• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জনগণ এখন মর্যাদা নিয়ে বিশ্ব দরবারে চলতে পারে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আব্দুল হাইয়ের মতো ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবদানের কারণে আমার পক্ষে দেশের সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক সফলতা আনা সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ এখন মর্যাদা নিয়ে বিশ্ব দরবারে চলতে পারে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সংসদ অধিবেশনে ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে উপস্থাপিত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক সংগ্রামের পথ বেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগ সরকারে এসেছে বলেই বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের জীবনমান উন্নত হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ এখন মর্যাদা নিয়ে বিশ্ব দরবারে চলতে পারেন।  তিনি বলেন, ঝিনাইদহ এমন একটা সন্ত্রাসী এলাকা ছিল যেখানে গ্রামের মানুষ টিকতে পারতো না। সেখানে নির্বাচন করা, রাজনীতি করা অত্যন্ত কঠিন ছিল। সেই অবস্থার মধ্যেও আব্দুল হাই অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে সংগঠন ধরে রাখেন এবং সংগঠনকে সুসংগঠিত করে। আব্দুল হাই অত্যন্ত সাহসী ছিলেন, ভালো সংগঠক ছিলেন। তাই সফলতার সঙ্গে তিনি সংগঠনকে দাঁড় করাতে পারেন।  শেখ হাসিনা বলেন, একসময় ওই এলাকায় গ্রামে মানুষ টিকতে পারত না, অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল। বিএনপি নামক যে দলটি সৃষ্টি হয়েছিল, আন্ডার গ্রাউন্ড পার্টির বেশির ভাগ লোক কিন্তু এই বিএনপিই করতো। সেখানে প্রতিনিয়ত আমাদের নেতাকর্মীর ওপর হামলা হতো। কত লাশ যে পড়েছে, তার হিসাব নেই। সেই অবস্থায় সংগঠনকে গড়ে তোলা এবং বারবার নির্বাচিত হয়ে এসে একটা বিরাট দক্ষতার পরিচয় তিনি দিয়েছিলেন। সংসদ নেতা বলেন, এটাই সবচেয়ে কষ্ট লাগছে, তিনি এই সংসদে বসতে পারলেন না। এবারও তাকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চালানো হয়েছিল। আবার একজন রিট করলো, তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা হলো। সেটা আবার আপিল করে স্থগিত করা হয়েছিল বলেই তিনি এই সংসদে বসতে পেরেছিলেন। যিনি বারবার নির্বাচিত হয়ে আসেন, তার ওপর এই ধরনের আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। তারপরে তিনি আসতে পেরেছিলেন। তবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিলেন। এ সময় নতুন প্রজন্মকে আব্দুল হাইয়ের মতো ত্যাগী নেতাদের অনুসরণের আহ্বান জানান তিনি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ওই আলোচনায় আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, তৌহিদুজ্জামান, নাসির শাহরিয়ার প্রমুখ। এদিন সংসদ সদস্য আব্দুল হাই ছাড়াও সাবেক সংসদ সদস্য শামছুল হক ভূঁইয়া, আবুল হাসেম খান, পিনু খান, নজির হোসেন ও মোখলেছুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা সৈনিক, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর একুশের পদকপ্রাপ্ত গোলাম আরিফ টিপু, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ড. প্রণব কুমার বড়ুয়ার মৃত্যুতে সংসদ অধিবেশনে শোক প্রকাশ করা হয়।
‘গাজা যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ’
স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজলো ঢাকা
‘সিনেমার পাশাপাশি নাটকেও ভালো গান হচ্ছে’
‘দেশেও করা হবে উন্মুক্ত কারাগার’
আরও কমলো স্বর্ণের দাম
২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেসব জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বিচারককে যা বললেন মিল্টন সমাদ্দার
দেশে ফিরে যা বললেন মোস্তাফিজ
কুমিল্লায় বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু
জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই আ.লীগ রাষ্ট্র পরিচালনা করছে: কাদের
বড় হারের সঙ্গে সিরিজও খোয়ালো বাংলাদেশ
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
‘গাজা যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ’
জনগণ এখন মর্যাদা নিয়ে বিশ্ব দরবারে চলতে পারে : প্রধানমন্ত্রী
‘দেশেও করা হবে উন্মুক্ত কারাগার’
উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশেও উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শিগগিরই শুরু করা হবে। বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এদিন প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়। নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার কমিউনিটি রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রামের (সিআরপি) আদলে এই উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের জন্য কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় ১৬০ একর জমি বন্দোবস্ত পাওয়া গেছে। সেখানে শিগগিরই উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করা হবে। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশে বর্তমান সরকারের বিগত তিন মেয়াদে ৮৩ হাজার ৫৭৭টি পদ বাড়ানো হয়েছে। স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসব পদে জনবল নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ও অভিযান পরিচালনার জন্য এবং বাংলাদেশ পুলিশকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরের জন্য দুটি অত্যাধুনিক হ্যালিকপ্টার সংযোজনের কার্যক্রম চলমান আছে। পুলিশ বাহিনীর আধুনিকায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশকে স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে বিভিন্ন ধরনের যুগোপযোগী আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। আগে ব্যবহৃত পয়েন্ট ৩০৩ রাইফেলের পরিবর্তে বর্তমানে ৭ পয়েন্ট ৬২ মিলিমিটার রাইফেল ব্যবহৃত হচ্ছে। সেই সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের ৭ পয়েন্ট ৬২ অথবা ৯ এমএম পিস্তল ছাড়াও ৯ এমএম এসএমজি, পয়েন্ট ৪৫ ইঞ্চি এসএমজি, ১২ বোর শটগান, ৩৮ মিলিমিটার টিয়ারগ্যাস, গ্যাস গান/লঞ্চারসহ প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্তে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতোমধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) অত্যাধুনিক অস্ত্র, যানবাহন, আকাশযান ও জলযান দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে।  অত্যাধুনিক অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- অ্যালকোটান (কাঁধে বহনযোগ্য রকেট লাঞ্চার) ৪০টি, এটিজিডব্লিউ (ট্যাংকবিধ্বংসী অস্ত্র) ১২টি, স্নাইপার রাইফেল ১৩২টি, এএএমজি (বিমানবিধ্বংসী মেশিনগান) ৩টি, এপিসি আমর্স ২৮টি। যানবাহনের মধ্যে রয়েছে এটিভি ২৫৯টি, রায়ট কন্ট্রোল ভেহিকেল (আরসিভি) ১০টি, আর্মর্ড পারসোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি) ৪০টি, মোটরসাইকেল ১ হাজার ৯৬৫টি, পিকআপ ৫৪৭টি, অ্যাম্বুলেন্স ৬৯টি, ট্রাক ২১৮টি, জিপ ৩২৮টি, বাস ২৫টি, মাইক্রোবাস ১২টি, ওয়াটার ট্রেইলার ৭৩টি। আকাশযানের মধ্যে হেলিকপ্টার তিনটি। জলযানের মধ্যে স্পিডবোট ৮৭টি, হাই স্পিড ইঞ্জিন বোট ১২টি, এয়ারবোট ৪টি, লজিস্টিক শিপ ১টি, পন্টুন ৫টি, মোটর লঞ্চ ২৫টি, পেট্রল বোট ৪টি, রেসকিউ বোট ১৫টি, ওয়াটার ক্যারিয়ার ভেসেল ২টি। এ ছাড়া জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (১৯ বিজিবি) এবং সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) জন্য ২টি স্পিডবোটের বডি (কাঠামো) কেনা হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সংসদ অধিবেশন শুরু
সংসদ অধিবেশন শুরু
৯ মে পর্যন্ত চলবে সংসদ অধিবেশন
৯ মে পর্যন্ত চলবে সংসদ অধিবেশন
এপ্রিলে ১৯৩ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার
এপ্রিলে ১৯৩ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার
‌‘অপতথ্য রোধে সরকার, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজ একসঙ্গে কাজ করতে পারে’
‌‘অপতথ্য রোধে সরকার, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজ একসঙ্গে কাজ করতে পারে’
‘সিনেমার পাশাপাশি নাটকেও ভালো গান হচ্ছে’
ঈদের ৩ সপ্তাহ পর প্রেক্ষাগৃহে নতুন ২ সিনেমা
গেল ঈদুল ফিতরে মুক্তির মিছিলে ছিল ১৬-১৭টি সিনেমা। সেখান থেকে মুক্তি পায় ১১টি। এরপর কেটে গেছে তিন সপ্তাহ। তবুও এর মধ্যে মুক্তি পায়নি নতুন কোনো দেশি সিনেমা। অবশেষে সেই অবস্থায় পরিবর্তন আসছে।  ঈদের চতুর্থ সপ্তাহে শুক্রবার (৩ মে) মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা। একটি বদরুল আনাম সৌদ পরিচালিত ‌‘শ্যামা কাব্য’। অন্যটি মোহাম্মদ ইকবাল পরিচালিত ‘ডেডবডি’। জানা গেছে, সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘শ্যামা কাব্য’ সিনেমাটি গত বছরের নভেম্বরে মুক্তির কথা ছিল। তবে হরতাল-অবরোধের কারণে সে তারিখ পেছানো হয়। পরবর্তীতে ঈদে মুক্তির তালিকায় নাম উঠলেও তা আবার পিছিয়ে যায়। যা শুক্রবার (৩ মে) থেকে ঢাকার সিনেপ্লেক্সসহ দেশের ১২টির মতো সিনেমা হলে দেখা যাবে।   সিনেমাটি পরিচালনার পাশাপাশি এর কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচনা করেছেন সৌদ। এ ছাড়া স্ত্রী সুবর্ণা মুস্তাফার সঙ্গে যৌথভাবে প্রযোজনাও করেছেন তিনি। সিনেমার কেন্দ্রীয় দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা। এর বাইরে অন্যান্য চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন ইন্তেখাব দিনার, নওরীন হাসান খান জেনি, শাহাদাৎ হোসেন, সাজু খাদেম, রিমি করিম, এ কে আজাদ সেতু প্রমুখ। অপরদিকে, গত ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ায় মোহাম্মদ ইকবাল পরিচালিত ‘ডেডবডি’ সিনেমা। যা শুক্রবার (৩ মে) থেকে দেশের ৪০টির মতো সিনেমা হলে দেখা যাবে। একইসঙ্গে দেখা যাবে রাজধানীর প্রায় সবকটি সিনেপ্লেক্সেও। ‘ডেডবডি’ সিনেমায় রোশানের বিপরীতে রয়েছেন ভারতীয় মডেল অন্বেষা রায়। এতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন একসময়ের জনপ্রিয় তারকা ওমর সানি। এ ছাড়া আরও রয়েছেন শ্যামল মাওলা, রাশেদ মামুন অপু, মিষ্টি জাহান প্রমুখ।
ঈদের ৩ সপ্তাহ পর প্রেক্ষাগৃহে নতুন ২ সিনেমা
পুলিশের ভয়ে ৬ রাজ্যে পালিয়ে শেষ রক্ষা হয়নি অভিনেতার
‘অনলাইন গেমিং অ্যাপে’ জুয়া কাণ্ডে একের পর এক বলিউড তারকাদের জড়ানোর অভিযোগ উঠছে। অনেকেই ‘ব্র্যান্ড প্রোমোটার’ হিসেবে কাজ করছে সেসব ‘অনলাইন বেটিং গেমিং অ্যাপে’র। এবার জুয়া কাণ্ডে গ্রেপ্তার বলিউড তারকা সাহিল খান। ভারতের ছত্তিশগড় থেকে অভিনেতাকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম। এবার প্রকাশ্যে অভিনেতার গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে চাঞ্চল্যকর এক রিপোর্ট। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম অনুসারে, গ্রেপ্তারি এড়াতে ৪ দিনে ৬ রাজ্যে পালিয়ে বেড়িয়েছেন সাহিল। প্রথমে সাহিল খান গোয়ায় পালিয়ে যান, তারপর সেখান থেকে তিনি কর্ণাটকে যান এবং সেখান থেকে পৌঁছান হুব্বাল্লি শহরে। অবশেষে তিনি ব্যক্তিগত গাড়িতে করে হায়দরাবাদ পৌঁছান। সেখানে থাকাকালীন পুলিশ সাহিল খানের লোকেশন ট্র্যাক করে ফেলে, যার ফলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে ছত্তিশগড় পালিয়ে যান। ছত্তিশগড়ের জগদলপুরের হোটেল আরাধ্যা ইন্টারন্যাশনালে থাকার সময় খবর পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। টানা ৭২ ঘণ্টা ধরে অভিনেতার খোঁজ চালাচ্ছিল মুম্বাই পুলিশ। সাহিল খানকে গ্রেপ্তার করার সময় তার থেকে দুটি মোবাইল ও কিছু নগদ অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়। মহাদেব বেটিং অ্যাপ মামলা মূলত অনলাইন জুয়ার একটি মামলা। ওই অ্যাপের মাধ্যমে তাস, কার্ড, ব্যাডমিন্টন, টেনিস, ফুটবল এবং ক্রিকেট ম্যাচ নির্ভর জুয়া খেলা হতো বলে অভিযোগ রয়েছে। দেশের একাধিক বড় বড় রিয়েল এস্টেট সংস্থাও এর সঙ্গে যুক্ত আছে বলেই দাবি তদন্তকারীদের। সবমিলিয়ে প্রায় ১৫০০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। বেআইনিভাবে মহাদেব অ্যাপের মাধ্যমে আইপিএল ম্যাচ সম্প্রচারের অভিযোগও রয়েছে। এই অ্যাপের বিজ্ঞাপনে কাজ করার জন্য সম্প্রতি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়াকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে মহারাষ্ট্র পুলিশের সাইবার শাখা। দীর্ঘদিন ধরেই তদন্ত চলছে মহাদেব বেটিং অ্যাপ কেলেঙ্কারির। অ্যাপের দুই মাথা সৌরভ চন্দ্রকার ও রবি উপ্পল, দুজনেই এই কর্মকাণ্ড দুবাই থেকে চালাতেন বলে জানা গিয়েছিল। নতুন আইডি তৈরি করে এই অনলাইন বেটিং অ্যাপে যারা রেজিস্ট্রার করতেন, তাদের টাকা এক বেনামি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ত। মূল কাজটা সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকেই চলত বলেই দাবি তদন্তকারীদের। ইতোমধ্যেই এই ঘটনায় রণবীর কাপুর, সানি লিওনি, টাইগার শ্রফ, নেহা কাক্কারসহ একাধিক তারকার নাম জড়িয়েছে।
পুলিশের ভয়ে ৬ রাজ্যে পালিয়ে শেষ রক্ষা হয়নি অভিনেতার
যে নায়ককে ডুবে যাওয়া থেকে উদ্ধার করেন কারিশমা
সময়টা  ১৯৯১ সাল, ‘প্রেম কয়েদি’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক ঘটে অভিনেত্রী কারিশমা কাপুরের। এরপর দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেক সফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। বয়সে ছোট হরিশ কুমারকে অভিষেক চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে পেয়েছিলেন কারিশমা কাপুর। অভিষেক সিনেমার শুটিং সেটে ডুবে যাচ্ছিলেন হরিশ। আর সেই সময়ে তাকে উদ্ধার করেছিলেন কারিশমা কাপুর। ইনস্ট্যান্ট বলিউডকে দেওয়া সাক্ষাৎকার এ তথ্য জানিয়েছেন আড়ালে চলে যাওয়া নায়ক হরিশ। হরিশ কুমার বলেন, সিনেমার (প্রেম কয়েদি) দৃশ্যে পুলে ডুবতে যাওয়া কারিশমাকে আমি লাফিয়ে পড়ে বাঁচাই। কিন্তু বাস্তবতা হলো তার বিপরীত; কারিশমাই আমাকে বাঁচায়। কারণ, আমি সাঁতার জানতাম না। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে হরিশ কুমার বলেন, আমি ডুবতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু সেটের সবাই ভাবছিলেন আমি প্রাঙ্ক করছি। সুতরাং কারিশমা ছাড়া সাহায্য করার জন্য কেউ এগিয়ে আসেননি। কারিশমা এসে আমাকে ধরেছিল, আমিও কারিশমার জামা ধরেছিলাম। ‘প্রেম কয়েদি’ সিনেমায় নীলিমা চরিত্রে অভিনয় করেন কারিশমা। চন্দ্র মোহন চরিত্রে অভিনয় করেন হরিশ কুমার। তখন তার বয়স মাত্র ১৫ বছর। আর কারিশমার বয়স ১৬ বছর। ‘প্রেম কয়েদি’ সিনেমা পরিচালনা করেন কে. মুরালি মোহন রাও। কারিশমা কাপুর অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। প্রায় ৬ বছর পর ‘মার্ডার মোবারক’ সিনেমায় অভিনয় করেন। চলতি বছরের ১৫ মার্চ মুক্তি পায় সিনেমাটি। অন্যদিকে, হরিশ কুমারও অভিনয় থেকে দূরে রয়েছেন। ২০১৮ সালে সর্বশেষ মুক্তি পায় তার অভিনীত সিনেমা।
যে নায়ককে ডুবে যাওয়া থেকে উদ্ধার করেন কারিশমা
সত্যজিৎ রায়ের আলোচিত ৫ চলচ্চিত্র
প্রথমবারের মতো বাংলা সিনেমা যার হাত ধরে পৌঁছেছিল বিশ্ব দরবারে, সেই কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের আজ জন্মদিন। জীবদ্দশায় মোট ৩২টি কাহিনিচিত্র ও চারটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করা এই গুণী নির্মাতা ডাক পেয়েছেন কান, বার্লিনসহ বিশ্ব চলচ্চিত্রের সব বড় বড় উৎসবে। ভূষিত হয়েছেন জাতীয়-আন্তর্জাতিকসহ অসংখ্য পুরস্কারে।  আজ আমরা জানবো খ্যাতনামা এই নির্মাতার বহুল আলোচিত পাঁচটি চলচ্চিত্র সম্পর্কে। পথের পাঁচালী সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র নিয়ে কথা বললে সবার আগে যে নামটি সামনে আসে, তা হলো ‘পথের পাঁচালী’। ১৯৫৫ সালে মুক্তি পাওয়া এই চলচ্চিত্র দিয়েই তিনি নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। একই সঙ্গে সক্ষম হন সমালোচকদের নজর কাড়তেও। বাংলা সাহিত্যের খ্যাতনামা কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পথের পাঁচালী’ উপন্যাস অবলম্বনে সত্যজিৎ রায় এই সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন। এতে অজপাড়াগাঁয়ে কঠোর দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকা একটি পরিবার ও তাদের সুখ-দুঃখের কাহিনি তিনি দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। সিনেমাটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছে অপু নামের একটি শিশু। যাকে নিয়ে সত্যজিৎ রায় পরবর্তীতে নির্মাণ করেন ‘অপরাজিত’ এবং ‘অপুর সংসার’ নামে আরও দু’টি সিনেমা। মুক্তির পরই ‘পথের পাঁচালী’ সিনেমাটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেশ কয়েকটি পুরস্কার অর্জন করে। এরপর ১৯৫৬ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভূষিত হয় ‘শ্রেষ্ঠ মানবিক দলিল’ পুরস্কারে। জলসাঘর কথা সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়ের কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত সিনেমা ‘জলসাঘর’। এই সিনেমায় সত্যজিৎ রায় গত শতাব্দীর বিশের দশকে যখন ব্রিটিশ সরকার ভারতে জমিদারি প্রথার বিলুপ্তি ঘোষণা করে, তখনকার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছেন। ১৯৫৮ সালে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্রটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে বিশ্বম্ভর বাবু নামের একজন সদ্য সাবেক জমিদারকে দেখানো হয়েছে। যিনি কোনোভাবেই তার জমিদারির পতন মেনে নিতে পারেন না। একইসাথে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তার করুণ পরিণতিও। এই সিনেমার মাধ্যমে তৃতীয় বারের মতো ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন সত্যজিৎ রায়। মহানগর কথা সাহিত্যিক নরেন্দ্রনাথ মিত্রের ছোটগল্প ‘অবতরণিকা’ অবলম্বনে ‘মহানগর’ সিনেমাটি নির্মাণ করেন সত্যজিৎ রায়। ১৯৬৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমার জন্য ১৯৬৪ সালে অনুষ্ঠিত চতুর্দশ বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা পরিচালকের খেতাব পান এই বাঙালি নির্মাতা। জিতে নেন ‘সিলভার বিয়ার ফর বেস্ট ডিরেক্ট’ পুরস্কার।  ‘মহানগর’ সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন খ্যাতনামা অভিনয়শিল্পী মাধবী মুখোপাধ্যায়। যাকে প্রথমে দেখা যায় রক্ষণশীল মধ্যবিত্ত পরিবারের একজন গৃহবধূ হিসেবে। কিন্তু তৎকালীন কলকাতায় সংসার চালানোর জন্য স্বামীর আয় যথেষ্ট না হওয়ায় পরে তিনি অনেকটা জোর করেই বাড়ির বাইরে বের হন এবং একটি চাকরি নেন। এক পর্যায়ে স্বামী চাকরি হারালে পুরো সংসারের হাল ধরেন। এমন অবস্থার মধ্যেও নিজের অফিসে ঘটে যাওয়া এক অন্যায়ের প্রতিবাদে উপার্জনের একমাত্র উৎস সেই চাকরিতেও ইস্তফা দেন তিনি। এই চলচ্চিত্রের জন্য সত্যজিৎ রায় যেমন কুড়িয়েছেন সমালোচকদের প্রশংসা, তেমনি ‘অসাধারণ’ অভিনয়ের মাধ্যমে তাদের নজর কেড়েছেন অভিনয়শিল্পী মাধবী মুখোপাধ্যায়। অশনি সংকেত বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অশনি সংকেত’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত সিনেমা ‘অশনি সংকেত’। যা ১৯৭৩ সালে মুক্তি পায়। সিনেমাটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪৩ সালে ব্রিটিশ ভারতে, বিশেষতঃ বাংলা অঞ্চলে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ভিক্ষ, যা তেতাল্লিশের মন্বন্তর নামে পরিচিত- তার প্রেক্ষাপটে রচিত হয়েছে। সত্যজিৎ রায়ের এই সিনেমাটি সত্তরের দশকে বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার জিতে নেয়। ‘সিলভার বিয়ার’ পাওয়ার নয় বছর পর তার হাতে ওঠে কানের ‘গ্লোল্ডেন বিয়ার’। পাশাপাশি ভারতের রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদকসহ আরও বেশ কয়েকটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করে। হীরক রাজার দেশে ১৯৮০ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ সিরিজের দ্বিতীয় সিনেমা ‘হীরক রাজার দেশে’। এতে প্রজাদের ওপর নির্যাতন চালানো একজন স্বৈরশাসকের শেষ পরিণতি কেমন হয়, সেটিই তুলে ধরা হয়।  শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর জনপ্রিয় দুই চরিত্র গুপী ও বাঘার উপস্থিতি এবং তাদের ছড়ার সুরে বলা সংলাপের কারণে শিশু-কিশোরদের কাছেও ‘হীরক রাজার দেশে’ সিনেমাটি বিশেষভাবে জনপ্রিয়। এতে গুপী-বাঘা চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করে তপন চট্টোপাধ্যায় এবং রবি ঘোষ দর্শক-সমালোচক উভয়ের কাছ থেকেই প্রশংসা কুড়ান। তবে সমালোচকদের অনেকেই মনে করেন, শক্তিশালী অভিনয়ের দিক থেকে ছবিতে তাদেরকেও ছাপিয়ে গেছেন ‘হীরক রাজা’র চরিত্রে অভিনয় করা খ্যাতনামা শিল্পী উৎপল দত্ত। এই সিনেমার মাধ্যমে সত্যজিৎ রায় আরও একবার ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
সত্যজিৎ রায়ের আলোচিত ৫ চলচ্চিত্র
কুমিল্লায় বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু
মতলব উত্তর থানার ওসি-এসআই প্রত্যাহার
হবিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫ জনের পরিচয় মিলেছে
দুদিন সিলেটের যেসব এলাকায় ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না
বিয়েবাড়িতে কাজীর সহকারীকে থাপ্পড় বিএনপি নেতার, অতঃপর...  
মাদারীপুরের শিবচরে এক বিয়েবাড়িতে নিকাহ রেজিস্ট্রারের (কাজী) সহকারীকে চড়-থাপ্পড় মারার ঘটনা ঘটেছে। ফেসবুকে ভাইরাল এক ভিডিওতে দেখা যায়, নিকাহ রেজিস্ট্রারের কনের স্বাক্ষর নেওয়াকে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে বিএনপি নেতা সাবেক পৌর কাউন্সিলর শাহাদাত হোসেন খান কাজীর সহকারী মো. ইসলাম শরীফকে থাপ্পড় মারছেন। বৃহস্প‌তিবার (২ মে) থানায় অভিযোগ করেছেন লাঞ্ছিত ওই কাজীর অফিস সহকারী। তবে সাবেক পৌর কাউন্সিলর এ ঘটনার জন্য কাজীর অফিস সহকারীর দুর্ব্যবহারকে দায়ী করেন। শিচবচর থানায় লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিবচর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের শিবরায়ের কান্দি গ্রামের আব্দুস সালাম খানের ছেলে পারভেজ খানের সঙ্গে একই পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের এক মেয়ের বিয়ের দিন ছিল বুধবার। এদিন অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেলে নিকাহ নিবন্ধন তথা কাবিনের কাজ শুরু করেন কাজীর অফিস সহকারী ইসলাম শরীফ। এ সময় ইসলাম শরীফ কনের স্বাক্ষর আনার কথা বললে ওই বিএনপি নেতা সাবেক পৌর কাউন্সিলর শাহাদাত হোসেন খান ‘তা কনের বাবা দিলেই হবে’ বলে মন্তব্য করেন। কিন্তু সহকারী রেজিস্ট্রার কনের স্বাক্ষর ছাড়া নিকাহ নিবন্ধন সম্পন্ন হবে না মর্মে জানালে বিএনপি নেতা সাবেক পৌর কাউন্সিলর শাহাদাত হোসেন খান উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হলে সাবেক পৌর কাউন্সিলর কাজীর সহকারী ইসলাম শরীফকে চড়–থাপ্পড় মারেন। এ ঘটনায় কাজীর সহকারী মো. ইসলাম শরীফ বাদী হয়ে বুধবার রাতেই বিএনপি নেতা সাবেক পৌর কাউন্সিলর শাহাদাত হোসেন খানকে আসামি করে শিবচর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে মো. ইসলাম শরীফ বলেন, শাহাদাত কমিশনার কনের পরিবর্তে তার বাবার স্বাক্ষরে কাবিন করাতে চান। আমি না করলে তিনি চড়-থাপ্পড় মারেন। সাবেক পৌর কাউন্সিলর শাহাদাত হোসেন খান বলেন, আমি ওকে বলি, তুমি সবার স্বাক্ষর নিয়ে কাজটা এগিয়ে রাখো। ও কনের স্বাক্ষর নিজে নিতে চায়। এটা আমাদের ধর্মীয়ভাবে জায়েজ না। আর ব্যবহারও খুব খারাপ করেছে। তাই ভুল-বোঝাবুঝি হয়। পরে সমাধানও হয়। শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত গোলদার বলেন, বিষয়টা আমরা তদন্ত করছি। দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল
আরব আমিরাতে নজিরবিহীন বৃষ্টি, বহু ফ্লাইট বাতিল
নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশি বাঁচলেও অসুস্থ থাকেন বেশি: গবেষণা
ভেঙে গেল ভারতের ১২৭ বছরের পুরোনো গোদরেজ গ্রুপ
ভেঙে গেল ভারতের ১২৭ বছরের পুরোনো গোদরেজ গ্রুপ
ভারী বর্ষণে মহাসড়কে ধস, চীনে ২৪ প্রাণহানি
ভারী বর্ষণে মহাসড়কে ধস, চীনে ২৪ প্রাণহানি
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের
যুক্তরাষ্ট্রে দুই বাংলাদেশি হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার ব্যক্তি ৫ দিনের রিমান্ডে
যুক্তরাষ্ট্রে দুই বাংলাদেশি হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার ব্যক্তি ৫ দিনের রিমান্ডে
টস জিতে ব্যাটিংয়ে হায়দরাবাদ
বড় হারের সঙ্গে সিরিজও খোয়ালো বাংলাদেশ
দেশে ফিরে যা বললেন মোস্তাফিজ
চলতি আইপিএলে টাইগার পেসার মোস্তাফিজুর রহমানকে আর দেখার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দেওয়া অনাপত্তিপত্রের (এনওসি) মেয়াদ শেষ হওয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে ছেড়ে দেশে ফিরেছেন কাটার মাস্টার। বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যায় চেন্নাই থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছান দ্য ফিজ। এ সময়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পা রাখার পৌঁছানোর পর তার কাছে আইপিএলের অভিজ্ঞতার বিষয়ে জানতে চান সেখানে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা। জবাবে টাইগার এই পেসার দাবি, ‘সব ভালো’। এদিকে যেই উদ্দেশ্যে কাটার মাস্টারকে আইপিএলের মাঝপথে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে, সেই জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচের স্কোয়াডে তাকে রাখাই হয়নি। মূলত টানা খেলার ধকল কাটিয়ে উঠতেই এই সময়ে তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। তবে শেষ দুই ম্যাচে তাকে পাওয়ার আশা করছে বিসিবি। অন্যদিকে চলতি আইপিএলে বল হাতে বেশ দাপট দেখিয়েছেন কাটার মাস্টার। চেন্নাইয়ের হয়ে অভিষেক আসরে এখন পর্যন্ত যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকার তিনি। এবারের আইপিএলে নিজের বিদায়ী ম্যাচে উইকেট না পেলেও আধিপত্য ঠিকই দেখিয়েছেন তিনি। এদিন এক মেইডেনসহ চার ওভারে মোটে ২২ রান খরচ করে দ্য ফিজ। এবার আসরে ধোনির দলের হয়ে ৯ ম্যাচে ১৪ উইকেট শিকার করেন তিনি। ফিজের ফেরার দিনে টাইগার দলপতি নাজমুল হোসেন শান্তর দাবি, মোস্তাফিজের আইপিএল অভিজ্ঞতা দেশের হয়ে কাজে লাগবে।  বৃহস্পতিবার (২ মে) চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলনে শান্তর ভাষ্য, ‘অবশ্যই, অনেক কাজে দেবে। যে পরিবেশে ও খেলল, অনেক বড় টুর্নামেন্ট। ওখানে ভালো করলে স্বাভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। ওখানে আরও বড় বড় ব্যাটারদের বল করেছে, সবচেয়ে ভালো কথা ভালো উইকেটে ভালো বোলিং করেছে। ওই আত্মবিশ্বাস নিয়ে আসবে। এখানেও একই পারফরম্যান্স করতে পারলে দল অনেক এগিয়ে যাবে। মোস্তাফিজ আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’
বিশ্বকাপ দল নিয়ে যা বললেন শান্ত
বিশ্বকাপ দল নিয়ে যা বললেন শান্ত
সিরিজ রক্ষার ম্যাচেও বাংলাদেশের মামুলি পুঁজি
সিরিজ রক্ষার ম্যাচেও বাংলাদেশের মামুলি পুঁজি
কোকাকোলার বোতল সরিয়ে আলোচনায় রাজা
কোকাকোলার বোতল সরিয়ে আলোচনায় রাজা
সিরিজ রক্ষার ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
সিরিজ রক্ষার ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
চমক রেখে ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা পাকিস্তানের
চমক রেখে ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা পাকিস্তানের
খালি পেটে মিছরি ভেজানো পানির উপকারিতা
গরমে পুড়ছে পুরো দেশ। কোনো কিছুতেই যেন কমছে না গরমের প্রভাব। এই সময় নানা অসুখ হয় শরীরে। সব থেকে ভয়ের হলো হিটস্ট্রোক। কখন যে হবে কেউ বলতে পারে না। তবে এই প্রবল গরমে আপনাকে সুস্থ রাখতে পারে মিছরির পানি।  আগেকার দিনের মানুষরা এই মিছরির পানি খেয়েই সুস্থ থেকেছেন। বাইরে রোদ থেকে ফিরলে সঙ্গে সঙ্গে মিছরি ভেজানো পানি খেতেন। মিছরি আখ এবং খেজুরের রস থেকে তৈরি হয়। তাই এটি খুব স্বাস্থ্যকর। সেই সঙ্গে মিছরি ভেজানো পানি খেতে খুব মজা। গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে এর আর দ্বিতীয় কোনও জুড়ি নেই। রাতে কয়েক টুকরো মিছরি এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে বা খালি পেটে খেয়ে নিন। দেখবেন সারাদিন এত গরমেও নিজেকে ক্লান্ত মনে হবে না। যাদের শরীরে হিমোগ্লোবিন কম তাদের জন্য এই মিছরি ভেজানো পানি খুব উপাকারী। নিয়মিত এই পানি খেলে সহজে আপনি ক্লান্ত হবেন না। ইমিউনিটি সিস্টেম ভালো হবে। গরমে নাক থেকে রক্ত পড়লে খেতে হবে এক গ্লাস মিছরি ভেজানো পানি। নিয়মিত খেলে আর রক্ত পড়বে না। হজম শক্তি বাড়ায় মিছরির পানি। দুর্বল লাগলেই খেয়ে নিন এই পানি। সঙ্গে সঙ্গে এনার্জি ফিরে পাবেন।
সজনে পাতার ভর্তা বানাবেন যেভাবে
সজনে পাতার ভর্তা বানাবেন যেভাবে
তীব্র রোদে মোটরসাইকেল চালাতে বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা
তীব্র রোদে মোটরসাইকেল চালাতে বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা
প্রাণ জুড়াতে পান্তা, সঙ্গে থাকুক ২ পদ
প্রাণ জুড়াতে পান্তা, সঙ্গে থাকুক ২ পদ
অনলাইন জরিপ
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বিচারককে যা বললেন মিল্টন সমাদ্দার
কোর্টের সব এজলাস কক্ষে এসি স্থাপনে আইনি নোটিশ
কোর্টের সব এজলাস কক্ষে এসি স্থাপনে আইনি নোটিশ
শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
মিল্টন সমাদ্দারের ৭ দিনের রিমান্ড চায় ডিবি
মিল্টন সমাদ্দারের ৭ দিনের রিমান্ড চায় ডিবি
জামিন পেলেন ড. ইউনূস
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় জামিন পেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বাকি ১৩ আসামি। বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন। এদিন অর্থ আত্মসাতের আলোচিত এ মামলার অভিযোগ গঠনে শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। এর আগে সকালে ড. ইউনূস পূর্বশর্তে জামিন আবেদন করেন। এরপর এ মামলায় হাজিরা দিতে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে আদালতে পৌঁছান তিনি। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে  ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এরপর চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নতুন একজন আসামির নাম যুক্ত করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার। আসামিদের বিরুদ্ধে ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ২ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ চার্জশিট গ্রহণ করে মামলার বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলির আদেশ দেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। সদস্যদের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের ৯ মে অনুষ্ঠিত ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় হিসাব খোলা হয়। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট চুক্তি হয় ওই বছরের ২৭ এপ্রিল। গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ড সভার হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত ৯ মে হলেও হিসাব খোলা হয় একদিন আগে ৮ মে। সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টেও ৮ মে ব্যাংক হিসাব দেখানো আছে, যা বাস্তবে অসম্ভব। এরকম ভুয়া সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত অনুযায়ী ও ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০২২ সালের ১০ মে গ্রামীণ টেলিকমের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মিরপুর শাখা থেকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় ৪৩৭ কোটি ১ লাখ ১২ হাজার ৬২১ টাকা স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তী সময়ে ২২ জুন অনুষ্ঠিত গ্রামীণ টেলিকমের ১০৯তম বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে অতিরিক্ত ১ কোটি ৬৩ লাখ ৯১ হাজার ৩৮৯ টাকা প্রদানের বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়। অন্যদিকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাব থেকে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন নামীয় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিসের হিসাব থেকে তিন দফায় মোট ২৬ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু কর্মচারীদের লভ্যাংশ বিতরণের আগেই তাদের প্রাপ্য অর্থ তাদের না জানিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ২০২২ সালের মে ও জুন মাসের বিভিন্ন সময়ে সিবিএ নেতা মো. কামরুজ্জামান, মাইনুল ইসলাম ও ফিরোজ মাহমুদ হাসানের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখার হিসাবে ৩ কোটি টাকা করে মোট ৯ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়।  একইভাবে অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলীর কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলনের ধানমন্ডি শাখার হিসাবে ৪ কোটি টাকা ও দ্য সিটি ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাবে ৫ কোটি টাকা এবং অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ ও অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলীর স্ট্যান্ডার্ড টাচার্ড ব্যাংকের গুলশান নর্থ শাখায় যৌথ হিসাবে ৬ কোটি স্থানান্তর করা হয়, যা তাদের প্রাপ্য ছিল না। দুদকের রেকর্ডপত্র অনুযায়ী, অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে প্রকৃতপক্ষে হস্তান্তরিত হয়েছে মাত্র ১ কোটি টাকা। বাকি ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বোর্ড সদস্যদের সহায়তায় গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা এবং অ্যাডভোকেটসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অসৎ উদ্দেশ্যে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত লঙ্ঘন করে জালিয়াতির আশ্রয়ে গ্রামীণ টেলিকম থেকে ওই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। যা দণ্ডবিধি ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।  এদিকে শ্রমিক-কর্মচারীদের অর্থ আত্মসাতের মামলায় আসামিরা হলেন, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলাম।  
জামিন পেলেন ড. ইউনূস
কৃষিজমি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা মানা হবে না: হাইকোর্ট
কৃষিজমি থেকে মাটি কেটে চাষাবাদের অনুপযোগী করা ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ ধারার অপরাধের মধ্যে পড়ে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, এই মাটি ক্ষয় চক্রের হাত থেকে অসহায় কৃষকদের বাঁচাতে হবে। কৃষিজমি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি কেটে চাষাবাদের অনুপযোগী করার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের লিখিত আদেশে এসব মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (২ মে) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ লিখিত আদেশ দেন। আদেশে বলা হয়েছে, মাটির উপরের স্তরেই বেশিরভাগ জৈব পদার্থ, পুষ্টি এবং জীবন্ত অণুজীব ঘনীভূত হয়। এটি মাটির সবচেয়ে উর্বর স্তর, যেখানে গাছপালা বেড়ে ওঠে এবং যেখানে পৃথিবীর বেশিরভাগ জৈবিক মাটির কার্যকলাপ ঘটে। উপরের মাটি কাটা হলে মাটির জীবন দুর্বল হয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে যে সাতকানিয়ার কিছু দুর্বৃত্ত অবৈধভাবে বা জোরপূর্বক প্রায় ৪০ থেকে ৫০ ফুট গর্ত করে মাটি কাটছে এবং খনন করছে যার জন্য কৃষকরা সেখানে চাষাবাদ করতে পারছেন না। কৃষিজমি খননের এই কার্যকলাপ সেই এলাকার পরিবেশের পাশাপাশি জীব বৈচিত্র্যের ভারসাম্যেরও ক্ষতি করেছে। এ অবস্থায় এতটুকু বলাই যথেষ্ট যে, বিবাদীদের উচিত এই মাটি ক্ষয় চক্রের হাত থেকে অসহায় কৃষকদের বাঁচানো। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবকিছু জেনেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় না। এখানে উল্লেখ্য যে জমিগুলো গর্ত করা হয়েছে সেই জমিগুলো ঢাকা-কক্সবাজার রেললাইনের খুব কাছে, যা উপরের মাটি কাটার কারণে হুমকির মুখে পড়েছে। এই ধরনের আচরণ ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ ধারার অধীনে অপরাধের মধ্যে পড়ে। এসব কারণে আমরা বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছি। তদন্ত কমিটিকে যে বিষয়গুলো তদন্ত করতে হবে সেগুলো হলো- ১. কীভাবে ওই অঞ্চলের কৃষিজমি সুরক্ষিত হবে তার সুপারিশ করতে হবে এবং ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন করতে হবে। ২. চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় কৃষি জমির উপরের মাটি কাটার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে হবে। ৩. প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অবহেলা, স্থানীয় প্রশাসনের কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা তদন্ত করতে হবে। ৪. ওই এলাকার কৃষিজমির উপরের মাটি কাটার কারণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেটা তুলে ধরতে হবে। ৫. ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য ক্ষতির পরিমাণ কীভাবে নির্ধারণ করা যায়, তার সুপারিশ করতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজকে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করার জন্য একজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে মনোনীত করতে হবে। বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার মনোনয়নের তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদেশে। এছাড়া আদেশে বিবাদীদের সাতকানিয়ায় কৃষিজমির উপরের মাটি ভরাট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যা ইতোমধ্যে কাটা হয়েছে, ৩০ দিনের মধ্যে বাইরে থেকে পলিমাটি এনে তা ভরাট করতে বলা হয়েছে।সেইসঙ্গে সাতকানিয়া থানার মধ্যে কতটি ইটভাটা রয়েছে এবং তাদের অবস্থা কী, তাদের পরিবেশগত ছাড়পত্র আছে কি না, তা আদেশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিচার বিভাগীয় এ আদেশে। আদেশের সময় অনলাইনে আদালতে হাজির ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, সাতকানিয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ওসি। এর আগে সোমবার (২২ এপ্রিল) চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি (টপসয়েল) কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রতিপালন না হওয়ায় ব্যাখ্যা জানতে তাদেরকে অনলাইনে তলব করেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার দুপুর ১টায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয় তাদের।  
কৃষিজমি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা মানা হবে না: হাইকোর্ট
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের প্রায় ২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের ওপর আজ শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ এই শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে এদিন ড. মুহাম্মদ ইউনূস আদালতে হাজিরা দিবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গত ২ এপ্রিল ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেন। তিনি পরবর্তী বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলির আদেশ দেন। এ মামলায় গত ৩ মার্চ আত্মসমর্পণ করে জামিন পান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গত ১ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস এম হুজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুল হাসান।
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ
‘শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘনের শাস্তি বাড়ছে’
শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘনে মালিকদের শাস্তির পরিমাণ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কারখানার মালিকদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে, তাদের বিচার হচ্ছে। শ্রমিক অধিকার যারা লঙ্ঘন করে তাদের সাজা নিয়ে আইনে একটি ধারা আছে। সেখানে ৫ হাজার টাকা সাজা ছিল, এখন (আগের সংশোধনীতে) সেটিকে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। মালিক-শ্রমিক ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলাপ করে এখন হয়তো বা ২৫ হাজার টাকা করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘আইএলও থ্রেশহোল্ড কমিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছে। আগে ২০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছিলাম, যেখানে ৩ হাজার বা তার ওপরে শ্রমিক আছে সেখানের জন্য প্রযোজ্য হওয়ার কথা। এটা আমরা সংশোধন করে সব কারখানার জন্য ১৫ শতাংশ থ্রেশহোল্ড অর্থাৎ ১৫ শতাংশ শ্রমিক রাজি হলেই একটি ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করতে পারবে। আমরা আইএলওর সেই প্রস্তাব মেনে নিয়েছি এবং সেটা অন্তর্ভুক্ত করছি। ১৫ শতাংশে তারা (আইএলও) এখন রাজি হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য ১০ শতাংশে যাওয়া।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কোনো দরকষাকষির মধ্যে নেই। আইএলওতে শ্রমিকদের অধিকার যাতে রক্ষা হয় তা নিয়ে আলোচনা হয় এবং সেটা নিয়েই সবসময় তাদের বক্তব্য থাকে। শ্রম আইন আমরা সংশোধন করছি। গত সংসদে এটি সংশোধন করার পর রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েছিল, কিছু ক্রটি-বিচ্যুতি থাকায় এটি ফেরত আনা হয়েছে।’ আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের শ্রমিক অধিকার নিয়ে ২০১৯ সালে আইএলওর গভর্নিং বডিতে নালিশ পড়েছিল। আমাদের বিরুদ্ধে যে অহেতুক নালিশ করা হয়েছে সেটি শেষ হওয়া উচিত। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের শ্রম আইন নিয়ে কথা বলতে আমরা তাদের (আইএলও) সঙ্গে বসেছিলাম। শ্রম আইন সংশোধনের আগ পর্যন্ত স্টেকহোল্ডার এবং যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থা শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কথা বলে তাদের কথা শুনব।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে আইএলওর সাজেশন শুনেছি। সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ৭ মে আইএলও তাদের সাজেশন শ্রম মন্ত্রণালয়ের টেকনিক্যাল কমিটিতে উপস্থাপন করবে। ১২ মে আমরা সেটা সম্পূর্ণ করার জন্য সভা ডাকব।’ তিনি আরও বলেন, ‘শ্রম আইন যখন প্রণয়ন করা হয় সারাবিশ্বের বেস্ট প্র্যাকটিসগুলো আমরা অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করি। সেই বেস্ট প্র্যাকটিস অন্তর্ভুক্ত করার যে চেষ্টা সেখানে কিন্তু আইএলওর একটি কন্ট্রিবিউশন থাকে।’
‘শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘনের শাস্তি বাড়ছে’

নামাজের ওয়াক্ত শুরু

তারিখ : ০২ মে, ২০২৪
অনলাইন সংস্করণ
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র
জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই আ.লীগ রাষ্ট্র পরিচালনা করছে: কাদের
জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করে নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে এবং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনা করছে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার (২ মে) আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের সই করা এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। কাদের বলেন, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৭৫ সালের পর দেশে অনুষ্ঠিত সব নির্বাচনের তুলনায় সুষ্ঠু হয়েছে। আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগ কোনো মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল না বা ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলও না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিকভাবে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারসহ সব অধিকার প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছে এবং জনগণের মধ্য থেকে উঠে আসা রাজনৈতিক শক্তি। তারই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের ভোটাধিকারসহ অন্যান্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপি সবসময় ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। যে কারণে তাদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ভীতি রয়েছে এবং তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় না। একবার তারা তাদের ক্ষমতায় আসার পথ নির্বিঘ্ন করতে অর্ধকোটি ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল। আবার ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করেছিল। যারা জনগণের ভোটাধিকার হরণের জন্য বিভিন্ন অপকৌশল গ্রহণ করেছিল তাদের মুখে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের কথা মানায় না। কাদের বলেন, বিএনপির রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য হলো যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল করা। তারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল এবং তা অবৈধভাবে ব্যবহার করে দুর্নীতি ও লুটপাটতন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। বাংলাদেশের ললাটে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কলঙ্ক লেপন করেছিল। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তাদের অপশাসন-দুঃশাসনের ফলে দেশের জনগণকে দুঃসহ জীবনযাপন করতে হতো। আজ তারা শ্রমজীবী মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলেছে। অথচ তারা ক্ষমতায় থাকতে কোনোদিন শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়ায়নি। বরং বেতন-বোনাসের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকের বুকে গুলি চালিয়ে হত্যা, সারের দাবিতে আন্দোলন করায় কৃষক হত্যা এবং বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করায় সাধারণ মানুষকে হত্যার মাধ্যমে বন্দুকের জোরে মানুষকে জিম্মি করে বাংলাদেশকে দুঃশাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট করেছিল বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আদমজী জুটমিলসহ বিভিন্ন কলকারখানা বন্ধ করে শ্রমজীবী মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে কয়েক ধাপে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে, চা-শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়িয়েছে।  কাদের বলেন, শ্রমজীবী মানুষসহ সব মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে। আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য।  
আরও কমলো স্বর্ণের দাম
টান অষ্টমবারের মতো দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম। স্থানীয় বাজারে তেজাবীর (পাকা স্বর্ণ) দাম কমার প্রেক্ষিতে স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা শুক্রবার (৩ মে) থেকে কার্যকর হবে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের একভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮৭৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৯ হাজার ১৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে গত ৩০ এপ্রিল ভালো মানের একভরি স্বর্ণের দাম ৪২০ টাকা কমানো হয়। তার আগে ২৯ এপ্রিল ১ হাজার ১১৫ টাকা, ২৮ এপ্রিল ৩১৫ টাকা, ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২ হাজার ৯৯ টাকা এবং ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমানো হয়। এখন আবার দাম কমানোর মাধ্যমে আট দফায় ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ১০ হাজার ২৬২ টাকা কমলো।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে একাধিক পদে চাকরি 
৬ জেলায় নিয়োগ দেবে এসএমসি, আবেদন করবেন যেভাবে
লোকবল নিয়োগ দেবে এপেক্স, লাগবে স্নাতক পাস
শপআপে নিয়োগ, ২০ বছর হলেই আবেদনের সুযোগ
স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজলো ঢাকা
২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেসব জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে
চার বিভাগে আরও ২ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
রাতেই ৬ অঞ্চলে ঝড়ের পূর্বাভাস
এপ্রিলে ১৯৩ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার
মিল্টনকে রিমান্ডে নিয়ে সব অপকর্ম বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা / পিনাকী ভট্টাচার্যকে অভিযুক্ত করে সিটিটিসির চার্জশিট
পরীক্ষার আগে শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নের সমাধান হতো ঢাবির হলে
এসির ‘টন’ কী? কেনার আগে জেনে নিন
ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধের হুঁশিয়ারি মেটার
টিকটক নিষিদ্ধে বিল পাস যুক্তরাষ্ট্রের
হোয়াটসঅ্যাপে ইন্টারনেট ছাড়াই পাঠানো যাবে ছবি-ভিডিও-ডকুমেন্ট
X
Fresh