ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যু ও সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানের অসুস্থতার খবরে প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশ দুটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সালমানের অসুস্থতার কারণে তার জাপান সফর বাতিলের খবরও জানিয়েছেন দেশটির যুবরাজ। এর মধ্যেই সোমবার বিশ্ববাজারে বেড়েছে তেলের দাম।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৪১ সেন্ট বা ০.৫ শতাংশ বেড়েছে। বর্তমানে ব্যারেল প্রতি অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৮৪.৩৯ ডলার। ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুড অয়েলের দাম ২৩ সেন্ট বা ০.৪ শতাংশ বেড়ে ৮০.২৯ ডলারে পৌঁছেছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচনা করা হতো। তিনি রোববার আজারবাইজান সীমান্তের কাছে পাহাড়ি এলাকায় হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। তার সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীও সফর ছিলেন। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সোমবার তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
অন্যদিকে, সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান তার বাবা বাদশাহ সালমানের অসুস্থতার কারণে রাষ্ট্রীয় জাপান সফর স্থগিত করেছেন। সোমবার থেকে সফরটি শুরু হওয়ার কথা ছিল বলে জাপানের প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি জানিয়েছেন।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা রোববার জানিয়েছে, ৮৮ বছর বয়সী বাদশাহ সালমানের ফুসফুসের চিকিৎসা করানো হবে।
আইজি মার্কেটস বিশ্লেষক টনি সাইকামোর বলেন, ‘বাদশাহর স্বাস্থ্য সমস্যার সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর খবর তেলের বাজারে অনিশ্চয়তা যোগ করেছে। তেলের মূল্য আরও বাড়তে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি এমন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। গত সপ্তাহে চীনের ঘোষণাও এখানে একটি ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেছে।
আইএনজি গ্রুপের পণ্য কৌশলের প্রধান ওয়ারেন প্যাটারসন বলেন, ‘তেলের বাজার মূলত সীমাবদ্ধ থাকে। এই সীমা থেকে বের হওয়ার জন্য আমাদের সম্ভত ওপেক+ নীতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’
এ পরিস্থিতিতে বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ অবস্থায় তেলের বাজারে এমনিতেই যে অনিশ্চয়তা আছে, তা আরও ঘনীভূত হবে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম ২০০ দিনের গড় দাম ৮০ দশমিক শূন্য ২ ডলার অতিক্রম করেছে; এখন তা ৮৩ দশমিক ৫০ ডলারে উঠে যেতে পারে।
গবেষণাপ্রতিষ্ঠান আইজি মার্কেটসের বিশ্লেষক টনি সিকামোর রয়টার্সকে বলেন, ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম বেড়ে যাওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। শুধু ইরানি প্রেসিডেন্টের দুর্ঘটনা ও সৌদি বাদশাহর স্বাস্থ্যগত কারণে নয়, চীন আবাসন খাতকে টেনে তুলতে গত সপ্তাহে যে প্রণোদনা ঘোষণা করেছে, তার প্রভাবে তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। চীন বিশ্বের বৃহত্তম তেল আমদানিকারক। এই দেশের চাহিদার ওপর বিশ্ববাজারে তেলের দাম অনেকাংশে নির্ভর করে।
গত সপ্তাহে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১ শতাংশ বাড়ে। গত তিন সপ্তাহের মধ্যে এই প্রথম সাপ্তাহিক হিসাবে ব্রেন্টের দাম বেড়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাজারের ইতিবাচক খবরের জেরে ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম গত সপ্তাহে দুই শতাংশ বেড়েছে। আজ নতুন সপ্তাহের শুরুর দিন সেই ধারা আরও বেগবান হয়েছে।
- সর্বশেষ
- পাঠক প্রিয়
তিন থানার মামলায় ৪২ জন কারাগারে
২৩ মিনিট আগে
‘অপকার করতে চেয়ে আমার উপকার করে ফেলছে’
২৯ মিনিট আগে
নড়াইলে মাদক মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
৪৪ মিনিট আগে
১২৬ দেশে যেতে জটিলতা কাটছে বাংলাদেশিদের
১ ঘণ্টা আগে
‘শেখ হাসিনার দেওয়া পারফিউম নিয়মিত গায়ে মাখি’
১ ঘণ্টা আগে
টাউট-বাটপার যেন সংগঠনে ঢুকতে না পারে: কাদের
১ ঘণ্টা আগে
৪ দিনেও মেলেনি এমপি আনারের খোঁজ
২ ঘণ্টা আগে
পদ স্থগিতের পর যা বললেন ডিপজল
৫ ঘণ্টা আগে
খোঁজ মিলছে না ইরানের প্রেসিডেন্টের
২২ ঘণ্টা আগে
ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে
৫ ঘণ্টা আগে
সম্পাদক পদে বসতে পারবেন না ডিপজল
৭ ঘণ্টা আগে
লঘুচাপ ও বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়ার নতুন বার্তা
৯ ঘণ্টা আগে
টানা ৩ দিন বৃষ্টি হতে পারে যেসব জায়গায়
২৩ ঘণ্টা আগে
যা ঘটেছিল রাইসির হেলিকপ্টারে
৮ ঘণ্টা আগে
শ্রেণিকক্ষে ভূত আতঙ্ক, অসুস্থ ২০ শিক্ষার্থী
১৭ ঘণ্টা আগে
রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সন্ধান পাওয়া গেছে
১১ ঘণ্টা আগে
ব্রডগেজ রেলপথের জন্য ভারতীয় প্রতিষ্ঠান আরআইটিইএস লিমিটেডের কাছ থেকে ২০০টি বগি (প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ) কিনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
সোমবার (২০ মে) রাজধানীর রেলওয়ে ভবনে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে।
চুক্তি অনুযায়ী, এক হাজার ২০৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকায় কেনা হবে বগিগুলো।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম, রেলপথ সচিব হুমায়ুন কবীর, মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী, আরআইটিইএস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহুল মিত্তাল, ভারতীয় রেলওয়ের প্রোডাকশন ইউনিটের অতিরিক্ত সদস্য সঞ্জয় কুমার পংকজ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব করপোরেশন মিচেল ক্রেজা ও রেলওয়ের কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ের বহরে ২০১৬টি ক্যারেজ এবং ৩০৯৫টি ওয়াগন রয়েছে। সম্প্রতি পদ্মা রেলওয়ে সেতু চালুর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে রেলওয়ে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত হয়েছে। ফলে, দক্ষিণাঞ্চলে নতুন ট্রেন সরবরাহ করার পাশাপাশি পুরাতন এবং বেশি বয়সী কোচগুলো প্রতিস্থাপন করার জন্য নতুন ব্রডগেজ প্যাসেঞ্জার কোচগুলো প্রয়োজন হবে।
তবে চুক্তিতে ক্যারেজ কবে দেওয়া হবে সেই সময় উল্লেখ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, এটা করলে আমাদের সুবিধা হতো। আমরা সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে পারতাম। আগামী দুই মাসের মধ্যে যদি দুই সেট ক্যারেজ দিতে পারে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান, তবে সেটা আমাদের জন্য ভালো হবে। বাকিগুলো শিডিউল করে নিলে হবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবির বলেন, কোচগুলো যুক্ত হলে রেলের গতি বেড়ে যেবে। এতে করে যাত্রীসেবা আরও বাড়বে।
মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, রেলের লক্ষ্য হচ্ছে যোগাযোগ পরিধি বাড়ানো, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেল সংযোগ স্থাপন করা, যাত্রীসেবা দেওয়া। আর এই প্রকল্পের মাধ্যমে সেটা অনেকাংশে সম্ভব হবে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (ইআইবি) অর্থায়নে প্রকল্পটি পরিচালিত হচ্ছে। বগিগুলো হবে স্টেইনলেস স্টিলের, দ্রুত গতিসম্পন্ন ও পরিবেশবান্ধব। বগির ছাদে এসি থাকবে; অটোমেটিক এয়ার ব্রেক পদ্ধতি থাকবে বগিগুলোতে। পরবর্তীতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোর সঙ্গে যুক্ত করা হবে এই বগিগুলো।
‘নিপুণ মামলাবাজ, ডিপজল-শাকিব খানকে অশিক্ষিত বলেছেন’
ফের বিতর্কের মুখে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এ নির্বাচন নিয়ে নতুন করে প্রশ্নের সৃষ্টি করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তার। সম্প্রতি ভোটের ফল স্থগিত চেয়ে আদালতে রিট করেছেন তিনি। তার রিটের প্রেক্ষিতে স্থগিত হয়েছে বিজয়ী প্রার্থী মনোয়ার হোসেন ডিপজলের সাধারণ সম্পাদক পদ। আপাতত এই পদে তিনি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। এ দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে শিল্পী সমিতির সহসভাপতি চিত্রনায়ক ডি এ তায়েবের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
তবে নিপুণের হুমকি হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন ডি এ তায়েব। এক অডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘সাইবার ক্রাইম মামলার মেরিট কি, ভেতরে কি থাকতে হয় উনি তা বোঝেন না। খন্ডিত বক্তব্য কখনো সাইবার ক্রাইম মামলা হয় না। উনি মামলাবাজ নামে ইতোমধ্যে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছেন।’
সম্প্রতি মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে এক সাক্ষাৎকারে অশিক্ষিত বলেছেন ভোটে পরাজিত নিপুণ আক্তার। এর আগে নাকি চিত্রনায়ক শাকিব খানকেও অশিক্ষিত বলেছিলেন নিপুণ, দাবি তায়েবের।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ডিপজল ভাই নিঃসন্দেহে চলচ্চিত্রের অনেক বড় একজন মানুষ। তাকে চলচ্চিত্রের মুভি লর্ড বলা হয়। আর শাকিব খান দেশের এক নম্বর সুপারস্টার। এই দুজনকে তিনি (নিপুণ) একবার করে অশিক্ষিত বলেছেন।’
যোগ করে তায়েব আরও বলেন, ‘অপু বিশ্বাস-জয় চৌধুরীকে মা-ছেলে বলেছেন। তার মুখে এসব ভাষা মানায়? এক সাংবাদিককে বলেছিলেন— এই আপনার কুরকুরানি উঠছে। কুরকুরানি কমিয়ে আসেন। আনাড়ি মামলাবাজ মহিলা, সে নিজে চলে না তাকে একজন চালায়। তার পক্ষে এখন একটা লোকই আছে, আর কেউ নাই। আমাদের এফডিসির সঙ্গে জড়িত সে তাকে চালায়।’
নিপুণের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এই অভিনেতা বলেন, ‘উনি বোঝেন না মামলা কাকে বলে। আমার সারাদেশের ভক্তরা তার (নিপুণ) বিরুদ্ধে মামলা করতে চাচ্ছেন। তারা যদি মামলা করেন তাহলে তার জেলায় জেলায় হাজিরা দিতে দিতে দিন পার হয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ, একদিনে উনার ২-৩টা মামলার তারিখ পড়বে।
তায়েব বলেন, তার বোঝা উচিত ছিল যে আমাকে শিল্পী সমিতির মুখপাত্র করা হয়েছে। কমিটির সিদ্ধান্ত আমি প্রেসকে বলেছি। আমার কথা বলে যে ভাষণ দিয়েছেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। যদিও উনি এরকমই করেন। ভালো কিছু শিখেছেন বলে মনে হয় না। তার রাশিয়ায় পড়াশোনা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। ডিপজল ভাই ও শাকিব খান যদি অশিক্ষিত হন, তাহলে তার শিক্ষার সার্টিফিকেট যেন পোস্ট করে ভাইরাল করে দেন। এটা আমরা দেখতে চাই।’
এই চিত্রনায়ক বলেন, ‘উনার অভিনয় আমি কখনো দেখি নাই। শুনেছি ২৬-২৭ বছর নাকি তার ক্যারিয়ারের বয়স। আর আমার সিনেমার ক্যারিয়ার ৭ বছর। উনি আমার জনপ্রিয়তা নিয়ে ঈর্ষাণ্বিত হয়েছেন, এটা মানতে চান না। গত মেয়াদে যখন আমার টাঙ্গাইলের বাড়ি গিয়ে জোর করে সাইন এনে তার প্যানেলে সহসভাপতি পদে নির্বাচন করান তখন আমার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ছিল। এখন জনপ্রিয়তা নেই কেন?’
শুরুতে ডিপজলকে অশিক্ষিত বললেও পরবর্তীতে মিশা সওদাগরকেও মূর্খ বলেছেন নিপুণ। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘মিশা-ডিপজল দুজনেই মূর্খ। তাদের সঙ্গে কথা বলার কোনো ধরনের ইচ্ছাই আমার নেই। তাছাড়া মিশা ভাই তো ভীষণ মিথ্যুক একজন মানুষ। উনাদের সঙ্গে এখন এই বিষয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে কথা হবে। এটাই সবচেয়ে ভালো উপায়।’ নিপুণের এ বক্তব্য ঘিরে চলচ্চিত্রপাড়ায় চলছে পক্ষে-বিপক্ষে সমালোচনা।
‘শেখ হাসিনার দেওয়া পারফিউম নিয়মিত গায়ে মাখি’
অস্কারজয়ী সংগীত পরিচালক এ আর রাহমান অংশ নিয়েছেন চলমান ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে। সেখানে এক ফাঁকে কথা বলেছেন বাংলাদেশের একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে। যেখানে উঠে এসেছে নানা প্রসঙ্গ।
প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে এ আর রাহমান বলেন, আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছি। সেই সুযোগ আমার হয়েছে। তিনি আমাকে অসম্ভব সুন্দর একটি পারফিউমের বোতল উপহার দিয়েছেন। বেশ বড়। সেটি এখনও আমার কাছে আছে এবং নিয়মিত ব্যবহার করি। এটা আমার জন্য অসাধারণ অভিজ্ঞতা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে দুটি গান করেছেন এই সংগীত পরিচালক। বললেন সে বিষয়েও।
এ আর রাহমান বলেন, গান দুটি তৈরি করতে আমার অনেক ভালো লেগেছে। খুব এনজয় করেছি পুরো ব্যাপারটা।
অপুর জিডি, তিনজনকে সতর্ক করল পুলিশ
অরুচিকর, মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচারের অভিযোগ নিয়ে ৯ মে (বৃহস্পতিবার) পুলিশের দ্বারস্থ হন ঢালিউড কুইন অপু বিশ্বাস। করেন একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি)। এবার সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিএমপির সিটিটিসির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ইউনিট একজন পুরুষ ও দুজন নারী কনটেন্ট ক্রিয়েটরকে ডেকে সর্তক করেছে।
রোববার (১৯ মে) সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন সিটিটিসি’র ফেসবুক পেজ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
এক পোস্টের মাধ্যমে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে এখন নানা ধরনের বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন নেটিজেনরা। ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, টুইটার, ভাইবার, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদির মাধ্যমে তারা সাইবার অপরাধীদের শিকারে পরিণত হচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে সিটিটিসি প্রাপ্ত অভিযোগগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে, কিছু ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোস্টিংয়ের নামে সংস্কৃতিকর্মীদের টার্গেট করে অনবরত বুলিং করছেন এবং কুৎসা রটনা করে চলেছেন।
অপু বিশ্বাসের অভিযোগের কথাও উল্লেখ করা পোস্টে। লেখা হয়, সম্প্রতি অভিনয়শিল্পী অপু বিশ্বাসও এহেন অপরাধের শিকার হন। তার জিডি ও অভিযোগের ভিত্তিতে একজন পুরুষ ও দুইজন নারী কনটেন্ট ক্রিয়েটরকে অপপ্রচার বিষয়ে নিউট্রালাইজ করা হয়েছে এবং অনলাইনে ঘৃণা ছড়ানো বন্ধ করতে বলা হয়েছে। এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
সাইবার স্পেসে হেয় করা হলে এ ধরনের অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে উল্লেখ করে লেখা হয়, একটা সুস্থ ও রিজিলিয়েন্ট সাইবার স্পেস আমাদের সবার কাম্য। আমরা বিশ্বাস করি সবাই আইন মানবে ও সাইবার ইথিক্সগুলো মেনে চলে নিরাপদ সাইবার ভুবন গড়তে সহায়তা করবে। সাইবার স্পেসে যে কাউকে হেয় করা অপরাধ। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। সংস্কৃতিকর্মী বা সাধারণ ভিকটিম সবার জন্য আমাদের সাইবার সেবা উন্মুক্ত থাকবে।
প্রসঙ্গত, ৯ মে (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর ভাটারা থানায় অপু বিশ্বাস এই সাধারণ ডায়েরিটি (জিডি) করেন। ওই জিডিতে তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন যাবত ৩৪ ব্যক্তি ও ব্লগার তাদের নিজস্ব ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে আমার নামে বিভিন্ন অরুচিকর, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করছে। এমন অবস্থায় বিষয়টি আমি সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করে রাখার প্রয়োজন বলে মনে করেছি।
শিল্পীদের হৃদয়ই আপনার চেয়ার, ডিপজলের উদ্দেশে রত্না
বিপক্ষ প্যানেলের পরাজিত প্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারের রিটের প্রেক্ষিতে স্থগিত হয়ে গেল বিজয়ী প্রার্থী মনোয়ার হোসেন ডিপজলের সাধারণ সম্পাদক পদ। আপাতত এই পদে তিনি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
সোমবার (২০ মে) রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে পরাজিত প্রার্থী নিপুণ আক্তারের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
উৎসবমুখর পরিবেশে গত ১৯ এপ্রিল এফডিসিতে শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফলাফল ঘোষণার পর বিজয়ী মিশা সওদাগর-মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে ফুলের মালা পরিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন পরাজিত নিপুণ। কিন্তু এক মাস না পেরোতেই বেঁকে বসলেন তিনি। সোজা চলে গেলেন আদালতে। আইনজীবী ধরে করিয়েছেন রিট।
নিপুণের রিটের প্রেক্ষিতে এসেছে ডিপজলের দায়িত্ব পালনে বাধা। যদিও ডিপজল আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন। চলচ্চিত্রের জ্যেষ্ঠ শিল্পীরাও বিষয়টিকে ঠিকভাবে নিচ্ছেন না। নির্বাচন নিয়ে ঘুরেফিরে এমন পরিস্থিতি তৈরি করায় বিরক্ত তারা। নিপুণের রিট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রযোজক, পরিচালক ও অভিনেতা সোহেল রানা, অভিনেত্রী সূচন্দা ও অভিনেতা বাপ্পারাজ। কেউ কেউ নিপুণকে মামলাবাজ বলেও আখ্যা দিচ্ছেন।
এবার বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন চিত্রনায়িকা রত্না কবির। মিশা-ডিপজল প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে তৃতীয়বারের মতো তিনি সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ডিপজল শিল্পীদের ভোটে নির্বাচিত উল্লেখ করে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে রত্না লেখেন, ‘শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজল, আপনি শিল্পীদের ভোটে নির্বাচিত। আপনি শিল্পীদের ভোটকে অসম্মান করবেন না। আপনার কাজ আপনি চালিয়ে যাবেন।’
শিল্পীরা ডিপজলের পাশে আছে উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমরা আছি আপনার পাশে। আগামী দুই বছর শিল্পী সমিতির কল্যাণে যা যা করা লাগে আপনি করবেন। ওই চেয়ারে বসেই আপনাকে কাজ করতে হবে এমন কোন কথা নেই। আপনার চেয়ার শিল্পী হৃদয়। অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।’
প্রসঙ্গত, দুই বছর আগেও শিল্পী সমিতির এই নির্বাচন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন নিপুণ। সেবার তার আপত্তি ছিল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জায়েদ খানকে নিয়ে। এবার পুরো শিল্পী সমিতির কমিটির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী।
চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের খোঁজ ৪ দিনেও পাওয়া যায়নি। তাকে খুঁজতে ভাতিজা সাইমন ইতোমধ্যে ভারতে গিয়েছেন। আর আনারের বড় মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন ও ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) ভারতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সোমবার (২০ মে) ভারতীয় দূতাবাসে তারা ভিসার জন্য আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, গত ১৬ মে সকালের দিকে এমপি আনারের অবস্থান ছিল বিহারের মোজাফ্ফরাবাদ। সেখান থেকে পিএস রউফ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর ফোনে কল করা হয়। তবে ওই ফোনকল প্রকৃতপক্ষে এমপি আনার করেছিলেন কি না তা নিয়ে নতুন করে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে বাবার খোঁজ পেতে রোববার (১৯ মে) মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে যান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিবির এক কর্মকর্তা তখন বলেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মেয়ে ডিবি কার্যালয়ে এসেছেন। তার বাবার নিখোঁজের বিষয়টি অবহিত করেছেন।
এর আগে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দুদিন ধরে বাবার সঙ্গে যোগাযোগ নেই। আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। সব উপায়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে জানানো হয়েছে। প্রয়োজন হলে আমার পরিবারের লোকজন কলকাতায় যাবে।’
গত ১১ মে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার চিকিৎসার জন্য ভারতের কলকাতায় যান বলে জানান সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আবদুর রউফ।
দীর্ঘদিন বিরতি দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের ট্রেনিং ক্যাম্প। এই ক্যাম্পের জন্য ২৫ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেখানে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ও ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের পারফরম্যান্স।
আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে শুরু হয়ে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত ঢাকা, বগুড়া ও রাজশাহীতে চলবে এইচপি ক্যাম্প। সোমবার (২০ মে) এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে বিসিবি।
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই ক্যাম্পে ক্রিকেটীয় অনুশীলন ছাড়াও ইংরেজি ভাষার দক্ষতা, পুষ্টি ও খাদ্যাভ্যাস, গণমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ, প্লেয়িং কন্ডিশন ও আইন সম্পর্কে ধারণা ও দুর্নীতিবিরোধী গাইডলাইন নিয়ে জ্ঞান দেওয়া হবে।
আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত তাত্ত্বিক বিষয়ের এসব কোর্স চলবে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ঢাকা পর্বে তাত্ত্বিক বিষয়ের ক্যাম্পের পর রাজশাহী ও বগুড়ায় হবে স্কিল ট্রেনিং ও ম্যাচ অনুশীলন।
২১ জুন থেকে ১৮ আগস্ট ক্যাম্প হবে বগুড়া ও রাজশাহীতে। সেখানে ম্যাচ সিনারিও অনুশীলন, নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়ে ম্যাচ খেলবেন ক্রিকেটাররা। ২৬ আগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ‘এ’ ও বাংলাদেশ টাইগার্সের বিপক্ষেও ম্যাচ খেলবে এইচপির এই দলটি।
২৫ সদস্যের দলে আছেন আশিকুর রহমান শিবলি। গত বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি, ২৫৫ রান করে হয়েছিলেন আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। বাংলাদেশ হয় চ্যাম্পিয়ন।
ওই দলের জিশান আলম, আরিফুল ইসলাম, আহরার আমিন, শিহাব জেমস, মাহফুজুর রহমান রাব্বি, শেখ পারভেন জীবন, মারুফ মৃধা ও রহনতদৌলা বর্ষণও জায়গা পেয়েছেন স্কোয়াডে।
এইচপির স্কোয়াড: মাহফিজুল ইসলাম, আশিকুর রহমান শিবলি, জিশান আলম, হাবিবুর রহমান, আবদুল্লাহ আল মামুন, প্রান্তিক নওরোজ নাবিল, খালিদ হাসান, আরিফুল ইসলাম, মেহরব হাসান, আইচ মোল্লা, আহরার আমিন, শিহাব জেমস, অমিত হাসান, প্রিতম কুমার, মাহফুজুর রহমান রাব্বি, শেখ পারভেজ জীবন, রাকিবুল হাসান, ওয়াসি সিদ্দিকী, মেহেদী হাসান, নাঈম হোসেন সাকিব, রুয়েল মিয়া, মারুফ মৃধা, রিপন মণ্ডল, আশিকুর রহমান ও রহনতদৌলা বর্ষণ।
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অনেকের বাতের ব্যথা দেখা দেয়। এর পেছনে প্রতিদিনের জীবনযাপন কিছুটা হলেও দায়ী। তবে বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখাও বেশ সহজ। এর জন্য কিছু শাকের ওপর ভরসা রাখুন। বাতের ব্যথা কমাতে এই শাকগুলো বেশ উপকারী। সহজেই পাওয়া যায়, এই শাকগুলো কমবেশি প্রতিদিন খাবারের তালিকায় থাকলে ব্যথা আর কাবু করতে পারবে না।
বাতের ব্যথায় উপকারী শাকগুলোর নাম জেনেন নিন—
পাট শাক: এই শাক নানা গুণে ভরপুর। লাইকোপেন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর বলে এটি কোশের ক্ষতি আটকায়। একই সঙ্গে পাট শাক বাতের ব্যথা কমায়। এর ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম উপাদান হাড় মজবুত করে। খেয়াল রাখে জয়েন্টের।
ব্রাহ্মী শাক: পাট শাকের মতোই আরেকটি উপকারী শাক হলো ব্রাহ্মী শাক। অনেকের ধারণা, বুদ্ধির ধার বাড়াতে এই শাক খাওয়া উচিত। কিন্তু এর বাইরেও বেশ কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে ব্রাহ্মী শাকের। যেমন বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখে এই শাক।
পালং শাক: প্রথমেই যে শাকের কথা বলা জরুরি, সেটি হল পালং শাক। পালং শাকে কেম্পফেরল নামের একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এই বিশেষ উপাদানটি বাতের ব্যথা থেকে দ্রুত রেহাই দেয়।
শাক ছাড়া আর যে যে সবজিতে উপকার পাবেন—
শাক ছাড়া বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে কয়েকটি সবজি। এগুলি কমবেশি প্রতিদিন নিয়ম করে খেলে আর যন্ত্রণায় ভুগতে হবে না। কী কী সবজি রয়েছে সেই তালিকায় জেনে নিন।
ব্রকলি: প্রদাহনাশী বা অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে ব্রকলির মধ্যেও। সালফোরাফেনের মূল উপাদান। এই উপাদানটি প্রদাহ তৈরি করে এমন যৌগগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। যার জেরে বাতের ব্যথার থেকে অনেকটাই রেহাই পাওয়া যায়।
রসুন: আদার মতোই রান্নার আরেকটি অপরিহার্য উপকরণ হল রসুন। রসুনের মধ্যে রয়েছে ডাইঅ্যালিল ডাইসালফাইডের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান। এটি প্রোইনফ্লেমেটরি সাইটোকাইনের প্রভাবকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। এর ফলে বাতের ব্যথার থেকে সহজে রেহাই মেলে।
আদা: আদা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। একই সঙ্গে এর মধ্যে শক্তিশালী প্রদাহনাশী বা অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। জয়েন্টের ব্যথা আদতে ইনফ্লেমেশন। তাই আদা খেলে জয়েন্টের ব্যথা থেকে অনেকটাই রেহাই পাবেন।
-
১১ মে ২০২৪, ১৫:৫০
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিকে কি সমর্থন করেন?
-
হ্যাঁ৯৩.৭৯%
-
না৫.৬৯%
-
মন্তব্য নেই০.৫২%
মোট ভোটদাতাঃ ৮,৮৮৮ জনমোট ভোটারঃ ৮,৮৮৮ভোট দিনLink Copied -
অনলাইন জরিপ
-
১১ মে ২০২৪, ১৫:৫০
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিকে কি সমর্থন করেন?
-
হ্যাঁ৯৩.৭৯%
-
না৫.৬৯%
-
মন্তব্য নেই০.৫২%
মোট ভোটদাতাঃ ৮,৮৮৮ জনডাউনলোডঃ ২০ মে ২০২৪, ২০:২৩মোট ভোটারঃ ৮,৮৮৮ভোট দিন -
শিল্পী সমিতির নির্বাচন / সম্পাদক পদে বসতে পারবেন না ডিপজল
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির (২০২৪-২৬) মেয়াদি নির্বাচনে সম্পাদক পদে বিজয়ী ডিপজল তার পদে বসতে পারবেন না। সেই সঙ্গে পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তারের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২০ মে) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে, বুধবার (১৫ মে) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়েছিল। নিপুণের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট পলাশ চন্দ্র রায় এ রিট করেন।
জানা গেছে, নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে এই ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল রিটে। পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার নির্দেশনাও চাওয়া হয়।
সে সময় বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে দেশের একটি গণমাধ্যম যোগাযোগ করে নিপুণের সঙ্গে। নিপণ বলেন, হ্যাঁ এই রিট আমি করেছি। অর্থাৎ, আমার পক্ষ থেকেই করা হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানাব।
যশোর-নড়াইল মহাসড়কে গাছ না কাটার নির্দেশ
যশোর-নড়াইল মহাসড়কে ছয় লেন প্রকল্পে টেন্ডার আহ্বান না করা পর্যন্ত গাছ না কাটার ওপরে আপাতত স্থিতি অবস্থা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার (১৯ মে) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মণ্ডল ও অ্যাডভোকেট সেলিম রেজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ও সড়ক বিভাগের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এস এম জহিরুল ইসলাম।
তীব্র গরমের মধ্যেও যশোরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে- মর্মে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নিয়ে গত ৫ মে জনস্বার্থে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)।
রিটের পক্ষে আদালতে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, যশোর-নড়াইল ছয় লেন মহাসড়কের উন্নয়ন প্রকল্প সরকার হাতে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের জন্য কোনও টেন্ডার আহ্বান করা হয়নি। তা সত্ত্বেও মহাসড়কের দুই পাশে শত শত গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে।
শুনানিতে সরকারের পক্ষে দাবি করা হয় যে, গাছ কাটা যাবে না এমন কোনও আইন দেশে নেই। গাছ কাটা বন্ধ হলে উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হবে।
তার বিপরীতে অ্যাডভোকেট মোরসেদ বলেন, মিডিয়ায় রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে যে, ২০৩০ সালে দাবদাহের অন্যতম শীর্ষ নগরী হবে ঢাকা। সুতরাং, গাছ সংরক্ষণ করে এখনই ব্যবস্থা না নিলে জনগণের ভোগান্তি দূর করা সম্ভব হবে না। এমনকি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২ অনুসারে বেঁচে থাকার অধিকার যা মৌলিক অধিকার তাও বিঘ্নিত হবে।
শুনানি শেষে যশোর-নড়াইল ছয় লেনের মহাসড়ক নির্মাণে বর্তমানে সড়কের পাশে থাকা গাছ কাটার ওপরে স্থিতি অবস্থার আদেশ জারি করেন আদালত। একই সঙ্গে আদেশে উল্লেখ করেন যে, ছয় লেন মহাসড়কের টেন্ডার আহ্বান করার পরে এই স্থিতি অবস্থার আদেশ বাতিল হবে।
সোহেলের চেয়ারম্যান পদ অবৈধ, ফেরত দিতে হবে ৫ বছরের বেতন-ভাতা
ফেনীর ছাগলনাইয়ার মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেলের উপজেলা চেয়ারম্যান পদ অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ৩৩ লাখ ২৬ হাজার ৬১৯ টাকাসহ ওই সময়ে ভোগ করা সকল সুবিধাদি ৩ মাসের মধ্যে ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এদিন ৫ বছর আগে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করা হয়।
জানা গেছে, ২০১৯ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া ফেনীর ছাগলনাইয়ার মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেলের উপজেলা চেয়ারম্যান পদ অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে যত বেতন-ভাতা ও সুবিধাদি গ্রহণ করেছেন তা ৩ মাসের মধ্যে ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রায়ে ওই সময়ের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হালিমের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। অপর প্রার্থী এ এস এম শহিদুল্লাহ মজুমদারের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
আদালতে আব্দুল হালিম ও শহিদুল্লাহ মজুমদারের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার এস এম কফিল উদ্দিন। সোহেল চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও মো. অজি উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান বলেন, ‘২০১৯ সালে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আব্দুল হালিম ও শহিদুল্লাহ মজুমদারের প্রার্থিতা বাতিল হয়। এর ফলে মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছাগলনাইয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর মধ্যে প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন বাতিল হওয়া দুই প্রার্থী। একই সঙ্গে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সোহেলকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালেই হাইকোর্ট এসব বিষয়ে রুল জারি করেন। একইসঙ্গে ছাগলনাইয়ার উপজেলা চেয়ারম্যানের গেজেট স্থগিত করেন। পরে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। তবে আইনি জটিলতায় মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিতে পারেননি। শপথ না নিয়ে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
যে তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব জব্দই থাকছে
গত ৪ মার্চ আয়কর আইনের বিধান অনুসারে বকেয়া পরিশোধের জন্য বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর নোটিশ (চিঠি) দেয় এনবিআর। বকেয়া আয়কর না দেওয়ার অভিযোগ তুলে কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে দেওয়া হয়। এরপর এর বিরুদ্ধে বেসরকারি তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ফলে তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দই থাকছে এবং তাদের কাছ থেকে বকেয়া আয়কর আদায় করা যাবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের নিয়মিত ও পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, দ্য ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ ও সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি।
আদালতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ, মুরাদ রেজা ও আইনজীবী ওমর সাদাত শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ (এসকে) মোরশেদ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, ‘আপিল বিভাগের রায়ের পর বকেয়া আয়কর আদায়ের জন্য কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআরের) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে তিনটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন করে। চেম্বার জজ আদালত এ বিষয়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়ে আবেদনগুলো নিয়মিত ও পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান।’
তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। এ অবস্থায় বকেয়া আয়কর দাবি করে ব্যাংক হিসাব জব্দের বিরুদ্ধে ওই তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ফলে তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দই থাকছে এবং তাদের কাছ থেকে বকেয়া আয়কর আদায় করা যাবে।’
নামাজের ওয়াক্ত শুরু
তারিখ : ২০ মে, ২০২৪
অনিয়ম, দুর্নীতি ও মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনজীবনে যে হতাশা নেমে এসেছে সেটিকে ঢেকে রাখতে সরকার জুলুমের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এমনই ‘ওয়াশিং মেশিন’, এর ভেতর দিয়ে ঢুকলে লুটেরা, হরিলুটকারী, টাকা পাচারকারী মহাদুর্নীতিবাজরা সাফ হয়ে যায়।
সোমবার (২০ মে) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, শীর্ষ ব্যবসায়ী কোনো অনুমতি না নিয়ে বিদেশে অর্থ সরিয়ে বিনিয়োগ করতে পারে। নিয়ম—নীতি না মেনে ক্ষমতাঘনিষ্ঠের কাছে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে। ফলে ব্যাংকিং খাতে চরম অব্যবস্থাপনা। ঋণখেলাপীর পরিমাণ এতটাই বেড়েছে যে, দেশের আর্থিক খাত এখন শূন্যের মধ্যে ঝুলছে। যেকোনো সময় এর ভয়ংকর ক্র্যাশল্যান্ডিং হতে পারে। আর তাই মিথ্যা আর বিভ্রান্তি আওয়ামী নেতাদের সারাক্ষণের নিত্যসঙ্গী।
সরকার মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, মানুষের মনোযোগকে ধূসর ও বিভ্রান্ত করার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সরকার অবিরাম বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছে। অথচ বিরোধী নেতাদের প্রতি রীতি ও শালীনতা উপেক্ষা করে ক্রমাগত বিষোদগার করা হয়। বিরোধী দলের কথাবলা, স্বাধীন মত প্রকাশ করা আওয়ামী নীতিবিরুদ্ধ।
সারাদেশকে অনতিক্রম্য কাঁটাতারের বেড়ায় ঘিরে রাখার পরও জুলুমের পরিধি বিস্তৃত করা হচ্ছে প্রতিদিন। ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী ছিলেন। অপেক্ষাকৃত এই তরুণ নেতার জনপ্রিয়তায় ডামি সরকার মনে করছে ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতায় থাকার নিদারুণ ব্যাঘাত ঘটাবে। ইশরাকের সাহসী নেতৃত্বে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী অস্বস্তিবোধ করছে। তাই প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনকে গতকাল পল্টন থানার একটি মিথ্যা মামলায় জামিন না দিয়ে সরকারের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রিজভী বলেন, আদালতের স্বাধীনতা থাকলে দুর্বল গদবাঁধা সাজানো মামলায় প্রকৌশলী ইশরাকসহ বিপুল সংখ্যক বিএনপি নেতাকর্মীকে অকারণে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশী সাজা প্রদান ও আটক রাখতে পারতো না। দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষরা এখন কারাগারে, আর টেন্ডারবাজ, তদবিবাজ, ধোঁকাবাজ, সিন্ডিকেটবাজ, চাঁদাবাজ ও ঋণখেলাপীদের দৌরাত্ম্য এখন চরমে।
আমি অবিলম্বে জনতার মেয়র ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ফরমায়েশি সাজা বাতিল এবং অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহবান জানাচ্ছি।
আমদানির বিকল্প ও ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকার পরও দেশীয় কসমেটিকস শিল্প বিকাশে সহায়তা করা হচ্ছে না। কসমেটিকস শিল্পখাতে নীতি সহায়তার পরিবর্তে বাড়তি শুল্ক ও ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। এতে নতুন উদ্যোগগুলো আরো বেশি অসম প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়ছে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা।
এদিকে কসমেটিকস শিল্প খাতের গুরুত্ব অনুধাবণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন এই শিল্পের নীতি প্রণয়নে ৪ দফার জোরালো সুপারিশ করেছে। কিন্তু রহস্যজনক কারনে সহায়তার নীতি গ্রহণ করা হচ্ছে না। সেই সুপারিশ আমলে নেয়া হচ্ছে না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই খাতের ব্যাপক গুরুত্ব দিয়ে নীতি সহায়তা দেয়া হচ্ছে। সেখানে বাংলাদেশে সম্ভাবনাময় এই খাতটিতে উল্টো নীতি গ্রহণ নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের কোন মহলের ভূমিকা রহস্যজনক এবং দেশীয় শিল্প বিরোধী। যার কারনে স্থানীয় বিনিয়োগ প্রবল অসম প্রতিযোগীতা ও ঝুঁকির মুখোমুখি হয়েছে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, কোন কোন মহলের শিল্পায়ন বিরোধী মনোভাব কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে বর্তমান সরকারের যে অগ্রাধিকার নীতি রয়েছে তার পরিপন্থি।
এ খাতের বাণিজ্য সংগঠন এসোসিয়েশন অব স্কিন কেয়ার এন্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স️ এন্ড এক্সপোর্ট️ার্স️ বাংলাদেশের (এএসবিএমইবি) কার্যকরী সদস্য মো. মনির হোসেন বলেন, এই খাতে এখনই লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে। শুধুমাত্র সরকারের নীতি সহায়তার অভাবে শিল্পের আকার ও ব্যাপকতা আটকে আছে। আমদানি বিকল্প দেশিয় শিল্পের বিকাশ ঘটলে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হয়। কর্ম️সংস্থান ছাড়াও উপরন্তু, রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জ️ন করা যায়। তাই নীতিনির্ধ️ারণে অগ্রাধিকার তালিকায় শীর্ষে️ থাকা উচিত স্থানীয় বিনিয়োগ সুরক্ষা।
তিনি বলেন, বর্ত️মানে কতিপয় মানহীন ও ভেজাল পণ্যের ছড়াছড়ির খবর প্রায়শই দেখা যায়। এসব ভেজাল পণ্য ব্যবহার করে ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছেন। পড়ে যাচ্ছেন বড় ধরণের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। তাই স্থানীয় উৎপাদনকে নীতি সহায়তা দিয়ে মানসম্মত পণ্য ক্রেতাদের জন্য সুলভ করা জরুরী। দেশে গ্লোবাল ব্র্যান্ডের উৎপাদন কার্যক্রম সম্প্রচারণে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানি সহজলভ্য করা গেলে এবং সরাসরি কসমেটিক্স পণ্যের শুল্কহার বাড়ানো হলে দেশীয় উৎপাদন ও উদ্যোগকে এগিয়ে নেয়া সহজ হবে মন্তব্য করেন বিশেষজ্ঞরা।
ট্যারিফ কমিশন তাদের সুপারিশে উল্লেখ করেছে যে, একজন স্থানীয় উৎপাদনকারীকে প্রতি পিসের একক মূল্যের উপর ১০ শতাংশ হারে সম্পুরক শূল্ক প্রদান করতে হয়। যার ফলে স্থানীয় উৎপাদনকারীর উপর সম্পূরক শুল্কের প্রভাব অনেক বেশি। কারণ আমদানিকৃত পণ্যের শুল্কায়ন মূল্যেও চেয়ে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যের সম্পূরক শুল্ক আরোপযোগ্য মূল্য অনেক বেশি। ভোক্তা বাজার সবার জন্য এক হওয়ায় প্রতিযোগীতামূলক বাজার ব্যবস্থায় স্থানীয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের বিনিয়োগ হুমকির সম্মুখীন।
এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট অর্থ️নীতিবিদ ও এনবিইআরের চেয়ারম্যান প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ বলেন, প্রায় ৩শ’ কোটি ডলারের কসমেটিকস বাজারের শিল্পে বিদ্যমান সম্পুরক শুল্ক ও ভ্যাট স্থানীয় উদ্যোক্তাদের জন্য বৈষম্যের কারণ হবে। কারণ এই শিল্পের বার্ষি️ক গড় প্রবৃদ্ধির হার সাড়ে ১২ শতাংশ। তাই দেশীয় শিল্পে বিনিয়োগ আকর্ষ️ণে নীতি সহায়তা জরুরী।
বাংলাদেশে কসমেটিকস ও স্কিনকেয়ার সামগ্রীর বার্ষিক বাজার ২১ হাজার কোটি টাকার ওপরে। এই খাত দেশের সম্ভাবনাময় একটি খাত হলেও আমদানী নির্ভর বিদেশি পণ্যের ভিড়ে দেশি কম্পানির পণ্যগুলো অনেকটা চ্যালেঞ্জের মুখে।
সরকারের পক্ষে দেশীয় এসব পণ্য জনপ্রিয় করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও সম্পূরক ভ্যাট, অতিরিক্ত শুল্ক আরোপকে বলা যায় এ খাতে অন্যতম বাধা। বর্ত️মানে স্থানীয় উৎপাদন পর্য️ায়ে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পুরক শুল্ক আরোপযোগ্য পণ্যের তালিকায় রয়েছে ওষ্ঠাধার প্রসাধন, চক্ষু প্রসাধন, হাত, নখ বা পায়ের প্রসাধন, পাউডার, সুগন্ধিযুক্ত বাথ সল্ট এবং অন্যান্য গোসল সামগ্রীসহ সংশ্লিষ্ট প্রসাধন সামগ্রী। এই খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, কসমেটিকস ও স্কিন কেয়ার পণ্যের কাঁচামাল আমদানির শুল্ক কমালে দেশীয় বাজার আরো সম্প্রসারিত হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কেননা এসব কাঁচামালের প্রায় ৯০ শতাংশই বিদেশ থেকে উচ্চমূল্যে আমদানি করতে হয়।
দেশীয় পণ্য উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কাঁচামালের শুল্ক হ্রাস, বিদেশি পণ্য আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধি, অবৈধ পথে বাজারে আসা পণ্য ঠেকানো, নকল পণ্য রোধ ইত্যাদি বিষয়ে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিলে বাংলাদেশে কসমেটিকস শিল্প খাতের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
লাইট ক্যাসেল পার্ট️নারস এবং অ্যালাইড মার্কে️ট রিসার্চে️র মতো গবেষণা সংস্থাগুলোর ভাষ্যমতে, বাংলাদেশের স্কিন কেয়ার বা পারসোনাল কেয়ার শিল্পের আনুমানিক বাজারের আকার ২০২০ সালে ছিল ১ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার। ২০২৭ সালের মধ্যে এর আকার ২ দশমিক ১২ বিলিয়নে পৌঁছাবে বলে আশা করছে তারা। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২১ থেকে ২০২৭ সাল পর্য️ন্ত ৮ দশমিক ৫ শতাংশ হারে এই শিল্প বৃদ্ধি পাবে।