• ঢাকা সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মাঠে স্বামীকে খাবার দিতে গিয়ে বজ্রপাতে প্রাণ গেল স্ত্রীর
চশমা ছাড়াই কোরআন পড়েন ১৩৫ বছর বয়সী তাম্বিয়াতুন নেছা
একাই অজু করে আদায় করেন তাহাজ্জুদ নামাজ। শরীরের চামড়ায় পড়ে গেছে ভাঁজ, বয়সের ভারে অনেকটাই গেছেন কুজিয়ে। ১৩৫ বছর পার করেও হাঁটছেন নিজ পায়ে। চলাফেরায় লাগছে না চশমা। বছর কয়েক আগেও স্মৃতি ও শ্রবণ শক্তি দুটোই ছিল প্রখর। দেশের সবচেয়ে বয়স্ক নারীদের একজন টাঙ্গাইলের তাম্বিয়াতুন নেছা। ৩১ বছর আগেই হারিয়েছেন স্বামী রিয়াজ উদ্দিন আহমেদকে। তাম্বিয়াতুন নেছার স্বামীও বেঁচে ছিলেন ১১০ বছর। বিয়ের ১০ বছর পর জন্ম নেয় প্রথম সন্তান লাইলী বেগম। সেই সন্তানের বয়সও প্রায় একশ ছুঁই ছুঁই। চার ছেলে দুই মেয়ে, তারাও সবাই প্রায় সত্তর থেকে আশির ঊর্ধ্বে। এখন ৬৯ জন সদস্যের পরিবার তাম্বিয়াতুন নেছার। টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দিঘলকান্দি ইউনিয়নের শেখশিমুল গ্রামের বাসিন্দা তাম্বিয়াতুন নেছা ৭ সন্তানের জননী। তাম্বিয়াতুন নেছা এখনও একাই অজু করার মতো শক্তি সামর্থ্য রাখেন। রোজাসহ নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি আদায় করেন গভীর রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ। চশমা ছাড়াই প্রতিনিয়ত করতে পারেন কোরআন তেলাওয়াত। পাঁচ প্রজন্ম দেখে যাচ্ছেন প্রবীণ এ নারী। বয়স জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী ১১৯ বছর হলেও তা মানতে নারাজ পরিবারের সদস্যরা। তাদের দাবি ভোটার তথ্য সংগ্রহকারী অনুমান করেই তার জন্ম সাল ১৯০৫ দিয়েছিলেন। এখন তার বয়স ১৩৫। পরিবারের সবাই মিলে সেবা যত্ন করেন তার। উৎসাহ দিয়ে বড় ছেলের ঘরের নাতিকে বানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান। তাম্বিয়াতুন নেছাকে ঘিরে খুশিতে আত্মহারা সবাই। সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। তাম্বিয়া খাতুনের ভালোবাসার কথা জানালেন এলাকাবাসীও। এদিকে ঘাটাইলের ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মটু তার দাদির উৎসাহে ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ার কথা জানিয়ে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। দেশের সবচেয়ে বেশি বয়স্ক নারীর খেতাব পাবেন তাম্বিয়াতুননেছা। এমন প্রত্যাশা পরিবারের।
‘অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সেনাবাহিনী’
টাঙ্গাইলে এক কুকুরের কামড়ে ২০ জন আহত  
মাদারীপুরে ট্রাক ও ইজিবাইকের সংঘর্ষ, নিহত ২
মুন্সীগঞ্জে সড়কে প্রাণ গেল একই পরিবারের ৩ জনের
পিকআপকে পেছন থেকে ডাম্পট্রাকের ধাক্কা, নিহত ২
গাজীপুরের শ্রীপুরে নির্মাণ শ্রমিক বহনকারী পিকআপকে পেছন থেকে ড্রাম্পট্রাকের ধাক্কায় পিকআপ উল্টে দুই নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এক নারী নির্মাণ শ্রমিকসহ আহত হয়েছেন ১২ জন।  শনিবার (৪ মে) ভোর সাড়ে ৪টায় শ্রীপুর পৌরসভার মধ্য ভাংনাহাটি সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন সুনামগঞ্জ সদর থানার ডুলোরা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাসেল মিয়া (২৫) এবং একই থানার ভুলোরা গ্রামের আমীর হোসেনের ছেলে আবু সুফিয়ান (২৭)। এ ঘটনায় আহতরা হলেন কিশোরগঞ্জের চর শোলাকিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে খায়রুল ইসলাম (২২), নেত্রকোনার শাহাব উদ্দিনের স্ত্রী পারভীন (৪২), সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার সামারচর গ্রামের শাহজাহানের ছেলে আলমগীর হোসেন (১৬), শুক্কুর মাহমুদের ছেলে আবু হানিফ (২০), একই গ্রামের শাহজাহান ফকিরের ছেলে সূর্য্য (২৮), আব্দুল গণি মিয়ার ছেলে আমীর মিয়া (৫০), একই উপজেলার বজেন্দ্রগঞ্জ গ্রামের ধনাই মিয়ার ছেলে লাল মিয়া (৪০), দিরাই উপজেলার আব্দুর রশীদের ছেলে নূর ইসলাম (২০), একই উপজেলার নেয়াগাঁও গ্রামের সমর আলীর স্ত্রী আম্বিয়া (৩০), গড়িয়া গ্রামের আইনুদ্দিনের ছেলে ওহাব উদ্দিন (৩০), ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বীর আহম্মদপুর গ্রামের ফেরদৌস মিয়ার ছেলে মহসীন (২৮), সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ডুলোরা গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে এরশাদ (২৫), একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাসেল (২০)। শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সারা ফারুকি জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে রাসেল মিয়া ও সুফিয়ানকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুরুতর আহত ৩ জনকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল এবং ৬ জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি ৩ জন এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।    শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কুদ্দুস দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ১৪ জনের নির্মাণ শ্রমিক উপজেলার গোসিংগা এলাকা থেকে কাজ শেষে মাওনা চৌরাস্তায় যাচ্ছিলেন। শ্রীপুর-মাওনা সড়কের ভাংনাহাটিসংলগ্ন এলাকায় পৌছালে দ্রুত গতির ড্রাম্পট্রাক পেছন থেকে পিকআপকে ধাক্কা দিলে সড়কের পাশে উল্টে দুমড়ে মুচড়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই দুই নির্মাণ শ্রমিক নিহত এবং এক নারী শ্রমিকসহ ১২ জন আহত হন। শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুর্ঘটনা কবলিত ডাম্পট্রাক জব্দ করা হয়েছে তবে চালক পালিয়ে গেছেন। আহত ও নিহতের স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুন্সীগঞ্জে পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় পুকুরে ডুবে ২ ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলো আল-আমিন (৬) ও মরিয়ম আক্তার (৭)। শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার মহাকালী ইউনিয়নের কেওয়ার ঢালীবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুকুর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত দুই শিশু ওই এলাকার দিনমজুর নূরে আলমের সন্তান। তারা স্থানীয় আল জামিয়াতুল তারা মতিয়া খলিলিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিনের মতো শুক্রবার বিকেলে দুই ভাই-বোন বাড়ির পাশে খেলতে বের হয়। সন্ধ্যায় বাড়ি না ফিরলে পরিবারের লোকজন খোঁজ করা শুরু করেন। কোথাও না পেয়ে ওই স্কুলের পুকুরে তাদের খোঁজা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্কুলের পুকুর থেকে দুই ভাই-বোনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
টাঙ্গাইলে ছাত্রীকে নিয়ে শিক্ষিকা উধাও 
টাঙ্গাইলে ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে খাদিজা খাতুন নামে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। ছাত্রী-শিক্ষিকার নিখোঁজের এ ঘটনায় এলাকায় নানারকম আলোচনা-সমালোচনার জন্ম হয়েছে।  টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার বেরিবাইদ ইউনিয়নের ধামালিয়া গ্রামে ঘটেছে এমন ঘটনা। গত রোববার (২৯ এপ্রিল) ছাত্রীর নিজ বাড়ি মাগন্তিনগর চৌরাস্তা থেকে শিক্ষিকা খাজিদা খাতুন ওই ছাত্রীকে নিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশায় ছাত্রীর মা-বাবাও। তাই তারা পুলিশের কাছে বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে ছাত্রী-শিক্ষিকার উধাও হওয়ার নেপথ্যে কি সেটি নিয়ে রয়েছে মতপার্থক্য। যদিও ওই শিক্ষিকার বাবা বলছেন, তাদের খুঁজে পাওয়া গেলেই রহস্যের উদঘাটন করা যাবে। জানা যায়, খাদিজা খাতুন ওই গ্রামের দারুল উম্মুল কুরা মহিলা মাদরাসার আরবি শিক্ষিকা ছিলেন। ওই ছাত্রীও পড়তেন ওই মাদরাসাতেই। তবে নানা কারণে বেশ কিছু দিন আগেই শিক্ষিকা খাদিজাকে মাদরাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়। ছাত্রীর মা-বাবার দাবি, শিক্ষিকা খাদিজা তাদের মেয়ের সঙ্গে অতিরিক্ত যোগাযোগ করতেন। তবে তারা যে এভাবে নিখোঁজ হবে তা তারা চিন্তাও করেননি। এরই মধ্যে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত তারা তাদের মেয়েকে ফেরত চান। এ বিষয়ে শিক্ষিকার বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে ও ওই ছাত্রীকে খোঁজাখুঁজি করা হচ্ছে। আসলে কি ঘটনা ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে তাদের দুজনকে পাওয়া গেলেই সব রহস্য বের হবে।’ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বেরিবাইদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জুলহাস উদ্দিন বলেন, ‘সবকিছুর খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। থানায় অভিযোগও দেওয়া হয়েছে। তাদের বের করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষিকা খাদিজাকে একাধিকবার বিয়ে দেওয়া হয়েছে কিন্তু স্বামীর সংসার করেনি এবং পূর্বেও ছাত্রী নিয়ে উধাও হওয়ার ঘটনা রয়েছে।’
দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি না দেওয়ায় স্ত্রীকে তালাক
মানিকগঞ্জ প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) ইনস্ট্রাক্টর রবিউল আওয়ালের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি না দেওয়ায় স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।  বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে মানিকগঞ্জ প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে পরকীয়ার কারণে সংসার ভাঙার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার স্ত্রী ও এক সন্তানের জননী পাপিয়া আক্তার।  লিখিত বক্তব্যে পাপিয়া আক্তার জানান, স্বামী ও কন্যা নিয়ে বেশ ভালোই চলছিল তার সংসার। ওই সময় স্বামীর কর্মস্থল ছিল ফেনী। তাদের সুখের সংসারে হাঠাৎ কালো মেঘ হয়ে আসে ফেনীর ফুলগাজী পশ্চিম বসন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা আসলিমা আক্তার। ২০২০ সালে ওই শিক্ষিকার সঙ্গে কেলেঙ্কারির ঘটনায় ফেনী থেকে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় রবিউল আউয়ালকে বদলিও করা হয়। পটিয়াতে যাওয়ার পরও ওই নারীর সঙ্গে তিনি সম্পর্ক চালিয়ে যায়। স্বামীকে সংশোধনের চেষ্টা করেন স্ত্রী। স্বামীকে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় শুরু হয় তার ওপর নির্যাতন। এরপর তিনি স্বামীর অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর বিষয়টি তদন্ত করে ওই নারীর কাছ থেকে একটি মুচলেকা নেওয়ার হয় যাতে তারা আর কোনো সম্পর্কে না জড়ান। এরপর ২০২৩ সালের জুলাই মাসে তার স্বামীকে মানিকগঞ্জ পিটিআইতে বদলি করা হয়। মানিকগঞ্জ আসার পর থেকে তার স্বামী তার ওপর নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেন। এর মধ্যে তার স্বামী তাকে ২০২৩ সালে নভেম্বর মাসে তালাক দেন। এ ঘটনায় তিনি মানিকগঞ্জ সদর থানায় নারী নির্যাতনের অভিযোগ দেন। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় তাদের পুনরায় বিয়ে হয়। কিন্তু পুনরায় বিয়ে হলেও তার স্বামী গোপনে ওই নারীর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি জানান, তার স্বামী ও ওই নারীর মধ্যে অবৈধ সম্পর্কের বিষয়টি জানার পর থেকে দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতির জন্য তাকে চাপ দিতে থাকেন। ২০২২ সালের ২০ আগস্ট দ্বিতীয় বিয়ের জন্য একটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরও করতে বলেন তার স্বামী। দ্বিতীয় বিয়ের অনুমিত না দেওয়ায় তার ওপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেন স্বামী এবং তার পরিবারের সদস্যদের মোবাইল ফোনে দ্বিতীয় বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন। সেই সঙ্গে ওই নারীকে গোপনে তিনি বিয়ে করেন। এখন দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি না দিলে তার চাকরি চলে যাবে। এর জন্য তিনি আগের তারিখ দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি চাচ্ছেন। দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি না দেওয়াতে তার এবং একমাত্র মেয়ের ভরণপোষণও দিচ্ছেন না। পাপিয়া আক্তার বলেন, আমার স্বামী একজন নারী লোভী। পিটিআইতে চাকরি করার কারণে অনেক শিক্ষিকার সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে। এখন আমার একটাই দাবি আমার সন্তান যেন তার বাবা ও পরিবার না হারায়। এ ব্যাপারে পিটিআই ইনস্ট্রাক্টর রবিউল আওয়াল বলেন, পাপিয়া আক্তার এখন আমার স্ত্রী নয়। সে অবাধ্য হওয়ার কারণে গত মাসে তাকে তালাক দেওয়া হয়েছে।  তিনি বলেন, এখন আর দ্বিতীয় বিয়ের প্রয়োজন নেই। পাপিয়া একজন সন্দেহপ্রবণ নারী। তিনি অফিসে এসে আমার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন। এ ধরনের মানুষের সঙ্গে আর যাই হোক সংসার করা যায় না। তবে তিনি দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং ওই নারীকে বিয়ে করেননি বলে দাবি করেন।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাচন : প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ
আসন্ন সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে চেয়ারম্যান, পুরুষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) নারায়ণগঞ্জ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান উপজেলা প্রার্থীদের মধ্যে এ প্রতীক বরাদ্দ করেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে মোহাম্মদ আলী হায়দার পেয়েছেন দোয়াত কলম প্রতীক, মাহফুজুর রহমান কালাম পেয়েছেন ঘোড়া প্রতীক, বাবুল ওমর পেয়েছেন আনারস প্রতীক। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাসুম চৌধুরী পেয়েছেন তালা প্রতীক, আজিজুল ইসলাম মুকুল পেয়েছেন মাইক প্রতীক, মো. ফয়েজ শিপন পেয়েছেন চশমা প্রতীক ও জাহাঙ্গীর পেয়েছেন টিউবওয়েল। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাহমুদা আক্তার ফেন্সী পেয়েছেন হাঁস প্রতীক ও শ্যামলী আক্তার ফুটবল প্রতীক। এ ছাড়া একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম নান্নু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী কোহিনুর ইসলাম রুমা, অ্যাডভোকেট নুরজাহান ও হেলেনা আক্তার এবং পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহবুব পারভেজ, জহিরুল ইসলাম খোকন হাইকোর্টে রিটের মাধ্যমে প্রার্থিতা পাওয়ায় তাদের প্রতীক বরাদ্দ হবে আগামী ৫ মে। চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোহাম্মদ আলী হায়দার বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে দোয়াত কলম প্রতীক পেয়ে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন সাংবাদিকদের সামনে। আলী হায়দার জানান, তিনি শতভাগ আশাবাদী যে, সোনারগাঁওয়ের জনগণ তাকে দোয়াত কলম প্রতীকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন এবং তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সারের সঙ্গে মিলে সোনারগাঁও উপজেলাকে ‘স্মার্ট সোনারগাঁও’ হিসেবে উপহার দেবেন। এ সময় আগামী ২১ মে সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাচনে তিনি সবার দোয়া এবং সহযোগিতা কামনা করেন।
গাজীপুরে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ / স্টেশন মাস্টারসহ বরখাস্ত ৩
গাজীপুরের জয়দেবপুরে মালবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় স্টেশন মাস্টারসহ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।  শুক্রবার ( ৩ মে) জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  বরখাস্তরা হলেন জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের আবগোমটি স্টেশন মাস্টার মো. হাশেম, পয়েন্টম্যান সাদ্দাম হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান। হানিফ আলী বলেন, দুর্ঘটনার প্রায় তিন ঘণ্টা পর অন্য একটি লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।  তবে উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে আসছে।  বর্তমানে ঢাকা-রাজশাহী ও ঢাকা-ময়মনসিংহ রেললাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এর আগে, শুক্রবার (৩ মে) বেলা ১১টার দিকে জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগনালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  এতে দুই ট্রেনের নয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়।  প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে এসে গাজীপুর হয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগনালে পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।  তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিল না। এদিকে এ ঘটনায় গাজীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মতিউর রহমান।