• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ জানিয়ে নোবিপ্রবি ও শাবিপ্রবিতে গণইফতার

নোবিপ্রবি ও শাবিপ্রবি প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১২ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪৭
ছবি : আরটিভি

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টির আয়োজনের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে গণইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় দুটিতে।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) নোবিপ্রবির বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে গণইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এর আগে দুপুরে জোহরের নামাজের পরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন।

এর আগে, গত সোমবার (১১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইফতার মাহফিল আয়োজনের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মুহাম্মদ আলমগীর সরকার স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে শুরু থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদস্বরূপ সাধারণ শিক্ষার্থীরা গণ-ইফতার কর্মসূচির আয়োজন করে।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে বানী ইয়ামিন বলেন, শাবিপ্রবি ও নোবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাঙালি মুসলমানদের হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি পবিত্র মাহে রমজানের ইফতার পার্টিকে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করে নোটিশ দিয়েছে। ৯৫ শতাংশ মুসলমানের দেশে এ ধরনের নোটিশ বড় ধরনের ধৃষ্টতা এবং হাজার বছরের ধর্মীয় ঐতিহ্যকে অবমাননার শামিল।

বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ এখানে শত বছর ধরে হিন্দু মুসলমান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা মিলেমিশে স্বাধীনভাবে তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছে। আমরা একে অপরকে সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু ট্যাগ দিয়ে আসি নাই। কিন্তু আজ ৯৫ শতাংশ মুসলমানের দেশে সংখ্যালঘুদের মতো আচরণ করা হচ্ছে। আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি ইফতার পার্টি নিষেধাজ্ঞার নোটিশটি সংশোধন করা হয়েছে। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই পাশাপাশি ভবিষ্যতে এরকম নোটিশ জারি করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য প্রশাসনের নিকট আমাদের উদাত্ত আহ্বান রইলো।

এদিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে গণ-ইফতার কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে গত ১০ মার্চ প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ জানালো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

সরেজমিন দেখা যায়, ইফতারের এক ঘণ্টা আগে থেকেই হল ও ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে শিক্ষার্থীদের আগমন শুরু হয়। শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ইফতার সম্পন্ন হয়।

গণ ইফতারে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক বলেন, ইফতার মাহফিল করা এটা আমাদের মুসলমানদের ঐতিহ্য। ক্যাম্পাসে ইফতার মাহফিল করা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঐতিহ্য। অথচ ক্যাম্পাসে ইফতার মাহফিল না করার জন্য অনুরোধ করে আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আমরা এর প্রতিবাদে গণ-ইফতার কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছি। সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ইফতার মাহফিল সম্পন্ন হয়েছে।

আরেক শিক্ষার্থী দেলওয়ার হোসেন বলেন, ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি না করার বিজ্ঞপ্তিতে গণ-ইফতার আমাদের মৌন প্রতিবাদ। আমরা চাই, ক্যাম্পাসে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে ইফতার পার্টি অব্যাহত থাকুক। মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে কখনো না নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

জানা যায়, রমজান মাসে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি না করার অনুরোধ জানিয়ে রোববার (১০ মার্চ) বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে প্রশাসন। সোমবার (১১ মার্চ) বিজ্ঞপ্তিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। সমালোচনার মুখে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির ব্যাখ্যা দিয়ে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দিতে বাধ্য হয় শাবিপ্রবি প্রশাসন। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি করতে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়। তবে ইফতার পার্টিতে প্রশাসন থেকে কোনো অর্থ সহায়তা করা হবে না বলে জানায় প্রশাসন।

মন্তব্য করুন

daraz
  • শিক্ষা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
গুচ্ছ পরীক্ষায় ‘এ’ ইউনিটে শাবিপ্রবিতে উপস্থিতি ৮৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞায় টিআইবির উদ্বেগ 
ভারতীয় তিন কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
বিতর্কিত ক্যাচ নিয়ে মুশফিকের নীরব প্রতিবাদ
X
Fresh