• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ধর্ষণ মামলা : আ.লীগ থেকে বড় মনিরকে অব্যাহতি
টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে দলটি। তাকে চূড়ান্ত অব্যাহতির জন্য দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে সুপারিশ করেছেন শহর আওয়ামী লীগের নেতারা, এমন তথ্যও জানা গেছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ। তিনি বলেন, ঈদের আগে দলের সাধারণ সম্পাদকের কাছে গোলাম কিবরিয়াকে চূড়ান্ত অব্যাহতি প্রদানের জন্য সুপারিশ করে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদকের কোনো সিদ্ধান্ত এখনো পাওয়া যায়নি। জানা যায়, টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক এমএ রৌফ স্বাক্ষরিত এই পত্র পাঠানো হয়েছে। দলের ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদকের কাছে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ প্রসঙ্গে গোলাম কিবরিয়া জানান, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তার ও তাদের পরিবারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ এবং রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য তার বিরুদ্ধে এ ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গোলাম কিবরিয়া বড় মনির টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের দলীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনিরের ভাই। গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে গত বছর এপ্রিলে এক নারী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। ওই মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ধর্ষণের ফলে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হন। পরে ওই নারী একটি ছেলেসন্তান জন্ম দেন। আদালতের নির্দেশে ওই সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। এতে বলা হয় ওই সন্তানের জৈবিক পিতা গোলাম কিবরিয়া নন। এর কয়েক মাস পর ওই নারী আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে ওই নারীর বড় বোন তার ভাই জনি মির্জা ও সৌরভ পালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৩

স্কুলছাত্রীকে তিন দিন আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে তুলে নিয়ে তিনদিন আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আটককৃতরা হলেন- উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের পাঁচগাও গ্রামের মৃত লালু সরদারের ছেলে ইব্রাহিম সরদার দুদুল (২০), একই গ্রামের আলম মাঝির ছেলে তুষার মাঝি (২২), সুরেশ্বর গ্রামের আলম হাওলাদারের ছেলে মো. নাহিদ হাওলাদার (১৯) ও তাদের বন্ধু শাকিব হোসেন। জানা গেছে, ভুক্তভোগী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। পরিবারের কেউ না থাকায় মায়ের সঙ্গে বোনের বাড়িতে থাকেন। ঈদের দিন সন্ধ্যায় নানা বাড়ি যাওয়ার পথে চন্ডিপুর ভিআইপি মোড় এলাকা থেকে তাকে একটি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায় দুদুল সরদার ও তুষার মাঝি নামের তুই তরুণ। তারা ওই শিক্ষার্থীকে সুরেশ্বর দরবার শরিফের পাশের একটি টিনের ঘরে নিয়ে দুদিন আটকে ধর্ষণ করে। শনিবার সকালে ওই দুই তরুণ আরও তিনজনকে ডেকে এনে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে দুপুরে একটি অটোরিকশায় তুলে দেওয়া হয়। বাড়ি ফিরে বোনদের কাছে বিষয়টি খুলে বললে তারা পুলিশে অভিযোগ করেন। পুলিশ রাতে ভিকটিমকে চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। একই সঙ্গে অভিযান চালিয়ে দুল সরদার, তুষার মাঝি, শাকিব ও নাহিদকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর বোন বাদী হয়ে মামলা করেন। ভুক্তভোগী বলেন, ঈদের দিন হেঁটে নানার বাড়িতে যাচ্ছিলাম। তখন দুদুল ও তুষার মাঝি আমাকে মুখ চেপে ধরে অটোরিকশায় সুরেশ্বর দরবার শরিফের কাছে একটি ঘরে নিয়ে আটকে রাখে। একপর্যায়ে তারা আমাকে পুড়িয়ে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। শনিবার সকালে আরও তিনজন আমাকে ধর্ষণ করে। আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে একটি অটোরিকশায় আমাকে পাঠিয়ে দেয়। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা লিমিয়া সাদিয়া বলেন, মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সবধরনের নমুনা ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ফলাফল আসলে ধর্ষণের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবীব বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।    
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৬

ধর্ষণ মামলায় জামিন পেলেন হেফাজত নেতা মামুনুল হক
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় করা ধর্ষণ মামলায় জামিন পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক।  বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন।  জামিন শুনানির সময় আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন মামুনুল হক। আদালতে তার পক্ষে জামিন আবেদন করে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী ওমর ফারুক নয়ন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রকিবউদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টে এক নারীসহ অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক। পরে ওই রিসোর্ট ভাঙচুর করে মামুনুলকে ছিনিয়ে নেন তার অনুসারীরা। একই বছরের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ।  এ ঘটনার ২৭ দিন পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন তার সঙ্গে থাকা ওই নারী। একই বছরের ৩ নভেম্বর মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় পুলিশ।   
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১০

২৫ দিন ধরে ধর্ষণ : চার আসামি ফের রিমান্ডে
রাজধানীতে একটি বাসায় শেকলে বেঁধে ২৫ দিন ধরে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলায় চার আসামিকে ফের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।  বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলামের আদালত আসামিদের প্রত্যেককে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামিরা হলেন সান, হিমেল, রকি ও সালমা ওরফে ঝুমুর। এর আগে, ৩ দিনের রিমান্ড শেষে এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে ফের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। একইসঙ্গে আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। উল্লেখ্য, মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় শেকলে বেঁধে ২৫ দিন ধরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয় এক তরুণীকে। পরে ওই তরুণীর চিৎকারে এক ব্যক্তি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।  এরপর ভুক্তভোগী তরুণী ৩১ মার্চ রাতে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন।  
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১৩

শিকলে বেঁধে রেখে তরুণীকে ধর্ষণ : চার আসামি ফের রিমান্ডে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় শিকলে বেঁধে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ওই তরুণীর প্রেমিক সানসহ চার আসামির ফের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামিরা— হিমেল, রকি ও সালমা ওরফে ঝুমুর। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক ফারুকুল ইসলাম তিন দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করেন এবং পুনরায় পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলামের আদালত প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতে মোহাম্মদপুর থানার (নারী-শিশু) সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক উত্তম কুমার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত সোমবার (১ এপ্রিল) এ চার আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।  জানা যায়, মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় শিকলে বাঁধা অবস্থায় ২৫ দিন ধরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। নবীনগর হাউজিংয়ের ওই বাসায় তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণের অভিযোগে ৩১ মার্চ রাতে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী তরুণী। এর আগে তরুণীর চিৎকারে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে এক ব্যক্তি ফোন করলে পুলিশ তরুণীকে শিকলে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৩২

তেঁতুলের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ শেষে হত্যা, যুবকের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লায় তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহিদা ইসলাম ইলমা নামে এক শিশুকে তেঁতুলের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ শেষে হত্যার দায়ে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।   মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতের বিচারক মো. আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোহাম্মদ আলী বাপ্পি কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গজারিয়া গ্রামের বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মুজিবুর রহমান। মামলার বিবরণের সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ দুপুরে তাহিদা ইসলাম ইলমা বাসার সামনে খেলছিল। এ সময় আসামি বাপ্পি তেঁতুলের লোভ দেখিয়ে ইলমাকে তার ঘরে নিয়ে প্রথমে ধর্ষণ করে। পরে মরদেহটি কাঁথা পেঁচিয়ে পাশের ডাকাতিয়া নদীতে ফেলে দেয়। পরদিন ইলমার মরদেহ খুঁজে পায় স্বজনরা। এ ঘটনায় ইলমার বাবা দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।  পুলিশ আসামি বাপ্পিকে গ্রেপ্তার করে। পরে ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত একজনকে খালাস এবং একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। 
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১১

৩ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, কিশোর গ্রেপ্তার
ঝালকাঠিতে তিন বছরের এক শিশুকে ধষর্ণের অভিযোগ উঠেছে সাজ্জাদ হোসেন (১৭) নামের এক কিশোরের বিরুদ্ধে। রোববার (৩১ মার্চ) রাত ৮টার দিকে শহরের ব্র্যাকমোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  পুলিশ ঘটনার চার ঘণ্টার মাথায় অভিযুক্ত কিশোর সাজ্জাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হওয়া সাজ্জাদ সদর উপজেলার কীর্ত্তিপাশা এলাকার শাহাদাত হোসেনের ছেলে।  ধর্ষণের শিকার শিশুর মা জানান, স্বামীর সঙ্গে তার বিরোধ থাকার কারণে মেয়েকে নিয়ে ঝালকাঠি শহরের ব্র্যাক মোড় এলাকায় বাবার বাড়িতে থাকেন। সাজ্জাদ তার মেজো ভাইয়ের শ্যালক হয়। মাঝে মধ্যে সে ব্র্যাক মোড়ের বাসায় আসা যাওয়া করতো। গতরাতে তিনি নামাজ পড়ছিলেন, এ সুযোগে মেয়েকে একা পেয়ে পাশের একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে সাজ্জাদ। মেয়ের খালা বিষয়টি টের পেলে মোবাইল ফোন রেখে পালিয়ে যায় সাজ্জাদ। পরে মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, শিশু ধর্ষণের ঘটনা জানার পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সাজ্জাদ নামে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মেয়েটি সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে, তাকে সেখানেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। 
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১২

রাজধানীতে ফ্ল্যাটে ২৫ দিন শেকলে বেঁধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
রাজধানীর একটি বাসায় ২৫ দিন শেকলে বেঁধে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগের পর এক তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিন যুবক ও এক নারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী। তবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা পলাতক রয়েছেন। জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বর থেকে এই ঘটনা জানতে পেরে শনিবার (৩০ মার্চ) মোহাম্মদপুরের নবীনগরে চার তলার এক ফ্ল্যাট থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। আসামি তিন যুবক হলেন- সান (২৬), হিমেল (২৭) ও রকি (২৯)। আর নারীর নাম সালমা ওরফে ঝুমুর (২৮), যিনি এক প্রবাসীর স্ত্রী। মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তোফাজ্জল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনায় ২৩ বছর বয়সী ওই তরুণী শনিবার তিন যুবক ও এক নারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আসামিদের শনাক্তের পর তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ওই তিন যুবক প্রায় ২৫ দিন তাকে আটকে রেখে ধর্ষণের পাশাপাশি পাশবিক যৌন নির্যাতন চালায়। খবর পেয়ে শেকল হাত-পা বাঁধা ওই তরুণীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, নবীনগরে সালমার চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে গত ৫ মার্চ থেকে তাকে আটকে রাখা হয়েছিল। ওই তিন যুবকের ধর্ষণের ঘটনায় সহায়তাও করেন সালমা। মামলায় বলা হয়, বাবা মায়ের মধ্যে বিচ্ছেদ এবং পরে তারা অন্যত্র বিয়ে করায় ওই তরুণী তার বড় বোনের বাসায় থাকছিলেন। সে সময় ভগ্নিপতির মাধ্যমে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে ওই যুবকের মাধ্যমে এক প্রবাসীর স্ত্রী সালমা ওরফে ঝুমুরের সঙ্গে পরিচয় হয় তরুণীর। এক পর্যায়ে বোনের বাসা ছেড়ে তার (সালমা) সঙ্গে নবীনগরের ভাড়া ফ্ল্যাটে ওঠেন ওই তরুণী। পরে ঝুমুরের মাধ্যমে সান নামের এক যুবকের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নবীনগরের ওই বাসায় গত ৩ ফ্রেব্রুয়ারি প্রথম ধর্ষণ করেন সান বলে এজাহারে অভিযোগ করা হয়। ‘সর্বশেষ ২৭ ফ্রেব্রুয়ারি একইভাবে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করার পর বিয়ের জন্য চাপ দিলে সান তার পরিবারের সাথে কথা বলে বিয়ের আশ্বাস দেয়। বিয়ে না করলে থানায় গিয়ে মামলা করার কথা বললে সান যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৫ মার্চ দুপুরে দুই বন্ধু হিমেল ও রকিকে নিয়ে ওই বাসায় এসে সান তাকে সারপ্রাইজ দেবে বলে চোখ বন্ধ করতে বলে। সালমা এ সময় খাবার আনার কথা বলে রুম থেকে বের হয়ে যায়। সানের কথায় চোখ বন্ধ করলে তারা তিনজন মিলে তার হাত, পা ও চোখ বেঁধে ফেলে এবং মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে ফেলে। পরে সালমার কথায় হিমেলকে পাহারায় রেখে অন্যরা শেকল আনার জন্য বাইরে চলে যায়। এ সময় একা পেয়ে হিমেল তাকে ধর্ষণ করে। সেই দিন থেকে শেকল দিয়ে তার হাত ও পা বেঁধে রাখা হয় দাবি করে ওই তরুণী মামলায় অভিযোগ করেন, এক দিন পর ৭ মার্চ রকি বাসায় এসে তাকে ধর্ষণ করে। খাবার এবং রাথরুমে যাওয়া সময় বাসায় থাকা সালমা শুধু পায়ের শেকল খুলে দিত। পরদিন সানের ধর্ষণের চিত্র ভিডিও তার মোবাইল ফোনে ধারণ করেন সালমা। এরপর থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ওই তিনজন তাকে ধর্ষণ করেন এবং একে অপরের ভিডিও করেন। এসময় সালমা তাদের সহায়তা করে। গত ৩০ মার্চ রাতে বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে জানালা দিয়ে চিৎকার করে স্থানীয় এক ব্যক্তির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী। পরে ওই ব্যক্তি ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ এগিয়ে আসে।
৩১ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৩

সাঁথিয়ায় গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার ৩ যুবক
পাবনার সাঁথিয়ায় এক গৃহবধূকে (২৬) সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।  বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাব-১২, সিপিসি-২, পাবনার কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান। এর আগে মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার যুবকেরা হলেন সাঁথিয়া উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের নাসির উদ্দিন (৩০), নুহ মোল্লা (২৮) ও সাইফুল ইসলাম (৩০)। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১৯ ফ্রেবুয়ারি সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ সাঁথিয়ার বনগ্রাম বাজার থেকে বাড়িতে যাবার জন্য চরভদ্রকোলা নামক স্থানে অটোরিকশা থেকে নামেন। সেখান থেকে হেঁটে বাড়ির উদ্দেশ্যে যাবার সময় বটতলা নামক স্থানে তাকে একা পেয়ে মুখ চেপে ধরে ও পা বেঁধে ফেলে তিন আসামি। পরে তারা চরভদ্রকোলা গ্রামের ডাঙ্গার চক নামক নির্জন মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে গৃহবধূকে পালাক্রমে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় গৃহবধূ বাদী হয়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি সাঁথিয়া থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। এরপর আসামি গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে র‍্যাব। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার রাতে সাঁথিয়ার খাইলভরা মোল্লাবাড়ি ও আতাইকুলার ধর্মগ্রাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এই ঘটনার সঙ্গে নিজেদের জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিদেরকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাঁথিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
২০ মার্চ ২০২৪, ২৩:১২

পার্কে ঘুরতে নিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার
কিশোরগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. কাউছার উদ্দিন (২৩) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। ঢাকার কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের র‌্যাবের একটি দল গ্রেপ্তার করে তাকে। গ্রেপ্তারকৃত কাউছার জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার হাত্রাপাড়া এলাকার মৃত আ. কাদিরের ছেলে। সোমবার (১৮ মার্চ) দিবগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‌্যাব কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়ক মো. আশরাফুল কবির।  সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভিকটিম কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ মহিলা কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। কলেজে আসা-যাওয়ার পথে আসামি কাউছার উদ্দিনের সঙ্গে ভিকটিমের পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে কাউছার চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ২ তারিখ বেলা ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া এলাকার নেহাল গ্রিন পার্কে ভিকটিমকে নিয়ে ঘুরতে যান। ঘোরাফেরা করে বিকেল আনুমানিক ৪টার দিকে পার্কের ভেতর একটি পরিত্যক্ত অন্ধকার ঘরে কাউছার ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ ঘটনায় ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে আসামি গ্রেপ্তারের থেকে বাঁচতে পলাতক ছিলেন। আসামিকে আইনের আওতায় আনতে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। পলাতক আসামির অবস্থান সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামির অবস্থান নিশ্চিত করে র‌্যাব। কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প ও র‌্যাব-১০ এর যৌথ অভিযানে সোমবার বিকেলে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়ক মো. আশরাফুল কবির জানান, র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও অনুসন্ধানে গ্রেপ্তার আসামি কাউছার উদ্দিন উক্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১২:১৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়