• ঢাকা সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
এনডিটিভির প্রতিবেদন / নারীসহ ওই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন এমপি আনার
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নিউ টাউনের সঞ্জিভা গার্ডেনের একটি ফ্ল্যাটে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। এরমধ্যে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  এমপি আনারের দেহাবশেষ উদ্ধার হলেও মরদেহের খণ্ডিত অংশের সন্ধান এখনও মেলেনি। আজ (শুক্রবার) তার দেহাবশেষ উদ্ধারে কসাই জিহাদকে নিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে দেশটির পুলিশ। তবে এর মধ্যেই উঠে এসেছে এক নতুন তথ্য। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি শুক্রবার (২৪ মে) জানিয়েছে, নিউ টাউনের ওই বাড়ি থেকে পাওয়া সিসিটিভির একটি ফুটেজে দেখা গেছে, এমপি আনার নারীসহ ওই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন। এরপর সেখানে তাকে হত্যা করে, মরদেহ টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তারা এখন হানি ট্র্যাপের বিষয়ে তদন্ত করছে। হানি ট্র্যাপের মাধ্যমে মূলত নারীদের ব্যবহার করা হয়। তারা নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে টার্গেট করেন এবং লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে বিপদে ফেলেন। সিসিটিভিতে যে নারীকে দেখা যাচ্ছে সেটি শিলাস্তি রহমান ওরফে সিনথিয়া রহমান বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে শিলাস্তিকে আটক করেছে পুলিশ। ঢাকা থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কলকাতার এক পুলিশ সদস্য এনডিটিভিকে বলেছেন, তদন্ত ইঙ্গিত করছে এমপি আনার হানি ট্র্যাপের ফাঁদে পড়েছিলেন। মনে হচ্ছে ওই নারীর মাধ্যমে তাকে সেখানে নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা সন্দেহ করছি ফ্ল্যাটে প্রবেশের পরই বাংলাদেশি এমপিকে হত্যা করা হয়েছে। গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনোয়ারুল আজিম। তিনি পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে ওঠেন। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন আনোয়ারুল আজিম। বাড়ি থেকে বের হওয়ার পাঁচদিন পর গত ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজিমের নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলে না তিনবারের এই সংসদ সদস্যের। বুধবার হঠাৎ খবর ছড়ায় কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় একটি আবাসিক ভবনে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে রক্তের ছাপ। তবে সেখানে তার মরদেহ মেলেনি। এদিকে আনারকে হত্যায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে জিহাদ হাওলাদার নামের এক অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ। পেশায় কসাই জিহাদ আনারকে হত্যার পর তার মরদেহ থেকে চামড়া ছাড়ান। এরপর তার মরদেহ টুকরো টুকরো করে সেগুলো শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেন। যেন কোনোদিন এমপি আনারের অস্তিত্ব খুঁজে না পাওয়া যায়। হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে আরও তথ্য খুঁজে বের করতে কসাই জিহাদকে ১২ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
২৪ মে ২০২৪, ২২:২৩

গাজায় ইসরায়েলি হামলা, গর্ভবতী নারীসহ নিহত ১৮
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় এক গর্ভবতী নারীসহ ১৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে কমপক্ষে ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গাজা সিটিতে পৃথক হামলায় নারী ও শিশুসহ আরও ৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বুধবার (২২ মে) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এই তথ্য জানায়। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, মধ্য গাজায়  নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বোমা হামলায় এক গর্ভবতী নারীসহ ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে। এ ছাড়া গাজা শহরে ইসরায়েলের চলমান হামলায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অন্তত আরও আটজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। একজন চিকিৎসকের উদ্ধৃতি দিয়ে সংস্থাটি বলেছে, শহরের দারাজ এলাকায় ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে, যার বয়স এখনও এক বছর পূর্ণ হয়নি। অন্যদিকে শহরের তুফাহ পাড়ায় আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দুই নারী ও এক নাবালক শিশুসহ আরও চারজন নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানায়, ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৫ জন নিহত এবং আরও ২০০ জন আহত হয়েছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন। কারণ, উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। এ ছাড়া গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৩৫ হাজার ৬৪৭ জনে পৌঁছেছে। হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ৭৯ হাজার ৮৫২ জন। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলের এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে বলে বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে।
২২ মে ২০২৪, ১২:৫৬

ইরানে দুই নারীসহ সাতজনের ফাঁসি কার্যকর
ইরান দুই নারীসহ সাতজনের ফাঁসি কার্যকার করেছে। বিভিন্ন অপরাধের দায়ে তাদের ফাঁসি দেওয়া হয়। শনিবার (১৮ মে) এসব ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তাছাড়া আরও এক ইহুদি নাগরিককেও ইরান ফাঁসিতে ঝুলাতে পারে বলে দাবি করেছে নরওয়েভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর)। এক বিবৃতিতে আইএইচআর বলেছে, ফাঁসি কার্যকর করা এক নারীর মধ্যে একজন হলেন পারভিন মুসাভি। দুই সন্তানের মা ও ৫৩ বছর বয়সী এই নারী মাদক-সংক্রান্ত মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। আরেক নারী হলেন ফাতেমেহ আবদুল্লাহি (২৭)। স্বামীকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মুসাভি চার বছর ধরে কারাগারে ছিলেন। মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে, পাঁচ কেজি পরিমাণ মাদকের একটি প্যাকেজ বহন করার জন্য এই নারীকে ১৫ ইউরোর সমপরিমাণ অর্থ দেওয়া হয়েছিল। আইএইচআর জানিয়েছে, চলতি বছরের এই পর্যন্ত ইরান কমপক্ষে ২২৩টি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। আর সেগুলোর মধ্যে শুধু মে মাসেই কার্যকর হয়েছে অন্তত ৫০টি। তাছাড়া এপ্রিল মাসে ছয়জন নারীসহ ১১৫ জনকে ফাঁসি দিয়েছি ইরান। সংস্থাটি আরও বলেছে, ২০১৫ সালের পর গত বছরে সবচেয়ে বেশি ফাঁসি কার্যকর করে ইরান। এদিকে, ইরানে বসবাসরত ইহুদি সম্প্রদায়ের এক যুবককে সোমবার (২০ মে) ফাঁসি দিতে পারে ইরান। আইএইচআর বলেছে, ওই যুবকের নাম আরভিন ঘহরেমানি (২০)। তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ ছিল। তাছাড়া মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন কামরান শেখেহ নামক কুর্দি নাগরিক। ২০০৯ থেকে ২০১০ সালের জানুয়ারির মধ্যে একই মামলায় কামরান শেখেহসহ সাত কুর্দি নাগরিককে গ্রেপ্তার করে ইরানি কর্তৃপক্ষ। গ্রেপ্তারের প্রায় দেড় দশক পরে গত মাসে তাদের মধ্যে ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানে ইহুদী সম্প্রদায়ের সংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। এরপরও ইসরায়েলের বাইরে মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম ইহুদি জনগোষ্ঠী ইরানেই রয়েছে।
১৮ মে ২০২৪, ২১:২২

আবাসিক হোটেলে অভিযান, নারীসহ আটক ৭
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় একটি আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ।  শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম। এর আগে, শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পৌরসভার সড়ক বাজারের ভূঁইয়া আবাসিক হোটেল থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, ভূঁইয়া আবাসিক হোটেলের মালিক উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের ছোট কুড়িপাইকা গ্রামের মৃত রেয়াছত আলী ভূঁইয়ার ছেলে মো. জসীম ভূঁইয়া (৫০), গাজীপুর জেলার মোগর খাল এলাকার ছায়েম মিয়ার ছেলে নাঈম ভূঁইয়া (৪০), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ঘাটিয়ারা গ্রামের হুমায়ূন কবিরের ছেলে মো. আশিক মিয়া (২২), বিজয়নগর উপজেলার মেরাসানী সরদার পাড়ার মৃত আ. নুর এর ছেলে আ. রহিম (৪৫)। এছাড়া আরও তিন নারীকে আটক করা হয়েছে।  আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম জানান, এ আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ হচ্ছে, এমন খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। 
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:২৬

নারীসহ আরও ৩ কেএনএফের সদস্য গ্রেপ্তার 
বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে হামলা, টাকা ও অস্ত্র লুটের ঘটনার দায়ে কেএনএফের আরও তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে এ ঘটনায় ৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রুমা উপজেলার ইডেন পাড়ার বাসিন্দা লাল রিন তোয়াং বম (২০), ভান নুয়াম থাং বম (৩৭) এবং ভান লাল থাং বম (৪৫)। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সন্ধ্যায় তাদের আদালতে তোলা হলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাজমুল হোছাইন। পুলিশ জানায়, গত ২ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে হামলা, টাকা ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় দায়েরকৃত পাঁচটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কেএনএফএর সহযোগী হিসেবে যৌথবাহিনীর সদস্যরা তাদের গ্রেপ্তার করে। পরে যাচাই বাছাই শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) বিশ্বজিৎ সিংহ জানিয়েছেন, রুমা থেকে গ্রেপ্তার এক নারীসহ তিনজনকে ব্যাংক ডাকাতির সময় অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটের মামলায় আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী জানান, বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ঘটনার পর এ পর্যন্ত নয়টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে এই পর্যন্ত ৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৯

ভাড়া বাসায় অসামাজিক কার্যকলাপ, নারীসহ আটক ১২ 
রংপুরের পীরগঞ্জে বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালনার অভিযোগে এক দম্পতিসহ ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এরমধ্যে পাঁচজন নারী রয়েছেন। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে আটকদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পীরগঞ্জ পৌরসভার প্ৰজাপাড়া (পালপাড়া) ও মদনখালী ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলেন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ এলাকার ইসমতারা সুমি (২০), ঢাকার নবাবগঞ্জের সানজিদা আক্তার ইতি (২৪), মুন্সিগঞ্জের সুমাইয়া আক্তার (২০), পীরগঞ্জের রায়পুরের শ্যামলী খাতুন (৩২) এবং তার স্বামী দুলু মিয়া (৪০), ফতেহপুর ফকিরা গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৩৭), রামনাথপুর ইউনিয়নের রশিদুল ইসলাম (২৮) ও শিহাব মিয়া (২১), পীরগঞ্জ পৌর এলাকার উত্তম চন্দ্ৰ পাল (২৭), সর্দারপাড়া মহল্লার স্বপন হাসান (৩৫), মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার জেসমিন আক্তার (২৩) এবং পীরগঞ্জের খয়েরবাড়ি গ্রামের মনোয়ার হোসেন (৫০)। পুলিশ জানায়, পীরগঞ্জ পৌরসভার প্ৰজাপাড়ায় দুলু মিয়ার (পালপাড়া) ভাড়া বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে অসামাজিক কার্যকলাপ চলছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দিনগত মধ্যরাতে সেখানে অভিযান চালিয়ে দুলু মিয়া ও তার স্ত্রীসহ ১০ জনকে আটক করে পুলিশ। পরে অপর অভিযানে পীরগঞ্জ থানার ৫ নম্বর মদনখালী ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি গ্রাম থেকে বাড়ির মালিক মনোয়ার হোসেন ও এক নারীকে আটক করা হয়। পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ১২ জনকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪১

পাথরঘাটায় শূকরের কামড়ে নারীসহ আহত ৫
বরগুনার পাথরঘাটায় লোকালয়ে বন্য শূকরের কামড়ে নারীসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের দক্ষিণ গাববাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  আহতদের মধ্যে গাব্বারিয়া গ্রামের বাসিন্দা বেলায়েত মীর (৬০) ও তার ছেলে ইব্রাহিম মীর  (৩৫) একই গ্রামের হুমায়ুন কবিরের ছেলে আব্বস প্যাদা (৩৩) আবদুর রবের মেয়ে ছকিনা (৩২) পাশাপাশি বড় টেংরা এলাকার আব্দুল হানিফ মোল্লার ছেলে সাইফুল মোল্লা (৩০) এর নাম জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী মো. জসিম হাওলাদার জানায়, হঠাৎ করে বসতবাড়ির বাগান থেকে একটি বন্য শূকর বেরিয়ে বেলায়েত মীরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ সময় বাবার চিৎকার শুনে বাঁচাতে ছেলে ইব্রাহিম মীর উদ্ধার করতে গেলে তাকেও কামড় দিয়ে ওখান থেকে চলে যায়। পরে খালের ওপাড়ে ছকিনা বেগমকে ধাওয়া করে তাকেও কামড়ে আহত করে। সেখান থেকে পার্শ্ববর্তী বড় টেংরা এলাকার বাসিন্দা সাইফুল মোল্লাকেও কামড় দেয়। তাৎক্ষণিক এলাকাবাসীর আহতদের উদ্ধার করে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এদের মধ্যে বেলায়েত মীর ও সাইফুল মোল্লার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাক্তার রাশিদা তানজুম হেনা। এ বিষয়ে চিকিৎসক রাশিদা আনজুম হেনা বলেন, প্রত্যেকের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় শুকরের কামড় রয়েছে। তাদের ৫ জনকেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে দুইজনের অবস্থা গুরুতর তাই উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।  
২৮ মার্চ ২০২৪, ১১:৩০

ভাড়া বাসায় অসামাজিক কার্যকলাপ, নারীসহ গ্রেপ্তার ৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফ্ল্যাট বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে ৪ নারী ও এক খদ্দরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে শহরের টেংকের পাড় এলাকায় একটি ভাড়া বাসা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।  গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আশুগঞ্জ খালপাড়ের মৃত আমীর আলীর ছেল মো. আ. রউফ (৬০), সদর উপজেলার সুলতানপুরের বিল্লাল মিয়ার স্ত্রী শিল্পী বেগম (৪০), তার মেয়ে সুমাইয়া (১৯), সদর উপজেলার নাটাই গ্রামের সলিম বাড়ির মৃত নান্নু মিয়ার মেয়ে তামান্না আক্তার (২২) ও উপজেলার বুধল ইউনিয়নের ছাতিয়াইন গ্রামের নান্নু মিয়ার মেয়ে জাকিয়া (১৯)। পুলিশ জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ, জনাব মো. আসলাম হোসেন সার্বিক দিকনির্দেশনায় শনিবার দুপুরে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শ্রী সুমন চন্দ্র বনিক, এসআই আইয়ুব আলী ও এসআই পুষন সাহা সঙ্গীয় ফোর্সসহ পৌরসভাস্থ শহরের টেংকের পাড়স্থ বাসার ৫ম তলায় অভিযান পরিচালনা করে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ৪ নারীসহ ১ খদ্দরকে গ্রেপ্তার করে। এ ব্যাপার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, বিভিন্ন অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে গোপন ভিত্তিতে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
২৩ মার্চ ২০২৪, ২০:৫৩

গোপালগঞ্জে নারীসহ প্রতারক চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার
গোপালগঞ্জে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সর্বস্ব লুটে নেওয়া প্রতারক চক্রের নারীসহ ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার বোড়াশি পশ্চিমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ আনিচুর রহমান। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার কাশালিয়া গ্রামের ফেরদাউস মিয়ার ছেলে মো. শাকিল মিয়া (২১), গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বোড়াশি পশ্চিমপাড়া এলাকায় মৃত আশরাফ শিকদারের ছেলে বিল্লাল শিকদার (২৫), একই উপজেলার বাঁশবাড়ী গ্রামের কামাল শেখের ছেলে বাধন শেখ (২৪) ও সিঙ্গারকৃল গ্রামের ইমরুল মল্লিকের মেয়ে মাবিয়া শেখ (১৮)। ওসি মোহাম্মদ আনিচুর রহমান জানান, বাগেরহাট জেলার বাসিন্দা পিকিং বর্মনের সঙ্গে প্রতারক চক্রের সদস্য গ্রেপ্তারকৃত মাবিয়ার সঙ্গে পরিচয় ঘটে। এরপর মোবাইল ফোনে তাদের মধ্যে নিয়মিতভাবে কথোপকথন চলতে থাকে। বুধবার দেখা করার জন্য গোপালগঞ্জে আসার প্রস্তাব দেয় মাবিয়া। পরে পিকিং বর্মন দেখা করতে গোপালগঞ্জ আসলে তাকে জিম্মি করে কাছে থাকা মোবাইল ফোন, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয় এ প্রতারক চক্রের সদস্যরা। ওসি জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পিকিং বর্মন প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বোড়াশী পশ্চিমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করে পুলিশ। পরে শুক্রবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। ওসি আরও জানান, ওই ঘটনায় জড়িত বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।  কেউ এমন প্রতারণার শিকার হলে পুলিশকে জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা। 
১৫ মার্চ ২০২৪, ২০:০১

ইসরায়েলের হামলায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ নিহত ৫
দক্ষিণ লেবাননের একটি বাড়িকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ ৫ জন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন।   রোববার (১০ মার্চ) আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।  নিহতদের মধ্যে এক দম্পতি ও তাদের দুই সন্তান এবং একজন গর্ভবতী মা ছিলেন। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের এই বর্বর হামলায় বাড়িটি পুরো ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ছাড়া আশপাশের কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত ও তাদের মধ্যে থাকা ৯ জন আহত হয়েছেন।  মূলত গাজায় দখলদার ইসরায়েলের হামলার প্রতিশোধ নিতে গত বছরের অক্টোবর থেকেই ইসরায়েলে হামলা চালাচ্ছে হিজবুল্লাহ। এরপর থেকেই তাদের মধ্যে ধীরে ধীরে আগ্রাসন বাড়ছে।  হিজবুল্লাহ একটি শিয়া মুসলিম সংগঠন। লেবাননের রাজনীতিতে তাদের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। দেশটিতে সবচেয়ে শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে তাদের। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে ১৯৮২ সালে হিজবুল্লাহ গড়ে তোলে ইরান। হিজবুল্লাহ জানিয়েছ, ইসরায়েল যদি গাজা উপত্যকায় অভিযান বন্ধ করে তাহলে তারাও ইসরায়েলে আর হামলা চালাবে না। তবে গাজায় যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে হিজবুল্লাহও যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। এদিকে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় ৩০০ এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ২৩৯ জন হিজবুল্লাহ সদস্য ও  ৫০ জন বেসামরিক নাগরিক রয়েছে। এছাড়া হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েল বাহিনীর এক ডজনেরও বেশি সদস্য এবং পাঁচ বেসামরিক নিহত হয়েছেন।
১০ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়