• ঢাকা সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪, ৩ আষাঢ় ১৪৩১
logo

প্রকাশ্যে এলো আনারের মরদেহ ব্রিফকেসে নেওয়ার ভিডিও

আরটিভি নিউজ

  ২৪ মে ২০২৪, ১৪:৫০

ভারতের কলকাতার সঞ্জীভা গার্ডেনের একটি ফ্ল্যাটে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার খুন হয়েছেন। তাকে খুন করার পর মরদেহ ব্রিফকেসে করে সরানোর একটি সিসিটিভি ফুটেজ আরটিভির হাতে এসেছে।

ফুটেজে দেখা যায়, ১৩ মে দুপুর ২টা ৫১ মিনিটে সঞ্জীভা গার্ডেনের আলোচিত সেই ফ্ল্যাটে ঢোকেন সংসদ সদস্য আনার। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন শিমুল ভূঁইয়া এবং তার সহযোগী ফয়সাল। ফ্ল্যাটে ঢোকার আগে বেশ শান্তশিষ্টভাবে দরজার বাইরে র‍্যাকে তার জুতা রাখেন আনার। পরে তিনি ভেতরে প্রবেশ করেন।

এর কয়েক ঘণ্টা পর ফ্ল্যাট থেকে বের হয়ে আসেন শিমুল ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্লাহ। এ সময় তার হাতে ছিল একটা লাগেজ। এরপর পলিথিনের ব্যাগ হাতে বের হন আরেকজন। এ সময় শিমুল দরজা দিয়ে লক করে দেন এবং লিফট দিয়ে নেমে তারা বের হয়ে যান।

এদিকে আনোয়ারুল আজীম আনারের হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া কসাই জিহাদ হাওলাদারকে আদালতে তোলা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ মে) কলকাতার বারাসাত আদালতে তাকে তোলা হয়।

এর আগে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে জিহাদকে গ্রেপ্তার করে ভারতের সিআইডি। গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে আনারের দেহাবশেষ উদ্ধারে জিহাদকে নিয়ে কলকাতা-সংলগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙ্গড়-পোলেরহাট এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়।

পুলিশ জানায়, জিহাদ হাওলাদার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এবং পেশায় তিনি কসাই। অবৈধভাবে মুম্বাইয়ে বাস করতেন তিনি। তার বাড়ি খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানায়। তার বাবার নাম জয়নাল হাওলাদার। জিহাদ হাওলাদারকে বারাসত আদালতে তোলা হবে। হত্যাকাণ্ডের তথ্যের খোঁজে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জিহাদকে হেফাজতে নেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, এমপি আনারকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামানের কলকাতায় যাওয়ার দুই মাস আগেই জিহাদকে ডেকে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ স্বীকার করেছে, আখতারুজ্জামানের নির্দেশে তিনিসহ চারজন এমপি আনারকে ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

পরে তার শরীর থেকে মাংস এবং হাড় আলাদা করা হয়। মূলত পরিচয় নষ্ট করার জন্য এমপির শরীরের মাংস আর হাড়গুলোকে ছোট ছোট টুকরো করে তা প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখা হয়।। পরে ওই ব্যাগগুলো ফ্ল্যাট থেকে বের করে নানা ধরনের পরিবহন ব্যবহার করে কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে ফেলে দেওয়া হয়।

পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ বলছে, গত ১২ মে ভারতে যান সংসদ সদস্য আনার। এর অন্তত ১০ দিন আগেই কলকাতায় অবস্থান করেন অভিযুক্তরা। ছিলেন ধর্মতলার কাছে সদর স্ট্রিটের একটি হোটেলে। ওই হোটেলের নথি অনুযায়ী, ২ মে থেকে সেখানে থাকছিলেন ফয়সাল এবং মুস্তাফিজুর নামে দুই ব্যক্তি। পরে মুস্তাফিজুরসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভারতীয় তদন্তকারীদের ধারণা, আনারকে হত্যা করার পরিকল্পনা অনেক পুরোনো। আর সেজন্য অনেকদিন আগেই কলকাতায় যান ফয়সাল এবং মুস্তাফিজুর। কাজ মিটে গেলে হোটেল ছেড়ে দেন তারা।

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
কারাগারে পাঠানো হলো মিন্টুকে
আনারকন্যা ডরিনের ফেসবুক আইডি উধাও
‘ঈদ যাবে আসবে, আব্বু তো আর ফিরবে না’
আনারকন্যার অভিযোগ অস্বীকার ডিএমপি কমিশনারের