• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ফাঁকা ঢাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা
দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনা শেষে ঈদুল ফিতর মুসলিম উম্মাহর দরজায় কড়া নাড়ছে। ঈদের ছুটিতে ঢাকা এখন অনেকটাই ফাঁকা। ইতোমধ্যে রাজধানী ঢাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঢেলে সাজানো হয়েছে। ফাঁকা ঢাকায় যেন ছিনতাই, ডাকাতি ও চুরির মতো ঘটনা না ঘটে সেজন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।  ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপির পক্ষ থেকে স্পেশাল টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ করবে। অন্যদিকে রেড জোন চিহ্নিত করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে র‍্যাব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা যায়, অন্য ঈদের ছুটির মতো এবারও রাজধানী ছেড়ে প্রায় দেড় কোটি মানুষ নাড়ির টানে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন। এর ফলে ঈদের ছুটিতে রাজধানী ঢাকা প্রায় ফাঁকা থাকবে। এ সুযোগে প্রতি বছরই অপরাধীদের অপতৎপরতা বেড়ে যায়। তাদের সহজ লক্ষ্যে পরিণত হয় ফাঁকা ঢাকার ফ্ল্যাট বাসা ও রাস্তার পথচারীরা। তাই এবারের ঈদের ছুটিতে যেন এসব অপরাধ না ঘটে, সেজন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী বুধবার (১০ এপ্রিল) থেকে ঈদের ছুটি শুরু হচ্ছে। সাপ্তাহিক ও ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখের ছুটি মিলিয়ে এবার সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে লম্বা ছুটি মিলছে। তাই ঈদ উদযাপনের জন্য দলে দলে রাজধানী ছাড়ছেন মানুষ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে রাজধানীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র‍্যাব ও পুলিশ। রমজানজুড়ে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ফাঁকা ঢাকায় অপরাধ বেড়ে যেতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকে নতুন করে নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ছাড়া ইতোমধ্যে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। অতীতের ঘটনা মাথায় রেখে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়নে নতুন করে পরিকল্পনা করা হয়েছে। ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, বিগত পাঁচ বছরে রাজধানীতে এক হাজারের মতো ছিনতাইয়ের মামলা হয়েছে। অন্যদিকে চুরির ঘটনায় মামলা হয়েছে কয়েক হাজার। ডিএমপির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২০২৩ সালে রাজধানীতে ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা হয়েছে ১৯৯টি, চুরির ঘটনায় মামলা হয়েছে ১ হাজার ৫১১টি। ২০২২ সালে ছিনতাই মামলা ৩১০টি এবং চুরির মামলা ১ হাজার ৬০৩টি। ২০২১ সালে ছিনতাই মামলা হয় ১৬৬টি এবং চুরি সংক্রান্ত মামলা ১ হাজার ৩৪৩টি। ২০২০ সালে ছিনতাই মামলা ১৭৬টি এবং চুরির মামলা ১ হাজার ২১৭টি। এ ছাড়া ছিনতাই ও চুরির অনেক ঘটনার মামলা না নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ছিনতাই, চুরি ও ডাকাতির মতো অপরাধ দমনে মাঠ পর্যায়ে কাজ করবে ডিএমপির স্পেশাল টিম। ডিএমপির স্পেশাল টিম এলাকায় এলাকায় ঘুরে টহল দেবে এবং আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকায় সন্দেহজনক কারো চলাফেরা থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা ঈদের ছুটির সময় কাজ করে যাবে এই স্পেশাল টিম। এ ছাড়া ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা দিতে ডিএমপির ৫০টি থানাকে দেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা নির্দেশনা। এ বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা দিতে আমাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। মোবাইল টহল টিমের পাশাপাশি চেকপোস্ট জোরদার করা হবে। ফাঁকা ঢাকায় যেকোনো অপরাধ দমনে মাঠ পর্যায়ে থাকবে স্পেশাল টিম। এ ছাড়া বিশেষ নিরাপত্তার অংশ হিসেবে ডিএমপির প্রতিটি থানাকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা দিতে পুলিশের পাশাপাশি বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র‍্যাবও। গোয়েন্দা দল, চেকপোস্ট, রোবাস্ট পেট্রোল ও টহল টিমের পাশাপাশি কিছু এলাকার জন্য স্পেশাল টিম ইতোমধ্যে প্রস্তুত রেখেছে র‍্যাব। এ ছাড়া রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকাকে অপরাধের জন্য রেড জোন চিহ্নিত করে এসব এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে র‍্যাব। সোমবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ঈদে ঢাকা শহরের অনেক বাসিন্দা গ্রামে চলে যান। শূন্য ঢাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব অবশ্যই আমাদের ওপর বর্তায়। শূন্য ঢাকার নিরাপত্তা দিতে আমরা আমাদের পাট্রোল বৃদ্ধি করি। কোনো এলাকায় যদি কোনো ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয় তা আমরা এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে জানতে পারি আর তখন আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করি। তিনি বলেন, বিভিন্ন এলাকাকে আমরা রেড জোন হিসেবে দেখছি। যেখানে চুরি ও ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা বেশি ঘটে। এসব রেড জোনে আমরা গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছি। এদিকে রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে সায়দাবাদ জনপথ মোড়ে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ঈদের ছুটিতে অনেকেই বাড়ি যাবেন। ঈদের ছুটিতে ফাঁকা বাড়িতে কেউ যাতে অপরাধ সংঘটিত করতে না পারে সেজন্য আপনারা ফ্ল্যাট বাড়ির নিরাপত্তার জন্য পাহারাদার নিয়োজিত করবেন। অনেক সময় দেখা যায়, অপরাধ সংঘটিত হলে সিসিটিভির ক্যামেরা অন্য দিকে মুখ করে থাকে। সিসিটিভি ক্যামেরা ঠিক আছে কি না এবং যেদিকে মুখ করে থাকার কথা সেদিকে আছে কি না তা আপনারা চেক করে নেবেন। যাতে করে অপরাধ সংঘটিত হলে পাহারাদার না ধরতে পারলেও আমরা যেন গিয়ে অপরাধীদের শনাক্ত করতে পারি। ছিনতাই নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ঈদের সময় ছিনতাইকারীরা যেমন তাদের অপতৎপরতা বৃদ্ধি করে তেমনি আমরাও আমাদের কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছি। ছিনতাই নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা কাজ করছি। প্রতিটি ছিনতাইয়ের অভিযোগের বিষয়ে আমরা যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। ছিনতাইকারীদের আমরা আইনের আওতায় আনছি। অপরাধ করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।  
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪০

তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যরা পেলেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার
পবিত্র রমজান মাসে নওগাঁয় কর্মহীন ও সুবিধাবঞ্ছিত মানুষের মাঝে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। এবার পবিত্র রমজান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যদের মাঝেও।  সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ৩৪ জন তৃতীয় লিঙ্গের হাতে উপহার সামগ্রী হিসেবে চাল, ডাল, চিনি, তেলসহ মোট আটটি নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য তুলে দেন জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা। এ দিকে জেলা প্রশাসকের হাত থেকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী হিসেবে খাদ্যদ্রব্য নিতে পেরে খুশি তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যরা। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা বলেন, অন্যান্যদের মতো তাদেরও অধিকার আছে কিছু চাওয়ার ও পাওয়ার। তাই আমি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এই পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ৩৪ জন তৃতীয় লিঙ্গের মাঝে একটু খাদ্যদ্রব্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি।  আশা করি তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সহযোগিতার এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।  এ সময় তিনি অসহায় ও দরিদ্রদের জন্য সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।
২৫ মার্চ ২০২৪, ২০:৩২

শপথ নিলেন পাঞ্জাব পরিষদের সদস্যরা
পাকিস্তানের পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচিত সদস্যরা শপথ নিয়েছেন। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) তাদের শপথ পড়ান বিদায়ী স্পিকার সিবতাইন খান। এ শপথের মধ্য নিয়ে নওয়াজ কন্যা মরিয়ম নওয়াজ সংসদীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করলেন। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।  ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের পর এটাই ছিল প্রথম প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশন। যেখানে নবনির্বাচিত সদস্যরা শপথ নিয়েছেন। অধিবেশনে ৩১৩ জন আইনপ্রণেতা উপস্থিত ছিলেন যার মধ্যে ২১৫ জন পিএমএল-এন এবং এর সহযোগী দলগুলোর। বাকী ৯৮ জন ছিলেন সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের (এসআইসি) সদস্য।  বিদায়ী স্পিকার সিবতাইন খান বলেন, শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) গোপন ব্যালটের মাধ্যমে পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকারের স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত করা হবে। এজন্য আজ স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকারের মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই করা হবে।  তবে দুই ঘণ্টা দেরিতে এই শপথ অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রতিবেদনে কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন), পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এবং সুন্নি উত্তেহাত কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্যরা শপথ নেয়ার সময় একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন এবং উচ্চ বাচ্য শব্দ বিনিময় করেন। 
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:১৭

বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি পেলেন বিমানবাহিনীর সদস্যরা
শান্তিকালীন সময়ে বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা, বিমানসেনা ও এমওডিসি (এয়ার) সদস্যদের পদক প্রদান করা হয়েছে। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিমানবাহিনী সদর দপ্তরে এ পদক প্রদান অনুষ্ঠান হয়। বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে পদক বিতরণ করেন। সশস্ত্র বাহিনীতে বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ সদস্যদের মধ্যে প্রতি বছর সর্বোচ্চ ৪০টি শান্তিকালীন পদক প্রদানের বিধান রয়েছে। এ অনুষ্ঠানে বিমান বাহিনী সদস্যদের মধ্যে মোট ৩৮টি শান্তিকালীন পদক প্রদান করা হয়।  পদক প্রদান অনুষ্ঠানে বিমান বাহিনী প্রধান বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মনোবল বৃদ্ধি ও প্রশংসনীয় কাজের প্রতি অধিকতর উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন বীরত্বপূর্ণ কাজের মূল্যায়নস্বরূপ ২০১৩ সালে শান্তিকালীন পদক প্রবর্তন করা হয়। এ স্বীকৃতি অন্যান্যদের মধ্যে অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে সহকারী বিমানবাহিনী প্রধান, বিমান সদরের পরিচালক, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিমানসেনা এবং অসামরিক সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৭

মিয়ানমারে গোলাগুলি / প্রাণভয়ে বাংলাদেশে আসছেন বিজিপি সদস্যরা
বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের অংশে ব্যাপক গোলাগুলি ও বোমা বর্ষণ হচ্ছে। শনিবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তে থেমে থেমে গুলি ও বোমা বর্ষণ চলছে। বেশ কয়েকটি গুলি ও মর্টারশেল এসে পড়েছে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে। তুমুল যুদ্ধাবস্থায় মিয়ানমারের বিজিপির সদস্যরা প্রাণভয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছেন। বিজিবি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ১০ গুলিবিদ্ধসহ ৫৮ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন। স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যমতে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে দুই বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- প্রবীর চন্দ্র ধর ও একজন নারী (নাম-পরিচয় জানা যায়নি)।  তারা দুজনই হিন্দু পাড়ার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত করেছেন ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাহাফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া। গোলাগুলিতে কোনাপাড়ার কয়েকটি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবদুল্লাহআল মাসরুকি জানান, গোলাগুলি ও সংঘর্ষে প্রাণহানির শঙ্কায় মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ বিজিপির ৫৮ জন সদস্য বাংলাদেশের ভূখণ্ডে আশ্রয় নিয়েছেন। আমরা তাদের প্রচলিত আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী নিরস্ত্র করে হেফাজতে নিয়েছি।  সীমান্ত পথে আরও অনেক বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে ঢোকার জন্য অবস্থান নিয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানিয়েছেন, মিয়ানমারের বিজিপির সদস্যরা তুমব্রু সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এ দিকে উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে সীমান্তের ১০০ গজ দূরত্বে থাকা মিশকাতুন নবী দাখিল মাদরাসা বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানান বান্দরবান জেলা শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ ফরিদুল আলম হোসাইনী। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল মান্নান বলেন, আজ সকাল থেকে মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকার অভ্যন্তরে গোলাগুলি বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমান্ত এলাকার বাইশ ফাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজা বনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কুল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ গুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিকে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে। নিরাপত্তা চৌকিগুলোতে সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০৮

শপথ নিলেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ নতুন মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পাওয়া ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী শপথগ্রহণ করেছেন। এর মধ্য দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করল আওয়ামী লীগ। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। নিয়ম অনুযায়ী— প্রথমে প্রধানমন্ত্রী এবং পর্যায়ক্রমে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা শপথ নেন। প্রধানমন্ত্রীসহ নতুন মন্ত্রিসভার আকার দাঁড়িয়েছে ৩৭ জনে। এর আগে, নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর তার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের অনুমোদন দিয়ে ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রীকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। নতুন মন্ত্রিসভায় পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আ ক ম মোজাম্মেল হক, ওবায়দুল কাদের, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, আসাদুজ্জামান খান, ডা. দীপু মনি, মো. তাজুল ইসলাম, মুহাম্মদ ফারুক খান, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আনিসুল হক, ড. হাছান মাহমুদ, মো. আব্দুস শহীদ, সাধন চন্দ্র মজুমদার, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, মো. আব্দুর রহমান, নারায়ন চন্দ্র চন্দ, আবদুস সালাম, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ফরহাদ হোসেন, ফরিদুল হক খান, জিল্লুল হাকিম, সাবের হোসেন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, নাজমুল হাসান পাপন, ইয়াফেস ওসমান ও ডা. সামন্ত লাল সেন। এ ছাড়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বেগম সিমিন হোসেন রিমি, নসরুল হামিদ, জুনাইদ আহমেদ পলক, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, মো. মহিববুর রহমান, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাহিদ ফারুক, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বেগম রুমানা আলী, শফিকুর রহমান চৌধুরী ও আহসানুল ইসলাম টিটু। এর আগে, গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৯৮টি আসনের বেসরকারি ফলাফলে ২২২টি আসনে জয় পায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আর স্বতন্ত্র ৬২টি, জাতীয় পার্টি ১১টি ও অন্যান্য দল ৩টি আসনে বিজয়ী হয়। উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সর্বশেষ মন্ত্রিসভা শপথ নিয়েছিল। সেই মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রীসহ ৪৭ জন সদস্য ছিলেন। এর মধ্যে মন্ত্রী ২৫ জন, প্রতিমন্ত্রী ১৯ জন ও উপমন্ত্রী তিনজন ছিলেন।
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:০৬

শপথ নিলেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা
শপথ নিয়েছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত ২২৫ জন সংসদ সদস্য। বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় শপথের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। অন্যান্য কার্যক্রম শেষে শপথ পাঠ করেন সদস্যরা। পরে তাদের শপথের কাগজে স্বাক্ষর করতে বল হয়। পরবর্তী কার্যক্রম হিসেবে সংসদের রেজিস্ট্রারে স্বাক্ষর করতে বলা হয়। শপথের পর নির্বাচিত এমপিরা স্পিকারের সামনে শপথ ফরমে স্বাক্ষর করেন। এমপিদের শপথের আগে প্রথম দফায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংবিধান ও কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী এমপি হিসেবে নিজে শপথগ্রহণ করেন এবং শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করবেন। এর মধ্য দিয়ে একাদশ সংসদ বিলুপ্ত এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদের যাত্রা শুরু হলো। গতকাল মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করে। সংবিধানের বিধান অনুযায়ী গেজেট প্রকাশের তিনদিনের মধ্যে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করতে হবে। শপথ গ্রহণের পরই তিনি কার্যভার গ্রহণ করেছেন বলে গণ্য হবেন। উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি রোববার সারাদেশে একযোগে ২৯৯ আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ২৯৮ আসনের ফল বেসরকারিভাবে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে ২৯৮ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২২৫ আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠা লাভ করেছে। জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৬১টি আসন, এ ছাড়া অন্যান্য দল থেকে পেয়েছে ১টি আসন।
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩৫

আপাতত শপথ নিচ্ছেন না জাপার সংসদ সদস্যরা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নবনির্বাচিতরা বুধবার (১০ জানুয়ারি) শপথ নিলেও জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা আপাতত শপথ নিচ্ছেন না। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, কাল (বুধবার) আমরা শপথ নিচ্ছি না। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জি এম কাদেরের অফিসে আমরা বৈঠকে বসব। বৈঠকে আলাপ-আলোচনার করে শপথের বিষয়টি ঠিক করা হবে। এদিকে,  বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে বর্তমান সংসদের চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, শপথগ্রহণের আগে আজ (মঙ্গলবার) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। সংবিধানের বিধান অনুযায়ী, গেজেট প্রকাশের তিনদিনের মধ্যে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথগ্রহণ করতে হবে। শপথগ্রহণের পরই তিনি কার্যভার গ্রহণ করেছেন বলেও গণ্য হবেন। উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। ২৯৯টি আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৯৮টি আসনের বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছে ২২৫টি আসনে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র ৬১টি এবং জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয় পেয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের নেতা।
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়