• ঢাকা শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo

নদী দখলদারদের তালিকা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে: সারোয়ার মাহমুদ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০২ মে ২০২৪, ২০:৪৯
ছবি : আরটিভি

নদী দখলদারদের তালিকা হচ্ছে, পূর্বেও হয়েছে। সেগুলো এখন যাচাই বাছাই হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান সারোয়ার মাহমুদ। সেই সঙ্গে পাম নদীর গতিপথ পরিবর্তন অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বেংহাড়ি বনগ্রাম ইউনিয়নের পামেরপাড় এলাকায় পাম নদী পরিদর্শনকালে এই কথা জানান তিনি।

সারোয়ার মাহমুদ বলেন, নদী দখলমুক্ত থাক এটা একটি রাষ্ট্রের অঙ্গীকার। নদী জনসাধারণের জন্য নদী দেশের জন্য প্রকৃতির একটি অনুসঙ্গ। শুধু দখল উচ্ছেদ করলেই হয় না। এগুলো মেইনটেন করতে হয়। দখল মুক্ত করার পর এটিকে সংরক্ষণ করা যেন এটি পুনরায় অপদখল হয়ে না যায়। সেই ধরণের কিছু উদ্যোগ নেওয়া দরকার। এখন নদীগুলো যে অবস্থায় আছে সেগুলোকে দখলমুক্ত, দূষণ মুক্ত করা দরকার। ফ্লোগুলো যেন স্বাভাবিক থাকে সেই ব্যবস্থা নেয়া দরকার। জীববৈচিত্রের প্রতিকূল বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা এবং আজকে যে উষ্ণতা দেখা দিয়েছে, পানির স্তর নিচে নেমে গেছে সেসব বিষয়ে মানুষকে সতর্ক করা। একজনের কাজের জন্যে যেন অনেক মানুষের কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটিকে সজাগ থাকা।

তিনি বলেন, নদী সংরক্ষণের সঙ্গে যারা জড়িত প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আমরা পাম নদী পরিদর্শন করেছি। এখানে নদীর গতি পরিবর্তন করা হয়েছে। এটি আমরা কাগজপত্র ও রেকর্ড দেখে মূল্যায়ন করবো। তারপর আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অনুরোধ করবো। তবে আমি জনগণকে সম্পৃক্ত করে এখানে যেন নদীর গতিপ্রবাহ ঠিক থাকে, জীববৈচিত্র ঠিক থাকে সে ব্যাপারে সবাই যেন উদ্যোগী হয়। স্থানীয়রাও যেন তাদের যার যার অবস্থান থেকে নদী রক্ষায় ভূমিকা রাখে। তাহলেই নদীগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় থাকবে এবং এর দ্বারা জীববৈচিত্র ও মানুষ উপকৃত হবে।

উল্লেখ্য, পাম নদী দখল করে পাড়বাঁধা পুকুর খননের ঘটনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বৃহস্পতিবার সকালে পাম নদী পরিদর্শনে আসেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান সারোয়ার মাহমুদ। তিনি দখল হওয়া পাম নদীর বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন। এ সময় দখলকারীদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। ম্যাপ মিলিয়ে দেখতে পান নদীটি আগে ছিলো দখলকারী জিয়াউর রহমানের বাড়ির পাশ দিয়েই। পরে গতি পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।

এদিকে নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানের উপস্থিতির খবর পেয়ে প্রভাবশালী জিয়াউর পরিবারের হুমকিতে কোন ভুক্তভোগিকেই বাড়িতে পাওয়া যায় নি। এ সময় পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল কাদের, বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার নজির, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশুতোষ বর্মন, বেংহারী বনগ্রাম ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সাহেব আলী উপস্থিত ছিলেন। গত ২০ এপ্রিল পঞ্চগড়ে পাম নদী দখল করে মাছ চাষ করছে প্রভাবশালীরা মর্মে আরটিভিতে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।


মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
স্কেভেটরের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ গেল চালকের
পঞ্চগড়ে হাসপাতাল চত্বরে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
সাইকেলে করে স্কুলে যাওয়ার পথে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
সীমান্তে ২ বাংলাদেশিকে হত্যা: মরদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ
X
Fresh