রাজধানীতে ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
রাজধানীতে ছাদ থেকে পড়ে ফারিয়ার নামে পাঁচ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে দক্ষিণ গোঁড়ান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিতে গেলে শিশুটির মা রীনা জানান, ফারিয়াকে কোলে নিয়ে তার ফুফা ইসহাক খেলা করছিলেন ছাদে। এসময় ফারিয়াকে ছাদের পাশে থাকা একটি গাছ থেকে আম পেড়ে দিতে যান তিনি। কিন্তু আম ছিঁড়তে গেলে ছাদে জমে থাকা পানিতে পা পিছলে কোলে থাকা ফারিয়াসহ নিচে পড়ে যান তিনি।
এ ঘটনায় শিশুটির ফুফা ইসহাক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আহত ব্যক্তি চিকিৎসা নিচ্ছেন।
মন্তব্য করুন
আগুন নেভাতে টোল ছাড়া এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস
অগ্নিকাণ্ড কিংবা যেকোনো দুর্ঘটনায় আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধারকাজে দ্রুত পৌঁছাতে হয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় হঠাৎ আগুন ধরে যায় একটি প্রাইভেটকারে।
ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আসতে আসতে মাত্র ২৫ মিনিটেই পুড়ে যায় গাড়িটি।
আগুন নেভাতে কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশন থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগার কথা পাঁচ মিনিট। কিন্তু রাস্তায় সময় লেগেছে প্রায় ২০ মিনিট। এর মধ্যে টোল দিতেই সময় লেগেছে ১০ মিনিট।
ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, টোল ছাড়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে দেয়নি সংশ্লিষ্টরা। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা এনে টোল দিতেই সময় লেগেছে ১০ মিনিট।
ফায়ার সার্ভিসের সাবেক মহাপরিচালক মেজর (অব.) এ কে এম শাকিল নেওয়াজ গণমাধ্যমকে বলেন, দ্রুততম সময়ে ফায়ার ফাইটারদের ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি টোলমুক্ত রাখা উচিত। টোল কোনোভাবেই নেয়া উচিত নয়। ইমার্জেন্সি মানে ইমার্জেন্সি। কেউ বাধা দিলে ন্যূনতম এক বছরের জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে। উড়ালসড়কের শেষ অংশে বা মাঝামাঝি ফায়ার স্টেশনের জন্য ব্যবস্থা নিলে ভালো হবে। বিভিন্ন দেশে এ ব্যবস্থা রয়েছে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কিছু সরকারি গাড়ির বিনামূল্যে পাস থাকলেও নেই জরুরি সেবার প্রতিষ্ঠান ফায়ার সার্ভিসের পাস। তাই উড়ালসড়ক কিংবা সেতুতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িকে টোলমুক্ত রাখার দাবি উঠেছে।
হাতিরঝিলে ভাসমান সেই মরদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর হাতিরঝিলের লেকে থেকে উদ্ধার হওয়া সেই মরদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ওই যুবকের নাম ফাইয়াজ কাদের চৌধুরী ফারদিন (২৩)। তিনি পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর শাহজাহানপুরে থাকতেন।
ফাইয়াজের বাবা ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, ২০২১ সাল থেকে ফারদিন মানসিক রোগে ভুগছিল। রোববার রাতে বন্ধুর বাসায় যাওয়ার কথা বলে সে বাসা থেকে বের হয়। এরপর বহুবার চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এর আগে, এদিন সকালে হাতিরঝিল রামপুরা ব্রিজের নিচে ভাসমান একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় পথচারীরা। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে হাতিরঝিল থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাতিরঝিল থানার এসআই ফুল কুমার বলেন, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
রাজধানীতে হঠাৎ স্বস্তির বৃষ্টি
টানা কয়েক দিন ভ্যাপসা গরমের পর ঢাকায় হঠাৎ স্বস্তির বৃষ্টি নেমেছে। মঙ্গলবার বিকেল ৩টার পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় স্বস্তির বৃষ্টির সঙ্গে বইছে দমকা হাওয়াও। হঠাৎ বৃষ্টিতে জনজীবনে স্বস্তি ফিরলেও মাঝপথে সড়কে থাকা পথচারীরা কিছুটা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল ৩টা থেকে আকাশে গুমোট ভাব ছিল। কালো মেঘে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায়। আধঘণ্টা পরই বিভিন্ন জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়।
এর আগে, ঢাকাসহ দেশের পাঁচ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, রাজশাহী, ঢাকা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া এবং কুমিল্লা অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
রাজধানীতে বাবার চড়ে ৫ বছরের শিশুর মৃত্যু
রাজধানীতে বাবার চড়ে জান্নাতুল নামে পাঁচ বছরের এক মেয়ে শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে হাজারীবাগের বৌবাজার এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। পরে মঙ্গলবার ভোরের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায় শিশুটি।
শিশুটির মামা রাহাত বলেন, ‘মেয়েটি ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করত না, মুখে খাবার নিয়ে বসে থাকত। সোমবার রাতে তাকে খাওয়ানোর সময় তার বাবা রেগে গিয়ে চড় মেরে বসেন। এ সময় পাশের দেয়ালের সঙ্গে মাথা ঠুকে গেলে শিশুটি অজ্ঞান হয়ে যায়।’
শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা এক প্রতিবেশী শিল্পী বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যার পরপর মেয়ের বাবা আমাকে ডেকে বলেন, খালা একটু দেখেন তো, আপনার নাতিনরে (জান্নাতুল) মারছি, তার মা নাসিমাও হাত কাইটা ফেলছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি বাসায় গিয়ে দেখি নাসিমার বাম হাতে কাটা, আর শিশুটি পরে আছে অচেতন অবস্থায়। পরে সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে এবং পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানেই মঙ্গলবার ভোরে শিশুটির মৃত্যু হয়।’
হাজারীবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাদির শাহ বলেন, জান্নাতুল মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছে। পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
পল্টনে ছয়তলা ভবন থেকে লাফিয়ে নারীর আত্মহত্যা
রাজধানীর পুরানা পল্টনে একটি ৬ তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে মঞ্জুরী আফরোজ (৫৫) নামের এক নারী আত্মহত্যা করেছেন।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) পুরানা পল্টনের ৫৯/৩ নম্বরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তিনি ওই বাড়ির মৃত সেলিম উল্লাহের মেয়ে।
ডিএমপির পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সুফিয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মঞ্জুরী আফরোজের মানসিক সমস্যা ছিল। সকালে সবার অগোচরে ছয়তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফ দেন তিনি। এতে নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এসআই মো. সুফিয়ান জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
যে কারণে বারের সামনে নারীদের চুলোচুলি
রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের ক্যাফে সেলেব্রিটা বারের সামনে সম্প্রতি কয়েকজন নারীর চুলোচুলি ও মারামারির ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই নারীদের মদপানের লাইসেন্স ছিল না। তারা অবৈধভাবে অতিরিক্ত মদপান করে মাতাল হয়ে মারামারিতে জড়ান। তাদের কাছে মদ বিক্রি করায় সেলেব্রিটা বারের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব কথা বলেন।
গ্রেপ্তার তিন নারী হলেন, শারমিন আক্তার মিম (২৪), ফাহিমা ইসলাম তুরিন (২৬) ও নুসরাত আফরিন।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, নগরে বাস করতে গেলে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। যেকোন নারী-পুরুষ লাইসেন্স থাকলেই মদ পান করতে পারে। তবে পয়লা বৈশাখের রাতে গুলশান এলাকায় যারা মদ পান করেছেন, তাদের কারো লাইসেন্স ছিল না। লাইসেন্সহীনদের কাছে বার কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত পরিমাণে মদ বিক্রি করেছে। যা পান করে তারা মাতাল, বেসামাল হয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, বার কর্তৃপক্ষের ওই বেসামাল নারীদের নিয়ন্ত্রণ করা উচিত ছিল। কিন্তু তা তারা করেনি। ওই নারীরা রাস্তায় গিয়ে প্রকাশ্যে মারামারি করেছেন। যা গুলশানের বাসিন্দারা দেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিলেন। ভাইরাল হলো দেশজুড়ে।
ডিবি প্রধান বলেন, আমি মনে করি এই ভিডিও দেশের মানুষের মধ্যে শহরের মানুষ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা হবে। এসব নারীরা কারো না কারো সন্তান। তাদের অভিভাবকদের উচিত মেয়েরা কোথায় যায়, কী করে সেদিকে খেয়াল রাখা। আজকে এই নারীরা বারে গিয়ে মদ পান করে এমন কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন। যে মেয়েকে তারা মেরেছেন সেই মেয়েটিও মাতাল ছিলেন।
হারুন অর রশীদ, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যে বারগুলো লাইসেন্স ছাড়া মদ বিক্রি করেছে, তাদের বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা নেব।
অন্যদিকে, মারধরের শিকার ভুক্তভোগী রিতা আক্তার সুস্মি বলেন, আমি ও আমার এক বন্ধু মিলে খাবার খেতে ওই রেস্তোরাঁয় যাই। খাওয়ার এক পর্যায়ে টয়লেটে যাওয়ার জন্য গিয়ে দেখি চারজন মেয়ে একসঙ্গে টয়লেটে প্রবেশ করেছে। বিষয়টি রেস্তোরাঁর ম্যানেজারকে বলি। তারা মেয়েদের বের করে দেয়। পরবর্তী সময়ে আমি রেস্তোরাঁ থেকে বের হওয়ার সময় তারা আমার ওপর হামলা করে।
তিনি বলেন, আমাকে চড়-থাপ্পড় দিতে পারত। কিন্তু রাস্তার মধ্যে আমার কাপড় খুলে ফেলে। আমাকে মারধর করে। আমি তাদের সঠিক বিচার চাই। কারণ রাস্তায় একজন মেয়ে হয়ে আরেকজন মেয়ের কাপড় খুলে ফেলতে পারে না।
ডিবি কার্যালয়ে এসেও কাণ্ড ঘটিয়েছেন মাতাল নারীরা
রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের ক্যাফে সেলেব্রিটা বারের সামনে সম্প্রতি কয়েকজন নারীর চুলোচুলি ও মারামারির ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) গ্রেপ্তারের পর মারধরের শিকার নারীসহ তাদেরকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। এ সময় অভিযুক্ত নারীরা ভিকটিম নারী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে বিবাদে জড়ান। যা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ডিবি কার্যালয়ে ভিকটিমসহ অভিযুক্ত তিন নারীই মুখ ঢাকা ছিল। সাংবাদিকরা তাদের ফুটেজ নিতে চাইলে তারা আপত্তি জানান।
এ সময় এক নারী সাংবাদিকদের বলেন, উনার (ভিকটিম) সঙ্গে আমাদের প্রবলেম হইছে, আমরা আমরা সলভ করব। এখানে মিডিয়া রিলেটেড তো কিছু না। পাশ থেকে আরেক নারী বলেন, মিডিয়া কেন এখানে ফুটেজ নেবে। অন্যজন বলেন, এটা মেয়েদের বিষয়। আমাদের প্রেস্টিজ আছে না! আমাদের ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড আছে। দিস ইস নট রাইট।
এরপর ওই নারীরা সাংবাদিকদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ফুটেজের জন্য নারী পুলিশ সদস্যরা অভিযুক্ত নারীদের লাইনে দাঁড় করালে তারা আরও একদফা তর্কে জড়ান। এক নারী বলেন, এখানে কি আমরা নাটক করব যে আপনাদের মুখ দেখাতে হবে। আরেকজন বলেন, পাত্রী দেখতে আসছেন? অন্যজন বলেন, আমরা কি ছেলে মানুষ।
সেদিন রাতে’ কী ঘটেছিল সে বিষয়ে নারীদের কাছে জানতে চাইলে তারা কোনো উত্তর দেবেন না- বলে সেখান থেকে চলে যান। যাওয়ার সময় একজন বলতে থাকেন, আপনাদের মিডিয়াতে ভিউ বাড়ানোর জন্য আমাদের মানহানি করার তো কোনো দরকার নাই।
এরপর ভিকটিমের মুখোমুখি হয়ে এক নারী বলেন, আমরা আপনার (ভিকটিম) সঙ্গে কথা বলার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এ সময় সাংবাদিকরা সামনে এসে ভিডিও ধারণ করলে তিনি রেগে গিয়ে বলেন, আমার এখন মেজাজটা খারাপ হবে, এগুলো (ক্যামেরা) সামনে থেকে সরান।
এ সময় ওই নারীর উদ্দেশে ভিকটিম বলতে থাকেন, অপরাধ করতে পারো, রাস্তায় একটা মেয়ের শাড়ি খুলতে পারো, তাহলে চেহারা দেখাতে দোষ কিসের। এরপর পেছন ফিরে ভিকটিমের দিকে তেড়ে আসেন ওই নারী এবং বলেন, তাহলে তুমি চেহারা দেখাও। তুমি দেখালে আমিও দেখাব।
জবাবে মারধরের শিকার নারী বলেন, আমি ভিকটিম, আমি কেন মুখ খুলব।