• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নোবিপ্রবি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবে ৭ হাজার ৭৬৩ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী  
গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) কেন্দ্রে পরীক্ষা দিবেন ৭ হাজার ৭৬৩ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী।  মঙ্গলবার(২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্র আরটিভিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। জানা যায়, নোবিপ্রবি কেন্দ্রে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ‘এ’ ইউনিটে ৪৫০৮ জন, ‘বি’ ইউনিটে ১ হাজার ৭৮১ জন এবং সি ইউনিটে ১ হাজার ৪৭৪ জন ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। বিজ্ঞান শাখাভুক্ত ‘এ' ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ২৭ এপ্রিল, মানবিক শাখাভুক্ত ‘বি' ইউনিটের পরীক্ষা ৩ মে এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখাভুক্ত ‘সি' ইউনিটের পরীক্ষা ১০ মে অনুষ্ঠিত হবে। এ দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডি’ ইউনিটের স্বতন্ত্র পরীক্ষা ১১ মে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রসঙ্গত, এ বছর গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:২৫

নোবিপ্রবি সিএসটিই অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের ইফতার মাহফিল
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩০ মার্চ) ঢাকার উত্তরার একটি রেস্টুরেন্টে বিভাগটির প্রায় সকল ব্যাচের অংশগ্রহণে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তী উপস্থিত সকল বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের উপহার প্রদান করা হয়। সিএসটিই অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি আদনান আহমেদ হাসান বলেন, আমাদের নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি আমাদের প্রথম প্রোগ্রাম ছিল। সকলের সহযোগিতায় ইফতার মাহফিলটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সাধারণ সম্পাদক আহাদ রনি বলেন, আজকের ইফতার মাহফিলের মাধ্যমে ঢাকার বুকে নোবিপ্রবির সিএসটিয়ানদের এক অন্যরকম মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। এখানে সিএসটিইর প্রথম ব্যাচ থেকে শুরু করে আঠারোতম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। সব ব্যাচের অংশগ্রহণ ইফতার মাহফিলকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছিল।
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫৫

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ঠ নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভোগান্তিতে পড়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এতে করে পড়াশোনায় ব্যাঘাত, ঘুমে সমস্যা ও পানি সংকটসহ নানান সমস্যায় অতিষ্ঠ হয়ে দিন পার করছেন বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ। ভোগান্তি হতে মুক্তি পেতে ২৪ ঘণ্টা জেনারেটর সুবিধা দাবি করেছে শিক্ষার্থীরা।  জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের দুটি ও মেয়েদের তিনটি হলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিত্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন্ধের দিনে এ ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করে। রমজান মাসে প্রায় সবগুলো বিভাগে ক্লাস ও কিছু কিছু বিভাগে সেমিস্টার চলায় এই দুর্ভোগের মাত্রা আরও বেড়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের নির্বিঘ্নে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে হিমশিম খাচ্ছে। হলগুলো ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনগুলোতেও একই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ফলে একাডেমিক কার্যক্রমেও প্রভাব পড়ছে বলে জানা যায়। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপিডি দফতর সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল অর্ডারের একটি নির্দিষ্ট সময় জুড়ে জেনারেটর সুবিধা চালু রাখা হয়। অফিসিয়াল অর্ডারের চেয়ে বেশি সময় জেনারেটর চালু রাখতে হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে এবং অনুমতি পেলে পরবর্তীতে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন তারা। দুর্ভোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের এক আবাসিক ছাত্রী আরটিভিকে বলেন, পরীক্ষা দিয়ে এসে দেখি কারেন্ট নাই। রুমমেট এর থেকে শুনলাম আরও ঘণ্টা খানেক আগে কারেন্ট গিয়েছে। গরমের মধ্যে শরীর অনেক খারাপ করে। সন্ধ্যার সময় কারেন্ট আসে। মাঝখানে ১০ মিনিটের জন্য এমনি এসে আবার চলে যায়। পরদিন নেক্সট এক্সিমের প্রিপারেশন এর জন্য ল্যাপটপ অন করে বসি। কারেন্ট আবার চলে যায়। ওয়াইফাই  না থাকলে মোবাইল ডাটা দিয়ে তো এতক্ষণ চলা সম্ভব না। অনেককিছু সার্চ করা লাগে। ল্যাপটপ এর চার্জ শেষ হয়ে বন্ধ ও হয়ে যায়। সব মিলিয়ে প্রচুর বিরক্তি কাজ করে। বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক স্পিকার আবদুল মালেক উকিল হলের একজন আবাসিক শিক্ষার্থী জানান, গতবছর পরীক্ষার সময় আমরা পড়াশোনা করেছি তখন লোডশেডিং ছিল না যেটা এই বছর দেখা যাচ্ছে। পাঁচ মিনিট পরপর বিদ্যুৎ আসে আর যায়, যার কারণে আমরা পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারছি না। পরীক্ষা থাকায় উপায় না পেয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে আমাদের পড়তে হচ্ছে যা একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের জন্য দুঃখজনক। বঙ্গমাতা হলের এক আবাসিক ছাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রথমত তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে বিদ্যুৎ না থাকলে অসহ্য গরম লাগে, হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা থাকে। পানি সরবরাহের সমস্যা হয়, ফলে পানি সংকট দেখা দেয়। এছাড়া ও ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোতে চার্জ থাকে না, ফলে রমজানের মধ্যে অনলাইনে ক্লাস করতে অসুবিধা হয়। ওয়াইফাই সুবিধা ও থাকে না। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে পানির সমস্যাতেও ভোগান্তি হচ্ছে উল্লেখ করে বিবি খাদিজা হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, খাদিজা হলের পানির লাইনগুলো এমনভাবে করা যে পানি আগে সামনের ব্লকে যায় এরপর পিছনের ব্লকে আসে। দেখা যায় সকালে ক্লাসে যাওয়ার সময় পানি নাই আবার দুপুরে এসেও পানি নাই। মাঝে যেই সময় হঠাৎ অল্প একটু আসে তখন যারা থাকে তারা পায় বা অনেক সময় দেখা যায় জানেও না। গতবছর পুরো গ্রীষ্মকাল এইভাবেই গেছে। সব হলে পানি থাকলেও খাদিজা হলের পিছনের ব্লকে দেখা যায় নাই। এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ জামাল হোসাইন বলেন, বিদ্যুৎ তো সরকারের হাতে, তারা কতক্ষণ দিবে না দিবে এটার ওপর আমাদের হাত নেই। বিদ্যুৎ সরকারের হাতে থাকলেও জেনারেটর সুবিধাতো বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে। তবে কেন এ সুবিধা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় দেয়া হচ্ছে না। এ প্রশ্নের জবাবে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, আমাদের অফিসিয়াল একটা অর্ডার আছে কয়টা থেকে কয়টা জেনারেটর চালু রাখবো বা কতক্ষণ চালু থাকবে। আর এর চেয়ে বেশি সময় জেনারেটর চালু রাখতে হলে অর্থের ব্যাপার আছে। ভিসি স্যার বা ট্রেজারার স্যার হচ্ছেন এটার অথোরিটি। উনারা যদি অনুমতি দেয় অতিরিক্ত সময় চালানোর তাহলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, আমাদের একটা জেনারেটর নষ্ট। ঐটা ঠিক করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.দিদার-উল-আলম বলেন, আমরা অফডেতে হল এবং আবাসিক এলাকায় দিনের বেলায় জেনারেটর এর ব্যবস্থা করছি। দিনের বেলায় জেনারেটর থাকবে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বলে দেওয়া হয়েছে।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৮

নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ জানিয়ে নোবিপ্রবি ও শাবিপ্রবিতে গণইফতার
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টির আয়োজনের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে গণইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় দুটিতে।  মঙ্গলবার (১২ মার্চ) নোবিপ্রবির বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে গণইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এর আগে দুপুরে জোহরের নামাজের পরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন।  এর আগে, গত সোমবার (১১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইফতার মাহফিল আয়োজনের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মুহাম্মদ আলমগীর সরকার স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে শুরু থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদস্বরূপ সাধারণ শিক্ষার্থীরা গণ-ইফতার কর্মসূচির আয়োজন করে।  সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে বানী ইয়ামিন বলেন, শাবিপ্রবি ও নোবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাঙালি মুসলমানদের হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি পবিত্র মাহে রমজানের ইফতার পার্টিকে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করে নোটিশ দিয়েছে। ৯৫ শতাংশ মুসলমানের দেশে এ ধরনের নোটিশ বড় ধরনের ধৃষ্টতা এবং হাজার বছরের ধর্মীয় ঐতিহ্যকে অবমাননার শামিল। বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ এখানে শত বছর ধরে হিন্দু মুসলমান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা মিলেমিশে স্বাধীনভাবে তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছে। আমরা একে অপরকে সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু ট্যাগ দিয়ে আসি নাই। কিন্তু আজ ৯৫ শতাংশ মুসলমানের দেশে সংখ্যালঘুদের মতো আচরণ করা হচ্ছে। আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি ইফতার পার্টি নিষেধাজ্ঞার নোটিশটি সংশোধন করা হয়েছে। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই পাশাপাশি ভবিষ্যতে এরকম নোটিশ জারি করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য প্রশাসনের নিকট আমাদের উদাত্ত আহ্বান রইলো।  এদিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে গণ-ইফতার কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে গত ১০ মার্চ প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ জানালো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সরেজমিন দেখা যায়, ইফতারের এক ঘণ্টা আগে থেকেই হল ও ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে শিক্ষার্থীদের আগমন শুরু হয়। শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ইফতার সম্পন্ন হয়। গণ ইফতারে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক বলেন, ইফতার মাহফিল করা এটা আমাদের মুসলমানদের ঐতিহ্য। ক্যাম্পাসে ইফতার মাহফিল করা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঐতিহ্য। অথচ ক্যাম্পাসে ইফতার মাহফিল না করার জন্য অনুরোধ করে আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আমরা এর প্রতিবাদে গণ-ইফতার কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছি। সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ইফতার মাহফিল সম্পন্ন হয়েছে। আরেক শিক্ষার্থী দেলওয়ার হোসেন বলেন, ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি না করার বিজ্ঞপ্তিতে গণ-ইফতার আমাদের মৌন প্রতিবাদ। আমরা চাই, ক্যাম্পাসে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে ইফতার পার্টি অব্যাহত থাকুক। মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে কখনো না নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। জানা যায়, রমজান মাসে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি না করার অনুরোধ জানিয়ে রোববার (১০ মার্চ) বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে প্রশাসন। সোমবার (১১ মার্চ) বিজ্ঞপ্তিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। সমালোচনার মুখে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির ব্যাখ্যা দিয়ে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দিতে বাধ্য হয় শাবিপ্রবি প্রশাসন। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি করতে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়। তবে ইফতার পার্টিতে প্রশাসন থেকে কোনো অর্থ সহায়তা করা হবে না বলে জানায় প্রশাসন।  
১২ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪৮

নোবিপ্রবি আইসিটি সেলের নতুন পরিচালক মো. বেল্লাল হোসাইন
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) আইসিটি সেলের পরিচালক নিযুক্ত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব মো. বেল্লাল হোসাইন। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. জসীমউদ্দীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. বেল্লাল হোসাইনকে আইসিটি সেলের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) পদে নিম্নোক্ত শর্তে নিয়োগ দেওয়া হলো। বিজ্ঞপ্তিতে শর্ত উল্লেখ্য করে বলা হয়, নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে মো. বেলাল হোসাইনের এ নিয়োগ বিবেচিত হবে। তার এ নিয়োগ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ হতে কার্যকর হবে। বিধি মোতাবেক তিনি নির্ধারিত ভাতা ও সুযোগ সুবিধা প্রাপ্ত হবেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ দায়িত্ব কার্যকর থাকবে। আইসিটি সেলের নবনিযুক্ত পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ইইই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বেল্লাল হোসাইন বলেন, এ দায়িত্ব পাওয়ায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং ট্রেজারারকে ধন্যবাদ জানাই। আইসিটি সেলের চলমান যেসকল কার্যক্রম রয়েছে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমার দায়িত্ব যথাযথ পালন করার চেষ্টা করবো। এ ছাড়াও নোবিপ্রবির শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আইসিটি সেল যেভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে আমি আরো বেগবান করে এবং যেসকল সমস্যা রয়েছে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করবো।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:১৮

বর্ণাঢ্য আয়োজনে নোবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক দশকপূর্তি উদযাপন
বর্ণাঢ্য আয়োজনে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(নোবিপ্রবি) নানা আয়োজনে অফিসার্স নাইট-২০২৪ উদযাপিত হয়েছে। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক দশক পূর্তি ও নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির সংবর্ধনা উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, র‍্যাফেল ড্র, সংবর্ধনা অনুষ্ঠান, স্পেশাল ডিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। এ সময় হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামের পাশে ফুসকা, চটপটি, বেলপুরি, চা-কফি ও নানান জাতীয় পিঠার স্টল স্থাপন করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ টোকেন গ্রহণের মাধ্যমে সপরিবারে অংশগ্রহণ করেন। নোবিপ্রবি রেজিস্ট্রার মো. জসীম উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিদার-উল-আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপাচার্য এ কে এম সাঈদুল হক চৌধুরী, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল বাকী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক ইবনে ওয়াজেদ ইমন। এ ছাড়াও অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত কর্মকর্তাবৃন্দ ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক ইবনে ওয়াজেদ ইমন বলেন, আজকের এ সুন্দর প্রোগাম আয়োজনে উপাচার্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। পাশাপাশি গত ২৮ জানুয়ারি সুষ্ঠুভাবে ভোট আয়োজন করায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। সেই সঙ্গে আজকের এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যারা কাজ করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি যারা ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে আমাকে মনোনীত করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।  অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন পলাশ বলেন, আজকের অনুষ্ঠানের সুন্দর পরিবেশ প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। পাশাপাশি গত ২৮ জানুয়ারি ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে যারা আমাদের নির্বাচিত করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভবিষ্যৎ কাজের জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।  বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জসীম উদ্দীন বলেন, বর্তমানে যারা দায়িত্বে এসেছেন আপনারা এমনভাবে কাজ করবেন যাতে করে পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় আসবেন তাদের জন্য আপনারা অনুকরণীয় হয়ে থাকতে পারেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী একে অন্যের পরিপূরক। শরীরের একটি অঙ্গ অসুস্থ হলে যেমন পুরো শরীরে সেটি অনুভূত হয়। ঠিক তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সকলের জন্য সেটি ক্ষতির কারণ হয়ে যায়। ইতোমধ্যেই আমরা ডি নথি-ডিজিটাল আইডি কার্ডসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কাজে এগিয়ে যাচ্ছি। এটি সম্ভব হয়েছে, আপনাদের সকলের আন্তরিকতা ও সহযোগিতার কারণে।  উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবারের সকলকে নিয়ে আমরা যেনো ভালো থাকতে পারি। সেজন্য এ ধরনের আনন্দমুখর পরিবেশ খুবই প্রয়োজন।  সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে এম সাঈদুল হক চৌধুরী বলেন, নোবিপ্রবির বুকে জাঁকজমকপূর্ণ এ পরিবেশে আজকের আয়োজন ভিন্ন পরিবেশ এনে দিয়েছে। অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সকল কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এটি আরও প্রাণবন্ত হয়েছে। সকলের প্রতি আমরা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। এ নিয়ে নোবিপ্রবিতে কয়েকবার আসা হলো ভবিষ্যতেও সকলের মধ্যে এ বন্ধন অটুট থাকুক, বিশ্ববিদ্যালয় আরও এগিয়ে যাক। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু। নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিদার-উল-আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলেই একসঙ্গে কাজ করে যাবেন। সকলেই এক হয়ে কাজ করলে বিশ্ববিদ্যালয় আরও এগিয়ে যাবে। আজকের এ ধরনের জাকজমকপূর্ণ আয়োজনে সংশ্লিষ্টদের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতে এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪৮

নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় আটক ৭
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) এক মেয়ে শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় অপর শিক্ষার্থী শামীম আহমেদকে হামলার ঘটনায় দলনেতাসহ সাত বখাটে তরুণকে আটক করেছে র‌্যাব। আটককৃতরা হলেন হাউজিং এলাকার বখাটে কিশোর গ্যাংয়ের দলনেতা রাব্বি (২৮), রনি (২৪), অধির (১৮), শাওন (১৮) ও রাফসান (২০)। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের সোপর্দ করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে নোয়াখালীর মাইজদি হাউজিং এলাকা ও আশপাশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শামীম আহমেদ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান রিমন বলেন, এটি খুবই ন্যক্কারজনক ঘটনা। দূর-দূরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা নোয়াখালীতে উচ্চশিক্ষার জন্য আসে। তাদের ওপর এমন হামলা মোটেও কাম্য নয়। ঘটনা তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নিতে তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সুধারাম থানার ওসি জাহেদুল হক রনি বলেন, র‍্যাবের অভিযানের পরপরই আরও ২ জনকে আটক করে পুলিশ। ৭ জনকে শুক্রবার বিকেলে নোয়াখালীর বিচারিক আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। র‌্যাব-১১ সিপিসি-৩ সহকারী পুলিশ সুপার স্কোয়াড কমান্ডার গোলাম মোর্শেদ জানান, ‘বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ভুক্তভোগী ও বন্ধুরা মাইজদি শহরের হাউজিং এলাকায় ভাড়া নিতে বাসা খুঁজছিলেন। এ সময় বখাটেরা তাদের পিছু নিয়ে মেয়ে শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করতে থাকে। শামীম এর প্রতিবাদ করলে তার ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে তাকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।’ তিনি আরও জানান, আটকরা দীর্ঘদিন থেকে মাইজদি ও তার আশপাশের এলাকায় মারামারি, দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ নানা অপরাধমূলক কাজ করে আসছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের দোষ স্বীকার করেছে।  তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুধারাম মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র‌্যাব কমান্ডার।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:১১

বান্ধবীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ, হাসপাতালে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী
বান্ধবীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বখাটের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শামীম আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী। তাকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।  বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নোয়াখালীর মাইজদী হাউজিংয়ে এ ঘটনা ঘটে।   প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী ছাত্র তার বান্ধবীদের নিয়ে হাউজিং এলাকায় মেস-বাসা ভাড়ার খোঁজে বের হন। এ সময় তাদের (শিক্ষার্থীদের) পিছু নেয় স্থানীয় কিছু বখাটে যুবক। একপর্যায়ে বখাটেরা ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করলে প্রতিবাদ জানান শামীম। প্রতিবাদের জেরে ৬-৭ জনের সংঘবদ্ধ বখাটে দল তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় গুরুতর আহত হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য তাকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। নোয়াখালী সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, ভুক্তোভোগী ছাত্রের হাতে ও পায়ে উপর্যুপরি আঘাত করেছে দুর্বৃত্তরা। তার হাতের একটি আঙুল ভেঙে গেছে। আঙুলের চিকিৎসার জন্য অপারেশন করতে হবে। এরই মধ্যে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান রিমন বলেন, এটি খুবই ন্যাক্কারজনক ঘটনা। দূর-দূরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা নোয়াখালীতে উচ্চশিক্ষার জন্য আসে। তাদের ওপর এমন হামলা মোটেও কাম্য নয়। ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনি সহায়তা নেব।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:০৯

ডিজিটাল নথির যুগে পদার্পণ করলো নোবিপ্রবি
২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সকল অফিসকে ডিজিটাল নথি (ডি-নথি) কার্যক্রমের আওতায় আনতে সরকারের উদ্যোগের অংশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ডি-নথি যুগে পদার্পণ করলো নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)।  সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) সেমিনার কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম। নোবিপ্রবি আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নোবিপ্রবির মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর ও রেজিস্ট্রার জনাব মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক জনাব মো. মুহাইমিনুল ইসলাম সেলিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) আইএমসিটি বিভাগের উপ-পরিচালক ইঞ্জিঃ মোহাম্মদ মনির উল্লাহ ।   অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেন, আজ নোবিপ্রবির ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন। ডি-নথি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছি, আজ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ব্রিটিশ আমলের সেই লাল ফিতার দৌরাত্ম থেকে বেরিয়ে এসে আমাদের প্রধান লক্ষ্য থাকবে সময় বাঁচিয়ে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করা। ডি-নথি প্রক্রিয়া বাস্তবয়নের মাধ্যমে কাগজ ও কলমের ব্যবহার কমিয়ে অপচয়রোধে এখন থেকে আমাদের মনোযোগী হতে হবে। এ সময় তিনি আরও বলেন, দাপ্তরিক কাজে দীর্ঘসূত্রিতা থেকে বেরিয়ে আসার ক্ষেত্রে ডি-নথির কোনো বিকল্প নেই। আমরা প্রথমত সংস্থাপন ও শিক্ষা শাখায় ডি-নথি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করলেও পরবর্তীতে সবগুলো দপ্তরেই এ কার্যক্রম শুরু করা হবে। এ কাজে নোবিপ্রবি পরিবারের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। ডি-নথি বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, ‘ডি-নথি’ হলো ডিজিটাল নথি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ডি-নথি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আমাদের উদ্দেশ্য হলো কাজকে সহজ করা। কিন্তু আমাদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে কাজ সহজ করতে গিয়ে যেনো জটিল না হয়ে যায়। এজন্য আমাদের ভালোভাবে জেনে-বুঝে ডি-নথি ব্যবহারে উদ্যমী হতে হবে। এক্ষেত্রে সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা একান্ত কাম্য। আমরা সফলভাবে ডি-নথি বাস্তবায়ন করবো, এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। নোবিপ্রবি রেজিস্ট্রার ও ডি-নথি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক জনাব মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ডি-নথি বাস্তবায়নের এই শুভক্ষণে আমি যারা প্রশিক্ষণ দিয়েছেন এবং যারা গ্রহণ করেছেন তাদের কৃতজ্ঞতা জানাই। ডি-নথি বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ ও দপ্তরকে তাদের সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। ইতোমধ্যেই যেসকল অফিসের কর্মকর্তাগণ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাদের নিয়ে আজকের এ উদ্বোধনীর মাধ্যমে আমরা কার্যক্রম শুরু করলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ইউজিসির আইএমসিটি বিভাগের উপ-পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মনির উল্লাহ বলেন, নোবিপ্রবির মাননীয় উপাচার্য মহোদয় দ্বিতীয় মেয়াদে এসেই ডি-নথি বাস্তবায়ন করছেন, এজন্য তাকে সাধুবাদ জানাই। ডি-নথি বিষয়ক কজের অগ্রগতির দিক থেকে নোবিপ্রবি শীর্ষ পাঁচে রয়েছে যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।  অনুষ্ঠানে নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম রেজিস্ট্রার কর্তৃক প্রেরিত একটি নথি অনুমোদনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ডি-নথির শুভ উদ্বোধন করেন।   উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে আইসিটি সেলের সিস্টেম এনালিস্ট জনাব মো. মাঈনুদ্দিন ‘ডি-নথি কি এবং কেন’ শীর্ষক একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৩২

বিশ্বসেরা গবেষক সংখ্যায় দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সপ্তম নোবিপ্রবি
বিশ্বসেরা গবেষক সংখ্যায় দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সপ্তম স্থান অর্জন করেছে উপকূলের বিদ্যাপীঠ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)। শনিবার (৬ জানুয়ারি) আলপার ডজার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স র‍্যাঙ্কিংয়ের ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, গবেষক সংখ্যায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম স্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়  (৬৬৫), দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়  (৫০৩),তৃতীয় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (৩৯২),৪র্থ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (৩৭৮),৫ম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (২৩৭), ৬ষ্ঠ খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (২০৯), সপ্তম নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  (১৯৮) অষ্টম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (১৭৮), নবম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (১৭৪) এবং দশম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (১৭৩)। নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড.আনিসুজ্জামান বলেন, বিশ্বসেরা র‍্যাঙ্কিংয়ে নোবিপ্রবি শিক্ষকেরা স্থান করে নেওয়ায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং এটা অনেক সম্মান ও গৌরবের বিষয়। তাই শিক্ষকদের শিক্ষকতার পাশাপাশি গবেষণা কাজে আরও বেশি মনোযোগী হওয়ার জন্য আহ্বান করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় ল্যাবসহ বিভিন্ন সুবিধা বাড়ানো হলে এই সংখ্যা দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আমি আশাবাদী। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ড.নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, এটি আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় স্থান করে নেওয়া সকলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা গবেষণার জন্য ফান্ড বাড়িয়েছি।তার সুফলও পাচ্ছি। আগামীতে এ ধারা অব্যাহত রাখতে গবেষকদের আরও বেশি গবেষণায় মনোযোগী হয়ে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিদার-উল-আলম বলেন,  আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বেশ এগিয়ে যাচ্ছেন। গবেষণার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে আমরা তাদের বিভিন্নভাবে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছি। এর ফলে গবেষকরা গবেষণার প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন। এখন তার সুফল আমরা পাচ্ছি। নোবিপ্রবিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে যারা নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়