• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
উন্নয়ন করেছি বলেই সেনবাগবাসী আমাকে নির্বাচিত করেছে : মোরশেদ আলম
নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম এমপি বলেছেন, উন্নয়ন করেছি বলেই সেনবাগবাসী আমাকে তৃতীয়বারের মতো ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের হাজী আলী আকবর সড়ক উদ্বোধন শেষে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। গত নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশীর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন মোরশেদ আলম এমপি বলেন, যে ব্যক্তি জীবনে কোন দিন শেখ হাসিনার বাড়ির গেইটে যেতে পারে সে কীভাবে নৌকা পাওয়ার প্রত্যাশা করে। এটা একটি ধোঁকাবাজী আর মিথ্যা বুলি ছাড়া কিছুই নয়। ৫ থেকে ৬ জন  বিপথগামী লোক সেনবাগবাসীকে অনেক ধোঁকা দিয়েছে কিন্তু এবার তারা সফল হতে পারেনি। তিনি বলেন, গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে সেনবাগের শিক্ষিত, ভদ্র, প্রকৃত আওয়ামী লীগের মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে ফের নির্বাচিত করায় সকলকে ধন্যবাদ জানায়। তিনি আরও বলেন, উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে সেনবাগবাসী আমাকে ভোট দিয়েছে। আমি সেনবাগের এমপি হয়ে সেনবাগের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পাল্টে দিয়েছি, আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে গড়ে তুলেছি, দল এখন চাঙ্গা।   পথসভায় অবসরপ্রাপ্ত সাবেক সিনিয়র জেলা জজ মোহাম্মদ আলী হায়দারের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি  হিসেবে সেনবাগ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম কবির, সেনবাগ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ স ম জাকারিয়া আল মামুন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন কমিশনারসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিতি ছিলেন।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৪

‘দয়া করে আমাকে কিং বলবেন না, আমি বিব্রত বোধ করি’
ভারতীয় ক্রিকেটের রান মেশিন বলা হয় বিরাট কোহলিকে। ক্যারিয়ারের শেষ বেলায় এসেও ব্যাটের ধার কমেনি এই তারকা ক্রিকেটারের। তাই ভক্তরা তাকে ‘কিং কোহলি’ নামে অভিহিত করেছে। এবার এই নাম নিয়ে কথা বলেছেন কোহলি নিজেই। অনুরোধ করেছেন যাতে ‘কিং’ নামে কেউ না ডাকে। মঙ্গলবার (২০ মার্চ) আইপিএলকে সামনে রেখে চেন্নাইয়ের চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বর্ণাঢ্য আয়োজনে আন বক্স অনুষ্ঠান করেছে কোহলির দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)। যেখানে নিজেদের নতুন করে ব্র্যান্ডিং করেছে আইপিএলের জনপ্রিয় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি। সেখানে উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশে কথা বলেন কোহলি। এ সময় কিং নামে ডাকা নিয়ে কোহলি বলেন, প্রথমত, আমাকে ওই নামে (কিং কোহলি) ডাকা বন্ধ করুন। দয়া করে আমাকে শুধু বিরাট বলে ডাকুন। তবুও ওই বিশেষ নামটি ডাকবেন না।  আমি বিষয়টি নিয়ে মাত্র ফাফ ডু প্লেসির সঙ্গে কথা বলছিলাম, প্রতি বছরই যখন আমাকে ওই নামে ডাকা হয় আমি বিব্রত বোধ করি। তাই এখন থেকে দয়া করে আমাকে শুধু বিরাট বলে ডাকুন। ওই নামে ডাকলে আমি সত্যিই অনেক বিব্রত বোধ করি। এদিন আইপিএলের ইতিহাসে ১৬ বছর পর নাম পরিবর্তন করেছে আরসিবি। আগে কোহলিদের দলের নাম ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোর (আরসিবি)। এখন কেবল বেঙ্গালোর বলে করা হয়েছে বেঙ্গালুরু।  স্থানীয় ভাষার উচ্চারণ অনুযায়ী ২০১৪ সালে সরকারিভাবে বেঙ্গালোর শহরের নাম পাল্টে হয় বেঙ্গালুরু। কিন্তু কোহলির দলের নাম এতদিন একই ছিল। নাম বদলের পাশাপাশি কোহলিরা এবার ভাগ্যবদল করে ট্রফি জিততে পারেন কি না সেটাই দেখার বিষয়। ১৬ বছরে মধ্যে কোহলিরা ট্রফি না জিতলেও সদ্য শেষ হওয়া নারী আইপিএলের দ্বিতীয় আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আরসিবি। তাই এদিন মেয়েদের সাফল্য নিয়ে উদযাপন করে কোহলিরা। মেয়েদের হাত ধরে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি প্রথম শিরোপা জেতায়, ওই দলের সবাইকে গার্ড অব অনার দেন ছেলেদের দলের ক্রিকেটাররা।
২০ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩৫

সাকিব ও আমাকে নিয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে সংবাদ করা হচ্ছে : মেজর হাফিজ
সাকিব ও তাকে জড়িয়ে কিছু সংবাদমাধ্যমে মনের মাধুরী মিশিয়ে সংবাদ করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজ উদ্দিন।  মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বনানীতে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে এ দাবি করেন তিনি। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের ছবির প্রসঙ্গ তুলে ধরে মেজর হাফিজ বলেন, সাকিব ও আমার একটি ছবি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। আমি সামান্য ব্যক্তি। তারপরও ৩৭ বছর ধরে রাজনীতি করছি। দুইবার মন্ত্রী ও ৬ বার এমপি ছিলাম। ওইসব সংবাদে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা লক্ষ্য করছি। দলের নেতাকর্মীরাও এতে বিচলিত হন। তিনি বলেন, সাকিব আল হাসান আমার কাছে এসে রাজনীতিতে যোগদানের ইচ্ছা ব্যক্ত করেছিল। তাকে বিএনএমের দুইজন কর্মকর্তা নিয়ে এসেছিল। আমি বলেছি, তুমি এখনও খেলাধুলা করো। রাজনীতি করবা কিনা চিন্তাভাবনা করে দেখো। আমার কাছ থেকে উৎসাহ না পেয়ে সে চলে যায়। এই ঘটনা নির্বাচনের ৪ থেকে ৫ মাস আগে হবে। ‘যখন ক্ষমতাসীনদের চাপ বাড়তে লাগলো, তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদও ঘোষণা দিয়ে দিলেন মেজর হাফিজ আলাদা নতুন দল গঠন করে নির্বাচনে যাবেন। পরদিনই আমি সংবাদ সম্মেলন করেছি। তখনই বলেছি আমি ৩২ বছর ধরে বিএনপিতে আছি। এই দলেই থাকবো। বিএনএম বা অন্য দলে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমি শেষ পর্যন্ত এ দলেই থাকবো।’- যোগ করেন মেজর হাফিজ। বিএনপির এ নেতা এরপর বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি অত্যন্ত নোংরা। দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। এখানে বিভিন্ন ধরনের কলাকৌশল করা হয়। যে দলই ক্ষমতায় থাকে তারা প্রতিপক্ষকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে। সেখান থেকে কিছু লোক বাগিয়ে এনে নিজের দলে কিংবা অন্যদলে সন্নিবেশ করে নির্বাচনী বৈতরণি পার হতে চায়। নিজের জীবন খোলা বইয়ের মতো বলে উল্লেখ করে মেজর হাফিজ বলেন, সেখানে এমন কিছু করিনি যে আমাকে লজ্জিত হতে হবে। আমি সামান্য হলেও আমার এলাকার মানুষ অনেক সম্মান করেছে। ৬ বার নির্বাচিত করেছে।  
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৮

মনে হচ্ছে মা সর্বত্রই আমাকে দেখছেন : মিশা সওদাগর
ঢাকাই সিনেমায় দর্শকপ্রিয় খলনায়ক মিশা সওদাগর। খল অভিনয়ে তিনি নিজেকে এতোটাই জনপ্রিয় করে তুলেছেন যে, সাফল্যে তার ধারেকাছেও কেউ নেই। তিন দশকের বেশি সময়ের অভিনয় জীবন তার। এই বর্ণাঢ্য সময়ে আট শতাধিক সিনেমায় অভিনয়ের রেকর্ড। পাশাপাশি পরপর দুইবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। আসছে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন এই অভিনেতা। এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সরব মিশা সওদাগর। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে নানা ধরনের পোস্ট দিয়ে থাকনে তিনি। সেই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে তার মায়ের কথা স্মরণ করেন। তিনি লিখেন, আজ প্রায় ৩৬ বছর পর সেহরির পরে চা খেলাম। এটা ছিল আমার মার অভ্যাস। আমি যখন ইন্টারমিডিয়েট দিই তখন আমার মা মারা যায়। মার মৃত্যুর পর আর এই অভ্যাসটা কখনো মনে করিনি। আজকে আবার অজান্তে মনে পড়ে গেল চা খেলাম। মনে হচ্ছে মা আমার আশপাশে সর্বত্রই আমাকে দেখছেন। হয়তো বা আমি তাকে দেখতে পাচ্ছি না বুঝতে পারছি না। পৃথিবীর সকল মা ভালো থাকুক। প্রসঙ্গত, মিশা সওদাগর অভিনীত বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র মুক্তির অপেক্ষায় আছে। পাশাপাশি নতুন আরও বেশ কয়েকটি ছবির শুটিং নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় যাচ্ছে তার। 
১৪ মার্চ ২০২৪, ২৩:২২

আমাকে এখন সবাই ট্রাক বলে ডাকে : মাহি
দ্বিতীয় স্বামী রকিব সকারের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বর্তমানে ছেলে ফারিশকে নিয়ে একাই থাকছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। পাশাপাশি কাজও করছেন তিনি। বর্তমানে বেশ কিছু কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন এই নায়িকা। নির্বাচনে হেরে যাওয়া, স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ— বলা যায়, এসব নিয়ে বেশ ভেঙেই পড়েছিলেন মাহি। তবে সবকিছু সামাল দিয়ে কাজে মনোযোগী হয়েছেন তিনি।  সম্প্রতি ভালুকাতে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন মাহি। সেখানে স্টেজ পারফর্ম করেন তিনি। অনুষ্ঠানে মাহি বলেন, ট্রাকের নির্বাচন করতে করতে নিজের নামই ভুলে গেছি। আমাকে এখন সবাই ট্রাক বলে ডাকে। মঞ্চে পারফর্ম করার আগে উপস্থিত সবাইকে মাহি প্রশ্ন করেন— আপনারা সবাই কি আমাকে চেনেন? কী নাম আমার? জবাবে কেউ কেউ মাহিয়া মাহি বলে চিৎকার করেন। আবার অনেকেই তাকে ট্রাক ট্রাক বলে চিৎকার করতে থাকেন। এমন পরিস্থিতিতে মাহি বলেন, ট্রাকের নির্বাচন করতে করতে নিজের নামই ভুলে গেছি। এখন আমার নামও ট্রাক হয়ে গেছে। আজকে এখানে এসেছি শুধু ট্রাক মার্কার জন্য।  প্রসঙ্গত, চলতি বছরের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে রাজশাহী-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক মার্কায় নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন মাহি। তবে জয়ের মুখ দেখেননি এই নায়িয়া। বিপক্ষ দলের কাছে বিপুল ভোটে হেরে যান মাহি।   
১২ মার্চ ২০২৪, ১২:০৪

আমাকে সারাজীবন ভুলের খেসারত দিতে হবে : ড. ইউনূস
দশ সপ্তাহের ভুলের খেসারত আমাকে সারাজীবন দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (২ মার্চ) বিবিসি বাংলা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে। আর সেখানেই তিনি এ দাবি করেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস মনে করেন, ২০০৭ সালে বাংলাদেশে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তার রাজনৈতিক দল ‘নাগরিক শক্তি’ গঠনের উদ্যোগ ভুল ছিল। তখন সেনা সমর্থিত সরকারের অনুরোধের পরও সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নেননি তিনি। পরবর্তীতে সবার অনুরোধে রাজনৈতিক দল খোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। উদ্যোগটি শুরুর পর ১০ সপ্তাহের মধ্যেই সেখান থেকে সরে আসেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ।  ওয়ান ইলেভেনের পর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিলেন অধ্যাপক ইউনূস। তখন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে একটা রাজনীতির চেষ্টা চলছিল। সেসময় ড. ইউনূসের নেতৃত্বে একটি দল গঠনের আলোচনাও ছিল জোরালোভাবে। সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে সব প্রশ্নের খোলামেলা উত্তর দেন তিনি। নোবেলজয়ী বলেন, সেসময় সেনাবাহিনী তো আমার কাছেই আসলো। তারা আমাকে বললো, আপনি সরকার প্রধান হওয়ার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। আমাকে বলেছিল, বাংলার মসনদ আপনার হাতে। আপনি এটাতে বসেন। আমি বলেছি, না আমি তো বসবো না। আমি তো রাজনীতি করি না। আমি তো রাজনীতির মানুষ না। বার বার আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করা হলো। কখনো ভয় দেখানো হলো, কখনো উৎসাহ দেয়া হলো যে, এটা মস্ত বড় সম্মানের বিষয়। আমি প্রতিবারই জবাব দেয়ার চেষ্টা করেছি এ দায়িত্ব গ্রহণ করবো না। তবুও আসার কথা বললো। কিন্তু আমার অবস্থান পরিবর্তন করবো না বলেই জানিয়েছিলাম। এমন পরিস্থিতিতে নাগরিক শক্তি নামে একটি দল গঠনের উদ্যোগের কথা তিনি জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, আমাকে নানা রকম চাপের মধ্যে ফেলা হলো। তখন আমি সবাইকে চিঠি দিলাম, সবার মতামত নিতে থাকলাম। পক্ষে বিপক্ষে নানা মত আসলো। তখন দলের নাম কী হবে সেটা নিয়ে কৌতূহল ছিল। আমি একটা নাম দিলাম নাগরিক শক্তি। পরবর্তী একটা সময় বলে দিলাম না আমি আর এ রাজনীতিতে নাই। আমি রাজনীতি করতে চাই না। তবে রাজনৈতিক দল গঠনের সেই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। সম্প্রতি শেষ হলো বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনের টানা চতুর্থবারের মতো জয় পেয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের আগে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারে আসছেন বলেও নানা বক্তব্য শোনা যাচ্ছিল দেশের রাজনীতিতে। তবে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ জানান, ওই সময় যা শোনা যাচ্ছিল সবই ছিল গুজব। এসবের কিছুই জানতেন না বলেও দাবি করেন। নির্বাচনের পর সরকার গঠন হলেও তিনি মনে করেন, দেশে এখনও গণতন্ত্র নিয়ে এক ধরনের সংকট রয়েছে। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমরা এখন গণতন্ত্রহীন অবস্থায় আছি। আমি ভোট দেই নাই। অনেকেই ভোট দেয় নাই। আমি তো ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারি নাই। অনেকে পারে নাই। ভোট যদি আমি না দেই। অংশগ্রহণ যদি না করতে পারি। তাহলে সেটা কোন গণতন্ত্র? এটা শুধু মুখে বললেই হবে না। আমি যদি ভোটটা দিতে পারতাম, তাহলে তো বলতে পারতাম এটাই ঠিক। আমাকে তো কাউকে পাস করার জন্য চয়েজ দেওয়া হয়নি। তাহলে এটা কীসের গণতন্ত্র? পদ্মসেতু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিযোগ তোলেন অধ্যাপক ইউনূস প্রভাবিত করার কারণেই আটকে গিয়েছিল অর্থায়ন। এ বিষয়ে অধ্যাপক ইউনুসের বলেন, আমার বাধা দেওয়ার তো কোনো কারণ নাই। দেশের মানুষের স্বপ্ন পদ্মাসেতু। এটা বাধা দেয়ার প্রশ্ন আসছে কেন? বিশ্বব্যাংক তো আমার প্রভাবিত করার জন্য অপেক্ষা করে নাই। তারা তো বলছে দুর্নীতি হয়েছে। তিনি বলেন, দুর্নীতি হয়েছে এমন কারণ দেখিয়ে তখন বিশ্বব্যাংক বিভিন্নজনকে প্রকল্প থেকে সরানোর কথা বলেছে। সরকার তাদের সরিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত একজনকে সরাতে রাজি হলো না সরকার। তখন পরিষ্কারভাবে বিশ্বব্যাংক বলেছিল, না সরালে টাকা দেবে না। সরকার তখন রাজি হলো না। তারা টাকা বন্ধ করে দিল। তাহলে এখানে আমাকে কেন দোষ দেওয়া হচ্ছে? পদ্মাসেতুর বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগ হয়নি। তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা রয়েছে। তাতে সাজা হয়েছে। জামিনে আছেন একটি মামলার সাজায়। এর প্রভাব ব্যক্তি জীবনেও পড়ছে। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ব্যক্তিগত জীবনে সবকিছু তছনছ হয়ে গেছে। আমার স্ত্রী একজন ডিমেনশিয়া রোগী। সে আমাকে ছাড়া কাউকেই চিনতে পারে না। তার দেখাশোনার দায়িত্ব সব আমার। এ অবস্থায় জেলে থাকতে হলে স্ত্রীর কী অবস্থা দাড়াবে? ড. ইউনূস ও তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘন, দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অর্থপাচারসহ শতাধিক মামলা রয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, এসব মামলার কারণে আমার অনেক সময় ব্যয় করতে হয় আইনি লড়াইয়ে। আমি কোনও প্ল্যান-গ্রোগ্রাম করতে পারছি না। আমার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সবার জন্য এক ধরনের অনিশ্চয়তা কাজ করছে। গ্রামীণের এসব প্রতিষ্ঠান থেকে তারা কোনও বেতন-ভাতা নেন না। অবৈতনিকভাবে কাজ করেন সেখানে। এসব প্রতিষ্ঠান করতে গিয়ে আমি গেলাম। আমার সংসার গেলো। আমার ছেলে মেয়ের ভবিষ্যত গেলো। আমাকে দেখলে লোকে ভয় পায়। আমি আসামি মানুষ। গ্রামীণ টেলিকম এবং গ্রামীণ কল্যাণসহ আটটি প্রতিষ্ঠান জবরদখলের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এখন আমরা এখানে আছি। তবে ভবিষ্যতে কী হবে আমরা জানি না। হঠাৎ করে একদল লোক আমাদের এখানে আসলো। চেঁচামেচি করে ঢুকলো। নিয়মকানুন কিছু মানলো না। সবাইকে হুকুম দিতে আরম্ভ করলো। ড. ইউনূস জানান, তারা গ্রামীণ ব্যাংক থেকে চিঠি আনার দাবি করে চেয়ারম্যান থেকে সবকিছু পরিবর্তনের কথা বলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভীতসন্ত্রস্ত করে দিয়েছিল। এর মাধ্যমে এক ধরনের ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করলেও তিনি জানিয়েছেন, ‘দখলে আসা ব্যক্তিদের’ আর এখন ওই প্রতিষ্ঠানে দেখা যাচ্ছে না। এখন কি জবরদখল অবস্থার অবসান হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আপাতত তেমন কিছু আমরা চোখে দেখতে পারছি না। ভেতরে থাকলেও থাকতে পারে। আমরা তো জানি না পরের দিন কি হবে।’ শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী একটি প্রতিষ্ঠান ও একজন ব্যক্তির মধ্যে বৈরি সম্পর্ক কেন হলো? এমন প্রশ্নের জবাবে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ বলেন, এটা অদ্ভূত একটা বিষয় না? কী গভীর সম্পর্ক হওয়ার কথা ছিল। এখন সেই প্রতিষ্ঠানের নাম নিয়ে জঙ্গিভাবে হামলা করতে আসছে। কেন এমন হচ্ছে? ২০১১ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের দায়িত্ব ছাড়েন অধ্যাপক ইউনূস। এর এক যুগেরও বেশি সময় পরে গত ফেব্রুয়ারিতে সেই গ্রামীণ ব্যাংক দখলের চেষ্টা চালায় একটি পক্ষ। তিনি বলেন, বাংলাদেশে নোবেল পুরস্কার আসলো। সবার মনে এত আনন্দ। বহুদিন এটা ছিল দেশের মানুষের মধ্যে। স্মৃতিটা গভীরভাবে গেঁথে গেছে সবার মনে। নোবেল তো এমন একটা জিনিস না যে এটা আমি আবিষ্কার করেছি। পৃথিবীর মধ্যে গ্রহণযোগ্য একটা জিনিস। এ বৈরি সম্পর্ক কাটাতে কোনও উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল কিনা? এমন প্রশ্নে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, না আমার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ হয়নি। আমাদের দিক থেকে সম্পর্কে কোনও ছেদ পড়েনি। ক্ষুদ্র ঋণের ধারণার মাধ্যমে সারাবিশ্বে সাড়া ফেলে গ্রামীণ ব্যাংক। অধ্যাপক ইউনূসের ক্ষুদ্র ঋণ ধারণার কারণে তিনি ও গ্রামীণ ব্যাংক শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জেতে ২০০৬ সালে। কিন্তু এরপর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন বক্তব্যে তাকে সুদখোর বলেছেন বলেও বিভিন্ন সময় খবর প্রচারিত হয়েছে। এ বক্তব্য নিয়েও সাক্ষাৎকারে কথা বলেন তিনি। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমরা রক্তচোষা। ঠিক আছে আমরা না হয় সেটা। যখন ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে কাজ শুরু করেছি, তখন লোকে বলতো রক্তচোষা। এখন তো এ ব্যবসা সবাই করছেন। সরকারও করছে। সরকার টাকা দিচ্ছে। নিয়ম নীতি করে দিচ্ছে। এখন কে কার রক্ত চুষছে? আমাকে বহুবার সুদখোর বলা হয়েছে। খুব কষ্ট লাগে। যে লোকটা দেশের জন্য নোবেল পুরস্কার এনে দিলো, তাকে নিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী এমন হেলা করবেন, অপমান করবেন- এটা তো কারো ভালো লাগার কথা না। এতে দেশের মানুষেরও ভালো লাগার কথা না। তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, একটা কথা বারবার বললে মানুষের মনে গেঁথে যাবে তো। মানুষ মনে করবে লোকটা তো খারাপ। দেশের অনিষ্ট করছে। মানুষ তো আমার দিকে তাকালে বলবে লোকটা সুদখোর, ধর তাকে। আমারও জানতে ইচ্ছা করে কেন তারা এ কথাগুলো বলে। এটা মানুষকে হেয় করা ছাড়া আর কোনও উদ্দেশ্য তো দেখি না। অন্য ব্যাংকগুলোর সঙ্গে গ্রামীণ ব্যাংক সুদের হারের পার্থক্য তুলে ধরেন ড. ইউনূস। তিনি প্রশ্ন রাখেন, গ্রামীণ ব্যাংকের ৭৫ শতাংশ মালিকানা তো সদস্যদের। তো সুদ যদি খেয়ে থাকে গরিব মানুষই খাচ্ছে, নারীরা খাচ্ছে। মাঝখান থেকে আমি সুদখোর হয়ে গেলাম কেন? আমাকে ব্যক্তিগতভাবে কেন সুদখোর বলা হচ্ছে? গ্রামীণ ব্যাংকের সুদের হার হলো সর্বনিম্ম। সুদের হার নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব মাইক্রোক্রেডিট অথরিটির কাছে। যেটা সরকারেরই প্রতিষ্ঠান।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১১:৫৩

‘আমারে কীভাবে ভুলে থাকতেছো, আমাকে কি বাঁচাইবা না’ 
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রাম থেকে নিখোঁজ প্রবাসীর স্ত্রী খাদিজা আক্তার ময়না (২৫) গত ১৯ জানুয়ারি তার শ্বশুরবাড়ি থেকে হারিয়ে যান। প্রায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও তার কোনো সন্ধান মেলেনি। জানা গেছে, ময়না কাঞ্চনপুর গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী মো. রাসেল মিয়ার স্ত্রী। তিনি একই উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ছতরপুর গ্রামের সেলিম মিয়ার মেয়ে। নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবারের লোকজন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িসহ অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও ময়নার খোঁজ পাননি। ময়নার পাঁচ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এদিকে হারিয়ে যাওয়ার প্রায় ১৫ দিন পরে ময়নার প্রবাসী স্বামীর ইমো নাম্বারে একটি ভয়েস রেকর্ড পাঠানো হয়। যেখানে কাতর সুরে ময়নাকে বলতে শোনা যায়- ‘আমারে কীভাবে ভুলে থাকতেছো, আমাকে কি বাঁচাইবা না? আমি কোথায় আছি বলতে পারছি না, চারপাশে পাহাড় আর প্রচণ্ড ঠান্ডা। আম্মা (শাশুড়ি) এবং আপা (স্বামীর ছোট বোন) জানে আমি কোথায় আছি। আমার মোবাইল পপি আপা কোথায় জানি রাখছে। তুমি পপি আপার সঙ্গে কথা বলো। এখানে অনেক ঠান্ডা। এখানে থাকলে আমি মরে যাবো।’ প্রবাস থেকে এই ভয়েস পাওয়ার পরে স্বামী রাসেল মিয়া ময়নার বাবার বাড়িতে এই ভয়েস পাঠিয়ে দেন। তিনি পরামর্শ দেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। পরে ময়নার মা সুমি বেগম বাদী হয়ে বিজয়নগর থানায় গত ১৩ ফেব্রুয়ারি একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এ ব্যাপারে ময়নার মা সুমি বেগম জানান, থানায় মেয়ের সন্ধানে জিডি করা হয়েছে। আমি আমার মেয়েকে ফেরত চাই। জড়িত অপরাধীদেরকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক। এদিকে শনিবার সকালে ময়নার শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে পুলিশি হেফাজতে আনা হয়েছে। তথ্য সংগ্রহের কাজ করছে পুলিশ। বিজয়নগর থানার ওসি (তদন্ত) হাসান জামিল গণমাধ্যমকে জানান, জিডি গ্রহণ করা হয়েছে। ভুক্তভোগীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৭

প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ আমাকে যোগ্য মনে করার জন্য : আলমগীর
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার ২১ বিশিষ্টজনকে একুশে পদক-২০২৪ প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আইরীন ফারজানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই তালিকায় আছে ৮০ ও ৯০ দশকের বাংলা সিনেমার চিরসবুজ অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক আলমগীর। অভিনয়ে অবদান রাখার জন্য একুশে পদক পাচ্ছেন তিনি।  একুশে পদক-২০২৪ তালিকা প্রকাশের পর আরটিভির সঙ্গে কথা হলে আলমগীর বলেন, এই সম্মাননা আসলেই বেশ আনন্দের। অবশ্যই রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় এই সম্মাননা পাওয়া ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। আমি ধন্যবাদ জানাই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। যিনি আমাকে যোগ্য মনে করে এই সম্মাননা দিয়েছেন।  ১৯৭২ সালের ২৪ জুন বরেণ্য পরিচালক আলমগীর কুমকুম পরিচালিত ‘আমার জন্মভূমি’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। এ সিনেমা মুক্তির আগেই আলমগীর সিরাজুল ইসলামের ‘দস্যুরানি’, আজিজুর রহমানের ‘অতিথি’, আলমগীর কুমকুমের ‘মমতা’, মোহর চাঁদের ‘হীরা’ সিনেমার কাজ শুরু করেন। সেই থেকে আজ অবধি প্রায় ৩০০-এর বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। তার প্রথম প্রযোজিত সিনেমা ‘ঝুমকা’। পরিচালক হিসেবে তার সর্বশেষ সিনেমা ‘একটি সিনেমার গল্প’। এবার একুশে পদক পাচ্ছেন- ভাষা আন্দোলনে মৌ. আশরাফুদ্দীন আহমদ (মরণোত্তর) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া (মরণোত্তর)। শিল্পকলায় সংগীতে জালাল উদ্দীন খাঁ (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ, বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর),  ডলি জহুর (অভিনয়)  শুভ্র দেব, নৃত্যকলায় শিবলী মোহাম্মদ, এম এ আলমগীর, আবৃত্তিতে খান মো. মুস্তাফা ওয়ালীদ (শিমুল মুস্তাফা), রূপা চক্রবর্তী, চিত্রকলায় শাহজাহান আহমেদ বিকাশ। শিল্পলায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিংয়ে কাওসার চৌধুরী।সমাজসেবায় মো. জিয়াউল হক ও আলহাজ রফিক আহামদ। ভাষা ও সাহিত্যে মুহাম্মদ সামাদ, লুৎফুর রহমান রিটন, মিনার মনসুর ও রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ (মরণোত্তর)। শিক্ষায় প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, ভাষাসৈনিক, ভাষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, দারিদ্র্যবিমোচনে অবদানকারী, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৪১

নির্মাতারা আমাকে মুখে তুলে ভাত খাইয়েছেন : শাবনূর
নব্বইয়ের দশকে বাংলা চলচ্চিত্রের সাড়াজাগানো নায়িকা শাবনূর। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী অভিনয় থেকে দূরে আছেন বহুদিন হলো। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে সপরিবারে বসবাস করছেন। তবে নাড়ির টানে প্রতিবছরই দেশে আসেন। সেই ধারাবাহিকতায় গেল বছর নিজের জন্মদিনে দেশে আসেন তিনি। আর দেশে এসেই নতুন সিনেমায় কাজ করার ঘোষণা দেন এই নায়িকা। তরুণ নির্মাতা আরাফাত হোসাইনের ‘রঙ্গনা’ সিনেমার মাধ্যমে ফের ক্যামেরার সামনে আসতে যাচ্ছেন নন্দিত এই নায়িকা। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এম এস ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিতব্য সিনেমাটির মহরত অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে। মহরতের এক ফাঁকে আরটিভির সঙ্গে কথা হয় শাবনূরের।  আরটিভি : ‘রঙ্গনা’  সিনেমা দিয়ে ফের চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করছেন। ছবিটি নিয়ে জানতে চাই। শাবনূর : ‘রঙ্গনা’ সিনেমার জন্যই দেশে এসেছি। এই সিনেমার গল্প ও গান আমাকে টেনে এনেছে। সিনেমাটিতে আমাকে ভিন্ন ঘরানার একটি চরিত্রে দেখা যাবে। আপাতত গল্প বলা যাবে না। তবে সময় উপযোগী গল্প। দশ বছর আগে আমাদের সিনেমার এক ধরনের দর্শক ছিল এখন আরেক ধরনের দর্শক। সবকিছু বিবেচনা করে বর্তমান প্রেক্ষাপট মাথায় রেখেই গল্পটি তৈরি হয়েছে। এখনকার দর্শক এ ধরনের গল্পই পছন্দ করে। আরটিভি : দীর্ঘ সময় পর চলচ্চিত্রে কামব্যাক করছেন, কেমন উপভোগ করছেন বিষয়টি?  শাবনূর : কাজে ফিরতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। তবে শিল্পীদের কামব্যাক বলে কিছু নেই। এটা কী, আমি বুঝি না। শিল্পীদের মৃত্যু নেই। আমরা আর্টিস্ট, শেষ বয়স পর্যন্ত কাজ করে যাবো। দেখেন না, আমেরিকায় আর্টিস্টদের বয়স হয়ে যায়, তারপর অস্কার পেয়ে যায়। কেমন করে পায়? এজন্য বলি, আর্টিস্টদের মৃত্যু নেই। তাদের কামব্যাক বলে কিছু নেই। আমি কাজ করব, সবার কাজ করব, সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকবো। অনেকে হয়ত জানে না, আমি ক্লাস এইট থেকে নাইনে উঠিনি, তখনই আমি পুরোদস্তুর নায়িকা। একেবারে ছোটবেলায় আমার হাতেখড়ি। নির্মাতারা আমাকে মুখে তুলে ভাত খাইয়েছেন, আমি এত ছোট ছিলাম। তখন নায়িকা মানে তো মিনিমাম একটা বয়সের ব্যাপার ছিল। আমি যখন প্রথম দিকে ছোট একটা ফ্রক পরে আসতাম, অনেকে আমাকে বলেছে, ‘এই পিচ্চি! ও কী করবে!’, আমাকে ধরে বলতো, ‘তুমি নায়িকা হবা?’ এহতেশাম (নির্মাতা) দাদু আমাকে নিয়ে এসেছিলেন, তার জন্যই আজকে আমি শাবনূর।    শাবনূর : নতুন নির্মাতাকে নিয়ে আপনি কতটুকু আশাবাদী?  শাবনূর : নতুনদের সঙ্গে কাজ করতে আমার বরাবরই ভালো লাগে। এমন অনেক নির্মাতা আছে যাদের ক্যারিয়ার শুরু আমার সঙ্গে কাজ করেই। তাছাড়া এখনকার নতুন নির্মাতারা অনেক ভালো করছেন। ‘রঙ্গনা’র গানটা শুনেই বলেছি এখনই শুটিং শুরু করলে ভালো হতো। আমার ছবির নির্মাতা আরাফাত অনেক পরিশ্রমী ছেলে। এই ছবির জন্য ওই রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছে।  আরটিভি : আপনার সঙ্গে নতুন অবস্থায় কাজ করেছে বর্তমান সময়ের সুপারস্টার শাকিব খান। শাকিব খানকে কিছু জানতে চাচ্ছি। শাবনূর : শাকিব খান অনেক বড় সুপারস্টার হয়ে গেছে। সে আমাদের ইন্ড্রাস্টির মানুষ এবং আমার খুব ভালো বন্ধু। আমি চাই ও আরও বড় হোক, আরও উপরে উঠুক। ওর অবদান অনেক এ ইন্ডাস্ট্রির জন্য। অনেক কষ্ট করেছে ইন্ডাস্ট্রিতে। আমি দেখেছি ও শুটিংয়ের সময় কখনও বসেনি, একটু পানি পর্যন্ত খায় নি। ও কাজের ব্যাপারে অনেক সিরিয়াস। প্রথম যখন কাজে এসেছিল তখন, তখন নবীন ছিল। শটটা দিয়ে আমার দিকে তাকাত─শটটা হয়েছে কী? আমি বলতাম, হ্যাঁ, খুব সুন্দর হয়েছে। আরেকটা দিলে ভালো হতো। ওর গুণের শেষ নেই। অবশ্যই ভালো অভিনয় করে।  আরটিভি : সামনে কী শাকিব খানের সঙ্গে কোনো ছবিতে আপনাকে দেখা যাবে?  শাবনূর : প্রযোজক-পরিচালকরা যদি ভালো ছবি নিয়ে ওর কাছে যায় তাহলে অবশ্যই ওর সঙ্গে আমার কাজ হবে। আমার দিক থেকে আপত্তি নেই।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৮

‘মরে যাচ্ছি আমাকে বাঁচান’
বাগেরহাটের ফকিরহাটে ট্রাক ও মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে সাকিব (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আসিব নামে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টায় খুলনা মোংলা মহাসড়কের লখপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।  জানা গেছে, নিহত সাকিব মোংলা উপজেলার দিগরাজ ব্যাংকের মোড় নামক এলাকার বাসিন্দা। আহত আসিব একই এলাকার। দুর্ঘটনার খবর নিশ্চিত করেছেন কাটাখালী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, বাগেরহাটের ফকিরহাটে লখপুর বাসস্ট্যান্ডে বুধবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরও জানান, খুলনা থেকে বাগেরহাটগামী একটি মোটরসাইকেল ও বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পরে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন। গুরুতর আহত হয় অপর আরোহী। ঘাতক ট্রাকটি নিয়ে চালক পালিয়ে গেছেন বলেও জানান তিনি। দুর্ঘটনার পর ‘মরে যাচ্ছি আমাকে বাঁচান’ বলে চিৎকার করেন আহত ওই যুবক। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করেন।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:৪৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়