• ঢাকা রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ধর্ষণকাণ্ড : জাবির ৫ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার, ২ জনের সনদ বাতিল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় ৫ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং দুইজনের একাডেমিক সনদ বাতিল করা হয়েছে। রোববার (১০ মার্চ) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান জানান, সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মূল অভিযুক্ত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও তার সহযোগী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মুরাদ হোসেনের সনদ স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া বাকি অভিযুক্তদের সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩৭

জাবির ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে যা জানাল ইউজিসি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতায় সেখানে যৌন নিপীড়নসহ অন্যান্য অনিয়ম বন্ধ হয়নি। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ইউজিসির এক কর্মশালায় তিনি এ মন্তব্য করেন, পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। অধ্যাপক আলমগীর বলেন, যৌন হয়রানিসহ নানান অপকর্মে দৃশ্যমান ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে। সেই সঙ্গে এসব অপরাধের বিচারের দীর্ঘসূত্রতা ও অপরাধীদের প্রশ্রয়ের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে যৌন হয়রানির ঘটনা রোধ করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, যখন ক্যাম্পাসে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির ঘটনায় আন্দোলন হয় তখনই কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়; যা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অরাজক পরিস্থিতি তৈরি, শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়। ইউজিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়টির ধর্ষণের ঘটনা আমাদের মর্মাহত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনা কোনো মতেই গ্রহণযোগ্য নয়। কেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটছে, তা খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তিনি বলেন, আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত না করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কিভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে এবং অছাত্ররা দিনের পর দিন কীভাবে হলে থাকছেন সেটিও খতিয়ে দেখা দরকার। অধ্যাপক আলমগীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানিসহ অনিয়মের অভিযোগ পর্যালোচনা ও প্রতিকারে পদক্ষেপ গ্রহণে ইউজিসি শিগগিরই উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন সেল গঠন করবে। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম ও নিপীড়নের ঘটনা ঘটলে এই সেল তদারকি করবে এবং তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করবে। এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ইউজিসি। কমিটির সদস্যরা বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন।  সংস্থাটি জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর কী ব্যবস্থা নিয়েছে এবং কেন এমন ঘটনা ঘটছে তা খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। উল্লেখ্য, শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে জবির হলে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এর আগে ১৯৯৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দীন মানিকের বিরুদ্ধে ‘ধর্ষণের সেঞ্চুরির’ অভিযোগ উঠেছিল। পরে ছাত্র-শিক্ষকদের সম্মিলিত আন্দোলনের মুখে ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হয় মানিক। সেই একই রকম প্রতিবাদ রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) ফিরে আসে জাহাঙ্গীরনগর ক্যাম্পাসে।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়