• ঢাকা রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

পরীক্ষার আগে শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নের সমাধান হতো ঢাবির হলে

আরটিভি নিউজ

  ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৫৫
গ্রেপ্তার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের পাঁচ সদস্য (সংগৃহীত ছবি)

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। চক্রের মূলহোতা অসিম গাইনের হয়ে ঢাবির জগন্নাথ হলে বসে প্রশ্নের সমাধান করতেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলের দুই আবাসিক শিক্ষার্থী জ্যোতির্ময় গাইন ও সুজন চন্দ্র। পরীক্ষা শুরুর আগেই এসব সমাধান করা প্রশ্ন পৌঁছে যেত পরীক্ষার্থীদের হাতে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

ডিবিপ্রধান বলেন, গত রোববার ঢাবির ক্যাম্পাস থেকে জ্যোতির্ময় ও সুজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ। তাদের দুই দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করে বুধবার (২৪ এপ্রিল) মাদারীপুর থেকে পরীক্ষার্থী মনিষ গাইন, পঙ্কজ গাইন ও লাভলী মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরমধ্যে মনিষ ও পংকজ পুলিশ হেফাজতে দুই দিনের রিমান্ডে রয়েছে। আর লাভলীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

তিনি বলেন, গত ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ২১ জেলার সাড়ে তিন লাখ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এ পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নের উত্তরপত্র ও ডিভাইসসহ মাদারীপুরে সাতজন ও রাজবাড়ীতে একজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। দুটি ঘটনায় পৃথক মামলা করেন সংশ্লিষ্টরা। এরমধ্যে রাজবাড়ীতে আটক হওয়া পরীক্ষার্থী আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

পরীক্ষার্থীদের বরাত দিয়ে হারুন অর রশীদ জানান, পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র পেয়েছেন তারা। প্রশ্ন প্রতি ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকার বিনিময় সমাধান করিয়ে নেন চক্রের হোতা অসিম গাইন। এ প্রস্তাবে জ্যোতির্ময় ও সুজনসহ সাতজন জগন্নাথ হলের জ্যোতির্ময়গুহ ঠাকুরতা ভবনের ২২৪ রুমে বসে প্রশ্নের সমাধান করে পাঠান। চাকরির বয়স শেষের দিকে এমন পরীক্ষার্থীদের টার্গেট করে তাদের সঙ্গে দুই-তিন মাস আগ থেকেই যোগাযোগ শুরু করে চক্রটি। তাদের পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকায় চুক্তি করতো। পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিট আগেই প্রশ্নের উত্তর পরীক্ষার্থীদের কাছে পাঠিয়ে দিতো অসিম। তাদের সমাধান করে দেওয়া প্রশ্নের মধ্যে ৭২ থেকে ৭৫টি সঠিক থাকতো।

তিনি বলেন, মাদারীপুরের রাজৈর এলাকার অসিম গাইন চক্রের হোতা। তিনি আগেও বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছেন। এতে অল্পদিনে কয়েক শ’ কোটি টাকা আয় করেছেন। এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাব থাকা অসিমের মানবপাচার, হুন্ডি ব্যবসা ও ডিশের ব্যবসা রয়েছে। যেখানে তিনি প্রশ্ন ফাঁস করে আয় করা টাকা বিনিয়োগ করেছেন। বর্তমানে পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। জড়িত কেউ ছাড় পাবে না।

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
লিফট কিনতে ফিনল্যান্ডের পথে ঢাবির প্রো-ভিসিসহ ৪ জন
ঢাবিতে ছাত্রলীগের ‘গেস্টরুমে’ অচেতন শিক্ষার্থী, তদন্ত কমিটি গঠন
‘ইনস্যুরেন্স পাঠ্যক্রম যুগোপযোগীকরণে অংশীজনের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল
ঢাবির সুইমিং পুলে ছাত্রের মৃত্যু, তদন্ত কমিটি গঠন
X
Fresh