• ঢাকা রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সেনাবাহিনী মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সেনাবাহিনী আজ জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে, যা ১৫ আগস্টের পর হারিয়ে ফেলেছিল সাধারণ মানুষ। রোববার (৫ মে) সকালে ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) ভবন এবং আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম-সেনাপ্রাঙ্গণের উদ্বোধন করে তিনি এই কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার দেশের অন্যান্য সেক্টরের উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে গড়ে তুলেছে অত্যন্ত আধুনিক, দক্ষ ও সময়োপযোগী বাহিনী হিসেবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় বসবাসকারীদের উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজির জন্য এ নতুন ভবনের নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সভা, সেমিনার, অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম-সেনাপ্রাঙ্গণ। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, তিন বাহিনী প্রধান, ঢাকা সেনানিবাসের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন পদবির অফিসারেরা উপস্থিত ছিলেন।
ফ্লাইট ওঠানামা ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে শাহজালালে 
সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমানবাহিনী
আ.লীগ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই: কাদের
২০২৪ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা
মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী ডিবি কার্যালয়ে
প্রিসাইডিং অফিসারের আঙুলের ছাপে দেওয়া যাবে ভোট
কোথাও তাপপ্রবাহ, কোথাও বৃষ্টির পূর্বাভাস
সেনবাগ পৌরসভার নতুন ভবন উদ্বোধন করলেন এমপি মোরশেদ আলম
বজ্রপাত বাড়বে, বাড়তে পারে প্রাণহানি
আমদানির খবরে হিলিতে কমেছে পেঁয়াজের দাম
৭ ম্যাচে তৃতীয় হ্যাটট্রিক রোনালদোর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
বাণিজ্য সম্প্রসারণে মিশর-বাংলাদেশ বৈঠক 
বজ্রপাত বাড়বে, বাড়তে পারে প্রাণহানি
সেনাবাহিনী মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সেনাবাহিনী আজ জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে, যা ১৫ আগস্টের পর হারিয়ে ফেলেছিল সাধারণ মানুষ। রোববার (৫ মে) সকালে ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) ভবন এবং আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম-সেনাপ্রাঙ্গণের উদ্বোধন করে তিনি এই কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার দেশের অন্যান্য সেক্টরের উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে গড়ে তুলেছে অত্যন্ত আধুনিক, দক্ষ ও সময়োপযোগী বাহিনী হিসেবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় বসবাসকারীদের উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজির জন্য এ নতুন ভবনের নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সভা, সেমিনার, অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম-সেনাপ্রাঙ্গণ। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, তিন বাহিনী প্রধান, ঢাকা সেনানিবাসের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন পদবির অফিসারেরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রিসাইডিং অফিসারের আঙুলের ছাপে দেওয়া যাবে ভোট
প্রিসাইডিং অফিসারের আঙুলের ছাপে দেওয়া যাবে ভোট
এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ঢাকায় আসছেন আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ
ঢাকায় আসছেন আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ
তাপজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে আসছে জাতীয় নির্দেশিকা
তাপজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে আসছে জাতীয় নির্দেশিকা
১২ বছর ধরে নকল খাবার স্যালাইন সরবরাহ করছে তারা
১২ বছর ধরে নকল খাবার স্যালাইন সরবরাহ করছে তারা
কর্ণিয়ার কারণেই ঢাকাতে জ্যাম!
ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূতের দায়িত্বে কারিনা কাপুর
বলিউডের অন্যতম সফল অভিনেত্রী করিনা কাপুর খান। দর্শকদের উপহার দিয়েছেন একের পর এক হিট সিনেমা। নতুন খবর হলো, এই অভিনেত্রী এবার পেয়েছেন নতুন দায়িত্ব। মনোনীত হয়েছেন ভারতে ইউনিসেফের জাতীয় শুভেচ্ছা দূত হিসেবে। শনিবার (৪ মে) নিজেই এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন কারিনা কাপুর। তিনি লিখেছেন, আমার জন্য খুব আবেগের একটা দিন। ইউনিসেফের দূতের দায়িত্ব পেয়ে আমি ধন্য। ভারতীয় গণমাধ্যম জিনিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, সেলেব্রিটি অ্যাডভোকেট হিসেবে ২০১৪ সালে ইউনিসেফের সঙ্গে পথচলা শুরু হয় কারিনা কাপুরের। এবার সেই পদ থেকে দায়িত্ব পেলেন ন্যাশনাল অ্যাম্বাসেডরের। কিছুদিন আগে কারিনাকে দেখা গেছে  ‘ক্রু’ সিনেমায়। এতে টাবু ও কৃতির সঙ্গে বিমানসেবিকার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। বক্স অফিসে সিনেমাটি দারুণ ব্যবসাও করে।
ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূতের দায়িত্বে কারিনা কাপুর
‘মা পদক’ পাচ্ছেন আনোয়ারা
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি অভিনেত্রী আনোয়ারা। এবার তিনি ভূষিত হচ্ছেন ‘মা পদক’-এ। আগামী ১২ মে ‘বিশ্ব মা দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে তার হাতে এ পদক তুলে দেওয়া হবে।  বিষয়টি নিয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত আনোয়ারা। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, অভিনয়ের জন্য এর আগে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়েছি নয়বার। এবার অসংখ্য সিনেমায় মায়ের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য পেতে যাচ্ছি ‘মা পদক’। এটা সত্যিই অন্যরকম ভালোলাগার বিষয়। সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ। আলী-রূপা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আগামী ১২ মে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে। যার সার্বিক সহযোগিতায় থাকছে পারফেক্ট ইলেকট্রনিক্স। এই আয়োজনে  সিনেমা, নাটক, গান, নৃত্যাঙ্গনসহ দেশের প্রশাসন, শিক্ষা, সাংবাদিকতা, সেনাবাহিনীসহ আরও কয়েকটি ক্যাটাগরিতে পদক প্রদান করা হবে।
‘মা পদক’ পাচ্ছেন আনোয়ারা
‘শ্যামাকাব্য’ সিনেমা নিয়ে যা বললেন জয়া
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। সম্প্রতি মাকে নিয়ে তিনি দেখেছেন বদরুল আনাম সৌদ পরিচালিত সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘শ্যামাকাব্য’। সিনেমাটি দেখে গণমাধ্যমকে এই অভিনেত্রী জানিয়েছেন নিজের ভালো লাগার কথা। জয়া আহসান বলেন, দুর্দান্ত।  খুবই ভালো ডিরেকশন, ভালো গল্প, অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও খুব ভালো করেছেন।  সিনেমার পরতে পরতে ছিল বিস্ময়। আমি প্রেডিকটই করতে পারিনি যে, শেষে কী হবে। তিনি আরও বলেন, ‘শ্যামাকাব্য’ খুবই ক্ল্যাসিক অ্যাপ্রোচের একটা সিনেমা। যারা ভালো কনটেন্ট দেখতে ভালোবাসেন, ভালো গল্প খোঁজেন তারা সবটাই পাবেন এখানে। ইটস এ কমপ্লিট প্রোডাকশন। গত মাসে জয়া আহসানের গাওয়া ‘তাঁতী’ শিরোনামের একটি গান ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে। যাতে প্রাধান্য পেয়েছে তাঁতের শাড়ির বিজয়গাথা। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি যে ভালো গানও করেন, তা তিনি এ গানের মাধ্যমে জানান দিয়েছেন। 
‘শ্যামাকাব্য’ সিনেমা নিয়ে যা বললেন জয়া
ডিগবাজি ছাড়াও সিডনিতে যা করছেন জায়েদ খান
ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়ক জায়েদ খান। গেল ঈদে তার অভিনীত ‘সোনার চর’ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে। যা মোটামুটি সাড়া ফেলেছে। বর্তমানে বিভিন্ন শোরুম উদ্বোধন থেকে শুরু করে দেশ-বিদেশে স্টেজ শো করে সময় কাটছে এই চিত্রনায়কের।  তারই অংশ হিসেবে গত মাসের শেষ সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ও সিডনিতে শো করতে গেছেন জায়েদ খান।  এ যাত্রায় তার সঙ্গে রয়েছেন চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। সেখানে একই মঞ্চে শো করেছেন দুজন। আর জায়েদ খান দিয়েছেন ডিগবাজিও। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় দলবল নিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে তাদের। সেসব মুহূর্তের ছবি দুজনই পোস্ট দিচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সে রকমই একটি ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেছেন নুসরাত ফারিয়া। ছবিতে সিডনি অপেরা হাউজের তীরে একই ছাতার নিচে দেখা গেছে জায়েদ-ফারিয়াকে। পরনেও ম্যাচিং কালো রঙের পোশাক। পোস্ট করা ওই ছবির ক্যাপশনে ফারিয়া লিখেছেন, ‘ভাই আমরা সিডনি আছি। দেখা হচ্ছে ৫ মে।’ মুহূর্তেই ফারিয়ার ওই ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায়। কেউ কেউ কমেন্টের ঘরে মন্তব্য করছেন, জায়েদ-ফারিয়া জুটি হলে মন্দ হয় না। সব ঠিক থাকলে আগামী ১০ মে দেশে ফেরার কথা আছে তাদের।
ডিগবাজি ছাড়াও সিডনিতে যা করছেন জায়েদ খান
আমদানির খবরে হিলিতে কমেছে পেঁয়াজের দাম
সেনবাগ পৌরসভার নতুন ভবন উদ্বোধন করলেন এমপি মোরশেদ আলম
চাঁদপুরে ২ বিএনপি নেতা বহিষ্কার
সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমানবাহিনী
উখিয়ায় গলাকেটে রোহিঙ্গা যুবককে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়ায় এক রোহিঙ্গা যুবককে গলাকেটে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। রোববার (৫ মে) ভোর ৬টার দিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১৮ এর ব্লক-এম ১৭ রেড ক্রিসেন্ট অফিস-সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম নূর কালাম (২৯)। তিনি উখিয়ার ক্যাম্পের ১৯ ডি/১৪ ব্লকের নূর সালামের ছেলে। উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আজ সকালে উখিয়া আশ্রয় শিবিরের ক্যাম্প-১৮ এর ব্লক-এম ১৭ রেড ক্রিসেন্ট অফিস-সংলগ্ন এলাকায় থেকে ক্যাম্প-১৯ ডি/১৪ ব্লকের নূর কালাম নামে এক রোহিঙ্গা যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ভোরে একদল রোহিঙ্গা দুষ্কৃতকারী তাকে গলাকেটে লাশ রেখে চলে যায়। তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে উখিয়া থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ বিষয়ে এপিবিএনের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আমির জাফর জানিয়েছেন, কারা এবং কেন এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
জিম্মি চুক্তিতে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা যেকোনো সময়
যে কারণে মক্কায় প্রবেশে সৌদির বাসিন্দাদের অনুমতি লাগবে
ইন্দোনেশিয়ার মধ্যাঞ্চলে বন্যায় ১৫ জনের মৃত্যু
পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো ভারত
পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো ভারত
যে কারণে ইসরায়েলকে আইসিসির সতর্কবার্তা
যে কারণে ইসরায়েলকে আইসিসির সতর্কবার্তা
ব্রাজিলে প্রবল বর্ষণে নিহত ৩৯, নিখোঁজ ৭০
ব্রাজিলে প্রবল বর্ষণে নিহত ৩৯, নিখোঁজ ৭০
কানাডায় নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ৩ ভারতীয় গ্রেপ্তার
কানাডায় নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ৩ ভারতীয় গ্রেপ্তার
৭ ম্যাচে তৃতীয় হ্যাটট্রিক রোনালদোর
মেসির রেকর্ড অ্যাসিস্ট আর সুয়ারেজের হ্যাটট্রিকে মায়ামির গোলবন্যা
২০২৪ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা
আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর আগামী ৩ অক্টোবর থেকে শুরু হবে। আর ২০ অক্টোবর ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টের। এবারের প্রতিযোগিতায় দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে মোট ১০টি দল অংশ নেবে। এবারের আসরের আয়োজক বাংলাদেশ। এবার মোট দুটি ভেন্যুতে খেলা হবে। গ্রুপ পর্ব, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল মিলিয়ে মোট ২৩টি ম্যাচ মাঠে গড়াবে। এর আগে, রোববার (৫ মে) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা করা হয়। এ সময় সূচি ঘোষণা অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী এবং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, আইসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিওফ অ্যালার্ডিস এবং বাংলাদেশ-ভারত মহিলা দলের দুই অধিনায়ক উপস্থিত ছিলেন। ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত সবশেষ আসরের ফাইনালে প্রোটিয়াদের হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল তারা। গ্রুপ পর্ব গ্রুপ এ : ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং কোয়ালিফাইয়ার-১  গ্রুপ বি : বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং কোয়ালিফাইয়ার-২ উল্লেখ্য, দ্বিতীয়বারের মতো এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে বাংলাদেশ। এর আগে, ২০১৪ সালে প্রথমবার টুর্নামেন্টটি আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ। 
পাপনের কাছে যে আবদার সাকিবের!
পাপনের কাছে যে আবদার সাকিবের!
চার ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা পুনরুদ্ধার রিয়ালের
চার ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা পুনরুদ্ধার রিয়ালের
বাংলাদেশের ম্যাচসহ টিভিতে আজকের খেলা
বাংলাদেশের ম্যাচসহ টিভিতে আজকের খেলা
‘একজন খেলোয়াড় তৈরি করব, দেশবাসী গর্ব করবে’
‘একজন খেলোয়াড় তৈরি করব, দেশবাসী গর্ব করবে’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা দ্বিতীয় জয়ে চোখ টাইগারদের
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা দ্বিতীয় জয়ে চোখ টাইগারদের
বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার ২০ উপায়
চলছে বৈশাখ মাস। এ সময় ঝড় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত অনেক বেড়ে যায়। আর বজ্রপাতের কারণে প্রাণহানিসহ জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বৈশাখের তীব্র গরমে স্বস্তির বৃষ্টি বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বজ্রপাতে মৃত্যু বেড়েই চলেছে। বজ্রপাতের নির্দিষ্ট সময় না থাকলেও ঝড়-বৃষ্টির সময় এর সম্ভাবনা থাকে শতভাগ। তাই কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চললে বজ্রপাতে প্রাণহানি থেকে রক্ষা পেতে পারেন।  চলুন জেনে নেওয়া যাক বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার ২০টি উপায়- ১. বিদ্যুতের খুঁটি, লাইন এবং উঁচু জায়গা থেকে দূরে থাকুন। ২. পানি থেকে সরে আসুন। নৌকায় থাকলে ছাউনির নিচে প্রবেশ করুন। ৩. আপনার ভবনে যদি বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা না থাকে তাহলে বজ্রঝড়ের সময় সবাই আলাদা আলাদা কক্ষে বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করুন। ৪. মেঘের আওয়াজ শুনলেই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। ৪. গাছের নিচে, টেলিফোন বা কোনো ধরনের সংযোগের খুঁটির পাশে দাঁড়াবেন না। ৫. গাড়ি থেকে বের না হয়ে ভেতরে আশ্রয় নিতে পারেন। ৬. ফাঁকা জায়গা, মাঠ, খেত ও যাত্রী ছাউনিতে থাকবেন না। ৭. পাহাড়ের চূড়া বা সমুদ্রসৈকতে অবস্থান করা ঠিক নয়। ৮. মুঠোফোন, কম্পিউটার, টিভি, ফ্রিজ ও বিদ্যুতের সুইচ বন্ধ রাখুন। ৯. টিনশেড বাড়ি থেকে সরে গিয়ে পাঁকা বাড়িতে অবস্থান নিতে পারেন। ১০. বাড়ির জানালা বন্ধ রাখুন। বজ্রপাতের সময় জানালা স্পর্শ করা যাবে না। ১১. বাড়ি নিরাপদ রাখতে আর্থিং সংযুক্ত রড মাটিতে স্থাপন করতে হবে। ১২. বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করা যাবে না। ১৩. বজ্রপাতের সময় শুয়ে পড়তে হবে। ১৪. বজ্রপাতে আহত ব্যক্তিকে স্পর্শ না করাই ভালো। ১৫. বৃষ্টি ও মেঘের গর্জন না থামা পর্যন্ত নিরাপদে থাকা বাঞ্ছনীয়। ১৬. গভীর ও উলম্ব আকৃতির মেঘ দেখলেই বুঝবেন বজ্রঝড় হতে পারে। যদি জরুরি প্রয়োজন থাকেই তাহলে রাবারের জুতো পরে বাইরে যাবেন। ১৭. গ্রামীণ অঞ্চলে মাঠে অবস্থান করলে পায়ের আঙুলে ভর দিয়ে দাঁড়ান। তারপর কানে আঙুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসুন। বজ্রপাতের সময় এভাবে নিজেকে নিরাপদ রাখার চেষ্টা অনেক আগে থেকেই প্রচলিত। ১৮. উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের খুঁটিতে বজ্রপাতের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই এসব স্থানে আশ্রয় নেবেন না। খোলা স্থানে বিচ্ছিন্ন একটি যাত্রী ছাউনি, তালগাছ বা বড় গাছ ইত্যাদিতে বজ্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি থাকে। ১৯. বজ্রপাতের সময় আপনি যদি ছোট কোনো পুকুরে সাঁতার কাটেন বা জলাবদ্ধ স্থানে থাকেন তাহলে সেখান থেকে সরে পড়ুন। পানি খুব বেশি বিদ্যুৎ পরিবাহী। ২০. বজ্রপাতে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে যদি আক্রান্ত হন তাহলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। বজ্রপাতে আক্রান্ত হলেই সবাই তাৎক্ষণিকভাবে মারা যান এমন না। তাই দ্রুত নিকটস্থ চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যান। বজ্রপাতে আহত হলে না ভেবেই ওই ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃৎস্পন্দন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালান। 
গরমে দই খেলে পাবেন যেসব উপকারিতা
গরমে দই খেলে পাবেন যেসব উপকারিতা
যেসব উপসর্গে বুঝবেন আপনার ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে
যেসব উপসর্গে বুঝবেন আপনার ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে
গরমে সূর্যের তাপে হতে পারে চোখের বড় ক্ষতি
গরমে সূর্যের তাপে হতে পারে চোখের বড় ক্ষতি
অনলাইন জরিপ
মোহাম্মদ আলীর সম্মানে বন্ধ থাকবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ
রোববার থেকে আপিল বিভাগে বিচারকাজ চলবে দুই বেঞ্চে 
রোববার থেকে আপিল বিভাগে বিচারকাজ চলবে দুই বেঞ্চে 
ঢাবির প্রশ্নপত্র ফাঁস: ৮৭ শিক্ষার্থীসহ সব আসামি খালাস
ঢাবির প্রশ্নপত্র ফাঁস: ৮৭ শিক্ষার্থীসহ সব আসামি খালাস
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বিচারককে যা বললেন মিল্টন সমাদ্দার
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বিচারককে যা বললেন মিল্টন সমাদ্দার
কোর্টের সব এজলাস কক্ষে এসি স্থাপনে আইনি নোটিশ
তীব্র গরমে পুড়ছে দেশ। বাতাসে যেন আগুনের ফুলকি। গ্রীষ্মের শুরুতেই এমন তীব্র গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। এ অবস্থায় ঢাকা জজ কোর্টের সব এজলাস কক্ষে এসি স্থাপন করতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সংবিধানের মৌলিক অধিকার ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী ও বিচারকদের জীবনের সুরক্ষায় বৃহস্পতিবার (২ মে) আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান এ নোটিশটি পাঠান। নোটিশের অনুলিপি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঢাকার জেলা প্রশাসককে পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। ঢাকা শহরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করছে। বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে মানুষের শরীরও গরম হয়ে যায়। এর ফলে রক্তনালি খুলে যায়। এর জের ধরে রক্তচাপ কমে যায়, যে কারণে শরীরে রক্ত সঞ্চালন করা হৃদপিণ্ডের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। এসব কারণে মৃদু কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে ত্বকে ফুসকুড়ি পড়া, চুলকানি এবং পা ফুলে যাওয়া, যা রক্তনালি উন্মুক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে হয়। এ ছাড়া প্রচুর ঘাম হওয়ার কারণে শরীরে তরল পদার্থ ও লবণের পরিমাণ কমে যায়। গুরুতর ক্ষেত্রে দেহে এ দুইটি জিনিসের মধ্যে যে ভারসাম্য আছে, তাতেও পরিবর্তন ঘটে। এসব কিছু একসঙ্গে মিলিয়ে গরমে শরীর পরিশ্রান্ত হয়ে যেতে পারে। এর লক্ষণগুলো হচ্ছে, মাথা চক্কর দেওয়া, বমি বমি ভাব, নিস্তেজ হয়ে পড়া, মূর্ছা যাওয়া, কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়া, পেশি সংকুচিত হওয়া, মাথাব্যথা, প্রচণ্ড ঘাম হওয়া ও ক্লান্তি। আর রক্তচাপ খুব বেশি কমে গেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। এসব কারণে ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ (সিডিসি) মানুষকে বিভিন্ন গাইডলাইন দেওয়ার পাশাপাশি যথাসম্ভব শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।’ নোটিশে আরও বলা হয়, বর্তমানে এই তীব্র তাপপ্রবাহে ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী ও বিচারকরা চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন। ঢাকা জজ কোর্টের কক্ষগুলোর আয়তন খুবই ছোট। বিপুল সংখ্যক বিচারপ্রার্থীর ভিড়ে কোর্টের অধিকাংশ এজলাস কক্ষ গিজগিজ করে। একদিকে তীব্র তাপপ্রবাহ, অপরদিকে ছোট আয়তনের এজলাস কক্ষ্যে বিপুল সংখ্যক বিচার প্রার্থী। সবমিলিয়ে আইনজীবী ও বিচারকরা অত্যন্ত কষ্টে তাদের আইনি দায়িত্ব পালন করেন। এমতাবস্থায় এই তীব্র তাপপ্রবাহে ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী ও বিচারকদের জীবন চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এজন্য ঢাকা জজ কোর্টের সব এজলাস কক্ষে এসি স্থাপন করা অত্যাবশ্যক। নোটিশ পাওয়ার তিন কার্যদিবসের মধ্যে ঢাকা জজ কোর্টের সকল আদালতে এসি লাগানোর ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।  
কোর্টের সব এজলাস কক্ষে এসি স্থাপনে আইনি নোটিশ
শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার।  বৃহস্পতিবার (২ মে) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে বলা হয়, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাস কমিয়ে মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়। যদি একান্তই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে হয় তাহলে মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত তাপদাহের সময়ে ক্লাসের সময় সকাল শিফট ভোর ৬টা থেকে সকাল ৮টা এবং ডে শিফট সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চালু রাখা দরকার। পাশাপাশি প্রচলিত পেপার পেন্সিল পরীক্ষার পরিবর্তে শুধু অ্যাসাইনমেন্ট, প্রকল্পভিত্তিক কাজ, অনুসন্ধানমূলক কাজ এর মাধ্যমে মূল্যায়নের বিষয়ে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লিখিত নির্দেশনা জারির ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ১৯৪৮ থেকে চলতি বছর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি তাপপ্রবাহ হয়েছে এবারের এপ্রিল মাসে। ফলে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি থেকে ২৪ এপ্রিল প্রকাশ করা ‘তাপপ্রবাহ: বাংলাদেশ, আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন অনুসারে উত্তর ও দক্ষিণ ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৯০ শতাংশ এলাকা তীব্র তাপপ্রবাহের বিপদে রয়েছে। আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমাদের গাণিতিক মডেল বিশ্লেষণ বলছে, মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের কিছু অংশে প্রত্যাশিত বৃষ্টিপাত হলেও মে মাসে দেশে সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হতে পারে। তিনি আরও বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সিলেট অঞ্চল, বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের কিছু অংশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব চট্টগ্রাম অঞ্চলে কিছু স্বস্তির বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও এতে সারা দেশে চলমান দাবদাহ হ্রাসের সম্ভাবনা কম।  প্রথমবারের মতো আবহাওয়াবিদরা জলবায়ু বিশেষজ্ঞ এবং অ্যাক্টিভিস্টদের সঙ্গে একমত হয়েছেন যে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়া অস্বাভাবিক আচরণ করছে এবং এর ফলে ধীরে ধীরে তাপদাহের অঞ্চল প্রসারিত হচ্ছে। তারা বলছেন, দাবদাহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ অংশ এবং আংশিকভাবে পূর্ব এশিয়ার দেশ ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামকে প্রভাবিত করেছে।  নিউইয়র্ক টাইমস এর তথ্য অনুসারে, দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েক মিলিয়ন মানুষ প্রবল তাপদাহে ভুগছে। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে, কৃষি কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে এবং হিট স্ট্রোক ও সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য জটিলতার ঝুঁকি বেড়েছে। সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের পরিস্থিতিও বিশেষভাবে স্বীকার করা হয়েছে যে কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত আর্দ্রতা তাপমাত্রাকে আরও অসহ্য করে তুলেছে।  আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গড় তাপমাত্রা ১-৭ ডিগ্রি পর্যন্ত বেড়েছে। তাপমাত্রার পাশাপাশি জলীয় বাষ্পের আধিক্য রয়েছে। একদিকে তীব্র গরম, অপরদিকে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য। এ কারণে মানুষের শরীরে প্রচুর ঘাম হচ্ছে। আর্দ্রতা বেশি থাকায় শরীরের ঘাম সহজেই শুকচ্ছে না। পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল স্কুল–কলেজ খোলার কথা থাকলেও দেশজুড়ে হিট অ্যালার্ট ও তাপপ্রবাহের কারণে তা এক সপ্তাহ পিছিয়ে যায়। তীব্র তাপপ্রবাহ আর হিট অ্যালার্টের মধ্যেই গত ২৮ এপ্রিল স্কুল-কলেজ চালু হয়। তবে প্রচণ্ড গরমে বিভিন্ন স্থানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পাওয়া যায়। গরমে অসুস্থ হয়ে শিক্ষকসহ কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন গত সোমবার হাইকোর্টের নজরে আনা হয়। এরপর শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে চলমান তাপপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়।  অথচ শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন গণমাধ্যমে আরও বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাংবিধানিক এখতিয়ার আছে, সেখানে এ বিষয়ে যদি কোনো সিদ্ধান্ত (আদালতে) হয়ে থাকে তবে অবশ্যই আমরা তার উপরের আদালতে, আপিল বিভাগে যাব। একটু আগে শুনেছি, আদালত একটা নির্দেশ দিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী হাইকোর্ট জনদুর্ভোগ বিবেচনায় কোনো আদেশ দিলেই কথায় কথায় আপিল বিভাগে চলে যান এবং সেখানে উন্নত দেশের বিভিন্ন উদাহরণ অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেন। অথচ একেক দেশের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয় সেই দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং পরিবেশ পরিস্থিতি অনুসারে। এটি কি শিক্ষামন্ত্রী আসলে বুঝতে চান না, নাকি বুঝেও না বোঝার ভান করেন? আমেরিকা, কানাডা, ইউকে, অস্ট্রেলিয়াসহ উন্নত দেশগুলোতে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পার্টটাইম কাজ করে নিজের গাড়ি, বাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া সম্পন্ন করার আগেই করে ফেলে। তাদের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে, সব শিক্ষার্থী ভাতা পান, অনলাইন ও অফলাইন দুই ব্যবস্থাতেই শিক্ষা নেয়ার সুযোগ আছে। এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই পড়া শেষ করার পাশাপাশি পরীক্ষাও নেয়া হয় ওপেন বুক পদ্ধতিতে। উন্নত দেশগুলোতে কারিগরি ও কর্মমুখী শিক্ষা দেওয়া হয় ফলে কোনো শিক্ষার্থী শিক্ষাজীবন শেষ করে বেকার থাকে না। উন্নত দেশগুলোর আবহাওয়াও আমাদের দেশের মতো নয় এবং উন্নত দেশগুলোর কোনো শিক্ষা কারিকুলাম ও সুবিধা বাংলাদেশে বিদ্যমান নেই। তাই কথায় কথায় আপিল করার অভ্যাস আর উন্নত দেশের উদাহরণ দেওয়া বন্ধ করে স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট এডুকেশন কীভাবে চালু করা যায়, কীভাবে স্কুল-কলেজে থাকতেই উন্নত দেশের বাচ্চাদের মতো বাংলাদেশের বাচ্চারাও আয় করতে পারে সেই রকম শিক্ষা কার্যক্রম চালু করুন।  এ ছাড়া শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলেছেন, ইংলিশ মিডিয়ামের ক্লাস চলবে আর বাংলা মিডিয়াম সব বন্ধ থাকবে। এটা বৈষম্যমূলক। ইংলিশ মিডিয়ামের সব কার্যক্রম ব্রিটিশ কারিকুলামে পরিচালিত হয় এবং পরীক্ষাও হয় ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে। ইংলিশ মিডিয়ামে অতি ধনী পরিবারের সন্তানেরা পড়াশোনা করে, যারা এসি গাড়িতে চলে এবং ক্লাসও করে এসি রুমে। সুতরাং সেই শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রচলিত শিক্ষা কার্যক্রমের তুলনা করার কোনো মানেই হয় না।  আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। একইসঙ্গে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও সবার আগে মাথায় রাখতে হবে। এটা মনে রাখতে হবে, একটা শিশু যদি কোনো কারণে মারা যায়, এর পুরো দায়ভার সরকার ও সমগ্র জাতির উপর এসে বর্তাবে। দাবদাহ ও হিট অ্যালার্ট একটা প্রাকৃতিক বিপর্যয়। এ ধরনের ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখাটাই উচিত। করোনার সময়েও দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল, অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালু ছিল। একইভাবে ঘূর্ণিঝড়ের সময়ও সবাই সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নেয়, স্কুল বন্ধ থাকে। এমন দুর্যোগ যদি দেশব্যাপী হয়, তাহলে এর আগামীর ভাবনাটা আমাদের ভাবতে হবে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন অনেক করেছি আমরা। কিন্তু এটা ভাবিনি যে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। গ্রামের বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কারণ, লোডশেডিং হচ্ছে। খাবার পানি, লোডশেডিংয়ের মতো বিষয়গুলো মাথায় রেখেই স্কুল-কলেজ খোলা রাখার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।  স্কুল-কলেজ বন্ধ রেখে সিলেবাস কমিয়ে মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাস নিয়ে পরবর্তীতে তা অন্যভাবে পুষিয়ে নিতে হবে। আগে শিশুদের বাঁচাতে হবে। তারপর লেখাপড়া, চলাফেরা, খাওয়া-দাওয়া সবকিছু। শিক্ষক মারা গেলেন, শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে গেল স্কুল থেকে আসার পথে এই অবস্থায় স্কুল-কলেজ কি করে খোলা থাকে? এটা কোনো অবস্থাতেই যুক্তিসঙ্গত না। এই গরমে স্কুলে আসলে লেখাপড়া হয় না। শিক্ষকও পড়াতে পারেন না, শিক্ষার্থীরাও মনোযোগ দিতে পারে না। বরং তাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়। শিশুদের বিষয় এটা। বড়দের ব্যাপার না যে কোনোরকমে সইয়ে নেবে।  শিক্ষামন্ত্রী এর আগেও চলতি বছরের রমজান মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের ধর্মীয় কার্যক্রম পালনে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছিলেন। আবারও প্রচণ্ড দাবদাহ ও হিট অ্যালার্টের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের অবর্ণনীয় কষ্ট ও ভোগান্তি প্রদান করছেন। শিক্ষামন্ত্রী নিজে এসি অফিসে কাজ করেন, এসি বাসায় থাকেন, এসি গাড়িতে চলাচল করেন তাই আপনার কাছে হয়তো দাবদাহ কোনো সমস্যা বলে মনে হয় না।  একবার এসি বন্ধ রেখে সাধারণ মানুষের মতো বাস, রিকশায় চলাচল করে দেখুন তাহলে বুঝতে পারবেন দাবদাহ কাকে বলে। আপনার জায়গায় আমি শিক্ষামন্ত্রী হলে ৬ মাসের মধ্যে পুরো বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিণত করার পাশাপাশি উন্নত দেশগুলোর মতো শিক্ষার্থীদের আয়ের ব্যবস্থাও চালু করতাম। যা আপনার মতো সনাতন চিন্তাধারার শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষে বাস্তবায়ন কোনো দিনই সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না। শিক্ষামন্ত্রী বাংলাদেশের শিক্ষা কার্যক্রম হিটলারের স্টাইলে চালানোর চেষ্টা করে শিক্ষার্থীদের মনে পড়ালেখা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভীতি তৈরি করছেন।  আপনার কার্যক্রমে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনার বিরুদ্ধে প্রচুর লেখা হচ্ছে। অনেকে লিখেছেন স্বাধীন বাংলাদেশে আপনার মতো অযোগ্য শিক্ষামন্ত্রী আর কেউ ছিল না। আপনার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিতর্কিত হচ্ছে। তাই আপনি ১ নাম্বার নোটিশ গ্রহীতা উন্নত দেশগুলোর মন্ত্রীদের মতো জনমনে আপনার বিষয়ে যে ক্ষোভ আছে তা নিরসনে তথা জনদুর্ভোগ অনুধাবন করতে আপনি ব্যর্থ সেই দায়ভার কাঁধে নিয়ে অনতিবিলম্বে শিক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাস কমিয়ে মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
মিল্টন সমাদ্দারের ৭ দিনের রিমান্ড চায় ডিবি
জাল মৃত্যু সনদ তৈরি, টর্চার সেলে মানুষজনকে নির্যাতন ও মানবপাচারের অভিযোগে চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। সেই মামলায় তাকে আদালতে পাঠিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছে ডিবি পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২ মে) তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় তাকে রাখা হয় আদালতের হাজতখানায়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের এসআই কামাল হোসেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। পরে সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ। তার বাড়ি বরিশালের উজিরপুরে। বাবাকে পেটানোর কারণে এলাকাবাসী তাকে এলাকাছাড়া করে। এরপর ঢাকায় চলে আসেন তিনি। ডিবিপ্রধান বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তার স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে তা জঘন্য অপরাধ। প্রমাণ মিললে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। একাধিক মামলা হবে। মিল্টনের বিরুদ্ধে মানবপাচার, শিশুদের ওপর হামলা, আত্মীয়-স্বজন গেলে তাদের মারপিট এবং তার টর্চার সেল, সব কিছুই মামলার মধ্যে আসবে। তিনি বলেন, মিল্টন ঢাকায় এসে শাহবাগে ফার্মেসিতে কাজ শুরু করেন। ওষুধ চুরি করে বিক্রির কারণে মিল্টনকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর একজন নার্সকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ স্থাপনের জন্য স্ত্রীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেন।  
মিল্টন সমাদ্দারের ৭ দিনের রিমান্ড চায় ডিবি
জামিন পেলেন ড. ইউনূস
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় জামিন পেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বাকি ১৩ আসামি। বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন। এদিন অর্থ আত্মসাতের আলোচিত এ মামলার অভিযোগ গঠনে শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। এর আগে সকালে ড. ইউনূস পূর্বশর্তে জামিন আবেদন করেন। এরপর এ মামলায় হাজিরা দিতে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে আদালতে পৌঁছান তিনি। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে  ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এরপর চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নতুন একজন আসামির নাম যুক্ত করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার। আসামিদের বিরুদ্ধে ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ২ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ চার্জশিট গ্রহণ করে মামলার বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলির আদেশ দেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। সদস্যদের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের ৯ মে অনুষ্ঠিত ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় হিসাব খোলা হয়। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট চুক্তি হয় ওই বছরের ২৭ এপ্রিল। গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ড সভার হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত ৯ মে হলেও হিসাব খোলা হয় একদিন আগে ৮ মে। সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টেও ৮ মে ব্যাংক হিসাব দেখানো আছে, যা বাস্তবে অসম্ভব। এরকম ভুয়া সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত অনুযায়ী ও ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০২২ সালের ১০ মে গ্রামীণ টেলিকমের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মিরপুর শাখা থেকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় ৪৩৭ কোটি ১ লাখ ১২ হাজার ৬২১ টাকা স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তী সময়ে ২২ জুন অনুষ্ঠিত গ্রামীণ টেলিকমের ১০৯তম বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে অতিরিক্ত ১ কোটি ৬৩ লাখ ৯১ হাজার ৩৮৯ টাকা প্রদানের বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়। অন্যদিকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাব থেকে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন নামীয় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিসের হিসাব থেকে তিন দফায় মোট ২৬ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু কর্মচারীদের লভ্যাংশ বিতরণের আগেই তাদের প্রাপ্য অর্থ তাদের না জানিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ২০২২ সালের মে ও জুন মাসের বিভিন্ন সময়ে সিবিএ নেতা মো. কামরুজ্জামান, মাইনুল ইসলাম ও ফিরোজ মাহমুদ হাসানের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখার হিসাবে ৩ কোটি টাকা করে মোট ৯ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়।  একইভাবে অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলীর কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলনের ধানমন্ডি শাখার হিসাবে ৪ কোটি টাকা ও দ্য সিটি ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাবে ৫ কোটি টাকা এবং অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ ও অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলীর স্ট্যান্ডার্ড টাচার্ড ব্যাংকের গুলশান নর্থ শাখায় যৌথ হিসাবে ৬ কোটি স্থানান্তর করা হয়, যা তাদের প্রাপ্য ছিল না। দুদকের রেকর্ডপত্র অনুযায়ী, অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে প্রকৃতপক্ষে হস্তান্তরিত হয়েছে মাত্র ১ কোটি টাকা। বাকি ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বোর্ড সদস্যদের সহায়তায় গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা এবং অ্যাডভোকেটসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অসৎ উদ্দেশ্যে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত লঙ্ঘন করে জালিয়াতির আশ্রয়ে গ্রামীণ টেলিকম থেকে ওই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। যা দণ্ডবিধি ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।  এদিকে শ্রমিক-কর্মচারীদের অর্থ আত্মসাতের মামলায় আসামিরা হলেন, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলাম।  
জামিন পেলেন ড. ইউনূস

নামাজের ওয়াক্ত শুরু

তারিখ : ০৫ মে, ২০২৪
অনলাইন সংস্করণ
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র
আ.লীগ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই: কাদের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সংঘাত নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রোববার (৫ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের দেশের মানবাধিকার নিয়ে তারা কথা বলে। আমরা কি এসব নিয়ে কথা বলতে পারবো না? আমাদের দেশে তারা যে দৃষ্টিতে মানবাধিকার দেখে সে দৃষ্টিতে নিজের দেশে দেখবে না কেন? তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব নেই এমন কথাতো আমরা বলিনি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই। তবে সত্য বললে তাদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তো কিছু করার নেই। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ দমনে যে আচরণ করা হয়েছিল, একই রকম নির্মম আচরণ এখন করা হচ্ছে। সেতুমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধের কারণে বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে তা বাংলাদেশেও আছে। বাংলাদেশ এ প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। দ্রব্যমূল্যের যে চাপ তা তো অস্বীকার করার উপায় নেই। কাদের বলেন, প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করলে নির্বাচনটি আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে— এ ভাবনা থেকে আওয়ামী লীগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ স্থগিত করেছে। এর মানে এই নয় যে, অন্যান্য দলগুলো নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ করতে পারবে না। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (৫ মে)
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য দিনকে দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য তাই মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন বৈদেশিক মুদ্রা। লেনদেনের সুবিধার্থে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে ৫ মে ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হার তুলে ধরা হলো- বৈদেশিক মুদ্রার নাম   বাংলাদেশি টাকা   ইউএস ডলার   ১১৭ টাকা ৭৬ পয়সা   ইউরোপীয় ইউরো   ১২৫ টাকা ৩০ পয়সা   ব্রিটেনের পাউন্ড   ১৪৬ টাকা ২০ পয়সা    ভারতীয় রুপি   ১ টাকা ২৯ পয়সা   মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত   ২৪ টাকা ৪০ পয়সা   সিঙ্গাপুরের ডলার   ৮৫ টাকা ৬০ পয়সা   সৌদি রিয়াল   ২৯ টাকা ২৭ পয়সা   কানাডিয়ান ডলার   ৮৪ টাকা ১০ পয়সা   অস্ট্রেলিয়ান ডলার   ৭৬ টাকা ৮০ পয়সা   কুয়েতি দিনার   ৩৭৯ টাকা ৩৬ পয়সা   ** যেকোনো সময় মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তন হতে পারে।
এসএসসি পাসেই ইসলামী ব্যাংকে নিয়োগ
স্কয়ার গ্রুপে নিয়োগ, আবেদন অনলাইনে
প্রাণ গ্রুপে চাকরি, লাগবে কম্পিউটারে দক্ষতা
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীনে বিশাল নিয়োগ, এইচএসসি পাসেও আবেদন 
মানবিক গুণাবলী অর্জন ছাড়া শিক্ষা মূল্যহীন: মেয়র আতিক
মালয়েশিয়ায় ১০ বাংলাদেশি আটক
কোথাও তাপপ্রবাহ, কোথাও বৃষ্টির পূর্বাভাস
৫ মে : ইতিহাসে আজকের এই দিনে
মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী ডিবি কার্যালয়ে
এপ্রিলে ১৯৩ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার
ভিক্ষাবৃত্তির জন্য শিশু নোমানের আঙুল পুড়িয়ে দেওয়া হয়
মিল্টনকে রিমান্ডে নিয়ে সব অপকর্ম বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
মোবাইল ডাটা দ্রুত শেষ না হওয়ার উপায়
আইফোনের বিক্রি কমেছে বিশ্বজুড়ে
হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার, নিয়ম না মানলেই অ্যাকাউন্ট ব্যান
গ্রামীণফোন গ্রাহকদের জন্য সুখবর
X
Fresh