• ঢাকা রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সরকার ব্যস্ত বড় ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় : ভিপি নুর
কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের দাম পায় না।অন্যদিকে সরকার বড় বড় ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত বলে অভিযোগ করেছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ টাউন ক্লাব মিলনায়তনে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নাগরিক সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন তিনি। ভিপি নুর বলেন, কয়েকজন শিল্পপতি দেশের ৮৫ ভাগ সম্পদের মালিক। কৃষি পণ্যের দাম না পেয়ে কৃষক পণ্য রাস্তায় ফেলে দেয়। কৃষকরা যদি উৎপাদন না করে তখন সাধারণ মানুষের কি হবে। সেদিকে সরকারের কোনো খেয়াল নেই, সরকারের খেয়াল শুধু শিল্পপতিদের স্বার্থ রক্ষায়। এ সময় ভিপি নুর আরও বলেন, বিনাযুদ্ধে রাজনীতির মাঠ ছেড়ে দেওয়া, নির্বাচন বর্জন করতে করতে বিরোধী দল রাজনীতির মাঠ থেকে আউট হয়ে যাচ্ছে। এটা ঠিক হচ্ছে না। এ সময় গণঅধিকার পরিষদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সিনিয়র সহসভাপতি আল-আমিনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, গণঅধিকার পরিষদের যুক্তরাজ্য শাখার সাধারণ সম্পাদক এম এম রহমান শামীম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম জাকারিয়া, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ওবায়েদ পাঠানসহ আরও অনেকে।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৫৮

‘পাশের দেশের স্বার্থ রক্ষায় স্বাধীনতাকে বিক্রি করছে সরকার’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে গিয়ে, পার্শ্ববর্তী দেশের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে, নিজেদের দেশের স্বাধীনতাকে বিক্রি করে দিচ্ছে সরকার। সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। রুহুল কবির রিজভী বলে বলেন, এই অবৈধ সরকার আমাদের স্বাধীনতাকে দুর্বল করেছে নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে গিয়ে, পার্শ্ববর্তী দেশের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে ,নিজেদের দেশের স্বাধীনতাকে বিক্রি করে দিচ্ছে। এই সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। লড়াই সংগ্রাম করে সরকারের পতন ঘটানো ছাড়া মানুষের মুক্তির উপায় নেই। তিনি বলেন, যখন একটি দেশ বাংলাদেশ নয়, একটি অবৈধ দখলদার সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে তাহলে কি করে সেই দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি বন্ধুত্ব বজায় রাখতে পারে? তারা এ দেশের জনগণকে এই দেশের মানুষকে কোনো মূল্যই দেয় না। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, গত ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের সময় ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা অস্ট্রেলিয়া বলেছে আমরা কোন দলের পক্ষে নয়, আমরা বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে, আমরা সুষ্ঠ নির্বাচনের পক্ষে এইটাই তো বড় কথা। কিন্তু পার্শ্ববর্তী দেশ সেটি বলে না তারা বলে আমরা এই সরকারের পক্ষে। রিজভী বলেন, যখন অবৈধ সরকারকে পার্শ্ববর্তী দেশ যারা নিজেদেরকে গণতান্ত্রিক দেশ দাবি করে তারা যখন প্রকাশ্যে সমর্থন করে তখন আমাদেরকে ভাবতে হবে আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অনেক দুর্বল অবস্থার মধ্যে আছে, দুর্বল হয়ে গেছে।  বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুকসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৬

অ্যাপ কর্মীদের অধিকার রক্ষায় সম্মত ইইউ
উবার, ডেলিভারুর মতো বিভিন্ন অ্যাপ-এ কাজ করা কর্মীদের মধ্যে কারা চাকরিজীবীদের মতো অধিকার অর্জন করবেন, তা ঠিক করতে প্রস্তাবিত আইনে সোমবার সম্মত হয়েছেন ইইউ সদস্য দেশগুলোর শ্রম ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রীরা৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে প্রায় দুই কোটি ৮০ লাখের মতো কর্মী গিগ অর্থনীতিতে কাজ করেন৷ বিভিন্ন রাইড শেয়ারিং অ্যাপ, ফুড ডেলিভারি অ্যাপ, ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপের মতো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো গিগ অর্থনীতির অংশ৷ দ্য প্ল্যাটফর্ম ওয়ার্ক ডাইরেক্টিভ-এ বলা হয়েছে, যে প্ল্যাটফর্ম তার কর্মীদের কাজের পারফরম্যান্সের উপর নজর রাখে এবং কর্মীদের কত টাকা দেওয়া হচ্ছে এবং তারা কত ঘণ্টা কাজ করছেন, সেইসব বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে, সেই প্ল্যাটফর্মের কর্মীদের কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে চাকরিজীবী হিসেবে চিহ্নিত করা হবে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০২১ সালে অ্যাপ কর্মীদের অধিকার রক্ষায় আইন তৈরি শুরু করে৷ গত ডিসেম্বরে তারা একটি খসড়ায় সম্মত হয়৷ এরপর সেটির অনুমোদন প্রক্রিয়া শুরু হয়৷ কিন্তু ফ্রান্সের নেতৃত্বে কয়েকটি দেশ এটি আটকে দেয়৷ সে কারণে ইইউ আলোচকেরা আবার আলোচনায় বসে আইনে কিছু পরিবর্তন আনেন৷ সমালোচকেরা বলছেন, ফেব্রুয়ারিতে প্রস্তাবিত আইনটি অনেক দুর্বল হয়ে গেছে৷ সোমবার ব্রাসেলসে ইইউ মন্ত্রীদের বৈঠকে আইন নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷ জার্মানি এতে সমর্থন দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে৷ আর ফ্রান্স বিরোধিতা করেছে৷ তবে যে দেশগুলো এটি সমর্থন করেছে সেসব দেশে ইইউর মোট জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশের বেশি বাস করেন৷ তাই নিয়ম অনুযায়ী, আইনটি এখন পাসের জন্য ইইউ সংসদে পাঠানো হবে৷ সেখানে এটি সহজে পাস হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ আইনটি পাস হলে সদস্যরাষ্ট্রগুলো, একজন কর্মীকে কী বিবেচনায় চাকরিজীবী বলে গণ্য করা হবে, তার জন্য নিজেদের মতো করে নির্ণায়ক ঠিক করবে৷ সোমবার মন্ত্রীরা আইনে সম্মত হওয়ার পর এক্স-এ বিষয়টি শেয়ার করেছে ইইউর বর্তমান সভাপতি দেশ বেলজিয়াম৷ এতে বলা হয়, আপনাদের ঘরে যারা খাবার ডেলিভারি করেন তাদের জন্য উন্নততর কর্ম পরিবেশ৷ ইউরোপীয় কাউন্সিল মনে করছে, আইনটি ইইউতে গিগ অর্থনীতিতে কাজ করা কর্মীদের ন্যূনতম সুরক্ষা নিশ্চিত করবে৷
১২ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৯

সাইবার নিরাপত্তা রক্ষায় আবদুল রহমানের রাইডার্স ক্রিয়েশন
প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগও বাড়ছে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সাইবার নিরাপত্তার সম্ভাব্য হামলার লক্ষ্যবস্তুতে রয়েছে বাংলাদেশও। দেশে সাইবার হামলার যেসব ঘটনা ঘটেছে, তার বড় কারণ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্বল পরিকাঠামো। নিরাপত্তাত্রুটি দূর করা না গেলে হামলার আশঙ্কা থেকেই যাবে। সেই ধারা লক্ষ্য করে সাইবার জগতে নিরাপত্তা দিতে আবদুল রহমানের রাইডার্স ক্রিয়েশন সব সময় প্রস্তুত থাকে বলে জানান আবদুল রহমান।  তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের (আইসিটি) অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের প্রকল্প এটি। ২০১৬ সাল থেকে দেশের সাইবার হামলা ও নিরাপত্তাত্রুটি–সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ঘটনার তথ্য রাখছে তারা। পাশাপাশি সাইবারজগৎ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে। প্রতিবেদনটি চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রকাশ করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং টাইপ কাজ ব্যতীত, ‘রাইডার্স ক্রিয়েশন’ অলাভজনক সোশ্যাল মিডিয়া সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত সহায়তা পরিষেবা প্রদান করছে। এটি সোশ্যাল মিডিয়া সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে পরামর্শ করে, সোশ্যাল মিডিয়াতে কীভাবে নিরাপদ রাখা যায় সে বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করে, অনুদান সংগ্রহ করে অসহায় মানুষকে সাহায্য করে, সাইবার পুলিশ কর্তৃক আইনি সহায়তা প্রদান করে, বিশিষ্ট আইনজীবীদের দ্বারা আইন সংক্রান্ত সহায়তা প্রদান করে। সাইবার অপরাধীরা বৈশ্বিক তথ্যপ্রযুক্তি নেটওয়ার্ক ও পরিকাঠামোগুলোর কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটাতে ধ্বংসাত্মক ম্যালওয়্যার ব্যবহার করছে। বাংলাদেশও এসব সাইবার যুদ্ধের প্রভাবের সম্মুখীন হচ্ছে। ২০২২ সালে সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য সার্ট বেশ কয়েকবার সতর্কতা জারি করেছিল। আবদুল রহমানের প্রতিষ্ঠানের সেবা প্রধানত ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, থ্রিডি ডিজাইন, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সার্ভিস, মিউজিক ডিস্ট্রিবিউশন, গুগল নলেজ প্যানেল, সাইবার সিকিউরিটি, অনলাইন বুক ডিস্ট্রিবিউশন, ফেসবুক এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের ওপর ফোকাস করে। আবদুল রহমান ভবিষ্যতে রোবটিক্স এবং প্রোগ্রামিং খাতে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং ডিজিটাল ক্লায়েন্টদের দুর্দান্ত পরিষেবা প্রদান এবং নিরাপত্তা বজায় রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। 
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৬

বিএনপি নেতারা নিজেদের মুখ রক্ষায় অসংলগ্ন কথা বলছেন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নির্বাচন বিরোধী ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ায় বিএনপি নেতারা নিজেদের মুখ রক্ষার জন্য এখন অসংলগ্ন কথা বলছেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপির নির্বাচন বিরোধী ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ায় ও সারাবিশ্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে কাজের আগ্রহ প্রকাশ করায় দলটির নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম, আমীর খসরু সাহেবরা নিজেদের মুখ রক্ষার জন্য এখন অসংলগ্ন কথা বলছেন। নির্বাচন বর্জন করে বিএনপির নেতারা এখন কর্মীদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ, তোপের মুখে। আর বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বিগত যেকোনো সরকারের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। তিনি বলেন, গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা চতুর্থবারসহ পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত সরকারকে ভারত, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘসহ সব দেশ ও সংস্থা অভিনন্দন জানিয়েছে, কাজের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যারা নির্বাচনকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছিল, নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিল এসব দেখে তারা এখন চুপসে গেছে, তাদের চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে গেছে, এখন কী করবে দিশা পাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, বিএনপির উচিত সন্ত্রাসী অপতৎপরতা ও সবকিছুতে না বলার অপসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি চর্চা করা। এ সময় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সম্মেলন উপলক্ষে সব সদস্যকে অভিনন্দন জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি যেখানে পৌঁছায় না, তারা সেখানে আলো ফেলে। সাংবাদিকদের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের ঘর-সংসার, আমি সাংবাদিকদের সঙ্গে ছিলাম, আছি, থাকব। সভায় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত এবং বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শেখ মামুনুর রশীদ বক্তব্য দেন।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০৯

রাজধানী রক্ষায় সাধারণ মানুষকে অস্ত্র দিচ্ছে মিয়ানমার জান্তা
মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের তৎপরতা ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধে না পেরে আত্মসমর্পণ করেছে মিয়ানমারের অনেক সেনা। অনেকে বিদ্রোহীদের হাতে নিহতও হয়েছেন। একের পর এক ঘাঁটির দখল হারিয়ে এবার রাজধানী নেইপিদো হারানোর শঙ্কায় মিয়ানমার জান্তা সরকার। ফলে দেশটির সাধারণ মানুষের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে তারা। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) থাইল্যান্ড থেকে পরিচালিত মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরাবতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের জান্তা সরকার আশঙ্কা করছে রাজধানীতেও ঢুকে পড়তে পারে বিদ্রোহীরা। তাদের হাত থেকে রাজধানীকে রক্ষায় ‘পিপলস মিলিশিয়া’ নামের একটি মিলিশিয়া বা আধাসামরিক বাহিনী গঠন করেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। ইয়াঙ্গুন, বাগো এবং তানিনথারি অঞ্চল এবং মুন রাজ্যেও মিলিশিয়া বাহিনী গঠন করা হয়েছে। আর এ বাহিনীতে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করতে সাধারণ মানুষকে অস্ত্র, নগদ অর্থ এবং খাবার দেওয়া হচ্ছে। এদিকে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নারিনজারা নিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) রাখাইন রাজ্যের মিনবায়ারে তিনটি ঘাঁটির সবকটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সেনাসহ তাদের পরিবারের পাঁচ শতাধিক সদস্য বিদ্রোহীদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাদের মধ্যে  জান্তা সরকারের বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, জান্তা বাহিনীর ডিভিশন কমান্ডার, নন-কমিশন্ড কর্মকর্তা এবং আহত ১০০ সেনা রয়েছে।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪৬

এবার পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার
দীর্ঘদিন পরিবেশ অ্যাক্টিভিস্টরা বলছেন, দেশ বাঁচাতে সবার আগে পরিবেশ বাঁচাতে হবে। এনিয়ে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও সমন্বয়হীনতার অভিযোগ করছিলেন তারা। এবারের মন্ত্রিসভা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখায় পরিবেশবাদীদের মধ্যে স্বস্তির ভাব লক্ষ্য করা গেছে। তারা বলছেন, পরিবেশ নিয়ে ভাবলে মানুষ বাঁচবে। এবার মন্ত্রিসভা গঠনের পর থেকেই পরিবেশ নিয়ে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপের কথা জানা যাচ্ছে গণমাধ্যমে। এরই মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৬ সালের মধ্যে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার ৯০% কমানো হবে। ‘সুস্থ পরিবেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ’ স্লোগান নিয়ে, মন্ত্রণালয় ১০০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করার সময় এই তথ্য জানানো হয়েছে। ২৫ জানুয়ারি সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়কমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। ওই সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ১০০ দিনের কর্মসূচির মধ্যে বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ, পাহাড় কাটা ও জলাধার ভরাট রোধসহ অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করতে চায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়। এর মাধ্যমে বর্তমান সরকারের পাঁচ বছরের কর্মকাণ্ডের একটি শক্তিশালী সূচনাসহ পুরো মেয়াদে কাজ করার একটি কাঠামো তৈরি করা যাবে। প্রতিদিন যেসব প্লাস্টিক ব্যবহার হয় সেগুলোর মধ্যে পরিবেশের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বা সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক। ব্যবহৃত প্লাস্টিক পণ্যের বেশির ভাগই সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক। এসব সাধারণত মাত্র একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া হয়। এই সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক আমাদের প্রতিদিনকার জীবন থেকে শুরু করে দেশের পরিবেশ ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই চ্যালেঞ্জ স্বীকার করে জবাবদিহিতার জায়গা নিশ্চিত করতে ১০০ দিনের এই কর্মসূচির কথা বলেন সাবের হোসেন চৌধুরী। পরে তিনি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা, জনবল ও প্রশিক্ষণ কাঠামো ঠিক করতে চান। দূষণ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আর বিআরটিএ-র সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যেসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গবেষক কাজ করছেন তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা হবে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে ইটভাটা ম্যাপিং এবং দূষণ বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ড্রোনের মাধ্যমে নদী দূষণ বের করার কথাও বলেছেন মন্ত্রী। সার্বিকভাবে বন, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়ে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ বিপর্যয়কে মন্ত্রণালয়ের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ। এখন বায়ু দূষণের প্রথমদিকে থাকে ঢাকা। তার সঙ্গে পানি, প্লাস্টিক ও শব্দ দূষণও মিলিয়ে পরিস্থিতি সত্যিই উদ্বেগজনক।  সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেলিন চৌধুরী বলেন, আমাদের পরিবেশ দূষণের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এখন গঠনমূলক কর্মপরিকল্পনা দরকার। সেদিক থেকে যে উদ্যোগগুলো নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে সেসবের গুরুত্ব আছে। সিঙ্গেল ইউজড প্লাস্টিক প্রাণঘাতি। আমরা দীর্ঘদিন থেকে এটা নিয়ে কথা বলছি। কখনও তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে। এখন যদি শুরু হয় বাস্তবায়ন তাহলে অবশ্যই আগামীতে ভালো কিছু হবে। 
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়