• ঢাকা রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই আ.লীগ রাষ্ট্র পরিচালনা করছে: কাদের
জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করে নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে এবং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনা করছে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার (২ মে) আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের সই করা এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। কাদের বলেন, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৭৫ সালের পর দেশে অনুষ্ঠিত সব নির্বাচনের তুলনায় সুষ্ঠু হয়েছে। আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগ কোনো মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল না বা ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলও না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিকভাবে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারসহ সব অধিকার প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছে এবং জনগণের মধ্য থেকে উঠে আসা রাজনৈতিক শক্তি। তারই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের ভোটাধিকারসহ অন্যান্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপি সবসময় ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। যে কারণে তাদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ভীতি রয়েছে এবং তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় না। একবার তারা তাদের ক্ষমতায় আসার পথ নির্বিঘ্ন করতে অর্ধকোটি ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল। আবার ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করেছিল। যারা জনগণের ভোটাধিকার হরণের জন্য বিভিন্ন অপকৌশল গ্রহণ করেছিল তাদের মুখে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের কথা মানায় না। কাদের বলেন, বিএনপির রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য হলো যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল করা। তারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল এবং তা অবৈধভাবে ব্যবহার করে দুর্নীতি ও লুটপাটতন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। বাংলাদেশের ললাটে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কলঙ্ক লেপন করেছিল। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তাদের অপশাসন-দুঃশাসনের ফলে দেশের জনগণকে দুঃসহ জীবনযাপন করতে হতো। আজ তারা শ্রমজীবী মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলেছে। অথচ তারা ক্ষমতায় থাকতে কোনোদিন শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়ায়নি। বরং বেতন-বোনাসের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকের বুকে গুলি চালিয়ে হত্যা, সারের দাবিতে আন্দোলন করায় কৃষক হত্যা এবং বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করায় সাধারণ মানুষকে হত্যার মাধ্যমে বন্দুকের জোরে মানুষকে জিম্মি করে বাংলাদেশকে দুঃশাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট করেছিল বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আদমজী জুটমিলসহ বিভিন্ন কলকারখানা বন্ধ করে শ্রমজীবী মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে কয়েক ধাপে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে, চা-শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়িয়েছে।  কাদের বলেন, শ্রমজীবী মানুষসহ সব মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে। আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য।  
০২ মে ২০২৪, ২০:২০

ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু: ধর্মমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধর্মনিরপেক্ষ একটি রাষ্ট্র চেয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের লক্ষ্য ছিল একটি শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা, যেখানে আইনের শাসন ও মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে। প্রতিষ্ঠিত হবে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার। এরূপ অভিপ্রায় থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধিকার আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন বাংলাদেশ হবে ধর্মনিরপেক্ষ একটি রাষ্ট্র। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের আয়োজনে ময়মনসিংহের টাউন তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে বিভাগীয় পুরোহিত ও সেবাইত সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় সমাজ গঠনে ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, আমাদের সমাজে সকল ধর্মের মানুষের কাছেই তাদের নিজ নিজ ধর্মের ধর্মীয় নেতাদের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সমাজের অধিকাংশ মানুষ তাদেরকে শ্রদ্ধার চোখে দেখে, সম্মান করে। বিভিন্ন পরামর্শের জন্য তাদের দারস্থ হন। তাদের আদেশ-নির্দেশ মেনে চলেন। এই শ্রেণির মানুষগুলোকে আমরা যদি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে পারি এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে যদি তাদেরকে আরেকটু শানিত বা দক্ষ করে তুলতে পারি তাহলে দেশ ও জাতি অনেক বেশি উপকৃত হতে পারে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত পুরোহিত ও সেবাইতদের উদ্দেশে ধর্মমন্ত্রী বলেন, দেশ ও জাতির উন্নয়নে আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনারাই পারেন আপনাদের কমিউনিটির মানুষের মধ্যে সঠিক ধর্মীয় জ্ঞানের প্রসার ঘটানোর পাশাপাশি তাদেরকে আদর্শ ও নিষ্ঠাবান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে। আমাদের সমাজে যেসব সামাজিক ব্যাধি রয়েছে বিশেষ করে ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, মাদকাসক্তি, দুর্নীতি, ভেজাল, মজুতদারির মতো ব্যাধি প্রতিরোধেও আপনারা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। মন্ত্রী আরও বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের পুরোহিত ও সেবাইতদেরকে আর্থ-সামাজিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা সম্ভব হলে একদিকে যেমন অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের বিষয়টি নিশ্চিত করা যাবে, অন্যদিকে সামাজিক সমতার ক্ষেত্রেও উন্নতি ঘটবে। এছাড়া যথাযথ ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি তাদের মধ্যে দেশপ্রেমের বিকাশ ও সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলা সম্ভব হলে দেশ ও জনগণের প্রভূত কল্যাণ সাধিত হবে। বিশেষ করে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা সম্ভব হবে। জাতীয়তা ও  ভ্রাতৃত্ববোধ দৃঢ় ও অটুট হবে। দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বেগবান হবে। সম্মেলনে ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন   ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু, রেঞ্জ ডিআইজি মো. শাহ আবিদ হোসেন, জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাছুম আহম্মেদ ভূঞা, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত পাল, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ড. কৃষ্ণেন্দু কুমার পাল, প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর শিখা চক্রবর্তী, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ইঞ্জিনিয়ার রতন কুমার, অঙ্কন কর্মকার, উত্তম চক্রবর্তী রকেট, পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাড. বিকাশ রায় প্রমুখ। প্রসঙ্গত, ধর্মীয় ও আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প (২য় পর্যায়)-এর অধীনে এ সম্মেলনে বৃহত্তর ময়মনসিংহের সাতটি জেলার পুরোহিত ও সেবাইতরা অংশ নেন। এ প্রকল্পের মাধ্যমে পুরোহিত ও সেবাইত প্রশিক্ষণ দারিদ্র্য বিমোচনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করবে। প্রশিক্ষণ নিয়ে পুরোহিত ও সেবাইতদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এতে দেশের বেকার যুবক-যুবতীরা এখানে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়া পুরোহিত ও সেবাইতরা ভাতাপ্রাপ্তির মাধ্যমে তারা আর্থিকভাবে সচ্ছল হচ্ছেন। ফলে দারিদ্র্য বিমোচনে প্রকল্পটি সহায়ক ভূমিকা পালন করছে বলেও জানান আয়োজকরা।
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪৪

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলো আরও একটি দেশ
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের মধ্যেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ জ্যামাইকা।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) জ্যামাইকা সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে আলজাজিরা ও মেহের নিউজ এজেন্সি। গাজায় ইসরায়েলের ব্যাপক আগ্রাসন এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অনবরত গভীর মানবিক সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জ্যামাইকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, জাতিসংঘ সনদের প্রতি জ্যামাইকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতির সঙ্গে মিল রেখে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাশাপাশি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের কথা বলা হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামিনা জনসন স্মিথ বলেছেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান দেখতে চায় তার দেশ। আর সেটা সামরিক পদক্ষেপের পরিবর্তে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে হতে হবে বলেই মত তার। প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হলে দীর্ঘদিনের ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিরসনে আবারও আলোচনায় আসে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের বিষয়টি। ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র পাশাপাশি শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করবে, সেটাই দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের মূলকথা। এরই অংশ হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে আসছে। এসব দেশের তালিকায় এবার যোগ হলো জ্যামাইকার নাম।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৪

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ইঙ্গিত অস্ট্রেলিয়ার
শান্তি ফেরানোর বিষয়ে দ্রুততা আনতে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং। তবে সেক্ষেত্রে সরকার চালানোয় হামাসের যে কোনও ভূমিকা থাকতে পারবে না সে বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিরোধী দল এবং জায়নিস্ট ফেডারেশন অব অস্ট্রেলিয়া অবশ্য ভিন্নমত পোষণ করে। তাদের মতে, ফিলিস্তিনের বিষয়ে নেওয়া অস্ট্রেলিয়ার এ ধরনের সিদ্ধান্ত হবে অপরিপক্ক পদক্ষেপ। ক্যানবেরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে, ইসরায়েলের সঙ্গে মধ্যস্থতার মাধ্যমে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের অংশ হিসেবেই একমাত্র ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি আসতে পারে। তবে পেনি ওংয়ের মন্তব্যে কিন্তু এই বছরের গোড়ার দিকে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের একটি বক্তব্যের প্রতিফলন দেখা গেছে। সে সময় ডেভিড ক্যামেরন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ইসরায়েলের সমর্থন ছাড়াই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাজ্যও। গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। ইসরায়েলি বিমান হামলায় একজন অস্ট্রেলিয়ান ত্রাণকর্মী এবং আরও ছয়জন নিহত হওয়ার ঘটনাতেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাতে তার ভাষণে পেনি ওং জানিয়েছেন ‘সহিংসতার অন্তহীন চক্র’ ভাঙতে একমাত্র আশার আলো হতে পারে দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধান যেখানে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিরা পৃথক দেশে পাশাপাশি বসবাস করবে। তিনি বলেছেন, এই পন্থা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে দশকের পর দশক ধরে চলে আসা ব্যর্থতা এবং তার পাশাপাশি নেতানিয়াহু সরকারের ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করতেও অস্বীকার করা ব্যাপক হতাশার সৃষ্টি করেছে। তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রশ্নকে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের দিকে গতি বাড়ানোর উপায় হিসেবে বিবেচনা করছে। বিরোধীদের পররাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র সাইমন বার্মিংহাম বলেছেন যে তারা এই পদক্ষেপকে সমর্থন করে না এবং প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজের সরকার ‘কয়েক দশক ধরে চলে আসা দ্বিপাক্ষীয় অস্ট্রেলিয়ান পররাষ্ট্রনীতি ভঙ্গ করার’ হুমকি দিচ্ছে। এক বিবৃতিতে সাইমন বার্মিংহাম বলেন, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে আগাম স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আলবানিজ সরকারের যুক্তিতে নিরাপত্তার আগে রাষ্ট্রকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যে সন্ত্রাসীরা বর্তমানে এই ভয়াবহ সংঘাতের সূচনা করেছে এতে তাদেরই জয় হবে। জায়নিস্ট ফেডারেশন অব অস্ট্রেলিয়ার প্রেসিডেন্ট জেরেমি লেবলার বলেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির যেকোনো আলোচনার জন্য এখনও সঠিক সময় আসেনি। তিনি বলেন, রাষ্ট্র গঠনের কোনো আলোচনা বিশ্বাসযোগ্য হওয়ার আগে হামাসকে অবশ্যই অপসারণ করতে হবে এবং ফিলিস্তিনি নেতৃত্বের একটি নতুন প্রজন্মের উত্থান ঘটাতে হবে, যারা দুর্নীতিগ্রস্ত নয়, সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেবে না এবং ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকারকে স্বীকৃতি দেবে। অন্যদিকে, পেনি ওং জানিয়েছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিলে ‘শত্রুকে পুরস্কৃত’ করা হবে এই দাবি ‘ভুল’। তার মতে ইসরায়েলের নিরাপত্তা দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের ওপর নির্ভর করে এবং রাষ্ট্রের স্বীকৃতি হামাসকে দুর্বল ও দূরে সরাতে সাহায্য করবে। প্রায় ১৪০টি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিলেও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়া-সহ অনেক দেশ তা স্বীকার করে না। বর্তমানে ‘পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’ হিসেবে থাকা ফিলিস্তিনকে আন্তর্জাতিক সংস্থার পূর্ণ সদস্যপদ দেয়ার বিষয়টা বিবেচনা করতে চলেছে জাতিসংঘ। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাতই অক্টোবর হামাস নেতৃত্বাধীন হামলায় যাতে প্রায় ১২০০ জন নিহত এবং ২৫০ জনেরও বেশি মানুষকে জিম্মি নেওয়া হয়েছিল তার উত্তরে ইসরায়েলের পাল্টা আক্রমণ চালায়। এর ফলে ৩৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। যুদ্ধ বিধ্বস্ত অঞ্চলটির বিরাট অংশ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে এবং বহু ফিলিস্তিনি খাবারের দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনা চললেও এর সমাধানের জন্য তা কোন চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে তবে আন্তর্জাতিক চাপ ক্রমশ বাড়ছে। সূত্র : বিবিসি বাংলা
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৬

বাংলাদেশকে তাঁবেদার রাষ্ট্র বানিয়েছে আওয়ামী লীগ : রিজভী
অন্য দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে আরেকটা স্বাধীন দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী হত্যা কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। বরং এটির সঙ্গে রাষ্ট্রের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন জড়িত। আমরা উদ্বেগের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি, শেখ হাসিনার ক্ষমতা লোভের ফলে নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে বাংলাদেশ আজ তাঁবেদারি রাষ্ট্র বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল (সোমবার) যশোর সীমান্তের ধান্যখোলা বিওপি জেলেপাড়া পোস্ট সংলগ্ন এলাকায় ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে মোহাম্মদ রইশুদ্দীন নামে এক বিজিবি সদস্য নিহত হয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।  রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের অভ্যন্তরে মানুষের নিরাপত্তা নেই, সীমান্তে কী বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা রয়েছে। এতদিন দেখেছি ভারতীয় বিএসএফের হাতে সাধারণ বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। এখন দেখছি সীমান্তে বিজিবিরও নিরাপত্তা নেই। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ক্ষমতাসীন সরকারের আচরণ এখন আর বন্ধুপ্রতিম নয়, বন্দুকপ্রতিম।’ তিনি দাবি করেন, ‘ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত ‘ডামি সরকার’ এখন ‘ডামি সংসদ’র জন্য ‘ডামি বিরোধী দল’ খুঁজছে।’ বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, একজন মাত্র ব্যক্তির ক্ষমতালিপ্সার কারণে দেশের পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে আস্থাহীন, অকার্যকর ও হাস্যকর করে ফেলা হয়েছে। জনগণের ভোট ছাড়াই যেহেতু ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকা যায়, ফলে জনগণের কাছে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নেই। ডামি সরকার অবৈধ ক্ষমতার উষ্ণতা অনুভব করলেও দেশের অধিকাংশ মানুষ এখন অসহায়। তিনি আরও বলেন, মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে শীতার্ত মানুষ কীভাবে গরম কাপড় জোগাড় করবে এমন প্রশ্ন তোলেন রিজভী। বলেন, এই মানুষগুলোর ব্যাপারে দুর্নীতিবাজ সরকার উদাসীন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানুষ মুখ খুললে তাদের পেছনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। হামলা-মামলায় জর্জরিত গণতন্ত্র কামী মানুষ।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:১২

রাষ্ট্র আজ ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে : সাকি
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি একতরফা ও নজিরবিহীন দখল কায়েমের ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে দেশকে এমন জায়গায় ঠেলে দেওয়া হয়েছে, রাষ্ট্র আজকে ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এরা আসলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার নামে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা গণতন্ত্র ও সার্বজনীন ভোটাধিকারকেই ধ্বংস করেছে। শনিবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে শহীদ আসাদ স্মৃতিফলকে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন । সাকি বলেন, ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি শহীদ আসাদের জীবন দান এ অঞ্চলের গণমানুষের মধ্যে এমন এক চেতনার উত্থান ঘটিয়েছিল, আইয়ুব খানের মতো স্বৈরশাসকেরও পতন নিশ্চিত হয়েছিল। শুধু তাই নয়, এ গণঅভ্যুত্থানের ভেতর দিয়েই ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের জমিন তৈরি হয়েছিল। জোনায়েদ সাকি বলেন, শহীদ আসাদের চেতনায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে সার্বভৌম ও আত্মমর্যাদাসম্পন্ন দেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের লক্ষ্যে সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, শহীদ আসাদ শুধু একজন রাজনীতি সচেতন ছাত্র আন্দোলনের নেতাই ছিলেন না, তিনি কৃষক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। মওলানা ভাসানীর ডাকে যখন এ দেশের বঞ্চিত নিপীড়িত কৃষক জনতা একের পর এক ঘেরাও ও হাট-হরতাল পালন করছিলেন, সে সময় শহীদ আসাদ এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে নিবিড়ভাবে যুক্ত ছিলেন। এ কারণেই শহীদ আসাদের জীবন দান সে লড়াইয়ের প্রেরণাকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়, সারা দেশে বিদ্রোহের দাবানল সৃষ্টি হয় ও সামরিক শাসক জেনারেল আইয়ুবের পতন হয়। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে এবং ’৬৯-এর গণঅভ্যূত্থানের ৫৫ বছর পর এসে মুক্তিযুদ্ধের যে অঙ্গীকার ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার-তা এমনভাবে ভূলুণ্ঠিত হয়েছে, মানুষকে ন্যূনতম ভোটাধিকার রক্ষার জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে। এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, জাতীয় পরিষদের সদস্য সেন্টু খান, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ডসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:৩০

রাষ্ট্র নায়কের দেওয়া দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করাটাই বড় বিষয় : দীপু মনি
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, একজন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা তার একজন সহকর্মীকে যে দায়িত্ব দেবেন, আমি মনে করি সেটি তার জন্য সঠিক। সে সেই দায়িত্ব কতটা সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করল সেটি বড় বিষয়। অতীতে আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি এবং তার আত্মবিশ্বাসের মর্যাদা দিতে এবং সেই চেষ্টা অব্যাহত রাখবো ইনশাআল্লাহ। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে চাঁদপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত কার্যকরী কমিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডা. দীপু মনি বলেন, আমাদের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় একেবারে প্রান্তিক মানুষের সেবায় অনেক কাজ করার সুযোগ আছে। প্রান্তিক মানুষকে সহায়তা করা, তাদের পাশে দাঁড়ানো এবং উন্নয়নের মাধ্যমে তাদেরকে গুছিয়ে মূলধারায় নিয়ে আসার; নতুন অনেক চিন্তাভাবনার সুযোগ রয়েছে বলে আমি মনে করি। মন্ত্রী বলেন, আমি সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। আজ থেকে ২৫ বছর আগে চাঁদপুরের তৎকালীন সংবাদিকদের সঙ্গে বসে আমি কাজ শুরু করেছি। দীর্ঘ এই পথ চলায় আপনারা আমাকে সহযোগিতা করেছেন এবং তা অব্যাহত আছে। মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত। সাবেক সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহর সঞ্চালনায় অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান। প্রেস ক্লাব নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমন, সাবেক সভাপতি জালাল চৌধুরী, বিএম হান্নান, শহীদ পাটওয়ারী, গিয়াস উদ্দিন মিলন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা, সোহেল রুশদী, টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আল-ইমরান শোভন, সাধারণ সম্পাদক কাদের পলাশ ও প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ তালহা জুবায়ের ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ওমর পাটওয়ারী। চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমান, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক মাসুদা নুর, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির উদ্দিন মিজিসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়