• ঢাকা বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গুজরাটের ২০০ রান টপকে ব্যাঙ্গালুরুর টানা দ্বিতীয় জয়
চলতি আসরের প্রথম ৮ ম্যাচের সাতটিতেই হারের তিক্ত স্বাদ পেয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। তবে দুর্দান্তভাবে কাম ব্যাক করে কোহলি-ডু প্লেসিসরা। হায়দ্রাবাদের পর গুজরাটকেও উড়িয়ে দিয়েছে তারা। নিজেদের দশম ম্যাচে গুজরাটকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে ব্যাঙ্গালুরু। রোববার (২৮ এপ্রিল) আগে ব্যাট করতে নেমে ব্যাঙ্গালুরুকে ২০১ রানের লক্ষ্য দেয় গুজরাট। জবাব দিতে নেমে ৯ উইকেট ও ২৪ বল হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ব্যাঙ্গালুরু। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে ব্যাঙ্গালুরুর দুই ওপেনার বিরাট কোহলি এবং ফাফ ডু প্লেসিস। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি ডু প্লেসিস। ১২ বলে ২৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন প্রোটিয়া এই ব্যাটার। এরপর উইল জ্যাককে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন বিরাট। কোহলি দেখে শুনে ব্যাট করতে থাকলেও বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি মেরে রান তুলতে থাকেন জ্যাক। ৪১ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন ইংলিশ এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত উইল জ্যাকের ৪১ বলে ১০০ রান এবং কোহলির ৪৪ বলের অপরাজিত ৭৭ রানের ইনিংসে ভর করে ৯ উইকেট ও ২৪ বল হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ব্যাঙ্গালুরু। এর আগে, টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি গুজরাটের। ইনিংসের ষষ্ঠ বলে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার ঋদ্ধিমান শাহা। ৪ বরে ৫ রান করে তিনি। ১৯ বলে ১৬ রান করে তাকে সঙ্গ দেন শুভমান গিলও। তৃতীয় উইকেটে শাহরুখ খানকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন সাই সুদর্শন। ২৪ বলে শাহরুখ এবং ৩৪ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন সুদর্শন। তবে ৩০ বলে ৫৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন শাহরুখ। এরপর সুদর্শনকে সঙ্গ দেন ডেভিড মিলার। শেষ পর্যন্ত মিলারের ১৯ বলের ২৬ রান এবং সুদর্শনের ৪৯ বলের হার না মানা ৮৪ রানের ইনিংসে ভর করে ৩ উইকেটে ২০০ রানের পুঁজি পায় গুজরাট।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৬

ফ্রেজারের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ভর করে দিল্লির রান পাহাড়
চলমান আইপিএল যেনো ব্যাটারদের জন্য স্বর্গ হয়ে উঠেছে। প্রতি ম্যাচেই ২৫০ উর্ধ্ব পুঁজি পাচ্ছে দলগুলো। অন্যদিকে ২৬১ রানের বড় পুঁজি গড়েও পাঞ্জাবের বিপক্ষে হারতে হয়েছে কলকাতার মতো বড় দলকে।  ৪৩তম ম্যাচে দিল্লির বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এই ম্যাচে বুমরাহ-পান্ডিয়াদের নিয়ে রীতিমতো ছেলে খেলা করেছে দিল্লির ব্যাটাররা। আগে ব্যাট করতে নেমে মম্বাইকে পাহাড় সমান২৫৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে দিল্লি। শনিবার (২৭ এপ্রিল) টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দিল্লিকে উড়ন্ত সূচনা এনেদেন ওপেনার জ্যাক ফ্রেজার এবং অভিষেক পোরেল। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৯২ রান তোলে দিল্লি। ১৭ বলে ফিফটি তুলে নেন অজি ব্যাটার ফ্রেজার। মাত্র ২৭ বলে ৮৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ২৭ বলে ৩৬ রান করে তার দেখানো পথে হাঁটেন অভিষেক। তৃতীয় উইকেটে ১৭ বলে ৪১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে আউট হন ক্যারিবিয়ান তারকা শাই হোপ। এরপর ক্রিস্টিয়ান স্টাবসকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ঋষভ পান্থ। ১৯ বলে ২৯ রান করে পান্থ আউট হলেও স্টাবসের ২৫ বলের অপরাজিত ৪৮ রানে ভর করে ২৫৭ রানে বড় পুঁজি পায় দিল্লি। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে হয়ে লুক উড, জাসপ্রিত বুমরাহ, পিযুস চাওলা এবং মোহাম্মদ নবি একটি করে উইকেট নেন।  
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৩

ইডেনে রান উৎসব, রেকর্ডে ঠাসা ম্যাচে পাঞ্জাবের বিশ্বরেকর্ড
ম্যাচের পর ম্যাচ রান উৎসব চলছে এবারের আইপিএলে। গড়ছে একের পর এক রেকর্ড। সব ছাপিয়ে আরও একটি রেকর্ডময় ম্যাচ হয়ে গেল আজ, কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে। ঘরের মাঠে আইপিএল ইতিহাসে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করল কলকাতা নাইট রাইডার্স। চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে স্কোরবোর্ডে জড়ো করল ২৬১ রানের বিশাল পুঁজি। কিন্তু এই পাহাড়সম পুঁজিও যথেষ্ট হলো না জয়ের জন্য। বেয়ারস্টো তাণ্ডবে ৮ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের বড় জয় ছিনিয়ে নিল পাঞ্জাব সুপার কিংস। এর মধ্য দিয়ে শুধু আইপিএল নয়, যে কোনো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই সর্বোচ্চ রান তাড়ায় নজির গড়ল প্রীতি জিনতার দল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এর আগে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ডটি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার দখলে। ২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২৫৮ রান তাড়া করে এ রেকর্ড গড়েছিল প্রোটিয়ারা।  টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কাও হয়েছে আজ। সব মিলিয়ে এই ম্যাচে ছক্কা হয়েছে ৪২টি। আগের সর্বোচ্চ ছিল ৩৮টি ছক্কা, সেটিও হয়েছিল এবারের আইপিএলে, গত ২৭ মার্চ সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ম্যাচে।  আজ দুই দল মিলে রান তুলেছে ৫২৩। আইপিএল ইতিহাসে প্রথমবার দুই দলের চার ওপেনারই পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেছেন আজ। সুনীল নারাইন ও ফিল সল্ট—কলকাতা নাইট রাইডার্সের এই দুই ওপেনার এবারের আইপিএলে প্রায় প্রতি ম্যাচেই ঝড় তুলছেন। আজ পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষেও বজায় ছিল এই ধারাবাহিকতা। মাত্র ৬৩ বলে দুজনে গড়েছেন ১৩৮ রানের জুটি।  পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাঞ্জাবের দুই ওপেনারও জ্বলে উঠেছিলেন আজ। প্রবসিমরান ও জনি বেয়ারস্টো মিলে ৩৬ বলে তোলেন ৯৩ রান। পাওয়ার প্লেতে এটাই আইপিএলে পাঞ্জাবের সর্বোচ্চ। এমন ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে ২৬১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় প্রবল বেগেই এগিয়ে গেছে টিম প্রীতি জিনতা।   ২০ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে রানআউট হন প্রবসিমরান। এই ওপেনার ফিফটি করেন মাত্র ১৮ বলে। প্রবসিমরান ৫৪ রানে ফিরে গেলেও বেয়ারস্টো করেন সেঞ্চুরি। কিছুদিন ধরে ছন্দে না থাকা এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান মাত্র ৪৫ বলে আইপিএলে দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পান আজ। তার অপরাজিত ৪৮ বলে ১০৮ রানের ইনিংস আর চার নম্বরে নেমে শশাঙ্ক সিংহের ২৮ বলে অপরাজিত ৬৮ রানের ইনিংসেই জয় পায় পাঞ্জাব। নারাইন আজ চার ওভারে রান দিয়েছেন মাত্র ২৪। কিন্তু ভীষণ খরুচে ছিলেন নাইট রাইডার্সে বাকি বোলাররা। ১৪.৪ ওভারে ২৩৬ রান দিয়েছেন তারা। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ১৬.০৯ করে।  এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা কলকাতা পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে তোলে ৭৬ রান। নারাইন-সল্ট মিলে শতরানের জুটি গড়েন মাত্র ৪৮ বলে। মাত্র ২৩ বলে ফিফটি করেন নারাইন। আর সল্ট ফিফটি পান ২৫ বলে। দুজনের জুটি ভাঙে ৩২ বলে ৭১ রান করে নারাইন আউট হলে। সল্ট আউট হন ৩৭ বলে ৭৫ রান করে। ওপেনারদের এমন শুরুর পর ভেঙ্কটেস আইয়ার, আন্দ্রে রাসেল আর শ্রেয়াস আইয়ারের ক্যামিওতে কলকাতা তোলে ২৬১। সেটাও যথেষ্ট হলো না।  আইপিএলে এখন পর্যন্ত কোনো দল ২৫০ বা এর চেয়ে বেশি রান তুলেছে মাত্র ৯ বার, এর মধ্যে সবশেষ ৫টি আড়াইশোর্ধ্ব ইনিংসের দেখা মিলল গত ১০ দিনে।  
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:৫২

পাঞ্জাবকে রান বন্যায় ভাসালো কলকাতা
চলমান আইপিএলের ৪২তম ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে পাঞ্জাব কিংস। ঘরের মাঠে আগে ব্যাট করতে পাঞ্জাব বোলাদের নিয়ে রীতিমতো ছেলে খেলা করেছে কলকাতার ব্যাটাররা। মারকুটে ব্যাটিংয়ে পাঞ্জাবকে পাহাড় সমান ২৬১ রানের লক্ষ্য দিয়েছে রাসেল-নারিনরা। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে কলকাতাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন সুনীল নারিন এবং ফিল সল্ট। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৭৬ রান তোলে দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। এদিন পাঞ্জাব বোলারদের উপর রীতিমতো তাণ্ডব চালান দুই ওপেনার। নারিন ২৩ বলে এবং ২৫ বলে ফিফটি তুলে নেন সল্ট। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ১৩৮ রান। ৩২ বলে ৭১ রান করে সাজঘরে ফেরেন নারিন। ১৩তম ওভারে স্যাম কারানের বলে বোল্ড আউট হন আরেক ওপেনার সল্ট। ৩৬ বলে ৭৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন এই ইংলিশ ওপেনার। রাসেলকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ভেঙ্কাতিশ আইয়ার। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি রাসেল। ১২ বলে ২৪ রান করে আউট হন এই মারকুটে ব্যাটার। এরপর পিচে এসে ব্যাট চালাতে থাকেন শ্রেয়াস আইয়ার। ১০ বলে ২৮ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন কলকাতা অধিনায়ক। ৪ বলে ৫ রান করে আউট হন রিঙ্কু সিং। রামানদ্বীপের ৩ বলে ৬ রান এবং ভেঙ্কাতিশ আইয়ারের ২৩ বলে ৩৯ রানে ভর করে ২৬১ রানের বড় পুঁজি পেয়েছে কলকাতা। পাঞ্জাব কিংসের হয়ে দুই উইকেট শিকার করেন আর্শদ্বীপ সিং। এ ছাড়াও স্যাম কারান, হার্শাল প্যাটেল এবং রাহুল চাহার একটি করে উইকেট নেন।
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৫৯

শ্রীলঙ্কার রান পাহাড়ে উঠতে বিশ্বরেকর্ড গড়তে হবে টাইগারদের
বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ২৮০ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। জবাব দিতে নেমে ১৮৮ রানে অলআউট হয় টাইগাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটে নেমে সফরকারীরা ৪১৮ রান সংগ্রহ করলে টাইগারদের লক্ষ্য দাঁড়ায় পাহাড় সমান ৫১১ রান। এই ম্যাচ জিততে হলে বিশ্বরেকর্ডকেও পিছনে ফেলতে হবে শান্ত-মিরাজদের। রোববার (২৪ মার্চ) ৫ উইকেটে ১১৯ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে লঙ্কানরা। এ সময়ে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ২৩ এবং ২ রানে বিশ্ব ফার্নান্দো অপরাজিত ছিলেন। তবে স্কোরবোর্ডে ৭ রান জড়ো করতেই ধাক্কা খায় সফরকারীরা। দলীয় ১২৬ রানের মাথায় ফার্নান্দোকে ফিরিয়ে টাইগার শিবিরে স্বস্তি এনে দেন খালেদ। এই পেসারের অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মারতে চেয়েছিলেন ফার্নান্দো। তবে তা ভাগ্যসহায় হয়নি। স্লিপে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন মিরাজ। ফের ঠিকই ঘুরে দাঁড়ায় লঙ্কানরা। প্রথম ইনিংসের মতো উইকেটে খুঁটি গেড়ে বসেছেন সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস। নিজের ১৪তম ওভারে ননস্ট্রাইক প্রান্তে থাকা মেন্ডিসকে মানকাড করতে চেয়েছিলেন খালেদ। রানিং নিয়ে পপিং ক্রিজে পৌঁছানোর পর স্ট্যাম্পের দিকে বল ছুড়ে মারেন এই পেসার। তবে তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। বল স্ট্যাম্পে আঘাত হানেনি। কিছুটা বাইরে দিয়ে চলে গেছে। এতে বেঁচে যান ৪৯ রানে থাকা মেন্ডিস। এক বল ব্যবধানেই নিজের হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন লঙ্কান এই ব্যাটার। সপ্তম উইকেট ইতোমধ্যেই একশর বেশি রানের জুটি গড়ে ফেলেছেন সিলভা ও কামিন্দু। তাদের ব্যাটে ভর করে ৩০০ ছাড়ায় লঙ্কানদের লিড। ১৬৪ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন ডি সিলভা। এরপর আট রান যোগ করতেই  মিরাজের বলে ক্যাচ আউট হন এই লঙ্কান অধিনায়ক। অপর প্রান্তে ১৭১ রানে সেঞ্চুরির দেখা পান কামিন্দু মেন্ডিস। প্রাবাথ জয়সুরিয়া (২৫) এবং লাহিরু কুমারা শূন্য রানে আউট হলে  ব্যাট চালাতে থাকেন কামিন্দু। শেষ পর্যন্ত ২৩৭ বলে ১৬৪ রানের ইনিংস খেলে এই বাঁহাতি ব্যাটার আউট হলে ৪১৮ রানে অলআউট হয় লঙ্কানরা। এতে পাহাড় সমান ৫১১ রানের লক্ষ্য পায় টাইগাররা। বাংলাদেশের হয়ে চার উইকেট শিকার করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। নাহিদ রানা এবং তাইজুল ইসলাম দুটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়াও শরিফুল ইসলাম এবং খালেদ আহমেদ একটি করে উইকেট নেন।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫৯

রোহিত ও গিলের সেঞ্চুরিতে ভর করে রান পাহাড়ে ভারত
ধর্মশালা টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ২১৮ রানেই গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে প্রথম ইনিংসে রানের পাহাড় গড়েছে ভারত। দ্বিতীয় দিন পুরো সময় ব্যাট করে আউট উইকেট হারিয়ে ৪৭৩ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। এতে ২৫৫ রানের লিড নিয়ে দিন শেষ করেছে ভারত। শুক্রবার (৮ মার্চ) দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নামেন আগের দিন অপরাজিত থাকা রোহিত শর্মা (৫২*) এবং শুভমান গিল (২৬*)। দুজনের ব্যাটে ভর করে দুর্দান্ত শুরু পায় ভারত। সেই সঙ্গে সেঞ্চুরি তুলে নেন এই দুই ব্যাটারই। ১৫৪ বলে নিজের শত রানের কোটা পূরণ করেন ভারতীয় অধিনায়ক। অন্যদিকে শুভমান গিলের সেঞ্চুরি করতে লাগে ১৩৭ বল। এরপর পিচে বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি দুজনের কেউই। ১০২ বলে রোহিত আউট হলে, ১১০ রান করে তাকে সঙ্গ দেন গিল। এরপর সারফরাজ খানকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন দেবদূত পাদিক্কেল। ৫৫ বলে সারফরাজ এবং ৮৩ বলে ফিফটি তুলে নেন পাদিক্কেল। তবে সারফরাজ (৫৬) এবং পাদিক্কেল (৬৫) আউট হলে বিপাকে পড়ে স্বাগতিকরা। ছয় ও সাতে ব্যাট করতে এসে ১৫ রানের সমান ইনিংস খেলেন রবিন্দ্র জাদেজা ও ধ্রুব জুড়েল। এদিন ব্যাট হাতে রান পাননি অশ্বিন। ৫ বলে শূন্য রান করে আউট হন তিনি। শেষ দিকে জুটি গড়েন কুলদ্বীপ যাদব এবং জাসপ্রিত বুমরাহ। কুলদ্বীপের ২৭ এবং বুমরাহর অপরাজিত ১৯ রানে ভর করে ৪৭৩ রানে দিন শেষ করেছে ভারত। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট শিকার করেন শোয়েব বাঁশির। এ ছাড়াও টম হার্টলি দুটি, জেমস অ্যান্ডারসন ও বেন স্টোকস একটি করে উইকেট নেন।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:০০

বিপিএলের সেরা পাঁচ রান সংগ্রাহক যারা
জমজমাট ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নেমেছে বিপিএলের দশম আসরের। অবশেষে অধরা শিরোপার স্বাদ পেয়েছে ফরচুন বরিশাল। এদিকে ফাইনালের পরই নিশ্চিত হয়েছে ঘরোয়া এই টুর্নামেন্টের দশম আসরের সেরা পাঁচ রান সংগ্রাহক। এই তালিকায় এগিয়ে দেশি ক্রিকেটারই। আসরের মাঝ পর্যন্ত দেশি ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স নিয়ে নানান আলোচনা-সমালোচনা থাকলেও শেষ দিকে এসে আধিপত্য দেখিয়েছেন টাইগাররা। সেরা পাঁচের এই তালিকায় সবাই বাংলাদেশি। এবারের আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক চ্যাম্পিয়ন দলপতি তামিম ইকবাল। সেরা রান সংগ্রাহক হওয়ার পাশাপাশি এই টুর্নামেন্টের এক মৌসুমে নিজের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও ভেঙেছেন তিনি।  তালিকার সেরা পাঁচে আছেন তিন ফাইনালিস্ট ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস এবং তাওহীদ হৃদয়ও। একনজরে বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক  ক্রিকেটার  ম্যাচ  রান  ব্যাটিং গড়  স্ট্রাইক রেট  সর্বোচ্চ  তামিম ইকবাল  ১৫  ৪৯২  ৩৫.১৪  ১২৭.১৩  ৭১  তাওহীদ হৃদয়  ১৪  ৪৬২  ৩৮.৫০  ১৪৯.৫১  ১০৮*  লিটন দাস  ১৪  ৩৯১   ২৭.৯৭   ১৩০.৭৭  ৮৫   তানজিদ হাসান তামিম  ১২  ৩৮৪  ৩২  ১৩৫.৬৯  ১১৬  মুশফিকুর রহিম  ১৫  ৩৭৯  ৩১.৫৮  ১২০.৩২  ৬৮  
০২ মার্চ ২০২৪, ১১:২৩

বল না করেই পাঁচ রান দিলেন অশ্বিন!
ভারত যত রানেই প্রথম ইনিংস শেষ করুক না কেন, বিনা উইকেটে ৫ রান নিয়ে ব্যাটিং শুরু করবে ইংল্যান্ড।  শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজকোট টেস্টের দ্বিতীয় দিনে পিচের ‘সুরক্ষিত অঞ্চলে’ দৌড়ানোর অপরাধে স্বাগতিকদের ৫ রানের পেনাল্টি দিয়েছেন আম্পায়ার। এদিন পিচের সুরক্ষিত অঞ্চলে দৌড়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তবে দোষটি অশ্বিনের একার না, রবীন্দ্র জাদেজারও দায় আছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) একই কাজ করেছিলেন জাদেজা। সে সময়ে প্রথম ও চূড়ান্ত সতর্কতা শুনেছিলেন তিনি। আজ একই কাজ করায় ভারতকে ৫ রান জরিমানা করা হয়েছে। আইসিসির ৪১.১১ ধারা অনুযায়ী, ‘দুই প্রান্তের পপিং ক্রিজের সমান্তরালে ও প্রতিটি থেকে ৫ ফুট বা ১ দশমিক ৫২ মিটার দূরে কল্পিত রেখা এবং দুই প্রান্তের মিডল স্টাম্প থেকে ১ ফুট বা ৩০ দশমিক ৪৮ সেন্টিমিটার দূরে সমান্তরাল কল্পিত রেখা দ্বারা আবদ্ধ একটি আয়তক্ষেত্র।’ আইনের ৪১.১৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী, ‘ব্যাটসম্যান পিচের ওই সুরক্ষিত অঞ্চলে দৌড়ালে তাকে সরিয়ে নেওয়া হবে। যদি আম্পায়ার মনে করেন, সেখানে থাকার কোনো ন্যায্য কারণ ওই ব্যাটারের নেই, তাহলে তিনি ওই অঞ্চলের ক্ষতি করছেন বলে ধরে নেওয়া হবে। এমন ঘটনার ক্ষেত্রে প্রথমবার ব্যাটসম্যানকে সতর্ক করা হবে। বোলিং প্রান্তের আম্পায়ার ক্রিজের দুই ব্যাটসম্যানকেই এ তথ্য জানাবেন। যে সতর্কতা বহাল থাকবে পুরো ইনিংসেই। পরবর্তী একই ঘটনার ক্ষেত্রে বল ডেড হওয়ার পর ৫ রান পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেবেন। নো বল বা ওয়াইড ছাড়া সব রানও বাতিল করে সেই ডেলিভারিকে ডেডও ঘোষণা করবেন আম্পায়ার।’ ফলে ভারতের প্রথম ইনিংসের জবাবে বিনা উইকেটে ৫ রান নিয়ে ইনিংস শুরু করবে ইংলিশরা। ঘটনার সময় ভারতের রান ছিল ৭ উইকেটে ৩৫৮ রান। এ প্রতিবেদন পর্যন্ত ৭ উইকেটে ৩৮৮ রান নিয়ে মধ্যাহ্নবিরতিতে স্বাগতিকরা। অশ্বিনের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন জুরেল।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৫০

টি-টোয়েন্টিতে বিনা উইকেটে সংগ্রহ ২৫৮ রান
টি-টোয়েন্টিতে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়লো ক্রিকেটের নবাগত দল জাপান। তাণ্ডব চালিয়ে বিনা উইকেটে ২৫৮ রান তুলে বিশ্ব রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন জাপানের দুই ওপেনার লাচলান ইমামোতো লাকে ও কেন্দেল কাদোওয়াকি ফ্লেমিং। আইসিসি স্বীকৃত হংকংয়ে বসেছে তিন দল হংকং, জাপান ও চীনকে নিয়ে ‘ইস্ট এশিয়া কাপ’। এতে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) চীনের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে অবিচ্ছিন্ন ২৫৮ রান তুলেছে দলটি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিনা উইকেটে পুরো ইনিংস খেলার ২১৩ রানের রেকর্ড ছিল। ২০২২ সালে ছয় দল নিয়ে আয়োজিত টুর্নামেন্ট ভাল্লেত্তা কাপে বুলগেরিয়ার বিপক্ষে জিব্রাল্টারের দুই ওপেনার অবিনাশ পাই ও লুইস ব্রুস এ জুটি গড়েন। এবার সেই রেকর্ডে টপকে ২৫৮ রানের জুটি গড়লেন জাপানের লাকে ও ফ্লেমিং। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটিই এখন যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগে দেরাদুনে ২০১৯ সালে উদ্বোধনী জুটিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২৩৬ রানের জুটি গড়েছিলেন আফগানিস্তানের হজরতউল্লাহ জাজাই ও উসমান গনি। এই ম্যাচে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে দ্বিতীয় এক জুটিতে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড। জাপানের লাকে-ফ্লেমিং জুটি ছক্কা মেরেছেন ২৩টি। এর আগে ২০২৩ সালে এশিয়ান গেমসে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে নেপালের ব্যাটসম্যানরা সর্বোচ্চ ২৬টি ছক্কা মেরেছিলেন। ম্যাচে লাকের ৮ চার ও ১২ ছক্কায় ৬৮ বলে ১৩৪ এবং ফ্লেমিংয়ের ৩ চার ও ১১ ছক্কায় ৫৩ বলে ১০৯ রানে ভর করে ২০ ওভারে ২৫৮ রানের পাহাড় দাঁড় করা জাপান। জবাব দিতে নেমে ১৬.৫ ওভারে ৭৮ রানে গুটিয়ে যায় চীন, হেরেছে ১৮০ রানে। ম্যাচসেরার পুরস্কার দুজনকেই যৌথভাবে দেওয়া হয়।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪৬

বাংলাদেশের দাপুটে বোলিংয়ে রান খরায় পুড়ছে নেপাল
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচে নেপালরে বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপাল। সেমিতে উঠতে হলে বাংলাদেশকে এই ম্যাচ জিততেই হবে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় নেপাল। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার বিপিন রাওয়াল। ১২ বলে ২ রান করে মারুফ মৃধার বলে ক্যাচআউট হন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি আকাশ ত্রিপাঠি। ১৩ বলে ৩ রান করে ইকবাল হাসানের প্রথম শিকার হন তিনি। ব্যাটিংয়ে থিতু হতে পারেননি আরকে ওপেনার অর্জুন কুমার। ২৬ বলে ১৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন নেপালের এই ওপেনার ব্যাটার। এতে দলীয় ২৯ রানে তিন ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে নেপাল। বিশাল বিক্রামকে সঙ্গে নিয়ে নেপাল শিবিরে হাল ধরেন অধিনায়ক দেব খানাল। টাইগারই বোলার দেখে শুনে খেলতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। ৬০ বলে ৩৫ রান করে জিসান আলমের বলে ক্যাচ আউট হন খানাল।  এরপর তিন ওভারের ব্যবধানে প্রতিপক্ষের দুই ব্যাটারকে শিকার করেন পারভেজ ইমন। গুলশান ঝা ও দীপক বোহারা দুজনেই তিন রান করে বোল্ড আউট হন। এতে ছয় উইকেট হারায় নেপাল। কিন্তু পিচের এক প্রান্ত আগলে রাখেন বিশাল বিক্রাম। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে নেপালের সংগ্রহ ১৩০ রান। দিপেশ কানদেল ১১ বলে ১ রান এবং বিশাল বিক্রাম ৯৬ বলে ৫৫ রানে ব্যাট করছেন।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়