• ঢাকা সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
‘ঘুম থেকে উঠে দেখতাম অস্ত্র আমার দিকে তাক করা’
রাতে যখন কোনো নেভি শিপ যেত তখন জলদস্যুরা আরও সতর্ক হয়ে যেত। তখন তারা স্পেশালই আমাদের দিকে অস্ত্র তাক করে রাখত। যার কারণে নেভি শিপ গেলে আমাদের আরও সমস্যা হতো। ট্রিগার টেনে অস্ত্র আমাদের দিকে তাক করত। সব চেয়ে ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে ঘুম থেকে উঠলে চোখ খুললেই দেখতাম অস্ত্র আমার দিকে তাক করা।  বুধবার (১৫ মে) দুপুরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া জাহাজ এমবি আবদুল্লাহর নাবিক আনোয়ারুল হক রাজু এসব কথা জানান।  রাজু নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের আজিজুল হক মাস্টারের ছেলে।   জিম্মি থাকা ৩৩ দিনের স্মৃতি চারণ করে রাজু বলেন, শেষ যখন ওরা জানছে আমরা মুসলিম ছিলাম, তখন আমরা কিছুটা ছাড় পেয়েছি। মুসলিম হিসেবে ঈদের দিন ওরা আমাদেরকে ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার সুযোগ দিয়েছে। ঈদের দিন জলদস্যুরা আমাদের ইঙ্গিত দেয় দুই এক দিনের মধ্যে আমাদের মুক্তিপণ আসবে। এরপর দ্রুত আমাদের মুক্তি মিলবে।   অপর এক প্রশ্নের জবাবে রাজু বলেন, মুক্তিপণ কত দিয়েছিল এটা শুধু কোম্পানি আর বাংলাদেশ সরকার জানে। এ ছাড়া আর কেউ জানে না। তবে আমরা বড় বড় তিনটি ব্যাগ জাহাজে ওপর থেকে পড়তে দেখেছি।    ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের নাবিক রাজু প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস পর মঙ্গলবার ১৪ মে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি ফিরেন। ওই সময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সাড়ে পাঁচ মাসের বেশি সময় পর রাজুকে ফিরে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মা-বাবা। কেউ কেউ খুশিতে কাঁদতে থাকেন। এখন পরিবারে বইছে উৎসবের আমেজ। নাবিকদের দ্রুত সময়ে মুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নাবিকের স্বজনরা। ছেলের ফিরে আসার দিনক্ষণ আগেই জানা ছিল মা-বাবার। রাজুর বন্ধুরা চট্টগ্রাম থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ সময় ফুল দিয়ে তাকে বরণ করে নেন মা-বাবাসহ স্বজনরা। এতে অবসান ঘটে এক দীর্ঘ উৎকণ্ঠার। একই সঙ্গে পরিবারে লাগে উৎসবের আমেজ। সুস্থ ভাবে বাড়িতে ফিরতে পেরে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছে রাজু। ছেলের ফিরে আসায় মা রেঁধেছেন তার পছন্দের গরুর মাংস ও সামুদ্রিক মাছ।  প্রসঙ্গত, ৩৩ দিনের মাথায় ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে জাহাজটি মুক্ত হয়। এরপর জাহাজটি প্রথমে আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখানে পণ্য খালাস শেষে আরেকটি বন্দর থেকে চুনাপাথর বোঝাই করে চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়েছিল জাহাজটি। এ হিসেবে আমিরাত থেকে ১৩ দিনের মাথায় জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছাল। কেএসআরএম গ্রুপ জানায়, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে ৫৬ হাজার টন পণ্য চুনাপাথর রয়েছে। এতে প্রায় ১৯০ মিটার লম্বা জাহাজটির ড্রাফট (জাহাজের পানির নিচের অংশের গভীরতার পরিমাপ) বেড়ে হয়েছে সাড়ে ১২ মিটার। জাহাজটির ড্রাফট বেশি থাকায় কুতুবদিয়ায় প্রথমে কিছু পরিমাণ পণ্য খালাস করে। এরপর পতেঙ্গার কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরে বন্দর জলসীমায় আনা হয়। সেখানে বাকি পণ্য খালাস করা হবে। এ জন্য দেশে পৌঁছানোর পরও নাবিকদের ঘরে ফিরতে একটু সময় লেগেছে। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।
১৫ মে ২০২৪, ২০:৪০

এম ভি আবদুল্লাহ জাহাজ থেকে পণ্য খালাস শুরু
জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ এক মাস পর কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় বঙ্গোপসাগরে নোঙর করেছে। সেখানে জাহাজ থেকে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন চুনাপাথর খালাস শুরু হয়েছে। সোমবার (১৩ মে) রাত ১০টার দিকে এসব চুনাপাথর আরেকটি জাহাজে খালাস শুরু হয়। এর আগে সন্ধ্যা ৬টায় এটি উপকূলে নোঙর করে। রাত এগারটার দিকে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম। তিনি বলেন, পণ্য খালাস শুরু হয়েছে। নতুন ২৩ জন নাবিকের টিম ইতোমধ্যে আবদুল্লাহ জাহাজে উঠেছেন। আগের ২৩ জন নাবিক মঙ্গলবার চট্টগ্রামে ফিরবেন। জাহাজটি কেএসআরএম গ্রুপের এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন। এসআর শিপিংয়ের সূত্র জানায়, এমভি আবদুল্লাহ গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে যাত্রা করে। ১৯ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতের হারমিয়া বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। এর মধ্যে ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে জাহাজটি ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে। সূত্র আরও জানায়, মুক্তিপণের বিনিময়ে এক মাস পর গত ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় মুক্তি পান এমভি আবদুল্লাহসহ ২৩ নাবিক। মুক্তির পর দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেন তারা। ২১ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৪টা নাগাদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে। এতে থাকা ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা সেখানে খালাস করা হয়। পরবর্তী সময়ে আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর থেকে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন চুনাপাথর লোড করা হয়। এসব পণ্য নিয়ে দেশের পথে রওনা দেয়।
১৪ মে ২০২৪, ০৮:৪৯

কুতুবদিয়ায় এমভি আবদুল্লাহ, ২৩ নাবিক চট্টগ্রাম পৌঁছাবেন মঙ্গলবার
উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় ভরা দীর্ঘ দুই মাস অতিবাহিত হওয়ার পর অপেক্ষার প্রহর ফুরাচ্ছে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়া এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক ও তাদের স্বজনদের। দীর্ঘ যাত্রা শেষে সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে জাহাজটি। সুস্থ রয়েছেন জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক। জাহাজের মাস্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বিকেলে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে পৌঁছে এমভি আবদুল্লাহ। জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরের পর চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবেন নাবিকরা। এরইমধ্যে এমভি আবদুল্লাহর দায়িত্ব নিতে ২৩ জন নাবিকের একটি টিম চট্টগ্রাম থেকে রওনা দিয়েছেন। সোমবার বিকেলে নাবিকদের নিয়ে নগরের সদরঘাট কেএসআরএম জেটি ছেড়েছে লাইটার জাহাজ এমভি জাহান মনি-৩। ওই জাহাজে করেই মঙ্গলবার সকালে এমভি আবদুল্লাহতে থাকা ২৩ নাবিক কুতুবদিয়া থেকে রওনা দেবেন।  মঙ্গলবার দুপুরের পর সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে ছাড়া পাওয়া নাবিকদের নগরের সদরঘাট কেএসআরএম জেটিতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সেখানে মালিকপক্ষ এবং নাবিকদের স্বজনরা তাদের বরণ করে নেবেন। যোগাযোগ করা হলে কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানান, এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে। সেখানে কিছু মালামাল খালাস শেষে ১৫ মে (বুধবার) এমভি আবদুল্লাহ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে। সেখানে বাকি মালামাল খালাস হবে। এর আগে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর বোঝাই করে গত ২৯ এপ্রিল জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর ত্যাগ করে। প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতের আল–হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর তারা জাহাজটিকে সোমালিয়া উপকূলে নিজেদের ডেরায় নিয়ে যায়। ৩১ দিনের জিম্মি জীবন পার করার পর ১৩ এপ্রিল ছাড়া পান ওই ২৩ নাবিক। মুক্ত হওয়ার পর পরই ১ হাজার ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় এমভি আবদুল্লাহ। কড়া নিরাপত্তা দিয়ে জাহাজটিকে ঝুকিপূর্ণ জলসীমা পার করে দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুইটি যুদ্ধজাহাজ ও তিনটি টহল জাহাজ। ২১ এপ্রিল এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়াহ পৌঁছায়। সেখানে কার্গো খালাস করে জাহাজটি মিনা সাকার বন্দরে নোঙর করে এরপর। সেখান থেকে কার্গো লোড করে অবশেষে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় জাহাজটি।
১৩ মে ২০২৪, ২৩:৫৩

সরকারের তৎপরতাতেই দেশে ফিরছে এমভি আবদুল্লাহ
দীর্ঘ এক মাস জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হয়ে পরিবারের কাছে ফিরে যাবেন এমভি আবদুল্লাহর জাহাজের ক্যাপ্টেন এবং নাবিকরা। এতো কম সময়ে ছিনতাই হওয়া জাহাজ উদ্ধারের নজির খুবই কম আছে। দস্যুদের ওপর এক ধরনের চাপ তৈরি হওয়ায় কাজটি সহজ হয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ, এর আগে ২০১০ সালে একই প্রতিষ্ঠানের জাহাজ এমভি জাহান মণী উদ্ধারে সময় লেগেছিল ৯৯ দিন।         জাহাজটির স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম জানায়, রবিবার (১২ মে) সকালে জাহাজটি বঙ্গোপসাগরে দেশের জলসীমায় প্রবেশ করে। সোমবার (১৩ মে) জাহাজটি কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় পৌঁছাবে। কেএসআরএম গ্রুপের এসআর শিপিংয়ের কর্মকর্তা আবদুল মুবিন বলেন, এমভি আবদুল্লাহ বর্তমানে যে গতিতে আসছে এতে সোমবার রাত ৮টার মধ্যে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় নোঙর করবে। সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে দীর্ঘ এক মাস পর গত ১৩ এপ্রিল স্থানীয় সময় রাত ১২টা এবং বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় মুক্তি পায় এমভি আবদুল্লাহ জাহাজসহ ২৩ নাবিক। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে, মুক্তিপণের মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হলেও, জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান এই বিষয়ে কিছু জানায়নি।  এমভি আবদুল্লাহর আগে সর্বশেষ মুক্তিপণ ছাড়াই বুলগেরিয়ার জাহাজ এমভি রুয়েনকে উদ্ধার করা হয়। এমভি রুয়েন কমান্ডো অভিযান চালিয়ে ভারতীয় নৌবাহিনী উদ্ধার করে গত ১৬ মার্চ। তিন মাস জিম্মিদশায় ছিল জাহাজটি। এর আগে ইসরায়েলের একটি জাহাজ ছিনতাই করলেও সফল হয়নি দস্যুরা। এক দিনের মাথায় আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী জাহাজটি উদ্ধার করে।  যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ওয়ান আর্থ ফিউচার ফাউন্ডেশন এক দশক আগে ‘ওশান্স বিয়ন্ড পাইরেসি’ প্রকল্পের আওতায় সোমালিয়া উপকূলে দস্যুতা নিয়ে সমীক্ষা চালায়। সংস্থাটির ‘দ্য ইকোনমিক কস্ট অব সোমালি পাইরেসি ২০১২’ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১ সালে ৩১টি জাহাজ মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছিল। প্রতিটি জাহাজ ছাড়া পেতে গড় সময় লেগেছে ১৭৮ দিন। ২০১২ সালে আটটি জাহাজ মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে আনতে গড়ে সময় লেগেছে ৩১৬ দিন। সেই তুলনায় এমভি আবদুল্লাহ অনেক সময় ছাড়া পেয়েছে জলদস্যুদের কবল থেকে।   এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই হওয়ার পর থেকেই সরকার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ বলছে, এমভি জাহাজ মণি উদ্ধারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর পাশাপাশি সরকারের সহযোগিতা, আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর তৎপরতা বাড়ায় চাপে পড়ে দস্যুরাও দ্রুত জাহাজটি ছেড়ে দিয়েছে।  কেএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত জানান, এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাইয়ের পর প্রথম দিন থেকেই আমরা কাজ শুরু করি। নাবিকদের দ্রুত নিরাপদে ফেরানোই ছিল আমাদের মূল লক্ষ্য। আগের অভিজ্ঞতা থাকায় দস্যুদের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি সমঝোতার প্রক্রিয়াগুলোও আমরা গুছিয়ে এনেছিলাম। তিনি আরও বলেন, সোমালিয়ার উপকূলে দস্যুতার প্রবণতা বাড়ার পর আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর তৎপরতা বাড়ায় দস্যুরাও চাপে ছিল। সরকারও নাবিকদের উদ্ধারে আমাদের সব রকমের সহযোগিতা করেছে। এতে খুব দ্রুত সময়ে উদ্ধার সম্ভব হয়েছে। উদ্ধারের কিছুদিন আগে ১০ এপ্রিল পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানান, আমরা নাবিকদের পরিবারকে আশ্বস্ত করতে চাই, সরকার সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছে। প্রথমত যারা অপহরণ করেছে তাদের সঙ্গে বিভিন্ন পক্ষের মাধ্যমে আলোচনা চলছে। দ্বিতীয়ত তাদের ওপর মনস্তাত্ত্বিক প্রচুর চাপ তৈরি করা হয়েছে। নাবিকরা ভালো আছেন, নিয়মিতভাবে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, এমনকি ভিডিও কলেও কথা বলছেন। সুতরাং যে উদ্বেগটা কিছুদিন আগে ছিল সেটি এই মুহূর্তে নেই। আমরা আশা করছি তাদেরকে শিগগির মুক্ত করতে পারবো। এরপর ১৪ এপ্রিল মধ্যরাতে জাহাজটি জলদস্যুমুক্ত হয়। মুক্তির পর জাহাজটি দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেয়। ২১ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৪টা নাগাদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আল হারমিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে জাহাজটি। জাহাজটিতে থাকা ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা সেখানে খালাস করা হয়। পরবর্তীতে আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর থেকে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন চুনা পাথর লোড করা হয়। এসব পণ্য নিয়ে দেশের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।  উদ্ধারের পর নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালি মাহমুদ চৌধুরী জানান, বিভিন্ন চাপ ছিল জলদস্যুদের উপরে। শেষ মুহূর্তে ৪ থেকে ৫ জন নাবিককে সোমালিয়ার জলদস্যুরা নিয়ে যেতে চায়। ইউরোপীয় নৌবাহিনীর তৎপরতায় তারা তা পারেনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘টাকা-পয়সা কিংবা মুক্তিপণের সঙ্গে আমাদের কোনো ইনভলমেন্ট নেই। টাকা দিয়ে জাহাজ ছাড়িয়ে আনা হয়েছে, এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। অনেকেই বিভিন্ন ধরনের ছবি দেখাচ্ছেন, এ সব ছবির কোনো সত্যতা নেই। ছবিগুলো কোথা থেকে আসছে, কীভাবে আসছে- সেটি আমরা জানি না।’ মুক্তিপণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করেছি দীর্ঘদিন। এখানে মুক্তিপণের কোনো বিষয় নেই।  আমাদের আলাপ-আলোচনা এবং বিভিন্ন ধরনের চাপ আছে।  সেই চাপগুলোও এখানে কাজে দিয়েছে।’ এমভি আবদুল্লাহ গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে যাত্রা শুরু করে। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হারমিয়া বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। এর মধ্যে ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুর কবলে পড়ে জাহাজটি।  এসআর শিপিংয়ের অধীনে মোট ২৪টি জাহাজের মধ্যে সর্বশেষ যুক্ত করা হয় এমভি আবদুল্লাহকে। ২০১৬ সালে তৈরি এই বাল্ক ক্যারিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। ড্রাফট ১১ মিটারের কিছু বেশি। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেওয়ার আগে এটির নাম ছিল গোল্ডেন হক। মালিকানা পরিবর্তনের পর জাহাজের নামও পরিবর্তন করা হয়। নতুন নাম হয় এমভি আবদুল্লাহ।
১২ মে ২০২৪, ১৮:৪১

এমভি আবদুল্লাহ দেশে পৌঁছাবে সোমবার 
সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকার পর মুক্ত হওয়া ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ আগামী সোমবার (১৩ মে) দেশে পৌঁছাবে বলে জানা গেছে। এদিন কক্সবাজারের কুতুবদিয়া চ্যানেলে ফেরার কথা রয়েছে জাহাজটির। সেখানে পৌঁছার পর জাহাজ থেকে পাথর খালাস করা হবে। পরে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হবে। বন্দরে অবশিষ্ট পাথর খালাসের পর ক্যাপ্টেনসহ ২৩ নাবিক চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিজেদের বাড়িতে যাবেন। শনিবার (১১ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এমভি আবদুল্লাহ’র মালিক চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।  তিনি বলেন, ‘৫৬ হাজার মেট্রিক টন পাথর নিয়ে আগামী ১৩ মে এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়া চ্যানেলে আসার পর সেখানে জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করা হবে। দুদিন পর জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের পৌঁছাবে। জাহাজ থেকে অবশিষ্ট পাথর খালাস করা হবে। এরপর নাবিকরা চট্টগ্রাম আসবেন।’    এ প্রসঙ্গে কেএসআরএম এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম বলেন, ‘সোমবার রাতে এমভি আবদুল্লাহ কক্সবাজারের কুতুবদিয়া পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এরপর জাহাজের নাবিকদের তীরে নিয়ে আসা হবে।’ এ দিকে শনিবার জাহাজে থাকা একাধিক নাবিক জানান, তারা বর্তমানে বঙ্গোপসাগরের (বে অব বেঙ্গল) ভারতের জলসীমায় রয়েছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে তারা আশা করছেন জাহাজ নিয়ে সোমবার দেশে পৌঁছাতে পারবেন। এ বিষয়ে সর্বশেষ শনিবার (১১ মে) রাত পৌনে ৯টায় জাহাজের মাস্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, ‘এমভি আবদুল্লাহ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বর্তমানে ৫০০ নটিক্যাল মাইল দূরত্বে অবস্থান করছে। আগামী সোমবার রাতে জাহাজটি কুতুবদিয়া পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।’ এর আগে জাহাজটির চিফ অফিসার মো. আতিক উল্লাহ তার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘আল্লাহর রহমতে অবশেষে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করেছি এমভি আবদুল্লাহসহ আমরা ২৩ নাবিক। সব ঠিক থাকলে ইনশাআল্লাহ আগামী ১৩-১৪ মে চট্টগ্রাম পৌঁছাব।’ উল্লেখ্য, সোমালি জলদস্যুদের হাতে অপহরণের দীর্ঘ ১ মাস পর গত ১৩ এপ্রিল সোমালিয়ার সময় রাত ১২টা এবং বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় মুক্তি পায় এমভি আবদুল্লাহ জাহাজসহ ২৩ নাবিক। এর আগে জলদস্যুদের মুক্তিপণের টাকা পৌঁছানো হয় একটি বিশেষ এয়ারক্রাফটের মাধ্যমে। এই এয়ারক্রাফট থেকে দস্যুদের নির্ধারিত স্থানে তিনটি ব্যাগভর্তি ডলার পৌঁছানো হয়। মুক্তির পর জাহাজটি দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ২১ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৪টা নাগাদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আল হারমিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে জাহাজটি। 
১২ মে ২০২৪, ০৩:০২

জিম্মিদশার ১ মাস পর স্বদেশের জলসীমায় এমভি আবদুল্লাহ
সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মিদশা থেকে মুক্তির প্রায় এক মাস পর ২৩ নাবিক নিয়ে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় পৌঁছেছে এমভি আব্দুল্লাহ। সোমবার (১৩ মে) কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় নোঙর করতে পারে জাহাজটি। শনিবার (১১ মে) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া ফোকাল পার্সন মিজানুল ইসলাম।  তিনি বলেন, ১৩ মে বিকেল নাগাদ এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়া পৌঁছাতে পারে। সেখানে কিছু পণ্য খালাস করবে। এতে দুই দিন সময় লাগতে পারে। তারপর চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে বাকি পণ্য খালাস করবে। এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়া পৌঁছানোর পর নাবিকরা জাহাজে করেই চট্টগ্রামে পৌঁছাবে নাকি আগেই জাহাজ থেকে নেমে চট্টগ্রাম যাবে, সে ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান মিজানুল ইসলাম। জাহাজের মালিকপক্ষ এর আগে জানিয়েছিল, এমভি আবদুল্লাহ দেশে পৌঁছাতে পারে ১২ মে। জাহাজে ৫৬ হাজার টন পাথর রয়েছে। গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। অস্ত্রের মুখে জাহাজ ও এর ২৩ নাবিককে জিম্মি করা হয়। এর ৩৩ দিন পর গত ১৩ এপ্রিল জলদস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে চলে যায়। এরপর দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয় এটি। মুক্তির পর জাহাজটি গত ২২ এপ্রিল কয়লা খালাসের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখান থেকে চুনাপাথরের আমদানির জন্য মিনা সাকার বন্দরে যায়। গত ৩০ এপ্রিল ভোরে জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাত বন্দর থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ১৩ মের হিসাবে জিম্মিদশার ঠিক দুই মাস পর দেশে ফিরছেন এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক, যাদের সবাই বাংলাদেশি। জিম্মিদশার ভয়ংকর অভিজ্ঞতা নিয়ে ফেরা নাবিকদের অপেক্ষায় পরিবার ও স্বজনেরা। কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন ‘এমভি আবদুল্লাহ’ আগে ‘গোল্ডেন হক’ নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।
১১ মে ২০২৪, ১৮:০৪

চুনাপাথর নিয়ে ২৩ নাবিকসহ দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহ
সোমালিয়ান জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) মধ্যরাতে ২৩ নাবিককে নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর ত্যাগ করে জাহাজটি। এর আগে ওই বন্দরে জাহাজে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর বোঝাই করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, দস্যুমুক্ত হওয়ার পর ২৩ নাবিকসহ গত ২১ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে নোঙর করে এমভি আবদুল্লাহ। সেখানে কয়লা খালাস করে জাহাজটি ২৭ এপ্রিল মিনা সাকার বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এরপর মিনা সাকার থেকে ৫৬ হাজার চুনাপাথর লোড করে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে জাহাজটি। মুক্ত হওয়া ২৩ নাবিকও আসছেন একই সঙ্গে। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর কুতুবদিয়া চ্যানেলে জাহাজ থেকে কার্গো খালাস করা হবে। প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতের আল–হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর তারা জাহাজটিকে সোমালিয়া উপকূলে নিজেদের ডেরায় নিয়ে যায়। ৩১ দিনের জিম্মি জীবন পার করার পর ১৩ এপ্রিল ছাড়া পান ওই ২৩ নাবিক। মুক্ত হওয়ার পর পরই ১ হাজার ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় এমভি আবদুল্লাহ। কড়া নিরাপত্তা দিয়ে জাহাজটিকে ঝুকিপূর্ণ জলসীমা পার করে দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুইটি যুদ্ধজাহাজ ও তিনটি টহল জাহাজ। এর আগে ২০১০ সালের ডিসেম্বরেও আরব সাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল একই মালিকপক্ষের জাহাজ এমভি জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। পরে ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৭

নতুন গন্তব্যে এমভি আবদুল্লাহ, ২৩ নাবিকের দেশে ফেরা নিয়ে নতুন তথ্য
সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে ৫৫ হাজার টন কয়লা খালাসের কাজ শেষ করেছে। এবার আরব আমিরাতের মিনা সাকার নামে আরেকটি বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে জাহাজটি। সেখানে পণ্য লোড করে জাহাজটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হবে।  শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে এ তথ্য দিয়েছেন জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম। তিনি জানিয়েছেন, আল হামরিয়া বন্দরে পণ্য খালাস করে শনিবার রাতে জাহাজটি মিনা সাকার নামে আরেকটি বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। সেখান থেকে নতুন পণ্য নিয়ে তারপর চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে এমভি আবদুল্লাহ। কবে নাগাদ মুক্ত ২৩ নাবিক দেশে ফিরবেন- এ প্রশ্নের জবাবে মেহেরুল করিম বলেন, মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি চট্টগ্রামে নোঙর করবে বলে আশা করছি। নতুন বন্দর থেকে পণ্য লোড করার পর নাবিকদের দেশে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাতও। প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতের আল–হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর তারা জাহাজটিকে সোমালিয়া উপকূলে নিজেদের ডেরায় নিয়ে যায়। ৩১ দিনের জিম্মি জীবন পার করার পর ১৩ এপ্রিল ছাড়া পান ওই ২৩ নাবিক। মুক্ত হওয়ার পর পরই ১ হাজার ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা আরব আমিরাতের আল–হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয় এমভি আবদুল্লাহ। কড়া নিরাপত্তা দিয়ে জাহাজটিকে ঝুকিপূর্ণ জলসীমা পার করে দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুইটি যুদ্ধজাহাজ ও তিনটি টহল জাহাজ। ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি ২১ এপ্রিল বিকেলে আল হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করে। জেটিতে নোঙর ফেলে ২২ এপ্রিল। এরপর শুরু হয় কয়লা খালাসের প্রক্রিয়া।
২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৯

রোববার দেশের পথে রওনা হচ্ছে এমভি আবদুল্লাহ 
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দর থেকে সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ রোববার (২৮ এপ্রিল) দেশের উদ্দেশে রওনা হবে।  বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া ফোকাল পার্সন মিজানুল ইসলাম। তিনি জানান, শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুবাইয়ের আল-হামরিয়া বন্দরের জেটিতে থাকা এমভি আবদুল্লাহতে পণ্য লোড করা শেষ হয়েছে। কাল (রোববার) সকালে জাহাজ বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হবে।  তিনি আরও জানান, জাহাজে করেই ২৩ নাবিকের সবাই দেশে ফিরবেন। জাহাজটি দেশে পৌঁছাতে কতদিন লাগতে পারে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে মিজানুল ইসলাম বলেন, ‌কাল (রোববার) রওনা হলে মে মাসের মাঝামাঝিতে দেশে পৌঁছাতে পারবে এমভি আবদুল্লাহ। প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। অস্ত্রের মুখে জাহাজসহ ২৩ নাবিককে জিম্মি করা হয়।  এর ৩৩ দিন পর গত ১৩ এপ্রিল জাহাজ ছেড়ে চলে যায় জলদস্যুরা। এরপর কয়লা খালাসের জন্য দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে জাহাজটি রওনা হয়।
২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩০

জাহাজেই ফিরছেন এমভি আবদুল্লাহর সব নাবিক
সোমালিয়ান জলদস্যুদের অপহরণের শিকার বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিকের সবাই জাহাজে করেই দেশে ফিরছেন। গত ১৩ এপ্রিল জলদস্যুদের কবল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর দুজন নাবিক বিমানে দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও দুবাইয়ের আল-হামরিয়া নৌ-বন্দরে নোঙর করার পর সিদ্ধান্ত পাল্টেছেন তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপের সিইও মেহেরুল করিম জানিয়েছেন, ২৩ নাবিকের মধ্যে দুইজনের বিমানে দেশে আসার কথা থাকলেও এখন সবাই জাহাজে করে বাংলাদেশ আসছেন।  জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়ার ৯ দিন পর এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের হামরিয়া বন্দরের জেটিতে ভিড়েছে সোমবার রাত ১০টায়। মোজাম্বিক থেকে আনা ৫০০ টন কয়লা খালাস শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে। কয়লাগুলো খালাস হতে আনুমানিক পাঁচ থেকে সাত দিন সময় লাগতে পারে। এরপর নতুন করে কার্গো ভর্তি করার পর দেশে ফেরার প্রস্তুতি নেওয়া হবে। এর আগে, রোববার এমভি আবদুল্লাহ ওই বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করেছিল। কিন্তু বন্দরে জায়গা না থাকায় জাহাজটির বন্দরে পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হয়। সোমবার রাতে জাহাজ বন্দরে ভেড়ার পর নাবিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর ও জাহাজ কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা। কেএসআরএম গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে নাবিকরা চাইলেও বন্দরের বাইরে আসতে পারবেন না। কারণ, আরব আমিরাতে প্রবেশের জন্য এখনও তাদের ভিসা হয়নি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের ভিসার জন্য আবেদন করা হবে। এদিকে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দেশটির আজমান প্রদেশে বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেএসআরএম গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহরিয়ার জাহান। প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে আরব আমিরাতের আল–হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর তারা জাহাজটিকে সোমালিয়া উপকূলে নিজেদের ডেরায় নিয়ে যায়। ৩১ দিনের জিম্মি জীবন পার করার পর ১৩ এপ্রিল ছাড়া পান ওই ২৩ নাবিক। মুক্ত হওয়ার পর পরই ১ হাজার ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা আরব আমিরাতের আল–হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয় এমভি আবদুল্লাহ। কড়া নিরাপত্তা দিয়ে জাহাজটিকে ঝুকিপূর্ণ জলসীমা পার করে দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুইটি যুদ্ধজাহাজ ও তিনটি টহল জাহাজ।  
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়