সৌদি আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদায় ও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় রোববার (১৭ মার্চ) সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গনে এ উপলক্ষ্যে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। এরপর রাষ্ট্রদূত দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া রিয়াদস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে দূতাবাসের অডিটরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন সাহসী, নির্ভীক, মানবদরদী ও অধিকার আদায়ে আপোষহীন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত দেশের প্রতিটি স্বাধিকার আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার অবিস্মরণীয় নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি।
তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু তার সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে যুদ্ধবিদ্ধস্ত বাংলাদেশকে একটি জনবান্ধব ও ভারসাম্যপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সমগ্র জীবনের স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের জন্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উচ্চ আয়ের স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, প্রবাসে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্মের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে যেন শিশুরা বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে শিক্ষা লাভ করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে পারে। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।
দূতাবাসের কাউন্সেলর মো. বেলাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন। দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
পাশাপাশি রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর আয়োজিত রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। এছাড়া দেশ ও জাতির অগ্রগতির জন্যও দোয়া করা হয়।