• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
বাহরাইনে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন
রিয়াদে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত
সৌদি আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদায় ও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার (১৭ মার্চ) সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গনে এ উপলক্ষ্যে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। এরপর রাষ্ট্রদূত দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া রিয়াদস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে দূতাবাসের অডিটরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন সাহসী, নির্ভীক, মানবদরদী ও অধিকার আদায়ে আপোষহীন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত দেশের প্রতিটি স্বাধিকার আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার অবিস্মরণীয় নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু তার সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে যুদ্ধবিদ্ধস্ত বাংলাদেশকে একটি জনবান্ধব ও ভারসাম্যপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সমগ্র জীবনের স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের জন্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উচ্চ আয়ের স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, প্রবাসে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্মের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে যেন শিশুরা বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে শিক্ষা লাভ করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে পারে। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান। দূতাবাসের কাউন্সেলর মো. বেলাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন। দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। পাশাপাশি রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর আয়োজিত রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। এছাড়া দেশ ও জাতির অগ্রগতির জন্যও দোয়া করা হয়।
অস্ট্রেলিয়ায় জাতীয় শিশু দিবসে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা
প্রবাসী আয়ে কর আরোপের পরামর্শ আইএমএফের
মালয়েশিয়ায় বন্দুকযুদ্ধে বাংলাদেশিসহ নিহত ৩
বাংলাদেশি শ্রমিক সংকটে দুশ্চিন্তায় মালয়েশিয়ার চাষিরা
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী খুন
যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে মোহাম্মদ আবু হানিফ (৫০) নামে এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী খুন হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।  স্থানীয় সময় শুক্রবার (৮ মার্চ) মার্কিন অঙ্গরাজ্যটির বাল্টিমোরে অবস্থিত নিজের দোকানে চুরি ঠেকাতে গিয়ে হামলার শিকার হন এই বাংলাদেশি ব্যবসায়ী। পরে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় সময় রোববার (১০ মার্চ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। জানা গেছে, মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাল্টিমোর শহরে কয়েকজন কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ হানিফের দোকানে ঢুকে সিগারেট-জাতীয় দ্রব্যাদি চুরি করে। বিষয়টি দেখে ফেলায় তাদেরকে বাধা দেন হানিফ। কিন্তু তাকে ঠেলে জোরপূর্বক দোকানের বাইরে চলে যায় ওই মার্কিন তরুণরা। পরে তাদের পেছনে ধাওয়া করে ছুটে যান হানিফ। এ সময় তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গুরুতর আহত হানিফকে উদ্ধার করে নিকটস্থ একটি নহাসপাতালে ভর্তি করে। মেরিল্যান্ড বাংলাদেশি কমিউনিটিতে সুপরিচিত ছিলেন মোহাম্মদ হানিফ। তার মৃত্যুতে মেট্রো ওয়াশিংটন তথা ভার্জিনিয়া, মেরিল্যান্ড ও ওয়াশিংটন ডিসি এলাকায় বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আবু হানিফের খুনিকে ধরতে ২৫ হাজার ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করেছে মেরিল্যান্ডের প্রিন্স জর্জ'স কাউন্টি পুলিশ। নিহত হানিফের জানাজা মঙ্গলবার বাদ জোহর মেরিল্যান্ডের ফ্রেডরিকের ইসলামিক সোসাইটি মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে আল-ফিরদৌস মেমোরিয়াল গার্ডেনে মরদেহ দাফন করা হবে। তার পৈত্রিক বাড়ি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার আমিনবাজারে।  
সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশির মৃত্যু
সৌদি আরবের নাজরান এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তার নাম আবু তালেব (৪৭)।  শনিবার (৯ মার্চ) রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহত আবু তালেব কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার শাহেদল ইউনিয়নের বীর পাইশকা পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে। পরিবারের বরাতে জানা যায়, আবু তালেব সৌদি আরবের একটি কোম্পানিতে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে কর্মরত ছিলেন। রাতে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে গাড়ির ধাক্কায় তার মৃত্যু হয়। আবু তালেবের সংসারে স্ত্রী, এক মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনায় আবু তালেবের মৃত্যুর সংবাদটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শাহেদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ উদ্দিন। তিনি বলেন, কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে পেছন থেকে একটি গাড়ির ধাক্কায় আবু তালেবের মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
মিশরে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন
স্বাধীনতার স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ দেওয়ার ৫৩ বছরপূর্তি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে মিশরে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।   বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) প্রত্যুষে কায়রোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় সংগীত সহকারে‌ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মিস সামিনা নাজ। এদিন দুপুরে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে দিবসটির মূল কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফেরাত এবং প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রদূত।  দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানোর পর বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণটি প্রদর্শিত হয়।  আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ তার বক্তব্যের শুরুতে ৭ মার্চের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এবং গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল বাংঙালি জাতির সকল শোষণ, নির্যাতন ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে জেগে উঠার এবং মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার এক গভীর ডাক। এ ডাক ছিল আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের আহ্বান। যে আহ্বানে সাড়া দিয়ে পুরো জাতি মুক্তিযুদ্ধ করে দেশকে সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ পায়।  তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ শুধু বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়কেই নাড়া দেয়নি, ভাষণটি আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল সারা বিশ্বে। এ ভাষণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু সমগ্র জাতিকে মুক্তির মোহনায় দাঁড় করিয়েছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন।  সামিনা নাজ বলেন, যুগে যুগে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিপীড়িত, লাঞ্ছিত স্বাধীনতাকামী মানুষের প্রেরণা ও উদ্দীপনার উৎস হিসেবে কাজ করবে। পৃথিবীর ইতিহাসে যতদিন পরাধীনতা থেকে মুক্তির জন্য সংগ্রাম থাকবে, ততদিন ৭ মার্চের ভাষণটি মুক্তিকামী মানুষের মনে চির জাগ্রত থাকবে।  এ সময় বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণটিকে Memory of the World International Register এর অন্তর্ভুক্ত করায় রাষ্ট্রদূত জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (ইউনেস্কো) প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ ভাষণটি জাতিসংঘের ৬টি অফিশিয়াল ভাষায় অনুদৃত হওয়া ছাড়াও জাপানী ও ভিয়েতনামী ভাষায় অনুদৃত হয়।  রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা, ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে দৃঢ় পদক্ষেপে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা দেশকে অগ্রগতি ও উন্নয়নের পথে চালিত করছেন। গত ১৫ বছরে টেকসই উচ্চ প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
১৭ বছর পর দেশে ফিরলেন সেই প্রবাসী
আরটিভিতে সংবাদ প্রচারের পর প্রবাসীদের সহযোগিতায় ১৭ বছর পর দেশে ফিরলেন মালয়েশিয়া প্রবাসী আব্দুর রহিম। বুধবার রাতে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তিনি কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকায় ফেরেন। যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। ধন্যবাদ জানান শ্রমিক নেতা নাজমুল ইসলাম বাবুল ও আরটিভিকে। পরিবারের কাছে বেঁচে ফিরতে পারায় অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন এ প্রবাসী। ‘১৭ বছর প্রবাসে থেকেও নিঃস্ব আব্দুর রহিম’ শিরোনামে এ বছরের ৩০ জানুয়ারি খবর প্রচার করে আরটিভি। মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এ ভিডিও দেখে সহযোগিতার হাত বাড়ায় নানা শ্রেণি -পেশার প্রবাসী বাংলাদেশি। পাসপোর্ট ভিসার জটিলতা থাকলেও কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহযোগিতায় মেলে ট্রাভেল পারমিট। ইকবাল হোসেন নামে আম্পাং এর এক ব্যবসায়ী হাইকমিশনের মাধ্যমে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দেন আব্দুর রহিমের চিকিৎসা ও দেশে ফেরা বাবদ। এছাড়া অর্থ দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়ান অহিদুর রহমান অহিদ, নাজমুল ইসলাম বাবুলসহ বেশ কয়েকজন। উল্লেখ্য সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হওয়ার পর রাস্তার পাশে অসহায় অবস্থায় পড়ে ছিল আব্দুর রহিম নামে ঐ প্রবাসী। খবর পেয়ে শ্রমিক লীগ মালয়েশিয়া’র সভাপতি নাজমুল ইসলাম বাবুল সেখানে ছুটে যান এবং বেশ কয়েকজন প্রবাসীর সহযোগিতায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। আব্দুর রহিম ১৭ বছর আগে মালয়েশিয়ায় এসেছিলেন, তবে নানা জটিলতায় দীর্ঘ এই সময়ে তার একবারও দেশে ফেরা হয়নি। আর্থিক অসচ্ছলতায় রাস্তার পাশে একটি ওভারব্রিজের নিচে থাকতেন তিনি। এদিকে দেশে ফেরার পর তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে ব্র্যাক। ব্র্যাকের অভিবাসন বিভাগের বিমানবন্দরের দায়িত্বে থাকা রায়হান কবির এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে চাই।
কর্মী নিয়োগে বাংলাদেশিদের সুখবর দিলো মালয়েশিয়া
এখন থেকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে এজেন্সির সহায়তা লাগবে না। ফলে কর্মীদের মালয়েশিয়ায় যাওয়ার খরচ কমছে। শুক্রবার (৮ মার্চ) দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। খবর নিউ স্ট্রেইটস টাইমসের। মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে ইমিগ্রেশন বিভাগের মাইভিসা পোর্টালের মাধ্যমে সরাসরি ই-ভিসার আবেদন করা যাবে। বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়োগের বিষয়ে নিয়োগকর্তাদের সক্রিয় আইডি ও ব্যবহারকারীর ম্যানুয়াল প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন, যেসব কর্মীদের ভিসা অনুমোদন হয়েছে তাদেরকে মালয়েশিয়ায় আনতে নিয়োগকর্তাদের চলতি বছরের ৩১ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। দেশের জনগণের সুবিধা বিবেচনায় মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম গত ফেব্রুয়ারিতে বিদেশিকর্মী নিয়োগে এজেন্টের হস্তক্ষেপ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, নেপালের কর্মীদের মালয়েশিয়ায় আসতে মাত্র ৩ হাজার ৭০০ রিঙ্গিত খরচ হয়। কিন্তু বাংলাদেশ এবং ইন্দোনেশিয়ার শ্রমিকদের বেলায় তা ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার রিঙ্গিত লাগে। যা ‘আধুনিক দাসত্বের’ সমতুল্য।
বাংলাদেশিকে হত্যায় ৫ পাকিস্তানির শিরশ্ছেদ
সৌদি আরবে বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যা করায় পাঁচ পাকিস্তানি নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে দেশটির সরকার। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) মক্কা নগরীতে তাদের দণ্ড কার্যকর করা হয়। খবর গালফ নিউজের। প্রতিবেদনে থেকে জানা গেছে, ওই পাকিস্তানিদের হাতে নিহত বাংলাদেশি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রতিষ্ঠানটিতে হামলা চালানোর সময় বাংলাদেশিসহ দুই নিরাপত্তারক্ষীকে বেধড়ক পেটান ওই পাকিস্তানিরা। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশির মৃত্যু হয়।  এ ঘটনায় তদন্ত শুরু পর পাঁচ পাকিস্তানিকে বিচারিক আদালতে পাঠালে তারা দোষী সাব্যস্ত হলে তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। পরে আসামিরা আবেদন করলে সর্বোচ্চ আদালত সেটি খারিজ হয়। এরপর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে রাজকীয় ডিক্রি জারি করা হয়। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে মঙ্গলবার মক্কায় শিরশ্ছেদের মাধ্যমে অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এর আগে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এক ভারতীয় নাগরিককে হত্যার দায়ে দুই প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
অভিবাসীদের অর্ধেক প্রাণ হারিয়েছেন সমুদ্রে ডুবে
অভিবাসীদের জন্য গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বিভীষিকাময় বছর ছিল ২০২৩। এমনটাই জানিয়েছে জাতিসংঘ৷ সংস্থাটি জানায়, গত বছর অভিবাসন রুটে বিশ্বব্যাপী কমপক্ষে আট হাজার ৫৬৫ জন মারা গেছে৷ অনিয়মিত পথে উত্তর-আফ্রিকা থেকে ইউরোপে আসা অভিবাসীদের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভূমধ্যসাগরীয় পথে গতবছর ২০২২ এর চেয়ে ২০% বেশি অভিবাসী প্রাণ হারিয়েছেন৷  বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) বলেছে, এই বছর মৃত্যুর সংখ্যা ২০২২ সালের তুলনায় ২০ শতাংশ বেড়ে যাওয়া ভবিষ্যতে এমন মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনা রোধে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে৷ সংস্থাটির মিসিং মাইগ্রেন্টস প্রকল্পটি বিশ্বব্যাপী অভিবাসীদের মৃত্যু ও নিখোঁজ হওয়ার তথ্য সংগ্রহ করে থাকে৷ আইওএম-এর ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল উগোচি ড্যানিয়েলস বলেন, মিসিং মাইগ্রেন্টস প্রকল্পের সংগৃহীত এই ভয়াবহ পরিসংখ্যান আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, সবার জন্য নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে আমাদের অবশ্যই আরও বড় পদক্ষেপের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে৷ যেন এখন থেকে ১০ বছর পর মানুষকে উন্নত জীবনের জন্য তাদের জীবনের ঝুঁকি নিতে না হয়৷ অভিবাসীরা বাধ্য হন ঝুঁকিপূর্ণ পথে বেছে নিতে ২০২৩ সালে অভিবাসীদের মৃত্যুর সংখ্যা ২০১৬ সালের রেকর্ড আট হাজার ৮৪কে ছাড়িয়ে গেছে৷ নিরাপদ, নিয়ন্ত্রিত পথের অভাবের কারণেই হাজার হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী বিপজ্জনক পথ বেছে নিতে বাধ্য হয় বলে জানিয়েছে আইওএম৷ ভূমধ্যসাগর অভিবাসীদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক পথ হিসেবে বিবেচিত হওয়া সত্ত্বেও উত্তর আফ্রিকা থেকে ইউরোপে পৌঁছানোর সময় এ পথে ২০২৩ সালে কমপক্ষে তিন হাজার ১২৯ জন মারা গিয়েছিল৷ যা ২০১৭ সালের পর এই রুটে সর্বোচ্চ মৃত্যু৷ ২০২৩ সালে আফ্রিকা (১,৮৬৬) ও এশিয়া (২,১৩৮) মহাদেশে জুড়ে বিপুল সংখ্যক অভিবাসী মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে৷ যার মাঝে অনেকেই আফ্রিকার সাহারা মরুভূমি ও স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের সমুদ্র পথে মারা গেছেন৷ বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা ও আফগান শরণার্থীও এশিয়ায় প্রাণ হারিয়েছে৷ প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে মারা যাওয়া মোট অভিবাসীর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি প্রাণ হারিয়েছেন সমুদ্রে ডুবে৷ এছাড়াও গাড়ি দুর্ঘটনায় ৯% ও সহিংসতায় ৭% মারা গেছেন৷ ২০২৪ সালের প্রথম দুমাসে এ পর্যন্ত ৫১২ জন অভিবাসী প্রাণ হারিয়েছেন৷