• ঢাকা রোববার, ২৬ মে ২০২৪, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
৫ দিন ধরে নিখোঁজ বুয়েটছাত্র তানভীর, থানায় জিডি
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক শিক্ষার্থী পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় জিডি করেছে তার পরিবার। নিখোঁজ মাহমুদুল হাসান তানভীর (২৪) বুয়েটের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ স্মৃতি হলে থাকতেন। পরিবার থেকে জানানো হয়েছে, পাঁচদিন ধরে তানভীরের কোনো খোঁজ নেই, তার ফোনেও কল যাচ্ছে না।  তবে দক্ষিণখান থানা পুলিশের দাবি, তানভীর বাসায় ফোন রেখে গেছে। ফলে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে ট্র্যাক করা যাচ্ছে না। জানা যায়, ১৭ মে তানভীর হলে যাবেন বলে বাসা থেকে বের হন। এরপর থেকে তার আর খোঁজ নেই। তিনি হলেও যাননি। তানভীর বুয়েটের শহীদ স্মৃতি হলে থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা। তানভীরের মা শারমিন সুলতানা জিডিতে উল্লেখ করেছেন, তাদের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। তানভীর সবার বড়। ১৪ মে বুয়েটের শহীদ স্মৃতি হল থেকে সে বাসায় আসে। ১৭ মে বিকেল সাড়ে ৩টায় হলে যাবে বলে বের হয়ে যায়। পরে তার সঙ্গে তারা যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে রাত ৯টার দিকে তাকে কল দিয়ে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তার পরনে ছিল ফর্মাল শার্ট-প্যান্ট। তার উচ্চতা ৬ ফুট ১ ইঞ্চি। গায়ের রঙ উজ্জ্বল শ্যামলা আর স্বাস্থ্য মাঝারি গড়নের স্বাস্থ্য।   তানভীরের মা আরও উল্লেখ করেন, পরে বুয়েটের শহীদ স্মৃতি হলে গিয়ে তার সহপাঠীদের কাছে, আত্মীয়স্বজনের বাসায় খোঁজ-খবর নিয়েছি। এরপর থানায় জিডি করেছি, তারপরও তার খোঁজ পাচ্ছি না। এ দিকে দক্ষিণখান থানার ওসি শেখ আমিনুল বাশারের দাবি তানভীর তার ব্যবহৃত ফোন বাসায় রেখে গেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে তিনি বলেন, ‘১৭ তারিখ বিকেলে হলে যাচ্ছি বলে বের হয়ে যান তানভীর। প্রযুক্তি ব্যবহার করে অবস্থান বের করা সম্ভব হয়নি। আমরা ম্যানুয়ালি খোঁজ করছি।’ বুধবার তদন্তের জন্য একটি টিম বুয়েট ক্যাম্পাসে যাবে বলেও জানান তিনি।
২১ মে ২০২৪, ২০:০৮

কাদের মির্জাকে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে কাদের মির্জা বাদী হয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।  মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ থানায় তিনি এ জিডি করেন। এর আগে, কাদের মির্জার মোবাইল ফোনে একটা অচেনা নম্বর থেকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। সাধারণ ডায়েরিতে কাদের মির্জা উল্লেখ করেন, ২৯ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীরা বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দাগনভূঞা, সুবর্ণচর, কবিরহাট ও সেনবাগ উপজেলার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ভাড়া এনে কোম্পানীগঞ্জের শান্তির পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ছাড়াও কোম্পানীগঞ্জের আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন মিকন, মো. আইয়ুব আলী, সালেকিন রিমন, জাহেদুল হক কচি, আবদুর রেজ্জাককে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে।  তিনি আরও উল্লেখ করেন, এ ছাড়া স্বতন্ত্র উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী পরিচয় দিয়ে শাহাদাত হোসেন বসুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রাসেল, বসুরহাট পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদ উল্যা হামিদ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আইনুল মারুফকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। বিষয়টি তিনি সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অবগত করেন। এ ব্যাপারে কাদের মির্জা গণমাধ্যমকে বলেন, একটি নম্বর থেকে আমার ফোনে কল আসে। ফোন রিসিভ করে হ্যালো বললে ফোনের ওপাশ থেকে বলা হয়, আমাকে হত্যা করা হবে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীরা আগামী ২৯ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এমন হুমকি দেয়। এরপর আমি আর কোনো কথা না বলে সংযোগ কেটে দেই। বিষয়টি থানায় লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, হত্যার হুমকির বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৪ মে ২০২৪, ১৮:২৮

বুবলীর পর এবার থানায় অপুর অভিযোগ
চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীর পর এবার অরুচিকর, মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচারের অভিযোগ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ঢালিউড কুইন অপু বিশ্বাস।  বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর ভাটারা থানায় তিনি একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। জিডিতে অপু বলেছেন,বেশ কিছুদিন যাবত ৩৪ ব্যক্তি ও ব্লগার তাদের নিজস্ব ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে আমার নামে বিভিন্ন অরুচিকর, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করছে। এমন অবস্থায় বিষয়টি আমি সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করে রাখার প্রয়োজন বলে মনে করেছি। বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির গুলশান বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) রাজন কুমার সাহা গণমাধ্যমকে বলেন, তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুবলি ফ্যান, সীমান্ত, ভাইরাল নিউজ বাই তোমা, ফাইভ টিভি বাংলা ও রাইদ রবিসহ ৩৪টি ফেসবুক পেজ-ইউটিউব চ্যানেলের নাম উল্লেখ করেছেন অপু। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে অপুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
১০ মে ২০২৪, ১০:৩০

অতিষ্ঠ হয়ে থানায় জিডি করলেন বুবলী
একদল মানুষের অরুচিকর, মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচারে অতিষ্ঠ হয়ে অবশেষে আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। করেছেন একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি)। বুধবার (৮ মে) ডিএমপির গুলশান বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) রাজন কুমার সাহা গণমাধ্যমকে বুবলীর জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে ডিএমপির সিটিটিসি বিভাগের সাইবার ইউনিট তদন্ত করছে। এর আগে, গত ২৪ এপ্রিল বুবলী রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তবে শুরু থেকেই তিনি পুরো বিষয়টি গোপন রেখেছেন।  সাধারণ ডায়েরিতে বুবলী বলেছেন, বেশ কিছুদিন যাবত কিছু ব্যক্তি, অনলাইন পোর্টাল ও টিভি চ্যানেল তাদের নিজস্ব ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে আমার নামে বিভিন্ন অরুচিকর, মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করছে। এমন অবস্থায় বিষয়টি আমি সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করে রাখা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করেছি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ‘প্রতিদিনের চিত্র’, ‘জমশেদ ভাই’, ‘মৌ সুলতানা’, ‘সনি কমিনিকেশন’, ‘এসকে উজ্জল’, সোনিয়া শিমু’, ‘ফেরদৌস কবির’, ‘আবুল হোসাইন তুফান, ‘শাহিনুর আক্তর’, ‘জাহিদুল ইসলাস আপন’সহ ১৫-২০টি ফেসবুক পেজ-ইউটিউব চ্যানেলের নাম উল্লেখ করেছেন বুবলী। তার অভিযোগের তালিকায় আছে দেশের ৪টি গণমাধ্যমেরও নাম। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে বুবলীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।  জানা গেছে, বর্তমানে এই চিত্রনায়িকা সিয়াম আহমেদের সঙ্গে ‘জংলি’ সিনেমার শুটিংয়ের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। 
০৯ মে ২০২৪, ১০:১৬

ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগ চাওয়ায় শাহবাগ থানায় জিডি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগ চাওয়ায় যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ ওরফে খোকন এ জিডি করেন। জিডিতে বলা হয়েছে, ২০ এপ্রিল বেলা ১১টায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেছেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ২০ বছর মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তিনি পরিবহন সেক্টরে কোনো কাজ করেননি। একপর্যায়ে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, যেহেতু আমাদের দেশে পদত্যাগের সংস্কৃতি নেই, সেহেতু মন্ত্রী ইচ্ছা করলে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করতে পারেন। জিডিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি যাত্রীদের কল্যাণ করবে এটাই তাদের কাজ। কিন্তু সুপরিকল্পিতভাবে মোজাম্মেল হক চৌধুরী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। যাতে মন্ত্রী মহোদয়ের সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। বর্তমান সরকার টানা চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছে। সরকারের ক্ষমতায় থাকার বয়স ১৫ বছর ৩ মাস। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সেখানে ২০ বছর মন্ত্রী থাকেন কীভাবে?  মোজাম্মেল হক চৌধুরী সুপরিকল্পিতভাবে মন্ত্রী ও সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন। তার এই মিথ্যাচারের বক্তব্য যমুনা টেলিভিশন, আরটিভি, অন্যান্য স্যাটেলাইট টেলিভিশনসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। তার এই মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্যে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ন ও মন্ত্রীর মানহানি হয়েছে বলেও জিডিতে উল্লেখ করা হয়।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

অ্যাসিড মারার হুমকি, নায়িকা পলির বিরুদ্ধে জিডি
নব্বই দশকের চিত্রনায়িকা পলি। বর্তমানে অভিনয় থেকে অনেক দূরে আছেন তিনি। সম্প্রতি পলি বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাব লিমিটেডের নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। বর্তমানে ব্যস্ত আছেন আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে। প্রথমবারের মতো নির্বাচনে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে লড়বেন তিনি। এদিকে এই নায়িকার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন প্রযোজক তাহেরা ফেরদৌস জেনিফার। এই প্রযোজককে জানে মেরে ফেলাসহ অ্যাসিড মারার হুমকি দিয়েছেন পলি, এমনটাই সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করেছেন জেনিফার। গত ২০ ফেব্রুয়ারি বনানী থানায় পলির বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেছেন জেনিফার।  জিডিতে প্রযোজক জেনিফার উল্লেখ করেছেন, ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় অনুমান ৭ ঘটিকার সময় বিবাদী চিত্রনায়িকা রিয়ানা পারভীন পলি একজন অপরিচিত লোকসহ আমার বনানী থানাধীন বাসায় এসে ড্রইং রুমে ঢুকে আমার ২ জন অতিথি মো. ওসমান গনি বাপ্পি এবং মুরাদ চৌধুরীদের সামনে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজসহ ভয়ভীতি হুমকি প্রদর্শন করে এবং আমাকে জানে মেরে ফেলাসহ অ্যাসিড মারবে বলে হুমকি দেয়। এর তিন-চার দিন আগে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে আমাকে একই রকম হুমকি দেয়। বিষয়টি নিয়ে জানতে আরটিভির সঙ্গে কথা হলে পলি বলেন, আসলে বিষয়টি খুবই ছোট। নিজেদের মাঝে একটা ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা নিজেরা সমাধান করার চেষ্টা করছি। ২০০১ সালে মোহাম্মদ হোসেনের ‘ফায়ার’ সিনেমায় প্রয়াত মান্নার নায়িকা হিসেবে অভিষেক ঘটে পলির। এর পর তিনি ১১৩টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। অন্যদিকে উপস্থাপক, প্রযোজক, মডেল, অভিনেত্রী ও ব্যবসায়ী তাহেরা ফেরদৌস জেনিফার। সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘আশীর্বাদ’ সিনেমার সহ-প্রযোজক তিনি। সিনেমাটি ২০২২ সালের আগস্টে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়।
২৬ মার্চ ২০২৪, ১৬:১০

থানায় জিডি করলেন গায়ক আসিফ
সদ্য নতুন ফ্ল্যাটে উঠেছেন কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। আর নতুন বাসায় উঠেই তার আদরের বিড়াল পুম্বাকে হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। তাই আদরের পোষ্য প্রাণী হারিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন এই গায়ক। নতুন ফ্ল্যাটের আশপাশে খোঁজার পাশাপাশি সিসি ফুটেজও দেখছেন বলে জানান আসিফ।  আসিফ জানান, চার বছর ধরে তার ছোট ছেলে রুদ্র শখের বশে বিড়ালটি পালন করছে। কিন্তু নতুন ফ্ল্যাটে ওঠার পরই হারিয়ে যায় বিড়ালটি। অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোনো সন্ধান না পেয়ে বাধ্য হয়ে রমনা থানায় জিডি করেছেন আসিফ। কণ্ঠশিল্পী বলেন, নতুন অ্যাপার্টমেন্টে উঠেছি। দুই দিনের মাথায় পুম্বা ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যায়, এখনও খোঁজ পাইনি। দেশী হলেও পুম্বা সাইজে দেশী বিড়ালের মত ছোট নয়। তার স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্য দুটোই দেখার মত। বাধ্য হয়ে রমনা থানায় জিডি করেছি। এখানে প্রায় আড়াইশো ফ্ল্যাট। সব জায়গায় খোঁজা সম্ভব নয়, হয়তো কোনো বাসায় ঢুকে আছে, যিনি পেয়েছেন তিনিও হয়তো মালিক খুঁজছেন। সিসি ক্যামেরায় সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। আশা করি পেয়ে যাব। তবে কেউ নিজের মনে করে নিয়ে থাকলে দিয়ে দিন। বাসার পরিবেশ খুব গুমোট, পুম্বার জন্য প্রয়োজনে থার্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ার হবে। আসিফ আরও বলেন, বৃষ্টিতে ভেজা একটি বিড়ালছানা বাসায় এনে আশ্রয় দেয় আমার ছোট ছেলে রুদ্র। কিন্তু নিওমোনিয়ায় মারা যায় বাচ্চাটা। এটা নিয়ে ছেলের ভীষণ মন খারাপ হলে বাসার কাজের বুয়া রেললাইনের পাশ থেকে আরেকটা বিড়ালের বাচ্চা এনে দেয়। নাম রাখে পুম্বা। তখন থেকেই সবার প্রিয় হয়ে ওঠে বিড়ালটি।   তিনি বলেন, এরপর থেকেই বিপন্ন বিড়ালদের রেসকিউ করার চিন্তা আসে বড় ছেলে রণর মাথায়। সে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন জায়গায় আটকে থাকা বিড়ালছানা উদ্ধার করে সেগুলো ট্রেনিং এবং চিকিৎসা দেওয়ার পর অন্যের কাছে মাইগ্রেট করে দেয়। ছেলেদের মানবিক কাজগুলো আমাকেও ভীষণ প্রভাবিত করেছে।  
২২ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫৪

নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে কুবি শিক্ষক সমিতির জিডি
প্রায় সাত ঘণ্টা উপাচার্য দপ্তরে অবস্থানের পর নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে এ সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি। শিক্ষক সমিতির জিডিতে বলা হয়েছে, উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পর ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জাকির হোসেন ও সাবেক শিক্ষার্থী (ছাত্রলীগ নেতা) ইমরান হোসাইনের নির্দেশে জোর করে উপাচার্যের দপ্তরে প্রবেশ করেন বিবাদীরা। এরপর তারা মারমুখী আচরণ করেন। তখন ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাকির হোসেন শিক্ষকের উদ্দেশে বলতে থাকেন, ‘থাপ্পড় দিয়ে দাঁত ফেলে দেব।’ তখন শিক্ষকেরা প্রক্টরিয়াল বডির সাহায্য চান। কিন্তু প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের সহযোগিতা করেননি৷ উল্টো বিবাদীরা সাত-আটবার মারমুখী আচরণ করেন। এতে শিক্ষকরা নিরাপত্তাহীন অবস্থায় রয়েছেন। সাধারণ ডায়েরিতে মোট নয় জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো ২০-৩০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। নাম উল্লেখিত ব্যক্তিরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. জাকির হোসেন, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন, বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মো. ইমরান হোসাইন, লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী অনুপম দাস বাধন, মার্কেটিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী রকিবুল হাসান রকি, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী আমিনুর রহমান, ফার্মেসি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ইমাম হোসাইন মাসুম, বাংলা বিভাগের বর্তমান শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন, রসায়ন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম। এর আগে বিকাল চারটায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসে নবনির্বাচিত শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। সে সময় উপাচার্য দপ্তরে বাকবিতণ্ডার আওয়াজ শুনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ও কর্মকর্তারা উপাচার্য দপ্তরে জড়ো হন। তখন শিক্ষকদের সঙ্গে কয়েক দফায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও কর্মকর্তাদের কয়েক দফায় বাকবিতণ্ডা হয়। সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে দুই ঘণ্টা আলোচনা শেষে বেরিয়ে যান। তবে শিক্ষকরা রাত ১০টা পর্যন্ত উপাচার্য দপ্তরে অবস্থান করে সদর দক্ষিণ থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে যান।  এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, আজ আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গেলে আমাদের ওপর কিছু সন্ত্রাসী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা দ্বারা হামলার চেষ্টা করা হয়। আমরা সে সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চাই এবং তারা সেটা দিতে ব্যর্থ হয়। যার ফলে আমরা প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করি কিন্তু উপাচার্য আমাদের তার দপ্তরে রেখেই বাসভবনে চলে যান। যার ফলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভরসা হারিয়ে রাত ১ টায় রাষ্ট্রের প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাধারণ ডায়েরি করেছি। জিডির তথ্য নিশ্চিত করে সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩৯

নিরাপত্তা চেয়ে শাহবাগ থানায় মুশতাক-তিশার জিডি
চলছে অমর একুশে বইমেলা ২০২৪। বইমেলার নবম দিনে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ‘তিশার ভালোবাসা’ বইয়ের লেখক মুশতাক আহমেদকে ও তার স্ত্রী তিশাকে ‘ভুয়া ভুয়া’ ‘ছি ছি ছি ছি’ দুয়োধ্বনি দিয়ে বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করেন মেলায় আসা শতাধিক দর্শনার্থী। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের গেট দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে যেতে সাহায্য করেন।   এমন বিব্রতকর ঘটনার পর শোনা যাচ্ছে আর বই মেলায় যাবেন না মুশতাক-তিশা দম্পতি। তবে বিষয়টি মিথ্যা উল্লেখ করে মুশতাক জানালেন তিনি অবশ্যই মেলায় যাবেন। তার মেলায় যাওয়ার পরিবেশটা বাংলা একাডেমির নিশ্চিত করা উচিত। এ বিষয়ে তিনি বাংলা একাডেমির সঙ্গে কথা বলবেন। আর পুলিশ যদি সহায়তা করে তাহলে পুলিশের সাহায্য নিয়ে মেলায় যাবেন। এদিকে, নিরাপত্তা চেয়ে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন আলোচিত দম্পতি খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও সিনথিয়া ইসলাম তিশা। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি)  রাত ৯টার পর তারা থানায় উপস্থিত হয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন।  শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মুশতাক-তিশা দম্পতি বই মেলার ঘটনা নিয়ে থানায় এসেছিলেন। এ বিষয়ে শাহাবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ একই কলেজের শিক্ষার্থী সিনথিয়া ইসলাম তিশাকে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন। এসময় তারা ভালোবেসে একে অপরকে বিয়ে করেছেন বলে জানান। তাদের বিয়ের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।  
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৬

শিশু আয়ানের বাবাকে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি
ইউনাইটেড মেডিকেলে শিশু আয়ানের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর মামলা তুলে নিতে তার বাবা শামীম আহমেদকে হত্যার হুমকি দেয় অজ্ঞাতনামা কয়েকজন। এ ঘটনার পর শাহবাগ থানায় জিডি করেছেন আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ। রোববার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর সাধারণ ডায়েরির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ সকালে শামীম আহমেদ সাধারণ ডায়েরি করেছেন।   আয়ানের বাবা জিডিতে অভিযোগ করে বলেন, ‘রোববার সকাল আনুমানিক ১১টার দিকে আমি ও আমার মামা আবদুস সালাম কবীর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন নং-২০১/২৪ এর শুনানিতে আসি। শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্ট থেকে বের হয়ে দুপুর আনুমানিক সোয়া ১২টার দিকে শাহবাগ থানার অধীন হাইকোর্টের মাজার গেট থেকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে হেঁটে আসার পথে ফুটপাতের ওপর পৌঁছালে ৬ থেকে ৭ জন ব্যক্তি বাড্ডা থানায় ডাক্তারদের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নিতে চাপ সৃষ্টি করেন। আমি যদি মামলা তুলে না নিই, তবে অফিসে যাওয়ার সময় আমার যেকোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি করবে বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। গত ২৫ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ক্যান্টিনের সামনে তিনজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি একইভাবে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেন। এ ঘটনায় আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তারা (হুমকিদাতারা) যেকোনো সময় আমার ও আমার পরিবারে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে।’ এর আগে, গত ১৫ জানুয়ারি শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পরে আদালত রোববারের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেন। নির্দেশ অনুযায়ী, আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এ ছাড়া আয়ানের পরিবারকে কেন পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না এবং চিকিৎসকের লাইসেন্স কেন বাতিল হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করে আদালত। গত ৩১ ডিসেম্বর আয়ানকে ফুল অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে খতনা করায় সাতারকুল বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। অপারেশনের কয়েক ঘণ্টা পরও জ্ঞান না ফেরায় সেখান থেকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঠানো হয় আয়ানকে। সেখানে সাত দিন পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রাখার পর গত ৭ জানুয়ারি আয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এ ঘটনায় চিকিৎসকদের গাফিলতির অভিযোগ তদন্তে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়