• ঢাকা রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
চারবার স্ট্রোক করে ভালো নেই সংগীতশিল্পী রিংকু
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছেন সংগীতশিল্পী রিংকু। পরপর চারবার স্ট্রোক করেছেন তিনি। সর্বশেষ ২০২০ সালে দুইবার স্ট্রোক হওয়ায় শরীরের বাঁ পাশ অবশ হয়ে গেছে তাঁর। এরপর থেকেই গান থেকে দূরে রয়েছেন। থাকছেন গ্রামেই।  নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বড় সাওতা গ্রামের মহসীন আলী মৃধার ছেলে মশিউর রহমান রিংকু। ২০০৫ সালে ক্লোজআপ ওয়ান সংগীত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তিনি নজর কাড়েন। জায়গা করে নিয়েছিলেন সেরা পাঁচে। তাঁর কণ্ঠে লোকগান ও বাউলগান শ্রোতামহলে ব্যাপক জনপ্রিয়। তবে অসুস্থ হওয়ার কারণে গানের জগৎ থেকে এখন দূরেই রয়েছেন এই শিল্পী। ২০১৬ সালে ইতালিতে শো করার সময় প্রথমবার স্ট্রোক করেন। এরপর দেশে এসে চিকিৎসা নিয়ে গানে ফিরেছিলেন। কিন্তু ২০১৮ সালে আবারও স্ট্রোক করেন। এরপর ২০২০ সালে পরপর দুইবার স্ট্রোক করেছেন। জানা যায়, বর্তমানে আগের চেয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন রিংকু। আবারও ফিরতে চান গানের ভু্বনে। গণমাধ্যমে তিনি বলেন, একটা সময় স্টেজ মাতিয়েছি। নতুন নতুন গান করেছি। কিন্তু এখন সব বন্ধ। আমাকে অনেকেই ডাকেন গানের জন্য। কিন্তু এ অবস্থায় গাইতে পারি না দেখে যাই না। ক্লোজআপ ওয়ান প্রতিযোগিতায় বাজিমাত করেই সংগীত জগতে নিজের জায়গা পাকা করে নেন এই গায়ক। ব্যস্ত হয়ে পড়েন স্টেজ শো ও অ্যালবাম প্রকাশে। ‘পাগলা ঘণ্টা’, ‘বাউল মন’ ও ‘জগৎ বন্ধু’ নামের তিনটি অডিও অ্যালবাম বের করেছিলেন তিনি।  রিংকুর কণ্ঠে বাউল মন অ্যালবামের ‘নারী হয় লজ্জাতে লাল’ গানটি জনপ্রিয়তা পায়। সেসময়ে এটি ছড়িয়ে পড়েছিল দেশজুড়ে।  আবারও গানে ফেরার ইচ্ছে প্রকাশ করে রিংকু বলেন, আমি যে গানগুলো গেয়েছি, আমার কণ্ঠের গান যারা পছন্দ করেন—তারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, যাতে আগের মতো গাইতে পারি। কিন্তু আগের মতো গাওয়া সম্ভব নয়, তারপরও চেষ্টা করব। স্থানীয় এলাকাবাসীদের অনেকেই জানিয়েছেন, যদি এই শিল্পীকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করানো যেত, তাহলে সুস্থ হয়ে উঠতেন তিনি।  
১২ ঘণ্টা আগে

ইয়াশের সঙ্গে প্রেমের বিষয়ে মুখ খুললেন তটিনী
এ প্রজন্মের অভিনেত্রী তানজিম সাইয়ারা তটিনী। খুব অল্প সময়েই নিজের লাস্যময়ী হাসি দিয়ে দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছেন তিনি। অভিনয়েও বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন তটিনী। অন্যদিকে ছোটপর্দার অভিনেতা ইয়াশ রোহান। কয়েক দিন আগেই ফেসবুকে দুজনের পোস্ট করা একটি ছবি নিয়ে নেটদুনিয়ায় শুরু হয় নানান চর্চা। গুজন ওঠে— প্রেম করছেন ইয়াশ-তটিনী। ইয়াশ-তটিনীর ছবিটি দেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো মন্তব্যের ঝড় তুলতে থাকেন নেটিজেনরা। অনেকেই আবার শুভকামনাও জানান তাদের। ফেসবুকে পোস্ট করা ওই ছবিতে দেখা যায়— বেশ রোমান্টিক দৃষ্টিতে ইয়াশের দিকে তাকিয়ে আছেন তটিনী। আর ইয়াশ দূরের কিছু একটা দেখাচ্ছেন অভিনেত্রীকে। দুজনেই ছবিটি শেয়ার করেন ফেসবুকে। ক্যাপশনে তারা লেখেন, ওহে কী করিলে বলো পাইব তোমারে, রাখিব আঁখিতে আঁখিতে।     সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমকে এ প্রসঙ্গে তটিনী বলেন, আসলে এটা ইচ্ছাকৃত ছিল। আমরা একসঙ্গে রাফাত মজুমদার রিংকুর একটি নাটকে কাজ করেছি। ওই নাটকের প্রচারণার জন্য একসঙ্গে পোস্ট করা হয়েছে ছবিটি। অভিনেত্রী আরও বলেন, আমরা প্রথমবার যখন একসঙ্গে কাজ শুরু করি, ওই সময় থেকেই আমাদের কাজগুলো পছন্দ করতে থাকেন দর্শকরা। তখনও আমাদের নিয়ে নানা মন্তব্য করতেন তারা। শুরুতে কিছুটা ভ্যাবাচেকা খেতাম। মনে হতো, আসলে এসব ব্যাপারে কী বলব বা কী ব্যাখ্যা দেব, ঠিক ভেবে পেতাম না। কারণ, দর্শকদের বোঝানো তো সহজ নয়।    ভক্তদের আগ্রহ-কৌতূহলগুলো দারুণ উপভোগ করেন বলে জানান তটিনী। বলা যায় তাদের আলোচনা-সমালোচনায় অভ্যস্তও হয়ে গেছেন। তবে দর্শকরা তাদের নিয়ে কথা বলেন, প্রশংসা করেন এটাকে ইতিবাচকভাবেই দেখেন তিনি। তটিনী বলেন, আমরা ধারাবাহিকভাবে একসঙ্গে এত কাজ করি, অভিনয়ের মাধ্যমেই আমাদের সংযোগ হয়ে গেছে। আমাকে অভিনয়ে খুবই হেল্প করেন ভাইয়া। আর আমিও জুনিয়র হিসেবে ভাইয়াকে সেই জায়গা থেকে যথেষ্ট সম্মান করি।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়