• ঢাকা রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ক্যাম্পাস চালুসহ ৫ দফা দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন 
অনির্দিষ্টকালের জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিলে ৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো পূরণ করতে কুবি প্রশাসন ও শিক্ষক সমিতিকে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন তারা। শনিবার (৪ মে) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিবের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে সকাল সাড়ে ১১টায় এ মানববন্ধন করেন তারা।  মানববন্ধনে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘শিক্ষক সমিতি গত ১৯ ফেব্রুয়ারির পর থেকে দফায় দফায় ক্লাস বর্জন করে আসছে। প্রায় ৪ দফায় শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন করেছেন। তাদের দাবি এটা ন্যায্য আন্দোলন অথচ ক্ষতির সম্মুখীন আমরা হয়েছি। শিক্ষক সমিতি ক্লাস বর্জন করাটা যেমন অন্যায় তেমনি ভিসি স্যারের ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়াটাও অন্যায়। দু’পক্ষের এ আন্দোলনের মধ্যে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। তাদের সমস্যা অবশ্যই সমাধানের প্রয়োজন রয়েছে।’ মানববন্ধনে সাধারণত শিক্ষার্থীদের পক্ষে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মারুফ শেখ বলেন, ‘শিক্ষক এবং উপাচার্য নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে আমাদেরকে ক্ষতির মুখে ফেলে দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই নিম্নবিত্ত পরিবারের। অনেক শিক্ষার্থীরা টিউশন করিয়ে লেখাপড়ার খরচ চালায়। পরিবহন বন্ধ থাকায় টিউশন করানো কষ্টকর হয়ে গেছে। অনতিবিলম্বে ক্লাস-পরীক্ষা চালু করার জোর দাবি জানাচ্ছি।’ এ সময় মানববন্ধনে তারা পাঁচটি দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিসমূহ হলো- অবিলম্বে ক্যম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, অবিলম্বে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সবকিছু চালু করতে হবে, পরিবহন ব্যবস্থা চালু করতে হবে, শিক্ষকদের ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইউজিসি/সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত কমিটি গঠন করে সংকট সমাধান করতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগে

ন্যায্য অধিকারের দাবিতে রাজপথে শ্রমিকরা
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে র‍্যালি ও সমাবেশ করছে শ্রমিকরা। প্রখর রোদ আর গরমকে পাশ কাটিয়ে নিজেদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের দাবিতে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন খাতের শ্রমিকরা। ভরা রাজপথে ন্যায্য অধিকারের পুরনো দাবিগুলো আরো একবার তুলে ধরেছে শ্রমিক সংগঠনগুলো।  বুধবার (১ মে) সকাল থেকেই জাতীয় প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় এসব খণ্ড খণ্ড বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। সেখানে আইএলও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ অনুযায়ী অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকারের দাবি তোলেন শ্রমিকরা। দ্রব্যমূল্য ও জীবন যাপনের ব্যয় বিবেচনা করে জাতীয় মজুরি আইন ঘোষণা ও বাস্তবায়নের পাশাপাশি শ্রমিকদের মতামত উপেক্ষা করে সংসদে উত্থাপিত শ্রম আইন ও অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল প্রত্যাহারসহ জানানো হয় ৯ দফা দাবি। পাশাপাশি বেসরকারি শিল্পের নারী শ্রমিকদের ৬ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি চালু ছাড়াও মজুরি আন্দোলনে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চান শ্রমিকরা। তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করে বুধবার সকাল থেকে মাথায় লাল পট্টি পরে, হাতে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন আর পতাকা নিয়ে ও গায়ে নিজ নিজ শ্রমিক সংগঠনের টি-শার্ট জড়িয়ে স্লোগানে স্লোগানে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকেন বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের কর্মীরা।  সেখানে অবস্থান ও বক্তব্যের পর বেলা ১১টার দিকে মিছিল যায় পল্টন মোড়ে। মিছিলের স্রোত গিয়ে মেলে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের (স্কপ) সমাবেশে প্রাঙ্গণে। সেখানে স্লোগান দিতে দিতে নিজেদের কর্মী নিয়ে একে একে যোগ দেন স্কপের ১২টি জাতীয় ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। এরপর সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে সব কর্মীদের নিয়ে মিছিল বের করেন স্কপ নেতারা। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে স্কপ সমাবেশে এবারের মে দিবসের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সভাপতি আশিকুল আলম চৌধুরী। সেখানে বলা হয়, ১৩৮ বছর পর এবারের মে দিবস শ্রমজীবীদের সামনে আরও অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছে। আশিকুল আলম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ৭ কোটি ৩৬ লাখ শ্রমশক্তির ৮৫ শতাংশ অপ্রতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করে। তাদের শ্রম ঘণ্টা, ন্যায্য মজুরি, কাজের নিশ্চিয়তা এবং নিরাপত্তা কোনটাই নাই। জাতীয় মজুরি আইন নিয়ে চলছে দীর্ঘসূত্রতা। শ্রমিকদের সংগঠন করার স্বাধীনতাকে বিভিন্নভাবে সঙ্কুচিত করে রাখা হয়েছে। সবশেষ শ্রমিকদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সর্বোচ্চ উপায় হিসেবে ধর্মঘট করার অধিকারও অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা আইনের খড়গের নিচে। এ অবস্থায় সব শ্রেণির শ্রমিককে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সভাপতি।  সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জোটের যুগ্ম সমন্বয়কারী মইনুল আহসান জুয়েল। তিনি বলেন, সরকার আসে সরকার যায়, কিন্তু শ্রমিকের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয় না। আজকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি চরমে, শ্রমিকরা দুই বেলা ভাত জোটাতে পারছে না। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও আমরা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি আদায় করতে পারিনি। আর সরকার বার বার বলছে, উন্নয়নের জোয়ারে বাংলাদেশ ভাসছে।  সমাবেশে উত্থাপিত স্কপের ৯ দফা দাবিগুলো হল- •    ৮ ঘণ্টা কর্ম দিবস বাস্তবায়ন •    আউট সোর্সিং বন্ধ করা •    অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল প্রত্যাহার •    ধর্মঘটের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব না করা •    আইন করে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা এবং সেক্টার ভিত্তিক মজুরি নির্ধারণ •    শ্রমিকদের রেশন, আবাসন, শ্রম আইনের অগণতান্ত্রিক ধারাসমূহ বাতিল করে গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রবর্তন •    প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক এবং মালিকানা নির্বিশেষে ইপিজেড, ইডিজেডসহ সকল সেক্টরের শ্রমিকদের অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার প্রদান করা •    শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা •    কর্মক্ষেত্রে নিহত-আহতদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া। পুরানা পল্টন থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত সড়কে সমাবেশ ও মিছিল নিয়ে যোগ দেয় জাতীয় শ্রমিক জোট, সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন, নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন, বহুমুখী হর্কার্স সমিতি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ দর্জি শ্রমিক ফেডারেশন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক জোট, জাতীয় গণতান্ত্রিক শ্রমিক ফেডারেশন, ইমারত শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব লেবার স্টাডিজ, বাংলাদেশ টেড ইউনিয়ন সংঘ, কর্মজীবী নারী, বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশন, গ্রীন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, ঢাকা মহানগরীর প্রাইভেট কার ও ট্যাক্সি ক্যাব ড্রাইভার্স ইউনিয়ন, জাতীয় গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ট্রাস্ট গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ, লেবার পার্টি, গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কসহ বিভিন্ন সংগঠন। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) এদিন ঢাকার পল্টন মোড়ে সমাবেশ ও পরে লাল পতাকা মিছিল করে। এছাড়া জাতীয় শ্রমিক লীগ ও জাতীয়বাদী শ্রমিক দল বিকেলে যথাক্রমে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ও নয়া পল্টনের সড়কে সমাবেশ করবে।
০১ মে ২০২৪, ১৭:৫৯

বিয়ের দাবিতে বাপ্পীর বাসার নিচে ভক্ত, অতঃপর...
ঢাকাই সিনেমার বর্তমান প্রজন্মের নায়ক বাপ্পী চৌধুরী। অনেক দিন কোনো নতুন চলচ্চিত্রে দেখা যায় না তাকে। শোনা যাচ্ছিল, ‘অপারেশন জ্যাকপট’ সিনেমায় দেখা যাবে এ নায়ককে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সিনেমা থেকে বাদ পড়েন তিনি। পাশাপাশি তার শুটিং শেষ হওয়া বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রের মুক্তি নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা। এতকিছুর মাঝেই ঈদ উপলক্ষে একটি গণমাধ্যমের অনুষ্ঠানে অতিথি হয়েছিলেন বর্তমান প্রজন্মের চিত্রনায়ক বাপ্পী চৌধুরী। সেখানে হাজির হয়ে নিজের ব্যক্তিজীবনের নানা তথ্য জানিয়েছেন তিনি। অনুষ্ঠানে অভিনেতা বাপ্পী চৌধুরীর কাছে জানতে চাওয়া হয় তাকে কখনো কোনো ভক্ত ফোন করে বিয়ে করতে হবে, না হলে মরে যাবে এমন দাবি করেছিলেন কি না। জবাবে এ নায়ক বলেন, অলরেডি একজন পেয়েছি। ক্লাস নাইনে পড়তো মেয়েটি। দু-চার বছর আগের কথা। বাপ্পী চৌধুরী বলেন, একবার ক্যামেরার সামনে বিয়ে নিয়ে কথা বলেছিলাম। তো ওই মেয়েটি ফেসবুকে একটি ভিডিও ছেড়েছিল, আমি মরে যাব তুই যদি বিয়ে করিস। আর পরদিন তো বাসার নিচে চলে আসছিল মেয়েটি। সঙ্গে ওর বাবাও ছিল। কিছুটা ভয়ও পেয়েছিলাম। ওইদিনের ঘটনা কীভাবে সামলেছেন এ অভিনেতা, সেটিও জানিয়েছেন। বাপ্পী চৌধুরী বলেন, ওই মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছি আমি। তারা বাবা আমাকে অনুরোধ করে বলেছিলেন, তুমি দু-এক দিন কথা বলো পরে সব ম্যানেজ করে নেবো। এরপর ওই মেয়ের সঙ্গে এক সপ্তাহের মতো কথা বলেছি। তারপর ধীরে ধীরে সামলে নিয়েছি বিষয়টি। বর্তমানে সিঙ্গেল কি না এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাপ্পী বলেন, অবশ্যই সিঙ্গেল। কারণ, বাপ্পী এখনো বিয়ে করেনি। বিয়ে না করা পর্যন্ত একজন ছেলে সিঙ্গেলই তো থাকে। আর প্রেমের ব্যাপারে এ ঢালিউড শিল্পী বলেন প্রেম করছেন, তবে সিনেমায়।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:১৯

শ্রীপুরে সড়ক সংস্কারের দাবিতে ৭ গ্রামবাসীর মানববন্ধন
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার শ্রীপুর-গাজীয়ারন-পেলাইদ কলেজ রোডটি দ্রুত সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে সাত গ্রামের শত শত মানুষ।  রোববার (২৮ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। শ্রীপুর-গাজীয়ারন-পেলাইদ কলেজ রোডের প্রবেশমুখে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অংশ নেন গোসিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন মোড়ল, স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী সাত গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। অংশগ্রহণকারীরা জানান, শতবর্ষী পুরনো রাস্তাটি প্রথমে মাটি ফেলে ও পরবর্তীতে ‘ইটের সলিং’ করে উন্নয়ন করা হয়েছিল। বর্তমানে এটি কার্পেটিংয়ের জন্য সরকারিভাবে দরপত্র দিয়ে উন্নয়ন সংস্কারকাজ শুরুর আড়াই মাস পর বন বিভাগের লোকজন কিছু অংশে বাধা দিচ্ছে। অথচ রাস্তাটি শতবর্ষী পুরনো। গাজিয়ারন গ্রামের পলাশ মিয়া জানান, এটি আমাদের সাত গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা। আমাদের পূর্ব পুরুষরা এ রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করেছে। আমরাও চলাফেরা করছি। হাজারও দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে গাজীয়ারন, নতুন পটকা, পেলাইদ, পাঁচুলটিয়া, তাঁতীসুতাসহ সাতটি গ্রামের মানুষ কাঁচা সড়ক দিয়ে চলাফেরা করেছে। আগে ইট বিছানো রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ার পর সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা এখন চলছে ঢিমেতালে। স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগের তত্ত্বাবধানে রাস্তাটি কার্পেটিং করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। দুই মাসের বেশি সময় যাবত সংস্কারকাজ করা হলেও বর্তমানে সকল প্রকার কাজ বন্ধ রয়েছে। এতে সাত গ্রামের মানুষের মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। পেলাইদ গ্রামের কলেজ পড়ুয়া সজীব হাসান বলেন, বর্ষাকালে কাঁধে ব্যাগ ও হাতে জুতো নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। সড়কটির কিছু অংশ ইট বিছানো বাকি পথ কাদামাটির। আমার মতো সাত গ্রামের কমপক্ষে ৫’শ শিক্ষার্থী এমন দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে যাতায়াত করে থাকি। পেলাইদ গ্রামের কৃষক অমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকার সকল কৃষক তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারে নিতে সমস্যা হয়। এ যুগেও উপজেলা শহরের অতি নিকটে থেকেও কাদামাটির পথ পাড়ি দিয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হয়। এ অবস্থার উত্তরণ না ঘটলে সরকারের কাঙ্খিত সামগ্রিক উন্নয়নের সাথে আমরা একত্রিত হতে বাধাগ্রস্ত হতে হবে। স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগসূত্রে জানা গেছে, অতি সম্প্রতি শ্রীপুর-গাজীয়ারন-পেলাইদ নদীর ঘাট পর্যন্ত রাস্তাটি উন্নয়নের জন্য সরকারিভাবে দরপত্র আহ্বান করা হয়। যথারীতি ঠিকাদার নিয়োগ করে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। রাস্তাটির ওপর ইতোমধ্যে ৯টি কালভার্ট স্থাপন করা হয়েছে। স্থানীয়রা বলেন, বন বিভাগ রাস্তাটির উন্নয়ন কাজে বাধা সৃষ্টি করছে। সকল উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। শতবর্ষী রাস্তাটির উন্নয়নে স্থানীয় বন বিভাগের বাধা প্রদানের বিষয়টি আমাদের মর্মাহত করেছে। আমরা উপজেলা পর্যায়ের সরকারি নীতি নীর্ধারণী মহলের দ্বারস্থ হয়েছি। আমরা দ্রুত রাস্তাটির সংস্কার কাজ সম্পন্ন চাই। শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শামসুল আলম প্রধান ও নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শোভন রাংসা বলেন, এলাকাবাসীর কাছ থেকে যাতায়াত সমস্যা ও সংস্কার কাজ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে স্থানীয় বন বিভাগের কর্মকর্তারা দাবি করেন, রাস্তাটিতে বন বিভাগের বেশ কিছু জমি রয়েছে। এটি রক্ষার দায়িত্ব বন বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল মহলের।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩৩

ক্ষতিপূরণের দাবিতে ৯ বাস আটক করেছেন জাবি শিক্ষার্থীরা
ক্ষতিপূরণের দাবিতে ইতিহাস পরিবহনের ৯টি বাস আটক করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একদল শিক্ষার্থী।  শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন এলাকায় বসে বাসগুলো আটক করা হয়। বেলা সোয়া ১১টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক সংলগ্ন সড়কের একপাশে ইতিহাস পরিবহনের ৯টি বাস সারি সারি রাখা হয়েছে।  শিক্ষার্থীরা জানান, শনিবার সকাল সোয়া ৯টার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকারী ইতিহাস পরিবহনের একটি বাস হঠাৎ ব্রেক (হার্ড ব্রেক) করায় পেছন থেকে ধাক্কা দেয় সাভার পরিবহনের আরেকটি বাস। ঠিক তার পেছনে থাকা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর প্রাইভেট কার সাভার পরিবহনের বাসটিতে ধাক্কা দেয়। এতে জাবি শিক্ষার্থীর প্রাইভেট কারের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। পরে ভুক্তভোগী ক্যাম্পাসে তার বন্ধুদের জানালে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের এক পাশে ইতিহাস পরিবহনের ৯টি বাস আটক করেন। ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের ছাত্রী। ভুক্তভোগী বলেন, ‘এতবড় একটি ঘটনা ঘটার পর পেছনে কেউ মারা গেল নাকি বেঁচে আছে সেটি না দেখে বাসটি দ্রুত টান দিয়ে চলে যায়। এরপর আমার প্রাইভেট কারের চালক ইতিহাস পরিবহনের বাসে উঠে কেন এমন হার্ড ব্রেক করল জানতে চাইলে বাসচালক এবং সহযোগী খারাপ ব্যবহার করেন ও হুমকি দিয়ে বাস থেকে নামিয়ে দেন। আমরা সড়কে চলাচলের নিরাপত্তা চাই।’ ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার বন্ধুদের দাবি, সড়কে চলাচলের নিরাপত্তা এবং প্রাইভেট কারের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ইতিহাস পরিবহন কর্তৃপক্ষের। তারপর তারা বাসগুলো ছাড়বেন। এ বিষয়ে ইতিহাস পরিবহনের আটককৃত একটি বাসের চালক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আমাদের (ইতিহাস) একটি বাস হার্ড ব্রেক করছে, তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর প্রাইভেট কার ধাক্কা খেয়েছে। কিন্তু সেই বাস আটক না করে আমাদের বাসগুলো আটক করে রেখেছে। আমাদের যিনি চেকার আছেন তাকে বিষয়টি জানিয়েছি।’ ইতিহাস পরিবহনের ভিআইপি চেকার মো. জসিম বলেন, ‘যে বাসটি হার্ড ব্রেক করেছে সেটার নাম্বার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী দিয়েছেন। আমরা ওই নির্দিষ্ট বাসটি শনাক্ত করার জন্য রোডে যারা দায়িত্বে আছেন তাদেরকে বলেছি। ওই বাসের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি সমাধান করব বলে ক্যাম্পাসে এসেছি। আমাদের একটি বাস আটক রেখে বাকিগুলো ছেড়ে দেওয়ার জন্য ছাত্রদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি।’ এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. জেফরুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘জানতে পেরেছি, ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটি মেরামত করে দেওয়ার জন্য ইতিহাস পরিবহনের মালিকপক্ষ রাজি হয়েছে। গাড়িটি এখন গ্যারেজে আছে। ক্ষতিপূরণ দিলে শিক্ষার্থীরা বাস ছেড়ে দেবে বলে জানিয়েছে। এ ঘটনায় আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি।’
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১০

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন
তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নসহ ছয় দফা দাবিতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মানববন্ধন স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন, তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক সফিয়ার রহমান, ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান, পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ওছমান গনি ও প্রমুখ। হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন তিস্তাপাড়ের লোকজন। এ সময় বক্তারা বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে লালমনিরহাটের কালেক্টরেট মাঠের ভার্চুয়াল সভায় যুক্ত হয়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন বিষয়ে একই কথা ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী তিস্তা পাড়ের কোটি মানুষকে তিস্তা মহা পরিকল্পনার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। আমরা চাই সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন, তিস্তার বুকে ব্যাপক খনন।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০৮

জাবিতে শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ছয় হাজার টাকা ‘শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি’ আদায়ের প্রতিবাদে ও ফি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আহসান লাবিবের সঞ্চালনায় বক্তারা শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি আদায়কে ‘অন্যায্য’ উল্লেখ করে অবিলম্বে এ ফি বাতিলের দাবি জানান। মানববন্ধনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সংগঠক সোহাগী সামিয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দিনের পর দিন লাইটিং করে অর্থ অপচয় করতে দ্বিধাবোধ করে না। কিন্তু শিক্ষার্থীদের কল্যাণের জন্য তাদের পকেট থেকে টাকা নিতে চায়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হলো গরিব-দুঃখী মেহনতি মানুষদের আশ্রয়স্থল। খেটে খাওয়া মানুষের সন্তানরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। এখন এ প্রতিষ্ঠানগুলো যদি দিনের পর দিন খরচ বাড়াতে চায় তাহলে তারা কোথায় যাবে। ‘টাকা যার শিক্ষা তার’- এ নীতি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে না আসলে শিক্ষার্থীরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ইমন বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর অন্যায়ভাবে ছয় হাজার টাকার দায় চাপানো হয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ ‘অ্যামাউন্ট’ হয়তো খুব বেশি না। কিন্তু সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর খুব কম অ্যাফোর্ডেবল ফি দিয়ে ভর্তি হয়ে আসছিলো। পরবর্তীতে বিভাগ উন্নয়ন ফি চালু করা হলেও ছাত্রদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বাদ দেওয়া হয়। এখন আবার নতুন করে শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি হিসেবে তা চাপানো হয়েছে। আমরা একে অন্যায্য বলে দাবি করছি। অনতিবিলম্বে এ ফি না কমালে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবো। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে ফি আদায়ের প্রবণতা বাদ দিতে হবে। বিভিন্ন বিভাগে উইকেন্ড কোর্স চালু আছে। বিভাগগুলো বলছে, এ টাকা যথেষ্ট নয়। তাদের অর্থসংকটের অতিরিক্ত টাকা কি শিক্ষার্থীরা বহন করবে? পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য হচ্ছে সর্বস্তরের সবার জন্য উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করা। পাবলিক ফান্ড ট্যাক্স বা ইউজিসি থেকে অন্য কোনোভাবে এ টাকা সমন্বয় করতে হবে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ টাকা নেওয়া যাবেনা। ছাত্রদের কাছ থেকে টাকা নিলে এ বিশ্ববিদ্যালয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এ বিশ্ববিদ্যালয় স্বার্থকতা হারাবে। কালকে থেকে ভর্তি শুরু হবে, অসংখ্য ছাত্রদের ওপর অন্যায্য অর্থনৈতিক চাপ আসবে। এটা কোনোভাবেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে কাম্য নয়। আমরা সকল শিক্ষার্থীকে এ যৌক্তিক দাবিতে সংযুক্ত হওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৪

৪ দফা দাবিতে বিড়ি শ্রমিকদের মানববন্ধন
চার দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়ন। রবিবার (২১ এপ্রিল) বেলা ১১ টার দিকে পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। মানববন্ধন শেষে পাবনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর চার দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন শ্রমিকরা। শ্রমিকদের দাবি গুলো হলো- বঙ্গবন্ধুর আমলে বিড়ি শিল্পে কোন শুল্ক ছিল না, তাই আগামী বাজেটে বিড়ির শুল্ক প্রত্যাহার করা, অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার, বিদেশী কোম্পানির নিম্নস্তরের সিগারেট বন্ধ এবং বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি করা। মানববন্ধনে বিড়ি শ্রমিকরা বলেন, বিড়ি শিল্প দেশের প্রাচীন শ্রমঘন একটি শিল্প। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এই শিল্পের দ্বার উন্মোচিত হয়েছিল। তিনি এই শ্রমঘন শিল্পটি শুল্ক মুক্ত ঘোষণা করেছিলেন। পাবনা অঞ্চলসহ সারাদেশের ১৮ লক্ষ হতদরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্তা, শারীরিক বিকলাঙ্গ শ্রমিক বিড়ি কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। বিড়ি শ্রমিকদের দুর্দশা লাঘবের জন্য এবং তাদের কর্ম রক্ষার্থে সংসদের বাজেট বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলেছিলেন, বিড়ি উপর কর কমিয়ে সিগারেটের উপর একটু বেশি কর বাড়িয়ে দিতে হবে। সুতরাং বঙ্গবন্ধুর সময়ের মত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলেও বিড়ি শিল্পের উপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করার আহবান জানাচ্ছি। একইসাথে বিড়ি দেশীয় শ্রমিক নির্ভর শিল্প হিসেবে এই শিল্পের উপর থেকে অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি। শ্রমিকরা আরো বলেন, বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানি ও দেশের কিছু এনজিও এই শিল্পকে ধ্বংস করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বর্তমানে নিম্নস্তরের সিগারেট টোব্যাকো মার্কেটের ৭৫ শতাংশ দখল করে আছে। সুতরাং দেশীয় শ্রমঘন বিড়ি শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষার্থে এই দেশে বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানির নিম্নস্তরের সিগারেট উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। এছাড়া বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি করতে হবে। পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সভাপতি হারিক হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন, সহ-সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন, পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শামীম ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর, আবুল হাসনাত লাভলু, আনোয়ার হোসেন, রাণী খাতুন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান, পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সহ-সভাপতি আলম হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক দুলাল মোল্ল্যা, সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল শেখ, কোষাধ্যক্ষ টোকন রায়, শ্রম সম্পাদক চামেলি খাতুনসহ অনেকে।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৬

ইন্টার্ন চিকিৎসককে যৌন হয়রানি, শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে এক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকের পোশাক পরিবর্তনের গোপনে ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেল করে যৌন হয়রানি করার প্রতিবাদে ও গ্রেপ্তার আসামিদের দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।  বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে হাসপাতাল চত্বরে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও জেনারেল হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন করে৷  আন্দোলনরত চিকিৎসকরা জানায়, গত ৬ এপ্রিল হাসপাতালে দায়িত্ব শেষে কোয়াটারে গিয়ে এক ইন্টার্ন চিকিৎসক পোশাক পরিবর্তন করার সময় নার্সদের কোয়াটারের ছাদ থেকে নাইমুর রহমান, ইমরুল হাসান, জাকারিয়া হোসেন বেনজির ও আরাফাত হোসেন ভিডিও ধারণ করে। পরে সেই ভিডিও নারী চিকিৎসকের কাছে পাঠিয়ে দেড় লাখ টাকা দাবি করে ও কুপ্রস্তাব দেয়। সেই প্রস্তাবে রাজি না হলে ভাইরাল করা হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় মামলার পর গত ১০ এপ্রিল চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ।  ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. জাকারিয়া জাকি বলেন, মামলার পর থেকে অভিযুক্ত পরিবার ও প্রভাবশালীরা মামলা তুলে নিতে হুমকি প্রদান করে। এ অবস্থায় ভুক্তভোগীর পরিবার ভয়ে দিন পার করছে। গ্রেপ্তার আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞেসাবাদ ও দৃষ্টান্ত শাস্তিসহ ভুক্তভোগীর জীবনের নিরাপত্তার দাবি করছি। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচির দেওয়া হয়।  আরেক ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. মোহনা দেব তৃষা বলেন, দেখুন হাসপাতালে এতো ভিড়ের মধ্যে আমরা চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকি। কোয়াটারে থেকেও আমরা নারী চিকিৎসকরা নিরাপদ না। এ বিষয়ে নানা ধরনের হুমকি আসছে। আসামিরা ছাড়া পেয়ে গেলে ভুক্তভোগীসহ যারা আছি তাদেরকে দেখে নেওয়ার কথাও শুনেছি। তারা যেনো জামিন না পায় ও তাদের রিমান্ডে এনে আরও কারো কাছে ভিডিও রয়েছে কি না তা তদন্তের দাবি জানাই। 
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪৪

চাকরি স্থায়ীর দাবিতে বিআইডব্লিউটিসির অস্থায়ী কর্মচারীদের মানববন্ধন 
নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করে চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের কর্মরত অস্থায়ী শ্রমিক-কর্মচারীরা। একই সঙ্গে মজুরী বৃদ্ধির দাবি জানান তারা। রাজধানীর বাংলামোটরে প্রতিষ্ঠানটির সামনের সড়কে ‘বিআইডব্লিউটিসির অস্থায়ী শ্রমিক-কর্মচারীবৃন্দের’ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানান তারা। বর্তমানে তারা ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা হারে বেতনে কাজ করছেন। দাবি আদায় না হলে আগামী ঈদুল ফিতরের পর বিক্ষোভ সমাবেশ, কর্মবিরতি ও আমরণ অনশনের মতো কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শ্রমিকরা।  মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিআইডব্লিউটিসিতে দীর্ঘদিন ধরে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির বিভিন্ন পদে প্রায় ৬০০ শ্রমিক ও কর্মচারী নিরলস অস্থায়ীভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু ২০১১ সাল থেকে আমাদের স্থায়ী করণ না করে বারবার পত্রপত্রিকাতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাপিয়ে স্থায়ীভাবে লোকবল নিযুক্ত করা হয়েছে। যেখানে ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক আদেশ জারি আছে, অভিজ্ঞ ও দীর্ঘ মেয়াদে চাকরিরতদের অগ্রাধিকার দিয়ে তারপর শূন্য পদে বাহির থেকে লোকবল নিযুক্ত করা যাবে। সেই ভিত্তিতে ২০০৬ সালে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণি পদে প্রায় ৪২৫ জনকে বোর্ড-বাই সার্কুলেশনের মাধ্যমে স্থায়ী করা হয়। বক্তারা আরও বলেন, বর্তমানে আমাদের ভিন্ন ভিন্ন বহুপদ শূন্য থাকা সত্ত্বেও পত্রিকাতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে লোকবল নিযুক্তির মতো ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এটি বার বার করে আসছে শুধু বিআইডব্লিউটিসি’র কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাদের নিজ নিজ স্বার্থ হাসিল করার জন্য। বর্তমানে আমাদের বিকাশের মাধ্যমে বেতন দেওয়া হয় যেখানে আমাদের প্রতিমাসে বেতন পেতে মাসের প্রায় ১০ তারিখ থেকে ২০ তারিখ লেগে যায়। বক্তারা আরও বলেন, আমরা বর্তমানে দৈনিক মাত্র ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা হারে বেতনে পরিবার পরিজন নিয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছি। বর্ধিত বাসা ভাড়া, বর্ধিত দ্রব্যমূল্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় মৌলিক চাহিদার সবকটি সেক্টরে মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমরা আমাদের পরিবারের মুখে দু’বেলা ভাতের যোগানটুকু দিতে পারছি না। অন্যদিকে আমাদের স্থায়ী না করে নিজেদের পকেট ভারী করার জন্য জনপ্রতি ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছে। অস্থায়ী পদে নিযুক্তির সময়েও লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এমতাবস্থায় আমাদের স্থায়ী না করে বরং এখন নতুন করে বিভিন্ন পদে স্থায়ীভাবে লোকবল নিযুক্তির মাধ্যমে আমাদের সমস্ত অস্থায়ীদের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে। আমাদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। এ সময় তারা প্রকাশিত নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলসহ সংস্থার অস্থায়ী ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারীদের পর্ষদ সভার মাধ্যমে চাকরি স্থায়ী করা না হলে আগামী ঈদুল ফিতরের পর বিক্ষোভ সমাবেশ, কর্মবিরতি ও আমরণ অনশনের মতো কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়