‘শেখ হাসিনার দেওয়া পারফিউম নিয়মিত গায়ে মাখি’
![](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/05/20/image-274465-1716208640.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
অস্কারজয়ী সংগীত পরিচালক এ আর রাহমান অংশ নিয়েছেন চলমান ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে। সেখানে এক ফাঁকে কথা বলেছেন বাংলাদেশের একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে। যেখানে উঠে এসেছে নানা প্রসঙ্গ।
প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে এ আর রাহমান বলেন, আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছি। সেই সুযোগ আমার হয়েছে। তিনি আমাকে অসম্ভব সুন্দর একটি পারফিউমের বোতল উপহার দিয়েছেন। বেশ বড়। সেটি এখনও আমার কাছে আছে এবং নিয়মিত ব্যবহার করি। এটা আমার জন্য অসাধারণ অভিজ্ঞতা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে দুটি গান করেছেন এই সংগীত পরিচালক। বললেন সে বিষয়েও।
এ আর রাহমান বলেন, গান দুটি তৈরি করতে আমার অনেক ভালো লেগেছে। খুব এনজয় করেছি পুরো ব্যাপারটা।
মন্তব্য করুন
‘গরুর মাংস রান্না’ বিতর্কে মুখ খুললেন তারিন
বাংলাদেশের একটি রান্নার শোতে এসে গরুর মাংস রান্না শিখে বিপাকে ভারতের নির্মাতা ও অভিনেত্রী সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল ‘রাঁধুনী-এপার ওপারের রান্না’র শোয়ের একটি ভিডিও। সামাজিক মাধ্যমে তাকে নিয়ে আলোচনা চলছে। তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়েছেন তিনি।
এমনকি ‘জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা’র হুমকিও শুনতে হচ্ছে তাকে। বিতর্কের মুখে পড়ে গো-মাংস রান্না নিয়ে ক্ষমাও চেয়েছেন সুদীপা। সেই প্রসঙ্গে উঠে এসেছে বাংলাদেশের অভিনেত্রী তারিনের নামও। এবার মুখ খুললেন তারিনও।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারকে তারিন বলেন, কোন পর্বে, কী পদ রান্না হবে তার চিত্রনাট্য আগে থেকেই ঠিক করা হয়ে যায়। এই রান্নার অনুষ্ঠানকে ঘিরে যত বিতর্ক। আর আমি এই বিতর্কে না চাইতেও জড়িয়ে পড়লাম।ঈদের সময় দর্শকের কথা মাথায় রেখে গোমাংসের একটি পদ চূড়ান্ত করা হয়েছিল।সেই অনুযায়ী আমরা দর্শকদের জন্য ওই রান্না দেখিয়েছিলাম। আমি কিন্তু ওই অনুষ্ঠানে সুদীপাদিকে গোমাংস খেতে বলেছি বা আমি গোমাংস খাওয়াব বলেছি এমন নয়। আমরা খাওয়া তো দূর, ছুঁয়েও দেখিনি। ওই অনুষ্ঠানের ভিডিও যে কেউ দেখতে পারেন।
ভাইরাল ভিডিওতে তারিনকে বলতে দেখা যায়, তুমি যেহেতু গেস্ট, আমি হোস্ট হিসেবে তোমাকে রান্না করে খাওয়াব। ইনফ্যাক্ট দর্শকদের রান্না করে দেখাব গরুর মাংসের কোফতা।
তারিন বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, বকরি ঈদে আমরা গোমাংসের পদ রান্না করি। কিন্তু একজন অতিথিকে ঈদের সময় তো বলতে পারব না, আমি তোমাকে খাওয়াব না! তাই ‘খাওয়াব না’ কথাটা বলিনি। আবার ‘গোমাংস খাওয়াব’ও বলিনি।
‘আমি গরুর মাংস খাওয়া তো দূর-অস্ত, রান্নাও করিনি। এমনকি ছুঁইওনি’-বলেছেন সুদীপা। ভিডিওতে তারিনকেই মাংস রান্না করতে দেখা গিয়েছে, তবে রান্না শেষে হাতার মাধ্যমে গরুর মাংসের কোফতা পরিবেশনে তারিনকে সাহায্য করেন সুদীপা। আর সেই ভিডিও প্রকাশ হতেই দুই বাংলায় ব্যাপক তোপের মুখে পড়েছেন তারিন ও সুদীপা। শিগগিরই মানসী সিনহার সিনেমার শুটিংয়ে কলকাতায় আসবেন তারিন। তাঁকে সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই হুমকি দিচ্ছেন, সেই নিয়েও উদ্বিগ্ন তারিন।
![‘গরুর মাংস রান্না’ বিতর্কে মুখ খুললেন তারিন](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/28/image-280308-1719584629.jpg)
কে-পপ শোনার অপরাধে যুবককে প্রকাশ্যে হত্যা
সময়ের সঙ্গে বাড়ছে কে-পপ গানের জনপ্রিয়তা। বিশ্বজুড়েই তাদের ভক্ত আছে। কে-পপের বেশির ভাগ ভক্ত তরুণ। এবার কে-পপ গান শোনার অপরাধে প্রাণ গেল এক যুবকের। দক্ষিণ কোরিয়া ও উত্তর কোরিয়ার শত্রুতা বহুদিনের। দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এই শত্রুতার বলি হতে হলো ২২ বছর বয়সী এক যুবককে।
সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০২২ সালে কে-পপ গান শোনা এবং দক্ষিণ কোরিয়ান চলচ্চিত্র দেখার অপরাধে এক যুবককে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তথ্যটি ৬৪৯ জন উত্তর কোরিয়া ত্যাগ করা ব্যক্তির সাক্ষ্য থেকে নেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াংহাই প্রদেশের সেই যুবকের বিরুদ্ধে ৭০টি কে-পপ গান শোনা এবং ৩টি দক্ষিণ কোরিয়ান সিনেমা দেখার অভিযোগ রয়েছে।
উত্তর কোরিয়ায় বিনোদনের পেছনে অতিরিক্ত খরচ করা নিষিদ্ধ। যারা এই নিয়ম লঙ্ঘন করে, তাদের কঠিন শাস্তি দেয়া হয়। উত্তর কোরিয়ার বাসিন্দাদেরকে পশ্চিমী সংস্কৃতি থেকে দূরে রাখার জন্যই এই আইন করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার সরকার মনে করে কে-পপ গান শুনলেও জনগণের ওপরে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
প্রতিবেদনটিতে মূলত বাইরের সংস্কৃতির প্রবাহকে আটকানোর জন্য পিয়ংইয়ংয়ের মরিয়া প্রচেষ্টাকে তুলে ধরা হয়েছে। নববধূদের সাদা পোশাক পরা, বরের সানগ্লাস পরা বা ওয়াইন গ্লাস থেকে অ্যালকোহল পান করা এসব বিষয়কে দক্ষিণ কোরিয়ার রীতি হিসেবে দেখা হয়। স্কিনি জিন্স এবং টি-শার্টের পাশাপাশি রঙ্গিন বা লম্বা চুলেও নিষেধাজ্ঞা আছে উত্তর কোরিয়ায়।
![কে-পপ শোনার অপরাধে যুবককে প্রকাশ্যে হত্যা](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/29/image-280443-1719667530.jpg)
আজ সে নেই, গান আছে: পূর্ণী
বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার পরিচিত মুখ কণ্ঠশিল্পী পারশা মাহজাবীন পূর্ণী। গানের পাশাপাশি নাটক, বিজ্ঞাপন ও ওভিসিতে অভিনয় করেছেন।
এদিকে এতদিন অন্যদের লেখা ও সুর করা গানে কণ্ঠ দিলেও এবারই প্রথম নিজের লেখা ও সুর করা গানে কণ্ঠ দিলেন পূর্ণী। আরটিভি আয়োজিত ঈদের বিশেষ আয়োজন ‘ফোক স্টেশনে’ সিজন ৬-এ ‘মানুষ পাখি’ শিরোনামের গানটি গেয়ে দর্শক মহলে বেশ জায়গা করে নিয়েছেন। গানটি আরটিভি মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে শুক্রবার (২৮ জুন) মুক্তি পেয়েছে।
নতুন এই গানটি নিয়ে বেশ আবেগী পারশা মাহজাবীন পূর্ণী, যা তার ফেসবুকে একটু ঢুঁ দিলেই বোঝা যায়। নতুন গানটি শেয়ার দিয়ে ক্যাপশনে এই গায়িকা লেখেন, আমার নিজের লেখা, নিজের সুর করা একটি গান। অনেক দিন আগে লিখে ছিলাম একজনের জন্য। সে নেই! গান আছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু কভার গান করে অনুপম রায়-তাহসানসহ অনেকেরই নজর কাড়েন পারশা। নিজ হাতে গ্লাসে পানি ঢেলে চামচের সাহায্যে তাতে প্রচলিত গানের সুর তুলে জলতরঙ্গ তৈরি করে বিপুল আলোচনায় আসেন তিনি। এর পর কিছু নাটকের গানে কণ্ঠ দিতে দেখা যায় তাকে। তাহসান-তানজিন তিশার লাইট ক্যামেরা একশন, ইয়াশ রোহান-তটিনীর ‘যে প্রেম এসেছিল’, তিশার ‘পুতুলের সংসার’, জোভান ও কেয়া পায়েলের ‘কপি পেস্ট’ নাটকের থিম সং গুলোতে কন্ঠ দেন তিনি। তার নিজের চ্যানেলে প্রথম মৌলিক গান ‘প্রথম প্রেমের গান’। গেল বছর সেপ্টেম্বরে তুমুল জনপ্রিয় বলিউড তারকা ও কণ্ঠশিল্পী দার্শান রাভালের সাথে আইসিসিবির কন্সার্টে একই মঞ্চ শেয়ার করেন পারশা।
বর্তমানে লেখাপড়া করছেন নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ ডিপার্টমেন্টে। সামনে আসছে আরও বেশ কিছু কাজ। ইতোমধ্যে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ইমরান মাহমুদুল ও মাহতিম সাকিবের সাথে দুটো গানে কণ্ঠ দিয়েছেন পারশা। কাজ করছেন ‘চলো নিরালায়’ খ্যাত মিউজিক ডিরেক্টর নাভেদ পারভেজের সাথেও। সেগুলোও এখন রিলিজ হওয়ার অপেক্ষায়।
![আজ সে নেই, গান আছে: পূর্ণী](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/29/image-280454-1719673819.jpg)
এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ব্যান্ডের নাম, যা বললেন ব্যান্ড সদস্যরা
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে রোববার (১জুলাই)। বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্রের মধ্যদিয়ে শুরু হয় ২০২৪ সালের পরীক্ষা। এবার লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে নেটদুনিয়ায় চলতে তুমুল আলোচনা! কারণ, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রগুলো সাজানো হয়েছে বাংলা ব্যান্ডের নামে, যা এখন রীতিমত ভাইরাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
ভাইরাল হওয়া ছবিগুলোতে দেখা যায়, এইচএসসির ঢাকা বোর্ডের প্রশ্ন কোড ছিল ক্যাকটাস, রাজশাহী বোর্ডে লালন, চট্টগ্রাম বোর্ডে মাইলস, ময়মনসিংহ বোর্ডে পরশপাথর, কুমিল্লা বোর্ডে পেন্টাগন, বরিশাল বোর্ডে অবসকিউর, যশোর বোর্ডে প্রমিথিউস ও দিনাজপুর বোর্ডের প্রশ্নে মেঘদল ব্যান্ডের নাম!
এ ছাড়াও বিভিন্ন বোর্ডের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নেপত্রে ওয়ারফেজ, অ্যাশেস, আভাস, চিরকুট ও ফিডব্যাক ব্যান্ডের নামও দেখা গেছে, যা নজরে এসেছে সংশ্লিষ্ট ব্যান্ডগুলোর সদস্যদেরও। এসব প্রশ্নপত্র শেয়ারও করছেন তারা।
এর মধ্যে মেঘদল ব্যান্ডের দলনেতা ও ভোকাল শিবু কুমার শীল প্রশ্নপত্রগুলো শেয়ার করে লিখেছেন, ২০২৪ এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন কোডে ‘মেঘদল’! বেশ মজা পেলাম ব্যাপারটায়। আরো অনেক ব্যান্ডের নাম ব্যবহৃত হয়েছে প্রশ্নকোডে।
অ্যাশেজ ব্যান্ডের দলনেতা ও ভোকাল জুনায়েদ ইভান লিখেছেন, ২০২৪ এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন কোড সাজানো হয়েছে বাংলা ব্যান্ডের নামকরণ দিয়ে। এবার প্রশ্নের সেট সাজানো হয়েছে অ্যাশেজ, মাইলস, ওয়ারফেজ, চিরকুট, লালন, আভাস, অবসকিউর ব্যান্ডের নাম দিয়ে। নিশ্চয়ই বাংলা ব্যান্ডের জন্য এ উদ্যোগ মাইলফলক হয়ে থাকবে।
এদিকে মাইলস ব্যান্ডের সদস্য হামিন আহমেদ ফেসবুকে প্রশ্নপত্র পোস্ট করে বিষয়টিকে চমৎকার বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, আমি তো জানতাম না। ভক্তরা পোস্ট করে ট্যাগ করেছে। কেউ কেউ জানতেও চেয়েছে, হামিন ভাই, দেখছেন এটা? আমি দেখে প্রথমে ভাবলাম, কেউ হয়তো বানিয়ে করছে। অনেকে আবার এমনও মন্তব্য করছে, আমি মাইলস সেটের প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা দিয়ে এলাম!
হামিন আহমেদ বলেন, ব্যান্ডের একটা দারুণ বিপ্লব ঘটেছে। ব্যান্ড থেকে যে গানগুলো হয়েছে, সারা পৃথিবীতে ব্যান্ডদল যে পারফর্ম করে বেড়াচ্ছে, এটার একটাই কারণ মানুষের জীবনের সঙ্গে ব্যান্ডের এই গানগুলো মিশে আছে। গানগুলো সত্যিই ভালো গান। মানুষ কখনো ব্যান্ডের এই গানগুলো ছেড়ে যাবে না। এই যে গানগুলো থেকে ব্যান্ডের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা, তা সত্যিই অতুলনীয়। বিষয়টা হচ্ছে, আমরা তো ব্যান্ডের সবাই বাংলাদেশ ও বাঙালির রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে আছি। তারুণ্যকে উদ্দীপ্ত করছি। যে ভদ্রলোক প্রশ্নপত্র তৈরিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত, তার অনুভূতি কতটা গভীর হলে যেখানে নদীর নাম বা ফুলের নাম ব্যবহার করা হতো, সেখানে ব্যান্ডের নামে প্রশ্নপত্রের সেটের নাম দিয়েছেন! তিনি কিন্তু একটা স্টেটমেন্ট দিয়েছেন, যেটা এমন—ব্যান্ডের নামটাও এভাবে উচ্চারিত হওয়া উচিত। অবশ্যই এটা প্রশংসার দাবিদার।
এমন ঘটনায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের রক মিউজিক গবেষক গৌতম কে শুভ। দীর্ঘ এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, যেই দেশে আগে সরাসরি ব্যান্ডসংগীতকে অপসংস্কৃতি বলা হতো। এখনো মুরুব্বীরা বাঁকা চোখেই দেখেন এই ব্যান্ড মিউজিক কালচারকে। স্বাধীনতার পর গুরু আজম খান যখন পাড়া-মহল্লা কাঁপায়ে টিভিতে সবে ঢুকেছে তখন রটিয়ে দেওয়া হলো তিনি নাকি পোলাপানদের নষ্ট বানাচ্ছেন। আশির দশকেও অনেক টিপন্নি শুনতে হয়েছে ব্যান্ড মিউজিককে। আর উত্তাল নব্বইয়েও কম কথা শুনতে হয়নি তথাকথিত সুশীল সমাজের। এখন সেই দেশের এইচএসসি পরীক্ষার মত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কোডনাম।
তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে অবাক হয়েছি পশ্চিমবাংলার পরশপাথর, দোহার, ক্যাকটাস, নিওন এর নাম দেখে! যিনি এই নামকরণ প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন তিনি কলকাতার ‘পরশপাথর’ ব্যান্ডও শুনেছেন। এক সময়ের কলকাতায় মোটামুটি জনপ্রিয় এই ব্যান্ডের গান শুনেছেন এমন লোক তো বাংলাদেশে খুবই কম। আমাদের এই প্রজন্ম তো এই ব্যান্ডটার নামই জানে না, এমনকি পশ্চিমবাংলার এই প্রজন্মও। সবচেয়ে সবচেয়ে সবচেয়ে ভয়ংকর চমৎকার ব্যাপারে ‘নিওন’ নামে একটি কলকাতার ব্যান্ডের নামও লিখেছে এরা। এই ব্যান্ডের কোনো রিলিজড গান নেই যতদূর জানি। লাইভ কনসার্টে ছিল। এই ব্যান্ডও শুনেছে! কীভাবে! অনুমান করছি, বোর্ডের প্রশ্নপত্রের নামকরণ করা লোকটি নব্বই দশকে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছিলেন; ছিলেন বাংলা ব্যান্ডের ফ্যান। এখনও যিনি ব্যান্ড শোনেন।
![এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ব্যান্ডের নাম, যা বললেন ব্যান্ড সদস্যরা](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/07/02/image-280876-1719923448.jpg)
এবার ‘ছাগলকাণ্ড’ নিয়ে গান
দেশজুড়ে আলোচিত ‘ছাগলকাণ্ড’ এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও এক খামারির বেপরোয়া কথাবার্তা নিয়ে তৈরি হলো গান।
জনপ্রিয় লোকসঙ্গীত ‘মরার কোকিলে’ গানের সুর অবলম্বনে এই প্যারোডি গান লিখেছেন রফিক সুলায়মান।
গানটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মরার কোকিলে গানের কালজয়ী সুরে বাংলার আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত। এই গানের সুর আমার হৃদয়ে স্থায়ী রেখাপাত করে আছে। তাই দুর্নীতিবিরোধী গান লেখার সময় এই লোকপ্রিয় সুরটিই মাথায় ছিল।
গানটির যন্ত্রানুষঙ্গ পরিচালনার পাশাপাশি কণ্ঠও দিয়েছেন শিল্পী কেডি উজ্জ্বল। তিনি বলেন, বিখ্যাত একটি লোকসঙ্গীতের সুর অবলম্বনে রচিত গানে কণ্ঠ দিতে পেরে আমি গর্বিত। আশা করি তীর্যক হাসির গানের মূল রূপ এখানে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি।
গানটি ইউটিউব পিএনএস অনলাইনে অবমুক্ত হয়েছে।
![এবার ‘ছাগলকাণ্ড’ নিয়ে গান](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/07/04/image-281110-1720083758.jpg)
ঢাকায় আসছেন নচিকেতা, গাইবেন অর্ণবের সঙ্গে
দুই বাংলার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী আবারও আসছেন ঢাকার মঞ্চ মাতাতে। সব ঠিক থাকলে আগামী ১২ জুলাই রাজধানীর হাতিরঝিল এম্ফিথিয়েটারে বসবে তার গানের আসর। আয়োজক প্রতিষ্ঠান ব্লুব্রিক কমিউনিকেশনস এবং ইঙ্কওয়েল এন্টারপ্রাইজের পক্ষ থেকে এমনটা জানানো হয়েছে।
১২ জুলাই (শুক্রবার) বিকেলে শুরু হয়ে ‘ঢাকা মেল্যাঙ্কলি’ শিরোনামের এই কনসার্টটি চলবে রাত পর্যন্ত।
জানা গেছে, এই কনসার্টে নচিকেতার সঙ্গে মঞ্চ মাতাবেন শায়ান চৌধুরী অর্ণব, আরমিন মুসা ও আহমেদ হাসান সানি। ইতোমধ্যে কনসার্টের টিকিট অনলাইনে বিক্রি শুরু হয়েছে।
এর আগেও বহুবার বাংলাদেশে কনসার্ট করেছেন নচিকেতা। পরিবেশন করেছেন নিজের জনপ্রিয় সব গান। তারই ধারাবাহিকতায় আবারও এই জীবনমুখী গানের শিল্পী আসছেন ভক্তদের সুন্দর একটি সংগীতসন্ধ্যা উপহার দিতে।
![ঢাকায় আসছেন নচিকেতা, গাইবেন অর্ণবের সঙ্গে](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/07/05/image-281258-1720172875.jpg)
শত কোটি টাকায় অনন্ত আম্বানির বিয়েতে গাইবেন জাস্টিন বিবার
চলতি বছরের মার্চে ভারতের জামনগরে প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গোটা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল ভারতের সবচেয়ে ধনী ও অভিজাত আম্বানি পরিবার। বিয়ের অনুষ্ঠানে বিশ্বের বড় বড় ব্যক্তিত্বদের ভারতে উড়িয়ে নিয়ে এসেছিলেন মুকেশ আম্বানি। বিল গেটস, জাকারবার্গ, রিয়ান্নাদের সরব অংশগ্রহণ ছিল। প্রাক বিয়ের অনুষ্ঠানেও থাকছে চমক। হলিউড থেকে গায়ক-গায়িকাদের উড়িয়ে আনছেন।
ইতালি, গুজরাট, জামনগর হয়ে মুম্বাইতে বসেছে প্রাক বিয়ের অনুষ্ঠানের শেষ ধাপের আসর। এবারের আয়োজনে গান শোনাতে দেখা যাবে বিশ্বখ্যাত কণ্ঠশিল্পী জাস্টিন বিবারকে। এরইমধ্যে মুম্বাইয়ে পা রেখেছেন গায়ক।
এদিকে অনেকের জানার ইচ্ছা, আম্বানীপুত্রের বিয়েতে গাইতে কত টাকা নিচ্ছেন জাস্টিন বিবাব। এবার মিলল সে উতর। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছেলের বিয়েতে এবার জাস্টিন বিবারকে গাওয়ানোর জন্য মুকেশ আম্বানিকে গুনতে হয়েছে ১০ মিলিয়ন ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় দাঁড়ায় ১১৭ কোটি টাকা প্রায়।
এর আগে ইতালিতে আয়োজিত প্রাক বিয়ের অনুষ্ঠানে গেয়েছিলেন শাকিরা। তিনিও মোটা অর্থ গুনে নিয়েছিলেন। এ ধরনের আয়োজনে গাইতে ১০-১৫ কোটি রুপি নিলেও আম্বানিপুত্রের বিয়েতে নিয়েছিলেন ৭৫ কোটি রুপি।
শুক্রবার ( ৫ জুলাই) অনন্ত ও রাধিকার সঙ্গীত অনুষ্ঠান। এতে পারফর্ম করতে মুম্বাইয়ে পা রাখলেন জনপ্রিয় পপতারকা জাস্টিন বিবার। মার্চে তাদের জামনগরে অনুষ্ঠিত গ্র্যান্ড প্রি-ওয়েডিং সেলিব্রেশনে পারফর্ম করেছিলেন রিয়ান্না, দিলজিৎ দোসাঞ্জ, শাহরুখ খান, সালমান খান, আমির খান ও অক্ষয় কুমাররা। আর এবার মুম্বাইয়ে অনন্ত-রাধিকার সঙ্গীতের মঞ্চ কাঁপাবেন জনপ্রিয় এই পপ তারকা।
এদিকে আগামী ১২ জুলাই সাতপাকে বাধা পড়বেন অনন্ত-রাধিকা। তার আগে বুধবার হয়ে গেল রাধিকার গুজরাটি বিয়ের অন্যতম অংশ। এই অনুষ্ঠানে কনের মামা ভাগ্নিকে মিষ্টিমুখ করান। এই অনুষ্ঠানেও অংশ নেন বলিউড তারকারা। দেখা গেছে জাহ্নবী কাপুর, শিখর পাহাড়িয়ার মতো বলিউডি তারকাদের।
এদিকে ছেলের বিয়ে উপলক্ষে একটি গণ বিয়ের আয়োজন করেছিল আম্বানি দম্পতি। এতে ৫০টির বেশি বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এতে উপস্থিত হয়েছিলেন ৮০০ জন।
![শত কোটি টাকায় অনন্ত আম্বানির বিয়েতে গাইবেন জাস্টিন বিবার](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/07/05/image-281315-1720192865.jpg)