• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
সামিনা চৌধুরীকে শাফিন আহমেদ / ‘তিনদিন পর দেখো আমাকে আর পাবে না’
জন্মদিনের গান হয়ে বেঁচে থাকুক তার চলে যাওয়া: পরীমণি
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘ফিরে এলে না’, ‘আজ জন্মদিন তোমার’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের শিল্পী ও ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ভোর ৬টা ৫০ মিনিটে আমেরিকার ভার্জিনিয়ার একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশের সংগীতাঙ্গনে। সবাই যে যার মতো করে স্মৃতি রোমন্থন করছেন, জানাচ্ছেন সমবেদনা। জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পীর মৃত্যুতে পরীমণিও হয়েছেন শোকস্তব্ধ। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) মাঝরাতে কিংবদন্তি এই ব্যান্ডতারকাকে সবুকে নিজের বিষণ্ন বদনের একটি ছবি প্রকাশ করেন। ক্যাপশনে লেখেন, আজ জন্মদিন তোমার হয়ে রয়ে যাবে চিরকাল। জন্মদিনের গান হয়ে বেঁচে থাকুক তার চলে যাওয়া। এরপর নায়িকা লিখেছেন, প্রিয় শাফিন আহমেদ আমরা আপনাকে মিস করব সারাজীবন। এর আগে, শাফিনকে নিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন আরও অনেকে। নিজের ফেসবুকে তার গানের কয়েকটি লাইন তুলে দিয়ে জেমস লিখেছেন, চাঁদ তারা সূর্য নও তুমি, নও পাহাড়ি ঝরনা/ যদি বলি ফুল তবুও হবে ভুল/ তোমার তুলনা হয় না। এরপর নগরবাউল লিখেছেন, বিনম্র শ্রদ্ধা বাংলাদেশের মাইলস ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদের প্রতি। শোকস্তব্ধ দর্শক-শ্রোতাদের প্রতি রইল গভীর সমবেদনা। আসুন আমরা সকলে তার আত্মার চিরশান্তি কামনা করি।’ এ ছাড়া কুমার বিশ্বজিৎ, নকীব খান, প্রিন্স মাহমুদসহ আরও অনেকে আহাজারি করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় শো করতে গিয়েছিলেন শাফিন আহমেদ। শো’য়ের আগে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার সেন্তরা হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
নচিকেতার কনসার্ট স্থগিত, যা জানালো আয়োজক প্রতিষ্ঠান
এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না শাফিন ভাই নেই: হাসান
শাফিন আহমেদের মৃত্যু আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি: প্রিন্স মাহমুদ
যেখানে সমাহিত হবেন শাফিন আহমেদ
ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘ফিরে এলে না’, ‘আজ জন্মদিন তোমার’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের শিল্পী ও ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী প্রয়াতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এর আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আমেরিকার ভার্জিনিয়ার একটি হাসপাতালে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ভোর ৬টা ৫০ মিনিটে শাফিন আহমেদ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। প্রসঙ্গত, ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘মাইলস’ গঠিত হয়। এর কিছুদিন পর এতে যুক্ত হন শাফিন ও হামিন। এরপর বাংলাদেশের অসংখ্য শ্রোতানন্দিত গান উপহার দিয়েছেন তারা।
মৃত্যুর আগে জীবনের শেষ ভিডিওবার্তায় যা বলেছিলেন শাফিন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে গত ২০ জুলাই একটি স্টেজ শোয়ে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদের। কিন্তু অনুষ্ঠানের আগের দিন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ফলে কনসার্টের পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনেন আয়োজকরা। এদিন মঞ্চে গান গাওয়ার কথা ছিল জনপ্রিয় গায়িকা সামিনা চৌধুরীর। তবে সেই কনসার্টের মঞ্চ আর মাতানো হলো না শাফিন আহমেদের। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টা ৫০ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আমেরিকার ভার্জিনিয়ার একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।  মঞ্চের এলইডি পর্দায় ভেসে আসেন ‘মাইলস’ খ্যাত তারকা শাফিন আহমেদ। এলইডির পর্দায় এক ভিডিওবার্তায় এ গায়ককে বলতে দেখা যায়, ‘আজ কনসার্টে আপনাদের সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শারীরিক কিছু জটিলতার জন্য মেডিকেল চেকআপ করতে আসি। মেডিকেল চেকআপ করতে এসে চিকিৎসকদের নির্দেশ অনুযায়ী সময় লাগছে।  হাসপাতালে ভর্তি চেকআপ করতে হচ্ছে। আপনারাও দেখতে পাচ্ছেন, এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি আছি। আপনাদের সঙ্গে হয়তো আজকে আর দেখা হচ্ছে না। দুঃখিত, আমার সব শ্রোতা ও ভক্তদের কাছে; একইসঙ্গে আয়োজকদের কাছেও। আগামীতে নিশ্চয়ই আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে। আমি আশা করব, আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে। ধন্যবাদ।’ এ তারকা ভিডিওবার্তা দেওয়ার পর ওইদিন রাতেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় এবং পরবর্তীতে হার্ট অ্যাটাকও হয় শাফিন আহমেদের। এরপর বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার সেন্টারা হাসপাতালে মৃত্যু হয় শাফিনের। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে সংগীতজগতে। বাংলাদেশের সংগীত অঙ্গনের দুই মহারথী সংগীত শিল্পী ফিরোজা বেগম এবং সুরকার কমল দাশগুপ্তের ছেলে শাফিন আহমেদ। পারিবারিক ঐতিহ্যের কারণে ছোটবেলা থেকেই গানের আবহে বেড়ে ওঠেন তিনি। বাবার কাছে উচ্চাঙ্গ সংগীত আর মায়ের কাছে নজরুলগীতি শিখেছেন। বড় ভাই হামিন আহমেদের সঙ্গে ইংল্যান্ডে পড়তে গিয়ে পশ্চিমের সংগীতের সঙ্গে সখ্য হয় শাফিন আহমেদের। শুরু হয় এই গায়কের ব্যান্ড সংগীতের যাত্রা। ১৯৭৯ সালে একরকম শখের বশেই গড়ে তোলেন ব্যান্ড দল ‘মাইলস’। প্রথম কয়েক বছর বিভিন্ন পাঁচতারা হোটেলে ইংরেজি গান গাইতেন তারা। পরে মাইলসের বাংলা গানের প্রথম অ্যালবাম বের হয় ১৯৯১ সালে। মাইলসের সঙ্গে তিন দশকের পথচলার সমাপ্তি টেনে ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে বেরিয়ে আসেন শাফিন আহমেদ। তবে তার সংগীত যাত্রা চলতে থাকে। তার বিভিন্ন সলো অ্যালবামও জনপ্রিয় হয়। পরে নিজের ব্যান্ড দল ‘ভয়েস অব মাইলস’ গড়ে তোলেন তিনি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সেই দলকেই এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছিলেন শাফিন। তবে খুব বেশি দূর যাওয়ার আগেই সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।  
শাফিন আহমেদের মৃত্যুতে স্তব্ধ শিল্পীরা
আর কখনও মঞ্চে ফেরা হবে না ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদের। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টা ৫০ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আমেরিকার ভার্জিনিয়ার একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।  শাফিন আহমেদের এভাবে চলে যাওয়ার খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশের সংগীতাঙ্গনে। গায়কের মৃত্যুর খবরটি মানতে পারছেন না তার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সহকর্মী এবং ব্যান্ড আন্দোলনের সহযোদ্ধারা।  রেনেসাঁ ব্যান্ডের শিল্পী, গীতিকার, সুরকার নকীব খান বলেন, সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে এরকম একটা খবর পাব কখনও কল্পনাও করিনি। আমাদের জন্য তার মৃত্যুর খবর মেনে নেওয়া কঠিন। কিছু বলার ভাষা নেই ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।  শাফিনের অনেক কনট্রিবিউশন আছে ব্যান্ড মিউজিকে। সে নিজে গান লিখত, সুর করত, নিজেই গাইত। সে খুব ভালো একজন মিউজিশিয়ান ছিল। ভালো গিটার বাজানো থেকে শুরু করে সে নিজেই একটা ব্যান্ড ছিল। আমাদের মাঝ থেকে থেকে এ ধরনের প্রতিভা চলে যাওয়া এটা আসলে ভাবতে পারছি না। আমরা তার আত্মার শান্তি কামনা করছি। ফিডব্যাক ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সংগীত পরিচালক ফোয়াদ নাসের বাবু বলেন, সকাল সকাল এমন একটা খবর পাব, যেটা খুবই মর্মাহত করেছে আমাদের। প্রথম শোনায় বিশ্বাস হয়নি। এখনও মনে হচ্ছে খবরটা হয়তো ভুল হতে পারে। শাফিন আহমেদের গান শ্রোতাদের হৃদয় ছুঁয়েছিল। তার আকস্মিক মৃত্যুতে ভীষণ শোকাহত আমরা। নব্বই দশকে ব্যান্ড সংগীতে মাইলসের পাশাপাশি জনপ্রিয় ছিল ব্যান্ডদল ‘সোলস’। ব্যান্ডগুলোর গড়ে ওঠা, বেড়ে ওঠা, যোগাযোগ, একসঙ্গে স্টেজ পারফরম্যান্সের অনেক স্মৃতিই রয়েছে দুই দলের। শাফিন আহমেদের মৃত্যুর খবরে শোকাহত সোলসের পার্থ বড়ুয়া। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে তার কিছু বলার ভাষা নেই। বাংলাদেশের সংগীত অঙ্গনের দুই মহারথী সংগীত শিল্পী ফিরোজা বেগম এবং সুরকার কমল দাশগুপ্তের ছেলে শাফিন আহমেদ। পারিবারিক ঐতিহ্যের কারণে ছোটবেলা থেকেই গানের আবহে বেড়ে ওঠেন তিনি। বাবার কাছে উচ্চাঙ্গ সংগীত আর মায়ের কাছে নজরুলগীতি শিখেছেন। বড় ভাই হামিন আহমেদের সঙ্গে ইংল্যান্ডে পড়তে গিয়ে পশ্চিমের সংগীতের সঙ্গে সখ্য হয় শাফিন আহমেদের। শুরু হয় এই গায়কের ব্যান্ড সংগীতের যাত্রা। ১৯৭৯ সালে একরকম শখের বশেই গড়ে তোলেন ব্যান্ড দল ‘মাইলস’। প্রথম কয়েক বছর বিভিন্ন পাঁচতারা হোটেলে ইংরেজি গান গাইতেন তারা। পরে মাইলসের বাংলা গানের প্রথম অ্যালবাম বের হয় ১৯৯১ সালে।   মাইলসের সঙ্গে তিন দশকের পথচলার সমাপ্তি টেনে ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে বেরিয়ে আসেন শাফিন আহমেদ। তবে তার সংগীত যাত্রা চলতে থাকে। তার বিভিন্ন সলো অ্যালবামও জনপ্রিয় হয়। পরে নিজের ব্যান্ড দল ‘ভয়েস অব মাইলস’ গড়ে তোলেন তিনি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সেই দলকেই এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছিলেন শাফিন। তবে খুব বেশি দূর যাওয়ার আগেই সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।   
দেশের সংগীতাঙ্গনে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল: মেহরীন
না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আমেরিকার ভার্জিনিয়ার একটি হাসপাতালে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ভোর ৬টা ৫০ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। শাফিন আহমেদের মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন তার ভাই হামিন আহমেদ। এদিকে গায়কের মৃত্যুতে শোকাহত দেশের সংগীতাঙ্গন। শোক জানিয়েছেন অনেকেই। তার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন আরেক তারকা সংগীতশিল্পী মেহরীন মাহমুদ।  দেশের একটি গণমাধ্যমে তিনি বলেন, শাফিন ভাইয়ের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক ছিল আমার। যদিও কখনও একসঙ্গে গান করা হয়নি। কিন্তু গান নিয়ে অনেক আলাপ ও কাজ করা হয়েছে। অ্যালবাম প্রকাশ থেকে শুরু করে যেকোনো পারিবারিক আয়োজনেই আমন্ত্রণ জানাতেন আমাকে। আমিও সানন্দে যেতাম।  তিনি আরও বলেন, তার মৃত্যুতে বেশি কিছু বলার শক্তি নেই আমার। সেই পরিস্থিতিও নেই। ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছি আমি। আমরা একসঙ্গে অনেক শো করেছি। আড্ডার কথা কী আর বলব। আমরা যেহেতু একই ঘরানার গান করি তাই মুহূর্তেই আমাদের আড্ডা জমে যেত। মেহরীন বলেন, আমাদের দেশের সংগীতাঙ্গনে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। এই শোক সহ্য করা আসলেই কঠিন আমাদের জন্য। গায়িকা জানান, তার টিমে বাজানো কি-বোর্ডিস্টকে নিয়ে বিভিন্ন শো করেছেন শাফিন আহমেদ। এটাও নিয়ে দুজনের মধ্যে অনেক কথা হয়েছে। দুজনই বিষয়টাকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছিলেন।
লাইফ সাপোর্টে সংগীতশিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল
গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সংগীতশিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। বর্তমানে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে তাকে। জানা গেছে, সোমবার (২৩ জুলাই) রাতে বাসায় হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয় জুয়েলের। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। এরপর চিকিৎসকরা তাকে আইসিইউতে নেন। বর্তমানে জুয়েল ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে আছেন। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জুয়েল ক্যানসার আক্রান্ত। গত দুই মাস শরীরের অবস্থা অবনতির দিকে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালে ঢাকায় এসেই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি কেন্দ্রিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক তৎপরতায় জড়িয়ে পড়েন। তখনই বিভিন্ন মিডিয়ার সাথে তার যোগাযোগ ঘটতে শুরু করে। জুয়েলের প্রথম অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ১৯৯২ সালে। দশটির মতো অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে তার। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘এক বিকেলে’ অ্যালবাম।
‘বাংলা ব্যান্ড ইতিহাসে প্রত্যাশার মতো আর কোনো ক্যাসেট বিক্রি হয়নি’
সময়টা ১৯৭৯ সাল, মাইলস প্রতিষ্ঠিত হবার পরে বাংলাদেশ টেলিভিশনে তারা প্রথম গান করে ১৯৮২ সালে। সে বছরই শিল্পকলা একাডেমিতে প্রথম লাইভ কনসার্ট করে। একই বছর প্রকাশ পায় তাদের প্রথম অ্যালবাম ‘মাইলস’। ১৯৯১ সালে বের করে প্রথম বাংলা অ্যালবাম ‘প্রতিশ্রুতি’। ১৯৯৩ সালে ‘প্রত্যাশা’।  এই প্রত্যাশা অ্যালবামের প্রতিটি গান দেশের মানুষের মুখে ছড়িয়ে পড়তো। গানের সুর, কথা ও অত্যাধুনিক মিউজিকের সমন্বয়ে প্রকাশ হওয়া এই অ্যালবামের ফিরিয়ে ফিরিয়ে গানটি এখনও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। এরপর একাধিক ব্যান্ডের গান জনপ্রিয় হয়, জনপ্রিয় হয় শাফিনের গাওয়া একক গান। কিন্তু প্রত্যাশার মতো এতো সাফল্য শাফিন দেখেননি। এক সাক্ষাৎকারে শাফিন বলেছিলেন, বাংলা ব্যান্ড ইতিহাসে ‘প্রত্যাশা’র মতো আর কোনো ক্যাসেট বিক্রি হয়নি। গান শুনতে শুনতে ক্যাসেট ভেঙে গেলে মানুষ আবার ক্যাসেট কিনত, সংগ্রহে রাখত। এই ক্যাসেটের প্রতিটি গান ছিল শ্রোতার মুখস্থ। এই অ্যালবাম তৈরি হয়েছিল মাইলসের সকল সদস্যের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায়। এ বিষয়ে মাইলসের অন্যতম সদস্য মানাম আহমেদ বলেছিলেন, আমাদের প্রতিটি গান টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে বানানো হয়। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় ব্যান্ডটি এগিয়ে গেছে। শাফিন আহমেদ বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) না ফেরার দেশে চলে গেলেন। মাইলস থেকে তিনবার বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। মাইলস ব্যান্ডের অধিকাংশ গান শাফিন আহমেদের কণ্ঠে ধারণ করা। পেয়েছে তুমুল জনপ্রিয়তা। কণ্ঠের পাশাপাশি শাফিন ব্যান্ডটির বেজ গিটারও বাজাতেন। তবে আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে গেল কয়েক বছর ধরেই ভাঙন ধরে এই ব্যান্ডে। যে কারণে ‘তিনবার’ মাইলস ছেড়ে বের হয়ে যান শাফিন আহমেদ। মাইলসের জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘প্রথম প্রেমের মতো’, ‘গুঞ্জন শুনি’, ‘সে কোন দরদিয়া’, ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘ধিকি ধিকি’, ‘পাহাড়ি মেয়ে’, ‘নীলা’, ‘কি যাদু’, ‘কতকাল খুঁজব তোমায়’, ‘হৃদয়হীনা’, ‘স্বপ্নভঙ্গ’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘শেষ ঠিকানা’, ‘পিয়াসী মন’, ‘বলব না তোমাকে’, ‘জাতীয় সঙ্গীতের দ্বিতীয় লাইন’ ও ‘প্রিয়তমা মেঘ’।
মঞ্চে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জনপ্রিয় গায়কের মৃত্যু
ব্রাজিলের রকস্টার আয়রেস সাসাকির। স্যালিনোপোলিসের একটি হোটেলে লাইভ পারফরম্যান্সের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। এই দুর্ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগ উঠছে আয়োজকদের বিরুদ্ধে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে এর পেছনে ষড়যন্ত্র আছে কি না। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, গান গাইতে গাইতে একটি জলে ভেজা টেবিল ফ্যান স্পর্শ করেছিলেন আয়রেস। তখন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছিটকে পড়েন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। ‘দ্য মিরর’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, গত ১৩ জুলাই শনিবার ব্রাজিলের পারা প্রদেশের সালিনোপোলিসে একটি লাইভ পারফরম্যান্সের সময় তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। সালিনোপোলিসের সোলার হোটেলে একটি কনসার্টে এক ভক্তকে জড়িয়ে ধরার পরপরই মারা যান ৩৫ বছর বয়সী আইরেস। জানা গেছে, ওই ভক্তটি ভেজা অবস্থায় ছিল এবং সেই ভক্তকে জড়িয়ে ধরার সময় নিকটস্থ একটি তার থেকে বৈদ্যুতিক শক লাগে গায়কের, যা মারাত্মকভাবে আঘাত করে তাকে। সালিনোপোলিস পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে। কারণ,ফ্যানটি কেন ভিজে ছিল তা স্পষ্ট নয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বিবৃতি দিয়েছেন এবং ঘটনার সব তথ্য-প্রমাণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গায়কের মৃত্যুতে তদন্তে নেমে আয়োজক এবং দর্শকদের জিজ্ঞাসবাদ করছে পুলিশ। এদিকে এমন মর্মান্তিক ঘটনায় শোকে বিহ্বল গায়কের পরিবার। জানা গেছে, মাত্র ১১ মাস আগে বিয়ে করেছিলেন আয়রেস। স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রী মারিয়ানা ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে আয়রেসের ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। লিখেছেন, আমরা কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।