‘শেখ হাসিনার দেওয়া পারফিউম নিয়মিত গায়ে মাখি’
অস্কারজয়ী সংগীত পরিচালক এ আর রাহমান অংশ নিয়েছেন চলমান ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে। সেখানে এক ফাঁকে কথা বলেছেন বাংলাদেশের একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে। যেখানে উঠে এসেছে নানা প্রসঙ্গ।
প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে এ আর রাহমান বলেন, আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছি। সেই সুযোগ আমার হয়েছে। তিনি আমাকে অসম্ভব সুন্দর একটি পারফিউমের বোতল উপহার দিয়েছেন। বেশ বড়। সেটি এখনও আমার কাছে আছে এবং নিয়মিত ব্যবহার করি। এটা আমার জন্য অসাধারণ অভিজ্ঞতা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে দুটি গান করেছেন এই সংগীত পরিচালক। বললেন সে বিষয়েও।
এ আর রাহমান বলেন, গান দুটি তৈরি করতে আমার অনেক ভালো লেগেছে। খুব এনজয় করেছি পুরো ব্যাপারটা।
মন্তব্য করুন
শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে হিরো আলমের টিকটক, মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষোভ
আলোচিত-সমালোচিত ইউটিউবার ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। বিভিন্ন সময় নানা কর্মকাণ্ড করে সংবাদের শিরোনামে আসেন। এবার এই সমালোচিত ইউটিউবার ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে টিকটক ভিডিও বানিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তার সঙ্গে বিপাকে পড়েছেন তার সঙ্গী রিয়া মনিও।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার খুনিয়াদিঘি স্মৃতিস্তম্ভে জুতা পরে তারা টিকটক ভিডিও করেন। এ সময় উপস্থিত দর্শকরা টিকটক ভিডিওটি তাদের মোবাইলে ধারণ করেন। পরে তা মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গেছে, রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ওরশ মেলায় রাজমনি সার্কাসে নাচ গান করতে গিয়েছিলেন হিরো আলম ও তার সঙ্গী মডেল রিয়া মনি। পরে রাণীশংকৈলের মুক্তিযুদ্ধের স্মারক খুনিয়াদিঘি শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে টিকটক ভিডিও বানান হিরো আলম। একপর্যায়ে এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে এ নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা রিয়াজুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জুতা পরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে নাচ গান করা শহীদদের প্রতি চরম অবমাননা, যা বরদাস্ত করা যায় না। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করা হবে।
এ বিষয়ে নেকমরদ মেলা কমিটির সেক্রেটারি রুহুল আমীন বলেন, বিষয়টি জেনেছি। এরই মধ্যে হিরো আলম সার্কাসে রাতের শো শেষ করে চলে গেছেন।
এদিকে বিষয়ে রাণীশংকৈল থানার ওসি আরশেদুল হক বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, এ বিষয়ে আমরা অবগত আছি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও অবমাননাকর। থানার ওসির সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরটিভি/এএ/এআর
শাহরুখের থাপ্পড় ইস্যুতে মুখ খুললেন হানি সিং
বলিউড বাদশা শাহরুখ খান সিনেমায় পাঞ্জাবি গায়ক হানি সিংয়ের কণ্ঠে ঠোঁট মিলিয়েছেন। তাদের মধ্যকার সম্পর্কও ছিল চমৎকার। তবে কয়েক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে একটি খবর।দাবি করা হয়- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠান করতে গিয়ে হোটেল রুমে ঢুকে হানি সিংয়ের ওপর চড়াও হন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান।
শুধু তাই নয়, সে সময় ভারতীয় কিছু সংবাদমাধ্যমের দাবি ছিল- হানি সিং’কে শাহরুখ এত জোরে চড় মারেন, যে আহত হন গায়ক। তার কপাল থেকে নাকি রক্তও বেরিয়েছিল। যে কারণে সেদিন আর মঞ্চে পারফর্ম করতে পারেননি হানি। ওই সময় এই ঘটনা নিয়ে বলিপাড়ায় আলোচনা হয়েছিল প্রচুর। এবার ওই ঘটনার ৯ বছর পর তা নিয়ে মুখ খুললেন হানি সিং। প্রকাশ্যে আনলেন রটে যাওয়া ঘটনার সত্যতা।
সম্প্রতি ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে হানি সিংয়ের জীবনের ওপর তৈরি তথ্যচিত্র। আর সেই তথ্যচিত্রেই আসল গল্পটা ফাঁস করলেন তিনি।
গায়ক জানান, শাহরুখ কখনই আমার গায়ে হাত তুলবেন না। উনি এমন মানুষই নন। আমাকে খুবই ভালোবাসেন কিং খান। আমাদের মধ্যে দাদা-ভাইয়ের সম্পর্ক। তাই শাহরুখ আমাকে মেরেছে সেটা একেবারেই মিথ্যা। আসলে সেদিন আমার মঞ্চে উঠতে ইচ্ছে করছিল না। মনে হচ্ছিল, মঞ্চে উঠলেই মরে যাব। তাই প্রথমে হোটেলের রুমে ঢুকে মাথার সব চুল কেটে ফেললাম। তারপর নিজের মাথায় একটা কফির মগ ভাঙলাম। এতেই আহত হই। এসব করেই সেদিনের শো আটকে ছিলাম।
হানি সিংয়ের এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন, তার বোনও। তিনি জানান, এই ঘটনার পরই মাথায় রক্ত নিয়ে ফোন করে হানি। আমরা তো খুবই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। এর নেপথ্যে শাহরুখের কোনো দোষ নেই।
আরটিভি /এএ/এস
বিপিএলের কনসার্টে সাড়ে ৩ কোটি টাকা নেবেন রাহাত, কমানো হলো টিকিটের দাম
‘স্পিরিটস অব জুলাই’-এ যোগ দিতে বাংলাদেশে এসেছেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় গায়ক রাহাত ফতেহ আলী খান। তবে আগামী ২৩ ডিসেম্বর বিপিএল টি-টোয়েন্টি মিউজিক ফেস্টেও গান গাইবেন তিনি।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের বিসিবি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সভা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় বিপিএল টি-টোয়েন্টি মিউজিক ফেস্টে গান গাইতে ২ লাখ ৮৬ হাজার ডলার বা ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নেবেন এই শিল্পী। বিসিবি পরিচালনা পর্ষদ এরই মধ্যে রাহাত ফতেহ আলী খানকে এই টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
এ বিষয়ে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, ‘বিপিএল মিউজিক ফেস্ট উপলক্ষে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে অনুষ্ঠেয় তিনটি অনুষ্ঠানের জন্য টাইটেল স্পনসর স্বত্ব কিনেছে মধুমতি ব্যাংক। এ বাবদ বিসিবিকে তারা দেবে ৪ কোটি টাকা, যার প্রায় পুরোটাই যাবে রাহাত ফতেহ আলীর পেছনে।’
এদিকে কমানো হয়েছে বিপিএল মিউজিক ফেস্টের টিকেটের মূল্য। এই অনুষ্ঠানের জন্য প্লাটিনাম টিকিটের মূল্য ৮ হাজার, গোল্ড ৬ হাজার, সিলভার ৪ হাজার, গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড ১ হাজার ৫০০ ও ক্লাব হাউজের টিকিট ৫০০ টাকা ধরা হয়েছে।
এদিকে শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ‘ইকোস অব রেভল্যুশন’ শীর্ষক কনসার্ট। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের সাহায্যার্থে আয়োজিত এ কনসার্টে গান গাইবেন বিশ্বখ্যাত সংগীতজ্ঞ উস্তাদ রাহাত ফতেহ আলী খান। বিনা পারিশ্রমিকে তার জনপ্রিয় গানগুলো পরিবেশন করার কথা রয়েছে।
আরটিভি/এসএপি-টি
আন্দোলন থেকে পাঠ্যবইয়ে র্যাপার হান্নান ও সেজান
গেল বছর স্বৈরাচারী সরকারের পতনের জন্য ছাত্র-জনতা মাঠে নেমেছিল। জুলাইয়ের আন্দোলনে উত্তাল ছিল সারা দেশ। তবে সেই আন্দোলনেও দেখা গিয়ে ছিল বিভক্তি। দেশের বেশির ভাগ সংগীতশিল্পী যখন মুখে প্রায় কুলুপ এঁটেছিলেন, ঠিক তখনই শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে আগুন ঢেলে দিয়েছিলেন দুই তরুণ র্যাপার হান্নান হোসাইন শিমুল এবং মোহাম্মদ সেজান। সেই কণ্ঠযোদ্ধারা এবার ঠাঁই করে নিয়েছেন পাঠ্যবইয়েও।
সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইতে বলা হয়েছে, আপনি কি সেজানের ‘কথা ক’ গানটি শুনেছেন? আগের প্রজন্মের শিল্পীরা গানকে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে ব্যবহার করতে ভয় পেলেও সেজান ও হান্নানের মতো শিল্পীরা সে সাহস দেখিয়েছেন।
‘নতুন প্রজন্ম’ শিরোনামে ইংরেজি পাঠ্যবইয়ের সেই লেখায় বলা হয়েছে, তাদের র্যাপ গানগুলো ২০২৪ সালের জুলাই বিদ্রোহের সংগীতে পরিণত হয়েছিল। নতুন প্রজন্ম আর ভয় পায় না; তারা সাহসী এবং ব্যতিক্রম।
নারায়ণগঞ্জের তরুণ র্যাপার হান্নানের ‘আওয়াজ উঠা’ গানটি প্রকাশের মাত্র এক সপ্তাহ পরেই ২৫ জুলাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১২ দিন কারাবাস শেষে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি মুক্তি পান।
অন্যদিকে, ১৬ জুলাই প্রকাশের পরপরই সেজানের ‘কথা ক’ গানটিও জুলাই বিদ্রোহের অন্যতম অংশ হয়ে ওঠে।
আরটিভি/এএ/এস
আন্দোলন থেকে পাঠ্যবইয়ে র্যাপার হান্নান ও সেজান, যা বললেন তারা
গেল বছর স্বৈরাচারী সরকারের পতনের জন্য ছাত্র-জনতা মাঠে নেমেছিল। জুলাইয়ের আন্দোলনে উত্তাল ছিল সারা দেশ। তবে সেই আন্দোলনেও দেখা গিয়ে ছিল বিভক্তি। দেশের বেশির ভাগ সংগীতশিল্পী যখন মুখে প্রায় কুলুপ এঁটেছিলেন, ঠিক তখনই শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে আগুন ঢেলে দিয়েছিলেন দুই তরুণ র্যাপার হান্নান হোসাইন শিমুল এবং মোহাম্মদ সেজান। সেই কণ্ঠযোদ্ধারা এবার ঠাঁই করে নিয়েছেন পাঠ্যবইয়েও।
সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইতে বলা হয়েছে, আপনি কি সেজানের ‘কথা ক’ গানটি শুনেছেন? আগের প্রজন্মের শিল্পীরা গানকে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে ব্যবহার করতে ভয় পেলেও সেজান ও হান্নানের মতো শিল্পীরা সে সাহস দেখিয়েছেন।
‘নতুন প্রজন্ম’ শিরোনামে ইংরেজি পাঠ্যবইয়ের সেই লেখায় বলা হয়েছে, তাদের র্যাপ গানগুলো ২০২৪ সালের জুলাই বিদ্রোহের সংগীতে পরিণত হয়েছিল। নতুন প্রজন্ম আর ভয় পায় না; তারা সাহসী এবং ব্যতিক্রম।
নারায়ণগঞ্জের তরুণ র্যাপার হান্নানের ‘আওয়াজ উঠা’ গানটি প্রকাশের মাত্র এক সপ্তাহ পরেই ২৫ জুলাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১২ দিন কারাবাস শেষে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি মুক্তি পান।
অন্যদিকে, ১৬ জুলাই প্রকাশের পরপরই সেজানের ‘কথা ক’ গানটিও জুলাই বিদ্রোহের অন্যতম অংশ হয়ে ওঠে।
এদিকে, পাঠ্যবইয়ে নিজের নাম দেখে আপ্লুত মুহাম্মদ সেজান ও হান্নান। হান্নান বলেন, এখন গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, বাংলা র্যাপ বহুত বড় ব্যাপার, এডা অহন আর আন্ডারগ্রাউন্ডে নাই। সবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। এখন আমাদের গল্প বইয়ের পাতায় পড়তে পারবেন সবাই।
মুহাম্মদ সেজান বলেন, এই র্যাপ সংগীত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টার ড্রপ করেছি। এখন স্কুলে আমাদের গল্প পড়ানো হবে। জনগণের কাছে চিরকৃতজ্ঞ আমরা।
আরটিভি /এএ
যে জেলার জামাই হচ্ছেন তাহসান
কোনো রকমের পূর্বাভাস বা গুঞ্জন ছাড়াই দ্বিতীয়বারের মতো বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন জনপ্রিয় গায়ক ও অভিনেতা তাহসান খান। শনিবার (৪ জানুয়ারি) ভোর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাহসানের বিয়ের আয়োজনের ছবি ভাইরাল হয়। এরপর থেকেই নেটিজেনরা নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাচ্ছেন।
জানা গেছে, বরিশালের মেয়ে রোজা আহমেদ। এর আগে তিনি ইনস্টাগ্রামে জানিয়েছিলেন, বরিশাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের যাওয়ার গল্পটা সহজ ছিল না। তার শৈশব কেটেছে বরিশালেই।
উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে কসমেটোলজিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি কসমেটোলজি লাইসেন্স অর্জন করেন এবং নিউ ইয়র্কের কুইন্সে প্রতিষ্ঠা করেন ‘রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার’। এটি এখন ব্রাইডাল মেকআপ শিল্পের অন্যতম সফল একটি প্রতিষ্ঠান।
দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে রোজা বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রে ব্রাইডাল মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। পাশাপাশি তিনি একজন প্রশিক্ষক হিসেবে নারীদের কসমেটোলজিতে দক্ষ করে তুলছেন এবং তাদের উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য প্রেরণা দিচ্ছেন। তার ফেসবুক পেজ ‘রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার’–এ নয় লাখেরও বেশি অনুসারী রয়েছে।
এদিকে, কনের সঙ্গে ফেসবুকে প্রথম ছবি পোস্ট করলেন গায়ক এবং অভিনেতা তাহসান খান। শনিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ১৪ মিনিটে। অল্প সময়ের মধ্যে মন্তব্যের ঘরে মতামত জানিয়েছেন হাজারো ভক্ত অনুরাগী।
ছবিতে হালকা গহনার সঙ্গে শাড়ি পরেছেন কনে রোজা আহমেদ। ম্যাচিং করা পাঞ্জাবি পরেছে তাহসান। দুজনের মুখের হাসি বলে দিচ্ছে, সময়টা দারুণ কাটছে তাদের।
ছবির ক্যাপশনে তাহসান গানের চারটি লাইন যুক্ত করে দিয়েছেন- কোনো এক ছুটির দিনে যখন আমি পিয়ানোতে, আমার সুরে নাচের মুদ্রায়, সেই তুমি কে? যার ছন্দের মুগ্ধতায় কেটে যাবে বাকিটা জীবন ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপে, সেই তুমি কে?
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালের ৭ আগস্ট তাহসান খান অভিনেত্রী মিথিলার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের ঘর আলো করে আসে কন্যা সন্তান আইরা তাহরিম খান। তবে ২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর হঠাৎই তারা সেই সম্পর্কের ইতি টানেন। এক যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে তারা তাদের বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন।
আরটিভি/এএ/এআর
বাবাকে নিয়ে তাহসানের স্ত্রীর আবেগঘন স্ট্যাটাস ভাইরাল
কোনো রকমের পূর্বাভাস বা গুঞ্জন ছাড়াই দ্বিতীয়বারের মতো বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন জনপ্রিয় গায়ক ও অভিনেতা তাহসান খান। শনিবার (৪ জানুয়ারি) ভোর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাহসানের বিয়ের আয়োজনের ছবি ভাইরাল হয়। এরপর থেকেই নেটিজেনরা নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাচ্ছেন।
এদিকে শনিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
জানা গেছে, বরিশালের মেয়ে রোজা আহমেদ। এর আগে তিনি ইনস্টাগ্রামে জানিয়েছিলেন, বরিশাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের যাওয়ার গল্পটা সহজ ছিল না। তার শৈশব কেটেছে বরিশালেই।
উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে কসমেটোলজিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি কসমেটোলজি লাইসেন্স অর্জন করেন এবং নিউ ইয়র্কের কুইন্সে প্রতিষ্ঠা করেন ‘রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার’। এটি এখন ব্রাইডাল মেকআপ শিল্পের অন্যতম সফল একটি প্রতিষ্ঠান।
এদিকে, তাহসান-রোজার বিয়ের পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন করে আলোচনায় ২০১৪ সালে বরিশালে ক্রসফায়ারে নিহত যুবলীগ নেতা ফারুক আহমেদ ওরফে ‘পানামা ফারুক’।
এই ফারুক আহমেদের মেয়ে হচ্ছেন রোজা আহমেদ। যিনি র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন। যে কারণে তাহসানের শ্বশুর ও রোজা আহমেদকে নিয়ে নেটিজেনদের মাঝেও নানা প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এরই জের ধরে ২০২৪ সালের ৪ জুন বাবা ফারুককে নিয়ে দেওয়া রোজা আহমেদের একটি আবেগঘন ফেসবুক স্ট্যাটাস নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে তিনি বাবার মৃত্যুর পর কঠিন বাস্তবতার চিত্র ও নিজ সফলতার গল্প তুলে ধরেছেন।
সেই স্ট্যাটাস রোজা আহমেদ লিখেন, আলহামদুলিল্লাহ! এই মাত্র নিউইউর্ক সিটিতে আমার রোজাস ব্রাইডাল মেকোভার এন্ড বিউটি কেয়ার সেলুনের ডেকারশন এবং সেটআপের কাজ শেষ হলো। সেলফিটা একটু আগেই তুলেছি। সাধারণত আমার অনেক ছবি তোলা হয় কিন্তু আজ এই সেলফিটা তোলার সময় চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছিল। অনেক সময় ধরে কাঁদলাম। কিন্তু কি মনে করে কাঁদছি বা কেন কাঁদছি তা বুঝে উঠতে পারছিলাম না। আমি বাবা-মায়ের প্রথম সন্তান, তাই সবচেয়ে আদরের ছিলাম।
বাবা আমাকে সব সময় বলতেন, আমার ছোট্ট পরীটা কইরে। সেই সময় বরিশাল শহরে আমাদের পরিবারের বেশ প্রভাব ছিল। ছোট বেলায় কখনো কমতি পাইনি। এর বাসায় দাওয়াত, তার বাসায় দাওয়াত! আর যেতেই হবে কারণ আমাদের ছাড়া দাওয়াত অসম্পূর্ন হবে। এমন দিন গিয়েছে, দিনে ৪ টা দাওয়াতেও অংশ নিয়েছি। শুধু দেখা করে আসার জন্য। হঠাৎ বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন ওপাড়ে। যতদিনের হায়াত তিনি নিয়ে এসেছেন ততোদিন ছিলেন আমাদের সাথে। অভিযোগ তো অনেক জমা আছে, বাবার সেই ছোট্ট পরীটার কিন্তু অভিযোগ কার কাছে করব? আর বাবা শুধু আমাদের ছেড়ে চলে যায়নি, সাথে সাথে যে মানুষগুলো আমাদের এতো সম্মান করতেন তাদের ভালোবাসাও চলে গেল আমাদের উপর থেকে। আর সেই দিনই প্রথম বুঝতে পেরেছিলাম, যে ভালোবাসা আমরা পেয়েছি তা সবই বাবাকে ঘিরে আর সাথে অনেক অনেক স্বার্থ। বাবা চলে যাবার ঠিক ২ মাসের মাথায় আমার এক রিলেটিভের বিয়ে। আমরা অনেক ঘনিষ্ট ছিলাম একে ওপরের, কিন্তু বিয়েতে দাওয়াত পেলাম না। যে রিলেটিভরা সেই বিয়েতে অংশ নিয়েছে সবাই ফোন করতে শুরু করল মাকে। কেন আমরা গেলাম না, কোথায় আমরা? বরিশালে আছি কিনা এই সেই। সেদিন সারারাত বসে দেখেছি মায়ের সেই সরল মনের কান্না।
আপনারা লেখাটা পড়ে ভাবতে পারেন, দাওয়াত পাইনি বলে কাঁদছি? কিন্তু দাওয়াতের জন্য নয়, একি দালানে সবাই আনন্দ করছে, আমি, মা আর ছোট ভাই উৎস তখন বাসার এক কোণে। খুব চিৎকার দিয়ে বলতে ইচ্ছে হচ্ছিল, বাবা তুমি একটু দেখে যাও, যাদের জন্য এতো করেছ তারা আমাদের সব ফিরিয়ে দিচ্ছে।
বাবা আমাদের জন্য অনেক কিছুই রেখে গেছেন উল্লেখ করে তিনি লিখেন, দাদা ভাইয়ের অনেক আছে কিন্তু কিছুই গুছানো না। কে বুঝেছেন যে এতো অকালে উনি চলে যাবেন আমাদের ছেড়ে! আর দাদার সব সম্পত্তিতেই চাচা-ফুফুদের ভাগ আছে। মায়ের খুব অল্প বয়সেই বিয়ে হয়েছে। পড়াশোনার সুযোগ পায়নি। আর আমি চলে আসি তাদের কোলে। আমার মা খুব সরল মনের, দিন দুনিয়ার কিছুই বুঝে না। সে যে নিজের ভয়েস রেইস করবে বা তার সেটা রেইস করার অধিকার আছে সেটা তার ধারনার বাহিরে। কখনো তার সেই সাহসটাই ছিল না যে শ্বশুরকে বলবে, বাবা আমাদের সম্পত্তিটুকু আমাদের বুঝিয়ে দেন। আর উৎস তো তখন অনেক ছোট। আমরা দুই ভাই-বোন তখন পিচ্চি পিচ্চি। আমাদের পড়াশোনার খরচ তখন একদম হিসাব করে টায় টায় দেয়া হতো মায়ের হাতে। তাই কিছু খেতে ইচ্ছে করলে বলতাম না যাতে উৎস যেটা চায় সেটা সে পায়। আমার দিক থেকে একটু কম হলেও সমস্যা নেই।
তিনি লিখেন, বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই প্রস্তাব আসা শুরু হয়। এই রিলেটিভ একে আনে ঐ রিলেটিভ ওকে আনে। সেই সময় আমি প্রথম ভয়েস রেইস করেছি, যে আমার বয়স কম আর বাবা মারা গেছে কি হয়েছে? বাবার আর আমার স্বপ্ন তো মারা যায় নি! ঐ দিন কথাটায় খুব মাইন্ড করেছিল আমার কাছে্র লোকজন। বড়দের মুখে মুখে কথা, আমি আর মানুষ হবো না। আর সেই থেকেই রটানো হয় কতো কথা। সারাদিন নাকি ছেলেদের সাথে ঘুরি, আমার বন্ধু-বান্ধব সার্কেল ভালো না, পর্দা করি না আরও কতো কি। মেয়েতো নিশ্চয়ই প্রেম করে আর না হলে এতো ভাল প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়? আর প্রতিদিন এভাবেই বাসায় অভিযোগ আসা শুরু করে।
রোজা আরও লিখেন, আমার মা এতো অভিযোগ শুনতে শুনতে বলল, তুই আমাকে ছুঁয়ে বল এইসব অভিযোগ কি সত্যি। আমি মাকে ছুঁয়ে বললাম না মা সব মিথ্যা। আমি তো স্কুল আর বাসা বাদে কোথাও যাই না। এই বলে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করলাম মায়ের সাথে। ওইদিনের পর থেকে মা আমার সাথে নিয়মিত কোচিংয়ে যেত আবার এসে বাসার সবার জন্য রান্না করতে হতো। খুব কষ্ট হয়ে যেত তার। তখন নিজের কাছে মনে হতো আমি সবার জন্য একটা বোঝা, সবক্ষেত্রেই আমার দোষ। দিনের পর দিন এভাবেই চলতে থাকে। হঠাৎ দাদাভাই অসুস্থ হয়ে পরেন, আর সেই থেকে আমার সাথে কোচিংয়ে যাওয়া বন্ধ করে মা। কারণ তাদের সেবা যত্ন করতে হতো মাকেই। তখন থেকেই একা একা চলা শুরু করলাম। একটা ফ্রেন্ড বলল ও স্টুডেন্ট পড়ায় আমি বললাম আমাকে একটা খুঁজে দিবি আমিও শুরু করতে চাই। বেশ একজন খুঁজতে গিয়ে দুজনকে পেয়ে গেলাম। কেজিতে পড়ে খুব অল্প টাকা বেতন। আর কোচিং এর পড়া আমার ভালো লাগত না তাই আমি নিজে নিজে বুঝে পড়তাম। কিন্তু বাসার কথা ছিল, কোচিংয়ে পড়তেই হবে। তাই কোচিংয়ের সময়টা আমি স্টুডেন্ট পড়াতাম লুকিয়ে লুকিয়ে। আর সেই টাকা জমিয়ে উৎসকে ঘুরতে নিতাম, কিছু একটা পছন্দ করলে কিনে দিতাম। বাবার যে আদর আমি পেয়েছি ও সেই আদর পায়নি তাই বাবার আদর হয়তো দিতে পারতাম না তবে কখনো যাতে আফসোস না করে সেই চেষ্টা চালিয়ে যেতাম।
আমাকে যে কথা শুনতে হয়েছে আমি আর একটি মেয়েকেও সেই কথা শুনতে দিতে চাই না উল্লেখ করে তিনি লিখেন, শুরু করলাম মেকাপ ক্লাস। এক বছরে ৫০০+ মেয়েকে মেকাপ শিখালাম। শত শত মেয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াল। হঠাৎ একদিন মায়ের কল, যুক্তরাষ্ট অ্যাম্বাসিতে দাঁড়াতে হবে ইমেগ্রেশন ভিসার জন্য। বড় মামা অনেক আগে থেকে আবেদন করেছিল। দেখতে দেখতে ভিসা হয়ে গেল। উৎস আর মায়ের জন্য দেশ ছাড়তে হবে। একটু একটু করে যুক্তরাষ্ট্রে নিজের অবস্থান তৈরি করেছি।
নিজের ক্যারিয়ার, নিজের সার্কেল আর নিজের স্বপ্ন সব ফেলে অনিশ্চিত এক ভবিষ্যত নিয়ে চলে আসলাম ইউএসএতে। এখানে ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানের প্রবাসীরাও আমার কাছে সাজা শুরু করল, ক্লাস করা শুরু করালাম। নিজেকে আবার এই দেশেও একজন প্রতিষ্ঠিত নারী উদ্যোক্তা হিসেবে দাঁড় করালাম। কসমেটোলজির মাধ্যমে স্কিন ,হেয়ার এবং মেকাপ রিলেটেড স্টাডি করলাম কলেজে। আর সেখান থেকেই আজকের স্টুডিও। কসমেটোলজির ওপর নতুন করে আবার পড়াশোনা, লাইসেন্স নেয়া সব চ্যালেঞ্জ নতুন করে আবার ফেইস করেছি। সেলুনে সব থেকে এক্সপেন্সিভ এবং কোয়ালিটিফুল প্রডাক্ট দিয়ে সাজিয়েছি সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট।
সব শেষ তিনি লিখেন , কথাগুলো খুব আবেগ নিয়ে লেখা। শুরুতেই বলেছিলাম আমার মা একজন সরল মানুষ। বাবা মারা যাবার পর জীবনে উচ্চ স্বরে কথা বলতে পারে নাই, কখনো হাসতে দেখিনি। আর আজ সেই মা উচ্চ গলায় সবাইকে ফোনে বলে ‘হ্যাঁ আমার বড় মেয়ে রোজাই তো আমাকে দেখছে, আলহামদুলিল্লাহ।’ আল্লাহ অনেক ভালো রাখছেন আমাদের। সে হয়তো স্বপ্ন দেখতে পারেনি কিন্তু তার মেয়ে হিসেবে একটু হলেও নতুনভাবে বাঁচতে শিখাতে সাহায্য করেছি।
আজ খুব চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে, বাবা তোমার সেই ছোট্ট পরীটা অনেক বড় হয়েছে! আমার সব স্বপ্নের কেন্দ্রবিন্দু তুমি বাবা।
আরটিভি /এএ