম্যাচে তৃতীয় হ্যাটট্রিক রোনালদোর
মেসির রেকর্ড অ্যাসিস্ট আর সুয়ারেজের হ্যাটট্রিকে মায়ামির গোলবন্যা
মেসির রেকর্ড অ্যাসিস্ট আর সুয়ারেজের হ্যাটট্রিকে মায়ামির গোলবন্যা
পাপনের কাছে যে আবদার সাকিবের!
পাপনের কাছে যে আবদার সাকিবের!
চার ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা পুনরুদ্ধার রিয়ালের
চার ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা পুনরুদ্ধার রিয়ালের
নীল রঙের লবণ খেলে কী হয় জানেন
লবণ রান্নার জন্য খুবই দরকারি। লবণ ছাড়া খাবার স্বাদহীন। সাধারণভাবে আমরা সাদা রঙের লবণ দেখে এবং খেয়ে অভ্যস্ত। সাদা লবণই বাড়িতে আনা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আয়োডাইজড এই লবণই রান্নায় পড়ে। কিন্তু এর বাইরেও রয়েছে লবণ।  যেমন অনেক বাড়িতে সৈন্ধব লবণ এবং বিটনুন খাওয়া হয়। এগুলো গোলাপি লবণ হিসাবেও পরিচিত। কিন্তু যেটা খুব কম মানুষই জানেন, সেটা হলো নীল লবণ। অনেকেতো অবাকও হতে পারেন এটা শুনে যে লবণ নীল রঙেরও হয়।  নীল রঙের লবণ খেলে শরীরে কেমন প্রভাব পড়বে জেনে নিন- নীল রঙের লবণ আসলে রয়েছে। আর তার কদরও সীমাহীন। নামকরা রাঁধুনিদের কাছে নীল লবণ মানে শুধুই লবণ নয়, একটা আভিজাত্য। এবং সমাজের এক শ্রেণীর মানুষের কাছেও তাই। কিন্তু জানেন কি এই লবণ কোথায় পাওয়া যায় এবং এই লবণের বিশেষত্ব? নীল লবণ ভারতে পাওয়া যায় না। তবে এশিয়ারই একটি দেশে পাওয়া যায়। এটি হলো ইরান। এই দেশে এই বিশেষ লবণ পাওয়া যায়। নীল লবণের পোশাকি নাম পারসিয়ান সল্ট। প্রায় ২ হাজার বছর আগে ইরানে এই লবণ আবিষ্কার হয়। তার ব্যবহারও শুরু হয়। তারপর থেকে এই লবণ খনি থেকে তোলা চলছে। খনিতে জমাট বাঁধা এই লবণ তুলে এনে রোদে শুকিয়ে নিয়ে তার পরে এই নীল লবণ তৈরি হয়। এই লবণ নীল রঙের দেখতে হয়, তার কারণ এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ। এই লবণে ভরা থাকে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়াম। এ লবণ দেখতেও খুব সুন্দর বলে মনে করেন অনেকে। ফলে তা খাবার টেবিলে অন্য একটা মাত্রা যোগ করতে পারে। সেই সঙ্গে এর খাদ্যগুণও অনেক। খেতে অবশ্য সাধারণ লবণের মত নয়, একটু অন্যরকম। খেলে খনিজের স্বাদ স্পষ্ট। তবে খেতে ভালো বলেই মত সকলের। জিভে গেলে একটা তাজা অনুভূতি দেয় এই লবণ। 
বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার ২০ উপায়
বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার ২০ উপায়
গরমে দই খেলে পাবেন যেসব উপকারিতা
গরমে দই খেলে পাবেন যেসব উপকারিতা
যেসব উপসর্গে বুঝবেন আপনার ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে
যেসব উপসর্গে বুঝবেন আপনার ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে
অনলাইন জরিপ
মানবপাচার মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার
তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে নতুন পলিসি নির্ধারণে রিট
তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে নতুন পলিসি নির্ধারণে রিট
মোহাম্মদ আলীর সম্মানে বন্ধ থাকবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ
মোহাম্মদ আলীর সম্মানে বন্ধ থাকবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ
রোববার থেকে আপিল বিভাগে বিচারকাজ চলবে দুই বেঞ্চে 
রোববার থেকে আপিল বিভাগে বিচারকাজ চলবে দুই বেঞ্চে 
ঢাবির প্রশ্নপত্র ফাঁস: ৮৭ শিক্ষার্থীসহ সব আসামি খালাস
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জন আসামি খালাস পেয়েছেন। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত সম্প্রতি এ রায় দেন। সাড়ে ছয় বছর আগে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে মামলাটি করা হয়েছিল।  খালাস পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ২১ জন ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মী। আছেন আটজন চাকরিজীবী-ব্যবসায়ী। বিসিএস নন-ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলেন এমন এক ব্যক্তিও রয়েছেন।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মামলায় দুটি আইনে (আইসিটি ও পাবলিক পরীক্ষা) অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ২৪ জুন ১২৫ জনের বিরুদ্ধে পৃথক আইনে দুটি অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। আইসিটি আইনের মামলায় ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে অভিযোগ গঠন করা হয়।  চার্জ গঠনের পর আদালতে সাক্ষীদের হাজির করতে সমন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও অজামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তবে রাষ্ট্রপক্ষ মাত্র একজন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করে। একমাত্র যে সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন, তিনিও অভিযোগ সমর্থন করে কোনো সাক্ষ্য দেননি। আইসিটি আইনের যেসব ধারায় (৫৭ ও ৬৩) অপরাধের অভিযোগ মামলায় আনা হয়, তা বিচারে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তাই আসামিদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। রায়ে আদালত বলেছেন, একই অপরাধের অভিযোগে মামলায় পৃথক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এক অপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তিকে একাধিকবার ফৌজদারি মামলায় বিচারের মুখোমুখি ও দণ্ডিত করা যায় না। গণমাধ্যমকর্মীদের দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে ২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল থেকে তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন রানা ও অমর একুশে হল থেকে আবদুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। দুজনের তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন ২০ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার হল থেকে ইশরাক হোসেন নামের এক পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। একই দিন সিআইডি মামলা করে। মামলার আসামিদের মধ্যে ৪৬ জন ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন। রায়ের তথ্য বলছে, মামলার অভিযোগ, ইলেকট্রনিক বিন্যাসে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও সরকারি সংস্থার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেন। এ অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনের ৫৭ ও ৬৩ ধারায় ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠন করা হয়। অভিযোগ গঠনের দীর্ঘদিন পর ২০২৩ সালের ১১ মে এক সাক্ষীকে আদালতে হাজির করে রাষ্ট্রপক্ষ। বাকি সাক্ষী হাজির না করার তথ্য উল্লেখ করে আসামিপক্ষ আদালতে আবেদন করে বলে, একই ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা চলমান। এ কারণে আইসিটি আইনের মামলা থেকে আসামিদের অব্যাহতি দেওয়া হোক। রায়ে আদালত বলেছেন, আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে মিথ্যা বা অশ্লীল কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করলে এবং প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত আধেয় (কনটেন্ট) কেউ পড়লে বা দেখলে বা শুনলে নীতিভ্রষ্ট বা আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশঙ্কা থাকলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। প্রসিকিউশন মামলাকে শতভাগ সত্য বলে ধরে নিলেও এখানে আইসিটি আইনের ৫৭ ধারার অপরাধের উপাদান নেই। এ ধারায় অপরাধের ক্ষেত্রে তর্কিত কনটেন্ট সর্বসাধারণের জন্য কোনো ওয়েবসাইট বা ইলেকট্রনিক বিন্যাসে প্রচার বা প্রকাশ করতে হবে। ফাঁস করা প্রশ্নপত্র সর্বসাধারণের জন্য ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে প্রচার করার কোনো অভিযোগ মামলায় আনা হয়নি। রায়ে বিচারক বলেন, আইসিটি আইনের ৬৩ ধারার মূল বক্তব্য হলো, কোনো ব্যক্তি যদি এই আইন বা আইনের বিধি বা প্রবিধানের কোনো ইলেকট্রনিক রেকর্ড, বই, রেজিস্ট্রার, তথ্য, দলিল বা অন্য কোনো বিষয়ে প্রবেশাধিকারপ্রাপ্ত হয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির সম্মতি ছাড়া কোনো বিষয়বস্তু অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট প্রচার বা প্রকাশ করেন, তাহলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। তবে মহিউদ্দিন, মামুনসহ অন্য আসামিদের এ ধরনের কোনো অপরাধ করার সাক্ষ্য-প্রমাণ দেখা যায় না।
ঢাবির প্রশ্নপত্র ফাঁস: ৮৭ শিক্ষার্থীসহ সব আসামি খালাস
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বিচারককে যা বললেন মিল্টন সমাদ্দার
চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার বলেছেন, ডাক্তার পরিচয়ে আমি কোনোদিন কাগজে স্বাক্ষর করিনি। আমাকে একটা সুযোগ দিন যাতে করে চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে আশ্রমটি ভালোভাবে চালাতে পারি। বৃহস্পতিবার (২ মে) শুনানি চলাকালে বিচারকের জেরার মুখে তিনি এ কথা বলেন। ডেথ সার্টিফিকেটের বিষয়ে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের প্রশ্নের জবাবে মিল্টন জানান, যেহেতু তাদের নাম-ঠিকানা পাওয়া যায় না তাই মৃতদের কবরস্থ করার জন্য সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়। এর বাইরে অন্য কোনো উদ্দেশ্য নেই। কোনোটাতেই তার স্বাক্ষর নেই। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বাক্ষর করে থাকেন। সার্টিফিকেটে কী লেখা থাকে? -এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কী কারণে লোকটি মারা গেছে সেটাই লেখা থাকে। মৃত্যুর এই কারণ কীভাবে পান এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমাদের একজন ডাক্তার আছেন। তিনি যখন তাদের দেখে যান কার কী সমস্যা সেটা উল্লেখ করা থাকে। সার্টিফিকেটও লেখা হয় তার কী কী রোগ ছিল সেটার ওপর ভিত্তি করে। চিকিৎসার জন্য আশ্রমে কী কী ব্যবস্থা আছে বিচারক জানতে চাইলে মিল্টন জানান, চিকিৎসার জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থা নেই।  মিল্টনের আইনজীবীর দাখিল করা ছবির বিষয়ে বিচারক বলেন, এই মানুষগুলোকে সেখানে (আশ্রম) নিয়ে গেলেই ভালো হয়ে যায় কি না। জবাবে তিনি বলেন, একজন ডাক্তার প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ করে থাকেন। মিল্টন সমাদ্দার বলেন, এ পর্যন্ত আশ্রমে ১৩৫ জন মারা গেছেন। তাদেরকে কবরস্থ করার রশিদও আছে। মৃতদের কবরস্থ করার বিষয়ে একাধিক মন্ত্রণালয়ে ও প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো সহযোগিতা পাননি। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করায় আশ্রমের নিজস্ব অর্থায়নে মৃতদের কবরস্থ করা হয়। তিনি বলেন, ২৫৬ জন অসহায় বর্তমানে আশ্রমটিতে আছেন। তাদের সবাই বেওয়ারিশ, এর মধ্যে ৬ জন গর্ভবতী নারীও রয়েছে। তাদেরকে দেখভাল করার জন্য একজন ডাক্তার রয়েছেন। গর্ভবতীদের পাশের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আশ্রমের নিজস্ব অর্থায়নে সিজার করানো হয়। আশ্রমটিতে বেওয়ারিশ ছাড়া অন্য কারও থাকার সুযোগও নেই। আশ্রমের আয়-ব্যয়ের বিষয়ে মিল্টন জানান, অডিট ফার্ম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে অডিট করা হয়। ২০১৭ সাল থেকে আয়-ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ করা আছে। তিনি জানান, আমি ২০১৪ সালে চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রমের কার্যক্রম শুরু করি। ২০১৫ সালে সমাজসেবা অধিদপ্তরে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে ২০১৮ সালে আশ্রমের কার্যক্রম পরিচালনার লাইসেন্স পাই। এরপর আশ্রমটিকে কেন্দ্র করে মোট ২টি লাইসেন্স করি। এর মধ্যে একটি ফাউন্ডেশনের আরেকটি সমাজকল্যাণের লাইসেন্স। সমাজকল্যাণের লাইসেন্সে হতদরিদ্রদের আশ্রয়, সেবা দেওয়া ও চিকিৎসার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত। এদিন জাল মৃত্যু সনদ তৈরির অভিযোগে মামলায় চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। জাল মৃত্যু সনদ তৈরি, আশ্রমের টর্চার সেলে মারধর ও মানবপাচারে অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তিনিটি মামলা হয়েছে। এর আগে, বুধবার (১ মে) রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। প্রসঙ্গত, মিল্টন সমাদ্দারের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে থাকেন ভুক্তভোগীরাও। কয়েকটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন মিল্টন সমাদ্দার।  
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বিচারককে যা বললেন মিল্টন সমাদ্দার
কোর্টের সব এজলাস কক্ষে এসি স্থাপনে আইনি নোটিশ
তীব্র গরমে পুড়ছে দেশ। বাতাসে যেন আগুনের ফুলকি। গ্রীষ্মের শুরুতেই এমন তীব্র গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। এ অবস্থায় ঢাকা জজ কোর্টের সব এজলাস কক্ষে এসি স্থাপন করতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সংবিধানের মৌলিক অধিকার ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী ও বিচারকদের জীবনের সুরক্ষায় বৃহস্পতিবার (২ মে) আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান এ নোটিশটি পাঠান। নোটিশের অনুলিপি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঢাকার জেলা প্রশাসককে পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। ঢাকা শহরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করছে। বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে মানুষের শরীরও গরম হয়ে যায়। এর ফলে রক্তনালি খুলে যায়। এর জের ধরে রক্তচাপ কমে যায়, যে কারণে শরীরে রক্ত সঞ্চালন করা হৃদপিণ্ডের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। এসব কারণে মৃদু কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে ত্বকে ফুসকুড়ি পড়া, চুলকানি এবং পা ফুলে যাওয়া, যা রক্তনালি উন্মুক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে হয়। এ ছাড়া প্রচুর ঘাম হওয়ার কারণে শরীরে তরল পদার্থ ও লবণের পরিমাণ কমে যায়। গুরুতর ক্ষেত্রে দেহে এ দুইটি জিনিসের মধ্যে যে ভারসাম্য আছে, তাতেও পরিবর্তন ঘটে। এসব কিছু একসঙ্গে মিলিয়ে গরমে শরীর পরিশ্রান্ত হয়ে যেতে পারে। এর লক্ষণগুলো হচ্ছে, মাথা চক্কর দেওয়া, বমি বমি ভাব, নিস্তেজ হয়ে পড়া, মূর্ছা যাওয়া, কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়া, পেশি সংকুচিত হওয়া, মাথাব্যথা, প্রচণ্ড ঘাম হওয়া ও ক্লান্তি। আর রক্তচাপ খুব বেশি কমে গেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। এসব কারণে ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ (সিডিসি) মানুষকে বিভিন্ন গাইডলাইন দেওয়ার পাশাপাশি যথাসম্ভব শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।’ নোটিশে আরও বলা হয়, বর্তমানে এই তীব্র তাপপ্রবাহে ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী ও বিচারকরা চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন। ঢাকা জজ কোর্টের কক্ষগুলোর আয়তন খুবই ছোট। বিপুল সংখ্যক বিচারপ্রার্থীর ভিড়ে কোর্টের অধিকাংশ এজলাস কক্ষ গিজগিজ করে। একদিকে তীব্র তাপপ্রবাহ, অপরদিকে ছোট আয়তনের এজলাস কক্ষ্যে বিপুল সংখ্যক বিচার প্রার্থী। সবমিলিয়ে আইনজীবী ও বিচারকরা অত্যন্ত কষ্টে তাদের আইনি দায়িত্ব পালন করেন। এমতাবস্থায় এই তীব্র তাপপ্রবাহে ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী ও বিচারকদের জীবন চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এজন্য ঢাকা জজ কোর্টের সব এজলাস কক্ষে এসি স্থাপন করা অত্যাবশ্যক। নোটিশ পাওয়ার তিন কার্যদিবসের মধ্যে ঢাকা জজ কোর্টের সকল আদালতে এসি লাগানোর ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।  
কোর্টের সব এজলাস কক্ষে এসি স্থাপনে আইনি নোটিশ
শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার।  বৃহস্পতিবার (২ মে) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে বলা হয়, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাস কমিয়ে মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়। যদি একান্তই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে হয় তাহলে মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত তাপদাহের সময়ে ক্লাসের সময় সকাল শিফট ভোর ৬টা থেকে সকাল ৮টা এবং ডে শিফট সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চালু রাখা দরকার। পাশাপাশি প্রচলিত পেপার পেন্সিল পরীক্ষার পরিবর্তে শুধু অ্যাসাইনমেন্ট, প্রকল্পভিত্তিক কাজ, অনুসন্ধানমূলক কাজ এর মাধ্যমে মূল্যায়নের বিষয়ে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লিখিত নির্দেশনা জারির ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ১৯৪৮ থেকে চলতি বছর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি তাপপ্রবাহ হয়েছে এবারের এপ্রিল মাসে। ফলে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি থেকে ২৪ এপ্রিল প্রকাশ করা ‘তাপপ্রবাহ: বাংলাদেশ, আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন অনুসারে উত্তর ও দক্ষিণ ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৯০ শতাংশ এলাকা তীব্র তাপপ্রবাহের বিপদে রয়েছে। আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমাদের গাণিতিক মডেল বিশ্লেষণ বলছে, মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের কিছু অংশে প্রত্যাশিত বৃষ্টিপাত হলেও মে মাসে দেশে সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হতে পারে। তিনি আরও বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সিলেট অঞ্চল, বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের কিছু অংশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব চট্টগ্রাম অঞ্চলে কিছু স্বস্তির বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও এতে সারা দেশে চলমান দাবদাহ হ্রাসের সম্ভাবনা কম।  প্রথমবারের মতো আবহাওয়াবিদরা জলবায়ু বিশেষজ্ঞ এবং অ্যাক্টিভিস্টদের সঙ্গে একমত হয়েছেন যে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়া অস্বাভাবিক আচরণ করছে এবং এর ফলে ধীরে ধীরে তাপদাহের অঞ্চল প্রসারিত হচ্ছে। তারা বলছেন, দাবদাহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ অংশ এবং আংশিকভাবে পূর্ব এশিয়ার দেশ ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামকে প্রভাবিত করেছে।  নিউইয়র্ক টাইমস এর তথ্য অনুসারে, দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েক মিলিয়ন মানুষ প্রবল তাপদাহে ভুগছে। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে, কৃষি কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে এবং হিট স্ট্রোক ও সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য জটিলতার ঝুঁকি বেড়েছে। সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের পরিস্থিতিও বিশেষভাবে স্বীকার করা হয়েছে যে কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত আর্দ্রতা তাপমাত্রাকে আরও অসহ্য করে তুলেছে।  আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গড় তাপমাত্রা ১-৭ ডিগ্রি পর্যন্ত বেড়েছে। তাপমাত্রার পাশাপাশি জলীয় বাষ্পের আধিক্য রয়েছে। একদিকে তীব্র গরম, অপরদিকে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য। এ কারণে মানুষের শরীরে প্রচুর ঘাম হচ্ছে। আর্দ্রতা বেশি থাকায় শরীরের ঘাম সহজেই শুকচ্ছে না। পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল স্কুল–কলেজ খোলার কথা থাকলেও দেশজুড়ে হিট অ্যালার্ট ও তাপপ্রবাহের কারণে তা এক সপ্তাহ পিছিয়ে যায়। তীব্র তাপপ্রবাহ আর হিট অ্যালার্টের মধ্যেই গত ২৮ এপ্রিল স্কুল-কলেজ চালু হয়। তবে প্রচণ্ড গরমে বিভিন্ন স্থানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পাওয়া যায়। গরমে অসুস্থ হয়ে শিক্ষকসহ কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন গত সোমবার হাইকোর্টের নজরে আনা হয়। এরপর শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে চলমান তাপপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়।  অথচ শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন গণমাধ্যমে আরও বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাংবিধানিক এখতিয়ার আছে, সেখানে এ বিষয়ে যদি কোনো সিদ্ধান্ত (আদালতে) হয়ে থাকে তবে অবশ্যই আমরা তার উপরের আদালতে, আপিল বিভাগে যাব। একটু আগে শুনেছি, আদালত একটা নির্দেশ দিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী হাইকোর্ট জনদুর্ভোগ বিবেচনায় কোনো আদেশ দিলেই কথায় কথায় আপিল বিভাগে চলে যান এবং সেখানে উন্নত দেশের বিভিন্ন উদাহরণ অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেন। অথচ একেক দেশের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয় সেই দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং পরিবেশ পরিস্থিতি অনুসারে। এটি কি শিক্ষামন্ত্রী আসলে বুঝতে চান না, নাকি বুঝেও না বোঝার ভান করেন? আমেরিকা, কানাডা, ইউকে, অস্ট্রেলিয়াসহ উন্নত দেশগুলোতে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পার্টটাইম কাজ করে নিজের গাড়ি, বাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া সম্পন্ন করার আগেই করে ফেলে। তাদের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে, সব শিক্ষার্থী ভাতা পান, অনলাইন ও অফলাইন দুই ব্যবস্থাতেই শিক্ষা নেয়ার সুযোগ আছে। এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই পড়া শেষ করার পাশাপাশি পরীক্ষাও নেয়া হয় ওপেন বুক পদ্ধতিতে। উন্নত দেশগুলোতে কারিগরি ও কর্মমুখী শিক্ষা দেওয়া হয় ফলে কোনো শিক্ষার্থী শিক্ষাজীবন শেষ করে বেকার থাকে না। উন্নত দেশগুলোর আবহাওয়াও আমাদের দেশের মতো নয় এবং উন্নত দেশগুলোর কোনো শিক্ষা কারিকুলাম ও সুবিধা বাংলাদেশে বিদ্যমান নেই। তাই কথায় কথায় আপিল করার অভ্যাস আর উন্নত দেশের উদাহরণ দেওয়া বন্ধ করে স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট এডুকেশন কীভাবে চালু করা যায়, কীভাবে স্কুল-কলেজে থাকতেই উন্নত দেশের বাচ্চাদের মতো বাংলাদেশের বাচ্চারাও আয় করতে পারে সেই রকম শিক্ষা কার্যক্রম চালু করুন।  এ ছাড়া শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলেছেন, ইংলিশ মিডিয়ামের ক্লাস চলবে আর বাংলা মিডিয়াম সব বন্ধ থাকবে। এটা বৈষম্যমূলক। ইংলিশ মিডিয়ামের সব কার্যক্রম ব্রিটিশ কারিকুলামে পরিচালিত হয় এবং পরীক্ষাও হয় ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে। ইংলিশ মিডিয়ামে অতি ধনী পরিবারের সন্তানেরা পড়াশোনা করে, যারা এসি গাড়িতে চলে এবং ক্লাসও করে এসি রুমে। সুতরাং সেই শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রচলিত শিক্ষা কার্যক্রমের তুলনা করার কোনো মানেই হয় না।  আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। একইসঙ্গে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও সবার আগে মাথায় রাখতে হবে। এটা মনে রাখতে হবে, একটা শিশু যদি কোনো কারণে মারা যায়, এর পুরো দায়ভার সরকার ও সমগ্র জাতির উপর এসে বর্তাবে। দাবদাহ ও হিট অ্যালার্ট একটা প্রাকৃতিক বিপর্যয়। এ ধরনের ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখাটাই উচিত। করোনার সময়েও দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল, অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালু ছিল। একইভাবে ঘূর্ণিঝড়ের সময়ও সবাই সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নেয়, স্কুল বন্ধ থাকে। এমন দুর্যোগ যদি দেশব্যাপী হয়, তাহলে এর আগামীর ভাবনাটা আমাদের ভাবতে হবে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন অনেক করেছি আমরা। কিন্তু এটা ভাবিনি যে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। গ্রামের বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কারণ, লোডশেডিং হচ্ছে। খাবার পানি, লোডশেডিংয়ের মতো বিষয়গুলো মাথায় রেখেই স্কুল-কলেজ খোলা রাখার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।  স্কুল-কলেজ বন্ধ রেখে সিলেবাস কমিয়ে মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাস নিয়ে পরবর্তীতে তা অন্যভাবে পুষিয়ে নিতে হবে। আগে শিশুদের বাঁচাতে হবে। তারপর লেখাপড়া, চলাফেরা, খাওয়া-দাওয়া সবকিছু। শিক্ষক মারা গেলেন, শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে গেল স্কুল থেকে আসার পথে এই অবস্থায় স্কুল-কলেজ কি করে খোলা থাকে? এটা কোনো অবস্থাতেই যুক্তিসঙ্গত না। এই গরমে স্কুলে আসলে লেখাপড়া হয় না। শিক্ষকও পড়াতে পারেন না, শিক্ষার্থীরাও মনোযোগ দিতে পারে না। বরং তাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়। শিশুদের বিষয় এটা। বড়দের ব্যাপার না যে কোনোরকমে সইয়ে নেবে।  শিক্ষামন্ত্রী এর আগেও চলতি বছরের রমজান মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের ধর্মীয় কার্যক্রম পালনে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছিলেন। আবারও প্রচণ্ড দাবদাহ ও হিট অ্যালার্টের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের অবর্ণনীয় কষ্ট ও ভোগান্তি প্রদান করছেন। শিক্ষামন্ত্রী নিজে এসি অফিসে কাজ করেন, এসি বাসায় থাকেন, এসি গাড়িতে চলাচল করেন তাই আপনার কাছে হয়তো দাবদাহ কোনো সমস্যা বলে মনে হয় না।  একবার এসি বন্ধ রেখে সাধারণ মানুষের মতো বাস, রিকশায় চলাচল করে দেখুন তাহলে বুঝতে পারবেন দাবদাহ কাকে বলে। আপনার জায়গায় আমি শিক্ষামন্ত্রী হলে ৬ মাসের মধ্যে পুরো বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিণত করার পাশাপাশি উন্নত দেশগুলোর মতো শিক্ষার্থীদের আয়ের ব্যবস্থাও চালু করতাম। যা আপনার মতো সনাতন চিন্তাধারার শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষে বাস্তবায়ন কোনো দিনই সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না। শিক্ষামন্ত্রী বাংলাদেশের শিক্ষা কার্যক্রম হিটলারের স্টাইলে চালানোর চেষ্টা করে শিক্ষার্থীদের মনে পড়ালেখা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভীতি তৈরি করছেন।  আপনার কার্যক্রমে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনার বিরুদ্ধে প্রচুর লেখা হচ্ছে। অনেকে লিখেছেন স্বাধীন বাংলাদেশে আপনার মতো অযোগ্য শিক্ষামন্ত্রী আর কেউ ছিল না। আপনার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিতর্কিত হচ্ছে। তাই আপনি ১ নাম্বার নোটিশ গ্রহীতা উন্নত দেশগুলোর মন্ত্রীদের মতো জনমনে আপনার বিষয়ে যে ক্ষোভ আছে তা নিরসনে তথা জনদুর্ভোগ অনুধাবন করতে আপনি ব্যর্থ সেই দায়ভার কাঁধে নিয়ে অনতিবিলম্বে শিক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাস কমিয়ে মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ

নামাজের ওয়াক্ত শুরু

তারিখ : ০৫ মে, ২০২৪
অনলাইন সংস্করণ
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র
ট্রান্সজেন্ডার অধ্যায় বাদসহ যা চায় হেফাজতে ইসলাম
ট্রান্সজেন্ডারসহ বেশ কিছু আলোচিত বিষয় নিয়ে হেফাজত ফের দৃশ্যমান। তারা কোরআনবিরোধী বিবর্তনবাদসহ পাঠ্যপুস্তকে বিতর্কিত ও  ইসলামবিরোধী সকল পাঠ্য রচনা সিলেবাস থেকে অপসারণ চাইছে। পাশাপাশি শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের জন্য সাত দফা দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। রোববার (৫ মে) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত বর্তমান জাতীয় শিক্ষা কারিকুলাম ও নতুন পাঠ্যপুস্তকের বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ শীর্ষক জাতীয় শিক্ষা সেমিনারের সাত দফা দাবির এ ঘোষণা দেয় দলটি। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইসলামী শিক্ষা বিষয় প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব শাখায় আবশ্যিক বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা। দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির সামষ্টিক মূল্যায়ন তথা বোর্ড পরীক্ষায় ইসলামী শিক্ষা বিষয় পুনর্বহাল করা। বিতর্কিত ও প্রত্যাখ্যাত কোরআন বিরোধী বিবর্তনবাদ ও ট্রান্সজেন্ডারবাদসহ ইসলামবিরোধী সব পাঠ্যরচনা সিলেবাস থেকে অপসারণ করা। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) ঘাপটি মেরে থাকা ষড়যন্ত্রকারী ও তাদের সহযোগীদের চিহ্নিতকরণ পূর্বক অপসারণ করে দেশপ্রেমিক ও ইসলামী মূল্যবোধসম্পন্ন ব্যক্তিদের দায়িত্ব প্রদান করা। ভবিষ্যতে বিতর্ক এড়াতে দেশের নির্ভরযোগ্য বিজ্ঞ আলেমদের পরামর্শের আলোকে পাঠ্যবইয়ের পুনঃসংস্করণ করা। আরব দেশগুলোর শ্রমবাজারে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার জন্য আরবি ভাষার পাঠদান সর্বস্তরে বাধ্যতামূলক করা। তাদের মতে, ভারতের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরাও এ উদ্দেশ্যে আরবি ভাষা শিখে এগিয়ে রয়েছে। ২০১৩ থেকে অদ্যাবধি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা।
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (৫ মে)
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য দিনকে দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য তাই মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন বৈদেশিক মুদ্রা। লেনদেনের সুবিধার্থে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে ৫ মে ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হার তুলে ধরা হলো- বৈদেশিক মুদ্রার নাম   বাংলাদেশি টাকা   ইউএস ডলার   ১১৭ টাকা ৭৬ পয়সা   ইউরোপীয় ইউরো   ১২৫ টাকা ৩০ পয়সা   ব্রিটেনের পাউন্ড   ১৪৬ টাকা ২০ পয়সা    ভারতীয় রুপি   ১ টাকা ২৯ পয়সা   মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত   ২৪ টাকা ৪০ পয়সা   সিঙ্গাপুরের ডলার   ৮৫ টাকা ৬০ পয়সা   সৌদি রিয়াল   ২৯ টাকা ২৭ পয়সা   কানাডিয়ান ডলার   ৮৪ টাকা ১০ পয়সা   অস্ট্রেলিয়ান ডলার   ৭৬ টাকা ৮০ পয়সা   কুয়েতি দিনার   ৩৭৯ টাকা ৩৬ পয়সা   ** যেকোনো সময় মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তন হতে পারে।
এসএসসি পাসেই ইসলামী ব্যাংকে নিয়োগ
স্কয়ার গ্রুপে নিয়োগ, আবেদন অনলাইনে
প্রাণ গ্রুপে চাকরি, লাগবে কম্পিউটারে দক্ষতা
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীনে বিশাল নিয়োগ, এইচএসসি পাসেও আবেদন 
প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
মানবিক গুণাবলি অর্জন ছাড়া শিক্ষা মূল্যহীন: মেয়র আতিক
পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করল নোবিপ্রবি 
মালয়েশিয়ায় ১০ বাংলাদেশি আটক
মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী ডিবি কার্যালয়ে
এপ্রিলে ১৯৩ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার
ভিক্ষাবৃত্তির জন্য শিশু নোমানের আঙুল পুড়িয়ে দেওয়া হয়
মিল্টনকে রিমান্ডে নিয়ে সব অপকর্ম বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
মোবাইল ডাটা দ্রুত শেষ না হওয়ার উপায়
আইফোনের বিক্রি কমেছে বিশ্বজুড়ে
হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার, নিয়ম না মানলেই অ্যাকাউন্ট ব্যান
গ্রামীণফোন গ্রাহকদের জন্য সুখবর
X
Fresh