• ঢাকা রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সদর উদ্দিন মিয়ার স্মরণে দোয়া মাহফিল 
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিবেশক সমিতির সভাপতি সদর উদ্দিনের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদর উদ্দিন আরটিভির ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ও ঝিনাইদহ টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক শিপলু জামানের বাবা।  শনিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা ১১টায় সমিতির নিজ কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম এ রউফের উপস্থাপনায় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উজ্জ্বল অধিকারীর সভাপতিতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার, বিশেষ অতিথি ছিলেন সমিতির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য পৌর মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিবলী নোমানী, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল, পৌর ব্যবসায়ী সমিতি সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক ইন্তা, সদর উদ্দিনের ছোট ভাই সাংবাদিক সোহেল আহমেদ, ছেলে শিপলু জামানসহ সমিতির নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা।  আনারুল আজিম আনোয়ার বলেন, সদর উদ্দিন ছিলেন এই সংগঠনের একজন পরিশ্রমী সভাপতি যাকে হয়তো আমরা আর কখনো খুঁজে পাবো না। তবে আমরা চেষ্টা করব এই সমিতিকে তার মতো করে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার।  অনুষ্ঠানটির দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা সাদেকুর রহমান।
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৬

শিব নারায়ণ দাশকে জাতি আজীবন স্মরণে রাখবে : জি এম কাদের 
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাশের মৃত্যুতে বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এক শোকবার্তায় তিনি প্রয়াত শিব নারায়ণ দাশের আত্মার চিরশান্তি কামনা করেন এবং তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। শোকবার্তায় জি এম কাদের বলেন, একাত্তরের উত্তাল দিনগুলোতে শিব নারায়ণ দাশের অনন্য ভূমিকা অক্ষয় হয়ে থাকবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপোষহীন শিব নারায়ণ দাশ জীবনবাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।  তিনি আরও বলেন, শিব নারায়ণ দাশের স্বপ্নের পতাকা আমাদের গৌরবের অর্জন। তাকে জাতি আজীবন স্মরণে রাখবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাশের মৃত্যুতে একইভাবে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৩৭

শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় শহীদদের স্মরণে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ
মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে জাতির শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হতে পুরোপুরি প্রস্তুত সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। রাত পোহালেই ৫২তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করবে জাতি। জাতির গৌরব আর অহংকারের এ-দিনটিতে সৌধ প্রাঙ্গণে ঢল নামবে লাখো মানুষের। তাদের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ফুলে ফুলে ভরে উঠবে স্মৃতিসৌধ।  দিনটি উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সিসিটিভির পাশাপাশি মোতায়েন থাকছে সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এরই মধ্যে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ধুয়েমুছে, ফুল আর রং-তুলির আঁচড়ে প্রস্তুত করেছে গণপূর্ত বিভাগ। গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, দিবসটি উপলক্ষে সৌধের মিনার থেকে শুরু করে পায়ে চলার পথ সবই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। রং-তুলির আঁচড় পড়েছে ফুলের টবসহ না স্থাপনায়। এরইমধ্যে পরিচ্ছন্নকর্মীরা ধুয়ে মুছে প্রস্তুত করেছেন গোটা সৌধ এলাকা। ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, দিবসটি পালন করতে নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। গোটা সাভারকে সাজানো হয়েছে ভিন্নরূপে। দলের শীর্ষ নেতা ও সাধারণ জনতাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত সাভারবাসী। ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহহিল কাফি বলেন, দিবসকে ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সকল ধরনের ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়েছে। সিভিল পোশাকে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করছেন। গোটা সৌধ এলাকায় বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এ ছাড়াও সড়ক-মহাসড়কে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় রাখা হয়েছে স্পেশাল ব্যবস্থা। যেন ওইদিন ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় কোনো প্রকার অসঙ্গতি না থাকে সে ব্যাপারে ট্রাফিক বিভাগকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এদিকে স্বাধীনতা দিবসে সৌধ এলাকা ছাড়াও পুরো উপজেলা সেজেছে নতুন সাজে। সড়ক-মহাসড়ক ছাড়াও ভবনগুলো সাজানো হয়েছে লাল-সবুজ বাতিতে। 
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৮

গণহত্যা দিবসে শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন
মোমবাতি প্রজ্বালন করে গভীর শ্রদ্ধায় ২৫ মার্চ কালরাতে শহীদদের স্মরণ করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ। সোমবার (২৪ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদদের নেতৃত্বে সংগঠনটির কয়েকশ নেতাকর্মী  এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। শুরুতে তারা এক মিনিট নিরবতা পালনের পর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে মোমবাতি প্রজ্বালন করেন। এসময় তারা শহীদদের আত্মত্যাগের কথাও তুলে ধরেন। ছাত্রলীগের নেতারা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বিভীষিকাময় ভয়াল রাত নেমে এসেছিল। মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত ‘অপারেশন সার্চ লাইটে’র নীলনকশা বাস্তবায়ন করে। এই গণহত্যা মানব ইতিহাসের জঘন্যতম অধ্যায়।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৫

প্রয়াত শিক্ষকের স্মরণে ছাত্রদের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ!  
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বামনী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রয়াত সফি উল্যাহ বিএসসির স্মরণে গত আট বছর ধরে ব্যতিক্রমী আয়োজন করে যাচ্ছে সাবেক শিক্ষার্থীরা। রোববার (১০ মার্চ) দুপুরে এ প্রবীণ শিক্ষকের স্মৃতি স্মরণে বিদ্যালয় মাঠে সফি উল্যাহ বিএসসি স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অষ্টম আসরের গ্র্যান্ড ফিনালে ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষার্থীরা তাদের প্রিয় শিক্ষকের মৃত্যুর ২০ বছর পর তার স্মৃতি আগলে রাখতে এমন আয়োজন করে যাচ্ছে।   পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে রামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজীস সালেকিন রিমনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের উপসচিব আজগর আলী।  এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, টুর্নামেন্টের দাতা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আয়কর পেশাজীবী ও ভ্যাট কনসালটেন্ট সাইদুল ইসলাম তহিদ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহির আহমেদ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিদ্দিক উল্যাহ ভুট্টু, রামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. আবদুর রাজ্জাক লিটন প্রমুখ।       উল্লেখ্য, ফাইনাল খেলায় রামপুর ১ নম্বর ওয়ার্ড ক্রীড়াচক্র, আদর্শনগর স্পোটিং ক্লাবকে ৮৬ রানে পরাজিত করে। খেলায় ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন রামপুর ১ নম্বর ওয়ার্ড ক্রীড়াচক্রের মিশু।  
১০ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৮

জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের স্মরণে চাঁদপুরে সভা
কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের স্মরণে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২৪ উপলক্ষে চাঁদপুরে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে শহরের বাবুরহাট এলাকায় পুলিশ লাইন্স ড্রিলসেডে জেলা পুলিশ এ আলোচনাসভার আয়োজন করে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তিনি বক্তব্যে বলেন, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য, দেশের মানুষের শান্তি শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য, মানুষ যেন শান্তিতে ঘুমাতে পারে তার নিশ্চয়তা বিধানের জন্য, সাধারণ মানুষ যেন রাস্তায় নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন সময়ে যারা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি। এসপি বলেন, এসব পুলিশ সদস্যরা দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে, সংকটে, দুর্যোগে এবং রাষ্ট্রের যে কোনো প্রয়োজনে জীবনের সর্বোচ্চ ও পরিবারের মায়া ত্যাগ করে, তার ওপর যে দায়িত্ব, যে দায়িত্বের শপথ সে নিয়েছিল। সেই শপথ সমুন্বত রাখার জন্য নিজের জীবনের রক্ত ঢেলে দিয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা দেশের স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছি, গণতন্ত্র সমুন্বত রাখার জন্য সময়ে সময়ে রক্ত দিয়েছি। দেশে যখন জঙ্গিবাদের উত্থান হচ্ছিল, সে জঙ্গিবাদ দমনের জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি। যখন করোনার নামে মহামারির আবির্ভাব হলো তখন পুলিশ সামনের সারিতে কাজ করতে গিয়ে তাদের জীবন দিয়েছে। রাষ্ট্রের অপরাধীদের ধরতে গিয়ে জীবনের মায়া নিয়ে কখনো পুলিশ তাদের ছেড়ে দিয়ে আসেনি। বরং তাদের ধরতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে পুলিশ হামলার শিকার হয়েছে এবং শাহাদাত বরণ করেছে। তিনি বলেন, প্রতিবছর আমরা মার্চ মাসে এ দিবস পালন করি। শাহাদাত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলি। তাদের আবেদনগুলো গুরুত্বসহকারে শুনি এবং তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্ট করি। আমাদের নিজেদের দায়বদ্ধতা থেকে এ আয়োজন করা। তাদের যে কোনো সমস্যায় বাংলাদেশ পুলিশ তাদের পাশে আছে। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিবিআই চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোস্তফা কামাল রাশেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) সুদীপ্ত রায়সহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সঞ্চালনায় ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) মো. খায়রুল কবীর। অনুষ্ঠানে জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের পরিবারের হাতে উপহার সামগ্রী তুলেদেন পুলিশ সুপারসহ অন্যান্যরা। এসব পুলিশ সদস্যদের পরিবারের মধ্যে দুজন সদস্য তাদের চলমান পারিবারিক পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য দেন। এর আগে জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩৭

ভাষা শহীদের স্মরণে লাখো মোমবাতি প্রজ্বলন
একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালির ভাষা আন্দোলনের গৌরব উজ্জ্বল শোকের দিন। বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ে ১৯৫২ সালের এদিন বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন বাংলার দামাল ছেলেরা। যাদের রক্তের বিনিময়ে বাংলা রাষ্ট্র ভাষার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল তাদের স্মরণে প্রতিবারের মতো এবারও লাখো মোমবাতি প্রজ্বলন করলো নড়াইলবাসী। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের কুড়িরডোব মাঠে এ ব্যতিক্রমী আয়োজনের মধ্য দিয়ে ভাষা সৈনিকদের স্মরণ করা হয়। জানা গেছে, ভাষা শহীদদের স্মরণে নড়াইল একুশ উদযাপন পর্ষদের আয়োজনে ১৯৯৭ সালে এ ব্যতিক্রমী আয়োজনের শুরু হয়। প্রথমবার ১০ হাজার মোমবাতি জ্বালিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হলেও বছর বছর এর পরিধি বেড়েছে। প্রতি বছরের মত মোমবাতির আলোয় দৃষ্টিনন্দন হয়ে ওঠে চারিদিক। আর এই আলো ছড়িয়ে পড়বে চারদিক এই প্রত্যাশা আয়োজকদের। প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের অঙ্গীকারসহ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয় করেন আয়োজকরা। সন্ধ্যার পরপরই মোমবাতির আলোতে আলোকিত হয়ে উঠে বিশালাকৃতির এ মাঠ। মোমবাতির আলোর মাধ্যমে শহীদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বাংলা বর্ণমালা, আলপনা ও পাখিসহ গ্রাম-বাংলার নানান ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়। বিশাল এই আয়োজন দেখতে প্রতিবারের ন্যায় এ বছরও দুর-দূরান্ত থেকে হাজারো মানুষ নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ খেলার মাঠে এসে মোমবাতি প্রজ্বলন উপভোগ করেন। সন্ধ্যায় কুরিরডোব মাঠের লাখো মোমবাতি একসঙ্গে জ্বলে উঠে, সেই সঙ্গে ‘আমার ভায়ের রক্ত রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ এই গানের মধ্য দিয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের গণসংগীত শুরু হয়।  মোমবাতি প্রজ্বলন দেখতে আসা নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র ফারদিন শাহরিয়ার খান জানায়, অনেক মোমবাতি এক সঙ্গে জ্বালিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন ও ভাষা শহীদদের স্মরণ করতে দেখে খুব ভালো লেগেছে।  বিভিন্ন শ্রেণী পেশার একাধিক নারী জানান, নিজে আনন্দ উপভোগ করতে এবং বাচ্চাদের আনন্দ দিতে ও ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মোমবাতি প্রজ্বলন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছি।    কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী। এসময় পুলিশ সুপার মোহা: মেহেদী হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাশ্বতী শীল, নড়াইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা, এসএম সুলতান ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু, নাট্য ব্যক্তিত্ব কচি খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল আলম লিটুসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। 
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫৯

রাবি ক্যাম্পাসে নিহত হিমেলের স্মরণে স্মৃতিফলকের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন
ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ট্রাক চাপায় নিহত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী মাহমুদ হাবিব হিমেলের স্মরণে স্মৃতিফলক নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হল মাঠে হিমেলের নিহত হওয়ার স্থানে এই ভিত্তি প্রস্তরের উন্মোচন  করেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। স্মৃতিফলকের ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন শেষে উপাচার্য বলেন, আমরা হিমেলের পরিবার থেকে অনুমতি নিয়েছি, কারণ কারও জন্য কিছু করতে গেলে পরিবারের অনুমতি নিতে হয়। তার মায়ের সম্মতিক্রমে আমরা দৃষ্টিনন্দন স্থাপনার কাজ শুরু করলাম। হিমেল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নক্ষত্র হয়েই আমাদের মধ্যে বেঁচে থাকবে। এ সময় অন্যদের উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাংস্কৃতিক জোটের কর্মীরা। এছাড়াও এদিন শহীদ হিমেলের স্মরণে সকাল সাড়ে ১১টায় এক শোক র‌্যালী বের করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক জোটের কর্মীরা। র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে হিমেলের মৃত্যুস্থলে গিয়ে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন তারা। পরে হিমেল সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় মিলিত হন সাংস্কৃতিক জোটের কর্মীরা। উল্লেখ্য, মাহমুদ হাবিব হিমেল গত ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাতে ক্যাম্পাসের ভেতরে নির্মাণাধীন শহীদ হবিবুর রহমান হলের সামনে পাথর বোঝাই ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে নিহত হন। হিমেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ও শহীদ শামসুজ্জোহা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। এছাড়াও তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ড্রামা অ্যাসোসিয়েশনের (রুডা) সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের দপ্তর সম্পাদকও ছিলেন।  
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:০১

স্মরণে মহানায়িকা সুচিত্রা সেন 
  রমা দাশগুপ্ত বা সুচিত্রা সেন। যে নামেই তাকে ডাকুন না কেন বাংলা ছবির সর্বকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় মহানায়িকা তিনিই। তার সঙ্গে তুলনা করা যায় না কারও। বাংলা সিনেমাকে তিনি নিয়ে গিয়েছিলেন এক অনন্য উচ্চতায়। আজ এই মহানায়িকার দশম মৃত্যুবার্ষিকী। মৃত্যুবার্ষিকীতে আরটিভি অনলাইনের পক্ষ থেকে অভিনেত্রীর প্রতি রইলো অপরিমেয় শ্রদ্ধা। ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল পাবনা জেলা সদরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত ছিলেন পাবনা পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও মা ইন্দিরা দেবী ছিলেন গৃহবধূ। তিনি ছিলেন পরিবারের পঞ্চম সন্তান ও তৃতীয় কন্যা। তার আরেকটি পরিচয় হলো, তিনি ছিলেন কবি রজনীকান্ত সেনের নাতনী।   সুচিত্রা সেনই বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথম অভিনেত্রী, যিনি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব থেকে পুরস্কৃত হয়েছিলেন। ‘সাত পাকে বাঁধা’ ছবিতে অনবদ্য অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৬৩ সালে মস্কো চলচ্চিত্র উৎসব থেকে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পান তিনি। ১৯৫৫ সালে প্রথম হিন্দি ছবি দেবদাসের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেন। ‘আন্ধি’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। ‘আন্ধি’ গুজরাটে মুক্তির পর ২০ সপ্তাহ নিষিদ্ধ ছিলো। ১৯৭৭ সালে জনতা পার্টি ক্ষমতাসীন হওয়ার পর গুজরাটের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হয় ছবিটি। ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পদ্মশ্রী পান। ২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বাংলাবিভূষণ সম্মাননা দেওয়া হয় তাঁকে। হিন্দি ও বাংলা মিলিয়ে সর্বমোট ৬১ টি ছবিতে অভিনয় করে নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ১৯৭৮ সালে সুদীর্ঘ ২৫ বছর অভিনয়ের পর তিনি চলচ্চিত্র থেকে অবসরগ্রহণ করেন। ‌‘প্রণয় পাশা’ ছবিটি করার পর তিনি লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান। এরপর তিনি রামকৃষ্ণ মিশনের সেবায় ব্রতী হন। নিজেকে অন্তরালে রাখার সিদ্ধান্ত একান্তই তাঁর নিজের ছিল। এতটাই দৃঢ়তা ছিল সেই সিদ্ধান্তে যে, পরবর্তীতে তাকে দাদাসাহেব ফালকে সম্মাননা প্রদান করতে চেয়েছিল ভারত সরকার। কিন্তু চলচ্চিত্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ এ সম্মাননা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন সুচিত্রা সেন।  সম্মাননা নিতে কলকাতা থেকে দিল্লি যেতে চাননি বলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি হন। অবশেষে সব কল্পনাকে হার মানিয়ে ১৭ জানুয়ারি ভারতীয় সময় সকাল ৮টা ২৫ মিনিট নাগাদ পৃথিবীর বাতাসে শেষবারের মতো নিশ্বাস নেন সুচিত্রা সেন, পাড়ি দেন অনন্তলোকে। পর্দার অভিনয়জীবনে নিজের যে চূড়ান্ত রোমান্টিক রূপটি গড়েছিলেন, স্বেচ্ছা-অন্তরালে সেই রূপটিই ধরে রেখেছিলেন শেষ জীবনেও। লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকেই বিদায় নিয়েছেন তিনি কিন্তু আমরা তাকে সেই মহানায়িকার জায়গাতেই রেখে দিবো চিরকাল।
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৩৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়