• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
হিট স্ট্রোক কেন হয়, প্রতিরোধে যা করবেন
সমুদ্রের রোমাঞ্চকর গল্প বলেন তারা, শোনান গান
নিঃসীম সমুদ্রে ভেসে চলা নাবিকদের জীবন সমুদ্রের মতোই বৈচিত্রময়। বিশাল বিশাল ফণা তোলা সব ঢেউ। মাঝসমুদ্রে থাকা জাহাজের গায়ে মুহুর্মুহু আছড়ে পড়ে একেকটা ঢেউ। মুহূর্তেই বাষ্পের মতো ওপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে সমুদ্রের নোনা পানি। ভয়ংকর গর্জনে সমুদ্র তার খ্যাপাটে ভাবের জানান দেয়। এই গর্জনে গায়ে কাটা দেয়। কখনো আবার সমুদ্র থাকে শান্ত। পাটি বিছানো নীল সমুদ্রের দিগন্তরেখায় হেসে ওঠে রংধনু। সমুদ্রের এমন সব বৈচিত্র্যপূর্ণ রূপ মানুষের সামনে তুলে ধরেন দুই নাবিক আবদুল্লাহিল মারুফ ও মোহাম্মদ রেদওয়ান সরকার। সেইল উইথ মারুফ : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘সেইল উইথ মারুফ’ নামে পরিচিত আব্দুল্লাহিল মারুফ। পেশায় একজন নাবিক। সমুদ্রগামী জাহাজে বসে অবসরে তিনি ভ্লগ করেন। ভ্লগিংয়ের মাধ্যমে এই তরুণ তুলে ধরেন সমুদ্র, সমুদ্রযাত্রা, সমুদ্রচারী জীবনের নানা দিক। দারুণ গানও করেন মারুফ। জাহাজে বসে তার করা গানে মুগ্ধ হন নেটিজেনরা। তার গান, ভ্লগ লাখো দর্শক দেখেন। তারা তাকে প্রশংসায় ভাসান।  মারুফের শৈশব-কৈশোর কেটেছে জন্মস্থান রাজশাহীতে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে তিনি ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রকৌশল বিভাগে। কিন্তু ভিন্ন কিছু করার ইচ্ছে থেকে সেই যাত্রা আর দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। এরপর ভর্তি হন দেশের একটি বেসরকারি মেরিটাইম ইনস্টিটিউটে। সেখান থেকে সামুদ্রিক প্রকৌশলবিদ্যার প্রাথমিক দীক্ষা নিয়ে যোগ দেন জাহাজের শিক্ষানবিশ কর্মী হিসাবে। পরবর্তী সময়ে ইংল্যান্ডের লিভারপুল জন মুর্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জন করেন উচ্চতর প্রফেশনাল ডিগ্রি। বর্তমানে তিনি হংকং ভিত্তিক একটি কোম্পানির তেলবাহী জাহাজের সেকেন্ড অফিসার হিসাবে কর্মরত আছেন। নাবিক হিসেবে এখন পর্যন্ত ২৫টির বেশি দেশে গেছেন মারুফ। সমুদ্রযাত্রা করেছেন প্রায় ৪০টি। ২০২১ সালের আগস্টে চীন থেকে ভেনেজুয়েলা যাওয়ার পথে দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরে বড় ঝড়ের কবলে পড়েছিল মারুফের জাহাজ। কী মনে করে ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সমুদ্রের ভিডিও ধারণ করেন তিনি। নিজের ফেসবুক পেজে ভিডিওটি প্রকাশ করেন। হাজারো মানুষ ভিডিওটি দেখেন। তারা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানান। অনেকে সমুদ্রযাত্রার নানা গল্প জানার আগ্রহ দেখান। এই ঘটনার পরই সমুদ্রযাত্রা নিয়ে ভ্লগ করার ভাবনা মাথায় আসে মারুফের। তিনি বলেন, ‘আমার ভ্লগিংয়ের উদ্দেশ্য হলো, সমুদ্রযাত্রার অজানা দিকগুলো বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে খুব সাধারণভাবে তুলে ধরা।’ ‘সেইল উইথ মারুফ’ নামের ফেসবুক পেজে এখন পর্যন্ত ৪০টির মতো ভিডিও আপলোড করেছেন এই নাবিক। এসব ভিডিওতে সমুদ্র, ঝড়ঝঞ্ঝা, ঢেউ, সমুদ্রযাত্রা, বন্দর, জাহাজের অভ্যন্তরীণ নানা কারিগরি বিষয়, জাহাজ পরিচালনা, নাবিকদের কাজ, খাওয়াদাওয়াসহ হরেক কৌতূহলোদ্দীপক বিবরণ রয়েছে।  মারুফ বলেন, শখের বশেই তার প্রফেশনাল জীবনকে নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করা। সাধারণ মানুষের পক্ষে সামুদ্রিক জাহাজের অভ্যন্তরীণ ক্রিয়াকৌশল সম্পর্কে জানা সম্ভব হয় না। তাই এমন কনটেন্টের আগ্রহ বেশি। অবসরে আরেকটা কাজ করেন মারুফ। তিনি জাহাজে বসে হাতে তুলে নেন ইউকেলেলে। দরদভরা কণ্ঠে তোলেন সুর। গেয়ে ওঠেন, ‘ওরে নীল দরিয়া’, ‘আহারে জীবন’, ‘পথের ক্লান্তি ভুলে স্নেহভরা কোলে তব’, ‘দিন যায়, কথা থাকে’, ‘ওকি একবার আসিয়া সোনার চান্দ মোর যাও দেখিয়া রে’, ‘কি নামে ডেকে বলব তোমাকে’, ‘প্রেমে পড়া বারণ’, ‘যদি হিমালয় হয়ে’ এমন সব গান। হিন্দি গানেও সমান পারদর্শী তিনি। মারুফ অধিকাংশ গান জাহাজের ব্রিজে বসে করেন। সেখান থেকে সহজেই সমুদ্র দেখা যায়। তার গান সমুদ্রের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে। ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি ভীষণ ভালোবাসা মারুফের। তবে গানের প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা তার নেই। শুনে শুনে গান রপ্ত করেছেন তিনি। মারুফ বলেন, পরিবার থেকে বহু দূরে, সমুদ্রচারী জীবনের নানা বাঁকে গানই আমাকে উজ্জীবিত রাখে।  হৃদয় দ্য সেইলর : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মোহাম্মদ রেদওয়ান সরকারের পরিচয় ‘হৃদয় দ্য সেইলর’। সমুদ্রজীবনের নানা বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরি করেন এই নাবিক। হৃদয় কাজ করছেন জাহাজের ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে। জাহাজে আসার আগে স্যোশাল মিডিয়ায় টেক ভিডিও কনটেন্ট বানানোর নেশা ছিলো হৃদয়ের। নীল সমুদ্রের স্নিগ্ধ জলে এসেও সে নেশা আর কাটেনি। এখন ভিডিও বানান জাহাজের নাবিক জীবন নিয়ে। নাবিকরা কীভাবে ঘুমান, ইঞ্জিন রুম-ব্রিজে কী কাজ চলে, জাহাজে কেউ মারা গেলে কী করা হয়, জলদস্যু এলে কী করা হয় —এমন সব চমকপ্রদ ঘটনা তার কনটেন্টের বিষয়বস্তু। যা সাধারণ মানুষের কাছে খুবই আগ্রহের।  ফেসবুক আর টিকটকে হৃদয়ের অনুসারীর সংখ্যা সাত লাখের অধিক। ইউটিউব চ্যানেল যেমন (৭ মার্চ পর্যন্ত) ১৩৮টি ভিডিও তুলেছি। আমার এই চ্যানেলে যুক্ত আছেন ১ লাখ ৭১ হাজার সাবস্ক্রাইবার। আর ভিডিওগুলো দেখা হয়েছে ১ কোটি ৮৮ লাখের বেশিবার। দর্শকরা কমেন্ট বক্সে জানতে চান জাহাজের অভ্যন্তরীণ খুঁটিনাটি নানা বিষয়ে। হৃদয় চেষ্টা করেন সেগুলোকে পরিবর্তী ভিডিওতে যুক্ত করার। মোহাম্মদ রেদওয়ান বলেন, বেশ কয়েক বছর হলো ইউটিউবে আমার আনাগোনা। তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আগ্রহ থাকায় এটা নিয়ে ভিডিও বানাতাম। সেগুলো শেয়ারও করতাম। কিন্তু সেটি ছিল অনিয়মিত। তবে কাজটা করতে আমার আনন্দই লাগে। সেই আনন্দই এবার নতুন মাত্রা পায়। ইউটিউবে আমার চ্যানেল ‘হৃদয় দ্য সেইলর’-এ আপলোড করতে থাকি। এখন ‘হৃদয় দ্য সেইলর’ নামেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে পেজ ও চ্যানেল আছে। একই ভিডিও সব মাধ্যমেই শেয়ার করি। মোহাম্মদ রেদওয়ান সরকারের জন্ম, বেড়ে উঠা কুড়িগ্রামে। কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোন হৃদয়। এরপর উচ্চশিক্ষার ভর্তিযুদ্ধে বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেলেও আগ্রহের জায়গা থেকে ভর্তি হন বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে। এরপর একাডেমিক এবং শিক্ষানবিস পর্ব শেষ করে ২০২২ সালে জাহাজের পেশাদার জগতে ঢুকে পড়েন।
বাংলা নববর্ষে পান্তা-ইলিশের একাল-সেকাল
বাংলা সন যেভাবে এলো
ইতিহাসে আজকের এই দিনে (৯ এপ্রিল)
অনলাইনে বিমান-বাস ও ট্রেনের টিকিট কাটার উপায়
ঢাকায় মিলছে উটের দুধের চা
চা আসলেই চমৎকার পানীয়। বলা যায় পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয় চা। বাজারে বিভিন্ন ধরনের চা মেলে। চায়ের কত ধরণ আর স্বাদ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্বাদে আলাদা হলেও এর কদর কিন্তু কোথাও কম নয়। আর এ রোজার সময় সারা দিনের ক্লান্তি নিমিষেই দূর করতে চা প্রেমিদের ইফতারের পর এক কাপ চা যেন জাদুর মত কাজ করে। আর সেটা যদি হয় ভিন্ন স্বাদের উটের দুধের চা, তাহলে তো কথাই নেই। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এই ভিন্ন স্বাদের উটের দুধের চা এখন পাওয়া যাচ্ছে রাজধানীর গুলশান এলাকার ৫২ নম্বর রোডে “ব্যাচেলর এক্সপ্রেস” নামের একটি দোকানে। তবে অন্যান্য চায়ের চেয়ে বেশ ব্যতিক্রম এই চা। উপকরণ ও প্রস্তুতকরণেও আছে ভিন্নতা। এই চা খেতে প্রতিদিন অনেকেই ভিড় করছেন বলে জানান রেস্টুরেন্টটির উদ্যোক্তা তরুণ দুই বন্ধু আমিনুল ইসলাম ও মাহবুব হাসান। এ ব্যাপারে তারা দেশের এক গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ বিষয়ে মাহবুব হাসান জানালেন, তিনি আগে দুবাই প্রবাসী ছিলেন। সেখানেই প্রথম এই চা খান। উটের গুড়া দুধ দিয়ে মূলত এই চা তৈরি করা হয়। এরপর দেশে যখন ব্যবসা শুরু করলেন, তখন এই চা বিক্রির চিন্তা মাথায় আনেন। তিনি জানান, আমি দুবাইতে থাকাকালে এটা খেয়েছিলাম। তো এটা গরুর দুধের মতো না। পরে যখন দেশে আমি রেস্টুরেন্ট দিলাম তখন এটা রাখলাম। বাংলাদেশের মানুষ খাবার পিপাসু। নতুন কিছু পেলেই লোকজন আসে। ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। এটা বাংলাদেশে আর কোথাও পাওয়া যায় না। তারা সবসময় তো খাবে না। তাই শখের বশে ৪০০ টাকা খুব বেশি না। মাহবুব জানান, দুবাইয়ের সঙ্গে তাদের ব্যবসা আছে। সেখান থেকেই আনেন এই দুধ। আগের দিন জানালে পরের দিন এই গুঁড়া দুধ তার হাতে চলে আসে বলেও জানান তিনি। প্রতি প্যাকেট উটের গুঁড়া দুধের মেয়াদ এক বছর বলে জানান এই ব্যবসায়ী। কামাল উদ্দীন নামে এক ক্রেতা বলেন, জীবনে অনেক রকম চা খেয়েছি। পরে যখন পত্রিকায় খবর দেখলাম উটের দুধের চা পাওয়া যাচ্ছে, তখন এটার স্বাদ নিতে আসলাম। বলা হয়েছিল এই চা নাকি ব্যতিক্রম। তো এসেও তাই-ই দেখলাম, একটু ব্যতিক্রম। নাসির উদ্দীন নামে আরেক ক্রেতা বলেন, এটার স্বাদ একটু ব্যতিক্রম, ঘ্রাণটাও আলাদা। না খেলে বুঝা যাবে না। গুলশানের এই ক্যাফেটি খোলা থাকে বেলা ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত। এই সময়ে গেলেই পাওয়া যাবে উটের ‍দুধের চা।
বাজারে এলো হোন্ডা শাইন ১০০
বাংলাদেশের বাজারে ১০০ সিসির নতুন মোটরসাইকেল এনেছে হোন্ডা কোম্পানি। এটি একটি জ্বালানি সাশ্রয়ী কমিউটার বাইক। এর মডেল হোন্ডা শাইন ১০০। ভারতে লঞ্চ হওয়ার ঠিক এক বছর পর বাংলাদেশে লঞ্চ হলো মোটরসাইকেলটি। এটি কোম্পানির সবথেকে কমদামি এবং উচ্চ মাইলেজ সম্পন্ন বাইক। এতে প্রতি লিটারে ৬৫ কিলোমিটার মাইলেজ পাওয়া যাবে। যাদের বাজেট তুলনামূলক কম তাদের কাছে বাইকটি ভালো বিকল্প হয়ে উঠতে পারে। এর ডিজাইন দুর্দান্ত এবং সিটও বেশ আরামদায়ক। হোন্ডা শাইন ১০০ বাইকের স্পেসিফিকেশন রয়েছে ৯৮ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার কুলড ইঞ্জিন। যা সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ২৮ হর্সপাওয়ার এবং ৮ দশমিক ০৫ এনএম টর্ক তৈরি করতে পারে। বাইকটির সর্বোচ্চ স্পিড ৮৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা। রয়েছে ৪ স্পিড গিয়ার। বাইকের মাইলেজ ৬৫ কিমি প্রতি লিটার। ফুয়েল ট্যাংক ভর্তি করলে রাইডিং রেঞ্জ ৫৮৫ কিলোমিটার। ফুয়েল ক্যাপাসিটি রয়েছে ৯ লিটার। বাইকের সামনে রয়েছে টেলিস্কপিক ফর্ক এবং পেছনে ডুয়াল শক অ্যাবসর্বার। দুই চাকাতেই পাওয়া যাবে ড্রাম ব্রেক। নেই ডিস্ক ব্রেকের অপশন। বাইকটির কার্ব ওয়েট ৯৯ কেজি এবং গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৬৮ মিলিমিটার। সিটের উচ্চতা রয়েছে ৭৮৬ মিলিমিটার। খুবই সাদামাটা ফিচার্সে পাওয়া যাবে অ্যানালগ ইনস্ট্রুমেন্ট কনসোল, অ্যানালগ ওডোমিটার, অ্যানালগ স্পিডোমিটার, হ্যাজার্ড ওয়ার্নিং ইন্ডিকেটর, লো ফুয়েল ইন্ডিকেটর, অটোমেটিক হেডলাইট অন এবং হ্যালোজেন লাইটিং। বাংলাদেশে হোন্ডা সাইনের দাম ১ লাখ ৭ হাজার টাকা। মধ্যবিত্তের নিত্য যাতায়াতে ভরসা দিতে বাজারে এই বাইক হাজির করা হয়েছে। মাইলেজের সঙ্গে বাইকে খুব বেশি ফিচার্স না থাকায় মেইনটেনেন্স খরচও কম লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।  
আজ রুমমেটের প্রশংসার দিন
ফ্ল্যাটমেট বা রুমমেট হলো একটি ভাড়া বাসা, মেস বা প্রতিষ্ঠানের হল রুম শেয়ার করে থাকা একাধিক ব্যক্তি বা শিক্ষার্থী। অচেনা জায়গা থেকে আসা মানুষগুলো আপনজন হয়ে ওঠে রুমমেট হিসেবে থাকার ফলেই। অসুখ বিসুখ, ভালো মন্দ কিংবা বিপদে একে ওপরের পাশে থাকে। আজ ২৪ মার্চ সেই রুমমেটের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের দিন। রুমমেটের প্রশংসা করার দিন আজ।  রুমমেটের প্রশংসা করার দিন বা ফ্ল্যাটমেট দিবস বিষয়টি হাস্যকর হলেও আজ কিন্তু এমন কিছুই করার দিন। প্রতি বছর ২৪ মার্চ এ বিচিত্র দিবসটি পালিত হয়। বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ একে অন্যের সাথে বাসা শেয়ার করে থাকেন। পরিবার থেকে দূরে থাকেন যারা, তারা কয়েকজন একসঙ্গে বাসা শেয়ার করে থাকেন। তবে অদ্ভুত বিষয় হচ্ছে এই বাসাতে থাকার আগে ফ্ল্যাটমেটরা কেউ কাউকে চিনত না। তবে একসঙ্গে থাকার এক পর্যায়ে তারা ভালো বন্ধু, আত্মবিশ্বাসী এবং কখনো কখনো নিজেদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একজন হয়ে ওঠেন। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১৪ সালে আমেরিকানদের প্রায় ৭ দশমিক ৭ শতাংশ রুমমেটদের সঙ্গে বসবাস করত, যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফ্ল্যাটমেট দিবসের ইতিহাস- প্রতি বছর ২৪ মার্চ ফ্ল্যাটমেটস ডে পালন করা হয়। ২০১৬ সাল থেকে এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। তবে ঠিক কে বা কারা এই দিবসটি পালন করা শুরু করেছিল সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। ডেইজ অব দ্য ইয়ার-এ জানা গেছে, কোনো এক ব্যক্তি তার রুমমেটের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য দিনটি উদযাপন শুরু করেছিলেন।
১৩ মার্চ : ইতিহাসে আজকের এই দিনে
ঘটে যাওয়া আজকের এই দিনের ঘটনা, অনেক আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তির জন্ম-মৃত্যু আমরা জানতে চাই। পাঠকের এ চাওয়া মাথায় রেখে নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। আজ বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪। ২৯ ফাল্গুন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা। ঘটনাবলী : ০০৪৫ -  থেকে জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের সূচনা। ১৭৫৮ -  হেলির ধূমকেতু গ্রহকক্ষস্থ সূর্যের নিকটতম বিন্দুতে অবস্থান নেয়। ১৭৮১ -  স্যার উইলিয়াম হার্শেল ইউরেনাস গ্রহ অবিষ্কার করেন। ১৭৯৯ -  মেদিনীপুরে চুয়াড় বিদ্রোহ শুরু। ১৮৭৮ -  বিভিন্ন ভাষার সংবাদপত্রের জন্য ব্রিটিশ রাজ কর্তৃক সংবাদপত্র আইন প্রণীত হয়। ১৮৮১ -  রাশিয়ার জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার আততায়ীর হাতে নিহত হন। ১৮৯৬ -  নেদারল্যান্ডসে প্রথম চলচ্চিত প্রদর্শিত হয়। ১৯০৬ -  মার্কিন নারী ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার অন্যতম পুরোধা নেত্রী সুসান ব্রাউলেন অ্যান্টনির মৃত্যু। ১৯৩০ -  সৌরম-লের নবম গ্রহ প্লুটো আবিষ্কৃত হয়। ১৯৫৪ -  ইন্দোচীনে দিয়েন বিয়েন ফু’র যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৭১ -  শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের নেতৃত্বে স্বাধীনতা প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষুব্ধ শিল্পী সমাজের প্রথম মিছিল। ১৮৮১ -  রাশিয়ার জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার আততায়ীর হাতে নিহত হন। জন্ম : ১৭৩৩ -  ইংরেজ রসায়নবিদ জোসেফ প্রিস্টলির জন্ম। ১৮৬১ -  সাহিত্যিক ও সম্পাদক জলধর সেনের জন্ম। ১৮৯৪ -  খ্যাতনামা বাঙালি পদার্থবিদ সত্যেন্দ্রনাথ বসুর (সত্যেন বোস) জন্ম। ১৯০০ -  গ্রিসের নোবেলজয়ী (১৯৬৩) কবি গেওর্গে সেফেরিসের জন্ম। ১৯৩০ -  বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও জনপ্রিয় বিজ্ঞান লেখক আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দিনের জন্ম। ১৯১৪ -  খ্যাতনামা বাঙালি ঔপন্যাসিক অদ্বৈত মল্লবর্মণের জন্ম। মৃত্যু : ১৭৩৯ -  সুবাদার সুজাউদ্দিন খানের মৃত্যু। ১৭৪৮ -  সুইজারল্যান্ডের খ্যাতনামা গণিতবিদ ইয়োহান বার্নুয়ির মৃত্যু। ১৮৯৪ -  জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী হার্টজের মৃত্যু। ১৯০১  -  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৩তম রাষ্ট্রপতি বেঞ্জামিন হ্যারিসন মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৭৬ -  পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের ইন্তেকাল। ১৯৮৫ -  কবি দিনেশ দাশের মৃত্যু। ১৯৯৬ -  পোল্যান্ডের খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা ক্রিস্তফ কিয়েশ্‌লফ্‌স্কি মৃত্যুবরণ করেন।
ইন্টেরিয়র ডিজাইন কী এবং কেন জরুরি
  ইন্টেরিয়র ডিজাইন এবং ইন্টেরিয়র ডেকোরেশনের মধ্যে অনেক বড় একটা পার্থক্য রয়েছে, যা আমরা সাধারণ চোখে কখনোই ভেবে দেখি না। বেইলি রোড দুর্ঘটনার পর অনেকেই বলছেন, ইন্টেরিয়র ডিজাইনের জন্য আগুনের ভয়াবহতা অনেক অনেক গুণ বেড়েছে। কথা ঠিক যে, অপ্রয়োজনীয় অনেক জিনিস আছে, যেগুলো থাকার কারণে একটা জায়গায় আগুন লেগে গেলে  তীব্রতা অনেক বেড়ে যেতে পারে। যেখানে দাহ্য পদার্থ যত বেশি থাকবে, সেখানে আগুন দ্রুত ছড়াবে এটাই স্বাভাবিক। কোনো একটা দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর আমরা নানারকম আলোচনা-সমালোচনা করে থাকি, কিন্তু খুবই দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, আমরা একটু চিন্তা না করে কোনো বিষয়ে কিছু একটা বলে ফেলার কারণে সমাজে এর অনেক বড় ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। তেমনই একটা ক্ষতিকর প্রভাব হলো ইন্টেরিয়র ডিজাইনকে, ইন্টেরিয়র ডেকোরেশনের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা। ইন্টেরিয়র ডিজাইন কী?  খুব সহজে এবং সংক্ষেপে যদি বুঝতে চাই তাহলে, কোনো একটা আবদ্ধ স্থানকে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ভাগ করে নেওয়া অর্থাৎ আপনার কাছে একটি নির্দিষ্ট আবদ্ধ স্থান রয়েছে এখন এই আবদ্ধ স্থানটির কোথায় আপনি কোন কাজের জন্য ব্যবহার করবেন, তা নির্ধারণ করা। স্থাপত্যের ভাষায় বললে, কোনো স্থাপনার অভ্যন্তরীণ স্থানকে প্রয়োজনীয় কাজের জন্য উপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করা ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কাজ।  প্রথমত, এই কাজে অনেকগুলো বিষয় নিশ্চিত করতে হয়, যেমন- যথাসম্ভব পর্যাপ্ত বাহিরের আলো–বাতাসের ব্যবস্থা রাখা, প্রতিটা মানুষ যেন আরামে বসে কাজ করতে পারে, কাজের স্থানে যেন চলাচলের সুব্যবস্থা থাকে, কাজের ধরন অনুযায়ী পর্যাপ্ত আসবাবপত্র রাখার ব্যবস্থা থাকা, এমনভাবে আসনগুলোকে স্থাপন করা যেন, প্রত্যেকে প্রত্যেকের কাছে তাদের কাজের গোপনীয়তা রক্ষা করতে পারে। আবার প্রয়োজন অনুযায়ী কয়েকজন একসাথে বসে কাজ করতে পারে। কোনো একটা দুর্ঘটনা ঘটলে যেন সবাই খুব দ্রুত নিরাপদ স্থানে চলে যেতে পারে ইত্যাদি আরও অনেকগুলো বিষয়ের দিকে খেয়াল রেখে একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার বা ইন্টেরিয়র স্থপতি কাজ করে থাকেন।  দ্বিতীয়ত, ডিজাইনের জন্য ব্যবহৃত উপকরণ নির্ধারণ করা, এটা একটা চ্যালেঞ্জিং কাজ। ক্লায়েন্টের সামর্থ্য, পছন্দ, ব্যবহারকারীর ওপর প্রভাব ইত্যাদি নানান বিষয় মাথায় রেখে ডিজাইনের উপকরণ বাছাই করতে হয়। উপকরণের গঠন, রং, আলোর প্রতিফলন, ঠান্ডা-গরম এমনকি ব্যবহারকারীর মানসিক নানান দিক ও চিন্তা করতে হয়। অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে ইন্টেরিয়র ডিজাইন সম্পূর্ণরুপে একটি সৃষ্টিশীল বা সৃজনশীল কাজ।  ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন কী?  একটি আবদ্ধ স্থানকে যখন কাজের ধরন অনুযায়ী ভাগ করা হয়, তখন ওই ভাগ করা একেকটি অংশকে আমরা আমাদের পছন্দমতো উপকরণ দিয়ে অলংকৃত করি। মূলত এই অলংকরণ করাটাই হলো ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন। এই কাজে খুব একটা সৃষ্টিশীলতার তেমন কিছু নেই। ব্যবহারকারীর রুচির ওপর বেশির ভাগ নির্ভর করে।   কেন ইন্টেরিয়র ডিজাইন এবং ডেকোরেশনের মধ্যে পার্থক্য বোঝা জরুরি  ইন্টেরিয়র ডিজাইন একজন ব্যবহারকারীকে তার স্থানটিকে উপযুক্ত ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত দিকনির্দেশনা দিবে যা একজন ব্যবহারকারীর খুবই প্রয়োজন। একটি আবদ্ধ স্থানকে ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তুলতে পারেন একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার বা ইন্টেরিয়র স্থপতি। আমাদের দেশে এই বিষয়টি খুব বেশি দিন আগে থেকে তেমন পরিচিত নয়। আবার নিয়ম-কানুন না মেনে অনেক কিছুই আমরা করে ফেলতে পারি বলে কোন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের গুরুত্বকে তোয়াক্কা না করেই এগিয়ে যাই যা বেশির ভাগ সময়ে বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ইন্টেরিয়র ডিজাইন এবং ডেকোরেশনের মধ্যে পার্থক্য না বোঝার কারণে আজকে একটা সুন্দর শিল্পকে আমরা ধ্বংশ করে ফেলতে যাচ্ছি। ইন্টেরিয়র ডিজাইনের নামে শুধুমাত্র কিছু গৎবাধা ডেকোরেশন করে চালিয়ে দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয় বলে আমি মনে করি। আমদের দেশের বেশির ভাগ মানুষই সচেতন নয় আর এই অসচেতনতার সুযোগ নিচ্ছে একদল লোভী, সুবিধাভোগী মানুষ। তারা কিছু না জেনেই অতি মুনাফার আশায় মানুষের ক্ষতি করে আসছে। একটি ইন্টেরিয়র ডিজাইন করার জন্য একজন মানুষকে অনেক পড়াশোনা করতে হয়, তাকে অনেক বেশি সৃজনশীল হতে হয়, তার মধ্যে আত্মবিশ্বাস থাকতে হয় এবং ভালো মন-মানসিকতার অধিকারী হতে হয়, তারপর একজন মানুষ একটি ভালো কাজ উপহার দিতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে বেইলি রোড ট্রাজেডির ফলে অনেকেই না বুঝে ইন্টেরিয়র ডিজাইনকে অনেকাংশে দায়ী করছেন।  আসলে দেখতে হবে যে, এই ট্রাজেডির জন্য কে দায়ী, ইন্টেরিয়র ডিজাইন নাকি ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন? আমাদের কিছু ভুল ধারণার কারণে একটা সুন্দর শিল্পকে যেন ধ্বংস করে না ফেলি! আমাদের মনে রাখতে হবে যে, একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার বা ইন্টেরিয়র স্থপতি পারেন একটি আবদ্ধ স্থানকে ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুসারে সর্বোচ্চ ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তুলতে। বর্তমানে আমাদের দেশে অনেকেই খুব ভালো ভালো কাজ করছেন। আমরা অনেকেই জানিনা যে, আন্তর্জান্তিক পরিমণ্ডলে আমাদের দেশের স্থপতিদের করা ইন্টেরিয়র ডিজাইনের প্রজেক্ট পুরস্কার পাচ্ছে এবং সমাদৃত হচ্ছে।   অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা এই ইন্টেরিয়র ডিজাইনের ওপর বিভিন্ন মেয়াদে কোর্স করাচ্ছেন এমনকি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে অনার্স (ব্যাচেলর ডিগ্রি) কোর্স ও করানো হচ্ছে। তাই আমরা জেনে-বুঝে ও শুনে একজন ডিজাইনারের পটভূমি যাচাই করে তবেই তাকে বা তার প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে ইন্টেরিয়র ডিজাইন করাব। এখন সময় এসেছে এই শিল্পকে নিয়ে গর্ব করার। স্থপতি মো. মোকসেদুর রাহমান রিপন সাবেক শিক্ষক, শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি
আজ ‘নাক পরিষ্কার করা দিবস’
আজ ১১ মার্চ, ‘নাক পরিষ্কার করা দিবস’ বা ‘ওয়াশ ইওর নোজ ডে’। ক্লিয়ার নামক যুক্তরাষ্ট্রের একটি নাক ও মুখের যত্নের পণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ২০২১ সালে দিবসটি পালন শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। নাক শরীরের একটি অতিগুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসের মৌলিক কাজটিই করে থাকে নাক বা নাসারন্ধ্র। নাক দিয়ে ঘ্রাণ নিয়ে মানুষ বিবেচনা করে কোনটি গ্রহণ বা বর্জন বাঞ্ছনীয়। নাকের গড়ন বা আকৃতি মানুষের মুখশ্রীকেও অনেক বাড়িয়ে তোলে। এমনকি মানুষের কণ্ঠস্বরেরও একটা প্রভাব থাকে নাকে। শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির যত্নও নেওয়া উচিত গুরুত্বের সঙ্গে। অনেকেই নাকের যত্নের ব্যাপারে বেশ উদাসীন। মানুষ হাত, পা, মুখ, ত্বক, চুল এমনকি কণ্ঠস্বরেরও যত্ন নেয়। কিন্তু নাকের ব্যাপারে তেমন কোনো খেয়াল থাকে না। অথচ নাকের অযত্নের কারণে শরীরে মারাত্মক সব রোগ দানা বাঁধতে পারে। ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসসহ অসংখ্য রকমের স্বাস্থ্যহানিকর ময়লা নাকে প্রতিদিন জমে থাকে। এসব ময়লা বড় ধরনের অসুখের কারণ। নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ, নাক ডাকা, নাক চুলকানো, শ্বাসকষ্ট, সর্দি, হাঁচি-কাশি—কত সমস্যা। যাদের নাকের জটিলতা আছে, কেবল তারাই বোঝেন এসব কষ্ট। দিবসটি উপলক্ষে নাকের যত্নে কিছু টিপস দেখে নেওয়া যাক কুসুম গরম পানির ভাপ নিয়ে নাক পরিষ্কার করতে পারেন। গরম পানিতে মেনথলের দানা মিশিয়ে চোখ বন্ধ করে ভেপার বা ইনহেলেশন নাক দিয়ে টেনে নিন। এতে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস নাক থেকে সহজেই দূর হবে। এ অসুখে সাধারণত অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ খুব কার্যকর এবং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে বাজারে চলতি নাকের ড্রপে সাময়িক আরাম মিললেও দীর্ঘদিন ব্যবহারে ঘ্রাণশক্তি কমে যেতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অযথা নাকের ড্রপ, টানা ব্যবহার করবেন না। সমস্যা বাড়লে নাক-কান-গলা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দুধে এক চিমটি খাবার সোডা মিশিয়ে নিতে হবে। এর মধ্যে তুলা ভিজিয়ে নাকের ওপর আলতো করে মুছে নিতে হবে। এতে নাকের উপরে জমে থাকা ধুলো পরিষ্কার হবে। ১০০ গ্রাম গোলাপজলে ১ চা-চামচ কর্পুর মিশিয়ে রেখে দিন। দিনে দুই থেতে তিনবার তুলোয় এই গোলাপ পানির মিশ্রণ দিয়ে পরিষ্কার করলে ব্ল্যাক হেডস বা হোয়াইট হেডসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। অনেকের নাকের দুই পাশে কালচে ছাপ দেখা যায়। এ থেকে মুক্তি পেতে ১ চামচ মুলতানি মাটি, চার-পাঁচটি লবঙ্গগুঁড়া, গোলাপজলে মিশিয়ে নাকের উপর লাগিয়ে রাখতে হবে। শুকিয়ে এলে ধুয়ে ফেলুন। নাকের পাশে বা ত্বকের যে কোন জায়গায় হোয়াইট হেডস হলে তা কখনও চাপ দিয়ে বের করার চেষ্টা করবেন না। আতপ চালের গুঁড়ার সঙ্গে মসুর ডাল বাটা লাগালে এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। নাকের উপর ও চারপাশে দুধ দিয়ে পরিষ্কার করে ক্লিনজিং মাস্ক লাগাতে হবে। দই, ডিম, মধু ও সামান্য পরিমাণ হলুদ একসঙ্গে মিশিয়ে নাকের উপর লাগিয়ে রাখুন। মিনিট দশেক পরে ধুয়ে ফেলুন। ফলে সব সময় নাকের উপর ও চারপাশ পরিষ্কার থাকবে। সহজে কোন ছোপ বা ব্ল্যাক হেডস হবে না। নাকের ত্বক মসৃণ করতে ১ চামচ মধু, ১০ থেকে ১২ ফোঁটা লেবুর রস, ২ চামচ গাজরের রস ও ১ চামচ বেসন একসঙ্গে মিশিয়ে এই মিশ্রণ লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।  
ব্যর্থ প্রেমের দুঃখ ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর দিন
পুরনো প্রেমের স্মৃতিতে ডুবে না থেকে আজ নিজেকে মুক্তি দিন। নিজের ইতিবাচক চিন্তাগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে ডেইলি রুটিন তৈরি করে ফেলুন। কারণ দুয়ারে হাজির হয়েছে ‘ব্যর্থ প্রেম ভুলে ঘুরে দাঁড়ানো দিন।’ বলা যায়, ভাঙা হৃদয়কে নতুন করে সারিয়ে তোলার দিন আজ। ভালোলাগা থেকে যে প্রেমের গল্প, অনেকের জীবনে তা ব্যর্থতার গল্পে পরিণত হয়। এরপর মানুষটি হতাশ হয়ে পড়েন। কেউ কেউ ভুল পথে পা বাড়ান। কিন্তু জীবন সুন্দর। এই সুন্দরকে আরও সুন্দর করে তুলতে বেদনাদায়ক স্মৃতিকে বিদায় জানাতে হয়। নিজেকে খুঁজে নিতে হয় নতুন কোনো ভালোলাগায়, ভালোবাসায়। ডেজ অব দ্য ইয়ারের তথ্য, প্রেমিকা চলে যাওয়ার পর খুব বেশি ভেঙে পড়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টার অধিবাসী জেফ গোল্ডব্ল্যাট। দুঃখভারাক্রান্ত মানুষটা ব্যর্থ প্রেম ভুলে ঘুরে দাঁড়াতে চাচ্ছিলেন। চেষ্টা করছিলেন এমন কিছু করতে, যা তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সাহায্য করবে। এ সময়ই তার মাথায় আসে ‘দুঃখ ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর দিন’ গোছের একটা দিবস চালুর ভাবনা। ভাবলেন, তিনি তো একা নন, এমন বেদনাহত মানুষ আছে প্রচুর। তারাও হয়তো ব্যাপারটা থেকে অনুপ্রেরণা পেতে পারে। যেই ভাবা সেই কাজ। জেফ একটি কবিতা লিখলেন এবং একটি ওয়েবসাইট খুলে সেখানে পোস্ট করলেন।  সাড়া পেতে বেশি সময় লাগেনি গোল্ডব্ল্যাটের। অনেক মানুষ গোল্ডব্ল্যাটের কবিতায় সাড়া দেন এবং একাত্মতা পোষণ করেন। এরপর ‘গুড মর্নিং আমেরিকা’সহ বিভিন্ন গণমাধ্যম বিচিত্র এই দিবস নিয়ে ফিচার প্রকাশ করে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে জনপ্রিয়তা পায় দিনটি। হ্যাঁ, দিনটি ছিল ৯ মার্চ। সচেতনভাবেই ভ্যালেন্টাইনস ডে এবং এপ্রিল ফুল ডে-র মাঝামাঝি একটা তারিখকে বেছে নিয়েছিলেন জেফ। আজ সেই দুঃখ ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর দিন (গেট ওভার ইট ডে)। যারা হৃদয় ভাঙার ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন, আজকের দিনকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিতে পারেন তারা। পুরনো প্রেমের স্মৃতিতে ডুবে না থেকে আজ নিজেকে মুক্তি দিন। এই দিনটিই হোক বিরহ যাপনের শেষ দিন।