• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ডিবি কার্যালয়ে এসেও কাণ্ড ঘটিয়েছেন মাতাল নারীরা
রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের ক্যাফে সেলেব্রিটা বারের সামনে সম্প্রতি কয়েকজন নারীর চুলোচুলি ও মারামারির ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ এপ্রিল) গ্রেপ্তারের পর মারধরের শিকার নারীসহ তাদেরকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। এ সময় অভিযুক্ত নারীরা ভিকটিম নারী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে বিবাদে জড়ান। যা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ডিবি কার্যালয়ে ভিকটিমসহ অভিযুক্ত তিন নারীই মুখ ঢাকা ছিল। সাংবাদিকরা তাদের ফুটেজ নিতে চাইলে তারা আপত্তি জানান। এ সময় এক নারী সাংবাদিকদের বলেন, উনার (ভিকটিম) সঙ্গে আমাদের প্রবলেম হইছে, আমরা আমরা সলভ করব। এখানে মিডিয়া রিলেটেড তো কিছু না। পাশ থেকে আরেক নারী বলেন, মিডিয়া কেন এখানে ফুটেজ নেবে। অন্যজন বলেন, এটা মেয়েদের বিষয়। আমাদের প্রেস্টিজ আছে না! আমাদের ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড আছে। দিস ইস নট রাইট।  এরপর ওই নারীরা সাংবাদিকদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ফুটেজের জন্য নারী পুলিশ সদস্যরা অভিযুক্ত নারীদের লাইনে দাঁড় করালে তারা আরও একদফা তর্কে জড়ান। এক নারী বলেন, এখানে কি আমরা নাটক করব যে আপনাদের মুখ দেখাতে হবে। আরেকজন বলেন, পাত্রী দেখতে আসছেন? অন্যজন বলেন, আমরা কি ছেলে মানুষ।  সেদিন রাতে’ কী ঘটেছিল সে বিষয়ে নারীদের কাছে জানতে চাইলে তারা কোনো উত্তর দেবেন না- বলে সেখান থেকে চলে যান।  যাওয়ার সময় একজন বলতে থাকেন, আপনাদের মিডিয়াতে ভিউ বাড়ানোর জন্য আমাদের মানহানি করার তো কোনো দরকার নাই।  এরপর ভিকটিমের মুখোমুখি হয়ে এক নারী বলেন, আমরা আপনার (ভিকটিম) সঙ্গে কথা বলার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এ সময় সাংবাদিকরা সামনে এসে ভিডিও ধারণ করলে তিনি রেগে গিয়ে বলেন, আমার এখন মেজাজটা খারাপ হবে, এগুলো (ক্যামেরা) সামনে থেকে সরান।  এ সময় ওই নারীর উদ্দেশে ভিকটিম বলতে থাকেন, অপরাধ করতে পারো, রাস্তায় একটা মেয়ের শাড়ি খুলতে পারো, তাহলে চেহারা দেখাতে দোষ কিসের। এরপর পেছন ফিরে ভিকটিমের দিকে তেড়ে আসেন ওই নারী এবং বলেন, তাহলে তুমি চেহারা দেখাও। তুমি দেখালে আমিও দেখাব।  জবাবে মারধরের শিকার নারী বলেন, আমি ভিকটিম, আমি কেন মুখ খুলব।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০০

‘ম্যায় হু না’ ছবির অডিশনে যে কাণ্ড করেছিলেন রাখি
সবার হয়তো মনে আছে শাহরুখ খান অভিনীত আলোচিত সিনেমা ‘ম্যায় হু না’। ফারাহ খান পরিচালিত এ সিনেমা ২০০৪ সালে মুক্তি পায়। মুক্তির পর সিনেমাটি বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলেছিল। শাহরুখ খান, সুস্মিতা সেন, সুনীল শেঠি ছাড়াও এ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন ভারতের বিতর্কিত অভিনেত্রী রাখি সাওয়ান্ত। মিনি চরিত্র রূপায়ন করেন তিনি। শুরুতে মিনি চরিত্রের জন্য অন্য একজন অভিনেত্রীকে চূড়ান্ত করেছিলেন ফারাহ খান। কিন্তু সেই অভিনেত্রীর মা বিলাসবহুল হোটেলে থাকার বায়না ধরেন। অর্থাৎ শাহরুখ খান যে হোটেলে ছিলেন, সেই হোটেলে মেয়েকে নিয়ে থাকার শর্ত দিলে সিনেমাটি থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়। পরে রাখি সাওয়ান্তকে নেওয়া হয়। কিন্তু অডিশন দিতে গিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন রাখি। ম্যাশেবল ইন্ডিয়াকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন পরিচালক ফারাহ খান। এ আলাপচারিতায় স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, মিনি চরিত্রটি একজন আবেদনময়ী নারীর চরিত্র ছিল। ফলে আমার সহকারী এ ব্যাপারে সতর্ক ছিলেন। দার্জিলিংয়ে ‘ম্যায় হু না’ সিনেমার শুটিং শুরু করেছি। তার দুদিন পর সেখানে পৌঁছান রাখি সাওয়ান্ত। রাখিকে তার নিজের স্টাইলে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে বলা হয়। তারপর রাখি তার বোরকা খুলে ক্যামেরা কাঁপিয়ে দেন। কারণ, বোরকার নিচে রাখি বিকিনি পরেছিলেন। অডিশনে রাখি এমন চমক দেখালেও সঙ্গে সঙ্গে তাকে চরিত্রটা দেওয়া হয়নি। কারণ, রাখির মাথার চুল তখন কমলা রঙের ছিল। এ রঙের চুল সিনেমায় দেখাতে চাননি ফারাহ। যদিও সর্বশেষ এ লুকেই রাখি শুটিং করেন বলেও জানান ফারাহ খান।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৮:১১

বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণে যে কাণ্ড করলেন ৫ ভাই
বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে এলেন বর। আবার বিয়ে শেষে স্ত্রীকে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ বাড়িতে চলেও গেলেন। এই হেলিকপ্টার বরযাত্রী এবং আত্মীয়-স্বজনের চেয়ে উৎসুক জনগণই ছিল বেশি। ঘটনাটি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার। শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুর ২টায় কোটালীপাড়া উপজেলার দিঘলীয়া গ্রামের এগারো বাড়ির মাঠে অবতরণ করে একটি হেলিকপ্টার। এখান থেকে এই হেলিকপ্টারে বর সেজে বাবা-মাকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী মান্দ্রা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এসে নামেন বর মোরছালিন হাওলাদার (২৫)।  মোরছালিন হাওলাদার কোটালীপাড়া উপজেলার দিঘলীয়া গ্রামের সিদ্দিক হাওলাদারের ছোট ছেলে। প্রবাসী মোরছালিনের সঙ্গে একই গ্রামের ব্যবসায়ী কালাম শেখের মেয়ে ফারিয়া খাতুনের বিয়ে হয়। এই বিয়েতে ফারিয়া খাতুনের বাবা ব্যবসায়ী কালাম শেখ আত্মীয়-স্বজনসহ প্রায় হাজার খানেক অতিথিকে দাওয়াত করেছিলেন। মাংস, পোলাও, মাছ, ফিন্নি, দই, মিষ্টিসহ ছিল খাবারের নানা আয়োজন।  বর মোরছালিন হাওলাদারের বড় ভাই আবুল হোসেন হাওলাদার বলেন, আমরা ৫ ভাই মালয়েশিয়া থাকি। এই ৫ ভাইয়ের মধ্যে মোরছালিন সবার ছোট। বাবা-মায়ের ইচ্ছা ছিল তাদের ছোট ছেলের বউকে হেলিকপ্টারে করে বাড়িতে নিয়ে আসবে। তাই আমরা ৫ ভাই মিলে এই হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করেছি। বর মোরছালিন হাওলাদার বলেন, বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য আমরা ৫ ভাই মিলে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে ৩ ঘণ্টার জন্য একটি হেলিকপ্টার ভাড়া করেছি। এই হেলিকপ্টারে আমার বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে আমি কনের বাড়িতে এসেছি। এ জন্য আমার বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন সবাই খুশি। কনের বাবা কালাম শেখ বলেন, একই এলাকায় আমি আমার মেয়ে ফারিয়া খাতুনকে বিয়ে দিয়েছি। আমার জামাই তার বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে আমাদের এখানে আসে। এই হেলিকপ্টার ওঠা-নামা দেখার জন্য এলাকার শত শত মানুষ ভিড় করেছিল। আমি আমার মেয়ে-জামাইয়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৪

লাইভ শোতে সঞ্চালকের অশালীন মন্তব্য, যে কাণ্ড করলেন গায়িকা
পাকিস্তানের জনপ্রিয় গায়িকা শাজিয়া মঞ্জুর। সম্প্রতি দেশটির একটি বেসরকারি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে এসে বিব্রতকর পরিস্থতিতে পড়েন এই গায়িকা। শুধু তাই নয়, ক্ষুব্ধ হয়ে রীতিমতো সঞ্চালককে চড় মেরে বসেন তিনি। জানা গেছে, ‘পাবলিক ডিমান্ড’ শোতে অতিথি হিসেবে হাজির হয়ে এমন কাণ্ড ঘটান মঞ্জুর। অনুষ্ঠানে লাইভ শো চলাকালীন অশালীন মন্তব্যের মাধ্যমে সীমা অতিক্রম করেন কৌতুক অভিনেতা এবং সহ-উপস্থাপক শেরি নানহা। এতে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন মঞ্জুর।  অনুষ্ঠানের এক পর্যায় ঠাট্টা করে গায়িকাকে নানহা জিজ্ঞেস করেন— মঞ্জুর, বিয়ের পর আমি আপনাকে সরাসরি মন্টে কার্লোতে হানিমুনে নিয়ে যাব। আপনি কীভাবে যেতে চান?   এমন কথা শুনেই ক্ষুব্ধ হন মঞ্জুর। নিজের আসন থেকে উঠে গিয়ে সঞ্চালকের গালে চড় মেরে বসেন তিনি। শুরু হয় প্রবল তর্কবিতর্ক। এই ক্ষোভ ধীরে ধীরে ঝগড়ার পরিণত হয়। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করতে থাকেন এই গায়িকা। সেই সঙ্গে নানহাকে তার এই ধরনের মন্তব্যের জন্য উপদেশও দেন তিনি।    এরপর রেগে গিয়ে মঞ্জুর বলেন, গতবারও আপনি এই রকম আচরণ করেছিলেন এবং সেটা হাস্যকর হিসাবেই নিয়েছিলাম আমি। সেসময় এটা ধামাচাপা দিয়েছিলাম। কিন্তু এবার আমি সিরিয়াস। আপনি কেন এভাবে নারীদের সঙ্গে কথা বলেন?  আয়োজকদের হস্তক্ষেপ না হওয়া পর্যন্ত বাড়তে থাকে দুজনের তর্কবিতর্ক। বিষয়টা একদমই ভালোভাবে নেননি মঞ্জুর। ভবিষ্যতে নানহাকে এই ধরনের বিরত থাকার বিষয়টিও কঠোরভাবে স্মরণ করিয়ে দেন। এরপর স্টুডিও থেকে বেরিয়ে যান এই গায়িকা। এমনকি ওই শোতে ফিরে যেতেও অনিচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি।       প্রসঙ্গত, পাকিস্তানি সংগীত জগতের বিখ্যাত একজন ব্যক্তিত্ব মঞ্জুর। ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্রগুলোর জন্য প্লেব্যাক গায়িকা হিসাবে কিংবদন্তির মর্যাদা অর্জন করেছেন তিনি। তার সুরেলা কণ্ঠ মুগ্ধ করেছে দর্শক-শ্রোতাদের। ‘বাতিয়ান বুঝাকে রাখ দি’, ‘চ্যায়েন মেরে মাখনা’ এবং ‘বাল্লে বাল্লে’র মতো গান গেয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন মঞ্জুর।  সূত্র : এই সময় 
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫০

মৃত্যুকে হাতিয়ার বানিয়ে যে কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন মহেশ ভাট
বলিউড অভিনেত্রী পুনম পাণ্ডের মৃত্যুর খবরে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছিল নেটদুনিয়ায়। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার এক দিন না যেতেই একটি ভিডিও বার্তায় অভিনেত্রী জানান, বেঁচে আছেন তিনি। নিজের ভুয়া মৃত্যুর খবর ছড়ানোয় নেটিজেনদের তীব্র নিন্দার মুখে পড়েন পুনম। তবে শুধু তিনিই নন, এর আগে এমন ভুয়া মৃত্যুর খবর ছড়িয়েছিলেন নির্মাতা মহেশ ভাট। ১৯৯৪ সালে খবরে বিজ্ঞাপন দিয়ে মনীষা কৈরালাকে ‘মৃত’ ঘোষণা করেন এই নির্মাতা। মূলত সিনেমার প্রচারণার জন্যই মৃত্যুকে হাতিয়ার বানিয়েছিলেন তিনি।  জানা গেছে, প্রায় তিরিশ বছর আগে মনীষার ক্যারিয়ার যখন ঊর্দ্ধমুখী, সেসময় নার্গাজুন, রম্যা ও তাকে নিয়ে একটি সিনেমা নির্মাণ করেন মহেশ। সিনেমার নাম ‘ক্রিমিনাল’।  ‘ক্রিমিনাল’-এ নার্গাজুনের স্ত্রীর চরিত্রে দেখা যায় মনীষাকে। আর এই সিনেমার কুমার শানুর কণ্ঠে ‘তুম মিলে’ গানটি এখনও সমান জনপ্রিয়। তবে এই সিনেমায় খুব বেশি সময় পর্দায় দেখা যায়নি মনীষাকে। কারণ— গল্পে খুন হয়ে যায় অভিনেত্রীর চরিত্রটি।  সেসময় সিনেমার প্রচারণার জন্য কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে মনীষাকে মৃত ঘোষণা করেন। সেই খবরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। তবে সত্যিটা প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র নিন্দার মুখে পড়তে হয় মহেশকে। এমনকি তার বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করা হয়েছিল।   সূত্র : আনন্দবাজার   
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৩

পুনম পাণ্ডের বিতর্কিত যত কাণ্ড
বলিউডের সদ্য প্রয়াত অভিনেত্রী পুনম পাণ্ডে। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) খবর ছড়িয়ে পরে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি। অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবরটিতে ধোঁয়াশা রয়েছে। মডেলিং দিয়ে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন পুনম। পরে নাম লেখান চলচ্চিত্রে। কিন্তু কাজের থেকে নানান বিতর্কেই বেশি আলোচিত হয়েছেন তিনি।   ভারতীয় জনপ্রিয় একটি পত্রিকার আয়োজিত ফ্যাশন শোতে সেরা ৯ জন প্রতিযোগিতার মধ্যে পুনম একজন নির্বাচিত হন। এরপর আলোচনায় আসতে খুব বেশি সময় লাগেনি তার। ২০১৩ সালে ‘নাশা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন পুনম। সিনেমায় শিক্ষিকার চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। একজন ছাত্রের সঙ্গে তার যৌন সম্পর্কই ছিল সিনেমার মূল বিষয়। ‘নাশা’ সিনেমার পোস্টার ঘিরে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। পোস্টারে পুনমের শরীর আবৃত করেছিল মাত্র দুটি প্ল্যাকার্ড। সে সময় মুম্বাইজুড়ে এই পোস্টার ঘিরে রীতিমতো বিক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছিল।   এর সাত বছর পর হিন্দির পাশাপাশি কন্নড়, ভোজপুরী এবং তেলুগু সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন পুনম। অভিনেত্রীর উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হচ্ছে— ‘লভ ইজ পয়জন’, ‘মালিনী অ্যান্ড কো’, ‘আ গ্যয়া হিরো’, ‘দ্য জার্নি অব কর্ম’সহ বেশ কিছু চলচ্চিত্র। ২০১১ সালে ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে বিতর্কের কেন্দ্রে চলে আসেন পুনম। অভিনেত্রী ঘোষণা দেন, ভারত বিশ্বকাপ ক্রিকেটে জয়ী হলে প্রকাশ্যে নগ্ন হবেন তিনি! গণমাধ্যমে পুনমের এমন বক্তব্য প্রকাশিত হতেই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে জনরোষ জমতে থাকে।শেষপর্যন্ত ভারত জিতলেও প্রকাশ্যে আর বিবস্ত্র হননি পুনম। তবে এর পরের বছর আইপিএলের পঞ্চম মৌসুমে কেকেআর চ্যাম্পিয়ন হলে সত্যিই বিবস্ত্র হন পুনম। বছর তিনেক আগে ‘দ্য পুনম পাণ্ডে অ্যাপ’ লঞ্চ করেছিলেন পুনম। লঞ্চ করার কিছুক্ষণের মধ্যে সেই অ্যাপ বাতিল করে দেয় গুগল। তবে গুগল প্লে-স্টোর নিষিদ্ধ করলেও পুনম নিজের প্রোফাইলে অ্যাপটি রেখে দিয়েছিলেন। অভিনেত্রীর দাবি ছিল, লঞ্চ করার মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই নাকি ১৫ হাজার বার ডাউনলোড করা হয়েছিল পুনমের অ্যাপটি।  গেল বছরই শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে মামলা করেন পুনম। অভিনেত্রীর অভিযোগ, চুক্তির মেয়াদ পেরিয়ে যাবার পরেও অবৈধভাবে পুনমের অ্যাপের কনটেন্ট ব্যবহার করছিল রাজ কুন্দ্রার সংস্থা। যদিও তাদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে রাজ কুন্দ্রার সংস্থা। গেল বছরের ১ সেপ্টেম্বর দু’বছর লিভ-ইন সম্পর্কে থাকার পর আলোকচিত্রী স্যাম বম্বেকে বিয়ে করেন পুনম। তবে কিছুদিন না যেতেই দক্ষিণ গোয়ার ক্যানাকোনা থানায় স্বামী স্যামের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি এবং শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। পরে অভিনেত্রীর অভিযোগের জেরে গ্রেপ্তারও করা হয় স্যামকে। এর এক সপ্তাহ পরই ভোল পাল্টান পুনম। সব অভিযোগ তুলে ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে বলে জানান দুজনেই। কিন্তু বিতর্ক পিছু ছাড়ল না পুনমের। এরপরেই গোয়া পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন পুনম-স্যাম। দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল— দক্ষিণ গোয়ার ক্যানাকোনায় চাপোলি বাঁধের ওপরে অশ্লীল ভিডিও শুট করছিলেন তারা।  গোয়ার কালাঙ্গুটে এলাকার একটি পাঁচতারকা হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় পুনম ও স্যামকে। পরে এই মামলায় দুজনেই ২০ হাজার টাকা করে বন্ডের বিনিময়ে শর্তাধীন জামিন পান তারা। প্রসঙ্গত, সার্ভিকাল ক্যানসারে (জরায়ু মুখের ক্যানসার) মারা যান পুনম। অভিনেত্রীর অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করে তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত অভিনেত্রীর মৃত্যুর বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি পুনমের পরিবার। ৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে জানা যায়, পুনম পাণ্ডে মারা যাননি। এক ভিডিও বার্তায় তিনি নিজে এ খবরটির সত্যতা স্বীকার করেন। সূত্র :  আনন্দবাজার
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩২

অসুস্থ প্রেমিকার জন্য জোভানের কাণ্ড
এ প্রজন্মের জনপ্রিয় দুই অভিনয়শিল্পী ফারহান আহমেদ জোভান ও তানজিম সায়রা তটিনী। সম্প্রতি চট্রগ্রামে ঘটে যাওয়া একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত নাটকে অভিনয় করেছেন তারা। নাটকটির নাম ‘এক জীবনে’।  নাটকটিতে প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন জোভান-তটিনী। এতে একেবারেই অন্যরকমভাবে দেখা যাবে এই অভিনেত্রীকে। নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন রিফাত আদনান পাপন। নির্মাতা মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের প্রযোজনায় ‘এক জীবনে’ নাটকটির গল্পে এক অকৃত্রিম ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আর ভালোবাসার গল্পে নিজেদের চরিত্র মেলে ধরেছেন জোভান-তটিনী। যেখানে ভালোবাসার মানুষটিকে ঘিরে রয়েছে পাগলামি। অসুস্থ প্রেমিকাকে মানসিকভাবে স্বস্তিতে রাখার পাশাপাশি তাকে তার ভালোবাসার সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে নাটকের গল্পে। এ প্রসঙ্গে তটিনী বলেন, বর্তমান সময়ে যেসব নাটক হয়, ‘এক জীবনে’ তার থেকে কিছুটা ভিন্ন। নির্মাতা রিফাত আদনান পাপন ভীষণ যত্ন নিয়ে নাটকটি বানিয়েছেন। আর জোভানের সঙ্গে আমার কাজের অভিজ্ঞতাটাই অসাধারণ ছিল। সব মিলিয়ে দারুণ একটা কাজ হয়েছে।   নির্মাতা পাপন বলেন, ভালোবাসার এমন বিরল দৃষ্টান্ত সত্যিই নাড়া দিয়েছিল আমাকে। সেই সময় থেকেই গল্পটা মাথা নিয়ে ঘুরছিলাম। কিন্তু সঠিক সময়ের অভাবে কাজটি করা হয়নি।   তিনি আরও বলেন, বর্তমানে যেখানে কাউকে ভালোবেসে মানুষ কমিটমেন্টে যেতে ভয় পায়। সেখানে ভালোবাসার মানুষটা হয়তো বাঁচবে না জেনেও তার সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়ার মতো পাগলামি করার সাহসটা সত্যিই অভাবনীয়। প্রসঙ্গত, জোভান-তটিনী ছাড়া ‘এক জীবনে’ নাটকে আরও অভিনয় করেছেন সুষমা সরকার, শিল্পী সরকার অপু, সমাপ্তি মাশুক, অর্পণ, বাপ্পী বাশার, নিশুসহ আরও অনেকে।   
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:১৫

মাইনাস ১ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সুস্মিতার কাণ্ড (ভিডিও)
কনকনে শীতে কাঁপছে মানুষ। আর এমন শীতের মধ্যেই দুঃসাহসিক কাণ্ড ঘটিয়ে বসলেন বলিউড অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন। নতুন বছর উপলক্ষে ছুটি কাটাতে আজারবাইজানে গিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী।   সেখানে এই কনকনে শীতের মধ্যেই মাইনাস ১ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সাঁতার কাটেন সুস্মিতা। নিজের ইনস্টাগ্রামে এমনই এক ভিডিও শেয়ার করেছেন তিনি।       ক্যাপশনে সুস্মিতা লিখেছেন, তুষারে ঢাকা পাহাড়। মাইনাস ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা। একটি গরম আউটডোর পুল। তাই এই জলে ডুব দিতে ইচ্ছা করছে। উফ! দারুণ অভিজ্ঞতা।  ওই ভিডিওতে দেখা যায়, পাহাড়ের কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে রিসোর্ট। পাহাড়ের বিভিন্ন অংশে জমে আছে তুষার। এ রিসোর্টের সামনে সুইমিং পুল। সেখান থেকে ভেসে আসছে বাষ্প। আর এই সুইমিং পুলের জলেই সাঁতার কাটছেন সুস্মিতা। প্রসঙ্গত, নতুন বছর উপলক্ষে ছুটি কাটাতে আজারবাইজান থেকে ভারতে ফিরেছেন সুস্মিতা। তবে নিজের দেশে ফিরলেও তার মন যেন পড়ে আছে সেখানে। আর তাই তো ভিডিওটি শেয়ার করে সেই সুইমিং পুলে ফের সাঁতার কাটার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এই অভিনেত্রী।   ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে 
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়