• ঢাকা রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৩৫ লাখ টাকা চাঁদা, গ্রেপ্তার ৭
কুমিল্লায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার মাধ্যমে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগে নারীসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা নিজেদের ভুয়া ডিবি পুলিশ-সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বড় অঙ্কের টাকা আদায় করত। শনিবার (৪ মে) কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান।  এর আগে ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে তাদের আটক করে। এ সময়ে চাঁদা আদায়ে ব্যবহৃত ভুক্তভোগীর স্বাক্ষরিত সাতটি অলিখিত স্টাম্প ও সাতটি খালি ব্যাংক চেক জব্দ করে পুলিশ।  আটক ব্যক্তিরা হলেন- ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয় দেওয়া সৈয়দ অয়াত উল্যাহ ও ইমরান হোসেন, সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া মো. মোজাম্মেল হক, চাঁদা আদায়কারী মো. সাখাওয়াত হোসেন, গোপনে ভিডিও ধারণকারী আব্দুর রহিম, ফাঁদে ফেলার বাসার মালিক মোহাম্মদ কোভিদ হোসেন ও পুরো ঘটনার মাস্টারমাইন্ড তাসনুভা আক্তার।  পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, কুমিল্লার লাকসামে ভুক্তভোগীকে মোবাইলে কল করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাসনুভা আক্তার। পরিকল্পনা করে তাকে সদর উপজেলার বালুতোপা এলাকার একটি বাসায় নিয়ে শারীরিক সম্পর্কের গোপন ভিডিও করে। এ সময় কৌশলে ঘটনাস্থলেই ডিবি পুলিশ ও সাংবাদিকের উপস্থিতি দেখিয়ে শুরু হয় ভুক্তভোগীর কাছ থেকে চাঁদা আদায়।  একপর্যায়ে প্রতারণার ভিডিও ভুক্তভোগীর ছেলের মোবাইলে পাঠিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে চক্রটি। সম্মানহানির কথা চিন্তা করে নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে প্রতারক চক্রকে ২৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা চাঁদা দেওয়া হয়। পরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অভিযোগ দিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে চক্রের সাত সদস্যকে আটক করে।
১০ ঘণ্টা আগে

জায়েদ খানের স্বর্ণের ফোন ফেলে দেওয়ার রহস্য ফাঁস
ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান প্রজন্মের আলোচিত-সমালোচিত নায়ক জায়েদ খান। বিভিন্ন সময় তাকে নানান কর্মকাণ্ডের জন্য সমালোচিত হতে হয়। অন্যদিকে বিভিন্ন ঘটনায় ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে হঠাৎ নিজের মেজাজ হারাতে দেখা গেছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কয়েক সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে, জায়েদ খানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়ছেন সাকিব। ভিডিও ক্লিপটিতে দেখা গেছে, সুইমিংপুলের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে যাচ্ছিলেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তার ঠিক পাশেই দাঁড়ানো ছিল চিত্রনায়ক জায়েদ খান। হঠাৎ দেখা যায়, সাকিব তার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি সুইমিংপুলে ছুড়ে ফেলে দিয়ে হেঁটে চলে যান। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সাকিবের এমন আচরণে হতভম্ব হয়ে যান জায়েদ খান। কারণ, পানিতে ছুড়ে ফেলা ফোনটি ছিল তার। বিষয়টি নিয়ে সাকিব আল হাসানের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে জায়েদ খান তার ফেসবুকে লিখেছিলেন, নাম্বার ওয়ান বলেই কি ফোন ফেলে দেবে? শিগগিরই সব জানাবো, তারপর আপনারাই বিচার কইরেন। এদিকে অনেকেই বলছেন সাকিব ও জায়েদ খানের ফোন ফেলে দেওয়ার বিষয়টি বিজ্ঞাপনের একটি অংশ। নেটিজেনদের সেই ধারণা সত্য হলো। এবার পুরো বিজ্ঞাপনটি জায়েদ খান তার নিজের ওয়ালে শেয়ার দিয়েছেন। জায়েদ খান এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে অবস্থান করছেন। সেখানে তিনি একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন। 
০২ মে ২০২৪, ২২:২৫

‘নাম্বার ওয়ান বলেই কি ফোন ফেলে দেবে’
ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান প্রজন্মের আলোচিত-সমালোচিত নায়ক জায়েদ খান। বিভিন্ন সময় তার নানান কর্মকাণ্ডের জন্য সমালোচিত হতে হয়। অন্যদিকে বিভিন্ন ঘটনায় ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে হঠাৎ নিজের মেজাজ হারাতে দেখা গেছে। এবার তাকে দেখা গেছে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়তে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কয়েক সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপে সাকিবের ক্ষোভের বিষয়টি দেখা গেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, সুইমিংপুলের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে যাচ্ছিলেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তার ঠিক পাশেই দাঁড়ানো ছিল চিত্রনায়ক জায়েদ খান। হঠাৎ দেখা যায়, সাকিব তার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি সুইমিংপুলে ছুড়ে ফেলে দিয়ে হেঁটে চলে যান। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সাকিবের এমন আচরণে হতভম্ব হয়ে যান জায়েদ খান। ধারণা করা হচ্ছে, পানিতে ছুড়ে ফেলা ফোনটি জায়েদ খানের। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন জায়েদ। নিজের ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, নাম্বার ওয়ান বলেই কি ফোন ফেলে দেবে? শিগগিরই সব জানাবো, তারপর আপনারাই বিচার কইরেন। জায়েদের এ স্ট্যাটাস দেখে এটি স্পস্ট যে ভিডিওটি সাজানো। ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি শুটিংয়ের অংশ হয়ে থাকতে পারে। তবে এটি কোনো বাণিজ্যিক কার্যক্রমের অংশ নাকি অন্য কোনো ধর নের শুটিং তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।  বর্তমানে সাকিবের কাঁধে রয়েছে গুরু দায়িত্ব। শুধু মাঠে না, সংসদে ভবনেও যেতে হয় তাকে। কেননা তিনি এখন নির্বাচিত সংসদ সদস্য। অন্যদিকে জায়েদ খান ব্যস্ত বিভিন্ন শোরুম উদ্বোধন নিয়ে। পাশাপাশি দেশ-বিদেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিনোদিত করেন। ঈদে মুক্তি পেয়েছে তার সিনেমা সোনার চর। 
০১ মে ২০২৪, ১৭:৪৫

চোর সন্দেহে ৯ তলা থেকে ফেলে রিকশাচালককে হত্যা, কারাগারে ১
রাজধানীর নর্দ্দায় চোর সন্দেহে আটক করা হয় শাকিল (২৫) নামে এক রিকশাচালককে। এরপর হাত, পা, চোখ বেঁধে মারধর করার পর ৯ তলা ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয় তাকে।  গত বৃহস্পতিবারের (২৫ এপ্রিল) ঘটনা এটি। দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান ওই ব্যক্তি। এদিকে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইমরান হোসেন শুভ (২০) নামে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সে ভবন মালিকের ছেলে বলে জানা গেছে।    নিহতের পরিবারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৫ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মারধর করা হয় শাকিলকে। এরপর রাতে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয় তাকে।  স্থানীয়দের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নর্দ্দার জাহাঙ্গীর সাহেবের বাড়ি নামে পরিচিত একটি বাড়ি থেকে কিছু বৈদ্যুতিক তার চুরি হয় কয়েক দিন আগে। সেগুলোর দাম ছিল প্রায় এক হাজার টাকার মতো। সে সময় সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চুরিতে জড়িত একজনকে শনাক্ত করা হয়। তাকে আটক করে মারধর করে চুরির ঘটনায় আর কেউ সম্পৃক্ত কি না এ তথ্য জানতে চান ভবনটির বাসিন্দারা। এ সময় শাকিলের সম্পৃক্ততার কথা জানালে তাকে ডেকে নিয়ে যান তারা। পরে ৯ তলা ভবনটির ছাদে নিয়ে হাত-পা-চোখ বেঁধে মারধর করা হয় তাকে।  তবে চুরির সঙ্গে শাকিলের সম্পৃক্ততা সম্পূর্ণ বানোয়াট বলে দাবি তার পরিবারের। তাদের ভাষ্য, চুরির অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এর কোনো তথ্য-প্রমাণও নেই। সেদিন রিকশা চালিয়ে ক্লান্ত শাকিল একটি দোকানে বসে চা খাচ্ছিল। সেখান থেকে দুজন ছেলে তাকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে ৯ তলা ভবনের ছাদে নিয়ে হাত-পা-চোখ বেঁধে তাকে মারধর করে ওই বাড়ির লোকেরা। কিন্তু চুরির বিষয়ে কিছুই জানত না সে। তাই যতই মারধর করুক চুরি করা তার কোথায়, সে কথা বলতে পারেনি শাকিল। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে মারধরকারীরা হাত, পা ও চোখ বাঁধা অবস্থায় ছাদ থেকে ফেলে দেয় তাকে।  এ ঘটনায় শাকিলের বাবা আলেক মিয়া বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি মামলা করেছেন। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই ভবনের মালিকের ছেলে ইমরান হোসেন শুভকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।   বিষয়টি নিশ্চিত করে গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ শাহানুর রহমান বলেন, চুরির সন্দেহে মারধর করে শাকিলকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার পরিবার একটি মামলা করেছে। মূল আসামিকে গ্রেপ্তারের পর এক দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হয়েছে। আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত অজ্ঞাত আরও কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।  
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৪

হাসপাতালে ফেলে যাওয়া নবজাতক দত্তক পেলেন সেবিকা
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক প্রসূতি কন্যাসন্তান প্রসব করে উধাও হওয়ার পর বিপাকে পড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অবশেষে ইউএনওর হস্তক্ষেপে সেই নবজাতকটি দত্তক নিয়েছেন একজন সেবিকা (নার্স)। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে এক গর্ভবতী মহিলা হাসপাতালে ভর্তি হন। ভর্তির ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই ওই মহিলা এক কন্যাসন্তান প্রসব করেন। পরে টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে নবজাতক বাচ্চাটি হাসপাতালে রেখেই পালিয়ে যান। এদিকে বাচ্চা ফেলে মা পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয় পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। উৎসুক জনতা সে বাচ্চাটিকে দেখতে ভিড় করে সেখানে। অনেকে সে বাচ্চার দায়িত্ব নিতেও আগ্রহ প্রকাশ করেন। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ‍্যায় পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপজেলা শিশু কল্যাণ কমিটির বৈঠকে সর্ব সম্মত সিদ্ধান্তক্রমে নার্স মিনারা দম্পতির কাছে দত্তক প্রদান করেন। ইউএনও মো. সাইফুল ইসলাম জয় নিজেই দায়িত্ব নিয়ে নবজাতককে নার্সের হাতে তুলে দেন। এ সময় পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইলিয়াছ ইউএনওকে সহযোগিতা করেন।  এর আগে শিশু কল্যাণ কমিটির সভাপতি বরাবরে নবজাতকটিকে দত্তক নিতে প্রবাসী, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী, রাজনীতিবিদ ও দিনমজুরসহ ১৫টি আবেদন জমা পড়ে। আবেদনকারীদের সশরীরে সাক্ষাৎকার নিয়ে যাচাই-বাচাই শেষে কমিটির সর্ব সম্মত সিদ্ধান্তক্রমে মিনারা দম্পতিকে উপযুক্ত মনে করে দত্তক প্রদান করেন। নার্স মিনারা খাতুন পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স। তিনি নিঃসন্তান। এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রূম্পা ঘোষ, পেকুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইলিয়াস, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট কামাল হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুজিবুর রহমান, সমাজ সেবা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আরিফ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বাবুল আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৩

রান্না খারাপ হওয়ায় স্ত্রীকে জানালা দিয়ে ফেলে দিলেন স্বামী
পাকিস্তানের লাহোরে মুরগির মাংস রান্না ভালো না হওয়ায় স্ত্রীকে জানালা দিয়ে ফেলে দিয়েছেন এক স্বামী। গত ৩০ মার্চ ঘটনাটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এর আগে, গত ৯ মার্চ ঘটনাটি ঘটে।  জানা গেছে, গত ৯ মার্চ পাকিস্তানের লাহোরের নোনারিয়ান চকের শালিমার রোডের কাছে মরিয়ম নামের ওই গৃহবধূর সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে।  মুরগির মাংস ঠিকমতো রান্না না করতে পারায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওই নারীকে মারধর করে, আর জানালা দিয়ে ফেলে দিয়েছিলেন তার স্বামী। পাকিস্তানের পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ শরিফ ঘটনার নিন্দা করেছেন। সেই সঙ্গে ভুক্তভোগীর স্বামীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ মামলা করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রধান আসামিসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। ভাইরাল হওয়া সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি গলি দিয়ে পথচারীদের সামনে হঠাৎই একজন নারী একটি ভবনের ওপর থেকে নিচের রাস্তায় পড়েন। মাটিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই চিৎকার করেন ওই মহিলা। ওই নারী রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পর প্রতিবেশীরা তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে যান। এ ঘটনায় ওই নারী গুরুতর আহত।  Shocking incident from Lahore Pakistan: A woman was thrown out of a window by her husband Shahbaz, brother-in-law Roman, and mother-in-law Shazia, for not spicing the chicken properly. Incident is from March 9, 2024. One of the main accused was arrested.https://t.co/CyXeOIt1KL pic.twitter.com/YAIvnT3QL1 — Diksha Kandpal (@DikshaKandpal8) March 30, 2024
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪০

প্রেমের ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ছবি-ভিডিও ধারণ করতেন তারা!
প্রেমের ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ব্যাপারে আটক পাঁচজনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান খান এ তথ্য জানান। আটকরা হলেন- রাজবাড়ী শহরের বিনোদপর গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. মাসুদুর রহমান (৪৫), সদর উপজেলার বাগমারা গ্রামের হাসান আলীর মেয়ে মোছা. রিমা খাতুন (২৬), ভবানীপুর গ্রামের মৃত বানু মোল্লার ছেলে মো. ফজলুল হক (৫৩), লক্ষীনারায়নপুর গ্রামের মৃত ক্বারী আনোয়ার উল্লাহর ছেলে মো. এমদাদ হোসেন (৫৯) ও কালুখালী উপজেলার মদাপুর গ্রামের আবুল সরদারের ছেলে জামাল সরদার (৫২)। মো. মনিরুজ্জামান খান বলেন, রিমা খাতুন ফেসবুকের মাধ্যমে মাহফুজ নামে এক যুবককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কথা বলার জন্য মাসুদুর রহমানের বাসায় ডেকে আনেন। সেখানে মাসুদুর রহমান, জামাল সরদার ও ফজলুল হক রিমা ও মাহফুজকে উলঙ্গ করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তারা মাহফুজের পরিবারের কাছ থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা আদায় করে। পরে তারা এমদাদ হোসেনের মাধ্যমে বিয়ের ভুয়া কাবিননামা এবং নোটারি পাবলিকের হলফনামা তৈরি করে মাহফুজের পরিবারের কাছে আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করে। এ ঘটনা মাহফুজের বাবা শাহজাহান খান রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে জানায়। বৃহস্পতিবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশর একটি দল রাজবাড়ী সদর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রটিকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে পর্নোগ্রাফির প্রমাণসহ দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, পাঁচটি মেমোরি কার্ড, ভুয়া কাবিননামার কপি ও বিয়ের হলফনামার কপিসহ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত অন্যান্য কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৩:০৪

প্রেমের ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে প্রতারণা
দিনাজপুরের ধর্ষণ মামলার আসামি রাহমাতুর রাফসান অর্ণব রাজধানী ঢাকায় নতুন করে প্রতারণায় মেতে উঠেছেন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ভাবে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তরুণীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের পরে ব্ল্যাকমেইল করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অর্ণবের প্রেমের ফাঁদে পড়ে উঠতি বয়সী অনেক তরুণী সর্বস্ব হারিয়েন। এসব ঘটনায় দিনাজপুর ও ঢাকায় তার নামে একাধিক মামলা করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ ছাড়া মাদক ব্যবসা, চাকরি দেওয়া ও বিদেশ লোক পাঠানোর নামে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে অর্ণবের বিরুদ্ধে। মামলার নথি ও পুলিশ সূত্র জানায়, পুলিশের ডিআইজির ছেলের ভুয়া পরিচয় দিয়ে পুলিশের ভ্যান ব্যবহার ও ডিএমপির স্টিকার লাগিয়ে, হুডার ব্যবহার করে অর্ণব কক্সবাজার থেকে ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য নিয়ে এসে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়। সেই সাথে পুলিশের বড় কর্মকর্তা পরিচয়ে বিভিন্ন মানুষকে হুমকিও দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন শিল্পপতি ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করে সেসব ভিডিও ধারণ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। এসব বিষয়ে জানার জন্য তার বাবা পুলিশ কর্মকর্তা জাহিদের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। অভিযুক্ত অর্ণবের সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে ফোন করলে সাংবাদিক পরিচয় শুনেই তিনি আর কথা বলতে ইচ্ছুক নয় বলে ফোন কেটে দেন। প্রসঙ্গত, এর আগে দিনাজপুর শহরে লিগেসি নামের একটি চায়নিজ রেস্টুরেন্টের আড়ালে তরুণীদের ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় ও ধর্ষণ মামলায় জেল খেটেছেন অর্ণব।
২৫ মার্চ ২০২৪, ২২:০৮

অভাবের তাড়নায় শিশুকে রাস্তায় ফেলে গেলেন মা, ফিরিয়ে দিল পুলিশ
নীলফামারীর সৈয়দপুরে অভাবের তাড়নায় এক শিশুকে হাসপাতালের পাশের গলির রাস্তায় ফেলে যায় রেহেনা নামে এক গৃহবধূ। পরে যাচাই বাছাই শেষে শিশুটিকে উদ্ধার করে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।   সোমবার (১১ মার্চ) শিশুটিকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সৈয়দপুর থানার ওসি শাহ আলম। রোববার শিশুটিকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।  শিশুটির মা রেহেনা বেগম শহরের কামারপুকুর এলাকার ঈদগাহ ময়দান পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।   পুলিশের বরাতে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে শিশুটিকে হাসপাতালের গলির রাস্তায় কুড়িয়ে পান সেলিনা বেগম। এরপর শিশুটি অসুস্থ থাকায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি। মানুষের মাঝে শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়ার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে বাচ্চার মা দাবি করে শিশুকে ফেরত নিতে আসেন রেহেনা বেগম। এরপর শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়ার বিষয়ে থানায় জিডি করেন ওই গৃহবধূ। তাদের দুজনকে শিশুটিকে নিয়ে থানায় ডাকেন পুলিশ। তারপর খোঁজখবর নিয়ে প্রকৃত মায়ের কাছে শিশুকে হস্তান্তর করা হয়।  শিশুর মা রেহেনা বেগম বলেন, আমার বাচ্চাটি হওয়ার পর তার বাবা আমার আর তার কোনো খোঁজখবর নেননি। অভাবের তাড়নায় শিশুটিকে আমি রাস্তায় ফেলে যাই। নিজের সন্তানকে ফেলে দেওয়ায় আমি অনুতপ্ত হই৷ পরে পুলিশকে জানালে তারা আমার শিশুকে আজকে ফেরত দেয়।  শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়া সেলিনা বেগম জানান, আমি শিশুটিকে কুড়িয়ে পেয়েছিলাম। শিশুটিকে অসুস্থ থাকায় তাকে আমি চিকিৎসা করিয়েছি। শিশুটি ভালো থাকুক তার মায়ের কাছে।  এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, একজন মা তার শিশুকে রাস্তায় ফেলে যায় এমন একটি খবর শুনতে পাই। পরে সেই শিশুকে কুড়িয়ে পাওয়ার বিষয়ে সেলিনা বেগম নামে একজন থানায় জিডি করেন। আমরা তদন্ত করে তার প্রকৃত মায়ের কাছে শিশুটিকে ফিরিয়ে দেই।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৪

অভাবের তাড়নায় শিশুকে রাস্তায় ফেলে গেলেন মা 
নীলফামারীর সৈয়দপুরে অভাবের তাড়নায় নিজের শিশুকে হাসপাতালের পাশের গলির রাস্তায় ফেলে যায় রেহেনা নামে এক মা।  শনিবার (৯ মার্চ) রাতে সৈয়দপুর থানায় শিশুটিকে নিয়ে আসেন কুড়িয়ে পাওয়া সেলিনা বেগম। এর আগে বৃহস্পতিবার শিশুটিকে কুড়িয়ে পায় তিনি। কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে এ শিশুটিকে কুড়িয়ে পায় সেলিনা বেগম। তবে শিশুটিকে নিজের সন্তান বলে দাবি করছেন শহরের কামারপুকুর ঈদগাহ এলাকার রেহেনা বেগম। স্বামীর অত্যাচারে আর অভাবে শিশুকে হাসপাতালের পাশের গলির রাস্তায় ফেলে যায় তিনি।  জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকালে কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে শিশুটিকে হাসপাতালের গলির রাস্তায় কুড়িয়ে পায় সেলিনা বেগম। এরপর শিশুটি অসুস্থ থাকায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি। এরপর মানুষের মাঝে শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়ার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে বাচ্চার মা দাবি করে শিশুকে ফেরত নিতে আসেন রেহেনা বেগম। এরপর শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়ার বিষয়ে থানায় জিডি করেন ওই গৃহবধূ। আজকে তাদের দুজনকে শিশুটিকে নিয়ে থানায় ডাকেন দায়িত্বরত কর্মকর্তা৷  বাচ্চার মা দাবি করা রেহেনা বেগম জানায়, আমার বাচ্চাটি হওয়ার পর তার আর আমার কোন খোজ খবর নেয়না আমার স্বামী। আমার বাচ্চা হওয়ার পর কয়েকদিন না খেয়ে ছিলাম। তারা বলে এটা অন্যের ছেলে এজন্য তারা আমাকে খাবার দেয় না। আমি অভাবের তাড়নায় শিশুকে ফেলে দিয়েছি। এখন আমি আমার শিশুকে ফেরত চাই৷  বাচ্চা কুড়িয়ে পাওয়া সেলিনা জানায়, আমি কাজ শেষ করে বাসায় যাচ্ছিলাম এ সময় শিশুটিকে দেখতে পাই৷ তারপর শিশুটিকে কুড়িয়ে নিয়ে হাসপাতাল যাই। বাচ্চাটি খুব অসুস্থ ছিলো তারপর তার চিকিৎসা করার পর সে কিছুটা সুস্থ হয়েছে। এখন যাকে ফেলে দিয়েছে এটা তার বাচ্চা আমি বুঝব কিভাবে। আমি বাচ্চাটিকে কুড়িয়ে পেয়েছি তাকে আমি রাখতে চাই।  স্থানীয় মহিলা কাউন্সিলার রুবিনা বেগম জানায়, আমি শুনেছি উনি বাচ্চাটিকে কুড়িয়ে পায়। তারপর হাসপাতালে গিয়ে বাচ্চাটিকে কাপড় কিনে দেয়, তারপর থানায় এসে জিডি করি। আজকে থানায় ডেকেছে পুলিশ এখানে এসে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত করবে শিশুটি কার। আমি চাই প্রকৃত মালিককে শিশুকে ফেরত দেওয়া হোক।  এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ বলেন, থানায় সবাইকে ডাকা হয়েছে, তদন্ত করে শিশুটিকে তার প্রকৃত মালিক বা মায়ের হাতে তুলে দিব।
১০ মার্চ ২০২৪, ১০:১৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়