• ঢাকা শনিবার, ২৫ মে ২০২৪, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
২৩ জুলাই পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরা মানা
বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন বৃদ্ধি, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় রোববার (১৯ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, সামুদ্রিক মৎস্য আইন, ২০২০ এর ধারা ৩ এর উপধারা ২ এ দেওয়া ক্ষমতাবলে গত ২৪ এপ্রিলে নিষেধাজ্ঞার প্রজ্ঞাপন জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ ৬৫ দিন দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সকল প্রকার মৎস্য নৌযান দিয়ে যে কোন প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় সমুদ্রযাত্রার প্রবেশপথগুলোতে মনিটরিং জোরদার করা হবে এবং মৎস্য নৌযানের সমুদ্রযাত্রা শতভাগ বন্ধ রাখা হবে। সামুদ্রিক মৎস্য পরিবহন বন্ধের লক্ষ্যে সমুদ্র তীরবর্তী বরফকলসমূহ সীমিত পর্যায়ে চালু রাখা হবে ও সমুদ্রে মৎস্য আহরণকারী নৌযান নোঙরস্থলে আবদ্ধ রাখা হবে। মৎস্য আহরণে বিরত থাকা মৎস্যজীবীদের আপদকালীন বিকল্প আয় বা খাদ্য সহায়তা হিসেবে দুই কিস্তিতে ৬৫ দিনের জন্য ৮৬ কেজি হারে ৩ লাখ ১১ হাজার ৬২টি জেলে পরিবারকে ভিজিএফ বরাদ্দ করা হয়েছে।  এছাড়া সমুদ্রে কোনো প্রকার নৌযান দিয়ে অবৈধ মৎস্য আহরণ বন্ধে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও বাংলাদেশ নৌ পুলিশ এবং বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর সক্রিয় সহযোগিতা চেয়ে যথাক্রমে জননিরাপত্তা বিভাগে ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে চিঠি দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি এ সংক্রান্ত সচেতনতামূলক বিশেষ বার্তা টিভি স্ক্রলে ও বেতারে প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় মৎস্য অধিদপ্তর কন্ট্রোল রুম চালু করেছে এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগে তিনটি বিভাগীয় মনিটরিং টিম গঠন করেছে। স্থানীয়ভাবে ব্যানার, লিফলেট, পোস্টার, মাইকিং ও সচেতনতামূলক সভা করে জেলেদের মাঝে প্রচার কার্যক্রম চালানো হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মৎস্যজীবী সমিতি ও সংগঠনকে এ কাজে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।  
১৯ মে ২০২৪, ১৮:১৬

কানে শুভ্র প্রজাপতি হয়ে ধরা দিলেন কিয়ারা
ভিন্ন ভিন্ন পোশাক আর নজর কাড়া লুকে ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৪’-এর রেড কার্পেট মাতাচ্ছেন তারকারা। পিছিয়ে নেই কিয়ারা আদভানিও। গত ১৭ মে কানে যেন শুভ্র প্রজাপতি হয়ে ধরা দিলেন তিনি। সাদা হাই স্লিটেড পোশাকে সবার নজর কেড়েছেন কিয়ারা। মুহূর্তেই সেই ভিডিও ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। ফ্রেঞ্চ রিভেরা থেকে অফ-হোয়াইট পোশাকে নিজের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন তিনি।  এদিন প্লাঞ্জ নেকলাইন ও হাই-স্লিটেড গাউনের সঙ্গে হিরের দুল পরেছিলেন কিয়ারা। সঙ্গে পায়ে ছিল হাই-হিল। অভিনেত্রীর পোশাকটি ডিজাইন করেছেন লক্ষ্মী লেহর এবং স্টাইলিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন প্রবাল গুরুং।   জানা গেছে, গালা ইভেন্টে আন্তর্জাতিক সিনেমার ল্যান্ডস্কেপে ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের ওপর জোর দেবেন কিয়ারা। অনুষ্ঠানটি সারা বিশ্বের নারীদের একত্রিত করবে এবং বিনোদন শিল্পে তাদের অবদানের স্বীকৃতি দেবে। এই মুহূর্তে বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী কিয়ারা। গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। আগামী দিনে রাজনৈতিক অ্যাকশন-থ্রিলারে দেখা যাবে এই অভিনেত্রীকে। যেখানে দক্ষিণী সুপারস্টার রাম চরণের সঙ্গে জুটি বাঁধবেন তিনি। এ ছাড়া ‘ওয়ার টু’ সিনেমায় জুনিয়র এনটিআর এবং হৃতিক রোশনের সঙ্গেও দেখা যাবে কিয়ারাকে। রণবীর সিংয়ের সঙ্গে ‘ডন থ্রি’ সিনেমাতেও থাকছেন তিনি।
২২ মে ২০২৪, ১১:৩১

স্বাস্থ্য সহকারী পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে ধরা
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ে স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে ধরা পড়েছে জয় বিশ্বাস নামের এক পরীক্ষার্থী। শনিবার (১৮ মে) সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে তাকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সহকারী সুজন বড়ুয়া। জয় বিশ্বাস বাঁশখালীর নাপোড়া বাজার এলাকার কাঞ্চন বিশ্বাসের ছেলে। সুজন বড়ুয়া জানান, স্বাস্থ্য সহকারী পদের নিয়োগ পরীক্ষা দিতে আসা এক পরীক্ষার্থীকে সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তার নথিপত্র দেখে পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
১৯ মে ২০২৪, ০৮:৩২

ইলিশ ধরা না পড়ায় হতাশ হয়ে ফিরছেন জেলেরা
জাটকা রক্ষায় দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরতে নদীতে নেমে হতাশ জেলেরা। তারা বলছেন, জালে মাছ ধরা পড়েছে না। যে দু-চারটা ইলিশ পড়ছে, তা বেচে নৌকার (ইঞ্জিনচালিত) তেল খরচই উঠছে না।  জাটকা ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে সপ্তাহ দুয়েক আগে। তাই বুকভরা আশা নিয়ে নদীতে নেমে হতাশ হয়ে ফিরছেন। জেলেরা জানান, নৌকায় ১৫শ’ টাকার তেল নিয়ে গেলে মাছ পাওয়া যায় ৮শ’ টাকার। তাই তারা এখন নদীতে যেতে পারছে না। এ ছাড়া ২-৩ হাজার টাকার মাছ সংগ্রহ করতে হলে তেল খরচ হয়ে যায় ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার। মাছ না পাওয়া তাদের চলাফেরায় কষ্ট হচ্ছে। মৌসুমের এই সময়টাতে ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে সরগরম হয়ে ওঠে ভোলার মেঘনা পাড়ের অর্ধশতাধিক ছোট-বড় মাছঘাট। কিন্তু সেখানে এখন সুনসান নীরবতা। খালি পড়ে আছে মাছের বাক্স। অলস সময় পার করছেন আড়ৎদাররা। আড়ৎদাররা জানান, তুলনামূলক মাছ না হওয়ায় জেলেরা নদীতে যাচ্ছে না। ফলে বাজারে মাছের দাম বাড়তি। মাছের এমন খরার বিষয়ে মৎস্য অধিদপ্তর বলছে, তীব্র তাপদাহ আর অনাবৃষ্টির কারণে বেড়েছে লবণাক্ততা। ফলে গভীর জলাশয়ের খোঁজে সাগরমুখী হচ্ছে মাছ। আর তাই ধরা পড়ছে না জেলেদের জালে। ভোলা সদরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এফ এম নাজমুস সালেহীন বলেন, ইলিশের অভয়াশ্রমে ছোট মাছ আশ্রয় নেয়। এই ছোটমাছগুলো সাগরের দিকে চলে গেছে। এর ফলে নদীতে ইলিশের ঘাটতি রয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত এই মৌসুমে বৃষ্টিপাতের সংখ্যা অনেক কম। এই কম হওয়ার কারণে সাগরের নোনা পানিটা এখন বেশি প্রবেশ করছে। এর ফলে মাছ যে ডিম পাড়তে আসে এই সংখ্যা খুবই কম। এই কারণে বর্তমানে জেলেরা ইলিশ খুব কম পাচ্ছে।  চলতি বছর জেলায় ১লাখ ৯২ হাজার টন ইলিশের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা।
১৫ মে ২০২৪, ০৮:৫৩

মধুমতী নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ল শুশুক 
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মধুমতী নদীতে দুটি শুশুক ধরা পড়েছে জেলেদের জালে। সোমবার (১৩ মে) উপজেলার পাচুড়িয়া ইউনিয়নের চরনারানদিয়া ঘাট এলাকায় জেলেরা শুশুক দুটিকে নিয়ে আসেন।  এ সময় শুশুক দুটি দেখতে স্থানীয়রা ভিড় জমান। পরে শুশুক দুটি অজ্ঞাত জেলেরা ট্রলারে করে নিয়ে যান বলে জানা গেছে।   প্রত্যক্ষদর্শী এক যুবক বলেন, ‘মধুমতী নদীর চরনারানদিয়া ঘাটে গোসল করতে গিয়ে কয়েকজন মিলে শুশুক দুটি দেখতে পান। জেলেদের জালে ধরা পড়া শুশুক দুটি দেখতে অনেক মানুষ ভিড় করেন। একেকটা শুশুকের ওজন প্রায় দুই থেকে আড়াই মণ হবে। পরে শুশুক দুটি জেলেরা ট্রলারে করে কোথায় নিয়ে গেছে তা জানিনা।’  এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এটি দক্ষিণ চরনারানদিয়া এলাকার ঘটনা। আমি জানতে পেরেছি ওই এলাকার তরিকুল শিকদার নামে একজন জেলের জালে ধরা পড়া একটি শুশুক নিয়ে গেছেন। আরেকটি নাকি জেলেরা নদীতে ছেড়ে দিয়েছেন।’ পাঁচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। তবে জরুরি কাজে ফরিদপুরে থাকায় ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়নি ও বিস্তারিত জানতে পারিনি।’ এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম লুৎফর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ আমাদের জানাননি। আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। শুশুক বা ডলফিন অত্যন্ত উপকারী ও নিরীহ একটা প্রাণী। জলজ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। এরা দেখতে ধূসর-বাদামি রঙের। এদের প্রধান খাদ্য মাছ। এ প্রাণী মারা আইনগত অপরাধ। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১৪ মে ২০২৪, ১১:১৬

অন্তরঙ্গ অবস্থায় ধরা প্রধান শিক্ষক, গাছের সঙ্গে বেঁধে গণধোলাই
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের তালুক ফলগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী বকুল (৫০) পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে মধ্যরাতে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন।  মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মিলন কুমার চ্যাটার্জি। সোমবার রাতে এ-সংক্রান্ত ২৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।  এর আগে রোববার (১২ মে) রাতে উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের হুড়াভায়া খাঁ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।গণধোলাইয়ের শিকার গোলাম রব্বানী বকুল ওই ইউনিয়নের আরাজি দহবন্দ গ্রামের নিয়ামতুল্লাহ সরকারের ছেলে ও দহবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুলের বড় ভাই।  স্থানীয়রা জানান, উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের হুড়াভায়া খাঁ গ্রামের মোস্তাফিজার রহমানের স্ত্রী আলেমা বেগমের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক গোলাম রব্বানী বকুলের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। প্রায় রাতেই তিনি ওই নারীর বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার গভীর রাতেও ওই নারীর সঙ্গে তার বাড়িতে দেখা করতে যান গোলাম রব্বানী বকুল। তাদেরকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখতে পেয়ে ওই নারীর ছেলে গোলাম রব্বানীকে আটক করে স্থানীয়দের খবর দেন। স্থানীয়রা এসে তাকে গণধোলাই দিয়ে বাড়ির পাশে একটি সুপারি গাছে রশি দিয়ে বেঁধে রাখেন। পরে অভিযুক্ত শিক্ষক গোলাম রব্বানীর ছোট ভাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুল ও সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম ফুলবাবুসহ তার কয়েকজন আত্মীয় এসে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান। এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী বকুল ও তার ছোট ভাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা কেউ ফোন রিসিভ করেননি। তবে সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম ফুলবাবু বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি স্থানীয়রা গোলাম রব্বানী বকুলকে সুপারি গাছে বেঁধে রেখেছেন। পরে তার ছোট ভাই গোলাম কবির মুকুল ও ভাতিজারা এসে নিয়ে যান।’  তিনি এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিলেন বলে এ ইউপি সদস্য জানান।  সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার (প্রাথমিক) মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তি আমার ক্লাস্টারের আওতাভুক্ত ফলগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তবে আমাদেরকে বিষয়টি এখনও কেউ জানায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ দহবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান মো. রেজাউল আলম সরকার রেজা বলেন, ‘এক নারীর সঙ্গে অনৈতিক কাজ করার সময় গোলাম রব্বানী বকুলকে স্থানীয়রা গণধোলাই দিয়েছেন বিষয়টি শুনেছি।’ সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
১৪ মে ২০২৪, ১৬:১৪

সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলো সরকারের চোখে ধরা পড়ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলো সরকারের চোখে ধরা পড়ছে বলে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।  তিনি বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলো সরকারের চোখে ধরা পড়ছে এবং সেগুলো সমাধানে কাজ করা হচ্ছে। সড়ক পরিবহন আইন সংসদে পাসের অপেক্ষায় আছে। আইনে চালক, চালকের সহকারী, মালিক ও বিভিন্ন ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি- সবার দায়ই যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। কে কোন দায়িত্বে থাকবেন, তার কাজগুলোর জন্য কীভাবে শাস্তি ভোগ করবেন, সবকিছুই এখানে পরিষ্কার করা হয়েছে।  শনিবার (১১ মে) সকালে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর দশম মহাসমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। এসব দুর্ঘটনা রোধে সার্বিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।  তিনি বলেন, গত ১৫ দিনে যেসব সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে, তার বেশির ভাগই ঘটেছে ত্রুটিপূর্ণ (ফিটনেসবিহীন) যানবাহনের কারণে।  আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে যাত্রী ও পথচারীদের অসচেতনতা, চালকদের প্রশিক্ষণের অভাব, চলন্ত অবস্থায় চালকের মোবাইল ফোনে কথা বলা, অপরিকল্পিত ভঙ্গুর সড়ক, ওভারব্রিজের স্বল্পতা ও ট্রাফিক আইন না মানা।
১১ মে ২০২৪, ২৩:৪৮

দুর্নীতিবাজদের পরিবর্তে গণতন্ত্রকামীদের ধরা হচ্ছে: সালাম
দুর্নীতিবাজদের পরিবর্তে গণতন্ত্রকামীদের ধরা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম। শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তিসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।  সালাম বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রীর দোসরা ব্যাংক লুট করছেন, তাদের ধরা হচ্ছে না। ধরা হচ্ছে গণতন্ত্রকামী জনতাকে। দুর্নীতিবাজদের বিচার হচ্ছে না, ভুয়া মামলা দায়ের করে সাজা দেওয়া হচ্ছে বিএনপি নেতাকর্মীদের। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, আপনি বলেন, তারেক রহমান কেনো দেশে আসেন না। আপনার বাবার মৃত্যুর পর কেনো আপনার বাবার মরদেহ দেখতে আসলেন না। আপনিতো তারেক রহমানের পাসপোর্টও কেড়ে নিয়েছেন। আপনার পাসপোর্ট কেড়ে নেওয়া হয়নি, তাহলে কেনো আসলেন না? বিএনপির এই নেতা বলেন, একসময় প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলবেন আমি তো পুলিশকে গুলি করার কথা বলিনি, গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিইনি। পুলিশদের বলবো, প্রধানমন্ত্রীকে ভয় না পেয়ে আল্লাহকে ভয় পান। সাবেক আইজিপি সরকারের প্রশ্রয়ে দুর্নীতি করে হাজার হাজার কোটি টাকা কামিয়েছেন। আজ সব ফাঁস হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আইজিপিকে নিয়ে কিছু বলেছেন? বলেননি। বলবেন না। তিনি বলেন, আজকে ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হয় না। কারণ, কত হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে সব তথ্য বের হয়ে যাবে। আজকে সারাদেশকে কারাগারে পরিণত করা হয়েছে। সবাইকে জেলে নিয়েছেন। আমরা জেলকে ভয় পাই না। ভয়কে জয় করে আমরা রাজপথে নেমেছি। চলমান আন্দোলনের মাধ্যমেই সব অন্যায়-অবিচার ভেসে যাবে। আজ সারাদেশকে কারাগারে পরিণত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, সবাইকে জেলে নিয়েছে। আমরা জেলকে ভয় পাই না। ভয় ভেঙে গেছে। ভয়কে জয় করে আমরা রাজপথে নেমেছি। আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আনম সাইফুল ইসলাম।
১০ মে ২০২৪, ২১:৫০

সিরাজগঞ্জে হেরোইনসহ ধরা পড়া দুই বাসযাত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় হেরোইনসহ ধরা পড়া দুই বাসযাত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি উভয়কে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশও শোনানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মো. আবুল বাশার মিয়া এই আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত দুজনের নাম রমজান আলী (২৭) ও বনী ইসরাইল (৩২) বলে জানা গেছে। তাদের দুজনের বাড়িই রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ি পৌর এলাকার বুজরুক শ্রীমান্তপুর মহল্লায়। আদালতের অতিরিক্ত পিপি জেবুন্নেছা  (জেবা রহমান) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালের ২১ মে র‌্যাব-১২ এর সদস্যরা সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার রোড গোলচত্বর এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালায়। এ সময় র‌্যাবের কাছে খবর আসে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী একতা পরিবহনে দুইজন ব্যক্তি হেরোইন নিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছে। বাসটি রোড গোলচত্বর এলাকায় পৌঁছালে র‌্যাব সদস্যরা বাসে তল্লাশি চালান। এ সময় বাসের দুই যাত্রী রমজান আলী ও বনী ইসরাইলের কাছ থেকে ১০০ গ্রাম হেরোইন পাওয়া যায়। এ ঘটনায় র‌্যাব-১২ এর ডিএডি (নায়েব সুবেদার) ইউসুফ আলী বাদী হয়ে সলঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আজ আদালতের বিচারক বাসের ওই দুই যাত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।
০৯ মে ২০২৪, ১৪:৩৩

বড়শিতে ধরা পড়ল ১৪ কেজির কোরাল
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে এক বৃদ্ধের বড়শিতে ধরা পড়ল ১৪ কেজির কোরাল মাছ।  বুধবার (৮ মে) বিকেলে হোয়াইক্যং ইউনিয়ন খারাং খালী দিয়ে নাফনদী থেকে মাছটি এক জেলের বড়শিতে ধরা পড়ে। পরে মাছ জেলেদের কাছ থেকে আলী আহমদ নামের এক মাছ ব্যবসায়ী কিনে নেন। তিনি বলেন, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মোহাম্মদ আনোয়ার নামে এক জেলে ১৪ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ বাজারে বিক্রি করতে আনেন। পরে তার সাথে দর-কষাকষি শেষে কেজি ১২০০ টাকা করে ১৬ হাজার ৮০০ টাকায় কিনে নেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, প্রায় সময় নাফ নদীতে জেলেদের বড়শিতে বড় কোরালসহ বিভিন্ন জাতের মাছ ধরা পড়ে। এতে জেলেরা খুব আনন্দিত হয়। এবং ক্রয়কৃত মাছটি বেশি দামে বিক্রি করার জন্য কক্সবাজারে নেওয়া হবে। জেলে মোহাম্মদ আনোয়ার বলেন, বিকেলে বড়শি নিয়ে নাফ নদীর খারাং খালী এলাকায় মাছ ধরার জন্য যায়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে বড়শিতে ১৪ কেজি ওজনের একটি বড় কোরাল ধরা পড়ে। এরপর অন্যান্য জেলেদের সহায়তায় মাছটি হ্নীলা বাজারে কেজি ১২০০ টাকা করে ১৬ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, কোরাল দ্রুত বর্ধনশীল মাছ। পরিবেশ ভালো পেলে মাছটি সাধারণত ৩০ থেকে ৩৫ কেজি ওজনের হয়ে থাকে। কোনো কোনো সময় এর বেশি ওজনের কোরালও পাওয়া যায়। এই নাফ নদীর মাছ খুবই সুস্বাদু। তাই জেলেরা দামও ভালো পেয়ে থাকেন।
০৮ মে ২০২৪, ২২:৫২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়