• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
এক রুমে ৫ জনের সঙ্গে ছিলেন নেহা!
বলিউডের বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নেহা কক্কর। ১৯৮৮ সালের ৬ জুন উত্তরাখণ্ডে জন্ম তার। ছোটবেলা থেকেই পারিবারিক দুর্দশা, কষ্টে বেড়ে উঠতে হয়েছে তাকে। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে সেই দিনগুলোর গল্প বলেছেন নেহা।  নিম্নবিত্ত পরিবারের সাধারণ মেয়ে ছিলেন এই সংগীতশিল্পী। অভাবের মধ্য দিয়েই কেটেছে শৈশব। বাবার সঙ্গে জাগরণে যাওয়ার স্মৃতি আজও মনে পড়ে নেহার। প্লেব্যাক সিঙ্গার সোনু কক্করের ছোট বোন তিনি। তাদের একজন ভাইও রয়েছে, যার নাম টনি কক্কর। তিনি নিজেও গায়ক। শৈশবেই রোজগারের জন্য পরিবারসহ দিল্লিতে চলে যান নেহা। একরুমে দুই ভাইবোন এবং বাবা-মায়ের সঙ্গে মোট পাঁচজনে মিলে থাকতেন। অর্থকষ্টে এর চেয়ে দামি ঘর ব্যবস্থা করা সম্ভব ছিল না তাদের জন্য।  দিল্লির উত্তম নগরের নিউ হলি পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা করেন নেহা। গ্র্যাজুয়েশন শেষ করতে পারেননি। একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময়ে রিয়েলিটি শো ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর সিজন ২-এ প্রতিযোগী হিসাবে উপস্থিত হন। এরপরই বদলে যেতে শুরু করে নেহার জীবন। ডাক পেয়ে যান বলিউডে। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক গানে জনপ্রিয়তা পেয়ে যান ভারতজুড়ে।  এসবের মাঝেও পুরোনো স্মৃতি আজও ভোলেননি নেহা। গত বছর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে দুটি ছবি শেয়ার করেন তিনি। একটিতে দেখা যায়, গ্র্যান্ড বাংলোর বাইরে পোজ দিচ্ছেন। অপরটিতে, পুরোনো বাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে।   জীবন কতটা বদলে গেছে সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন নেহা। অতীতকে আজও স্মরণ করেন তিনি। তাই হয়তো কোনো প্রতিযোগীর জীবন সংগ্রামের কথা শুনলে তার চোখ ভিজে যায়। বছরখানেক আগেই পাঞ্জাবি গায়ক রোহনপ্রীত সিংকে বিয়ে করেন নেহা। এর আগে আদিত্য নারায়ণ ও হিমাংশ কোহলির সঙ্গে নেহার নাম জড়িয়েছিল। রোহনপ্রীত সিং পাঞ্জাবের বাসিন্দা। সারেগামাপা লিটল চ্যাম্পসের মাধ্যমে লাইমলাইটে প্রবেশ করেন।
৮ ঘণ্টা আগে

জিয়া ছিলেন মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা বেতনের কর্মচারী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অধীনে অন্যান্য সেক্টর কমান্ডারদের মতোই ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারী ছিলেন জিয়াউর রহমান। অথচ পরিতাপের বিষয়, সেই বিএনপি মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ দিবস ১৭ এপ্রিল পালন করে না। গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে অনুষ্ঠানরত নবম 'আওয়ার ওশান কনফারেন্সে' যোগদানরত পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্থানীয় সময় বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাতে 'নভোটেল এথেন্স' হোটেল বলরুমে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিস আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।  জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সূচিত এ অনুষ্ঠানে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের যে ভাষণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অবিচ্ছেদ্য অংশ, সেই ৭ মার্চও বিএনপি পালন করে না। এ থেকেই স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধে বিএনপি কতটুকু বিশ্বাস করে তা প্রমাণ হয়।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার বৈদ্যনাথতলা অর্থাৎ বর্তমান মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণের আগের মধ্যরাতে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের কলকাতা প্রেসক্লাবে সমবেত হতে বলা হয়। গোপনীয়তার মধ্যে তাদেরকে পরদিন সকালে মুজিবনগরে পৌঁছানো হয় যেখান থেকে তারা সংবাদ পরিবেশন করেন। এ সময় গ্রিস প্রবাসী বাংলাদেশিদের আইনানুগ ও পরিশ্রমী জীবনের জন্য নিজের ও গ্রিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশংসার কথা জানিয়ে এই সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে  ও সবাইকে বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাতে আহবান জানান মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সমবেতদের হর্ষধ্বনির মধ্যে তিনি জানান, গ্রিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সঙ্গে বৈঠকে জানিয়েছেন যে গ্রিস আরও ৬টি দেশে দূতাবাস খোলার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। গ্রিস আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ ত্রিশটিরও বেশি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও  আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।  গ্রিস আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল মান্নান মাতুব্বরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল হাওলাদারের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য এফেয়ার্স মোহাম্মদ খালেদ, বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিস নেতৃবৃন্দের মধ্যে গোলাম মওলা, হাজী আব্দুল কুদ্দুস, আব্দুল খালেক মাতুব্বর, আহসান উল্লাহ হাসান, শেখ আল আমিন, আব্দুল কুদ্দুস মাতুব্বর, রায়হান খান, মিজানুর রহমান আলফা প্রমুখ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন। 
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১২

সৎ ও সাহসী সাংবাদিক ছিলেন ইহসানুল করিম
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে কখনো আপস করেননি সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইহসানুল করিম। ৫২ বছরের সাংবাদিকতায় তিনি সৎ ও সাহসী সাংবাদিকতা করে গেছেন। চরম দুঃসময়েও নৈতিকতার সঙ্গে আপস করেননি। তার মৃত্যুতে সাংবাদিক জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব ম্যাস কমিউনিকেশন (আইআইএমসি) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইমকাবিডি) আয়োজিত এক স্মরণসভায় এসব কথা বলেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও সাংবাদিক নেতারা। ইহসানুল করিম ছিলেন এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ১৯৭৯ সালে ভারতের নয়াদিল্লিতে অবস্থিত আইআইএমসিতে বাংলাদেশ থেকে বৃত্তি নিয়ে যাওয়া প্রথম শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। ইহসানুল করিম গত ১০ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুর সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব ছিলেন। ইমকাবিডির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজিজুল ইসলাম ভুইয়ার সভাপতিত্বে স্মরণসভায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, তার সাংবাদিকতার পথচলায়  সাহস ও অনুপ্রেরণা দিয়েছেন ইহসানুল করিম। বন্ধুসুলভ আচরণ দিয়ে তিনি ছোট–বড় সব সাংবাদিকদের আপন করে নিতেন। তার মৃত্যুতে সাংবাদিকতা জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হলো। ইহসানুল করিম স্মরণে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত একটি স্মারকগ্রন্থ করার প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক কিছু করার মাধ্যমে ইহসানুল করিমের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হবে। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভালো সাংবাদিকতার পাশাপাশি মানুষ হিসেবেও ভালো মানুষ ছিলেন ইহসানুল করিম। স্মরণসভায় ইহসানুল করিমের ছেলে মঈন করিম বলেন, তিনি সাংবাদিক হিসেবে যেমন বিপদে–আপদে সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তেমনি পরিবারের প্রতিও ছিলেন যত্নশীল। তার বাবা সব সময় বলতেন, মানুষের জীবন এক রকম যায় না। যেকোনো পরিস্থিতি হাসিমুখে মেনে নিতে হয়। কখনো সততার সঙ্গে সমঝোতা না করার পরামর্শ দিতেন পরিবারের সদস্যদের। ইমকাবিডির জ্যেষ্ঠ সদস্য ফরিদ হোসেন বলেন, একজন সাংবাদিকের মধ্যে যে ধরণের গুণাবলী থাকা প্রয়োজন তা ছিল ইহসানুল করিমের মধ্যে। স্বাগত বক্তব্যে ইমকাবিডির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ নেওয়াজ খান বলেন, ইহসানুল করিম বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে তিনি কখনো আপস করেননি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সততা হৃদয়ে ধারণ করে সাংবাদিকতা করলে তাঁর প্রতি যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন করা হবে। স্মরণসভায় ইহসানুল করিমকে স্মরণ করে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, কূটনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ডিকাবের সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ (বাদল), বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক, বাসসের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুর রহমান, বাসসের প্রধান বার্তা সম্পাদক সমীর কান্তি দে, বাসসের সাবেক ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মনোজ কান্তি রায় এবং ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সভাপতি মো. শফিকুল করিম। ইহসানুল করিমের পরিবারের সদস্যেদর মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন তার চাচাতো বোন কঙ্কা করিম।  স্মরণসভায় কেন্দ্রীয় অ্যালামনাইয়ের শোকবার্তা পাঠ করেন ইমকাবিডির কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম। সভা সঞ্চালনা করেন এটিএন নিউজের জ্যেষ্ঠ বার্তা সম্পাদক ও ইমকাবিডির সদস্য গনী আদম। সভায় জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকসহ ইমকাবিডির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  
২৬ মার্চ ২০২৪, ০০:৫৩

তেজগাঁও রেলস্টেশনে পড়ে ছিলেন কিংবদন্তি ফুটবলার মহসিন
প্রায় দুই দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন বাংলাদেশের কিংবদন্তি ফুটবলার মোহাম্মদ মহসিন। অবশেষে বাসায় ফিরেছেন তিনি। মহসিনের বাসায় ফেরার তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার ছোট ভাই কোহিনূর পিন্টু।  বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে তেজগাঁও রেলস্টেশন থেকে জিআরপি পুলিশ তাকে খুঁজে পেয়ে রিকশায় করে বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছেন। সকালেই ঠিকঠাক বাসার ঠিকানা অনুযায়ী রিকশাচালক মহসিনকে বাসায় পৌঁছে দিয়েছেন।  মহসিনের নিখোঁজ হওয়ার পর থানায় জিডিসহ বাসা সংলগ্ন এলাকা সহ আশপাশে পোস্টারিং করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। সেই সূত্রে হয়তো কেউ মহসিনকে চিনতে পেরেছেন বলে মনে করছেন ভাই পিন্টু।  পিন্টু বলেন, মহসিন কীভাবে তেজগাঁও রেলস্টেশনে গেলো, বোধগম্য হচ্ছে না। ওর পুরো শরীরে ধুলোবালুতে একাকার। ওখানেই মনে হয় পড়ে ছিল। জিআরপি পুলিশ আমাকে ফোন করেছিল। ওরাই রিকশা করে বাসায় পাঠিয়েছে। বাসায় আসার পর ওকে জিজ্ঞেস করেও কোনও সদুত্তর পাইনি। এসে শুধু বলেছে ক্ষুধা পেয়েছে। এখন গোসল করিয়ে খাওয়ানোর পর ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়ানো হয়েছে। এমনিতে মানসিকভাবে অসুস্থ জাতীয় দলের সাবেক তারকা গোলকিপার মোহাম্মদ মহসিন। সবসময় মালিবাগের আয়শা কমপ্লেক্সের বাসাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের চোখে চোখে থাকতেন।  মঙ্গলবার হঠাৎ করেই অন্যদের নজর এড়িয়ে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরেননি।  ৮০ ও ৯০-এর দশকে আবাহনী-মোহামেডানে খেলা একসময়ের স্টাইলিশ গোলকিপার মহসিনকে না পেয়ে তার ছোট ভাই কোহিনুর ইসলাম পিন্টু রমনা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।     কানাডা থেকে এসে ঢাকার বাসায় দিনাতিপাত করছিলেন মহসিন। কিছু দিন আগেও চিকিৎসার অভাবে মহসিনের খারাপ অবস্থা ছিল। ক্রিকেট বোর্ড দায়িত্ব নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেও সেরে ওঠেননি।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩৪

ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুই নেতৃত্বে ছিলেন : এমপি মোরশেদ আলম
‘ভাষা থেকেই স্বাধীনতা, সেই ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলনই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে হয়েছিল। শুধু তাই নয় জাতিসঙ্ঘে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলায় ভাষণ দিয়ে এ ভাষাকে আরও মর্যাদাশীল করে তুলেছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মোরশেদ আলম। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সেনবাগে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  এর আগে তিনি দিবসের প্রথম প্রহরে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। পরে উপজেলার ছাতারপাইয়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের আয়োজনে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। একই দিন বিকেলে উপজেলার আছিরা খাতুন উচ্চবিদ্যালয়ের আয়োজনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন এবং বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায় মো. আশরাফুল, সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাহার উল্যাহ বাহার, বেঙ্গল গ্রুপ ও আরটিভির পরিচালক সাইফুল আলম দিপুসহ অনেকে।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:১১

নাভালনি শতভাগ সুস্থ ছিলেন জানিয়ে পুতিনের শাস্তি দাবি স্ত্রীর
রাশিয়ার প্রধান বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনি অসুস্থ হয়ে আকস্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করেননি বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনায়া ও সমর্থকরা। একইসঙ্গে নাভালনির মৃত্যু সংবাদ সত্যি হয়ে থাকলে পরিকল্পিত খুনের দায়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইউলিয়া। নাভালনির স্ত্রী বলছেন, ‘আমি জানি না নাভালনির মৃত্যু সংবাদ সত্য কি না। আমরা পুতিন এবং তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনকে বিশ্বাস করতে পারি না। তারা সবসময় মিথ্যা বলে। তবে যদি এটি সত্য হয়ে থাকে, তাহলে পুতিন, তার সব অনুগামী-অনুসারী, পুতিনের মিত্র এবং তার নেতৃত্বাধীন সরকারের সবাইকে এর দায় বহন করতে হবে।  আমাদের দেশ, আমার পরিবার এবং আমার স্বামীর সঙ্গে তারা যা কিছু করেছে তার জন্য শাস্তি ভোগ করতে হবে তাদের।’ শুক্রবার জার্মানির মিউনিখ শহরে ইউরোপভিত্তিক জোট দাভোসের প্রতিরক্ষা বিষয়ক সম্মেলন শুরু হয়েছে। ‘দাভোস অব ডিফেন্স’ নামের তিন দিনের এই সম্মেলনে যোগ দিতে ইউরোপ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে মিউনিখে উপস্থিত হয়েছেন শত শত রাজনীতিবিদ, সামরিক কর্মকর্তা এবং কূটনীতিক। যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হলে ইসরায়েল ও ইউক্রেন যুদ্ধের সম্ভাব্য পরিণতি কী হতে পারে— এ নিয়ে ইতোমধ্যে দুশ্চিন্তায় পড়েছে ইউরোপ। দাভোস অব ডিফেন্স সম্মেলন আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য এটিই। কিন্তু নাভালনির মৃত্যু সংবাদ সবকিছু ওলট-পালট করে দেয়। সম্মেলন শুরুর দিন শুক্রবার নির্ধারিত আলোচানা স্থগিত রেখে ইউলিয়া নাভালনায়াকে মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার আহ্বান জানান দাভোস অব ডিফেন্সের আয়োজকরা।  তিনি যখন বক্তব্য দেওয়ার জন্য মঞ্চে ওঠেন, সে সময় সম্মেলনে উপস্থিত সবাই দাঁড়িয়ে সম্মান জানান তাকে। নাভালনায়া বলেন, ‘এখানে আসার আগে দীর্ঘ সময় ধরে আমি ভেবেছি যে আমার কি এখানে আসা উচিত, না কি শিগগিরই মস্কোতে আমার ছেলে মেয়েদের কাছে যাওয়া উচিত। কিন্তু তখন আমার মনে হলো, এই অবস্থায় অ্যালেএক্সি থাকলে কী করতেন। আমি নিশ্চিত, তিনি এই মঞ্চে উপস্থিত থাকতেন।’ যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। কমলা বলেন, অ্যালেক্সি নাভালনির মৃত্যু সংবাদ যদি সত্য হয়, তাহলে এটি হবে পুতিনের নিষ্ঠুরতার আরও একটি উদাহারণ। যদি সত্যিই এটি ঘটে থাকে, তাহলে অবশ্যই রাশিয়া এর জন্য দায়ী— এটা আমরা স্পষ্টভাবে বলছি। প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষের দিকে রাশিয়ার আর্কটিক অঞ্চলের ইয়ামালো নেনত্স কারাগারে পাঠানো হয় নাভালনিকে। এই কারাগারটিকে রাশিয়ার সবচেয়ে কঠিন কারাগার বলে মনে করা হয়। শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইয়ামালো নেনত্স কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ওইদিন সকালে কারাগারের ভেতর হাঁটার সময় হঠাৎ তিনি অসুস্থ বোধ করেন নাভালনি এবং প্রায় সঙ্গে সঙ্গে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে কারা চিকিৎকদের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়; তবে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাভালনিকে মৃত ঘোষণা করেন। ঠিক কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে, বিবৃতিতে তা স্পষ্ট করেনি কারা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অসুস্থতাজনিত কারণে নাভালনির মৃত্যু হয়েছে—সেকথা বিশ্বাস করতে পারছেন না তার মা ও স্ত্রীসহ অনেকেই। কারণ, মাত্র দুই দিন আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনায়ার উদ্দেশে একটি আবেগপূর্ণ ভিডিওবার্তা দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তাকে বেশ হাসিখুশি ও প্রাণবন্ত মনে হয়েছে। এছাড়া রুশ সংবাদপত্র নোভায়া গ্যাজেটের প্রতিবেদন অনুসারে, নাভালনির মা ল্যুডমিলা নাভালনায়া বলেছেন, গত ১২ ফেব্রুয়ারি যখন তিনি নাভালনিকে শেষবার দেখেছিলেন তখনও তিনি শতভাগ সুস্থ এবং হাসিখুশি ছিলেন।  নাভালনির সমর্থকদের একাংশের অভিযোগ, কারাগারে খুন করা হয়েছে নাভালনিকে এবং প্রশাসন সেটি আড়াল করতে অসুস্থতাজনিত আকস্মিক মৃত্যুর সংবাদ প্রচার করছে। নাভালনির প্রধান সহকারী লিওনিদ ভলকোভ বলেছেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রের প্রচারণা বিশ্বাস করার কোনও কারণ নেই। তার মৃ্ত্যুর খবর যদি সত্য হয়, তাহলে নাভালনি মরেননি। পুতিনই তাকে খুন করেছেন।’ উল্লেখ্য, রাশিয়ায় নাভালনিকেই একমাত্র বিরোধী নেতা বলে মনে করা হতো, যিনি সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিতে রাশিয়াজুড়ে বিপুল সংখ্যক মানুষকে একত্রিত করতে সক্ষম ছিলেন।  ২০২০ সালেও তাকে সাইবেরিয়ায় বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল। তবে সে যাত্রায় অল্পের জন্য বেঁচে যান তিনি। সে সময় পশ্চিমা দেশগুলো জানায় যে, তার ওপর স্নায়ুবিক এজেন্ট প্রয়োগ করা হয়েছিল।  
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৩৫

ভার্সেটাইল এক অভিনেতা ছিলেন আহমেদ রুবেল
ভার্সেটাইল এক অভিনেতা ছিলেন আহমেদ রুবেল।  সব ধরনের চরিত্রের সঙ্গেই মিশে যাওয়ার অনন্য ক্ষমতা ছিল তার। বলিষ্ঠ কণ্ঠের অধিকারী রুবেল একাধারে ছিলেন একজন থিয়েটার, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্র অভিনেতা। ক্যারিয়ারে অসংখ্য হিট নাটক-সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি।  বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মাত্র ৫৫ বছর বয়সেই এই অভিনেতা পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে। অভিনেতা আহমেদ রুবেলের পুরো নাম আহমেদ রাজিব রুবেল। ১৯৬৮ সালের ৩ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের রাজারামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।  তার পিতার নাম আয়েশ উদ্দিন। রুবেলের বেড়ে ওঠা ঢাকা শহরেই।  পরিবারের সঙ্গে সবশেষ গাজীপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন তিনি।    সেলিম আল দীনের ‘ঢাকা থিয়েটার’ থেকে অভিনয়ের হাতেখড়ি রুবেলের। তার অভিনীত প্রথম নাটক গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্নযাত্রা’।  একুশে টেলিভিশনের ধারবাহিক নাটক মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘প্রেত’-এ অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা পান। কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের বহু নাটকে কাজ করেছেন রুবেল।  লেখকের ঈদনাটক ‘পোকা’-তে অভিনয় করেছিলেন আহমেদ রুবেল , যেখানে তার অভিনীত ‘গোরা মজিদ’ চরিত্রটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এ ছাড়া হুমায়ূন আহমেদের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘শ্যামল ছায়া’ সিনেমায়ও অভিনয় করেন তিনি।  ১৯৯৩ সালে ‘আখেরী হামলা’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় পা রাখেন রুবেল। পরে ‘চন্দ্রকথা’, ‘ব্যাচেলর’, ‘গেরিলা’, ‘দ্য লাস্ট ঠাকুর’সহ বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।    ২০০৫ সাল থেকে টেলিভিশন নাটকে নিয়মিত অভিনয় করতেন রুবেল। ঢাকা থিয়েটারের সদস্য হিসেবেও দীর্ঘদিন মঞ্চে কাজ করেছেন দাপুটে এই অভিনেতা।  তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটক ‘অতিথি’, ‘নীল তোয়ালে’, ‘বিশেষ ঘোষণা’, ‘প্রতিদান’, ‘নবাব গুন্ডা’, ‘এফএনএফ’ প্রভৃতি।  ৮ বছর আগে নির্মাতা নুরুল ইসলাম আতিকের ‘পেয়ারার সুবাস’ সিনেমাটিতে অভিনয় করেছিলেন আহমেদ রুবেল। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি ছবিটি মুক্তির আগে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় বসুন্ধরা সিটির লেভেল-৮-এর স্টার সিনেপ্লেক্স উদ্বোধনী প্রদর্শনী হওয়ার কথা। তার আগেই তিনি চলে গেছেন না-ফেরার দেশে। ছবিটিতে আরও অভিনয় করেছেন জয়া আহসান, তারিক আনাম খান প্রমুখ।                
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:১৯

রাষ্ট্রের ৩ সর্বোচ্চ পদের প্রস্তাবক ছিলেন ওবায়দুল কাদের, জানালেন অনুভূতি
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী- রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ এই তিনটি পদেরই প্রস্তাবক ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ নিয়ে নিজের অনুভূতির কথা জানালেন তিনি।  মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন মুলতবির পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন কথা বলেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, আমি চিন্তা করে দেখলাম তিনটি প্রধান পদের প্রস্তাবক ছিলাম আমি। সেটা হলো- রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও সবশেষে স্পিকার। এ সময় বিরোধী দলের ভূমিকা কী হবে, জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদেরকে সমালোচনা করার জন্য বলেছেন। তারা প্রয়োজনে সরকারের সমালোচনা করবেন। এখানে বিভ্রান্তির কিছু নেই। বিরোধী দল মানে বিরোধী দল, তারা সমালোচনা করতে পারবেন। সবচেয়ে ছোট বিরোধী দল : দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কম সংখ্যক মাত্র ১১ এমপি নিয়ে সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা রাখবে জাতীয় পার্টি। আসন বণ্টনের হিসেবে তারা আরও দুটি সংরক্ষিত নারী আসন পাবে। বাংলাদেশের সংসদীয় ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, ১ম ও ৬ষ্ঠ সংসদে কোনো বিরোধী দল ছিল না। আর এতদিন বিরোধী দলের সবচেয়ে কম সদস্য থাকার নজির ছিল চতুর্থ সংসদে। সেবার আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বে সম্মিলিত বিরোধী দলের আসন ছিল ১৯টি। সর্বোচ্চ সংখ্যক স্বতন্ত্র এমপি : দ্বাদশ সংসদে সবচেয়ে আলোচিত হচ্ছেন স্বতন্ত্র এমপিরা। নতুন নজির বা প্রথমবারের মতো সর্বোচ্চ সংখ্যক মোট ৬২ জন স্বতন্ত্র এমপি সংসদে অবস্থান করবেন। দেশের সংসদীয় ইতিহাসে এবারই এমন অবস্থা দেখা যাবে। নির্বাচনে রাজনৈতিক দল হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে থাকা জাতীয় পার্টির তুলনায় স্বতন্ত্রদের সংখ্যা প্রায় ছয় গুণ বেশি, এমন রেকর্ডও এবারই প্রথম।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:১৬

দেড় বছরের সাজা এড়াতে পালিয়ে ছিলেন ৭ বছর
গরু চুরি মামলায় দেড় বছরের সাজা এড়াতে ৭ বছর পলাতক ছিলেন সাইফুল ইসলাম। কিন্তু ৭ বছর পলাতক থাকার পরও শেষ রক্ষা হলো না তার।  সোমবার (২২ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম থেকে অভিযুক্ত সাইফুলকে গ্রেপ্তার করে সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ। সাইফুল ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের পক্ষিয়া গ্রামের আবু তৈয়বের ছেলে। সোনাগাজী মডেল থানার উপপরিদর্শক মো. মাহবুব আলম সরকার বলেন, গরু চুরির একটি মামলায় ২০১৭ সালে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আসামিকে দেড় বছরের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে আসামি সাইফুল ইসলাম আত্মগোপনে ছিলেন। সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদ্বীপ রায় পলাশ বলেন, গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতের মাধ্যমে ফেনীর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪০

শোয়েবকে বিয়ে করার আগে কার স্ত্রী ছিলেন সানা
ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার সঙ্গে বিচ্ছেদের গুঞ্জনের মাঝেই ফের বিয়ের করলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার শোয়েব মালিক। পাকিস্তানের অভিনেত্রী সানা জাভেদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তিনি। তবে অভিনয়ের চেয়ে নানান বিতর্কের জন্যই বেশি খবরের শিরোনামে থাকেন সানা।  মাস খানেক আগেও অন্য একজনের স্ত্রী ছিলেন সানা। কিন্তু কে ছিলেন এই অভিনেত্রী প্রাক্তন স্বামী? এমন প্রশ্ন রীতিমতো রহস্যের জাল বুনেছে এই তারকাদের ভক্তদের মনে।  আরও পড়ুন : রাশমিকার আপত্তিকর ভিডিও, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার   জানা গেছে, সানার প্রাক্তন স্বামীর নাম উমের জেসওয়াল। তিনি পাকিস্তানের একজন খ্যাতিমান শিল্পী। পাশাপাশি গায়ক ও অভিনেতাও। ‘কোক স্টুডিও সিজন-৫’ এ আতিফ আসলামের সঙ্গে গেয়েছেন তিনি।  ২০২০ সালে ২০ অক্টোবর সানাকে বিয়ে করেন উমের। কিন্তু বিয়ের দুই বছরের মাথায় শোয়েবের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়ান সানা। একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে সানিয়ার প্রাক্তন স্বামীর প্রেমে পড়েন সানা। এরপর প্রায় এক বছরের কাছাকাছি প্রেম নিয়ে লুকোচুরি করেন সানা-শোয়েব। অবশেষে নতুন জীবন শুরু করলেন তারা। অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনেই পরিচয় হয় তাদের। সেখানে পাকিস্তানের হয়ে ক্রিকেট খেলতে গিয়েছিলেন শোয়েব। অন্যদিকে সানিয়াও সেই সময় ব্রিসবেন ইন্টারন্যাশানল খেলতে গিয়েছিলেন। সেখানেই প্রথম আলাপ হয় তাদের। আর সেই আলাপের পরেই একে ওপরের প্রেমে পড়েন সানিয়া-শোয়েব। আরও পড়ুন : মোশাররফ করিমকে ভাবনার চিঠি   পরে ২০১০ সালে বিয়ে করেন সানিয়া-শোয়েব। তাদের এক সন্তানও রয়েছে। দীর্ঘ ১২ বছর সংসারের পর বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন এই তারকা দম্পতি। শোয়েব ও সানিয়ার  সম্পর্ক নিয়ে জলঘোলা যেমন চলছিল, তেমনই সানা ও তার স্বামীর উমেরের সম্পর্কও ছিল টালমাটাল। অবশেষে সব পেরিয়ে নতুন জীবনে পা রাখলেন সানা-শোয়েব। সূত্র : আনন্দবাজার 
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়