• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১
logo
গায়ক অর্ণবের স্ত্রীকে হত্যার হুমকি
প্রকাশ্যে আকাশ-লিটার ‘সাহস দিলে’
বর্তমান সময়ের কণ্ঠশিল্পী আকাশ মাহমুদ ও লিটা সরকার। ‘সাহস দিলে’ শিরোনামে গানটিতে দ্বৈভাবে কণ্ঠ দিয়েছেন তারা। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে গানটি। আশিক মাহমুদের কথায় গানটিতে সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন আকাশ মাহমুদ। ‘সাহস দিলে’ গানটির মিউজিক ভিডিও পরিচালনা করেছেন আশিক মাহমুদ। গানটিতে কোরিওগ্রাফি করেছেন তরুণ নৃত্যপরিচালক গৌরব গোগো। সম্প্রতি আকাশ ড্রিম মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে গানটি মুক্তি পায়। কণ্ঠশিল্পী আকাশ মাহমুদ বলেন, সাহস দিলে’ গানের কথাগুলো দারুণ। কথার সঙ্গে মিল রেখে ফরিদপুরের বিভিন্ন লোকেশনে গানের ভিডিও নির্মিত হয়েছে। আশা করছি, সব শ্রেণির শ্রোতা-দর্শকদের মিউজিক ভিডিওটি ভালো লাগবে। কণ্ঠশিল্পী লিটা সরকার বলেন, কণ্ঠশিল্পী আকাশ মাহমুদের সাথে ‘সাহস দিলে’ শিরোনামের গানটি অসাধারণ। আশা করছি, মিউজিক ভিডিওটি দর্শক গ্রহণ করবেন। নির্মাতা আশিক মাহমুদ বলেন, আকাশ মাহমুদ ও লিটা সরকারের রসায়নটা দারুণ ছিল। আকাশ ড্রিম মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পেয়েছে এ গানের মিউজিক ভিডিও। গানটি দারুণ হয়েছে। আশা করছি, সবার পছন্দ হবে। আরটিভি /এএ 
টাঙ্গুয়ার হাওরে ফোকফেস্ট
কনকচাঁপার জন্মদিন আজ
ত্রাণের টাকায় কৃষককে ঘর বানিয়ে দিলেন তাসরিফ খান
মানুষের অধিকার নিয়ে গান তৈরি করে নির্যাতনের শিকার তাবিবের পরিবার
৯১-তে পা রাখলেন সংগীত জগতের শেষ মুঘল
কোকিলা কণ্ঠে দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় গানের জগত মাতিয়ে রেখেছেন কিংবদন্তি গায়িকা আশা ভোঁসলে। বড় বোন লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুর পর বর্তমানে বলিউডে তিনিই একমাত্র স্বর্ণযুগের গায়িকা। গেল বছর মুম্বাইয়ের এক অনুষ্ঠানে সংগীত ক্যারিয়ারের ইতিহাস টেনে নিজেকে বলি ইন্ডাস্ট্রির শেষ মুঘল হিসেবেই দাবি করেন আশা ভোঁসলে।   সংগীত জগতের কিংবদন্তি এই গায়িকা ৯১ বছরে পা রাখলেন আজ (৮ সেপ্টেম্বর)। ১৯৩৩ সালের এই দিনে পৃথিবীতে আসেন তিনি। আধুনিক থেকে শুরু করে ধ্রুপদ, মেলোডিয়াস, স্যাড মেলোডি, রাগাশ্রিত, পপ গানের জগতে বিচরণ আশা ভোঁসলের। তার কণ্ঠের উচ্চ মার্গের ও বর্ণাঢ্য কারুকাজের জন্য তিনি নিজেই এক উপমা। তবে তার আজকের এই অবস্থানে আসার পথটা মোটেও সহজ ছিল না।   অনেকটা দুর্গম পথ পেরিয়ে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছেছেন তিনি।   মাত্র সাত বছর বয়সে সংগীতজীবন শুরু আশা ভোঁসলের। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত  মোট ৯২৫টিরও বেশি সিনেমায় গান গেয়েছেন তিনি। তার গানের সংখ্যা ১২০০০’র বেশি। ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত সাতবার ফিল্মফেয়ার সেরা নেপথ্য গায়িকার পুরস্কার পেয়েছেন আশা ভোঁসলে।  তবে ১৯৭৭ সালের পর তার নাম আর ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের জন্য নির্বাচন না করার অনুরোধ জানান তিনি। ২০১১ সালে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তাকে সর্বাধিকসংখ্যক গান রেকর্ডকারী হিসেবে ঘোষণা করে। ২০০৮ সালে তাকে পদ্মভূষণ উপাধিতে ভূষিত করে   ভারত সরকার। ২০০১ সালে ‘ফিল্মফেয়ার আজীবন সম্মাননা পুরস্কার’ পান আশা ভোঁসলে। ২০০০ সালে ‘দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার’ পান তিনি। ২০২৪ সালের জুন মাসের শেষের দিকে প্রকাশিত হয় কিংবদন্তি গায়িকা আশা ভোঁসলের জীবনী।   কিংবদন্তি এই গায়িকার জীবনীতে কাজ করেছেন ৯০ জন লেখক। বইতে বর্ষীয়ান গায়িকার জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে।  ‘লগান’ সিনেমার ‘রাধা ক্যায়সে না জ্বলে’কিংবা উমরাওজান, ধ্রুপদী ছবি সুজাতায় ‘কালি ঘটা ছায় মেরা’, ‘পিয়া তু আব তো আজা’, ‘চুরা লিয়া হ্যায় তুমনে জো দিলকো’এই গানগুলো ভারতীয় সংগীত ইতিহাসে অনন্তকাল দীপ্তি ছড়াবে। বাংলা রোমান্টিক গানের ভান্ডারে আশা ভোঁসলের একাধিক গান মন কেড়েছে শ্রোতাদের। বাঙালি না হয়েও তার বাংলা উচ্চারণের বিশুদ্ধতায় চমকে যাবেন অসংখ্য ভাষাসচেতন বাঙালি। নাচ ময়ূরী নাচ রে, যেতে দাও আমাকে ডেকো না, কিনে দে রেশমি চুড়ি, তারে ভোলানো গেল না, না ডেকো না, পোড়া বাঁশি শুনলে এ মন, ফুলে গন্ধ নেই, আকাশের দুটি তারা, যাব কি যাব না, বাঁশি ডাকলে হায়, তুমি নেই, তুমি কেন এলে না, ছন্দে ছন্দে গানে গানে, চোখে চোখে কথা বলো, মনের নাম মধুমতিসহ অসংখ্য গানের ডালিতে তার গান রয়েছে।   
এলিটার ‘হৃদয় নগর’
গানে গানে দর্শকদের মাতাতে মুক্তি পেয়েছে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এলিটা করিমের রোমান্টিক গান ‘হৃদয় নগর।’ সারাজাত সৌম্যর কথায় গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন জয় শাহরিয়ার। জানা গেছে, একটি মিক্সড অ্যালবামের জন্য রেকর্ড করা হয়েছিল গানটি। সম্প্রতি মিউজিক স্পিমিং প্ল্যাটফর্ম স্পোর্টিফাইর পাশাপাশি শিল্পী ও সুরকারের ফেসবুক পেইজে প্রকাশ করা হয়েছে গানটি। নতুন গানের প্রসঙ্গে এলিটা বলেন, জয় শাহরিয়ারের সুরের অন্যান্য গানের চেয়ে ‘হৃদয় নগর’আলাদা ধরনের। গায়কীতে নিজের সেরাটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আমি। আশা করছি গানটি ভালো লাগবে সবার।  সুরকার জয় শাহরিয়ার বলেন, ভিন্ন ধাঁচের কিছু গান নিয়ে ‘বৃষ্টি কথা হোক’ মিক্সড অ্যালবামটি তৈরি করা হয়েছিল। যার প্রতিটি গানের সুর ও সংগীতায়োজন ছিল আমার। এ অ্যালবামটি সিডি আকারে প্রকাশ পেয়েছিল ২০১৬ সালে। ফলে এখন অ্যালবামের গানগুলো শোনার সুযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, আমরা যারা এই অ্যালবামের শিল্পী, গীতিকবি ও সুরকার হিসেবে কাজ করেছি, তাদের সবার কাছেই মনে হয়েছে ‘বৃষ্টি কথা হোক’র গানগুলো এখনও শ্রোতাদের ভালো লাগবে। সে ভাবনা থেকেই এলিটা করিমের ‘হৃদয় নগর’গানের পাশাপাশি পুরো অ্যালবামটি অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছে।  
সংগীতশিল্পী সালমার ‘এক দফা এক দাবি’
ছাত্র-জনতার রক্ত আর হাজারও প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের স্বৈরাচার শাসনের অবসান হয়েছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এরপর থেকেই  প্রতিদিন কোন না কোন দাবি আদায়ের আন্দোলনে মুখরিত দেশবাসী। এ চিত্র এখন ভীষণ পরিচিত সবার কাছে। আমাদের শোবিজ তারকারাও আছেন এই আন্দোলন সংগ্রামে। কেউ তুলেছেন বৈষম্যবিরোধী দেশ গড়ার দাবি, কেউবা নারীবান্ধব সমাজের দাবি আবার কেউ কেউ হাজির পেশাদারিত্বসংক্রান্ত দাবি নিয়ে। তবে এই সকল দাবির চেয়ে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মৌসুমী আক্তার সালমার দাবি একেবারেই আলাদা। তিনি ইউটিউবে রীতিমতো এক দফা এক দাবি নিয়ে হাজির! আর এই দাবি তার মনের মানুষের কাছে। না, ব্যক্তিজীবনে সালমা বেশ সুখেই আছেন আইনজীবী স্বামীকে নিয়ে। এটা তার নতুন গানের ‘শিরোনাম’! গানটি যেন সমসাময়িক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার। ক্লোজআপ তারকা সালমা গত সপ্তাহে ঘোষণা দিয়েছিলেন, নতুন গানের পারিশ্রমিকের পুরোটাই বন্যার্তদের তহবিলে দেবেন। এরই মধ্যে তার নতুন এই গানটি প্রকাশ পেয়েছে। কথা ও সুর সোহেল খান, সংগীত পরিচালনায় রোহান রাজ। গানটির প্রথম লাইন এ রকম, ‘কথা বন্ধু পরিষ্কার, চাই আমার অধিকার-এক দফা এক দাবি, তুই বন্ধুয়া শুধু আমার হবি।’ সালমা বলেন, ‘এই সময়ে অনেকে অনেক রকম দাবি নিয়ে রাজপথে দাঁড়াচ্ছে। আমিও আমার প্রেমিকের কাছে দাবি তুলে ধরেছি। গানটি শ্রোতারা বেশ পছন্দও করেছে।’ ৩ সেপ্টেম্বর ইউটিউবে এসেছে গানটির ভিডিও। সালমান আহমেদ সোহাগের নির্মাণে ভিডিওচিত্রে মডেল হয়েছেন শুভ ও আরুশি।
যে কারণে বেতার-বিটিভির প্রস্তাব ফেরালেন আসিফ আকবর
জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর, একটি রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে বিগত সরকারের আমলে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বাংলাদেশ বেতারে গান গাওয়ার সুযোগ পাননি। এমনকি তার গাওয়া কোনো গানও ওই আমলে বাজানো হতো না এ দুই প্রচারমাধ্যমে। সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় এ গণমাধ্যম দুটি থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল আসিফের সঙ্গে। দেওয়া হয়েছিল গান গাওয়ার প্রস্তাব। তাদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন আসিফ। শুধু আসিফ নন, রাজনৈতিকভাবে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে অনেক শিল্পীই রাষ্ট্রীয় এ গণমাধ্যমে কাজের সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিলেন। গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আবারও রাজনৈতিক কারণে বঞ্চিত শিল্পীদের কাছে টানার চেষ্টা করছে গণমাধ্যমগুলো। প্রচার শুরু করেছে গান। তাদের অনুষ্ঠানগুলোতে গান পরিবেশনের জন্য যোগাযোগও করা হচ্ছে। কেন তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন, ফেসবুকে সে প্রসঙ্গে লিখেছেন কণ্ঠশিল্পী আসিফ। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বুধবার সন্ধ্যায় আসিফ লিখেছেন, বাংলাদেশ বেতারের একজন কর্মী আমাকে দাওয়াত দিয়েছে তাদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। মেয়েটির বিনয়ী প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতেই হলো। আরও কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী বেতারে আছেন, যারা বিগত ষোলো বছর আমার গান চালাতে চাইতো, পারত না। এখন পারছে।’ আসিফ আরও লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকেও ফোন পেয়েছি। প্রোগ্রাম প্রোডিউসার বলেছে, আপনাকে নিয়ে নতুনভাবে শুরু করতে চাই। তাকেও বিনয়ের সঙ্গে “না” করে দিয়েছি। আমি নিকট অতীতে দেখেছি, বিটিভিতে আমার গান চলেছে ঠিকই, শুধু নামটি বদলে দিয়েছে। চব্বিশ বছরের ক্যারিয়ারে (ওয়ান-ইলেভেনসহ) জীবন থেকে চলে গেছে আঠারো বছর। যৌবন পেরিয়ে এখন আমি মধ্যবয়সী। ফাঁকে ফাঁকে বেসরকারি টিভি চ্যানেলে গাইতাম, এখন আর গাই না, সেখানেও আর কখনো গাইব না। এসব নিয়ে আর কষ্টও পাই না। দীর্ঘদিনের অনভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে গেছি।’ জীবনে পরিবর্তন এসেছে। জীবনের সোনালি সময়ে বঞ্চনার শিকার হয়েছেন শিল্পী আসিফ আকবর। অভিমানী হৃদয়ে তিনি লিখেছেন, ‘সেই মাথাভরা চুল আর নাই, সাদাও হয়ে গেছে কিছু, চোখের দৃষ্টিও ঝাপসা হয়েছে একটু। তবুও রাষ্ট্রকে ধন্যবাদ, আমাকে দেশে থাকতে দেওয়ার জন্য। গান গাওয়া আমার পেশা, মঞ্চে গাইব আর অল্প কয়েকটা বছর। কোটি মানুষ আমাকে ভালোবাসে, তাদের সামনে গাইবার ইচ্ছা আছে, নিশ্চয়ই তারাও বঞ্চিত হয়েছে। বেতার-বিটিভিতে আমার জায়গায় সুযোগ পাবে অন্য কেউ, সেখানেই আনন্দ খুঁজে নেব।’ দশের দশকে ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’ গেয়ে দেশের কোটি কোটি সংগীতপ্রেমীর কাছে পৌঁছেছিলেন শিল্পী আসিফ আকবর। এরপর বেশ কিছু জনপ্রিয় গান করেছেন তিনি। বেরিয়েছে বেশ কিছু অ্যালবাম। বিএনপিমনা রাজনীতির কারণে গত ১৬ বছর তার ক্যারিয়ারে নেমে আসে স্থবিরতা। তবে তিনি আশাবাদী, আবারও মানুষ তার কণ্ঠ শুনতে পাবেন।
স্বৈরাচারের পতন না হলে আয়নাঘরে থাকতাম: তাসরিফ খান
শেখ হাসিনা সরকার পতনের এক মাস পূর্ণ হলো আজ (৫ সেপ্টেম্বর)। গত মাসের এই দিনে ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী পদ ছেড়ে দেশ ত্যাগ করেন তিনি। এদিন সরকার পতন না হলে আয়নাঘরে থাকতেন বলে মন্তব্য করেছেন তাসরিফ। ছাত্র-জনতার বিজয়ের মাস পূর্তির দিন নিজের ফেসবুকে তাসরিফ লিখেছেন, ৩৬শে জুলাই (৫ আগস্ট) স্বৈরাচারের পতন না হলে আজকে আয়নাঘরে থাকতাম। তাসরিফের পোস্টের মন্তব্যের ঘরে অনেকেই সহমত প্রকাশ করেছেন তার সঙ্গে। একজন লিখেছেন, অসংখ্য মানুষের ঠিকানা হতো আয়নাঘর। আরেকজন লিখেছেন, সত্যি কথায় বলছেন ভাই।  বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শুরু থেকেই সরব ছিলেন গায়ক তাসরিফ খান। গান গেয়ে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন ছাত্রদের। এজন্য খেসারতও দিতে হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের আশীর্বাদপুষ্টদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে গায়ককে। 
লন্ডনে আর্ক-জেমসের ‘কনসার্ট ফর নিউ বাংলাদেশ’
বন্যাকবলিতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন শোবিজের অনেক তারকা। কেউ কাজ করছেন সরজমিনে গিয়ে, আবার কেউ বিশ্বস্ত জায়গায় ত্রাণ দিয়ে। এবার বানভাসিদের পাশে দাঁড়াতে লন্ডনে মঞ্চ মাতাবে দেশের জনপ্রিয় দুই ব্যান্ড আর্ক ও নগর বাউল।  বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য লন্ডনে ‘কনসার্ট ফর নিউ বাংলাদেশ’ শিরোনামে কনসার্ট করবে ব্যান্ড দুটি।  জানা গেছে, ‘লন্ডন রয়েল এজেন্সি’ ভেন্যুতে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে কনসার্টটি। এখান থেকে অর্জিত অর্থ দেশের পূর্ব ও দক্ষিণ অঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া হবে। কনসার্টটির আয়োজক অ্যাইওএন টিভি। ইতোমধ্যেই অনলাইনে টিকিট বুকিং শুরু হয়ে গেছে। কনসার্টের জন্য ১৯ সেপ্টেম্বর দেশ ছাড়বেন আর্ক ব্যান্ডের সদস্যরা।
শহীদদের স্মরণে কৃষ্ণকলির ‘ভালোবাসি ভালোবাসি বলে’
স্বপ্নদর্শী সকল শহীদের স্মরণ করে নতুন গান প্রকাশ করেছেন সংগীতশিল্পী কৃষ্ণকলি ও তার দল। শ্রেণি, লিঙ্গ, জাতি, বর্ণ ও ধর্ম বৈষম্যের অবসানের মধ্য দিয়ে ভালোবাসার বার্তা দেওয়া হয়েছে এই গানটিতে। সোমবার ( ২ সেপ্টেম্বর) রাতে ‘ভালোবাসি ভালোবাসি বলে’ শিরোনামের গানটি মুক্তি পায় ইউটিউবে। গানের কথা লেখা ও সুর করার পাশাপাশি গানটিতে কণ্ঠও দিয়েছেন কৃষ্ণকলি। এ ছাড়া লিড গিটারে আছেন আহনাফ খান অনিক, রিদম গিটারে অর্ক সুমন, ড্রামসে সুদীপ্ত বর্ধন শুভ। ভিডিও এডিট করেছেন পার্থ সারথি মোদক। ইউটিউবে গানটি প্রকাশের ট্যাগলাইনে লেখা রয়েছে— ২০২৪ এর এই অভ্যুত্থান, ছাত্র-জনতার অনেক রক্তের বিনিময়ে পাওয়া। অনেক বছরের দমবন্ধ ঘুমোট হাওয়া বদলের আশায় এত প্রাণ বিসর্জন। সম্মানের, ভালোবাসাময় এক দেশ, এক পৃথিবী দেখার আশা আমাদের সাধারণ জনমনে। এই গান সেই স্বপ্ন ধারণ করেন যারা তাদের প্রতি, সকল কালের স্বপ্নদর্শী সকল শহীদের প্রতি।