• ঢাকা শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব পাস জাতিসংঘে
ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার ব্যাপারে প্রস্তাব পাস হয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে। একইসঙ্গে সদস্যপদ দেওয়ার বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে নিয়ে পুনর্বিবেচনার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বানও জানানো হয়েছে পরিষদের পক্ষ থেকে। খবর আল জাজিরার।  শুক্রবার (১০ মে) প্রস্তাবটির ওপর ভোট হয়। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ১৯৩টি সদস্যদেশের মধ্যে ফিলিস্তিনকে নতুন সদস্য করার পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশসহ ১৪৩টি দেশ। প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট পড়েছে মাত্র ৯টি। গাজায় হামলা বন্ধের জন্য তাগিদ দিয়ে এলেও বরাবরের মতো ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে ভোটদানে বিরত ছিল ২৫টি দেশ। সাধারণ পরিষদে নিরঙ্কুশ সমর্থন পাওয়ার পরও অবশ্য জাতিসংঘে পূর্ণ সদস্যপদ পাচ্ছে না ফিলিস্তিন। তবে নিপীড়িত জাতিটিকে জাতিসংঘে যুক্ত করার পক্ষে এটি একটি বৈশ্বিক স্বীকৃতি হিসেবে কাজ করবে। এর আগে গত মাসে নিরাপত্তা পরিষদে তোলা একই ধরনের প্রস্তাব খারিজ হয়ে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগে। সাধারণ পরিষদের ভোটের মাধ্যমে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ অর্জিত না হলেও তুলনামূলক বাড়তি কিছু সুবিধা ভোগ করবে ফিলিস্তিন। যেমন চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে পরিষদের অধিবেশন কক্ষে অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে আসন পাবে তারা। তবে কোনো প্রস্তাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ মিলবে না তাদের। ভোটের পর ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব পাস হওয়ার মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণ হয়ে গেছে যে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা ও অধিকারের পক্ষে রয়েছে বিশ্ব। একইসঙ্গে তারা ইসরায়েলের দখলনীতির বিপক্ষে।  বিশাল ব্যবধানে ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার এ প্রস্তাব পাসের ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতিসংঘের ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত গিলাড এরডান। তিনি বলেছেন, জাতিসংঘ এখন ‘সন্ত্রাসী একটি রাষ্ট্রকে’ স্বাগত জানাচ্ছে।
শেষের রোমাঞ্চে ৫ রানে জিতল বাংলাদেশ
নড়াইলে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আওয়ামী লীগ নেতা খুন
প্লে-অফের স্বপ্নে বড় ধাক্কা খেল চেন্নাই
কম যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষ দিয়েও সোনার বাংলা বানানো যায়: ব্যারিস্টার সুমন
‘সবসময় দেশের জন্য ভালো খেলতে চেয়েছি’
প্রতিদ্বন্দ্বী ও আস্থার সংকট থাকায় আগ্রহ হারাচ্ছেন ভোটাররা
টানা ৪ জয়ের পর যা বললেন শান্ত
চট্টগ্রামে সাগর থেকে মালয়েশিয়ান নাবিকের মরদেহ উদ্ধার 
সকাল ৯টার মধ্যে যেসব জায়গায় ঝড় বইতে পারে
রামু থানার তিন এসআইসহ ৪ জনকে একসঙ্গে বদলি  
ডোনাল্ড লুর ঢাকা সফরের কারণ জানাল যুক্তরাষ্ট্র
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
‘ডায়াবেটিসের স্ট্রিপ থেকে শুরু করে হার্টের বাল্বও নকল হচ্ছে’
ডোনাল্ড লুর ঢাকা সফরের কারণ জানাল যুক্তরাষ্ট্র
সংস্কৃতির জন্য আরও বিনিয়োগ দরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে অর্থনৈতিক দিক থেকে ও অবকাঠামো উন্নয়নের জায়গায় আমরা অনেক অর্জন করেছি, সামনে আরও এগিয়ে যেতে হবে। তবে আগামী দিনগুলোতে সংস্কৃতির জন্য আরও বিনিয়োগ দরকার। শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসবের ২য় দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু অর্থের বিনিয়োগ নয়, আমাদের আরও বেশি প্রচেষ্টা, সময়, শ্রম ও মেধা এখানে বিনিয়োগ করতে হবে। কারণ, সংস্কৃতিতে বিনিয়োগের মধ্য দিয়ে একটি উদারনৈতিক ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের বাংলাদেশের একটা মূল্যবোধের জায়গা তৈরি হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছি, আমাদের মাথাপিছু আয় বাড়ছে, আমাদের দারিদ্র্য কমছে, দেশের মানুষ স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা সবকিছুতে উন্নততর জীবনের দিকে এগোচ্ছে। কিন্তু একই সঙ্গে মূল্যবোধের উন্নয়নের জন্য, এগিয়ে যাওয়ার জন্য সংস্কৃতিতে বিনিয়োগ প্রয়োজন। রবীন্দ্রসংগীত এবং আমাদের শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির যতো আয়োজন গোটা বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে দিতে হবে।  সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করতে চায় জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য সাংস্কৃতিক আন্দোলনের, সাংস্কৃতিক আয়োজনের কোনো বিকল্প নেই। শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে রবীন্দ্রসংগীত, আমাদের রাজনীতি, বাংলাদেশ, বাংলাদেশের জন্ম, বাংলাদেশের বিকাশ হাত ধরাধরি করে হেঁটেছে অতীতে ও বর্তমানে, ভবিষ্যতেও হাঁটবে। অনুষ্ঠানে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ইফফাত আরা দেওয়ানকে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা সম্মাননা দেওয়া হয়। 
পিটার হাসের জায়গায় ডেভিড মিল, স্বাগত জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পিটার হাসের জায়গায় ডেভিড মিল, স্বাগত জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ভালো: পররাষ্ট্রমন্ত্রী 
অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ভালো: পররাষ্ট্রমন্ত্রী 
ডিজেলচালিত সেচ পাম্পগুলোকে সোলারে রূপান্তর করার উদ্যোগ
ডিজেলচালিত সেচ পাম্পগুলোকে সোলারে রূপান্তর করার উদ্যোগ
সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সবজির দাম
সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সবজির দাম
এবার টঙ্গী যাবে মেট্রোরেল
এবার টঙ্গী যাবে মেট্রোরেল
অভিনয়ে ফেরা নিয়ে যা বললেন মোনালিসা
ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করা নিয়ে যা বললেন শ্রুতি
নির্মাতা সঞ্জয় লীলা বানসালি মানেই দুর্দান্ত সেট, নজরকাড়া লুক। ‘হীরামান্ডি: ডায়মন্ড বাজার’ সিরিজেও বরাবরের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন এই নির্মাতা। গত ১ মে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে এটি। সিরিজটিতে সায়মা চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন শ্রুতি শর্মা। এ সিরিজে প্রথমবার অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করেছেন শ্রুতি শর্মা। গল্পে রজত কৌর শ্রুতির প্রেম প্রত্যাশা করেন। এ জুটির বেড সিন রয়েছে। অন্তরঙ্গ দৃশ্যটি নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। এ নিয়ে মুখ খুললেন শ্রুতি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শ্রুতি শর্মা বলেন, আমার ও ইকবালের (রজত কৌর) একটি রোমান্টিক দৃশ্য রয়েছে। রোমান্টিক বলতে, এটি খুবই রোমান্টিক দৃশ্য। প্রথমবার পর্দায় এ ধরনের রোমান্স করলাম। আমরা রোলিং করছিলাম, কথা বলছিলাম, এটি খুবই কঠিন কোরিওগ্রাফি ছিল। আমরা একে অপরের ওপরে ছিলাম। দৃশ্যটির শুটিং করতে পুরো দিন লেগেছিল। সেই অভিজ্ঞতা জানিয়ে শ্রুতি শর্মা বলেন, আমার শরীরে ফুসকুড়ি উঠে গিয়েছিল। কারণ, খড় খুবই শক্ত ছিল। আমরা দৃশ্যটির শুটিং সারাদিন ধরে করেছিলাম। যখন দৃশ্যটির শুটিং শেষ হয়, তখন দেখি আমার চোখের কাজল ধুলো-ময়লায় ধূসর হয়ে গেছে। দৃশ্যটি চমৎকার। কিন্তু আমরাই কেবল জানি, খড়ের বিছানা থেকে উঠে আসার পর কেমন দেখাচ্ছিল। এটি শ্রুতির কাছে একেবারেই নতুন অভিজ্ঞতা। শুটিং শেষ করে যখন নিজেকে আয়নায় দেখছিলেন, তখন নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করেছিলেন, আমি কীভাবে এই রোমান্টিক দৃশ্যের শুটিং করেছি? এ সিরিজের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোনাক্ষী সিনহা, মনীষা কৈরালা, অদিতি রাও হায়দারি, শারমীন সেগাল, সানজিদা শেখ, রিচা চাড্ডা। মূলত, শারমীন সেগালের দাসী সায়মা চরিত্র রূপায়ন করেছেন শ্রুতি শর্মা।
ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করা নিয়ে যা বললেন শ্রুতি
স্ত্রী সন্তানসম্ভবা, ফের বিয়ের পিঁড়িতে জাস্টিন বিবার!
অনেক দিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল মা হতে যাচ্ছেন জাস্টিন বিবারের স্ত্রী হেইলি। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ফাঁস হয়েছিল বেশ কিছু গোপন ছবিও। এবার স্ত্রীর বেবি বাম্পের ছবি প্রকাশ করে নিজেই আনুষ্ঠানিকভাবে খবরটি দিয়েছেন গায়ক। আরও অবাক করা খবর হলো সন্তান আসা এ উপলক্ষে বিবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন ফের। একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উঠে এসেছে বিষয়টি। তবে এতে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। কেননা খ্রিস্টান ধর্মমতে ফাদারের সামনে স্ত্রী হেইলিকেই বিয়ে করেছেন বিবার। দীর্ঘ সম্পর্কের পর বিচ্ছেদ হয় জাস্টিন বিবার ও সেলেনা গোমজের। ২০১০ সাল থেকে দীর্ঘ আট বছর সম্পর্কের যবনিকাপাত ঘটে তাদের। এ সময় বিবারের একাকি জীবনে প্রেমের প্রসাদ নিয়ে আসেন মার্কিন মডেল হেইলি। ২০১৮ সালে হেইলির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন জাস্টিন। কিন্তু বিয়ের খবর কেউই প্রকাশ্যে আনেননি। এরপর বিয়ের চার বছর পূর্তিতে তাদের বিবাহের কথা স্বীকার করেন তারকা জুটি। বর্তমানে জাস্টিন বাবা হতে চলেছেন তা নিয়েই সরগরম নেটপাড়া।
স্ত্রী সন্তানসম্ভবা, ফের বিয়ের পিঁড়িতে জাস্টিন বিবার!
মেয়ে প্রিয়মের জন্য পরীমণির বিশেষ আয়োজন
ঢাকাই চলচ্চিত্রের লাস্যময়ী অভিনেত্রী পরীমণি। ভালোবেসে বিয়ে করেন অভিনেতা শরিফুল রাজকে। যদিও সে সংসার বেশি দিন টেকেনি। তবে বিচ্ছেদের পর এখন ছেলে পুণ্যকে নিয়ে নিজের মতো করে জীবনযাপন করছেন এই অভিনেত্রী। সব ব্যস্ততাও তাকে ঘিরে।   এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারে একটি প্রতিবেদন লিখেছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। এতে তিনি জানিয়েছেন, ছেলে পুণ্যের পর এবার মেয়ের মা হয়েছেন তিনি। ৬ দিনের ওই শিশুকে দত্তক নিয়েছেন নায়িকা। কন্যার নাম রেখেছেন সাফিরা সুলতানা প্রিয়ম। ১২ মে কন্যার জন্য বিশেষ এক আয়োজন করতে যাচ্ছেন নায়িকা। সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিজেই জানিয়েছেন পরীমণি।  বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, এক অন্যরকম অনুভূতি। ছেলের পরে মেয়ে! কী যে আনন্দ! আগামী ১২ মে হবে প্রিয়মের আকিকা। মা হিসেবে যতটুকু সুন্দর করা যায় সেভাবেই এটা আমি করব। কন্যার নাম সাফিরা সুলতানা প্রিয়ম।  দত্তক নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, আমি ওকে দত্তক নিয়েছি। নিয়ম মেনে সই করার সময় মনে হল আল্লাহ আবার আমার জন্য কিছু করলেন। জীবনে কোনও দিন কিছু নিয়ম অনুযায়ী বা পরিকল্পনা করে করিনি। তাই আল্লাহ আমার জন্য যা যা চেয়েছেন তাই মাথা পেতে নিয়েছি। ও পরীর মতোই আমার কোলে চলে এল। কোলে যখন নিই, মনে হয় আমার নাভি কেটেই ও এসেছে। ওর ছবি এখন দিচ্ছি না। কেউ রাগ করবেন না! মা তো... আর কিছু দিন যাক। তিনি আরও বলেন, আমি যা মন থেকে চাই তাই করি। কে কী বলল সে সব নিয়ে কোনও দিন ভাবিনি। কে বলেছে বাবা ছাড়া সন্তান মানুষ করা যায় না? কে বলেছে জন্ম দেওয়া বাবা-মা ছাড়া সন্তান মানুষ হয় না? এই সব নিয়ম সমাজের তৈরি। এই তো আর কয়েক দিনের মধ্যেই মাতৃ দিবস নিয়ে হইচই হবে। কিন্তু সেখানেও তো পিতৃতন্ত্রের আদলে তৈরি করা মেয়েদের জয়গান। এ সব কিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে কাজ আর সন্তানদের নিয়ে বাঁচব আমি। এখন রাতের দিকে সব শান্ত হয়ে আসার পরে এক দিকে ছেলে আর এক দিকে ঘুমন্ত মেয়ের মাঝে যখন চোখ খুলে দেখি তখন মনে হয় পরীমণির আকাশটা বড় হয়ে আসছে। প্রসঙ্গত, হাতে একগুচ্ছ কাজ পরীমণির। ব্যস্ত রয়েছেন টলিউডের একটি ছবি নিয়ে। ‘ফেলু বক্সী’ নামের একটি ছবিটিতে কাজ করছেন তিনি। সেখানে তার সঙ্গে আছেন সোহম চক্রবর্তী ও মধুমিতা সরকার। এটি নির্মাণ করছেন দেবরাজ সিনহা।
মেয়ে প্রিয়মের জন্য পরীমণির বিশেষ আয়োজন
বুবলীর পর এবার থানায় অপুর অভিযোগ
চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীর পর এবার অরুচিকর, মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচারের অভিযোগ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ঢালিউড কুইন অপু বিশ্বাস।  বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর ভাটারা থানায় তিনি একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। জিডিতে অপু বলেছেন,বেশ কিছুদিন যাবত ৩৪ ব্যক্তি ও ব্লগার তাদের নিজস্ব ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে আমার নামে বিভিন্ন অরুচিকর, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করছে। এমন অবস্থায় বিষয়টি আমি সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করে রাখার প্রয়োজন বলে মনে করেছি। বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির গুলশান বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) রাজন কুমার সাহা গণমাধ্যমকে বলেন, তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুবলি ফ্যান, সীমান্ত, ভাইরাল নিউজ বাই তোমা, ফাইভ টিভি বাংলা ও রাইদ রবিসহ ৩৪টি ফেসবুক পেজ-ইউটিউব চ্যানেলের নাম উল্লেখ করেছেন অপু। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে অপুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বুবলীর পর এবার থানায় অপুর অভিযোগ
কম যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষ দিয়েও সোনার বাংলা বানানো যায়: ব্যারিস্টার সুমন
নড়াইলে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আওয়ামী লীগ নেতা খুন
গাজীপুরে গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেলের ২ আরোহী নিহত
নড়াইলে আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি
রামু থানার তিন এসআইসহ ৪ জনকে একসঙ্গে বদলি  
কক্সবাজারের রামু থানার তিনজন উপপরিদর্শকসহ (এসআই) চারজনকে একসঙ্গে বদলি করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (৯ মে) পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানা গেছে। তারা হলেন, রামু থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কাওসার, মো. আল আমিন, মুহাম্মদ ইমরান উদ্দিন ও কনস্টেবল মো. মাহমুদ। বদলির আদেশ মতে, এসআই আবুল কাওসারকে পেকুয়া থানা, মুহাম্মদ ইমরান উদ্দিনকে সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ি, মো. আল আমিনকে কুতুবদিয়া ও কনস্টেবল মো. মাহমুদকে সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়িতে পদায়ন করা হয়েছে। পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত আদেশটি চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজিসহ ৯ জনকে অনুলিপি পাঠানো হয়েছে। কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় তারা বদলি হয়েছেন। 
ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব পাস জাতিসংঘে
স্বাধীন ফিলিস্তিন গঠনে বাংলাদেশসহ ১৪৩ দেশের ভোট
ইসরায়েল কখনোই হামাসকে হারাতে পারবে না: যুক্তরাষ্ট্র
অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন কেজরিওয়াল
অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন কেজরিওয়াল
ভেস্তে গেল যুদ্ধবিরতির আলোচনা, রাফায় ইসরায়েলের ব্যাপক হামলা 
ভেস্তে গেল যুদ্ধবিরতির আলোচনা, রাফায় ইসরায়েলের ব্যাপক হামলা 
বিদায় নিচ্ছেন পিটার হাস, নতুন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন ডেভিড মিল
বিদায় নিচ্ছেন পিটার হাস, নতুন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন ডেভিড মিল
রাশিয়ার অর্থের লভ্যাংশ ইউক্রেনকে দিতে একমত ইইউ রাষ্ট্রদূতেরা
রাশিয়ার অর্থের লভ্যাংশ ইউক্রেনকে দিতে একমত ইইউ রাষ্ট্রদূতেরা
‘সবসময় দেশের জন্য ভালো খেলতে চেয়েছি’
টানা ৪ জয়ের পর যা বললেন শান্ত
প্লে-অফের স্বপ্নে বড় ধাক্কা খেল চেন্নাই
প্লে-অফের স্বপ্ন পাকাপোক্ত করতে জয়ের বিকল্প ছিল না চেন্নাই সুপার কিংসের। অন্যদিকে ১১ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের একদম তলানিতে ছিল গুজরাট টাইটান্স। তাই কাগজে-কলমে শেষ চারের দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়া দলটির জন্য এই ম্যাচটি কেবলই নিয়মরক্ষার ছিল। কিন্তু সেই পচা শামুকেই পা কাটল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। নিজেদের ১২তম ম্যাচে গুজরাটের কাছে ৩৫ রানের পরাজয়ে প্লে-অফের স্বপ্নে বড় ধাক্কা খেল ধোনির চেন্নাই।  শুক্রবার (১০ মে) আহমেদবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩১ তুলে গুজরাট। ৬ ছক্কা ও ৯ চারে দলের হয়ে ৫৫ বলে সর্বোচ্চ ১০৪ রান করেন শুভমান গিল।  লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৯৬ রানের বেশি করতে পারেননি চেন্নাই। এতে ৩৫ রানের বড় পরাজয়ের স্বাদ নেয় তারা। গুজরাটের ছুঁড়ে দেওয়া বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেই শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় চেন্নাই। দলীয় ১০ রানের মাথায় টপ-অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারায় তারা। দুই অঙ্কের কোটা পার করার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন দুই ওপেনার অজিঙ্কা রাহানে (১) এবং রাচিন রবীন্দ্র (১)। আর রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন ঋতুরাজ। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতেই সেই ধাক্কা সামাল দেন ড্যারি মিচেল এবং মঈন আলি। তবে দলীয় ১১৯ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন মিচেল। ফেরার আগে ৩ ছক্কা ও ৭ চারে ৩৪ বলে ৬৪ রানের ইনিংস উপহার দেন তিনি।  মিচেল ফেরার পর বেশিক্ষণ উইকেটে টিকে থাকতে পারেননি মঈল আলিও। সমান ৪টি করে ছক্কা-চারে ৩৬ বলে ৫৬ রানের ইনিংস সাজান তিনি।  এরপর শিভাম দুবের ২১, বরীন্দ্র জাদেজার ১৮ এবং ধোনির ২৬ রানের ক্যামিওতে ১৯৬ রানের বেশি যেতে পারেনি চেন্নাই। এর আগে, দুই ওপেনারের ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে বড় পুঁজি পেয়েছিল গুজরাট। দলের বড় সংগ্রহের দিনে ৭ ছক্কা ও ৫ চারের মারে ৫১ বলে ১০৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস সাজান সাই সুদর্শন। অন্যপ্রান্তে ৬ ছক্কা ও ৯ চারে ৫৫ বলে ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন শুভমান গিল। এ ছাড়া ডেভিড মিলারের ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান।
বড় চমক রেখে কোপার স্কোয়াড ঘোষণা ব্রাজিলের
বড় চমক রেখে কোপার স্কোয়াড ঘোষণা ব্রাজিলের
শেষের রোমাঞ্চে ৫ রানে জিতল বাংলাদেশ
শেষের রোমাঞ্চে ৫ রানে জিতল বাংলাদেশ
৫ রানে জিতল বাংলাদেশ
৫ রানে জিতল বাংলাদেশ
হঠাৎ ব্যাটিং ধসে টাইগারদের মামুলি পুঁজি 
হঠাৎ ব্যাটিং ধসে টাইগারদের মামুলি পুঁজি 
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের রেকর্ড বইয়ে সাকিব-রোহিতরা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের রেকর্ড বইয়ে সাকিব-রোহিতরা
প্রতিদিনের যে পানীয়তে মিলবে ব্রনের সমাধান
প্রতিদিন নিয়ম করে মুখে ফেস-ওয়াশ ও স্ক্রাব শেষে ক্রিম মেখে যত্ন নেন অনেকেই। এ ছাড়াও নিয়ম করে মাসে একটা ফেসিয়ালও করেন। এত কিছুর পরও ত্বকের ট্যান (রোদে পোরা দাগ) যায় না। আসলে অনেকেই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে অনেক কিছু লাগিয়ে থাকেন, কিন্তু সঠিক উজ্জ্বলতা পেতে খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রেও আনতে হবে পরিবর্তন। তবে শুধু ক্রিম মাখালেই ত্বক সুন্দর হবে, এ ধারণা একেবারেই সঠিক নয়। মন থেকে নিজের যত্ন নিতে হবে, তবেই ত্বক সুন্দর হবে। জেনে নিন, ত্বক ভালো রাখার কিছু ঘরোয়া উপায় :  ত্বক ভালো রাখতে ভালো খাবারও খেতে হবে। তেল বেশি খাওয়া যাবে না। ফল, শাকসবজি এসব বেশি খেতে হবে। তেল চপচপে তরকারি খাবেন এমনটাও নয়। চিকেনের স্ট্যু খান, অল্প তেলে তরকারি বানিয়ে খান তবেই বেশি ভালো লাগবে। ত্বক সুন্দর করতে রান্নাঘর থেকে ডাল, বেসন, টকদই এসব বের করে নিয়ে মুখে মাখলেই চলবে না, সঙ্গে পেটকেও খাবার দিতে হবে। ভেতর থেকে ত্বক যাতে সুন্দর হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। এতে ডিটক্সিফিকেশন ভালো হবে, মুখে কোনো রকম ব্রনের সমস্যা হবে না। ত্বকের সমস্যার জন্য দায়ী হরমোনও। এই হরমোন ঠিক রাখতে গেলেও আমাদের কিছু খাবার নিয়ম করে খেতে হবে। দেড় কাপ পানিতে বানিয়ে নিন এই ম্যাজিক পানীয়। একজন ডায়েটিশিয়ান তার ইস্টাগ্রাম পোস্টে এই পানির উপকারিতা ও বানানোর পদ্ধতি জানিয়েছেন। তার কথায় ‘ত্বকের দাগ-ছোপ-ব্রন দূর করে ঝলমলে করে তুলবে এই একটি মিরাকল পানীয়।’ পানি দারচিনির গুঁড়ো, এক চামচ মৌরি আর হাফ চামচ মেথি দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। এবার তা ভালো করে ছেঁকে নিয়ে সকালে খালি পেটে খান এক গ্লাস। এতে শরীরের সব হরমোন ঠিকমতো কাজ করবে। পেট পরিষ্কার থাকবে যে কারণে ত্বক ঝকঝকে হবে নিজ থেকেই। আসলে বয়স বাড়লে ত্বকে বলিরেখা দেখা যায়, কালো ছোপ পরে যায়। কারণ, তখন অক্সিডেশন বেশি হয়। যে কারণে এই পানীয় খুবই ভালো সাহায্য করে। ত্বকের গঠনে সাহায্য করে কোলাজেন। দারচিনি ও মৌরির মধ্যে থাকে সেই বিশেষ গুণ, যা কোলাজেন গঠনে সাহায্য করে। ত্বক তাড়াতাড়ি বুড়িয়ে যায় না, সেই সঙ্গে ত্বক থাকে টানটান। সব বয়সের সব মানুষ এই পানীয় খেতে পারেন।
৮ ফুট লম্বা চুলে আলিয়ার বিশ্বরেকর্ড
৮ ফুট লম্বা চুলে আলিয়ার বিশ্বরেকর্ড
সুস্থ থাকতে এসির তাপমাত্রা যত রাখবেন
সুস্থ থাকতে এসির তাপমাত্রা যত রাখবেন
বাচ্চাদের জন্য হেলথ ড্রিংকস কতটা নিরাপদ, জানালেন বিশেষজ্ঞ
বাচ্চাদের জন্য হেলথ ড্রিংকস কতটা নিরাপদ, জানালেন বিশেষজ্ঞ
অনলাইন জরিপ
নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা / রায় নিয়ে যা বললেন যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া আজিজ মোহাম্মদ ভাই
রিমান্ড শেষে কারাগারে মিল্টন সমাদ্দার
রিমান্ড শেষে কারাগারে মিল্টন সমাদ্দার
চূড়ান্ত রায় ১১ জুলাই, আদালতে উপস্থিত থাকবেন এরিকো-ইমরান
চূড়ান্ত রায় ১১ জুলাই, আদালতে উপস্থিত থাকবেন এরিকো-ইমরান
ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
আদালতে মিল্টন, কারাগারে আটক রাখার আবেদন
মানবপাচার আইনে মিরপুর মডেল থানার এক মামলায় ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের চার দিনের রিমান্ড শেষ হওয়ার পর তাকে আদালতে তোলা হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখতে আদালতের কাছে আবেদন করেছে ডিবি পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালতে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।  গত ২ মে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জালজালিয়াতির মাধ্যমে মৃত্যু সনদ তৈরি করার অভিযোগে করা মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তিন দিনের রিমান্ড শেষে গত ৫ মে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। তখন এ মামলায় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর জোনাল টিমের উপপরিদর্শক মোহাম্মদ কামাল হোসেন। এর আগে গত ১ মে রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তার বিরুদ্ধে জাল মৃত্যু সনদ তৈরি, টর্চার সেলে মানুষজনকে নির্যাতন ও মানবপাচারের অভিযোগে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আদালতে মিল্টন, কারাগারে আটক রাখার আবেদন
নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা: আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন
২৫ বছর আগে নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। অবশেষে সেই মামলায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও বাকি ৬ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তীর আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।  যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া অপর আসামিরা হলেন, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও আদনান সিদ্দিকী। খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, ফারুক আব্বাসী, ও আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী। এর আগে গত ২৯ এপ্রিল ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায়ের এদিন ধার্য করেন। এ মামলার আসামিরা হলেন, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, আদনান সিদ্দিকী, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, ফারুক আব্বাসী, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী। ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীর কথা-কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান।  মামলাটি তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর ২০০৩ সালে মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ওই বছরই আসামি আদনান সিদ্দিকী হাইকোর্টে রিট করেন। এর প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন। পরে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয় এবং হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়।
নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা: আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন
যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর সাম্রাজ্যের অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর যুক্তরাজ্যে সাম্রাজ্যের অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. সালাউদ্দিন জনস্বার্থে এ রিট করেন।  রিটে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন মো. সালাউদ্দিন। তিনি জানান, এ বিষয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে ‘সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সাম্রাজ্য যুক্তরাজ্যে’- শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। প্রতিবেদনের উল্লেখ করা হয়, উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের ব্যক্তিগত আবাসিক রাস্তায় একটি সম্পত্তি ২০২২ সালে ১ কোটি ৩৮ লাখ ডলারে (১৫২ কোটি টাকায়) বিক্রি হয়। রিজেন্টস পার্ক এবং লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড থেকে পাথর ছোড়া দূরত্বে যুক্তরাজ্যের রাজধানীর সবচেয়ে সমৃদ্ধ এলাকাগুলোর একটিতে সাদা টাউন হাউসের সারি। একটি সম্পত্তি বিপণন কোম্পানির আলোকচিত্রে দেখা যায় এর মেঝে থেকে সিলিং পর্যন্ত জানালা, বেশ কয়েকটি ফ্লোরজুড়ে সর্পিল সিঁড়িসহ রয়েছে থিয়েটার ও ব্যায়ামাগার। সম্পত্তি প্ল্যাটফর্মের হিসাবে বর্তমানে বাড়িটির দাম ১৮০ কোটি টাকারও (১.৩ কোটি পাউন্ড) বেশি। বাড়িটি বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের মালিকানাধীন। অথচ বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী দেশটির কোনো নাগরিক, বাসিন্দা এবং সরকারি কর্মচারী বছরে ১২ হাজার ডলারের (১৩ লাখ ১৭ হাজার টাকার) বেশি অর্থ দেশের বাইরে নিতে পারেন না। বাংলাদেশের আইনে করপোরেশনের বিদেশে তহবিল স্থানান্তরেও নানা বিধিনিষেধ রয়েছে। শুধু কিছু শর্ত পূরণ সাপেক্ষে অনুমতি দেওয়া হয়। সাইফুজ্জামান চৌধুরী গত জানুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ বছর ভূমিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সাল থেকে তার মালিকানাধীন কোম্পানি প্রায় ২০ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড (২৭৭০ কোটি টাকা) মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি কিনে যুক্তরাজ্যে রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। যুক্তরাজ্যের কোম্পানি হাউস করপোরেট অ্যাকাউন্ট, বন্ধকি চার্জ এবং এইচএম ল্যান্ড রেজিস্ট্রি লেনদেনের ওপর ভিত্তি করে এ পরিসংখ্যান পেয়েছে বার্তা সংস্থা ব্লুমবার্গ। ব্লুমবার্গের প্রায় আড়াই হাজার শব্দের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মধ্য লন্ডনের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট থেকে শুরু করে ইংল্যান্ডে বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের বৃহত্তম আবাস টাওয়ার হ্যামলেটস এবং লিভারপুলে ছাত্রদের আবাসন পর্যন্ত বিস্তৃত তার সাম্রাজ্য। জাভেদের প্রায় ২৫০টি সম্পত্তি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রায় ৯০ শতাংশ নতুন অবস্থায় কেনা হয়।
যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর সাম্রাজ্যের অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট
সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায়কে ঘিরে আদালতে কড়া নিরাপত্তা
নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যার ঘটনায় ২৫ বছর আগে করা মামলার রায় আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঘোষণা করা হবে। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী এ রায় ঘোষণা করবেন। এ উপলক্ষে আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সাদিয়া আফরিন শিল্পী গণমাধ্যমকে বলেন, ট্রাইব্যুনালের বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী দুপুর সোয়া ১২টার দিকে রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে গত ২৯ এপ্রিল ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায়ের এ দিন ধার্য করেন। এ মামলার আসামিরা হলেন, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, আদনান সিদ্দিকী, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, ফারুক আব্বাসী, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী। ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন।  মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে চিত্রনায়ত সোহেল চৌধুরীর কথা-কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান। মামলাটি তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর ২০০৩ সালে মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ওই বছরই আসামি আদনান সিদ্দিকী হাইকোর্টে রিট করেন। এর প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন। পরে বিচারপতি মো. রূহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয় এবং হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।  
সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায়কে ঘিরে আদালতে কড়া নিরাপত্তা

নামাজের ওয়াক্ত শুরু

তারিখ : ১১ মে, ২০২৪
অনলাইন সংস্করণ
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র
দুর্নীতিবাজদের পরিবর্তে গণতন্ত্রকামীদের ধরা হচ্ছে: সালাম
দুর্নীতিবাজদের পরিবর্তে গণতন্ত্রকামীদের ধরা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম। শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তিসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।  সালাম বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রীর দোসরা ব্যাংক লুট করছেন, তাদের ধরা হচ্ছে না। ধরা হচ্ছে গণতন্ত্রকামী জনতাকে। দুর্নীতিবাজদের বিচার হচ্ছে না, ভুয়া মামলা দায়ের করে সাজা দেওয়া হচ্ছে বিএনপি নেতাকর্মীদের। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, আপনি বলেন, তারেক রহমান কেনো দেশে আসেন না। আপনার বাবার মৃত্যুর পর কেনো আপনার বাবার মরদেহ দেখতে আসলেন না। আপনিতো তারেক রহমানের পাসপোর্টও কেড়ে নিয়েছেন। আপনার পাসপোর্ট কেড়ে নেওয়া হয়নি, তাহলে কেনো আসলেন না? বিএনপির এই নেতা বলেন, একসময় প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলবেন আমি তো পুলিশকে গুলি করার কথা বলিনি, গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিইনি। পুলিশদের বলবো, প্রধানমন্ত্রীকে ভয় না পেয়ে আল্লাহকে ভয় পান। সাবেক আইজিপি সরকারের প্রশ্রয়ে দুর্নীতি করে হাজার হাজার কোটি টাকা কামিয়েছেন। আজ সব ফাঁস হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আইজিপিকে নিয়ে কিছু বলেছেন? বলেননি। বলবেন না। তিনি বলেন, আজকে ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হয় না। কারণ, কত হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে সব তথ্য বের হয়ে যাবে। আজকে সারাদেশকে কারাগারে পরিণত করা হয়েছে। সবাইকে জেলে নিয়েছেন। আমরা জেলকে ভয় পাই না। ভয়কে জয় করে আমরা রাজপথে নেমেছি। চলমান আন্দোলনের মাধ্যমেই সব অন্যায়-অবিচার ভেসে যাবে। আজ সারাদেশকে কারাগারে পরিণত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, সবাইকে জেলে নিয়েছে। আমরা জেলকে ভয় পাই না। ভয় ভেঙে গেছে। ভয়কে জয় করে আমরা রাজপথে নেমেছি। আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আনম সাইফুল ইসলাম।
যে কারণে কিছু দেশ নিজেদের মুদ্রার দাম কমিয়ে রাখতে চায়
ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরও এক দফা কমানো হয়েছে। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালু করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ১১৭ টাকায় মার্কিন ডলার ক্রয়-বিক্রয় করার নির্দেশ দেয়। এদিন সকালেও ডলারের বিনিময় হার ছিল ১১০ টাকা। অর্থাৎ ক্রলিং পেগ পদ্ধতির কারণে ডলারের বিপরীতে টাকার বড় ধরনের অবমূল্যায়ন ঘটেছে। ক্রলিং পেগ হলো মুদ্রা বিনিময়ের এমন পদ্ধতি, যেখানে মুদ্রার দরের একটি সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন সীমা নির্ধারণ করা থাকে। ফলে তা একবারেই খুব বেশি বাড়তে বা কমতেও পারবে না।  কোনো কোনো দেশ অর্থনৈতিক লাভের জন্যও নিজেদের মুদ্রার দাম কমিয়ে দেয়। এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকটি কারণেও কোনো দেশ তার মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঘটাতে পারে। অর্থনীতি ও মুদ্রা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তথ্য, গবেষণা এবং সংবাদমাধ্যম ঘেঁটে এর তিনটি প্রধান কারণ চিহ্নিত করা যায়। রপ্তানি বাড়ানো বিশ্ববাজার প্রতিযোগিতামূলক। সেখানে একটি দেশের পণ্যের সাথে অন্য দেশগুলোর পণ্যের বাজার দখলের প্রতিযোগিতা চলতে থাকে। আমেরিকার গাড়ি নির্মাতাদের যেমন প্রতিযোগিতা করতে হয় ইউরোপ ও জাপানের সঙ্গে। অর্থ ও বিনিয়োগসংক্রান্ত সংবাদমাধ্যম ইনভেস্টোপিডিয়াতে এমন উদাহরণ টেনে বলা হয়েছে, ডলারের বিপরীতে ইউরো বা জাপানি ইয়েনের দরপতন হলে, ইউরোপ বা জাপানে প্রস্তুতকৃত গাড়ির দাম ডলারের মাপকাঠিতে কমে যাবে। অন্যদিকে যে দেশের মুদ্রা বেশি শক্তিশালী সে দেশ থেকে রপ্তানিকৃত জিনিসের দাম অন্য দেশের বাজারে বেশি হয়। যেমন, ডলার অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী বলে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত পণ্য অবমূল্যায়িত মুদ্রায় কিনতে গেলে সেটি অধিকতর ব্যয়বহুল হবে। অর্থাৎ দুর্বল মুদ্রার দেশের আমদানি ব্যয় বেড়ে যায়। আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক ২০১৫-তে বলা হয়, মুদ্রার দর ১০ শতাংশ কমালে রপ্তানির পরিমাণ জিডিপির দেড় শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। সুতরাং এতে বিশ্ববাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেড়ে যায়। এতে রপ্তানি উৎসাহিত হয়, নিরুৎসাহিত হয় আমদানি। তবে দুটি কারণে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। প্রথমত, বিশ্বব্যাপী কোনো দেশের পণ্যের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সে সবের মূল্যও বাড়তে শুরু করবে। অবমূল্যায়নের প্রাথমিক উপকারটুকু আর মিলবে না তখন। দ্বিতীয়টি হলো, অন্যান্য দেশগুলো যখন এই প্রভাবটি টের পাবে তারাও নিজেদের মুদ্রামান নিচে নামাতে চেষ্টা করতে পারে। ফলে তখন একটি ‘ওয়্যার অব কারেন্সি’ বা ‘মুদ্রা-যুদ্ধ’ দেখা দিতে পারে এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকেই তা অনিয়ন্ত্রিত মুদ্রাস্ফীতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস করা এই ধরনের পদক্ষেপে রপ্তানি উৎসাহিত এবং আমদানি নিরুৎসাহিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট দেশের রপ্তানি বাড়বে এবং আমদানি কমবে। এতে বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস পায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ্ উদ্দিন আহমেদ বলেন, যখন কোনও দেশের ফরেন কারেন্সি কম আসে, সেই তুলনায় দেশ থেকে বিদেশি মুদ্রা বেশি বেরিয়ে যায় তখন ডিভ্যালুয়েশন করতে হয়। সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাওয়া, আমদানি বৃদ্ধি প্রভৃতি কারণে সাধারণত বৈদেশিক মুদ্রার সংকট দেখা দেয় বলে জানান সালেহ্ উদ্দিন আহমেদ। এতে বাণিজ্য ঘাটতিও প্রকট হয়। টানা ঘাটতি অবশ্য খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও অনেক দেশই বছরের পর বছর ধরে ভারসাম্যহীন বাণিজ্য চালিয়ে আসছে। বাংলাদেশেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাণিজ্য ঘাটতি হাজার কোটি ডলারের ওপরে ঘোরাফেরা করেছে। ইনভেস্টোপিডিয়া জানাচ্ছে, অর্থনীতির তত্ত্ব অনুসারে টানা ঘাটতি দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর। এটি দেশকে বিপজ্জনক ঋণ পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। পঙ্গু করে দিতে পারে একটি অর্থনীতিকে। ‘হোম কারেন্সি’র বা নিজস্ব মুদ্রার অবমূল্যায়ন লেনদেনের ভারসাম্য ঠিক রেখে এই ঘাটতি কমাতে সাহায্য করতে পারে। যদিও এই যুক্তির একটি নেতিবাচক দিকও আছে। দেশের মুদ্রার অবমূল্যায়ন বিদেশি ঋণের বোঝাও বাড়িয়ে দেয়। ইনভেস্টোপিডিয়া বলছে, ভারত, আর্জেন্টিনা বা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে যেখানে ডলার বা ইউরোতে ঋণ শোধ দিতে হয় তাদের জন্য এটা বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিতে পারে। অর্থনৈতিক সংকটের মুখে ২০২২ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কা রুপিকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত অবমূল্যায়িত করে। আইএমএফের ঋণ প্রাপ্তির শর্ত হিসেবে এটি করেছিল তারা। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক, আগের বছরের অক্টোবর থেকে প্রচলিত ২০০-২০৩ টাকার সীমা থেকে বাড়িয়ে প্রতি ডলারে ২৩০ টাকা বিনিময় হারের সীমা নির্ধারণ করেছিল। রয়টার্সকে কয়েকজন বিশ্লেষক তখন বলেন, সম্ভবত রেমিট্যান্সকে উৎসাহিত করার জন্য রুপির অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার অন্যতম প্রধান উৎস প্রবাসী আয়। ২০২১ সালে কোভিড মহামারির ফলে এই আয় ১০ বছরের সর্বনিম্ন ৫.৪৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছিল। মুদ্রা বাজারে শিথিলতা আইএমএফের ঋণ পাওয়ার পূর্বশর্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছিল। সরকারের ঋণের ভার লাঘব করা কোনো সরকারের যদি বড় অংকের ঋণ থাকে মুদ্রার মান কমলে তাদের সুবিধা হয়। কারণ, যদি পরিশোধের হার সমান থাকে তাহলে টাকার দাম কমলে তাকে সময়ের সঙ্গে কম অর্থমূল্য পরিশোধ করতে হয়। ধরা যাক, সরকারকে তার বকেয়া ঋণের সুদ পরিশোধে প্রতি মাসে ১০০ টাকা দিতে হয়। যদি দেশীয় মুদ্রার অর্ধেক অবমূল্যায়ন করা হয়, তাহলে ১০০ টাকার মান ৫০ টাকার সমান হয়ে যাবে। সুতরাং অবমূল্যায়নের পর ১০০ টাকা শোধ করলে আদতে সরকারের আর্থিক সম্পদ কমবে ৫০ টাকার। আবার, এই কৌশলটিও সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে ইনভেস্টোপিডিয়ায়। ‘যেহেতু, বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেরই কোনো না কোনোভাবে কিছু ঋণ বকেয়া থাকে, তাই একটি ‘রেস টু দ্য বটম কারেন্সি ওয়্যার’ বা মুদ্রা হিসেবে তলানিতে যাবার যুদ্ধও শুরু হয়ে যেতে পারে’, সতর্ক করে দিচ্ছে তারা। যদি দেশটিতে প্রচুর পরিমাণে বিদেশি বন্ড বা বিদেশি ঋণ থাকে সেগুলোর সুদের অর্থ দিতে হিমশিম খেতে হবে। তখন আর এই পদ্ধতি কাজ করবে না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। অবমূল্যায়নের ধরন ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ব্লগের এক প্রবন্ধে বলা হয়েছে, যদি কোথাও ভিন্ন ভিন্ন দামে ডলার বেচাকেনা হয় তাহলে বিনিময় হারের সেই ব্যবধানকে একত্রিত করার দুটি পন্থা রয়েছে। ‘হোয়াট কান্ট্রিজ নিড টু কনসিডার হোয়েন ডুয়াল এক্সচেঞ্জ রেটস আর আ প্রবলেম’ বা দ্বৈত বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণে করণীয় নিয়ে লেখা ওই প্রবন্ধটি ২০২১ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। তাতে উল্লিখিত পন্থাদুটির প্রথমটি এক দফায় বা ‘বিগ ব্যাং’ পদ্ধতিতে এবং দ্বিতীয়টি ধাপে ধাপে বা ধীরে ধীরে অবমূল্যায়ন। বিগ ব্যাং পদ্ধতিতে আকস্মিক অবমূল্যায়ন বাণিজ্যে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে বলে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ব্লগের ওই প্রবন্ধে সতর্ক করা হয়েছে। তখন, রপ্তানি করে স্থানীয় মুদ্রায় বেশি অর্থ উপার্জন করা যাবে। কিন্তু আমদানি হয়ে যাবে ব্যয়বহুল। কারণ, সমপরিমাণ ডলারের জন্য আগের চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে। এটি বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের খরচ হুট করে বাড়িয়ে দেয়। ফলে আন্তর্জাতিক ঋণ শোধে অসুবিধা হতে পারে। বিশ্বব্যাংকের ব্লগে আরও বলা হয়, যদি দেশি ব্যাংকগুলো তাদের দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রে খুব বেশি ডলার-নির্ভর হয়, শেষে তা একটি ব্যাঙ্কিং সংকটের দিকে নিয়েও যেতে পারে। কারণ, তখন তার‍ল্য সংকট দেখা দিতে পারে। বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এখানে জোর করে ডলারের বিপরীতে টাকার মান ৭৯ বা ৮০তে ধরে রাখা হয়েছিল। বাংলাদেশের ব্যাংকের উচিত ছিল কম দামে ডলার বিক্রি না করে বাজারকে অনুসরণ করে ‘ডিভ্যালু’ করা। “তা না করে অল্প দিনের মধ্যেই একশোর কোটা পেরিয়ে যাওয়ায় অর্থনীতি সামাল দিতে বেগ পেতে হচ্ছে।” তবে, এ ধরনের অবমূল্যায়নের মূল সুবিধা হলো একবারেই মুদ্রার মানে পরিবর্তন ঘটে যায়। ফলে বারবার পরিবর্তনের অস্থিরতা দেখা দেয় না। ক্রমান্বয়ে অবমূল্যায়নের পদ্ধতি ক্রমবর্ধমান হারে পরিবর্তন আনে। উচ্চ স্তরের বৈদেশিক ঋণ বা অভ্যন্তরীণ খরচের বড় অংশ আমদানিতে ব্যয় হলে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ইনভেস্টোপিডিয়ায়। নইলে একবারে ধাক্কাটা সামলানো কঠিন হয়ে যায়। সূত্র : বিবিসি বাংলা
চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে সমাবেশের ডাক
৯৬ হাজার ৭৩৬ শিক্ষক নিয়োগে আবেদনের শেষ দিন আজ
সাংবাদিকদের নাস্তার প্যাকেটে টাকার খাম
যেসব এলাকায় আজ ব্যাংক বন্ধ 
সকাল ৯টার মধ্যে যেসব জায়গায় ঝড় বইতে পারে
আগামী ৭২ ঘণ্টা যেমন থাকবে আবহাওয়া
সরকারি হাসপাতালে অবৈধ ফার্মেসি-ক্যান্টিন বন্ধের নির্দেশ
রাতেই যেসব অঞ্চলে ঝড়ের পূর্বাভাস
ধর্ষণ ও ভ্রূণ হত্যা: সেই ছাত্রলীগ নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি
তথ্য চুরি করে এনআইডি বিক্রি করতেন ইসির কর্মচারী
আদালতে মিল্টন, কারাগারে আটক রাখার আবেদন
মিল্টনের রিমান্ড শেষ, পাঠানো হবে আদালতে
‘মাটির নিচ দিয়ে টানা হবে সব ধরনের সংযোগ তার’
এলাকাভিত্তিক ইন্টারনেট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণে প্রভাব খাটালে ব্যবস্থা: পলক
অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন বন্ধ প্রসঙ্গে যা বলল বিটিআরসি
অ্যান্ড্রয়েডে ভয়ংকর ত্রুটি, ঝুঁকিতে শতকোটি ব্যবহারকারী
X
Fresh