চলতি বছরের মে মাসে প্রবাসীরা ২২৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন।
রোববার (২ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আগের বছরের একই মাসের তুলনায় প্রবাসী আয় ৩২ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। গত বছরের মে মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৭০ কোটি ডলার।
চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত ১১ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে মে মাসে। তবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল গত ফেব্রুয়ারিতে।
সাধারণত দুই ঈদের আগে পরিবার-স্বজনদের কাছে বাড়তি অর্থ পাঠান প্রবাসীরা।
এদিকে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ২৯ মে পর্যন্ত দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১২৬ কোটি ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৯২৭ কোটি ডলার। সেই হিসাবে প্রবাসী আয় বেড়েছে ১৯৯ কোটি ডলার।
এর আগে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২১০ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার এবং এপ্রিল মাসে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রবাসীরা ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর ১৯৩ কোটি ডলার এবং ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।
উল্লেখ্য, ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।
- সর্বশেষ
- পাঠক প্রিয়
মে মাসে প্রবাসী আয় ২২৫ কোটি ডলার
কিছুক্ষণ আগে
রাজবাড়ীতে গ্রামপুলিশ গুলিবিদ্ধ
১৯ মিনিট আগে
ইসলামে মানুষ হত্যার অপরাধ ও বিধান
২০ মিনিট আগে
শেখ হাসিনা নারী ক্ষমতায়নের রোল মডেল: স্পিকার
২৫ মিনিট আগে
‘সরকারের উন্নয়নের ফলে দেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল’
৩৩ মিনিট আগে
টস জিতে ফিল্ডিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
৪৮ মিনিট আগে
‘আব্বু তোমার কি কষ্ট হচ্ছে’
১ ঘণ্টা আগে
রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিচ্ছেন এমবাপ্পে!
১ ঘণ্টা আগে
চলতি মাসে বন্যার শঙ্কা
১ ঘণ্টা আগে
নদীতে ভাসছিল কালো রঙের ট্রলি ব্যাগ, অতঃপর...
৮ ঘণ্টা আগে
ভূমিকম্পে কাঁপল বাংলাদেশ
৫ ঘণ্টা আগে
হিজড়াদের হামলায় চোখ হারালেন এসআই
৬ ঘণ্টা আগে
বসুন্ধরায় প্রবাসী খুন, নেপথ্যে পরকীয়া
১৩ ঘণ্টা আগে
ভেঙে ফেলা হচ্ছে ডিপজলের ‘পর্বত’, তবে...
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (০২ জুন)
১৯ ঘণ্টা আগে
বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে যত রেকর্ড
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী ক্ষমতায়নের রোল মডেল। তিনি নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য নিরসন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে নারীদের সহযোগিতা দান, ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা প্রেরণের মাধ্যমে নারীর সার্বিক অবস্থা উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন।
রোববার (২ জুন) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র কর্তৃক আয়োজিত ‘৪র্থ জাতীয় সম্মেলন’- এ নারী পুরুষের সমতা অর্জনে কলম হোক হাতিয়ার প্রতিপাদ্যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে সংবাদপত্রের পথচলা সহজ হয়েছে। এই সরকার প্রচুর সংখ্যক অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে অনুমোদন দিয়েছে। সরকার সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণমাধ্যমের প্রসারের জন্য বিভিন্ন নীতিমালা গ্রহণ করেছেন।
তিনি বলেন, বিশ্বায়নের যুগে তথ্য প্রবাহ ও তথ্য প্রযুক্তির সাথে খাপ খাওয়াতে নারী সাংবাদিকদের প্রশিক্ষিত করা সময়ের দাবি। সাংবাদিকতার মতো চ্যালেঞ্জিং পেশায় নারীরা প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের দীর্ঘ ২৪ বছরের পথচলা সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে এক অনন্য অর্জন। নারী সাংবাদিকদের পেশাগত ঝুঁকি নিরসনে সংগঠনটি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করা, ফেক নিউজ চিহ্নিত করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের জন্য বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র সহযোগিতা করতে পারে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র’র সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের কার্যনির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা।
এ সময় নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের প্রতিনিধিবৃন্দ, দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলী, দেশবরেণ্য সাংবাদিকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নির্মাতার বিরুদ্ধে প্রোডাকশন ম্যানেজারকে মেরে কানের পর্দা ফাটানোর অভিযোগ
পরিচালক রুবেল আনুশের নামে জিম্মি করে মারধর ও মোটর সাইকেলের কাগজপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তারই প্রোডাকশন ম্যানেজার দ্বীন ইসলাম দিনার।
সোমবার (২৭ মে) মগবাজারের একটি ক্লাবে এই ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দিনারের সঙ্গে ছিলেন আরেক নির্মাতা ইমাম হোসেন শামীম, যিনি সম্প্রতি আনুশের কয়েকটি নাটকে নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে কাজ করেছেন।
আনুশের বিরুদ্ধে দিনার ও শামীমের অভিযোগ, মিটিংয়ের কথা বলে রাত পৌনে ৪টা পর্যন্ত আটকে রেখে তাদের ওপর শারীরিকভাবে নির্যাতন চালিয়েছেন নির্মাতা আনুশ। মূলত, শুটিংয়ের পাওনা টাকার লেনদেন নিয়েই এই বিরোধের সৃষ্টি। দুই পক্ষই একে-অপরের কাছে টাকা পাবে বলে দাবি করছে।
এ বিষয়ে নাট্য পরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন দ্বীন ইসলাম দিনার। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, গত রোজার ঈদের আগে থেকে এখন পর্যন্ত পরিচালক জনাব রুবেল আনুশের সাথে ঢাকা, মানিকগঞ্জ, নিকলীতে (কিশোরগঞ্জ) বেশ কয়েকটি নাটকের শুট করি। শুটিং শেষে পরিচালকের কাছে প্রডাকশন বাবদ পাওনা হই ১৪,১৬,৬৩০ টাকা। এরমধ্যে সাবেক বকেয়া ৯৪,০০০ ও ১৫,০০০; প্রেম পদ্য, গল্পটা সামান্যই, দুই দিনের দুনিয়া এই তিনটি নাটকের বকেয়া ৩,৯৪,০০০। লটারি নাটকে পাওনা ৯৫,৯৫৫। তোমার প্রেমে নাটকে ৯০,২৬০। ফিদা নাটকে পাওনা ছিল ৭,২৭,৬৩০ টাকা। এই পাওনা টাকাগুলো ৩০ মে দেওয়ার কথা ছিল।
অভিযোগপত্রে দিনার জানান যে, মগবাজারে তাকে মারধর করে মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিনিয়ে নেন আনুশ। এমনকি জোরপূর্বক তার কাছ থেকে ভিডিও স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়।
লিখিত অভিযোগে দিনার বলেন, আমি রাত ৮টার সময় মগবাজার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সামনে যাই। তারপর আমাকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নিকটে একটি ক্লাবে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পরবর্তী শুটিং প্ল্যানের কথা বলে রুবেল আনুশের নেতৃত্বে তার দলবল আমাকে জিম্মি করে। রাত ৮টা থেকে ভোর ৩টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালায়। বলে যে, এই মুহূর্তে তুমি ২০ লাখ টাকা আনাও, তারপর চলে যাও। কিন্তু শেষমেশ আমরা যে পাওনাদি তার কাছে পাব, সেই টাকা আর চাইতে পারব না, আগামী মাসে নগদ ৫ লাখ টাকা তাদেরকে দিব, বিনিময়ে আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মোটর সাইকেলের কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ফেরত পাব, এই মর্মে আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক ভিডিও জবানবনন্দি রেকর্ড করে। এরপর ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আমাকে রাত ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে ছেড়ে দেয়।
এরপর চিকিৎসা নিতে উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান দিনার। এ বিষয়ে ওই অভিযোগপত্রে তিনি বলেন, সেখান থেকে বের হয়ে দ্রুত উত্তরার একটি হাসপাতালে যাই। তখন কর্তব্যরত ডাক্তার জানায় যে আমার ডান পাশের কানের পর্দা ফেটে গেছে।
গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রোডাকশন ম্যানেজার দিনারের ভাষ্য, আমি তো বৃহস্পতিবার (২৭ মে) মরেই যেতাম। আমার অণ্ডকোষে লাত্থি মারছে। প্রায় আধা ঘণ্টা অজ্ঞান ছিলাম। পৌনে চারটা পর্যন্ত নির্যাতন করছে। আমি ওনাদের হাতে-পায়ে ধরে কান্নাকাটি করছি—‘ভাই এ পৃথিবীতে আমার মা-বোন ছাড়া কেউই নেই, এদেরকে দেখতে হবে।’ কাজটা তারা প্ল্যান করে করছে। আমি আগে বুঝতে পারিনি একদমই।
এই ঘটনার সুবিচার আশা করে দিনার বলেন, এটার বিচার না হলে ওরা তো এমনটা আরও অনেকের সঙ্গে করবে। আমি কোনোভাবে জীবন নিয়ে বাঁচতে পারছি।
অন্যদিকে, এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন রুবেল আনুশ। তিনিও প্রায় ৬ লাখের মতো টাকা পান জানিয়ে বললেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আসছে, সেগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। দিনার যেমন আমার কাছে টাকা পায়, আমিও তার কাছে টাকা পাই প্রায় ৬ লাখের মতো।
মগবাজারের ওই ক্লাবে মারধরের ব্যাপারে জানতে চাইলে আনুশ বললেন, আমি কাউকে মারধর করিনি। আমার প্রোডাশন টিমের কয়েকজন ছিল। তারা উত্তেজিত হয়ে মারধর করেছে।
অন্যদিকে, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (৩১ মে) রাতে দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসে ডিরেক্টরস গিল্ড ও প্রোডাকশন ম্যানেজার অ্যাসোসিয়েশন। এতে উপস্থিত ছিলেন রুবেল আনুশ, দিনার, শামীমসহ আরও অনেকে। অভিযোগ রয়েছে, মিডিয়ার বাইরের লোকজন জড়ো হওয়ারও।
অবশেষে আগামী ৮ জুন দুই পক্ষকে কাগজপত্র দেখানোর দিন-তারিখ ধার্য করেছে সংশ্লিষ্ট সংগঠন। ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সাগর বলেন, আমরা দুই সংগঠন আগামী ৮ তারিখ তাদেরকে হিসাব-নিকাশের কাগজপত্র দেখাতে বলছি। কারণ, আদ্যপান্ত না জেনে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব না। চেষ্টা করব বিষয়টি যেন মিটমাট হয়ে যায়।
অনন্ত-রাধিকার প্রিওয়েডিং / অতিথিদের জন্য ২০ চার্টার বিমান, ১২ প্রাইভেট জেট ও ১৫০ গাড়ি
চলতি বছরের মার্চে ভারতের জামনগরে প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গোটা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল ভারতের সবচেয়ে ধনী ও অভিজাত আম্বানি পরিবার। ভারতের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানির ছেলে অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিল গেটস থেকে শুরু করে জাকারবার্গ, রিহানা থেকে শাহরুখ খান, এমনকি গোটা বলিউড। হাজির ছিলেন ক্রীড়াঙ্গনের মহাতারকারাও।
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির কর্ণধার মুকেশ ও তার স্ত্রী চান তাদের ছোট ছেলের বিয়েটা যেন গোটা বিশ্ব মনে রাখে। এ জন্য তারা বিন্দুমাত্র কমতি রাখছেন না। এই কয়েক মাস আগেই গুজরাটের জামনগরে ধুমধাম করে একপ্রস্থ প্রাক বিবাহ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হলো তাদের। ফের ২৯ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত বিদেশে হলো দ্বিতীয় দফার প্রাক বিবাহ অনুষ্ঠান।
এবারের অনুষ্ঠান একটি ক্রুজে হয়। সেখানে বিভিন্ন ভিআইপি গেস্ট থেকে বলিউডের নামি দামি তারকাসহ স্পোর্টস স্টাররা ছিলেন। এবার এই প্রাক বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পর্কে একাধিক তথ্য প্রকাশ্যে এলো।
এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, আম্বানিদের তরফে এই অনুষ্ঠানের জন্য নাকি ২০টি চার্টার বিমান বুক করা হয়েছিল অতিথিদের জন্য। আর এ লিস্টের অতিথিরা ২৮মেতেই বার্সেলোনায় পৌঁছান। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমস্ত তারকারা যাতে আয়েশ করে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেন তাই এই বিমানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, যা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছাড়ে।
এছাড়া পরিবারের সবাই, বিজনেস পার্টনার, বন্ধু, স্টাফ এবং নৃত্যশিল্পীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য ১২টি প্রাইভেট জেটের ব্যবস্থা করেছেন তারা। এছাড়াও অন্যান্য অতিথিদের জন্য মোট ১৫০ টি আলিশান গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
জানা গেছে অনন্ত রাধিকার এই প্রাক বিবাহ অনুষ্ঠানে দুর্দান্ত সব মেনু রাখা হয়। ভারতীয় বিভিন্ন পদ সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন পদও ছিল। দারুণ আলো এবং গান বাজনার ব্যবস্থাও তো ছিলই।
অনন্ত-রাধিকার এই প্রাক বিবাহ অনুষ্ঠানটি চলে ২৯ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত। এটি ইতালি এবং ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে আগামী ১২ জুলাই তারা মুম্বাইয়ের জিও ওয়ার্ল্ড সেন্টারে সাতপাকে বাঁধা পড়বেন বলেই জানা গেছে। ইতোমধ্যেই তাদের বিয়ের সেই কার্ড সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে।
অনন্ত আম্বানি এবং রাধিকা মার্চেন্ট ছোটবেলার বন্ধু। সেখান থেকেই তাদের প্রেম শুরু। গত বছরই তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়। এরপর এই বছরের শুরুতে তাদের প্রথম প্রাক বিবাহ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় সেখানেই যেখান থেকে তাদের গল্প শুরু হয়েছিল অর্থাৎ গুজরাটের জামনগরে। তারপর এই দ্বিতীয় প্রাক বিবাহ অনুষ্ঠান বিদেশে অনুষ্ঠিত হলো।
ভেঙে ফেলা হচ্ছে ডিপজলের ‘পর্বত’, তবে...
নব্বইয়ের দশকে দেশে প্রায় ১ হাজার ২৫০ সিনেমা হল ছিল। সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে দেড়শ’তে। এর মধ্যে প্রায় ৬০টি সিনেমা হল পুরোদমে সচল। ঢাকার গাবতলীর একসময়ের জনপ্রিয় সিনেমা হল ‘পর্বত’। কালের পরিক্রমায় হলটির জৌলুশ হারিয়েছে। হলটি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর এবার ভেঙে ফেলা হচ্ছে হলটি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিপজল নিজেই।
হল-সংকটের এই সময়ে সম্প্রতি ৬৪ জেলায় সিনেমার হল বানানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন ডিপজল। জানিয়েছিলেন কম খরচে দর্শক যেন হলে সিনেমা দেখতে পারে, সেই পরিকল্পনা করেই নির্মিত হবে হলগুলো।
ডিপজলের এমন ঘোষণার পর পর্বত সিনেমা হল ভাঙার খবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডিপজলের সমালোচনা করছেন নেটিজেনরা। তবে ডিপজল জানান, পর্বত সিনেমা হল ভেঙে মার্কেট তৈরি হলেও সেখানে সিনেমা হলও থাকবে। সেখানে তিনটি হল নিয়ে তৈরি হবে মাল্টিপ্লেক্স।
ডিপজল বলেন, পর্বত সিনেমা হল ভেঙে ফেলার খবরটি সত্য। সেখানে মার্কেট করা হবে। মার্কেটের ওপরে তিনটি স্ক্রিন নিয়ে মাল্টিপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে।
ফের শাকিবের সঙ্গী ইধিকা
‘প্রিয়তমা’ সিনেমার মাধ্যমে শাকিব খান ও কলকাতার অভিনেত্রী ইধিকা পাল জুটি বেঁধে অভিনয় করে দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছিলেন । এই ছবি দিয়েই ইধিকার বড় পর্দায় ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে ছবিটি দিয়ে। এরপর দুজনেই ব্যস্ত। তবে আলাদাভাবে। এক হওয়া হয়নি নতুন কোনো কাজে। নতুন খবর হলো ফের এক সিনেমায় দেখা যাবে শাকিব-ইধিকাকে। ‘বরবাদ’ শিরোনামের সিনেমাটি নির্মাণ করতে যাচ্ছেন নাট্য পরিচালক মেহেদী হাসান হৃদয়।
সিনেমাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। সূত্রগুলোর দাবি, সেপ্টেম্বর থেকে ভারতের রামুজি ফিল্ম সিটিতে শুরু হবে শুটিং। শাকিব-ইধিকা ছাড়াও সিনেমাটির একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে কাজ করছেন মিশা সওদাগর।
সিনেমাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা এখনই আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য দিতে রাজি না হলেও জানা গেছে সিনেমাটির অন্যতম প্রযোজক মাস্টার কমিউনিকেশন।
প্রসঙ্গত, গেল বছর ঈদে মুক্তি পায় তরুণ পরিচালক হিমেল আশরাফ পরিচালিত সিনেমা ‘প্রিয়তমা’। সিনেমাটিতে শাকিব খানের সঙ্গে ছিলেন কলকাতার অভিনেত্রী ইধিকা পাল। এই সিনেমা দিয়েই বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে এই এই অভিনেত্রীর। প্রথম সিনেমাতেই জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ওঠে শাকিব-ইধিকা জুটি। তারপর বাংলাদেশের ‘কবি’ নামের এক সিনেমায় শরিফুল রাজের বিপরীতে অভিনয় করেছেন ইধিকা।
এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে টেনে ধরার জন্য রাষ্ট্রবিরোধী চক্র ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
রোববার (২ জুন) দুপুরে দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের গোদাবাড়ী গ্রামে কামবালা নিবাস হস্তান্তর ও কামবালা সড়কের উদ্বোধনী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের মধ্যে ঢুকে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য কতিপয় গোষ্ঠী মহাপরিকল্পনা করছে। সেজন্য তারা শেখ হাসিনাকে টার্গেট করেছে। শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দিতে পারলে বাংলাদেশ আর মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না।
খালিদ মাহমুদ রাজনৈতিক জীবনে বিরল অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবনে একটি বিরল অভিজ্ঞতা গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। আমি এতদিন রাজনীতি করেও যেটা শিক্ষা লাভ করিনি, আমাদের গদাবাড়ী গ্রামের ৯২ বয়সের এই বৃদ্ধা কামবালা আমাকে সেই শিক্ষা দিয়েছেন। একটি ভোট একটি এলাকার জন্য, একটি দেশের জন্য, সমগ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা তিনি দেখিয়েছেন। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে কালিয়াগঞ্জ স্কুল মাঠে জানুয়ারির ৩ তারিখ নির্বাচনী প্রচারণা অংশ নিয়েছিলাম। সেই পথ সভাটি জনসভায় রূপ নিয়েছিল। হাজার হাজার মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ করে আমার মা-বোনেরা। সেই অনুষ্ঠানে এত মানুষের ভিড় ঠেলে কামবালা তিনি তার প্রার্থীকে চেনেন না, তিনি যে আদর্শকে সমথর্ন করেন, যে দলের প্রতি তার ভরসা আছে, যে নেতৃত্বের প্রতি তার বিশ্বাস আছে, সেই নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগের সভামঞ্চের দিকে এগিয়ে গেলেন। প্রার্থীকে খুঁজে নিয়েছেন। তিনি সেই সময় তার যৎসামান্য সঞ্চয় তুলে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতীক, স্বাধীনতার প্রতীক, আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকার প্রতি কামবালা বেওয়ার অগাধ বিশ্বাস আছে। আমি যখন তাকে (কামবালাকে) নৌকার ব্যাচ পরিয়ে দিতে যাচ্ছিলাম। তখন তিনি বলেছিলেন, আমি এই প্রতীক চিনি, এই প্রতীক আমাকে চিনাতে হবে না। নৌকার মার্কার প্রতি তার অগাধ আস্থা, বিশ্বাস, তা দেখে একজন প্রার্থীও একজন ভোটারের কাছে পরাজিত হয়ে গেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কামবালার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বলেছি, কামবালা হচ্ছে ভোটার অব দ্যা ইলেকশন। তিনি যে দৃষ্টান্ত রেখেছেন, এটা শুধু ভোটের বিষয় না, শিক্ষণীয় বিষয়। একটি ভোট একটি জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করে দিতে পারে। একটি ভোট একটি দেশকে উন্নয়নের শিখড়ে নিয়ে যেতে পারে, একটি ভোট একটি জনগোষ্ঠীকে সমগ্র পৃথিবীতে জাগ্রত করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, একটি ভোট মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে। ৯৬ সালে শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়েছিলাম। তিনি বাংলার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছিলেন। কিন্তু ২০০১ সালে নির্বাচনে বাংলার মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষকে নির্যাতন, নিপীড়ন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ,লুটেরা, দুর্নীতিবাজ, হাওয়া ভবন করে দেশের মানুষকে সর্বশান্ত করেছে। তখন দেশের মানুষের কোনো স্বাধীনতা ছিল না, বাক স্বাধীনতা ছিল না, জীবনের নিরাপত্তা ছিল না, সংসদ সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা ছিল না। আজকের প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড হামলা করে হত্যা করতে চেয়েছিল। বাংলাদেশকে সন্ত্রাসবাদের জনপদ হিসেবে বিশ্বের কাছে পরিচিত করতে চেয়েছিল। সেই সন্ত্রাসবাদকে চ্যালেঞ্জ করে ভোটের মাধ্যমে কোথায় নিয়ে গেছে। আজ শুধু গদাবাড়ীর কামবালা নয়, সারা বাংলাদেশের কোনো জায়গা ভূমিহীন থাকবে না। আমরা দেখতে পাচ্ছি ধীরে ধীরে বাংলাদেশে ভূমিহীন শূন্যের কোঠায় চলে যাচ্ছে।
খালিদ মাহমুদ বলেন, আপনারা নৌকা মার্কা ভোট দিয়েছিলেন বলে আমরা দারিদ্র্যতা জয় করেছি। বাংলাদেশ একটি স্বল্প উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। আপনার একটি ভোটের কারণে ২০২৬ সালে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে তার গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করবে। কোনো ধরনের মিথ্যা প্রচারণায় ও গুজবে কান দিবেন না।
ছেলেদের ফুটবলে কোচ এবং খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতেছেন অনেকেই। এবার নারী ফুটবলেও এমন কীর্তি গড়েছেন সাবেক ফরাসি ফুটবলার সোনিয়া বোম্পাস্টার। তাই চার বছরের চুক্তিতে প্রধান কোচ হিসেবে বোম্পাস্টারকে নিযুক্ত করেছে চেলসি।
ক্লাবটি আরও ঘোষণা দিয়েছে যে, চেলসি নারী দল একটি স্বতন্ত্র সত্তা হয়ে উঠবে, পুরুষদের দলের নীচে বসে থাকবে না বরং এটির পাশে থাকবে। স্কোয়াডে যথেষ্ট বিনিয়োগ এবং মহিলা দলটিকে স্বাধীনভাবে একটি ব্যবসা হিসাবে গঠন করা হবে।
এটি নতুন বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এবং একটি ব্যাংক চেলসি মহিলাদের সম্ভাব্য সংখ্যালঘু মালিকানা খতিয়ে দেখতে নিযুক্ত হয়েছে।
বোম্পাস্টারের আগমন ঘটে যখন তিনি লিওনকে এই মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফাইনালের পথ দেখিয়েছিলেন। যেখানে আটবারের বিজয়ীরা শনিবার বার্সেলোনার কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল কাতালান ক্লাবের বিরুদ্ধে এটি তাদের প্রথম পরাজয়।
একজন খেলোয়াড় হিসেবে, বোম্পাস্টার আটটি ফ্রেঞ্চ লিগ শিরোপা, চারটি কুপস ডি ফ্রান্স ফেমিনাইন এবং দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতেছেন। লিওনের সাথে একজন ম্যানেজার হিসাবে, তিনি তিনটি ব্যাক-টু-ব্যাক লীগ শিরোপা, একটি কুপ ডি ফ্রান্স এবং ২০২২ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অর্জন করেছিলেন।
পিতামাতা উভয়ই পর্তুগিজ হলেও বোম্পাস্টার এর জন্ম ফ্রান্সে। তিনি ফ্রান্সের অষ্টম-সবচেয়ে বেশি ম্যাচে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়। ১২ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ১৫৬ টি ম্যাচে অংশ নিয়েছেন তিনি।
খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ার শেষে, ২০২১ সালে প্রথম দলের ম্যানেজার হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার আগে তিনি লিয়নের একাডেমির পরিচালক হন।
রূপচর্চার প্রসঙ্গ এলেই আজও প্রাকৃতিক উপাদানের গুরুত্ব বেশি। আর সেখানেও হলুদ, বেসন, টক দই, অ্যালোভেরার মতো উপাদানই সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়। কিন্তু এই কমন উপাদানগুলো ছাড়াও এমন কিছু জিনিস রয়েছে, যা ত্বকের পরিচর্যায় দুর্দান্ত কাজ করে। এমনই একটি উপাদান হলো আলু। এই সবজি চোখের নিচের কালো দাগ থেকে শুরু করে দাগছোপ দূর করতে সাহায্য করে।
জেনে নিন রুপচর্চায় আলুর উপকারিতা—
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে: আলুর মধ্যে এনজাইম, ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে, যা ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলতে সাহায্য করে। কয়েক টুকরো আলু দিয়ে ব্লেন্ডারে পেস্ট করে নিন। এবার আলুর রস ছেঁকে নিন। এই আলুর রস ত্বকের ওপর লাগিয়ে নিন। ১৫-২০ মিনিট রাখুন। এরপর ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই আলুর রস হাইপারপিগমেন্টেশনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
ডার্ক সার্কেল দূর করে: আলুর মধ্যে ব্লিচিং এজেন্ট রয়েছে, যা ডার্ক সার্কেলকে হালকা করতে সাহায্য করে। চোখের নিচে মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন আলুকে। পাতলা স্লাইস করে আলু কেটে নিন। এবার এই আলুর টুকরো ফ্রিজে রেখে দিন। ঠান্ডা আলুর স্লাইস চোখের নিচে ১০-১৫ মিনিট রাখুন। এটি রক্তনালিকে সংকুচিত করতে সাহায্য করে এবং প্রদাহ কমায়। নিয়মিত এই টোটকা মানলে চোখের নিচের কালি দূর হয়ে যাবে।
ব্রণর সঙ্গে লড়াই করে: আলুর মধ্যে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা ব্রণ ও ত্বকের অন্যান্য সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। আলুর পেস্টের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে নিন। এই ফেসপ্যাক ১৫-২০ মিনিট ত্বকে রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাক ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করে, প্রদাহ কমায় এবং ক্ষয় নিরাময় করে। এই ফেসপ্যাক আপনাকে নিখুঁত ত্বক এনে দিতে পারে।
সানবার্ন থেকে মুক্তি দেয়: আলুর মধ্যে এনজাই ও ভিটামিন রয়েছে যা সানবার্ন থেকে মুক্তি দেয় এবং ত্বকের ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে। যে অংশ রোদে পুড়ে গেছে তার ওপর ঠান্ডা আলুর রস লাগান। আলুর স্লাইসও কিছু রেখে দিতে পারেন। এটি ত্বকের কোষ পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ত্বকের প্রদাহ কমায়।
-
২৩ মে ২০২৪, ১৭:০৭
সাংবাদিকদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক করার প্রস্তাব, আপনি কি সমর্থন করেন?
-
হ্যাঁ৮৭.৫৪%
-
না১১.৩৯%
-
মন্তব্য নেই১.০৭%
মোট ভোটদাতাঃ ২৮১ জনমোট ভোটারঃ ২৮১ভোট দিনLink Copied -
অনলাইন জরিপ
-
২৩ মে ২০২৪, ১৭:০৭
সাংবাদিকদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক করার প্রস্তাব, আপনি কি সমর্থন করেন?
-
হ্যাঁ৮৭.৫৪%
-
না১১.৩৯%
-
মন্তব্য নেই১.০৭%
মোট ভোটদাতাঃ ২৮১ জনডাউনলোডঃ ০২ জুন ২০২৪, ২০:৫৫মোট ভোটারঃ ২৮১ভোট দিন -
অর্থ আত্মসাৎ মামলায় অব্যাহতি চেয়েছেন ড. ইউনূস
২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার (২ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালতে হাজির হয়ে এই আবেদন করেন তিনি।
ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের সংরক্ষিত ফান্ডের লভ্যাংশের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ মামলায় হাজিরা দিয়েছেন।
এ মামলায় আজ অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। আমরা ড.ইউনূসের পক্ষে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছি।
এর আগে, সকালে ড. ইউনূসসহ অপর আসামিরা আদালতে উপস্থিত হন। তখন হাজিরা ডেকে ডেকে আসামিদের আদালতে লোহা দিয়ে ঘেরা ডকে ঢুকতে বলা হয়।
তবে ড. ইউনূসের ক্ষেত্রে বাইরে থাকতে বলা হলেও তিনি স্বেচ্ছায় আদালতের ডকে প্রবেশ করেন।
কিছুক্ষণ পর এ মামলায় ড. ইউনূসসহ আসামিদের ডক থেকে বের করে আদালতের ভেতরে থাকা বেঞ্চে বসতে দেওয়া হয়েছে। তাদের উপস্থিতিতে শুনানি চলছে।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল শুনানি করছেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সংস্থাটির উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
২০২৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার। দুদকের মামলায় আসামি ছিলেন ১৩ জন। চার্জশিটে নতুন একজন আসামির নাম যুক্ত হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ২ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ চার্জশিট গ্রহণ করে মামলার বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলির আদেশ দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। সদস্যদের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের ৯ মে অনুষ্ঠিত ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় হিসাব খোলা হয়। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট চুক্তি হয় ওই বছরের ২৭ এপ্রিল।
গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ড সভার হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত ৯ মে হলেও হিসাব খোলা হয় একদিন আগে ৮ মে। সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টেও ৮ মে ব্যাংক হিসাব দেখানো আছে, যা বাস্তবে অসম্ভব। এ রকম ভুয়া সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত অনুযায়ী ও ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০২২ সালের ১০ মে গ্রামীণ টেলিকমের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মিরপুর শাখা থেকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় ৪৩৭ কোটি ১ লাখ ১২ হাজার ৬২১ টাকা স্থানান্তর করা হয়।
বিআরটির ১৩৭ এসি বাস কেনার আইনি বাধা কাটল
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের শিববাড়ি পর্যন্ত বিআরটি করিডরের জন্য বিশেষায়িত গণপরিবহণ সেবা দিতে বাস কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান নিয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এতে বাস র্যাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি) জন্য ১৩৭টি শীতাতাপনিয়ন্ত্রিত বাস কেনার আইনি জটিলতা কেটল।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বাসগুলো কেনার জন্য দরপত্রকে কেন্দ্র করে পৃথক দুটি রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হওয়া রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) এবং চীনা প্রতিষ্ঠান ঝোং টং বাস হোল্ডিং কোম্পানি লিমিটেডের করা অপর রিট খারিজ করা হয়।
জানা যায়, গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়নাধীন। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে বিআরটি লাইন–৩ এর সম্প্রসারিত উত্তর অংশটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের শিববাড়ি পর্যন্ত ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার করিডর বিস্তৃত। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিবিআরটিসিএল)। বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডরে বিশেষায়িত বাস সেবা পরিচালিত হবে ‘ঢাকা লাইন’ নামে।
ডিবিআরটিসিএলের আইনজীবীর তথ্য অনুযায়ী, ডিবিআরটিসিএল ১৩৭টি শীতাতাপনিয়ন্ত্রিত ডিজেলচালিত বাস কেনার জন্য গত ১৪ জানুয়ারি দরপত্র আহ্বান করে। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি চারটি প্রতিষ্ঠানকে রেসপনসিভ (কারিগরিভাবে যোগ্য) ঘোষণা করে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে হাইগার বাস কোম্পানি লিমিটেডকে সুপারিশ করে। তবে তদন্তে দরপত্র দাখিল করা অন্য একটি প্রতিষ্ঠান জিয়ামেন গোল্ডেন ড্রাগন বাস কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে ওই কোম্পানির স্বার্থের সংঘাতের প্রমাণ পাওয়ায় দুই কোম্পানিরই দরপত্র বাতিল হয়। কার্যকর প্রতিযোগিতার অভাব দেখা দেওয়ায় ঢাকা বিআরটি পরিচালনা পর্ষদ এক সভায় সব দরপত্র বাতিল করে। পাশাপাশি দাপ্তরিক প্রাক্কলন, বাজেট পুনর্নির্ধারণ, দরপত্র দলিলের শর্ত, পণ্যের নকশা ও পরিধি সংশোধন করার নির্দেশনা দেয়।
নথিপত্র থেকে জানা গেছে, ওই দরপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে দরপত্র দাখিল করা চীনা প্রতিষ্ঠান ঝোং টং বাস হোল্ডিং কোম্পানি লিমিটেড পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ক্রয়সংক্রান্ত কারিগরি ইউনিটে (সিপিটিইউ) আবেদন (রিভিউ) করে। সিপিটিইউর পর্যালোচনা দল (রিভিউ প্যানেল) গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সিদ্ধান্ত দেন। ঢাকা বিআরটি পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক দরপত্র বাতিল সমীচীন হয়নি উল্লেখ করে রিভিউ প্যানেল দরপত্র পুনর্মূল্যায়নের আদেশ দেয়।
ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড রিভিউ প্যানেলের ওই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করে। এই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ১১ মার্চ রুল দিয়ে রিভিউ প্যানেলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন।
রুলে রিভিউ প্যানেলের ২৭ ফেব্রুয়ারির সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়। এরপর ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড ১৩৭টি বাস কেনার জন্য গত ১৮ এপ্রিল নতুন করে দরপত্র আহ্বান করে। এই দরপত্রের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে ঝোং টং বাস হোল্ডিং কোম্পানি লিমিটেড হাইকোর্টে একটি রিট করে।
ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়া রুল এবং চীনা প্রতিষ্ঠান ঝোং টং বাস হোল্ডিং কোম্পানির করা পৃথক রিটের ওপর একসঙ্গে শুনানি হয়।
আদালতে ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানির পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও আইনজীবী এসএম জহুরুল ইসলাম শুনানি করেন। ঝোং টং বাস হোল্ডিংয়ের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী নূরুল ইসলাম সুজন ও আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন।
শনিবার (১ জুন) ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানির আইনজীবী এসএম জহুরুল ইসলাম বলেন, ২৭ ফেব্রুয়ারি রিভিউ প্যানেলের দেওয়া সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। নতুন করে আহ্বান করা দরপত্র কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে ঝোং টং বাস হোল্ডিংয়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে ১৩৭টি এসি বাস কেনার জন্য ১৮ এপ্রিল দেওয়া নতুন দরপত্রের কার্যক্রম চালাতে ও এ অনুসারে কাজ শেষ করতে আইনগত কোনো বাধা নেই। ১০ জুন দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। ভারত, চীন, ব্রাজিল, ইউরোপসহ বিদেশি বহু প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে দরপত্র কিনেছে।
নাগরিকেরা শিগগিরই বিশেষায়িত এই গণপরিবহণ সেবা পাবেন বলে আশা করেন তিনি।
বেনজীরের জন্য ৬ জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করবে দুদক, এরপর কী হবে
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের জন্য আগামী ৬ জুন পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অপেক্ষা করবে, অনথ্যায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন দুদক আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম। শনিবার (১ জুন) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, যেহেতু বেনজীর আহমেদকে ৬ জুন দুদকে তলব করা হয়েছে তাই সে পর্যন্ত অপেক্ষা করবে দুদক। যদি নির্ধারিত সময়ে না আসেন, তাহলে আইনানুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
দুদক আইনজীবী বলেন, দুদক আশা করে বেনজীর আহমেদ ৬ তারিখে দুদকের মুখোমুখী হবেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আগামী ৬ ও ৯ জুন বেনজীর আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে তলব করেছে। কিন্তু ওই তারিখে বেনজীর আহমেদ কমিশনে আসবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।
এর আগে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জীশান মীর্জাসহ তাদের দুই মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (২৮ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তলবের এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে আগামী ৬ জুন তাদের দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। তাদের দুই মেয়ে হলেন ফারহিন রিসতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীর। তবে আরেক মেয়ে জাহরা জেরিন বিনতে বেনজীর নাবালিকা হওয়ায় তাকে তলব করা হয়নি।
এরই মধ্যে আদালতের আদেশে বেনজীর পরিবারের মালিকানাধীন রাজধানীর গুলশানে বিশালাকৃতির বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, গোপালগঞ্জে ৩৪৫ বিঘা ও মাদারীপুরে ২৭৩ বিঘা জমি জব্দ এবং অসংখ্য ব্যাংক ও বিও অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ করেছে দুদক। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় যে বিপুল সম্পদ গড়েছেন বেনজীর, তার বেশির ভাগই তিনি কেনেন আইজিপি পদে আধিষ্ঠিত হওয়ার পর।
এদিকে, দুবাই, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে বেনজীর আহমেদ এবং তার পরিবারের কোনো সম্পদ আছে কিনা—সে তথ্য অনুসন্ধানের অনুরোধ জানিয়ে বিএফআইইউতে চিঠি দিয়েছে দুদক। দুদকের অনুরোধ বিবেচনায় নিয়ে এসব দেশের কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ। প্রাথমিক অনুসন্ধানে এসব দেশে সম্পদ পাওয়া গেলে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্টের (এমএলএআর) আওতায় তথ্য চেয়ে চিঠি দেবে সরকার।
তিনি আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। নথিপত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, চাকরিজীবনের শেষ দুই বছরে অর্থাৎ আইজিপি থাকাকালেই পরিবারের সদস্যদের নামে ৪৬৬ বিঘা জমি কেনেন বেনজীর। ১৯টি প্রতিষ্ঠানে শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করে তার পরিবার হয়ে যায় পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী পরিবার। আইজিপি পদটি যেন তার কাছে হয়ে ওঠে ‘আলাদীনের চেরাগ’।
মামলা লড়তে আইনজীবী চান না শিলাস্তি
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার তিন আসামির আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার (৩১ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিক রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া তিনজন হলেন- সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, ফয়সাল আলী সাজী ওরফে তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমান।
এদিন রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আবু আসামিদের রিমান্ড চেয়ে শুনানি করেন। তবে আসামি পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না।
আসামিদের এজলাসে নেওয়ার পর কয়েকজন আইনজীবী আসামি পক্ষে মামলা লড়তে তাদের ওকালত নামায় স্বাক্ষর নিতে চান। এ সময় উপস্থিত পুলিশ ও ডিবির সদস্যরা আইনজীবীদের বলেন আদালতের সামনে আবেদন করে স্বাক্ষর নিতে। শুনানির একপর্যায়ে বিচারক আসামি শিলাস্তি রহমানকে জিজ্ঞেস করেন, আপনি কি আইনজীবী নিয়োগ করতে চান? জবাবে শিলাস্তি আইনজীবী নিয়োগ দিতে চান না বলে বিচারককে জানান।
অপর দুই আসামি আইনজীবী নিতে চাইলেও তাদের পক্ষে কেউ ওকালতনামা দেননি। শেষ পর্যন্ত আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছাড়াই রিমান্ড শুনানি হয়। শুনানি শেষে বিচারক ফের তাদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
গত ২৪ মে তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অপর একটি আদালত। সেই রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে ফের ৮ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান।
গত ২২ মে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের বাসায় আমরা সপরিবারে বসবাস করি। গত ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারুল আজীম আনার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ যাওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। গত ১১ মে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তা কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাই।
গত ১৩ মে বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে উজির মামার হোয়াটসঅ্যাপে একটি খুদে বার্তা আসে। এতে লেখা ছিল, আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি রয়েছে। আমি অমিত সাহার কাজে নিউটাউন যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নেই। আমি পরে ফোন দেব।
এ ছাড়া আরও কয়েকটি বার্তা আসে। খুদে বার্তাগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা পাঠাতে পারে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজ করতে থাকি। কোনো সন্ধান না পেয়ে তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস বাদী হয়ে ভারতীয় বারানগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপরও আমরা খোঁজাখুঁজি অব্যাহত রাখি।
পরে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে বাবাকে অপহরণ করেছেন।
নামাজের ওয়াক্ত শুরু
তারিখ : ০২ জুন, ২০২৪
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজ পত্রিকা খুললে শুধু লুটের খবর। কারা লুট করছে? যারা বড় বড় কর্তা।
তিনি বলেন, সংসদে ভদ্রলোক কয়জন খুঁজে পাবেন? বাংলাদেশ ব্যাংক লুট করছে। রিজার্ভের ডলার লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। শেয়ার বাজারে রথি-মহারথিরা লুট করছে। তারা এতো বড় মানুষ তাদের পাশে যাওয়া যায় না। কেউ দরবেশ, কেউ মাফিয়া, কেউ হুজুর। আজকে চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংক থেকে ১৫০ ভরি স্বর্ণ গায়েব হয়ে গেছে। কোথাও কোনো জবাবদিহিতা নেই।
রোববার (২ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ঋণের বোঝায় ডুবিয়ে দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, মাথাপিছু ঋণ এখন ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন শর্তে যে সব ঋণ নেওয়া হচ্ছে, সুস্থ মানুষ ও দেশপ্রেম থাকলে এগুলো করতে পারতো না। তারা এই দেশের মানুষ না, বর্গি। লুট করে দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে। যখন দেখবে ক্ষমতায় আর থাকতে পারবে না, তখন বিদেশে চলে যাবে।
বিএনপির মহাসচিব দাবি করেন, আমার মার খাচ্ছি, জেলে যাচ্ছি। এখন সবাই মিলে একসঙ্গে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আবারও সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছি। মানুষ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেই। এই সরকারকে পরাজিত করা সময়ের ব্যাপার।
সব প্রতিকূলতা থেকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হলে জিয়াউর রহমানকে জানতে হবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, শুধু স্লোগান দিয়ে রাজনীতি করলে হবে না। জেনেশুনে রাজনীতি করতে হবে। জিয়াউর রহমানকে বুঝতে হলে তার কাজের গভীরে যেতে হবে। এখন জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কথা বলা যায় না। সত্য বললে রাষ্ট্রদোহিতার মামলা দিয়ে দেওয়া হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান তো নিজে রাজনীতিতে আসেননি। তাকে নিয়ে আসা হয়েছিল। ৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তার নেতৃত্ব দেখে ৭৫ সালে সৈনিকেরা তাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। মানুষ ভোট দিতে যায় না।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যবহার ও বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখলে মনে হয় তারা কী যেন হয়ে গেছে। আজকে তাদের বাহিনীর প্রধান (বেনজীর আহমেদ) কোথায়? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন- তিনি নাকি বেনজীর সম্পর্কে জানেন না। রাষ্ট্র আর রাষ্ট্র নেই। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ঋণের বোঝা বইতে হবে। মাথাপিছু ঋণ এখন ১৫৫ হাজার টাকা।
তিনি বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিদেশ থেকে বিদ্যুৎ আমদানিসহ বড় বড় প্রকল্পের নামে যেসব চুক্তি করা হয়েছে। তা কোনো দেশপ্রেমিক লোক করতে পারে না। আসলে এই সরকারের লোকজন তারা তো বর্গী। সেজন্যই সমস্ত টাকা লুট করে পাচার করছে। আজকে আমাদের দেশ রক্ষা করতে হলে জিয়াউর রহমানের মতো নেতৃত্ব খুবই প্রয়োজন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমানের পররাষ্ট্রনীতি জানলে আশ্চর্য হতে হবে। তিনি দেশকে একটি তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত করেছিলেন।
এ সময় তিনি বলেন, আমি জামায়াতের রাজনীতি সমর্থন করি না। কিন্তু তাদের যে সাংগঠনিক কাঠামো তা অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত। নিজেরা নিজেরা পড়ালেখা করে ও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। সেজন্যই বলি রাজনীতির জায়গায় রাজনীতি থাকুক। আপনারা গবেষণা করুন। থিংক ট্যাংক হিসেবে কাজ করুন।
সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও শাহাদাতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী মাহবুব আলমের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর ভাই, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল আহসান, অধ্যাপক সামসুল আলম সেলিম, ডা. আবু নাসের প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- পেশাজীবী নেতা অধ্যাপক ডা. গাজী মাজহারুল হক, অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুর রাজ্জাক, অধ্যাপক ড. আক্তার হোসেন, অধ্যাপক ড. নূরুল ইসলাম, প্রকৌশলী একেএম আসাদুজ্জামান চুন্নু, ডা. মো. মেহেদী হাসান, প্রকৌশলী শাহীন হাওলাদার, প্রকৌশলী আইয়ুব হোসেন মুকুল, অধ্যাপক ড. নাহারিন ইসলাম খান, অ্যাডভোকেট নাদিম ভুইয়া, মিসেস শামিমা রহিম, দবির উদ্দিন তুষার, ছাত্রদল নেতা তরিকুল ইসলাম তারিক।
চলতি বছরের মে মাসে প্রবাসীরা ২২৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন।
রোববার (২ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আগের বছরের একই মাসের তুলনায় প্রবাসী আয় ৩২ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। গত বছরের মে মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৭০ কোটি ডলার।
চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত ১১ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে মে মাসে। তবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল গত ফেব্রুয়ারিতে।
সাধারণত দুই ঈদের আগে পরিবার-স্বজনদের কাছে বাড়তি অর্থ পাঠান প্রবাসীরা।
এদিকে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ২৯ মে পর্যন্ত দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১২৬ কোটি ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৯২৭ কোটি ডলার। সেই হিসাবে প্রবাসী আয় বেড়েছে ১৯৯ কোটি ডলার।
এর আগে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২১০ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার এবং এপ্রিল মাসে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রবাসীরা ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর ১৯৩ কোটি ডলার এবং ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।
উল্লেখ্য, ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।