• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রাজশাহীতে স্কুলে আগুন, শ্রেণিকক্ষ পুড়ে ছাই
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ধোপাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে স্কুলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। পরে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নির্বাপণ করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এ সময় পঞ্চম শ্রেণির একটি কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ওই কক্ষের চেয়ার টেবিলসহ প্রয়োজনীয় সব আসবাবপত্র পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে পুঠিয়া ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা জানান, স্কুলে অগ্নিকাণ্ডের খবরে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। একতলা পাকা স্কুলের আশপাশে ইটের দেয়াল থাকায় আগুন সেভাবে ছড়াতে পারেনি। এতে স্কুলের আসবাবপত্র ছাড়া তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কেউ হতাহতও হয়নি।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০৭

প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চাশের কম শিক্ষার্থী থাকলে পাশের স্কুলে একীভূত
দেশের যেসব প্রাথমিক স্কুলে বিগত ১০ বছরে শিক্ষার্থী সংখ্যা পঞ্চাশের কম—এমন স্কুলগুলোকে পাশের স্কুলের সঙ্গে মার্জ (একিভিূত) করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, আমরা বিগত ১০ বছরের চিত্র দেখে যেসব স্কুলে ৫০ জনের কম শিক্ষার্থী আছে, সেগুলো পাশের স্কুলের সঙ্গে একিভূত করা হবে। আমরা এ ধরনের প্রায় ৩০০টি স্কুল পেয়েছি। এগুলো আমরা যাচাই-বাছাই করছি। তবে ঢালাওভাবে সব স্কুল বন্ধ করা হবে না। স্থানীয় বাস্তবতাসহ সব অবস্থা দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি বলেন, রাঙ্গামাটি জেলার বিলায়ছড়ি একটা উপজেলা আছে, সেখানে একটা স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৪২ জন। বিগত কয়েক বছরই ৪২ জন। ওই স্কুল আমরা মার্জ করবো না। কারণ, ওই ৪২ জন শিক্ষার্থী প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার জায়গা থেকে আসে। সুতরাং ওই প্রেক্ষাপট আমরা বিবেচনায় নেবো। আমরা একেবারে ইনজেনারেল সিদ্ধান্ত নেবো না। যেখানে বিগত কয়েক বছর ধরে ৫-৭ জন শিক্ষার্থী আছে, সেগুলো আমরা মার্জ করে দেবো, এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বরিশাল শহরের একটি স্কুলের উদাহরণ দিয়ে সচিব বলেন, ওই স্কুলে গত দশ বছরে ২০ জনের বেশি শিক্ষার্থী কখনো হয়নি। আবার দেখা যায় কোনো কারণে করোনার সময় ৫০ জনের নিচে চলে আসে, এখন আবার ৮০-৯০ হয়েছে আমরা এ স্কুল বন্ধ করবো না। আবার অন্যদিকে দেশের ৫০০ এর বেশি স্কুলে ১৫০০ বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। সেখানে ভর্তি জন্য আরও ১ হাজার শিক্ষার্থীর ডিমান্ড আছে। এসব স্কুলগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো উদ্যোগ নেওয়া হবে।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৮:৩৯

পালিয়ে আসা ১৭৯ বিজিপি সদস্যকে রাখা হলো বিজিবি স্কুলে
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) ১৭৯ সদস্যকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের ১১ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ক্যাম্প সংলগ্ন বর্ডার গার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের বিজিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিচয় শনাক্তের পাশাপাশি তথ্যভান্ডার তৈরির কাজ চলছে। এর পর যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিজিপি সদস্যদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে। এর আগে সোমবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মিয়ানমারের বিজিপির মোট ১৭৯ জন সদস্যকে নিরস্ত্রীকরণ করে তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়। বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ মুজাহিদ উদ্দিন জানান, ১১ মার্চ প্রথমে সকালে ২৯ জন ও পরে রাতে ১৫০ জন মিলে সর্বমোট আসা ১৭৯ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের বর্ডার গার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। বর্তমানে তাদের পরিচয় শনাক্তকরণ কাজ চলছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের আক্রমণের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যসহ ৩৩০ জন সেনা। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার উখিয়ার ইনানী নৌ–বাহিনীর জেটিঘাট দিয়ে তাদের মিয়ানমারে পাঠানো হয়। আর ১১ মার্চ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন আরও ১৭৯ জন।
১৩ মার্চ ২০২৪, ০৩:১৮

‘বিয়ে যখন হচ্ছে স্কুলে গিয়ে বিদায় নিয়ে আসি’
স্কুলে গিয়ে সহপাঠীদের থেকে বিদায় নিয়ে আসার কথা বলে বিয়ের আসর থেকে পালিয়েছেন এক কনে। ওই কনের বয়স ১৩ বছর। রাজশাহীর আলোর পাঠশালায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়ছেন তিনি। রোববার (১০ মার্চ) সকালে এ ঘটনা ঘটে।  মেয়েটি জানায়, গতকাল শনিবার রাতে তাকে বিয়ের ক্ষীর খাওয়ানো হয়। রোববার সকালে বরপক্ষ আসে বিয়ের জন্য। মেয়েটি কৌশল করে মাকে বলে, ‘বিয়ে যখন হচ্ছে স্কুলে গিয়ে বিদায় নিয়ে আসি।’ পরে বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষকদের তার বিয়ের বিষয়টি জানালে জানা যায়, মেয়েটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার মা জোর করে তাকে বিয়ে দিচ্ছেন। শিক্ষকেরা সব শুনে তার বিয়ে বন্ধের উদ্যোগ নেন। এ বিষয়ে রাজশাহীর আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক রেজিনা খাতুন জানান, মেয়েটি তাদের বিদ্যালয়ের একজন ভালো ছাত্রী। পড়াশোনার প্রতি খুবই আগ্রহী একজন শিক্ষার্থী। মেয়েটির বাবা নেই। মা অন্যত্র আবার বিয়ে করেছেন। কয়েক দিন আগে মেয়েটি জানিয়েছিল, মা ও সৎবাবা তাকে বিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। তারা যেকোনো সময় তার বিয়ে দিয়ে দেবেন। কিন্তু সে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে করতে চায় না। যেভাবেই হোক বিয়ে ঠেকাতে হবে। আজ রোববার সকাল সাড়ে আটটায় বিদ্যালয়ে এসে ওই কিশোরী শিক্ষকদের বিয়ের বিষয়টি জানায়। কৌশল করে সে বিদ্যালয়ে এসেছে। এদিকে মেয়ের ফিরতে দেরি হওয়া দেখে মা বাড়ির মালিককে বিদ্যালয়ে পাঠান। বাড়ির মালিক এসে বলেন, মেয়ে না যাওয়ায় মা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবশ্য শিক্ষকদের জেরার মুখে তিনি স্বীকার করেন, মেয়ের মা অসুস্থ হননি। অসুস্থতার কথা তাকে শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর সকাল ১০টায় আলোর পাঠশালার শিক্ষকরা মেয়েটির বাসায় যান। তারা মেয়েটির মাকে সব বুঝিয়ে বলার পর মেয়েকে বিয়ে দেবেন না বলে ওয়াদা করেন মা। শিক্ষকেরা চলে আসার পর বরপক্ষের লোকজন ফোন করে প্রধান শিক্ষক রেজিনা খাতুনকে জানান, বিয়ে করতে না দিলে তাদের যাতায়াতের খরচ দিতে হবে। এ অবস্থা দেখে প্রধান শিক্ষক মহিলা অধিদপ্তরের উপপরিচালককে ফোন করেন। তিনি এসে মেয়ের মায়ের কাছ থেকে মুচলেকা নেন এবং অঙ্গীকার করান প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তিনি মেয়েকে বিয়ে দেবেন না। সবাই চলে যাওয়ার পর মেয়ের মা প্রধান শিক্ষককে ফোন করে বলেন, সরকারের ঘরে যখন আমার নাম গেছে, আমার যখন এতই দোষ, এখন এই মেয়ের দায়দায়িত্ব আমি আর বহন করতে পারব না। তবে আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক জানান, এ ঘোষণা দেওয়ার পর রাতে কী হয়, তিনি বলতে পারছেন না। তারা সতর্ক আছেন।
১১ মার্চ ২০২৪, ০০:১৫

স্কুলে পতাকা টানাতে গিয়ে প্রাণ গেলো শিক্ষার্থীর
স্কুলের পতাকা টানানোর সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে রিয়ান বাদশা (১৫) নামে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।  বুধবার (৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর কদমতলীর পলাশপুর আইডিয়াল স্কুলে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রিয়ান ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বনগ্রামের সিএনজি অটোরিকশাচালক ফারুকের ছেলে। পরিবারের সঙ্গে পলাশপুর ৫ নম্বর রোডে থাকতেন।  ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসি ও জাকির হোসেন জানান, পতাকার স্টিলের পাইপটি পাশের বিদ্যুতের তারের সঙ্গে সংস্পর্শ হয়। এ সময় রিয়ান পতাকা টাঙাতে গেলে বিদ্যুতায়িত হয়ে সঙ্গে সঙ্গে অচেতন হয়ে পড়ে সে। এরপর তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক বেলা পৌনে ১২টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি কদমতলী থানায় জানানো হয়েছে।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৫

স্কুলে শিক্ষকের বেত্রাঘাত, অভিমানে ছাত্রীর আত্মহত্যা
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে স্কুলে শিক্ষকের বেত্রাঘাতের পাঁচ দিন পর অভিমান করে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন।    নিহত ইসরাত জাহান সামিয়া (১৪) উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর রব মাস্টার বাড়ির মোহাম্মদ ওয়াসিমের মেয়ে এবং স্থানীয় চরকাঁকড়া একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।    সোমবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।   এর আগে একই দিন দুপুর ১২টার দিকে চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর রব মাস্টার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।  চরকাঁকড়া একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারি চরকাঁকড়া একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ের ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ের শিক্ষক নাজিম উদ্দিন ক্লাসে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের প্রসঙ্গ টেনে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলেন। একপর্যায়ে তিনি শিক্ষার্থীদের বলেন, ভালোবাসতে হলে প্রথমে মা-বাবাকে ভালোবাসবে, অন্য কাউকে ভালোবাসবেনা। এমন বক্তব্য দিয়ে শিক্ষক ক্লাস থেকে চলে যায়। এরপর ক্লাসে সামিয়া নাকি মন্তব্য করেন অন্য কাউকে ভালোবাসলে অসুবিধা কি। তাৎক্ষণিক অন্য দুজন ছাত্রী গিয়ে স্যারকে সামিয়ার মন্তব্যের বিষয়ে অবহিত করে। পরবর্তীতে শিক্ষক ক্লাসে গিয়ে ওই ছাত্রীকে কয়েকটি বেত্রাঘাত করেন। পরবর্তীতে সোমবার সকালে সামিয়া তার মাকে নিয়ে স্কুলে যেতে চায়। তার মা অসুস্থ থাকায় যেতে পারেননি। দুপুরের দিকে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে নিজের শয়ন কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন সামিয়া।    কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
০৫ মার্চ ২০২৪, ০২:০৪

সব মাধ্যমিক স্কুলে ‘অভিভাবক শিক্ষক সমিতি’ গঠনের নির্দেশ, কাজ কী?
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (স্কুল, স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও মাদ্রাসা) ‘অভিভাবক শিক্ষক সমিতি (পিটিএ)’ গঠনের জন্য নির্দেশ দিয়েছে।  বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মাউশির ‘পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশন (পিবিজিএসআই)’ স্কিমের পরিচালক অধ্যাপক চিত্ত রঞ্জন দেবনাথ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সারা দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ সমিতি গঠন করতে হবে। একই সঙ্গে এই সমিতি গঠনের নীতিমালা প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীন সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (এসইডিপি) আওতাভুক্ত এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন পিবিজিএসআই স্কিমের প্রস্তাবিত পিটিএ নীতিমালা ২০২৩ শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। সে অনুযায়ী আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সারা দেশের সব মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পিটিএ গঠনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নির্দেশনা দিয়েছেন। যেভাবে হবে কমিটি অভিভাবক শিক্ষক সমিতি গঠনের কাঠামো দিয়েছে অধিদপ্তর। মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৬ সদস্যে কমিটিতে অভিভাবক প্রতিনিধি প্রতি শ্রেণিতে ২ জন করে ১০ জন, শিক্ষক প্রতিনিধি প্রতি শ্রেণিতে একজন করে ৫ জন, এসএমসি কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি থাকবে। কারিগরি পর্যায়ের ২০ সদস্যে, নিম্ন মাধ্যমিক ১০ সদস্যের, স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২২ সদস্যের কমিটি করা হবে। কমিটির কাজ শিক্ষক অভিভাবক সমিতির সাধারণ সভা বছরে অন্তত ২ (দুইবার) অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষক অভিভাবকদের মধ্যে সু সম্পর্ক তৈরি করে বিদ্যালয়ের কল্যাণে সকল কার্যক্রমে সহযোগিতা করাই এই কমিটির মূল উদ্দেশ্য। ম্যানেজিং কমিটি  ও শিক্ষক অভিভাবক সমিতি একে অপরের সম্পূরক হিসেবে স্কুলের উন্নয়নমূলক কাজে সহযোগিতা করবেন। উভয় কমিটির যুগ্ম সভা আহ্বান করে স্কুলের সার্বিক উন্নয়নের জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। নির্বাহী কমিটির নিয়মিত সভায় নির্বাহী কমিটির আমন্ত্রণক্রমে উপজেলা পর্যায়ের প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাগণ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ, সরকারী দপ্তরসমুহের মাঠ পর্যায়ের সম্প্রসারণ কর্মীসহ অন্যান্য বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিগণ অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪২

পাঠদান বন্ধ রেখে স্কুলে আ. লীগের সমাবেশ, মন্ত্রীকে সংবর্ধনা
বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রেখে অনুষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগের কর্মী সমাবেশ। আর সেখানে শিক্ষার্থীদের কয়েক ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রেখে মন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জামালপুরের ইসলামপুরের গোয়ালিনী ইউনিয়নের ডিগ্রির চর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, এদিন স্কুলের সামনের মাঠে বিকাল ৪টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কর্মী সমাবেশ শুরু হলেও বেলা ১টা থেকেই উচ্চ শব্দে মাইকিংসহ সকাল থেকে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখে স্কুল কর্তৃপক্ষ। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলালকে স্বাগত জানানোর জন্য স্কুল শিক্ষার্থীদের কয়েক ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এরপর বিকেল ৪টার দিকে  মাঠের প্রবেশ পথে দুই পাশে শিক্ষার্থীদের দাঁড় করিয়ে মন্ত্রীকে বরণ করা হয়। কর্মী সমাবেশ শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টার দিকে। কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ধর্মমন্ত্রী।  কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, এদিন ৫-৬টি ক্লাস নেওয়ার কথা থাকলেও অনুষ্ঠানের কারণে একটি ক্লাস করিয়েই পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে কিছু শিক্ষার্থীদের কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করোনার পর মাঠে নামিয়ে সারিবদ্ধ করে মন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর জন্য দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।  কয়েকজন অভিভাবক বলেন, ‘আমরা আমাদের সন্তানদের লেখাপড়া করার জন্য স্কুলে পাঠাই, ‌রাজনীতি করার জন্য নয়। তাহলে কেন ক্লাস বন্ধ রেখে রাজনৈতিক অনুষ্ঠান করা হলো। আবার আমাদের সন্তানদের দাঁড় করিয়ে রাখা হলো মন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর জন্য। মনে হচ্ছে দেশে কোনো নিয়ম নেই, কোনো আইন নেই।’ এ বিষয়ে জানার জন্য ডিগ্রীর চর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি কল রিসিভ করেননি। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক চরগোয়ালিনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম বলেন, ‘মাইকিং শুরু হয়েছে অনেক পরে। আর মন্ত্রী সাহেব এসেছেন বিকাল ৪টার দিকে। এতে স্কুলের ক্লাসের কোনো ক্ষতি হওয়ার কথা না। আর একজন মন্ত্রীকে স্কুলে এনে কিছু দাবির কথা বলা হয়েছে তাই স্কুল মাঠে অনুষ্ঠান করা হয়েছে।’ স্কুলে পাঠ দান বন্ধ করে রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের বিষয়ে ইসলামপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে স্কুল বা পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রেখে কোনো রাজনৈতিক অনুষ্ঠান করার সুযোগ নেই।  কে কীভাবে অনুষ্ঠানটি করেছে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন। কেউ অভিযোগ দিলে আমি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৯

নিজ গ্রামের স্কুলে সংবর্ধিত একুশে পদকপ্রাপ্ত জিয়াউল হক 
একুশে পদক প্রাপ্ত জিয়াউল হককে সংবর্ধনা দিয়েছে তারই গ্রামের মুশরীভূজা ইউসুফ আলী হাইস্কুল এ্যান্ড কলেজ।  রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই এ গুনি মানুষটিকে সন্মান জানায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। দই বিক্রি করে জ্ঞানের আলো ছড়ানো জিয়াউল হক, এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। জিয়াউল হকের একুশে পদক প্রাপ্তিতে তাই আনন্দের বন্যা এখানকার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে। সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে জিয়াউল হক তার জীবনের কঠিন সংগ্রামের কথা শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন, সেই সঙ্গে সবাইকে পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ায় আহ্বান জানান। তিনি বলেন, পড়ালেখা করে ভালো মানুষ হতে হবে, দেশের কল্যাণে তোমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে।  অনুষ্ঠানে একুশে পদকে সন্মানিত করায় জিয়াউল হক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে তার নাম প্রস্তাব করায় জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খানের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান।  সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে, দলদলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ মোজাম্মেল হক, মুশরীভূজা ইউসুফ আলী হাইস্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আজগার আলী, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার, বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আলাউদ্দিনসহ অনান্যরা উপস্থিত ছিলেন। 
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:১৩

জলেভাসা স্কুলে চলে শিশু শিক্ষার হাতেখড়ি
চারদিকে হাওরবেষ্টিত দুর্গম লোকালয় নিকলী উপজেলার ছাতিরচর গ্রাম। ভাঙন কবলিত এ গ্রামের পাশ দিয়ে বইয়ে চলা ঘোড়াউত্রা নদীর তীরে সাজানো গোছানো একাধিক নৌকা ও লঞ্চ। এসব লঞ্চে নেই কোনো যাত্রী, তাড়া নেই ছেড়ে যাওয়ার। দূর থেকে ভেসে আসে শিশুদের পাঠাদানের শব্দ। নৌকার ছাঁদে চলছে শিক্ষার্থীদের সমাবেশে ও জাতীয় সঙ্গীত। কাঠের সিঁড়ি মাড়িয়ে নৌকায় উঠতেই দেখা মিলে লাল-সবুজের পোশাকের সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা নিচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার হাতেখড়ি। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘পপি’ এর এই ভাসমান স্কুল প্রকল্পের মাধ্যমে গত ১৫ বছরে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেছে এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার হাওরাঞ্চলের অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়াতে গত ১৫ বছর ধরে ভাসমান স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা সুবিধা দিচ্ছে ‘পপি’। উপজেলার ছাতিরচর ও সিংপুর গ্রাম সংলগ্ন ঘোড়াউত্রা নদীতে ৭টি লঞ্চ ও নৌকায় দেওয়া হচ্ছে শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার হাতেখড়ি। বিনামূল্যে দেওয়া হয় বই, খাতা, কলম, পোশাকসহ সকল শিক্ষা উপকরণ এবং প্রতিদিন দুপুরে দেওয়া হয় টিফিন। এতে প্রাথমিক শিক্ষায় শিশুদের ‘ঝরে পড়া’ রোধে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে ভাসমান এ স্কুল। শিক্ষা সহায়ক উপকরণে সাজানো লঞ্চের ভেতরে সারি সারি বেঞ্চে বসে পাঠ নেয় শিশুরা। পড়াশোনার পাশাপাশি রয়েছে খেলাধুলা ও বিনোদন চর্চার ব্যবস্থা। সুপেয় পানি ও গরমে পাকা ব্যবহারের ব্যবস্থা। শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশে স্কুলের ভেতরে রয়েছে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ও চিকিৎসক। নিয়মিত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ২৫ ধরনের ওষুধ বিতরণ করা হয় বিনামূল্যে। চলতি শিক্ষাবর্ষে ৭টি ভাসমান স্কুলে প্রাক্ প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৩৩০ জন শিক্ষার্থী ও ৯ জন শিক্ষক রয়েছেন। একজন প্যারামেডিক চিকিৎসক, ১৪ জন মাঝি ও মাঝির সহকারী দায়িত্ব পালন করেন এসব নৌকার। ২০০৯ সালে ‘পপি’ ভাসমান স্কুল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র প্রকল্প চালু হয়। ইতিমধ্যে এ শিক্ষাতরী থেকে ১২০০ সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষা সেবা প্রদান করা হয়েছে। সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা কারিকুলামে এ ভাসমান স্কুলে প্রত্যেক শ্রেণিতে ৫০ জন শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন পাঠদান করান দুজন শিক্ষক। শুষ্ক মৌসুমে নদীর তীরে আর বর্ষায় ভাসমান পানিতে ভেসে থাকা এ শিক্ষাতরীতে পাঠদান চলে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।  এ দিকে ‘পপি’ ভাসমান স্কুল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের চিকিৎসক ফুলমালা আক্তার বলেন, শিক্ষার্থীদের দৈনিক সমাবেশ, জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় স্কুলের ছাঁদে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য নৌকায় রয়েছে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা। এছাড়াও ‘পপি’ ভাসমান স্কুল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য স্কুলের মতোই ভাসমান স্কুলে ব্যাপক আনন্দময় পরিবেশে শিক্ষার্থীরা মেধাবী ও মনোযোগী লেখাপড়ায়। ৬ বছর লেখাপড়া শেষ করে ‘পপি’র উদ্যোগে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য সহায়তা করা হয়। তিনি আরও বলেন, জলে ভাসা এ স্কুলের সুফল পেয়েছে অনেক হতদরিদ্র শিক্ষার্থী এখন দেশের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা নিচ্ছেন। কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলায় শিক্ষাবান্ধব এ জলেভাসা ‘স্কুল ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র’ সংখ্যায় আরো বেশি করে চালুকরণের দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:০০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়