• ঢাকা রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রাত ১টার মধ্যে যে অঞ্চলে ৮০ কি.মি. বেগে ঝড়ের আভাস
সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ জেলাসহ বরিশাল, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৩

রাত ৮টার পর বন্ধ হচ্ছে শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে রাত ৮টার মধ্যে শপিংমল বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক বার্তায় বিদ্যুৎ বিভাগ এ আহ্বান জানায়। বিদ্যুৎ বিভাগের বার্তায় বলা হয়, গত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন সত্ত্বেও চলমান দাবদাহে বিদ্যুতের চাহিদা অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তা সত্ত্বেও গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা প্রদানে বিদ্যুৎ বিভাগ আন্তরিকভাবে কাজ করছে এবং একই সঙ্গে গ্রাহকদের আরও পরিমিত ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ব্যবহারে আহ্বান জানাচ্ছে। চলমান দাবদাহ ও গ্রীষ্ম মৌসুমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে গ্রাহকদেরর সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে। যেসব নির্দেশনা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ- * রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখুন। * নিম্নহারে বিদ্যুৎ বিল সুবিধা প্রাপ্তির লক্ষ্যে দোকান, শপিং মল, পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে অতিরিক্ত বাতি ব্যবহারে বিরত থাকুন। * সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী হলিডে স্ট্যাগারিং প্রতিপালন করুন। * এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর ওপরে রাখুন। * দুর্ঘটনা এড়ানোর লক্ষ্যে হুকিং বা অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বিরত থাকুন। * বেআইনিভাবে ইজিবাইক ও মোটরচালিত রিকশার ব্যাটারি চার্জিং থেকে বিরত থাকুন। * বিদ্যুতের অপচয় রোধে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করুন।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪০

রাত ১১টার পর চায়ের দোকান বন্ধ করার নির্দেশ
রাজধানীতে রাত ১১টার পর পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকান বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। এটি দ্রুত কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে মার্চ মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি উপস্থিত পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এমন নির্দেশনা দেন।  ডিএমপি কমিশনার বলেন, ছিনতাই ও অপরাধ প্রতিরোধে রাতে রাস্তার মোড়ের দোকানগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় এসব অস্থায়ী দোকানে অপরাধীরা সারা রাত আড্ডা দেয়, আর সুযোগ পেলেই ছিনতাই করে। তাই রাস্তার পাশের বিড়ি, পান ও চায়ের দোকান রাত ১১টার পর বন্ধ করে দিতে হবে। তিনি বলেন, কোনো সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠী যেন কোনো প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে না পারে সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এই ধরনের অপরাধ চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, রাস্তায় পুলিশের স্টিকার লেখা কোনো গাড়ি দেখলে ডিউটিরত পুলিশ অবশ্যই যাচাই করবেন যে, সেটা আসলেই কোনো পুলিশ অফিসারের গাড়ি কি না। কারণ গাড়িতে পুলিশের স্টিকার লাগিয়ে বা ডিএমপির লোগো লাগিয়ে সন্ত্রাসীদের চলাফেরার তথ্য পাওয়া গেছে। যদি যাচাই করে দেখা যায় সেটা পুলিশের গাড়ি নয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ডিএমপির ক্রাইম ও ট্রাফিক বিভাগ এই বিষয়টি নজর রাখবেন। কমিশনার বলেন, অন্যান্য রমজানের চেয়ে এবার রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে ক্রাইম বিভাগও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ট্রাফিক বিভাগের একার কাজ, এমনটা ভাবা যাবে না। ক্রাইম বিভাগের যাদের সামনে রাস্তায় যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা দেখা যাবে তিনি সেখানে কাজ করবেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) লিটন কুমার সাহার সঞ্চালনায় মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪০

রাত ৮টার পর মার্কেট-দোকান বন্ধে মাইকিং, না মানলে ব্যবস্থা
তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বা ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। যা আগামী তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে। এ অবস্থায় বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জে রাত ৮টা থেকে সকল মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ডিপিডিসির এনওসিএস অফিসের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শের আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মোহাম্মদ শের আলী বলেন, সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে, এ ছাড়াও গরমের দিনে বিদ্যুৎ সংকট বেশি হয়। সংকট মোকাবিলা করতে ও লোডশেডিং কমাতে রাত ৮টার পর থেকে মার্কেট ও দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে আমরা বিভিন্ন জায়গায় প্রতিদিন মাইকিং করছি।  যারা নির্দেশনা না মানবে তাদেরকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হবে, এরপরও নির্দেশনা না মানলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নও করা হতে পারে। তিনি বলেন, এই নির্দেশনা বছরজুড়েই থাকবে। এ ছাড়া অটোরিকশা স্ট্যান্ডসহ যে যে স্থাপনায় অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হয়েছে আমরা প্রতিনিয়ত অভিযানের মাধ্যমে তাদের জরিমানা করছি। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছি।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২৯

রাত ১টার মধ্যে যেসব অঞ্চলে ঝড়ের পূর্বাভাস
দেশের দুই অঞ্চলের ওপর দিয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার (২১ এপ্রিল) দিনগত রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।  এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে, রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।  এ ছাড়া পাবনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাজশাহী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, ফেনী, কক্সবাজার, চাঁদপুর ও রাঙ্গামাটি জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৩০

রাত পোহালেই শিল্পী সমিতির নির্বাচন, আমেজ নেই এফডিসিতে
চলচ্চিত্র শিল্পীদের সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। সংগঠনটির দ্বি-বার্ষিক (২০২৪-২৬) নির্বাচন শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তবে এবারের নির্বাচনে নেই কোনো আমেজ। বিগত বছর এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা ও তর্ক-বিতর্ক। যা দেশের মানুষের মুখে মুখে ছিল। তবে এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে নেই তেমন আলোচনা-সমালোচনা বা তর্ক-বিতর্ক। শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচন যেন বিএফডিসির চার দেয়ালের মাঝেই আটকে আছে। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অনেকেই বলছেন রোজা ও ঈদ থাকায় তেমনভাবে নির্বাচনের কার্যক্রম চালানো সম্ভব হয়নি। যার কারণে এবার নির্বাচন ঘিরে আলোচনা কম।  তবে সবকিছু উপেক্ষা করে চলচ্চিত্র শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করার এই সংগঠনটির নির্বাচন আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) প্রাঙ্গনে সকাল ৯টায় শুরু হয়ে দুপুরে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।  এবারের নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। যার একটি প্যানেলে জোট বেঁধেছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের দাপুটে দুই অভিনেতা মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল। আর অপর প্যানেলে রয়েছেন নায়ক মাহমুদ কলি ও নায়িকা নিপুণ আক্তার। মিশা-ডিপজল পরিষদে সহ-সভাপতি পদে লড়ছেন মাসুম পারভেজ রুবেল ও ডিএ তায়েব, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে জয় চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ডন এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল। এই প্যানেলে কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করছেন অভিনেত্রী সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, রত্মা কবির, চুন্নু, সাঞ্জু জন ও ফিরোজ মিয়া। আর মাহমুদ কলি-নিপুণ প্যানেলে অন্য প্রার্থীরা হলেন, সহসভাপতি পদে ড্যানি সিডাক ও অমিত হাসান, সহ-সাধারণ সম্পাদক বাপ্পি সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অঞ্জনা রহমান, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক পদে মারুফ আকিব, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক কাবিলা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ও কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা আজাদ খান। এ প্যানেলে কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে প্রার্থীরা হলেন সুজাতা আজিম, নাদের চৌধুরী, পীরজাদা হারুন, পলি, জেসমিন আক্তার, তানভীর তনু, মো. সাইফুল, সাদিয়া মির্জা, সনি রহমান, হেলেনা জাহাঙ্গীর ও সাইফ খান। এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু। তার সঙ্গে সদস্য হিসেবে আছেন এজে রানা ও বিএইচ নিশান।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:১৪

বোট ক্লাবে পরীমণির কাণ্ড: যেমন ছিল সেই রাত
আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে বোট ক্লাবের পরিচালক নাসির উদ্দিন মাহমুদকে মারধর, হত্যাচেষ্টা, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।  গত ১৮ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঢাকা জেলার পিবিআই পরিদর্শক মো. মনির হোসেন অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে পরীমণিসহ জুনায়েদ বোগদাদী জিমিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ মেলেনি।  ২০২১ সালের ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলার অন্য দুই আসামি হলেন, পরীমণির সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম। তদন্তের পর পরীমণির করা ধর্ষণ বা হত্যাচেষ্টার কোনো প্রমাণ পায়নি পুলিশ। তবে পিবিআই গত ১৮ মার্চ নাসিরের করা পাল্টা অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মর্মে পরীমণি ও জিমির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে যা যা বলা হয়েছে: ২০২১ সালের ৮ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে পরীমণির কস্টিউম ডিজাইনার জিম মামলার সাক্ষী তুহিন সিদ্দিকি অমিকে ম্যাসেঞ্জারে কল করে বনানীর বাসায় যেতে অনুরোধ করেন। অমি তখন বনানী কিংস বেকারি শপে অবস্থান করছিলেন। বাসায় যাওয়ার পর অমির সঙ্গে পরীমণি এবং ফাতেমা তুজ জান্নাত বনিদের সাক্ষাৎ হয়। এরপর তারা অমির কাছে জানতে চান এত রাতে উত্তরা ক্লাবে যাওয়া যাবে কি না? উত্তরে অমি জানান, রাত বেশি হয়েছে, তাই এখন উত্তরা ক্লাবে যাওয়া যাবে না। তখন জিমি জানতে চান যে, তাহলে বোট ক্লাবে যাওয়া যাবে কি না? জবাবে ঢাকা বোট ক্লাবে যাওয়া যাবে মর্মে জানান অমি। তখন পরীমণির অনুরোধে অমিসহ তারা চারজন অমির কালো রঙের জিপ গাড়িতে করে রাত ১২টা ২২ মিনিটে ঢাকা বোট ক্লাবে আসেন। গাড়ির পেছনে পরীমণির সাদা রঙের খালি জিপ গাড়ি বোট ক্লাবে প্রবেশ করে। ক্লাবের দোতলায় উঠে প্রথমে পরীমণি ও ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি বারের সামনে থাকা টয়লেট ব্যবহার শেষে বারের ভেতরে প্রবেশ করেন এবং টিভির সামনের টেবিলে বসেন। টেবিলে সাক্ষী অমিও বসেন। সৌজন্যতার খাতিরে অমি তাদেরকে স্ন্যাক্স জাতীয় খাবার নিজ খরচে পরিবেশন করে আপ্যায়ন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরীমণি একটি এক লিটারের ব্লু-লেবেল মদের বোতল অর্ডার করেন। পরীমণি ও তার সঙ্গে থাকা জিম ও বনি নিমিষেই সেই বোতলের অ্যালকোহল পান করে বোতল খালি করে ফেলেন এবং অনুরূপ আরেকটি বোতলের অর্ডার করেন। তারা ঐ বোতলের আংশিক মদ পান করেন। ঘটনার সূত্রপাত যেভাবে : আড্ডার একপর্যায়ে তাদের ২/৩ টেবিল পেছনে বোটক্লাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাছির উদ্দিন মাহমুদকে আরো দুইজন ব্যক্তির সঙ্গে বসা দেখতে পান অমি। তখন অমি পরীমণিকে নিয়ে নাসির মাহমুদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন এবং পুনরায় তাদের টেবিলে এসে বসে মদ্যপানসহ গল্পগুজব করতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর নাসির মাহমুদ ও তার সঙ্গে থাকা আরও দুইজন যখন বার থেকে চলে যাচ্ছিলেন, তখন পরীমণি নাসির মাহমুদকে ডেকে বললেন, ‘ভাই আমি আসলাম, আর আপনি এক্ষুনি চলে যাচ্ছেন? আমাদের সঙ্গে আরেকটু বসেন। আসেন কিছুক্ষণ গল্প করি।’ তখন পরীমণির অনুরোধে নাসির মাহমুদ ফিরে এসে পুনরায় তার টেবিলে বসেন। কিছুক্ষণ পর ড্রিংকস শেষে পরীমণি ওয়েটারকে আরও এক লিটারের তিনটি ব্লু লেবেল মদের বোতলসহ দুই বোতল ওয়াইন পার্সেল দেওয়ার জন্য অর্ডার করেন। ওয়েটার তখন পরীমণিকে দুই বোতল ওয়াইন পার্সেল দিলেও ব্লু লেবেল মদের বোতল স্টকে না থাকায় পার্সেল দিতে পারেননি। তখন পরীমণি ডিসপ্লেতে থাকা একটি ব্লু লেবেল বোতল পার্সেল করে দিতে বললে ওয়েটার জানান, বোতলটি বিক্রির জন্য নয় এবং ক্লাবের মেম্বার ছাড়া পার্সেল দেওয়া যাবে না। কিন্তু পরীমণি জোর করে ওই বোতল নিতে চান এবং টেবিলে হট্টগোল করতে থাকেন। পরীমণি উত্তেজিত হয়ে কার্ডহোল্ডার বের করে দুই-তিনটি ব্যাংক কার্ড দেখিয়ে বলেন, ‘আমি কি ফকিরনি? আমার বিল আমি পরিশোধ করব। আমি এটা নেবই।’ তখন পরীমণির সঙ্গে থাকা ফাতেমা বনি বলেন, ‘ওনাদের যদি রুলস থাকে, মেম্বার ছাড়া নেওয়া যাবে না, তাহলে তুমি নিও না।’  তখন পরীমণি বনিকে থাপ্পড় মেরে বলে, ‘আমাকে দেখে কি মাতাল মনে হয়?’ পরীমণির সঙ্গে থাকা জিম তাকে শান্ত করতে গেলে তাকেও পরীমণি থাপ্পড় মারেন। একপর্যায়ে পরীমণি খুবই উত্তেজিত হয়ে টেবিলের ওপর থাকা গ্লাস, অ্যাশট্রে, বোতল ফ্লোরে এদিক ওদিক ছুড়তে থাকেন। তখন নাসির মাহমুদ ক্লাবের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পরীমণিকে বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এতে পরীমণি আরও ক্ষেপে গিয়ে একটি অ্যাশট্রে নিয়ে তার দিকে ছুড়ে মারেন। যা তার ডান কানের ওপরে মাথায় লাগে। তখন নাসির মাহমুদ ক্লাবে পরীমণিকে সঙ্গে করে আনায় অমির ওপর রেগে যান এবং বলেন, ‘এরকম বেয়াদব মহিলা নিয়ে কেন ক্লাবে আসেন, কাল আপনার নামে নোটিশ হবে। এক্ষুনি এদেরকে নিয়ে বেরিয়ে যান।’ তখন জিম তেড়ে এসে বাদী নাসির মাহমুদকে গালমন্দ করতে করতে ২/৩ টা কিলঘুসি মারেন। এরপর আবারও পরীমণি বারের ভেতরে যত্রতত্র গ্লাস ছুড়ে ভাঙচুর করতে থাকেন। একটি গ্লাস নাসির মাহমুদের বুকে লাগলে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হন। তখন নাসির মাহমুদ বোট ক্লাব ত্যাগ করে চলে যান। ক্লাব ত্যাগ করার মুহূর্তে পরীমণিকে ক্লাব ছেড়ে চলে যেতে বলার জন্য ক্লাবের নিচে কর্মরত সিকিউরিটি গার্ডকে নির্দেশ দিয়ে যান। নাসির মাহমুদ আহত অবস্থায় ওই রাতে আড়াইটার দিকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। মদের বিল না দিয়েই চলে যান পরীমণি : বার ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য সিকিউরিটি গার্ড পরীমণিকে বারবার বললেও তারা যেতে চাননি। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর সিকিউরিটি গার্ড বারের লাইট ও এসি কমিয়ে দেয়। তারপরও পরীমণি যেতে না চাইলে অমি তাকে বার থেকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এবং পরীমণির সঙ্গে থাকা জিম ও সিকিউরিটি গার্ড তাকে ধরে গাড়িতে তুলে দেয়। ক্লাবে তাদের খাওয়া দুই বোতল ব্লু লেবেলের দাম ও পার্সেলে নেওয়া দুই বোতল ওয়াইনের দাম পরিশোধ না করেই তারা ক্লাব থেকে চলে যায়। এই চারটি বোতলের দাম ৮৭ হাজার ৬৫০ টাকা। এ ছাড়া ক্লাবের বারের ভেতরে গ্লাস, অ্যাশট্রে, বোতল ভাঙচুর করায় আনুমানিক ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন বলেন, মামলার তদন্তভার পাওয়ার পর থেকে সচেতনতার সঙ্গে কাজ করেছি। বাদীর অভিযোগের বিষয়ে নিবিড় তদন্ত করে এ প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছি। ঘটনার চাক্ষুষ সাক্ষী আছে, মেডিকেল রিপোর্ট আছে। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ ও তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিবেদন দাখিল করেছি। মামলায় নাসির উদ্দিন উল্লেখ করেন, পরীমণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল সেবনে অভ্যস্ত। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। এরপর পরীমণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়ে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢোকেন এবং দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। এতে আরও বলা হয়, বাদী (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত ১টা ১৫ মিনিটে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমণি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাসিরকে ডাক দেন। তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসারও অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে পরীমণি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসিরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনা মূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য চাপ দেন। নাসির উদ্দিন এতে রাজি না হওয়ায় পরীমণি তাকে গালমন্দ করেন। নাসির এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমণি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। বাদী মামলায় আরও উল্লেখ করেন, পরীমণি ও তার সহযোগীরা তাকে (নাসির উদ্দিনকে) মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন এবং বোট ক্লাবে ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমণি সাভার থানায় বাদী নাসির উদ্দিনসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে মামলা করেন। বাদীর আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেছি, পিবিআইয়ের তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এদিকে বোটক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে হত্যা করতে ভাঙা গ্লাস ছুড়ে মেরেছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। এমনটাই বলছেন নাসির উদ্দিন মাহমুদের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ বিষয়ে শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। আইনজীবী বলেন, ঘটনার দিন রাতে পরীমণি মদ্যপ ছিলেন। মদ পার্সেল না দেয়ায় বোটক্লাবে ভাঙচুর ও মারধর করেন তিনি। নাসিরকে মেরে ফেলতে ভাঙা গ্লাস ছুড়ে মেরেছিলেন পরীমণি। এদিন পরীমণির বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন বাদীপক্ষ। এ বিষয়ে আদেশ পরে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালত।   
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৪

দিনের বেলায় রাত নেমে এলো মনপুরায়, লন্ডভন্ড বাড়িঘর
দিনের বেলায় রাত নেমে এলো মনপুরায়, সকাল ১০টা থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে অন্ধকার হতে থাকে।  রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল ১১টায় উপজেলাজুড়ে যেন রাত নেমে আসে। এ সময় প্রবল বেগে ঝড় ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় রাস্তাঘাটে থাকা মানুষ চারদিকে ছুটোছুটি করে নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করে। শুরু হয় প্রবল বেগে আকস্মিক ঝড় ও শিলাবৃষ্টি। এতে বাড়িঘর ও গাছপালা ভেঙে লন্ডভন্ড হয়ে যায় ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলা।  এই আকস্মিক কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে অন্তত ৬৬০টি বাড়িঘর পুরোপুরি ও প্রায় ২ হাজার বাড়িঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা। এ ছাড়াও ঝড়ের কবলে পড়ে ৮ জন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। এ দিকে অসংখ্য গবাদি পশু নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে।  উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য না দিতে পারলেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউএনও। তিনি বলেন, আজ সকাল ১১টায় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে রাতের মতো অন্ধকার হয়ে যায়। এ সময় নেমে আসে প্রবল কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। ঘণ্টাব্যাপী চলে এ ঝড়ের তাণ্ডব। ঝড়ে গাছপালা ভেঙে পড়ে রাস্তাঘাট অবরুদ্ধ থাকায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে মনপুরা ফায়ার সার্ভিসের সাব স্টেশন অফিসার মো. ফজলুর রহমান বলেন, সকাল ১১টার দিকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে হঠাৎ প্রবল ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে পুরো মনপুরায় বাড়িঘর ও গাছপালা ভেঙে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এতে সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় আমরা ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে উদ্ধার ও পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করি। 
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২২:২৩

রাত ১টার মধ্যে ১৫ অঞ্চলে ঝড়ের পূর্বাভাস
ঢাকাসহ দেশের ১৫ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার (৭ এপ্রিল) দিনগত রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, রাজশাহী, পাবনা, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে রাত ১টার মধ্যে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।  এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে, রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝোড়োহাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া একই সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। তবে, পাবনা এবং চুয়াডাঙ্গা জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ; বরিশাল, পটুয়াখালী ও রাঙ্গামাটি জেলাসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ, রংপুর ও ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে।  
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৩৮

সোমবার দিনেই নামবে সাময়িক রাত
আগামী ৮ এপ্রিল বিরল এক সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্ব। এদিন  সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে চাঁদ, ফলে কিছুক্ষণের জন্য দিন হবে সাময়িক রাত। তবে সব সূর্যগ্রহণের মতো একই সঙ্গে পৃথিবীর সব অঞ্চল থেকে দেখা যাবে না বিরল এ সূর্যগ্রহণ। মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মানুষ দেখতে পারবেন এটি। বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার বরাত দিয়ে আমেরিকান সংবাদমাধ্যম সিনেটের জানিয়েছে, উত্তর আমেরিকায় সবশেষ ১৯৭০ সালে এমন সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছিল। আবার ২০৪৪ সালে পুনরায় দেখা মিলবে এ গ্রহণের। চমকপ্রদ সূর্যগ্রহণ দেখতে অধীর অপেক্ষায় রয়েছে কয়েক মিলিয়ন মানুষ, একই সঙ্গে এই সূর্যগ্রহণ দেখার অপেক্ষায় ‘আকাশবাসী’ মানুষেরাও। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে মহাকাশচারীরা এই সূর্যগ্রহণ দেখবেন। পৃথিবী থেকে একবার দেখা যাবে এটি, তবে মহাকাশ স্টেশন থেকে এই গ্রহণ দেখা যাবে একাধিকবার। সূর্যগ্রহণ চলাকালে পৃথিবীর পৃষ্ঠজুড়ে ট্র্যাক করবে মহাকাশ স্টেশন। মহাকাশচারীরা মোট তিনবার সূর্যগ্রহণের দৃশ্য দেখতে পারবেন। প্রথমবার যখন দেখতে পাবেন তখন মহাকাশ স্টেশনটি প্রশান্ত মহাসাগরের ওপরে থাকবে। এরপর নিউজিল্যান্ড এলাকা থেকে ক্যালিফোর্নিয়া ও আইডাহোর দিকে যাওয়ার সময় দেখতে পাবেন। মহাকাশ স্টেশনটি যখন মেইন এবং নিউ ব্রান্সউইকের ওপরে অবস্থান করবে তখন পূর্ণ সূর্যগ্রহণের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, এই সূর্যগ্রহণ শুরু হবে মেক্সিকোতে। এরপর তা ধীরে ধীরে সরে আসবে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর। আমেরিকার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সূর্যগ্রহণ হবে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও কানাডা, মেক্সিকো এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে এ দৃশ্য দেখা যাবে। তবে সব সূর্যগ্রহণের মতো একইসঙ্গে পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চল থেকে এর দর্শন মিলবে না।  বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, খুবই বিরল এ পূর্ণ সূর্যগ্রহণের দিন সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের মতো আকাশ অন্ধকার হয়ে যাবে। সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানে চাঁদ এলে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হয়। সূর্যগ্রহণ দেখতে পরতে হবে বিশেষ চশমার প্রয়োজন হবে। সূর্যগ্রহণের দিকে খালি চোখে তাকালে সিংহভাগ চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, চাঁদ প্রতি ১৮ মাস পর পর পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে চলে আসে। নাসার তথ্য অনুসারে, ৩৭৫ দিন পরপর পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে সময় বেশিও লাগতে পারে।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়