রাত ১টার মধ্যে যেসব জেলায় তীব্র ঝড়ের পূর্বাভাস
![রাত ১টার মধ্যে যেসব জেলায় তীব্র ঝড়ের পূর্বাভাস](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/05/26/image-275376-1716736151.jpg)
ফাইল ছবি
দেশের বেশ কিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে তীব্র ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রোববার (২৬ মে) দিনগত রাত ১টা পর্যন্ত এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে রাত ১টার মধ্যে পূর্ব অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার অথবা তার চেয়ে বেশি বেগে ঝোড়োহাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া দেশের অন্যত্র পূর্ব অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সবশেষ যে তথ্য জানা গেল
সারাদেশে চলমান তাপপ্রবাহ কিছুটা কমে এসেছে। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে তা আরও প্রশমিত হতে পারে। এরপর সারাদেশে বৃষ্টির দাপট থাকবে। এ সময়ের মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ তৈরির পূর্বাভাস রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হলে এর নাম হবে ‘রেমাল’। চলতি মাসের শেষের দিকে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির শনিবার (১৮ মে) বিকেলে গণমাধ্যমকে জানান, সাধারণত মে ও জুন মাসে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়ে থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় ২০ তারিখের পরবর্তী সময়ে একটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে। এটি আরও ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হওয়ার আগ পর্যন্ত এর গতিবিধি ও প্রভাব সম্পর্কে এখনই কিছু বলা যাবে না। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর সার্বক্ষণিক নজর রাখছে।
আরেক আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। লঘুচাপ এখনও সৃষ্টি হয়নি। তাই আমরা এখনই ঘূর্ণিঝড়ের কথা বলতে পারি না। তবে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।
এদিকে ভারতের আবহাওয়া অফিস বলছে, ভারতের তামিলনাড়ুর দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলের কাছাকাছি একটু ঘূর্ণিবার্তা হওয়ার প্রক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। আগামী সাত দিনে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মে মাসে বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। সুন্দরবনের কারণে সে যাত্রায় রক্ষা পেয়েছিল দেশের উপকূল। এর আগে ২০০৯ সালের মে মাসেই সুন্দরবনে আঘাত হেনেছিল প্রলয়ঙ্করী আইলা।
![ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সবশেষ যে তথ্য জানা গেল](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/05/18/image-274135-1716036019.jpg)
ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে যেখানে আঘাত হানতে পারে
চলতি মাসের ২২ বা ২৩ তারিখে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। লঘুচাপটি পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘রেমাল’। চলতি মাসের শেষের দিকে এটি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানতে পারে। তবে এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।
আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির জানান, সাধারণত মে ও জুন মাসে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়ে থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় ২০ তারিখের পরবর্তী সময়ে একটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে। এটি আরও ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, ভারতের আবহাওয়া দপ্তর বলছে, চলতি মাসের ২৩ তারিখ দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। পরের দিন সেটি দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এরপর সেটি আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে এবং ২৫ তারিখের পর যেকোনো সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে আছড়ে পড়তে পারে।
ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর নামকরণ করেছে ওমান। আরবিতে এর অর্থ বালি। এই নামে ফিলিস্তিনের গাজা থেকে ১ দশমিক ৭ কিলোমিটার দূরে একটি শহরও রয়েছে।
![ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে যেখানে আঘাত হানতে পারে](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/05/18/image-274170-1716053256.jpg)
৩০ বছর পর যেভাবে একসঙ্গে হলেন চার বান্ধবী
‘কেন বাড়লে বয়স ছোট্টবেলার বন্ধু হারিয়ে যায়, কেন হারাচ্ছে সব, বাড়াচ্ছে ভিড় হারানোর তালিকায়।’ গানের এই লাইনটি যেন বড় হলে ছোটবেলার বন্ধুদের হারানোর এক কঠিন বাস্তবতার সঙ্গেই পরিচয় করিয়ে দেয়। এক সময়ের হাসি ঠাট্টা আনন্দের সাথিরা, বড় হতে গিয়ে ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যায়। তাই হয়তো বন্ধু হারানো বেশির ভাগের মুখেই কেন বড় হলাম, ছোটবেলাই ভালো ছিল এই আক্ষেপের কথাটি শুনতে পাওয়া যায়।
তবে ডিজিটালের এ সময়ে এসে এক সময়ের হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই সহজ হয়েছে। যারা তাদের বন্ধুদের হারিয়ে ফেলেছিলেন তারা অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সাহায্যে তাদেরকে খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন হলেন লিপিকা ইকবাল লিপি। যিনি ৩০ বছর পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া তিন বান্ধবীকে খুঁজে পেয়েছেন।
তারা চারজনই ছিলেন রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থী। শেষবারের মতো আড্ডায় বসেছিলেন ১৯৯১ সালে এক বন্ধুর বিয়েতে। এরপর থেকে ধীরে ধীরে দূরত্ব বাড়ে, একপর্যায়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।
সেই চার বন্ধুর একজন লিপিকা ইকবাল লিপি। সম্প্রতি বন্ধুদের খোঁজে এক ফেসবুক গ্রুপে নিজেদের একটি ছবি পোস্ট করেন তিনি। কলেজজীবনের স্মৃতিচারণ করে লিপি বলেন, আমাদের অনেক বন্ধুবান্ধব ছিল ঠিকই, কিন্তু আমাদের চারজনের বন্ধুত্বটা ছিল অন্যরকম। বোটানিক্যাল গার্ডেনে পিকনিকে গিয়ে ছবি তোলা থেকে শুরু করে, একসঙ্গে আড্ডা দেওয়া, খাওয়াদাওয়া, ঘুরে বেড়ানো। ক্লাসেও আমরা চারজন একসঙ্গে বসতাম।
তিনি বলেন, ১৯৯২ সালে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর উত্তরার দিকে চলে আসি। তখন যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন ভালো না থাকায়, ঢাকায় কম আসা হতো। বান্ধবীদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়াও হতো না। মাস্টার্স পরীক্ষার সময়ই শেষ চোখের দেখা। পড়াশোনা, সংসার, যৌথ পরিবারের দায়িত্ব, সন্তানদের দেখভাল নিয়ে একসময় ব্যস্ত হয়ে যান লিপি। বান্ধবীদের সঙ্গে আর যোগাযোগ রাখা হয়ে ওঠেনি। এরই মধ্যে ২০০৯ সালে পরিবারসহ পাড়ি জমালেন আমেরিকা।
লিপি বলেন, ৩০ বছর ধরেই আমার তিন বান্ধবীকে খুঁজছি। একসময়ের হাসি আড্ডার সঙ্গী সেই প্রাণের বান্ধবীদের খোঁজ জানতে ‘বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবিসমগ্র’ নামে পাবলিক ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট দিয়েছিলাম।
ওই ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, গত ৩০ বছর ধরেই খুঁজে চলেছি আমার এই তিন বান্ধবীকে। ছবির সবচেয়ে বামে বসে আছি আমি (লিপি)। আমার পাশে টুটু, তার পরে সীমা, আর সবার শেষে সানী। আমরা ১৯৯০ সালে তেজগাঁও কলেজে বিএ পাস কোর্সে ভর্তি হই। ওরা সবাই মগবাজারে থাকতো। আমি থাকতাম শেওড়াপাড়া। যতদুর জানি-বিয়ের পর সানী এলিফ্যান্ট রোডে ওর শ্বশুর বাড়িতে থাকত। আর কোনো সূত্র আমার হাতে নেই। দেশ থেকে বহুদূরে নিউইয়র্কে থাকি। ইচ্ছে হলেও সন্ধান নেওয়ার উপায় নেই ভেবে ভেবে যখন বিষন্ন ভগ্নহৃদয় হয়ে গিয়েছিলাম, আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম, তখনই এই পেজের কথা মনে হলো। আমার বন্ধবীদের কেউ, তাদের পরিচিতদের কেউ আছেন এখানে? আমাকে দিতে পারেন এদের কারো একজনের সন্ধান?’
পোস্ট দেওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যেই টেক্সট পান লিপি। টুটু তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ৩০ মিনিটের মধ্যে বান্ধবীর সঙ্গে কথাও হয় তার। লিপি বলেন, যাকে আমি ৩০ বছর ধরে খুঁজছি। তার সঙ্গে ১০ মিনিটের মধ্যে যোগাযোগ হয়েছে। এরপর একে একে বাকি দুজন সানী এবং সীমাকেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সাহায্যে খুঁজে পাওয়া গেল।
অবশেষে ৩০ বছর পর ভিডিওকলে দেখা হলো চার বান্ধবীর। একসঙ্গে সবার দেখা হলেও এখনও কেউ কাউকে ছুঁয়ে দেখার সুযোগটা হয়ে ওঠেনি। জানুয়ারিতে লিপি দেশে ফিরবেন। তখন দেখা হবে তাদের চার বান্ধবীর।
![৩০ বছর পর যেভাবে একসঙ্গে হলেন চার বান্ধবী](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/05/20/image-274406-1716192981.jpg)
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেদিন বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা বা বৈশাখী পূর্ণিমা। এ উপলক্ষে একদিন রাষ্ট্রীয় ছুটি থাকে। তবে এই ছুটি নিয়ে কিছুটা বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। সরকারিভাবে ২২ মে ছুটি ঘোষণা করা হলেও কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৩ মে ছুটির নোটিশ জারি করে। এ অবস্থায় বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন শিক্ষা কর্মকর্তারা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে জানান, শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী ২২ মে সরকারি ছুটি। সেই সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন হয়নি। অর্থাৎ ২২ মে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি থাকবে।
একই তথ্য জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী।
এদিকে, বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন নানা কর্মসূচি পালন করবে। সকাল ১০টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় বৌদ্ধ মন্দিরে বুদ্ধপূজা।
এ ছাড়া সন্ধ্যা ৬টায় শীল গ্রহণসহ বুদ্ধ পূর্ণিমার তাৎপর্য নিয়ে বিশেষ আলোচনা সভা হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
![শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেদিন বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/05/21/image-274562-1716274535.jpg)
ঘূর্ণিঝড় রেমাল নিয়ে সর্বশেষ যা জানাল আবহাওয়া অফিস
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ তৈরি হতে চলেছে। যা ঘনীভূত হয়ে ধাপে ধাপে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হলে এর নাম হবে ‘রেমাল’।
মঙ্গলবার (২১ মে) আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক এ খবর জানিয়েছে।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়ও হতে পারে, ঘূর্ণিঝড় হলে এর নাম হবে রেমাল। কোথায় আঘাত হানতে পারে তা স্পেসিফিক বলা যাচ্ছে না, নিম্নচাপ হওয়ার পর বলা যাবে কোনদিকে যাবে।
এদিকে এদিন সকালের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণপশ্চিম ও আশেপাশের এলাকায় একটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে।
অন্যদিকে, ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বুধবারের মধ্যে সাগরে লঘুচাপ তৈরি হতে পারে। সেখান থেকে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
জানা গেছে, বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সাইক্লোন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপ আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে। এ অঞ্চলের ১৩টি দেশের কাছ থেকে প্রাপ্ত নামের তালিকা থেকে সংস্থাটি নতুন ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করে।
এবারর ‘রেমাল’ নামটি প্রস্তাব করেছে ওমান। আরবিতে এর অর্থ বালি।
সর্বশেষ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় মিগযাউম, যা পরে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ দিয়ে উপকূল অতিক্রম করে। সে ঝড়ের তেমন কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। ২০২০ সালের মে মাসেই ২০ তারিখে দেশের উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। বেশ বিধ্বংসী ছিল ঘূর্ণিঝড়টি। তবে সুন্দরবনের কারণে সে যাত্রায় রক্ষা পেয়েছিল দেশের উপকূল। এর আগে ২০০৯ সালে এই মে মাসেই ২৫ তারিখে সুন্দরবনে আঘাত হেনেছিল প্রলয়ঙ্করী আইলা।
![ঘূর্ণিঝড় রেমাল নিয়ে সর্বশেষ যা জানাল আবহাওয়া অফিস](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/05/21/image-274630-1716293903.jpg)
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় স্থাপিত সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় সারাদেশে প্রায় এক মাস ধরে ইন্টারনেটে ধীরগতি পাচ্ছেন গ্রাহকরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বিকল্প উপায়ে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসিও (বিএসসিপিএলসি)। তবে ইন্টারনেটের স্বাভাবিক গতি ফিরতে আরও প্রায় দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
বিএসসিপিএলসি বলছে, ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় সমুদ্রের তলদেশে ফাইবার ক্যাবল কাটা পড়ে। সেখানে মেরামতের কাজ শুরুর প্রক্রিয়াটা দীর্ঘ। অনুমোদন মিলেছে, এখন কনসোর্টিয়ামের জাহাজের অপেক্ষা। মেরামত শেষে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে আরও অন্তত দুই সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ দেশে ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক হতে পারে।
জানা গেছে, গত ১৯ এপ্রিল দিনগত রাত ১২টার দিক থেকে সারাদেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি দেখা দেয়। বিএসসিপিএলসি জানতে পারে সিঙ্গাপুরে জলসীমায় কোথাও ফাইবার ক্যাবল কাটা পড়েছে।
পরে আরও অনুসন্ধানে জানা যায় সিঙ্গাপুর নয়, ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় সমুদ্রের তলদেশে ক্যাবল ‘ব্রেক’ করেছে। এতে দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের (সিমিউই-৫) সংযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
বিএসসিপিএলসি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহমেদ বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকালে জানান, সিমিউই-৫ (দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল) দিয়ে বাংলাদেশে প্রায় এক হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ হয়। সেটা এখন পুরোপুরি বন্ধ। আমরা ওই ব্যান্ডউইথ এখন সিমিউই-৪ দিয়ে সরবরাহের চেষ্টা করছি। অন্তত ৬০ শতাংশ সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে। এটা দিয়ে বিকল্প উপায়ে সারাদেশে ইন্টারনেট সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চলছে।
কবে নাগাদ মেরামত শেষ হতে পারে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আশা করছি, চলতি মাসেই কাজ শেষ হবে। জুনের প্রথম দিকে আমরা সিমিউই-৫-এর সংযোগে আবার যুক্ত হবো। এরপর ব্যান্ডউইথ স্বাভাবিক করতে আরও ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা লাগতে পারে। বলা যায়, জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে এটা (ইন্টারনেটের ধীরগতি) ঠিক হয়ে যাবে।’
তবে ক্যাবল কাটা পড়ে সিমিউই-৫-এর সংযোগ বিচ্ছিন্নের কারণে যে সমস্যা হয়েছিল, তার পাশাপাশি অন্য একটি সমস্যার কথাও জানিয়েছেন ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) সভাপতি মো. ইমদাদুল হক।
তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে বিটিআরসি রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ ইন্টারনেট সরঞ্জামের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। এতে অবৈধ অনেক আইএসপি প্রতিষ্ঠান, অনেকে ক্যাবল টিভি ও ইন্টারনেট সংযোগ চালায়, তাদের যন্ত্রপাতি জব্দ করেছে। ক্যাবল অপারেটরদের ইন্টারনেট সার্ভিস দেওয়ার কথা না। তারা দিচ্ছে, এ জায়গাগুলো নিয়ে কাজ করছে বিটিআরসি। সবমিলিয়ে ইন্টারনেটের গতিতে এবং সংযোগে প্রভাব পড়েছে। সেজন্যই কিছু এলাকায় বেশি সমস্যা।’
সিমিউই-৫ বন্ধের পর ইন্টারনেট সরবরাহ চলছে যেভাবে
বিএসসিপিএলসি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে মোট ব্যান্ডউইথের ব্যবহার পাঁচ হাজার জিবিপিএসের বেশি। এর অর্ধেকেরও বেশি প্রায় দুই হাজার ৭০০ জিবিপিএস আন্তর্জাতিক টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল (আইটিসি) লাইসেন্সের মাধ্যমে আসে, যা ভারত থেকে স্থলপথে ব্যান্ডউইথ আমদানি করতে ব্যবহৃত হয়।
বাকি দুই হাজার ৪০০ জিবিপিএসের মতো ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে বিএসসিপিএলসি। দুটি সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে এ ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়। বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য-পশ্চিম ইউরোপ-৪ (সিমিউই-৪) কনসোর্টিয়ামের সদস্য। ২০০৬ সালে বাংলাদেশ প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হয়েছিল। এর ল্যান্ডিং স্টেশন কক্সবাজারে। এটি প্রায় ৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে থাকে।
অন্যদিকে দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিমিউই-৫ প্রবেশ করেছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা হয়ে। দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে এক হাজার ৬০০ জিবিপিএস সরবরাহ করা হয়। বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের ৬০ শতাংশের বেশি ব্যান্ডউইথ প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে শিফটিং করা হয়েছে, যা দিয়ে বিকল্প উপায়ে দেশে ইন্টারনেট সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে বিএসসিপিএলসি।
![ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/05/23/image-274831-1716441480.jpg)
তাপপ্রবাহ নিয়ে দুঃসংবাদ, ঘূর্ণিঝড় নিয়ে যা জানা গেল
আগামী ৩ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে তাপপ্রবাহ নিয়ে খারাপ সংবাদ দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ সময় বায়ুতে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে পশ্চিমমধ্যা বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরো ঘণীভূত হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
সংস্থাটি জানায়, শুক্রবার (২৪ মে) সকাল ৯টা পর্যন্ত মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, সিলেট, চট্রগ্রাম, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, বান্দারবান, খুলনা, মংলা, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, খেপুপাড়া এবং ভোলা জেলাসমূহের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বৃদ্ধি পেতে পারে। চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
শনিবার (২৫ মে) সকাল ৯টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।
রোববার (২৬ মে) সকাল ৯টা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া
প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে, দক্ষিণ মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট রেমাল নামের ঘূর্ণিঝড়টি আগামীকাল শুক্রবারের পর তার গতিপথ চূড়ান্ত করতে পারে। খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলোতে প্রচণ্ড গতিতে এটি আঘাত হানতে পারে। এ সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার; যা দমকা হাওয়াসহ ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি যদি জোয়ারের সময় উপকূলে আঘাত হানা শুরু করে, তবে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকাগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ১০ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।
ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর মিডিয়াম রেঞ্জ ওয়েদার ফোরকাস্ট (ইসিএমডব্লিউএফ) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বা শুক্রবারের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণে সুন্দরবনের কাছে ২৬ থেকে ২৭ মে আঘাত হানতে পারে।
বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ জানিয়েছেন, ‘বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। লঘুচাপটি আগামীকাল শুক্র বা শনিবার নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। পরে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।’
ভারতের আবহাওয়া বিজ্ঞানী এম শর্মা জানিয়েছেন, ‘শনিবার ঘূর্ণিঝড় রিমালে পরিণত হতে পারে। লঘুচাপটির সর্বোচ্চ শক্তি সঞ্চয় করার সম্ভাবনা রয়েছে। কোনো কোনো মডেল বলছে, এটির গতিপথ হতে পারে বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূলের দিকে। আবার কোনো কোনো মডেল বলছে, পশ্চিমবঙ্গে এটি আছড়ে পড়তে পারে। উপকূলে আসতে আঘাত করবে আগামী ২৬ মের দিকে।’
সহকারী আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, লঘুচাপটি আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হবে। শনিবার থেকে দেশের প্রায় সব জায়গায় কম-বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।’
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘বর্তমান যে প্রেডিকশন, তাতে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ, মিয়ানমার বা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা এই অঞ্চলের দিকেই এর গতিপথ। তবে এর গতিপথ ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বা শুক্রবারের মধ্যে লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। পরে ২৪ মে রাতে বা ২৫ মে সকালের দিকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিনিয়ত এটার গতিপথ পরিবর্তিত হচ্ছে, রাতে একটা গতিপথ থাকছে, আবার সকালে আরেকটা হচ্ছে; অর্থাত যতক্ষণ পর্যন্ত না নিম্নচাপে রূপ নেয়, ততক্ষণ পর্যন্ত তার আগের সব গতিপথ পরিবর্তিত হবে। যখন নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে, তখন গতিপথ স্থির হবে। তখন স্পষ্টভাবে বলা যাবে, এটা কোন এলাকায় বা স্থানে আঘাত হানতে পারে।’
![তাপপ্রবাহ নিয়ে দুঃসংবাদ, ঘূর্ণিঝড় নিয়ে যা জানা গেল](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/05/23/image-274832-1716441966.jpg)