• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo

জাহাজেই ফিরছেন এমভি আবদুল্লাহর সব নাবিক

আরটিভি নিউজ

  ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩৮
জাহাজেই ফিরছেন এমভি আবদুল্লাহর সব নাবিক
ছবি : সংগৃহীত

সোমালিয়ান জলদস্যুদের অপহরণের শিকার বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিকের সবাই জাহাজে করেই দেশে ফিরছেন। গত ১৩ এপ্রিল জলদস্যুদের কবল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর দুজন নাবিক বিমানে দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও দুবাইয়ের আল-হামরিয়া নৌ-বন্দরে নোঙর করার পর সিদ্ধান্ত পাল্টেছেন তারা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপের সিইও মেহেরুল করিম জানিয়েছেন, ২৩ নাবিকের মধ্যে দুইজনের বিমানে দেশে আসার কথা থাকলেও এখন সবাই জাহাজে করে বাংলাদেশ আসছেন।

জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়ার ৯ দিন পর এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের হামরিয়া বন্দরের জেটিতে ভিড়েছে সোমবার রাত ১০টায়। মোজাম্বিক থেকে আনা ৫০০ টন কয়লা খালাস শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে। কয়লাগুলো খালাস হতে আনুমানিক পাঁচ থেকে সাত দিন সময় লাগতে পারে। এরপর নতুন করে কার্গো ভর্তি করার পর দেশে ফেরার প্রস্তুতি নেওয়া হবে।

এর আগে, রোববার এমভি আবদুল্লাহ ওই বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করেছিল। কিন্তু বন্দরে জায়গা না থাকায় জাহাজটির বন্দরে পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হয়।

সোমবার রাতে জাহাজ বন্দরে ভেড়ার পর নাবিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর ও জাহাজ কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা।

কেএসআরএম গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে নাবিকরা চাইলেও বন্দরের বাইরে আসতে পারবেন না। কারণ, আরব আমিরাতে প্রবেশের জন্য এখনও তাদের ভিসা হয়নি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের ভিসার জন্য আবেদন করা হবে।

এদিকে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দেশটির আজমান প্রদেশে বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেএসআরএম গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহরিয়ার জাহান।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে আরব আমিরাতের আল–হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর তারা জাহাজটিকে সোমালিয়া উপকূলে নিজেদের ডেরায় নিয়ে যায়। ৩১ দিনের জিম্মি জীবন পার করার পর ১৩ এপ্রিল ছাড়া পান ওই ২৩ নাবিক।

মুক্ত হওয়ার পর পরই ১ হাজার ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা আরব আমিরাতের আল–হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয় এমভি আবদুল্লাহ। কড়া নিরাপত্তা দিয়ে জাহাজটিকে ঝুকিপূর্ণ জলসীমা পার করে দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুইটি যুদ্ধজাহাজ ও তিনটি টহল জাহাজ।

মন্তব্য করুন

  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
প্রতি রাতে মনে হতো এটাই জীবনের শেষ রাত: প্রধান প্রকৌশলী
‘দস্যুদের হাত থেকে ২১ জন পালিয়েছিলাম, তবে স্বেচ্ছায় ফিরে আসি’
যেসব কারণে দস্যুরা অত্যাচার কম করেছে, জানালেন নাবিক জয়
‘মনে হতো আর মায়ের কাছে ফেরা হবে না’