• ঢাকা রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বাস কন্ডাক্টর থেকে জনপ্রিয় অভিনেতা, রুপালি পর্দায় রজনীকান্তের জীবনী
তামিল সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা রজনীকান্ত। হিন্দি, তেলেগু, কন্নড় ও ইংরেজি ভাষার সিনেমাতেও দেখা গেছে তাকে। বাস কন্ডাক্টর থেকে কিংবদন্তি অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন রজনীকান্ত। যার ফলে তার জীবনের প্রতিটি বাঁকে রয়েছে সংগ্রামের গল্প। এবার নির্মিত হতে যাচ্ছে বরেণ্য এই শিল্পীর বায়োপিক। বলিউড হাঙ্গামা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রজনীকান্তের বায়োপিক নির্মাণের রাইটস নিয়ে নিয়েছেন প্রযোজক সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা। এ বিষয়ে তাদের মাঝে বড় একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। একটি সূত্র বলিউড হাঙ্গামাকে বলেন, শুধু অভিনেতা রজনীকান্ত নন, ব্যক্তি রজনীকান্তের অনেক বড় ভক্ত সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা। তিনি বিশ্বাস করেন, বিশ্ববাসীর রজনীকান্তের জীবনী (বাস কন্ডাক্টর থেকে সুপারস্টার হওয়ার গল্প) দেখা প্রয়োজন। সিনেমাটি যাতে দর্শকপ্রিয় হয়, সেজন্য সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা ব্যক্তিগতভাবে চিত্রনাট্যের বিষয়টি দেখভাল করছেন। সূত্রটি বলেন, সিনেমার গল্পের সত্যতা নিশ্চিত করতে সাজিদ গত কয়েক মাস ধরে রজনীকান্ত ও তার পরিবারের সংস্পর্শে রয়েছেন। গল্পটি খুব শক্তিশালীভাবে উপস্থাপন করার পরিকল্পনা করেছেন। সম্পদের মালিক হওয়ার জার্নির পাশাপাশি রজনীকান্তের মানবিক দিকগুলো গল্পে ফোকাস করা হবে। ২০২৫ সালে রজনীকান্তের বায়োপিকের শুটিং শুরুর পরিকল্পনা করেছেন। চিত্রনাট্যের কাজ শেষ হলে অভিনয়শিল্পী নির্বাচনের কাজে হাত দেবেন বলেও সূত্রটি জানিয়েছে। তবে এটিকে পরিচালনা করবেন তা জানা যায়নি।
০৩ মে ২০২৪, ১৯:৫৬

বাবুল গোমেজ থেকে যেভাবে হয়ে উঠলেন জনপ্রিয় জাম্বু
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা জাম্বু। ছোট-বড় সবার কাছেই তার নামটি বহুল পরিচিত। জন্ম ১৯৪৪ সালে। মূল নাম সুখলাল বাবু। জন্ম ও পৈতৃক স্থান পুরান ঢাকার হাজারিবাগের গণকটুলি সিটি কলোনিতে। মেথরপট্টি হলেও আজিমপুরের ভাটা মসজিদের পাশেই চারতলা বাড়িতে থাকতেন তিনি। বাবুল গোমেজ নামে এন্ট্রি হন প্রথমে এফডিসিতে। পরে পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু তার নাম দেন জাম্বু। আজ এই অভিনেতার ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি ২০০৪ সালের ৩ মে, ঢাকায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। প্রয়াত এই অভিনেতার প্রতি আরটিভির পক্ষ থেকে রইল শ্রদ্ধা। বাবুল গোমেজ  থেকে জাম্বু হয়ে ওঠার গল্প নিয়ে নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বলেন, সেটা ১৯৭২ সালের ঘটনা। আমি তখন পপুলার স্টুডিওতে লিডার সিনেমার শুটিং করছিলাম। পপুলার স্টুডিওটা নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার আগে। এটা বাংলাদেশের প্রথম পরিচালক আব্দুল জব্বার খানের স্টুডিও ছিল। শুটিং চলাকালীন দেখি একটা ছেলে আসছে লম্বাচওড়া। জিজ্ঞেস করলাম নাম কী? বললো, বাবুলাল। জিজ্ঞেস করলাম অভিনয় করবে? সে বলল, হ্যাঁ করবে। আমি তখন বলি শর্ত রয়েছে একটা।  সেই শর্ত প্রসঙ্গে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বলেন, সদ্য মুক্তিযুদ্ধ শেষ হওয়া দেশের সংস্কৃত পুননির্মাণ কাজে ব্যস্ত। হয়তো সে দৃশ্য আরও চোখের সামনে এনে পরিষ্কারভাবে দেখতে চাইলেন। বললেন, ‘আসলে মারপিটের একটা দৃশ্য আছে। বিপরীত দলে বাবুলালের মতো একটা ছেলে থাকলে ভালো হয়। আমি ওকে শর্ত দিলাম মাথা ন্যাড়া করে অভিনয় করতে হবে। সে বলল তাই করবে। এরপর মাথা ন্যাড়া করে দিলাম। সত্যি তাকে এবার বড়সড় একজন মাস্তান লাগছিল। আমি ওর নাম দিলাম জাম্বু। সাদাকালো সময় থেকে শুরু করে রঙিন পর্যন্ত দাপটের সঙ্গে বহু সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। এই খল অভিনেতার লুক ছিল রুদ্রমূর্তির মতো। যা ভয় পাইয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। ভয়েসেও ছিল সেই রুদ্রতা। সবচেয়ে বেশি তাকে দেখা যেত বস্তি আক্রমণ, সওদা করে খুন, মূল খলনায়কের সহকারী প্রভৃতি ভূমিকায়। পর্দায় তার রসায়ন সবচেয়ে বেশি জমত নায়ক জসিমের সঙ্গে। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। এরমধ্যে ঐতিহাসিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিল ‘রঙিন নবাব সিরাজউদ্দৌলা’র মোহাম্মদী বেগ চরিত্র। সেই চরিত্রে জাম্বু ছিল উপযুক্ত। সাহিত্যভিত্তিক সিনেমা ‘রাজলক্ষী শ্রীকান্ত’র অর্জুন সিং চরিত্রেও বেশ সফল হয়েছিলেন তিনি। ‘হিরো’ সিনেমায় জেলখানায় কয়েদিদের নেতা হয়ে ভয়ানকভাবে হাজির হন জাম্বু। সবার ভাত কেড়ে নিয়ে একাই খেতে থাকেন। জসিমের সঙ্গে তার যুদ্ধ চলে। ‘রকি’ সিনেমায় বক্সার জসিমের সঙ্গে তার ফাইটিং ছিল উপভোগ্য। জসিমের সঙ্গে ‘মোহাম্মদ আলী’ সিনেমায়ও দারুণ রসায়ন ছিল। ‘রাস্তার রাজা’য় জালিম সিং চরিত্রে গেটআপ ছিল রুদ্রমূর্তির। আরও অনেক সিনেমায় অসাধারণ অভিনয় করেছিলেন তিনি। ‘আত্মরক্ষা’ সিনেমায় তিনি হাজির হয়েছিলেন পজিটিভ চরিত্রে। এ সিনেমার নায়ক ছিলেন ‘লাভ স্টোরি’র পল্লব। দুলারীর হুকুমের গোলাম ছিল জাম্বু। তাকে বিভিন্ন সমস্যায় ফেলে কাজ করায়। শেষে জাম্বুর হাতেই মৃত্যু হয় দুলারীর। বিচ্ছিন্নভাবে জাম্বুর কিছু গানও আছে কিছু সিনেমায়। জাম্বু অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে-সাগর ভাসা, এক মুঠো ভাত, রক্তের দাগ, শীষনাগ, সেলিম জাভেদ, হাসান তারেক, নির্দোষ, মোহাম্মদ আলী, ধর্ম আমার মা, ডাকাত, নবাব, রাস্তা, রাস্তার রাজা, রকি, আত্মরক্ষা, পরিবার, সন্ত্রাস, অতিক্রম, নবাব সিরাজউদ্দৌলা, উত্থান পতন, নয়নমণি, হাবিলদার, বিজয়, ঝুমুর, গোলাবারুদ, বাঘা বাঘিনী, সমর, অপরাজিত নায়ক, আপোষ, বিজলী তুফান, মাটির ফুল, পালকি, রুবেল আমার নাম, আঁচল বন্দী, টাইগার, বনের রাজা টারজান, হিরো, রাজাবাবু, নয়া লায়লা নয়া মজনু, শিকার, শত্রু ধ্বংস, আত্মত্যাগ, ঘাতক, কালিয়া, বন্ধু, সাজা, দোস্ত দুশমন, রাখাল রাজা, নয়নের আলো, বজ্রপাত, খুনের বদলা, অঙ্গার, বিপ্লব, যোদ্ধা, অভিযান, উসিলা, নিষ্পাপ, অমর, মৃত্যুদণ্ড, জ্যোতি, সাথী, মূর্খ মানব, দেন মোহর, প্রেম দিওয়ানা, চাকর, ববি, রাজলক্ষী শ্রীকান্ত, দায়ী কে, মিস লংকা, সাগরিকা, নির্মম ইত্যাদি। শক্তিমান এই অভিনেতার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বড় ছেলে ডায়মন্ড একটি ব্যাংকে চাকরি করেন। ছোট ছেলে সাম্বু বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এখন দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাত্রায় অভিনয় করেন। যাত্রার ব্যানারেও লেখা থাকে ‘জাম্বুর ছেলে সাম্বু’। জাম্বুর ভক্তরা সাম্বুকে দেখতে ভিড় করেন। বাবার কারণেই এই পরিচিতি।
০৩ মে ২০২৪, ১৭:১৭

হঠাৎ এক ফ্রেমে শোবিজের জনপ্রিয় তারকা সুন্দরীরা
হঠাৎ এক ফ্রেমে ধরা দিলেন দেশীয় শোবিজ অঙ্গনের জনপ্রিয় সব তারকা সুন্দরী। যেখানে হাস্যোজ্জ্বল মুখে চেয়ে আছেন কিংবদন্তি সুবর্ণা মুস্তাফা থেকে শুরু করে আফসানা মিমি, জয়া আহসান, অপি করিম, ঈশিতা, বিদ্যা সিনহা মিম, আজমেরী হক বাঁধন, কুসুম শিকদার, মৌসুমী হামিদ, মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া, পিয়া জান্নাতুল প্রমুখ। এ ছাড়া এ সময়ের সুন্দরী মিম মানতাসা, শাম্মি ইসলাম নীলাও আছেন তাদের সঙ্গে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে বসেছিল জমকালো সেই আসর। যেটার আয়োজক প্রসাধনী ব্র্যান্ড লাক্স। ১০০ বছর উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানটি সাজিয়েছিল তারা। সেখানেই দেখা মিলল সব তারকার। লাক্স-এর মাধ্যমেই শোবিজ অঙ্গনে পা রেখেছিলেন এই সময়ের এই জনপ্রিয় তারকাদের অধিকাংশ। জমকালো এই সন্ধ্যায় পারফর্ম করেছেন বিদ্যা সিনহা মিম। যার শোবিজে পথচলা শুরু হয় ২০০৭ সালে, ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’র মাধ্যমে। নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমার ইমোশনাল জার্নি আছে। আমার মনে হয়, হাজারো মেয়ের স্বপ্ন পূরণে ভূমিকা রাখে তারা।আমিও এক সিম্পল মেয়ে ছিলাম। সেখান থেকে এই প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে শোবিজে এলাম। জীবনের মোড় ঘুরে গিয়েছিল। তাই সব সময় বলি, লাক্স আমাকে নতুন করে জন্ম দিয়েছিল। এই একই প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে ২০০৯ সালে আত্মপ্রকাশ করেন মেহজাবীন চৌধুরী। যাকে এখন টেলিভিশন পর্দার কুইন বলা হয়। তিনি বলেন, আমি আজ যা কিছু হয়েছি, তার সবটা দিয়েছে এই প্ল্যাটফরম। তাদের ১০০ বছরের পূর্তি আয়োজনে আসতে পেরেও আমি উচ্ছ্বসিত। তারা বরাবরই মেধা ও প্রতিভাকে সামনে আনার প্রয়াস জারি রেখেছে। এ জন্য তাদের প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকব। ২০১০ সালে ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’র মাধ্যমে শোবিজে পা রেখেছেন এ প্রজন্মের অভিনেত্রী মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া। তিনি বললেন, প্রতিষ্ঠান দুটির সঙ্গে আমার সম্পর্ক অন্যরকম। সব সময় তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তারা আমাকে একটা প্ল্যাটফরম দিয়েছে, যার মাধ্যমে টয়া হিসেবে দেশের মানুষের কাছে আমি পরিচিতি পেয়েছি এবং কাজ করে যাচ্ছি। এ ছাড়া বর্ণিল এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন নন্দিত নায়িকা চম্পা, তরুণ অভিনেত্রী সারিকা সাবাহ, গায়িকা নন্দিতাসহ অভিনয় ও সংগীতাঙ্গনের আরো অনেক শিল্পী।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২২:১৯

ছবির ছোট্ট মেয়েটি একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী
তারকাদের নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই ভক্তদের। বিশেষ করে তারকাদের ব্যক্তিজীবন নিয়ে বেশ আগ্রহ তাদের। প্রিয় তারকার ছোটবেলার লাইফস্টাইল কেমন ছিল, কোথায় পড়ালেখা করেছেন, প্রেম-বিয়েসংক্রান্ত এবং পর্দার বাইরে তাদের জীবন কেমন― সবই যেন আগ্রহের তালিকায় বাসা বাঁধে ভক্তদের মনে।  এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছোট বেলার ছবি শেয়ার করেছেন একসময়ের জনপ্রিয় এক অভিনেত্রী। মুহূর্তেই সেই ছবিটি নজর কাড়ে নেটিজেনদের। জানেন কে এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী।   সোমবার (২৯ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে ছোট বেলার দুটি ছবিটি শেয়ার করেন শোবিজের একসময়ের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী ইপ্সিতা শবনম শ্রাবন্তী। জানা গেছে, এদিন ছিল আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস। ১৯৮২ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস পালন করে আন্তর্জাতিক নৃত্য পরিষদ। ১৯৮২ সালে নৃত্য দিবসটি ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভ করে।  মূলত এরপর থেকেই বিশ্বজুড়ে প্রতি বছরের ২৯ এপ্রিল নানা উৎসব-আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালন করা হয় দিবসটি। এবার সেই নৃত্য দিবসে নিজের ছোটবেলার নৃত্য সাজের ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন শ্রাবন্তী। ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন— ‘আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবসের শুভেচ্ছা।’ দুটি ছবির মধ্যে প্রথমটি ছোটবেলার, আর দ্বিতীয়টি ক্যারিয়ারে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরবর্তী সময়ের।  দেশের এক গণমাধ্যমে ছোটবেলার ছবিটি সম্পর্কে শ্রাবন্তী বলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের রিয়েলিটি শো ‘নতুন কুঁড়ি’ অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশনের সময় ছবিটি তোলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, একসময় নাট্যাঙ্গনে ভীষণ জনপ্রিয় ছিলেন শ্রাবন্তী। বড়পর্দায়ও খ্যাতির কমতি ছিল না তার। ‘রং নাম্বার’ সিনেমার মাধ্যমে বেশ সাড়া জাগিয়েছিলেন তিনি। বিয়ের পর হঠাৎ করেই আড়ালে চলে যান তিনি। সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন এই অভিনেত্রী।  
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৩

লাল ফ্রক পরা শিশুটি এখন দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী
গায়ে লাল ফ্রক। আদুরে একটি বাচ্চা ছাদের উপরে দাঁড়িয়ে আছে খেলনা গাড়ি হাতে । প্রথম দেখাতে বেশির ভাগ মানুষই চিনতে পারেননি। এমনকি বলতেও পারেননি তার পরিচয়। পড়ে গেছেন দ্বিধা-দ্বন্দ্বে। এবার জানা গেল তার পরিচয়। তিনি বাংলাদেশের তুমুল জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী।  দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে তিনি অসংখ্য নাটক, টেলিফিল্ম ও বিজ্ঞাপনে কাজ করে সবার প্রশংসা কুড়িয়েছেন। নজর কেড়েছেন ওটিটিতে অভিনয় করেও। সব ঠিক থাকলে চলতি বছরেই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে তার অভিনীত প্রথম সিনেমা। নাম ‘প্রিয় মালতী’। ঠিকই ধরেছেন ছবির বাচ্চাটি আর কেউ নন, মেহজাবীন চৌধুরী।  শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে তিনি ছবিটি পোস্ট করেছেন। আর ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘মাই ফার্স্ট রাইড’। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন গাড়ির ইমোজি। তারপর থেকেই ছবিটিতে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন নেটিজেনরা। কেউ করছেন প্রিয় অভিনেত্রীর প্রশংসা, আর কেউবা জানতে চাইছেন ছবিটা কত সালের?  
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৩

কেন এত জনপ্রিয় ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ গানটি
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। ঈদ আসলেই টিভি চ্যানেল থেকে শুরু করে সব জায়গায় নতুন নতুন কনটেন্ট দেখা যায়। তবে সবার প্রিয় এই উৎসবটি এলেই সবার কানে বাজতে থাকে ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ গানটি। এটি শোনেননি, এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। ছোট থেকে বড় প্রায় সব বয়সের মানুষই গানটির সঙ্গে এখন পরিচিত। গানটির এত জনপ্রিয়তা থাকলেও এটি কেন জনপ্রিয় এবং এর শুরু কীভাবে―তা হয়তো অজানা অনেকের। ২০০৯ সাল, অর্থাৎ দীর্ঘ পনেরো বছর আগে বেসরকারি একটি মুঠোফোন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য গানটি লিখেন প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন কর্মকর্তা আনিকা মাহজাবিন। ২০১১ সালে অবশ্য প্রতিষ্ঠানটি ছেড়ে দেন তিনি। তবে ওই সময় তার লেখা গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেন তরুণ প্রজন্মের সংগীতশিল্পী হাবিব ওয়াহিদ এবং এতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন সংগীতশিল্পী মিলন মাহমুদ। ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ গানটি বিজ্ঞাপনচিত্রের থিম সং হলেও গান হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে এটি। প্রকাশের প্রায় দেড় দশক হলেও এখনো এর কদর একদমই কমেনি। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আবেগের সঙ্গে মিশে গেছে গানটি। প্রতিবছরই ঈদযাত্রায় বাড়ি ফেরা মানুষের মুখে মুখে শোনা যায় গানটির কথা। আবার যেসব মানুষ জীবিকার প্রয়োজনে পরিবারের সদস্য ছেড়ে কর্মস্থলে ঈদ করেন, তাদেরও অনেক অনুভূতির মিশেল পাওয়া যায় গানটির কথায়। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে গানটি নিয়ে শ্রোতাদের উন্মাদনার ব্যাপারে এর গীতিকার আনিকা মাহজাবিন বলেন, আমাদের সময়ের কথা ভেবে খুবই ভালো লাগে। গানটির কথার সঙ্গে এর সুর ও কণ্ঠের জন্যও ভালোবেসে হৃদয়ে জায়গা দিয়েছেন মানুষ। ২০০৯ সালের ঘটনা। ঈদের খুব বেশি বাকি নেই তখন। ঈদে বাড়ি ফেরা নিয়ে একটি বিজ্ঞাপনচিত্র করতে হবে। আনিকা মাহজাবিন অতীত মনে করে বলেন, খন্দকার আশরাফুল হক সরোজ বলেন, কিছু একটা করতে হবে। তখন লিখে ফেলি কথাগুলো ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি, আমার পথ দেব পাড়ি, কাছে যাব ফিরে বারবার’। এরপর গানটি হাবিব ওয়াহিদ সুর করেন। তার ধানমন্ডির হোম স্টুডিওতে গানটির কথাগুলো পান সংগীতশিল্পী মিলন মাহমুদ। তিনি বলেন, গানটির সুর হওয়ার পর হাবিব নিজেই গাইছিল। আমি বললাম, তোমার কণ্ঠেই ভালো হচ্ছে। তখন হাবিব বলল, আপনি শুধু ভয়েসটা দিয়ে দেখেন, তারপর দেখেন কী ঘটে। ভয়েস দেয়ার পর তো অনুভূতিই পাল্টে গেল। এরপর গ্রামীণফোনের কাছে পছন্দ হয় গানটি। যা দিয়ে পরবর্তীতে বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ করেন কিসলু গোলাম হায়দার। এরপর গানটির ভিডিওচিত্র তৈরি করেন রম্য খান। যা বিভিন্ন রেলস্টেশন, লঞ্চঘাট ও টেলিভিশনে দেখানো হয়েছিল। ‘স্বপ্ন বাড়ি যাবে’ প্রকাশের পর ব্যাপক সাড়া ফেললে এর সাত বছর পর ২০১৬ সালে ‘স্বপ্ন বাড়ি যাবে-২’ তৈরি করা হয়। এটিও বিজ্ঞাপনের থিম সং ছিল। যার সুর ও সংগীতায়োজন করেন হাবিব ওয়াহিদ। রাসেল মাহমুদের লেখায় গানটিতে কণ্ঠ দেন সংগীতশিল্পী মিথুন চক্র।  এটিও প্রকাশের পর ব্যাপক সাড়া ফেলে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন, ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি ২’ গানটি হাবিব ওয়াহিদের বা মিলন মাহমুদের। আসলে তা নয়, এটি গেয়েছেন মিঠুন চক্র। দুটি গানের শিরোনাম একই হলেও কথা একদমই আলাদা। এর গীতিকারও আলাদা। কিন্তু দুটি গানেরই সুরে কিছুটা মিল থাকায় দ্বিধায় পড়তে হয় দর্শক-শ্রোতাদের। আর ২০২২ সাল থেকে ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি ২’ গান নিয়েই নিয়মিত বিজ্ঞাপনচিত্র করছে মুঠোফোন প্রতিষ্ঠানটি।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ২১:২৬

শাহরুখের চেয়ে আমি বেশি জনপ্রিয় : ঝন্টু
শাহরুখ খানের চেয়েও বাংলাদেশে বেশি জনপ্রিয় দেলয়ার জাহান ঝন্টু। শুধু তাই নয়, ভারতে যতটা শাহরুখ জনপ্রিয় তারচেয়েও অনেক বেশি বাংলাদেশে জনপ্রিয় এই নির্মাতা। নিজমুখেই এমনটা বললেন প্রখ্যাত নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু।  একটি বেসরকারি টেলিভিশনে ঝন্টু বলেন, শাহরুখ খান ওখানে যে পরিমাণ জনপ্রিয়, তারচেয়ে আমার দেশে আমি বেশি জনপ্রিয়। কে আমার নাম না জানে? আমি বলি না যে ওর থেকে আমি বেটার। আমার নাম ওর থেকে বেশি জানে আমার দেশে।  দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বলেন, চলচ্চিত্র আমাকে সুনাম দিয়েছে। ২০ কোটি লোকের মধ্যে ১৮ কোটি লোক আমার নাম জানে। আপনি রাস্তায় যান, যেকোনো রিকশাওয়ালাকে জিজ্ঞেস করেন। রিকশাওয়ালাকে যদি বলেন, শাহরুখ খানরে চেনোস, তখন ওই রিকশাওয়ালা কয় ওর বাপের নাম কী, বাড়ি কই? তাকে যদি বলেন, দেলোয়ার জাহান ঝন্টুরে চেনোস? হ, ওই যে সিনেমা বানায়। নির্মাতা বলেন, আমি সত্যি কথা বলতে ভয় পাই না। যে যত অপরাধ সে কথা বলতে আমি দ্বিধা করি না। সত্যি কথা বলবো আমি ভয় পাবো কেন? তবে আমার কোনো শত্রু নেই। সবাই জানে আমি স্পষ্ট কথা বলি। তবে যেখানে সত্য কথা বলললে আমাকে গুলি করে দেবে, সেখানে সত্য কথা বলবো না।  দর্শক বেড়েছে কিন্তু মানুষ হলে কম যায়- এমনটাই অভিমত তার। বললেন, চলচ্চিত্রের দর্শক বেশি হয়েছে। কারণ, এখন ইউটিউব বা ইন্টারনেট আসায় মানুষ এক টিপ দিলেই পৃথিবীর সব ছবি দেখতে পায়। সিএনজি ভাড়া করে কিংবা রিকশা ভাড়া করে সিনেমা হলে গিয়ে ৩০০ টাকা দিয়ে সিনেমা দেখার লোক কমে গেছে। চাইলেই ঘরে বসে অর্ধেক ছবি দেখে পরে যখন সময় হবে তখন সেখান থেকে আবার শুরু করতে পারবে।  দীঘিকে নিয়ে আর কোনো চলচ্চিত্রই বানাবেন না এই নির্মাতা। বললেন, আমি ভেবেছি তাকে নিয়ে সিনেমা বানাবো। একটা সিনেমা বানিয়েছি। কিন্তু এখন আর তাকে নিয়ে কাজ করবো না। কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে আমি যেমন তাকে নেব না বলেছি তেমনই সেও বলতে পারে আমার সিনেমায় কাজ করবে না।  হিন্দি ছবির বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বললেন, হিন্দি ছবি আছে শুধু অল্প কয়টা ছাড়া প্রচুর ছবি আছে সেগুলোর ব্যবসা হয় না। সেসব আসে না তাই আমরা জানি না। আর পশ্চিমবঙ্গে হিন্দি ছবি গেলে সেখানে লাভের একটা অংশ দিতে হয়। কিন্তু আমাদের দেশে তো হয় না। এই যে কদিন আগে শাহরুখের ছবি আসলো। তবে আমি বাংলাদেশে হিন্দি ছবি আসুক এটা চাই না, ভালো হলেও চাই না; মন্দ হলেও চাই না।  সম্প্রতি অপারেশন জ্যাকপট সিনেমা নির্মাণ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তিনি। 
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৫০

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কমলেশ আর নেই
বলিউডের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কমলেশ অবস্তি মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) মধ্যরাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তার মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তবে গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। আর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে গায়কের পরিবার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, পশ্চিম ভারতের আহমেদাবাদে নিজ বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে তার। বলিউডের গুণী নির্মাতা রাজ কাপুরের কাছে খুবই প্রিয় ছিলেন তিনি। এমনকী তার অনেক সিনেমার গানেই কণ্ঠ দিয়েছেন কমলেশ। ১৯৪৫ সালে জন্ম কমলেশের। ভাবনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছেন তিনি। সংগীতের প্রতি ছোটবেলা থেকেই ভীষণ অনুরাগী ছিলেন। এ জন্য একটু বড় হওয়ার পরই গুরু ভার্বাই পাণ্ডের তত্ত্বাবধানে গানের তালিম নিতে থাকেন। ‘ট্রিবিউট টু মুকেশ’ অ্যালবামের মাধ্যমে প্রথম পরিচিতি লাভ করেন এ গায়ক। কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী মুকেশের সঙ্গে তার কণ্ঠের সাদৃশ্য খুঁজে পায় শ্রোতারা। এ কারণে তাকে ‘ভয়েজ অব মুকেশ’ নামেও ডাকা হয়। বলিউড ছাড়াও গুজরাটি সিনেমার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কমলেশ। ‘গোপিচন্দ জাসুস’ ছবির ‘তেরা সাথ হো’, নসিবের ‘জিন্দেগি ইমতিহান লেতি হে’র মতো অনেক জনপ্রিয় গান তার গাওয়া।  
২৯ মার্চ ২০২৪, ২০:০০

‘দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল’
যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, ফুটবল বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। দেশের আনাচে-কানাচে সর্বত্র এ খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। সরকার ফুটবলের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। শনিবার (৯ মার্চ) মোহাম্মদপুর সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনূর্ধ্ব-১৭) ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের (অনূর্ধ্ব-১৭) জাতীয় পর্যায়ের খেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।  প্রধান অতিথির বক্তব্যে পাপন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ফুটবলের উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি নিজেই এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে উপস্থিত থেকে খেলা উপভোগ করেন এবং বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার প্রদান করেন। সবসময় এই টুর্নামেন্টের খোঁজ-খবর রাখছেন তিনি। নারী ফুটবলারদের প্রশংসা করে বিসিবি বলেন, আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশ সবার নজর কেড়েছে। এতে হারানো ঐতিহ্য ফিরে আসছে ফুটবলের। ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দল ৬-০ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছে। আমি বিশ্বাস করি, যথাযথ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে বাংলাদেশের ফুটবল আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে। শুধু ক্রিকেট-ফুটবলে নয়, ক্রীড়াঙ্গনের অন্যান্য ডিসিপ্লিনেও বাংলাদেশ আরও ভালো ফলাফল অর্জন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের (বালক অনূর্ধ্ব-১৭) প্রাথমিক পর্যায়ে মোট ৪ হাজার ৬৬৭টি দলের ৮৪ হাজার ৬ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করেন। একই বছরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (বালিকা অনূর্ধ্ব-১৭) প্রাথমিক পর্যায়ে মোট ৫৮৪টি দল থেকে অংশগ্রহণ করেন ১০ হাজার ৫১২ জন খেলোয়াড়।
০৯ মার্চ ২০২৪, ২৩:২৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়