• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
নির্মল জ্বালানির উৎস হতে পারে প্রাকৃতিক হাইড্রোজেন
কোয়ান্টাম ফিজিক্সে অভূতপূর্ব সাফল্য পেলেন বাংলাদেশি গবেষক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা দীর্ঘ ১৫ বছর গবেষণার পর কোয়ান্টাম ফিজিক্সের কঠিন এক সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হয়েছেন। আর এই গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন একজন বাংলাদেশি গবেষক। তার নাম এম জাহিদ হাসান। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) নেচার ফিজিক্স জার্নালে প্রকাশিত সংখ্যায় এই তথ্য জানানো হয়।  এম জাহিদ হাসান ইতিমধ্যেই কোয়ান্টাম ফিজিক্স গবেষক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে তুলেছেন। তিনি প্রিন্সটনের ল্যাবরেটরি ফর টপোলজিক্যাল কোয়ান্টাম ম্যাটার অ্যান্ড অ্যাডভান্সড স্পেক্ট্রোস্কোপির নেতৃত্ব দেন। এ ছাড়া জাহিদ হাসান ক্যালিফোর্নিয়ার লরেন্স বার্ক্লে ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির একজন ভিজিটিং ফ্যাকাল্টি সায়েন্টিস্ট এবং কোয়ান্টাম ফেনোমেনা ইন টপোলজিক্যাল ম্যাটেরিয়ালস ক্ষেত্রে তার গবেষণার জন্য বেটি অ্যান্ড গর্ডন মুর ফাউন্ডেশন থেকে ইপিআইকিউএস-মুর ইনভেস্টিগেটর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বিসমাথ ব্রোমাইড নামের মাত্র কয়েক ন্যানোমিটার প্রশস্ত একটি বস্তু ব্যবহার করেন এবং কোয়ান্টাম কোহেরেন্স নামের একটি ঘটনা পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হন আগের তুলনায় বেশি তাপমাত্রায়।  কোয়ান্টাম কোহেরেন্স হলো- কোয়ান্টাম মেকানিক্সের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। কোয়ান্টাম মেকানিক্সের অন্যান্য ধারণাগুলো হলো- সুপারপজিশন ও এনট্যাংগলমেন্ট। এগুলো বুঝতে হলে কোয়ান্টাম কোহেরেন্স জরুরি। কিন্তু কোয়ান্টার কোহেরেন্স পর্যবেক্ষণ করতে খুবই কম তাপমাত্রা (প্রায় পরম শূন্য) প্রয়োজন হতো। কিন্তু প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির এই গবেষণায় সাফল্য প্রমাণ করে যে, এর চেয়ে বেশি তাপমাত্রাতেও কোয়ান্টার কোহেরেন্স পর্যবেক্ষণ সম্ভব।  বিসমাথ ব্রোমাইড ছিল এই গবেষণার তুরুপের তাস। বেশি দূরত্বে ও বেশি তাপমাত্রায় কোয়ান্টাম কোহেরেন্স ধরে রাখতে তা সক্ষম। প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা অতীতের এক পরীক্ষায় বিসমাথ ব্রোমাইড তৈরি করেছিলেন। কিন্তু এই প্রথম করা হলো কোয়ান্টাম কোহেরেন্স পর্যবেক্ষণে এর কার্যকারিতা পরীক্ষা।  গবেষণাটির সাফল্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা তা ভবিষ্যতে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে এমন বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম তৈরিতে কাজে আসতে পারে। এ ছাড়া কোয়ান্টাম ফিজিক্স গবেষণা আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যও এর গুরুত্ব অপরিসীম। এক সময়ে সাধারণ ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোর বদলে ইলেকট্রনের কোয়ান্টাম বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করে এমন ডিভাইস সর্বজনীনভাবে ব্যবহার হবে, ফলে বিশাল পরিমাণে বিদ্যুৎ খরচ কমে আসবে বলে আশা গবেষকদের।
বিরল সূর্যগ্রহণ দেখবে বিশ্ব, দিন হবে রাতের মতো অন্ধকার
অর্ধশতাব্দী পর চন্দ্রাভিযানে সাফল্য এলো যুক্তরাষ্ট্রের
৫০ বছর পর ফের চাঁদের পিঠে নামছে মার্কিন মহাকাশযান
সব ঝিনুকে মুক্তা না থাকার রহস্য জানেন কি
মঙ্গলে ১০ লাখ মানুষের বসতি গড়বেন মাস্ক!
মঙ্গল গ্রহে মানুষের বসতি গড়া নিয়ে বিস্তর গবেষণা চলছে বিগত কয়েক দশক ধরেই। এরপরও একজন মানুষও পাঠানো যায়নি এখন পর্যন্ত। তাই বলে মঙ্গল গ্রহে মানুষের বসতির সম্ভাবনা নিয়ে আগ্রহে ভাটা পড়েনি পৃথিবীবাসীর। আর সেই সম্ভাবনা ও স্বপ্নের পালে হাওয়া দিয়ে চলেছেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক।  বছর দুয়েক আগে ২০৫০ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে জানালেও এবার জানালেন, মঙ্গল গ্রহে বসতি স্থাপনে এত বছর অপেক্ষা নাও করতে হতে পারে বিশ্ববাসীকে। বললেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই মঙ্গল গ্রহে ১০ লাখ মানুষের থাকার ব্যবস্থা করবেন তিনি। সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে এই পরিকল্পনার কথা জানান ইলন মাস্ক। লাল মাটির মঙ্গল গ্রহে উপনিবেশ স্থাপন করতে চান জানিয়ে বলেন, ‘এক সময় এই পৃথিবী শেষ হয়ে যাবে, কিন্তু মঙ্গলে মানুষ থাকতে পারবে দীর্ঘদিন।’  এমন এক সময়ে ইলন মাস্ক এ কথা বললেন যখন তার প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের স্টারশিপ রকেটের সক্ষমতা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছে। মূলত সামাজিক মাধ্যমে তোলা এসব প্রশ্নের উত্তরেই মঙ্গলে বসতি স্থাপনের কথা জানান মাস্ক। নিজের নতুন রকেটটিকে নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী তিনি। টুইটে মাস্ক বলেন, মঙ্গলে আমাদের উদ্দেশ্য সঠিকভাবে আমরা পূরণ করতে পারব। একদিন পরিস্থিতি এমন হবে, মঙ্গলে যাওয়া হয়ে যাবে পাশের দেশে ঘুরতে যাওয়ার মতো।  মঙ্গল গ্রহ নিয়ে এমন উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা অনেকদিন ধরেই জানিয়ে আসছেন মাস্ক। এবারের মন্তব্যের পর তার স্পেসএক্স কার্যক্রমে আরও গতি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।   এর আগে গত সপ্তাহেই ইলন মাস্ক দাবি করেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তার স্টারশিপ মঙ্গলে যেতে সক্ষম হবে।   
পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে অকেজো স্যাটেলাইট
পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে কয়েক হাজার কিলোগ্রাম ওজনের বিশাল এক অকেজো স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ। নিয়ন্ত্রণহীন অকেজো স্যাটেলাইটটি নিয়ে দু’চিন্তায় রয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। স্যাটেলাইটটি এই মাসে পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা। তবে কবে কোথায় স্যাটেলাইটটি পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো তথ্য জানা যাচ্ছে না। কেননা স্যাটেলাইটটি সফলভাবে নিরাপদে অবতরণের কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, ২ হাজার ২৬৭ কিলোগ্রাম ওজনের স্যাটেলাইটটি এ মাসের মাঝামাঝি যেকোনো সময়ে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে। স্যাটেলাইটটির অংশবিশেষ কোনো না কোনো সাগরে আছড়ে পড়বে। মহাকাশ থেকে আসা ধ্বংসাবশেষের মাধ্যমে আহত হওয়ার ঝুঁকি ১০ হাজার কোটি ভাগের এক ভাগ হওয়ায় এ নিয়ে আতঙ্কিত হতে মানা করেছেন তারা। খবর ডেইলি মেইল। পৃথিবীর ভূমি, মহাসাগর ও মেরু অঞ্চলের তথ্য সংগ্রহের জন্য ১৯৯৫ সালে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ইআরএস-২ নামের স্যাটেলাইটটি মহাকাশে পাঠায়। প্রায় ৩০ বছর ধরে আমাদের গ্রহের ওপরে ঘুরে বেড়িয়েছে স্যাটেলাইটটি। ইআরএস ২ স্যাটেলাইটের পুরো নাম ইউরোপিয়ান রিমোট-সেন্সিং স্যাটেলাইট ২। এটি ১৯৯৫ সালের ২১ এপ্রিল উৎক্ষেপণ করা হয়। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪৮৭ মাইল দূরে অবস্থান করে। সে সময় এটি ছিল ইউরোপের তৈরি সবচেয়ে আধুনিক পর্যবেক্ষণ মহাকাশযান। বিশ্বের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা বা ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ পর্যবেক্ষণ করাসহ বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক কাজে স্যাটেলাইটটির তথ্য ব্যবহার করা হতো। ২০১১ সালের পর ইআরএস ২ স্যাটেলাইট আর ব্যবহার করা হয়নি। এ জন্য স্যাটেলাইটটিকে নির্ধারিত কক্ষপথ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এক বার্তায় ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি জানিয়েছে, স্যাটেলাইটটি পৃথিবীতে কখন আর কোথায় আছড়ে পড়বে, তা সঠিকভাবে অনুমান করা সম্ভব নয়। তাই খুব নিবিড়ভাবে স্যাটেলাইটটিকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পরে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০ মাইল ওপরেই স্যাটেলাইটটির বেশির ভাগ অংশ পুড়ে ধ্বংস হয়ে যাবে। কিছু টুকরা পৃথিবীর পৃষ্ঠে পৌঁছাতে পারে। বার্তায় আরো বলা হয়, কোনো বিষাক্ত বা তেজস্ক্রিয় পদার্থ থাকবে না এসব টুকরায়। স্যাটেলাইটের ব্যাটারি শেষ হয়ে গেছে। যোগাযোগের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ অনেক দিন আগেই অকেজো হয়ে গেছে। তাই ইআরএস ২ স্যাটেলাইটের সঙ্গে যোগাযোগ বা নিয়ন্ত্রণের কোনো সুযোগ নেই।  
ডাবের ভেতরে পানি কোথা থেকে আসে জানেন কি? 
ডাব শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ডাব খেতে ভালবাসেন প্রায় সকলেই৷ কিন্তু, ডাবের পানি খেতে খেতে কি কখনও মনে হয়েছে এতো উঁচু গাছে ডাব তার মধ্যে পানি আসে কী ভাবে বা কোথা থেকে? সকলেই জানেন ডাবের পানিতে পেট ঠান্ডা হয়। একে প্রাকৃতিক স্যালাইন ওয়াটাও বলা হয়। গরমে ডাব শরীরকে স্বস্তি দেয়৷ আরও পড়ুন : বলিউড নিয়ে মীরার বিস্ফোরক মন্তব্য   আসলে ডাবের ভিতর যে পানি আসে তা গাছের এন্ডোস্পার্মের অংশ। নারকেল গাছ তার ফলকে পানি সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করে। নারকেল গাছ শিকড় দিয়ে নিজের ভেতরে পানি টেনে নেয়। এই প্রক্রিয়াকে অভিস্রবণ বলা হয়। এর মাধ্যমে ডাব গাছের প্রতিটি অংশে পানি পৌঁছায়। আরও পড়ুন : স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে স্বামীর আত্মহত্যা   এন্ডোস্পার্ম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই পানি ডাবের ভেতরে যায়। এই পানির কিছু অংশ থেকে ধীরে ধীরে শাঁস তৈরি হয়। পরে এটি নারকেল হয়ে যায়। তবে পরিপক্ক নারকেল হয়ে গেলেও এতে কিছুটা জল থেকেই যায়।