• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘তিলোত্তমা মুরাদনগর’ গড়তে সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণ চাই : এমপি জাহাঙ্গীর
কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন পদে মুরাদনগরের কৃতি সন্তানরা কাজ করছেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন মুরাদনগরের মেধাবী সন্তানরা। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগামী পাঁচ বছরে ‘তিলোত্তমা মুরাদনগর’ গড়ে তুলতে চাই। বুধবার (২৭ মার্চ) বুয়েট কেমিকৌশল বিভাগের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত মতবিনিময় সভা এবং ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন এমপি জাহাঙ্গীর আলম সরকার। এতে মুরাদনগরের কৃতি সন্তান বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।  অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বুয়েটের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হাকিম খান। সঞ্চালনা করেন বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রাজ্জাক। মুরাদনগরের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং বর্তমানে নানা সমস্যা ও সম্ভাবনার উপর ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম।  রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, মুরাদনগর উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক সন্তান বিসিএস ক্যাডার হিসেবে দেশের গুরুত্বপূর্ণ নানা পদে দায়িত্ব পালন করছেন। মুরাদনগরের উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলোকে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী আকারে বিভক্ত করে কাজ করতে হবে। সহজে বাস্তবায়নযোগ্য কাজগুলোর দিকে মনোযোগী হতে হবে এবং দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সদস্য ড. মো. হেলাল উদ্দিন এনডিসি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বাস্তবায়নাধীন মুরাদনগরের প্রকল্পগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধনের উপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নেয়া প্রকল্পগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন এবং তা সঠিকভাবে ও মানসম্মত হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা প্রয়োজন। এজন্য স্থানীয়দের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।  বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্ট ড. মহিদুস সামাদ খান বলেন, মুরাদনগরে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা স্থাপনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বাংলাদেশের তিনটি গ্যাসক্ষেত্র এই এলাকায় হওয়ায় শিল্প কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান এবং দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা সম্ভব। এক্ষেত্রে রপ্তানি-নির্ভর শিল্পে সরকারি প্রণোদনার দিকে দৃষ্টি দেয়া এবং চীন, জাপানসহ বিভিন্ন বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।  ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) এমডি আব্দুল্লাহ নোমান যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের উপর জোর দিয়ে বলেন, মুরাদনগর উপজেলাকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে পারলে তা শুধু স্থানীয় চাহিদাই মেটাবে না, ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে হওয়ায় খাদ্যপণ্য রপ্তানিতেও ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।  মুরাদনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ড. আহসানুল আলম সরকার কিশোর তার বক্তব্যে মুরাদনগরের আধুনিকায়নে তার বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন কর্মকাণ্ড এবং পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, স্মার্ট উপজেলা কমপ্লেক্সের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে, যেখানে থাকবে ফ্রি ওয়াইফাই জোন। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উন্নয়নের জন্য মুরাদনগরে হাই স্পিড ডাটা কানেক্টিভিটি, শেখ রাসেল আইটি ইউনিভার্সিটি স্থাপন, ইপিজেড স্থাপন, এগ্রো বেইজড প্রকল্পের সংখ্যা বাড়ানো, নারী কর্মসংস্থান, বেকারত্ব নিরসন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন এবং বর্জ্য থেকে জ্বালানি তৈরিসহ নানামুখী উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি ড. মো. আব্দুল হাকিম খান বলেন, একটি জনপদকে কয়েক হাজার বছর এগিয়ে দিতে পারে একটি বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি মুরাদনগরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সংসদ সদস্যের প্রতি আহ্বান জানান।  অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস্ কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল হক, গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নাছিম খান, বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রকল্প পরিচালক (মহাব্যবস্থাপক-প্রকল্প) মো. বোরহান উদ্দিন, স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. আমিরুল ইসলাম খান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. গোলাম ফারুক, বুয়েটের অধ্যাপক ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া, অধ্যাপক ড. শেখ আনোয়ারুল ফাত্তাহ, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ফোরকান উদ্দিন, সহকারী অধ্যাপক সাজিদ মুহাইমিন চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সরকারি বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ, ঢাকাস্থ মুরাদনগর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের শিক্ষার্থীবৃন্দ।  উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ মুরাদনগরের চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়ন, ঐতিহ্যবাহী শ্রীকাইল কলেজসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আধুনিকীকরণ, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, মাদকমুক্ত সমাজ গঠন, বেকার সমস্যার সমাধান, যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, মুরাদনগরসংলগ্ন প্রস্তাবিত ঢাকা চট্টগ্রাম রেল প্রকল্প বাস্তবায়ন, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা স্থাপন, শিল্পায়ন ও আধুনিক কৃষিভিত্তিক অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ নানামুখী উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হয়ে ‘তিলোত্তমা মুরাদনগর’ গড়ার লক্ষ্যে সম্মিলিতভাবে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।  
২৭ মার্চ ২০২৪, ২০:২২

বিজিএমইএ নির্বাচনে পূর্ণ প্যানেলে জয়ী সম্মিলিত পরিষদ
দেশের প্রধান পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকরক সমিতির (বিজিএমইএ) নির্বাচনে পূর্ণ প্যানেলে জয় পেয়েছে সম্মিলিত পরিষদ। ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনে ৩৫ পরিচালক পদের মধ্যে ৩৫টি পরিচালক পদের বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন ৭০ জন। তাদের মধ্যে ঢাকা থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ২৬ জন এবং চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন নয়জন।  শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে ঢাকা অঞ্চলের আর চিটাগাং এর খুলশীর স্থানীয় অফিসে পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে। পরে মধ্যরাতে ভোট গণনা শেষে ফল ঘোষণা করেন নির্বাচনী বোর্ডের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলামিন। সম্মিলিত পরিষদের যারা বিজয়ী হয়েছেন : ঢাকা অঞ্চলের সেহা ডিজাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এস এম মান্নান, টিম গ্রুপের এমডি আবদুল্লাহ হিল রাকিব, ক্ল্যাসিক ফ্যাশন কনসেপ্টের এমডি মো. শহিদউল্লাহ আজিম, ডেনিম এক্সপার্টের পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল, ডিজাইনটেক্স নিটওয়্যারের এমডি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, এনভয় ডিজাইনের পরিচালক শেহরিন সালাম, ফোরর্টিজ গার্মেন্টসের এমডি শাহদাৎ হোসেন, গালপেক্সের এমডি মো. রেজাউল আলম, কাউজার নিটওয়্যারের এমডি জাকির হোসেন, লায়লা স্টাইলের এমডি মো. ইমরানূর রহমান, মেসিস গার্মেন্টসের পরিচালক মো. আশিকুর রহমান, বিটপী গ্রুপের এমডি মিরান আলী, মমসন সার্ভিস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি নুসরাত বারী, নিউটেক্স ডিজাইনের পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, সাদমা ফ্যাশনওয়্যারের এমডি মো. নাসির উদ্দিন, সায়েম ফ্যাশনের পরিচালক আবরার হোসেন, শাশা গার্মেন্টসের এমডি শামস মাহমুদ, শিন শিন অ্যাপারেলসের এমডি মোহাম্মদ সোহেল সাদাত, স্প্যারো গ্রুপের এমডি শোভন ইসলাম, টেক্স টাউনের এমডি আনোয়ার হোসেন, টিএমএস ফ্যাশনের এমডি সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী, টিআরজেড গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির এমডি হারুন অর রশীদ, তুসুকা ফ্যাশনসের চেয়ারম্যান আরশাদ জামাল, উর্মি গার্মেন্টসের এমডি আসিফ আশরাফ, উইন্ডি অ্যাপারেলসের এমডি মেসবাহ উদ্দিন খান, ইয়ং ফোরএভার টেক্সটাইলের এমডি রাজীভ চৌধুরী। সম্মিলিত পরিষদের চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে বিজয়ী হয়েছেন— আমহেকো ফেব্রিকসের এমডি এম আহসানুল হক, আর্জেন্টা গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি মোহাম্মদ রাকিব আল নাসের, হাই ফ্যাশনের এমডি আমজাদ হোসেন চৌধুরী, এইচকেসি অ্যাপারেলসের রাকিবুল আলম চৌধুরী, মদিনা গার্মেন্টসের এমডি মোহাম্মদ মুসা, আরডিএম অ্যাপারেলসের এমডি মোস্তফা সারোয়ার, সোনেট টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক গাজী মো. শাহীদ উল্লাহ, টপ স্টার ফ্যাশনের এমডি মো. আবজার হোসেন ও ওয়েল গ্রুপের পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম। নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলামিন জানান, নির্বাচনে মোট ২ হাজার ৪৯৬ ভোটারের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ২ হাজার ২২৬ জন। যা শতকরা হিসাবে ৮৯ শতাংশের কিছু বেশি। ঢাকায় ২ হাজার ৩২ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন এক হাজার ৮৩৯ জন, যা ৯০ শতাংশের বেশি। আর চট্টগ্রামে ৪৬৪ জনের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ৩৮৭ জন। যা শতকরা হিসাবে ৮৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০২১ সালে। যেখানে সম্মিলিত পরিষদ ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৩৫ পরিচালকের ২৪টিতে জয়ী হয়। সভাপতি নির্বাচিত হন ফারুক হাসান। ২০২৩ সালের এপ্রিলে এ পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দুইদফায় তারা এক বছর সময় বাড়িয়ে নেয়। ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪-২৬ মেয়াদে বিজিএমইএ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। বিজিএমইএর নির্বাচনে ঢাকার ফলাফল।
১০ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৮

নোবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের সম্মিলিত কর্মীসভা অনুষ্ঠিত 
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) প্রথমবারের মতো শাখা ছাত্রলীগের অন্তর্ভুক্ত হল, অনুষদ এবং ইনস্টিটিউট সমূহের সম্মিলিত কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।   সোমবার (২৯ জানুয়ারী) বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক সংলগ্ন শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে কর্মীসভাটি দুপুর ২টায় শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত। কর্মীসভার শুরুতেই ২টি হল, ৬টি অনুষদ এবং ২টি ইনস্টিটিউটের পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে দিতে কর্মীসভায় অংশগ্রহণ করেন। পুরো অনুষ্ঠান কর্মীদের স্লোগানে মুখরিত ছিল। কর্মীসভা আনুষ্ঠানিক শুরুর প্রথমে শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্ত ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। পরবর্তীতে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিক ক্লাব ধ্রুপদ ও নোবিপ্রবি ড্যান্স ক্লাব। এ সময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান শুভর সঞ্চালনায় নতুন কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় হল, অনুষদ ও ইন্সটিটিউটসমূহের মধ্যে শুধু বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক উকিল হলের প্রতিষ্ঠাতা কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতি পদে দায়িত্ব পান নাজমুল হাসান লিশু ও সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুল্লাহ বায়োজিদ তপু। বাকি কমিটিগুলো অতিশিগগিরই প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে বলে জানান শাখা ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতা। সম্মিলিত কর্মীসভার বিষয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান শুভ বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের যে সাংগাঠনিক জট রয়েছে সেটা ভাঙতেই আমরা দ্রুতসময়ের মধ্যে মাত্র তিনমাসে মতবিনিময় সভাসহ আজকের সম্মিলিত কর্মীসভা আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছি। দীর্ঘদিন যাবৎ যারা একসঙ্গে রাজপথে স্লোগান ধরেছে, একইসঙ্গে গ্রীষ্মের দুপুরে ঘামে ভেজা শরীরে জয় বাংলা স্লোগান ধরেছে, যারা শীতের কুয়াশায় আমাদের সঙ্গে স্লোগান ধরেছে, যারা বসন্তের হাওয়ায় স্লোগান ধরেছে তারাও যেনো একটু সাংগঠনিক পরিচয় পায় তাদেরকে নিয়ে আমরা সৃজনশীল ও ভালোকিছু উপহার দিতে পারি সে চেষ্টা করবো। নোবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম রহমান বলেন, আমাদের দায়িত্ব পালনের সম্ভবত তিনমাস বা সাড়ে তিনমাস চলে। আমাদের নেতা সাদ্দাম আর ইনান ভাই আমাদের ওপর যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে পালন করবো আপনাদের দোয়ায়। নোবিপ্রবি ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল করতে আমরা দুই ভাই আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। কতটুকু পেরেছি তা আপনাদের ওপর ছেড়ে দিলাম। আমরা জানি ছাত্রলীগের একজন কর্মী পদ পদবী ছাড়া কতটা অসহায়। তাই আমরা অতি দ্রুত সময়ে নোবিপ্রবি ছাত্রলীগের হল, ফ্যাকাল্টি ও ইনস্টিটিউটের কমিটিগুলো দিয়ে ছাত্রলীগেকে গতিশীল ও সুসংগঠিত করতে চাই। তিনি আরও বলেন, রাজনীতি হলো ধৈর্য্য ও লেগে থাকার বিষয়। রাজনীতিতে ধৈর্য্য ও শ্রম থাকলে স্রষ্টা আপনাকে সফল করবেনই। নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখবেন আর সঠিক পথে কাজ করে যাবেন। সৃষ্টিকর্তা আপনার পথকে মসৃণ করবে ইনশাআল্লাহ। যারা দায়িত্বে আসবেন তাদের কাছে অনুরোধ সবাইকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করবেন। রাজনীতিতে আমার হলে একা হবেন, আমরা হলে ঐক্যবদ্ধ হবেন। রাজনীতি কখনো একা করা যায় না। নেতা হওয়ার পর নিজেকে কর্মী ভাবুন। এতে কর্মীরা আপনার কাছে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করবে। আশা করি আপনাদের হাত ধরে নোবিপ্রবি ছাত্রলীগ একটি শক্তিশালী ইউনিট হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্মার্ট ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আপনারা কাজ করে যাবেন। নিজেদের পবিত্র দায়িত্ব পবিত্রতার সঙ্গে পালন করবেন। গ্রুপিং এর বাইরে থেকে নিজেদের রাজনীতি করবেন। মনের মধ্যে কখনো অহংকার রাখবেক না। মনে রাখবেন অহংকার অনেক ভালো গুণকে নষ্ট করে দেয়। তিনি পদ প্রত্যাশীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, দায়িত্ব পালন অবস্থায় কেউ যদি মাদক, নারী বা সন্ত্রাসীঘটিত কোনো কাজে লিপ্ত থাকেন তাকে তার স্বপদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। আমাদের প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারির জন্য আপনারা দোয়া করবেন, যাতে দায়িত্ব পালনের শেষদিন পর্যন্ত আমরা আদর্শচ্যুত না হয়। আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো, আপনাদের আগামী সুন্দর হোক। আমাদের প্রতিটি কাজে আপনাদের অংশগ্রহণমূলক সহযোগিতা থাকবে আশা করি।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়