• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যেখানে সালমানের বাড়িতে হামলার ছক আঁকে দুর্বৃত্তরা
বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের বাড়ির বাইরে চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান অজ্ঞাতনামা দুই দুর্বৃত্ত। রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে এই ঘটনা ঘটে।  শুধু তাই নয়, ইতোমধ্যে হুমকির চিঠি দিয়ে ঘটনার দায় স্বীকার করার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো সালমানকে হুমকিও দিয়েছে বিষ্ণোই গ্যাং। মূলত এরপরেই নড়েচড়ে বসে মুম্বাই পুলিশ।  প্রাথমিক তদন্তে মুম্বাই পুলিশ জানায়, সালমানের বান্দ্রার বাসভবনে হামলার পরিকল্পনা করেছিল গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ডান হাত। যারা অভিনেতার বাড়ির বাইরে গুলি চালিয়েছিল, তারা দুজনেই লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত।    সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, দুই বন্দুকধারীর মধ্যে একজন অভিনেতার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিই বাইকে থাকাকালীন ব্যাকপ্যাক নিয়ে ছিলেন এবং পরিচিতি গোপনের জন্য টুপি পরা ছিল।  ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি, লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোই এই কাজের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত গ্যাংস্টার রোহিত গোদারার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। পুলিশ জানায়, গোদারাকে তার বিশাল নেটওয়ার্ক থেকে পেশাদার শুটার নিয়োগের  দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সালমানের বাড়ির সামনে এলোপাতাড়ি গুলি চালানোর জন্য।  এর আগে, গত বছরের মার্চ মাসে সালমান খানকে হুমকি দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার একটি ইমেইল আসে। অভিনেতার পরিণতিও সিধু মুসেওয়ালার মতোই হবে, এমন বার্তাই লেখা ছিল সেই মেইলে। পরবর্তীতে মুম্বাই পুলিশ লরেন্স বিষ্ণোই ও গোল্ডি ব্রারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০-বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ৫০৬-২ (অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন) এবং ৩৪ (সাধারণ উদ্দেশ্য) ধারায় এফআইআর দায়ের করে। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস    
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৭

সালমান খানের বাড়িতে গুলি, যা জানা গেল 
বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের বাড়ির বাইরে চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান অজ্ঞাতনামা দুই দুর্বৃত্ত। রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এরপরই নড়েচড়ে বসে মুম্বাই পুলিশ। কারা এর পেছনে জড়িত, জানতে শুরু করে তদন্ত। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেও নির্দেশনা দেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের। এর মধ্যেই হুমকির চিঠি দিয়ে ঘটনার দায় স্বীকার করে বিষ্ণোই গ্যাং। শুধু তাই নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমত হুমকিও দিয়েছে বলিউড ভাইজানকে। জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই-এর ভাই আনমোল বিষ্ণোই, তার ভাইয়ের হয়ে এই হুমকি দেন। তিনি লেখেন, ‘আজ যা হয়েছে, তা শুধুই একটা ঝলক ছিল সালমান খান। যাতে তুমি বুঝতে পারো, আমরা কত দূর যেতে পারি। এটাই ছিল তোমাকে দেওয়া শেষ সুযোগ। এরপর গুলিটা তোমার বাড়ির বাইরে চলবে না।’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওই পোস্টে  আনমোল বিষ্ণোই আরও লেখেন, ‘দাউদ ও ছোটা শাকিল নামের যে দুজনকে তুমি ভগবান মানো, সেই নামের দুটি কুকুর পুষেছি বাড়িতে। বাকি বেশি কথা বলার লোক আমি নই। জয় শ্রী রাম।’ প্রসঙ্গত, গত বছর থেকেই ক্রমাগত প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছেন সালমান খান। আর তা দিয়ে আসছিল কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। তার সূত্র ধরেই এই গুলির ঘটনা।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৬

নোয়াখালীর দুই নাবিকের মুক্তিতে বাড়িতে স্বস্তি
জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের বাংলাদেশি ২৩ নাবিক। নাবিকদের মধ্যে দুজন নোয়াখালীর— কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের নাবিক রাজু (২৭) ও চাটখিল উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের সিংবাহুড়া গ্রামের নাবিক মোহাম্মদ ছালেহ আহমদ (৪৩)। তাদের মুক্তিতে পরিবারে স্বস্তি ফিরেছে। স্বস্তি এলেও বাড়ি না-ফেরা পর্যন্ত উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছে পরিবার। জানা গেছে, নাবিক রাজুর বাড়িতে এসে ঈদ করার কথা ছিল। ঈদের পর রাজুর বিয়ে উপলক্ষে নতুন ঘরের কাজও চলছে। দুই ভাই, এক বোনের মধ্যে রাজু সবার ছোট। গত বছরের নভেম্বরে শেষ দিকে রাজু সিঙ্গাপুর থেকে জাহাজে ওঠেন। এরপর প্রথম রমজান থেকে ছেলের জিম্মি দশায় পরিবারের সব চিত্র বদলে যায়। ঈদের দুইদিন পর রাজুর মুক্তিতে পরিবারে এখন আনন্দ বিরাজ করছে।     নাবিক রাজুর বাবা মাস্টার আজিজুল হক জানান, দীর্ঘ ৩২ দিন পর ছেলের মুক্তির খবরে আমরা পুনরায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরলাম। সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে ২৩ নাবিককে উদ্ধারে পদক্ষেপ গ্রহণ করায় তাদের ধন্যবাদ।   অপরদিকে স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে চাটখিলে নাবিক মোহাম্মদ ছালেহ আহমদের ছোট পরিবার। তিনিই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। ছালেহ গত বছর কর্মস্থলে ঈদ করেছেন। পরিবারের আশা ছিল এবার তাদের সঙ্গে ঈদ করবেন ছালেহ। কিন্তু স্বামী জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার খবরে স্বাভাবিক জীবন এলোমেলো হয়ে যায়। তিন মেয়েকে নিয়ে অনেকটা বাকরুদ্ধ তানিয়া আক্তার স্বামীর মুক্তির জন্য অপেক্ষা করছেন। ঈদের দুইদিন পরে নাবিক ছালেহ’র মুক্তির খবরে স্বস্তি এসেছে তার মাঝেও। এখন স্বামীর ফিরে আসার প্রহর গুনছেন তিনি। তানিয়া আক্তার বলেন, সরকারের কার্যকর ভূমিকায় জলদস্যুদের জিম্মি দশা থেকে বাংলাদেশি ২৩ নাবিকের মুক্তিতে আমাদের সবার পরিবারের মাঝে স্বস্তি এসেছে। শঙ্কা কেটে সবার মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। তবে এখনও পরিবারগুলো তাদের স্বজনদের নিয়ে উৎকণ্ঠায় প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে অক্ষত অবস্থায় ফিরে আসবেন তারা।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১২

ঈদের ছুটিতে বাড়িতে না থেকেও যেভাবে পানি পাবে টবের গাছ 
ঈদের ছুটিতে অনেকেই শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যান বেশ কয়েকদিনের জন্য। কিন্তু ঘরে থাকা গাছ নিয়ে পড়েন দুশ্চিন্তায়। গাছে পানি দেবে কে এই চিন্তায় শহর ছেড়ে বেড়াতে বা ভ্রমণে যাওয়াটা এক রকম চিন্তার বিষয় হয়ে যায়। তবে এ সমস্যার সমাধানে কিছু পদ্ধতি রয়েছে যা ঠিকমতো প্রয়োগ করতে পারলে বাড়িতে কেউ না থাকলেও গাছ পানির অভাবে অন্তত মারা যাবে না। চলুন জেনে নিই পদ্ধতিগুলো- বোতলবন্দি: গাছে পানি দিতে বোতলকে অনেক ভাবেই কাজে লাগানো যায়। প্রথমে একটি বোতল নিয়ে তার গলা পর্যন্ত পানি ভরে নিতে হবে। সেই পানিতে কিছু সার গুলে দিতে পারেন। তারপর বোতলের মুখ বুড়ো আঙুল দিয়ে চেপে ধরে উলটে দিন। ধীরে-ধীরে বোতলের মুখ গুঁজে দিন টবের মাটিতে। বোতলটা উলটে থাকবে। এক দিকে একটু হেলে থাকলেও অসুবিধে নেই। এবার বোতলের পিছন দিকে পানির মাত্রায় দাগ দিয়ে দিন। কয়েক ঘণ্টা বাদে দেখুন পানি সেই লেভেল থেকে নীচে নেমেছে কি না। তা হলে বুঝতে পারবেন পানি পাস করছে। কিন্তু পানির মাত্রা যদি না নামে, তার মানে বোতলের মুখে মাটি জমে পানির পথ আটকাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বোতল তুলে নিয়ে তার মুখটা পরিষ্কার করে আবার গুঁজে দিতে হবে টবের মাটিতে। অথবা বোতলের গায়ে দু’-চারটে ফুটো করে, বোতলে পানি ভরে নিন। এবং পুরো বোতলটাই মাটির মধ্যে পুঁতে দিন। বোতলে পানি ভরে আর অল্প মাটি দিয়ে তার মধ্যেও গাছ বসিয়ে রাখতে পারেন। তবে সব গাছ কিন্তু এই পদ্ধতিতে বাঁচে না। রশির বাঁধনে: একটা বড় গামলায় পানি ভরে নিতে হবে। এবার যে গাছগুলোতে পানি দিতে চান সেই গাছের টব এনে গামলার চারপাশে রাখুন। কয়েকটা দড়ি নিয়ে তার এক প্রান্ত গামলার পানির নীচ পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে ডুবিয়ে দিন। দড়ির অন্য প্রান্ত টবের মাটির মধ্যে গুঁজে দিন। খেয়াল রাখবেন, যাতে দড়িটি টবের নীচ পর্যন্ত চলে যায়। তবেই গাছ ভালো করে পানি পাবে। পানিভর্তি গামলার মুখ যেন টবের চেয়ে বেশি উচ্চতায় থাকে। এই পুরো পদ্ধতি শুরু করার আগে টবের মাটি পানি দিয়ে ভালো করে ভিজিয়ে নিতে হবে। না হলে টবের মাটি প্রথমেই অনেকটা পানি শুষে নেবে। পানিভর্তি টাব: একটা বড় গামলা বা বাথটাব থাকলে তার মধ্যে পানি ভরে ফেলুন। তারপর সেই পানিনিকাশি বন্ধ করে দিতে হবে। সেই পানিভর্তি টাবের মধ্যে একে একে সব গাছ বসিয়ে দিন। খেয়াল রাখবেন, গাছের টবের নীচে যেন পানি পাস করার ফুটো থাকে। এই পদ্ধতিতে গাছেরা বেশ কিছুদিন পর্যন্ত পানি পাবে এবং ভালো থাকবে। টুকরো টিপস- • বাড়ির বাইরে থাকাকালীন গাছে পানি দেওয়ার যে কোনও পদ্ধতি বাছতে পারেন। কিন্তু যে পদ্ধতিই প্রয়োগ করুন না কেন, গাছকে প্রত্যক্ষ সূর্যালোকে রাখবেন না। তা হলে গাছের গোড়ার পানি গাছের কাজে লাগার আগেই বাষ্পীভূত হয়ে যাবে। তাই এমন কোনও জানালার ধারে গাছের টবগুলো রাখতে হবে যাতে গাছ আলো পায়, কিন্তু রোদ যেন না লাগে। • এই পদ্ধতিতে চারদিন থেকে এক সপ্তাহ পর্যন্ত গাছে পানি সরবরাহ করা যায়। আর গাছ তার নিজের আপনিধারণ ক্ষমতায় আরও তিনদিন হয়তো বাঁচতে পারে। কিন্তু তার বেশি দিনের জন্য যদি বাইরে থাকতে হয়, সে ক্ষেত্রে গাছের দায়িত্ব কোনও প্রতিবেশী বা বন্ধুকে দিয়ে যাওয়াই ভালো। • গাছে পানি দেওয়ার উপকরণ সাজিয়ে আগে দেখে নিন, সেই পদ্ধতিতে গাছের পানির চাহিদা মিটছে কি না। বাড়িতে থাকাকালীন সময়েই পদ্ধতিগুলো পরখ করে দেখে নিন, আপনার গাছের জন্য কোন পদ্ধতি সহায়ক। বাড়িতে কোনও প্রাণী থাকলে তার যতটা যত্নের প্রয়োজন, গাছেরও ততটাই। তাই দরজায় তালা দিয়ে বেরোনোর আগে কিছুটা সময় দিন। তা হলে আপনার সাধের বাগানও আর শুকিয়ে যাবে না।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫০

জাল ভিসায় এয়ারপোর্টে ধরা, দালালের বাড়িতে ৬ যুবক
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার তিন গ্রামের ছয়জন যুবক দালালের খপ্পরে পড়ে জাল ভিসা নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ধরা খেয়ে সেখান থেকে সরাসরি দালালের বাড়িতে এসে গত ছয় দিন ধরে অবস্থান করছেন। আর বিদেশ নয়, দেওয়া টাকা ফেরত নিয়ে তারা নিজ বাড়িতে ফিরতে চান। তা না হলে, দালালের বাড়িতেই সবাই শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে আত্মাহুতি করবেন বলে জানান।  বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে উপজেলার জিন্দারপুর গ্রামে দালালের বাড়িতে গিয়ে ওই ছয় যুবকের অবস্থানের দৃশ্য দেখা যায়।  দালালের বাড়িতে অবস্থানরত যুবকরা হলেন, উপজেলার পাঁচগ্রামের আতিকুল ইসলাম, খায়রুল ইসলাম, আব্দুল ওয়াদুদ, আলামিন তালুকদার, মোলামগাড়ীহাটের মেহেদী হাসান, জিন্দারপুর গ্রামের আবু তাহের। অবস্থানরত যুবক, দালালের পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জিন্দারপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে দালাল সুলতান মাহমুদ দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দেশে লোক পাঠান। এলাকায় তাকে মাবুদ নামে চেনেন। সাড়ে তিন বছর আগে একই এলাকার পাঁচগ্রাম, মোলামগাড়ীহাট ও জিন্দারপুর গ্রায়ের ছয়জন যুবক একসঙ্গে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য দালাল মাবুদের সাথে ৩৩ লাখ টাকা চুক্তিবদ্ধ হন। চুক্তির পুরো টাকা তারা পরিশোধও করেছেন। তখন থেকে  কালক্ষেপণ করেন মাবুদ। ছয় মাস আগে মালয়েশিয়া নয়, তাজিকিস্তানে পাঠানোর কথা হয়। তাতেও রাজি হন ওই যুবকরা। অনেক দেরিতে হলেও চলতি বছরের ১৮ মার্চ তাদেরকে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয় তাজিকিস্তানের উদ্দেশ্যে ঢাকায়। ২০ মার্চ রাতে একবুক স্বপ্ন নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমানোর উদ্দেশ্য টিকিটসহ কাগজপত্র হাতে পেয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে  উপস্থিত হন ওই ছয় যুবক। ‘বিধিরবাম’ এয়ারপোর্টে চেকিংয়ে গিয়ে জানতে পারেন ম্যানপাওয়ার, ভিসা, বিএমইটি স্মার্ট কার্ড জালিয়াতি করে তাদের ভুয়া কাগজপত্র দিয়েছেন দালাল মাবুদ। শুধুমাত্র বিমানের টিকেট ছিল আসল। এয়ারপোর্ট থেকে তাদেরকে ফেরত আসতে হয়। তাই তারা নিজ বাড়িতে না গিয়ে দালাল সুলতান মাহমুদের বাড়িতে অবস্থান করছেন। এখানেই শেষ নয়, গত ছয় মাস আগে একই উপজেলার আতাহার গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আমিরুল ইসলাম, জিন্দাপুর গ্রামের মোশারফের ছেলে মোহসিন আলী, বেলগড়িয়া গ্রামের ফরিদুলের ছেলে ফয়সাল, মহেশপুর গ্রামের ইউনুসের ছেলে রিমন, পাঁচগ্রামের মৃত মজিদের ছেলে মোস্তফাসহ আরও অনেককেই মালয়েশিয়াতে একই কৌশলে পাঠিয়েছে দালাল মাবুদ। তারা বর্তমানে কাজ না পেয়ে মাবুদের লোকজনদের কাছে বন্দি অবস্থায় মালয়েশিয়া জীবন-যাপন করছেন।   অবস্থানরত যুবক আতিকুল ইসলাম বলেন, জমি বন্ধক রেখে দালাল মাবুদকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা দিয়ে আজ বড় বিপদে পড়েছি। সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। ছয় দিন ধরে এ বাড়িতে অবস্থান করছি। পুলিশ নয়, নিজেরাই এর সমাধান চাই। টাকা না পাওয়া পর্যন্ত এই বাড়ি থেকে যাবো না। কপালে যা আছে তা হবেই। আরেক যুবক আবু তাহের বলেন, মালয়েশিয়া যাওয়া হয়নি তাতে কোনো সমস্যা নেই। তাজিকিস্তানে যাওয়ার দিনে কেন ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে আমাদেরকে ফাঁসানো হলো। আমরা আর বিদেশে যাবো না, টাকা ফেরত চাই। তিনি আরও বলেন, মাবুদের সাথে সমাধানের জন্য আমরা বসেছিলাম, কিন্তু ৯৯৯ এ ফোন করলে মাবুদকে পুলিশ এসে থানায় নিয়ে যায়। পরে আমরাও থানায় গিয়েছিলাম। পুলিশ মাবুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে বলেছিল, আমরা অভিযোগ করিনি। পরে পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে। এরপর থেকে মাবুদ পলাতক।   দালাল সুলতান মাহমুদ ওরফে মাবুদ বলেন, আমি যে এজেন্সির মাধ্যমে তাদেরকে পাঠাচ্ছি মূলত তারাই এসব ভুয়া কাগজপত্র প্রস্তুত করেছে। তারা যে ভুয়া কাগজপত্র করেছে তার কিছুই জানি না। টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে আমি তাদের নিকটে সময় চেয়েছি। তাদের টাকার ব্যবস্থা করছি। ছয় মাস আগে মালয়েশিয়া যাদেরকে পাঠিয়েছেন তারা এখন বন্দি এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজ পায়নি, তার হেপাজতেই তারা রয়েছেন। খরচ যা লাগছে তিনিই দিচ্ছেন। কয়েক দিনের মধ্যে তাদেরও ব্যবস্থা হবে। কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াসিম আল বারী বলেন, ৯৯৯ এ কল পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতারিত যুবকদের অভিযোগ দিতে ডাকা হয়েছিল, কিন্তু তারা অভিযোগ দিতে নারাজ। মাবুদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৯

ডিবি পরিচয়ে বাড়িতে ঢুকে বৃদ্ধকে হাতুড়িপেটা, হাসপাতালে মৃত্যু
রাজবাড়ীর কালুখালীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বাড়িতে ঢুকে হাতুড়িপেটায় আহত মঙ্গল চন্দ্র বিশ্বাস (৬৫) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। রোববার ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। হাসপাতালে ১৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে আহত মঙ্গল চন্দ্র মারা যান। সোমবার (৪ মার্চ) বিকেলে ময়নাতদন্তের পর মরদেহ হস্তান্তরের পর উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের লাড়িবাড়ি গ্রামের নিজ বাড়িতে মঙ্গল চন্দ্র বিশ্বাসকে সমাহিত করা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ীর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা। তিনি বলেন, মঙ্গল চন্দ্র বিশ্বাসকে মারধরের ঘটনায় তার ছেলে কুমারেশ কুমার গত ২০ ফেব্রুয়ারি কালুখালী থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। তাদের মধ্যে চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা জেলা কারাগারে আছেন। বাকি দুই আসামি জামিনে আছেন। বর্তমানে মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মামলায় ৩০২ ধারা যুক্ত করা হয়েছে। কারাগারে থাকা আসামিদের আমরা রিমাণ্ডে এনে হত্যার প্রকৃত কারণ আমরা জানতে পারবো। জামিনে থাকা ২ আসামি যেন জামিন বাতিল হয় সেজন্য আমরা কার্যক্রম চালাচ্ছি। পরবর্তীতে তাদেরকেও রিমাণ্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। নিহত মঙ্গল চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে সঞ্জয় কুমার বিশ্বাস বলেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে আমাদের মামলা রয়েছে। তারা সন্ত্রাসী ভাড়া করে আমার বাবাকে মেরেছে। দেড় বছর আগেও একবার এরাই আমার বাবাকে প্রকাশ্য দিবালোকে মেরে রক্তাক্ত জখম করে। আমার বাবার হত্যার বিচার চাই। সঞ্জয় বলেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত দেড়টার দিকে বাবা নিজের ঘরে টিভি দেখছিলেন। আমি আমার ঘরে শুয়ে মোবাইলে নাটক দেখছিলাম। এ সময় হঠাৎই কয়েকজন লোক আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে, আমি তাদের পায়ের আওয়াজ শুনে উঠে বসি। এরপর তারা বাবার ঘরের দরজায় টোকা দেন। বাইরে থেকে বলা হয়, আপনার সঙ্গে কথা আছে, আমরা রাজবাড়ী থেকে ডিবির লোক এসেছি। আপনারা মাদক ব্যবসা করেন। আমরা আপনাদের ঘর তল্লাশি করবো। তাদের কথা শুনে আমি আমার ঘরের দরজা খুলে বাইরে বের হই। সেসময় দেখি তারা বাড়ির মধ্যে ১০-১২ জন ছিল। আমি দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে দুজন আমার গলায় পিস্তল ঠেকিয়ে ধরে।  সঞ্জয় বলেন, আমার বাবা তাদের ডাকাডাকিতে দরজা না খুললে তারা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে বাবার জামার কলার ধরে টেনে বাইরে নিয়ে আসে। এরপর বাবাকে মাটিতে ফেলে হত্যার উদ্দেশ্যে হাতুড়ি, লোহার রড ও রাইফেলের বাট দিয়ে পেটায়। আমাদের বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে প্রায় ২০ মিনিট  তারা আমার বাবাকে ইচ্ছামতো পেটায়। এক পর্যায়ে তারা আমার ছোটভাই কুমারেশের ঘরে ঢুকে স্টিলের সাব বাক্সের ভেতর থেকে ২ লাখ ৯৩ হাজার টাকা লুট করে নেয়। পরে বেশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়ে তারা চলে যায়। সঞ্জয় আরও বলেন, আমরা বাবাকে উদ্ধার করে প্রথমে কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। বাবার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। রাতেই বাবাকে ফরিদপুর হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৮:০৬

আসিফের মৃত্যুতে বাড়িতে চলছে স্বজনদের আহাজারি
রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত আরিফুর রহমান আসিফের বাড়ির নোয়াখালীর সেনবাগে ডমুরুয়া ইউনিয়নের মইশায় পশ্চিম পাড়া কালাম মেম্বার বাড়ি। তিনি ওই বাড়ির মৃত আবুল খায়েরের ছেলে। তারা ৫ ভাই এর মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। ঢাকার শান্তিনগরে একটি গ্রিল ওয়ার্কশপে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার দিন তিনি হোটেলে কাজ করার জন্য গিয়েছিলেন।  নিহত আসিফের ফুফাতো ভাই মো. নুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতের মরদেহ বাড়ি আসার পথে আমরা দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। খবর পাওয়ার পর থেকে বাড়িতে চলছে স্বজনদের আহাজারি। তিনি জানান, নিহতের লাশ ঢাকা থেকে অ্যাম্বুলেন্সে বাড়ি আসতাছে। আমরা দাফনের জন্য বাড়ির সামনে তাকিয়া জামে মসজিদের পাশে কবর করা হয়েছে। শতশত নারী পুরুষ আরিফুর রহমান আসিফকে শেষবারের মতো এক নজর দেখার জন্য ওই বাড়িতে ভিড় করেছেন। নিহত আসিফের পিতা-মাতা না থাকলেও বাড়ির ও প্রতিবেশীদের আহজারিতে চলছে শোকের মাতম।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৯:০৫

স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে পুলিশের বাড়িতে কলেজছাত্রীর অনশন
স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের তুষভাণ্ডার ইউনিয়নে এক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে পাঁচদিন ধরে এক কলেজছাত্রী অনশন করছেন। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘনেশ্যাম এলাকার পুলিশ সদস্য রাব্বি আল মামুনের বাড়িতে অনশন করছেন তিনি। পুলিশ সদস্য ওই এলাকার আল আমিনের ছেলে। সে ডিএমপির রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে এমটি শাখায় পিওএমএ পদে কর্মরত কনস্টেবল।  মঙ্গলবার বিকেলে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী জানান, ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর ঢাকা মেট্রো পলিটনের পল্টন থানায় কয়েকজন পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতে পুলিশ সদস্য রাব্বির সঙ্গে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক ওই তরুণীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী হিসেবে এক সপ্তাহ তারা পল্টন থানার পাশে একটি আবাসিক হোটেলে রাত্রিযাপন করে। পরে বাসা ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে থাকবে এমন আশ্বাসে সে তার বাবা-মা ও তরুণীর বাবার সঙ্গে কথা বলে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি আসার পর দুই তিন মাস সে মুঠোফোনে কথা বলে সুসম্পর্ক বজায় রাখে এবং স্ত্রী হিসেবে ভরণপোষণ দেয়। এ সময় আবারও আশ্বাস দিয়ে বলে, কয়েক দিনের মধ্যে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে আসবে। কিন্তু ছয় মাস পর সে মোবাইল ফোন নম্বর পরিবর্তন করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে খোঁজ নিয়ে ওই তরুণী রাব্বির অফিসে গিয়ে তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে বাড়িতে নেওয়ার জন্য চাপ দেয়। তখন সে আবারও কৌশলে নানা আশ্বাস দিয়ে বুঝিয়ে রংপুরে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে এক বছর যেতে না যেতেই আবারও সব সম্পর্ক ছিন্ন করে। তখন ওই তরুণীর কাছে সংরক্ষিত ডকুমেন্ট পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থাপন করলে তারা তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে বাড়িতে তোলার জন্য বলে। কিন্তু সে আজকাল করে ওই তরুণীকে বাড়িতে নিচ্ছে না এবং স্ত্রীর মর্যাদাও দিচ্ছে না। অবশেষে সে স্ত্রীর মর্যাদা পেতে পুলিশ সদস্য রাব্বির বাড়িতে এসে অবস্থান নেয়। তুষভাণ্ডার ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য রাকিবুল ইসলাম পলাশ জানান, স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে গত রোববার বিকেলে রংপুরের একটি মেয়ে পুলিশ কনস্টেবল রাব্বির বাড়িতে আসলে বাড়ির লোকজন দরজা বন্ধ করে মেয়েটিকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ সময় মেয়েটি বাড়ির দরজার সামনে অবস্থান নেয়। তিনি আরও জানান, মেয়েটির নিরাপত্তার জন্য আমি পুলিশকে জানিয়ে ওই রাতে গ্রাম্য পুলিশ দিয়ে পাহারা রেখেছি। যাতে মেয়েটির কোনো ক্ষতি না হয়। এ বিষয়ে পুলিশ সদস্য রাব্বি আল মামুন ওরফে ইশতিয়াক বুলবুলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ওই মেয়ের সঙ্গে ঢাকায় আমার যা হয়েছে সেগুলো সমাধান হয়েছে। আমি তার সঙ্গে যা করেছি তার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমাকে শাস্তিও দিয়েছেন। ওই মেয়েকে আমি বাড়িতে উঠতে দেব না বলে তিনি ফোন কেটে দেন। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ কবির বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। কেউ যদি অভিযোগ করেন তাহলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহির ইমাম বলেন, বিষয়টি জেনেছি। কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে বিষয়টি দেখতে বলেছি।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১৩

বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখেই পরীক্ষা দিলো মেয়ে
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বাবার লাশ বাড়িতে রেখে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে হুমায়রা ইয়াসমিন হিমু নামে এক পরীক্ষার্থী। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাবার লাশ বাড়িতে রেখে তেঁতুলিয়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সে। এর আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হিমুর বাবা আব্দুল হাকিম (৪৮) মৃত্যুবরণ করে।  পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্র জানায়, হিমুর বাবা আব্দুল হাকিম রাজনীতিতে তেঁতুলিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য ছিলেন। মঙ্গলবাররাতে আব্দুল হাকিম তেঁতুলিয়া চৌরাস্তা বাজারে ভ্যানশ্রমিক সমিতির একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে বক্তব্য রাখছিলেন। মঞ্চ থেকে বক্তব্য দিয়ে বের হয়ে একটি হোটেলে চা খাওয়ার কিছুক্ষণ পর গল্পের মাঝে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। সহকর্মীদের সহায়তায় তাকে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। এদিকে নিয়তি মেনে নিয়ে বাবার লাশ বাড়িতে রেখে বুধবার সকালে হিমুকে যেতে হয় পরীক্ষা কেন্দ্রে। মৃত আব্দুল হাকিম উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের কালান্দিগঞ্জ পত্নীপাড়ার বাসিন্দা।  পরীক্ষার্থী হুমায়রা ইয়াসমিন হিমু কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। দুই ভাই বোনের মধ্যে সেই ছোট। বড় ভাই জাহিদ হাসান জনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিষয়ে পড়ালেখা করছে। তেঁতুলিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার শওকত আলী জানান, হিমুর বাবার মৃত্যুর বিষয়টি আমরা পরীক্ষা কেন্দ্রে আসার পর জানতে পেরেছি। আমরা চেয়েছিলাম, সে সবার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই পরীক্ষা দিক। কিন্তু তাকে শোকাহত হতে দেখেছি। তবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও দ্রুত পরীক্ষা শেষ করে বাড়ি ফিরে পরীক্ষার্থী হিমু।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৪৯

প্রেমিকের বাড়িতে কিশোরীর মৃত্যু, অতঃপর....
গাজীপুরে প্রেমিকের বাড়িতে এক কিশোরীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, নিহত কিশোরী ভবানীপুর এলাকার আরমান হালদার বাড়ির ভাড়াটিয়া মাসুদ মিয়ার মেয়ে কুলছুম। আর তার প্রেমিকের নাম আসাদ। স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার জুমার নামাজের পর কুলছুম প্রেমিক আসাদের বাড়িতে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় আসাদের পরিবার। আসাদের পরিবারের ভাষ্য, কুলছুম আসাদকে পছন্দ করতো কিন্তু আসাদ পছন্দ করতো না। এদিন আসাদ রাজি না হওয়ায় তার ঘরে ঢুকে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কুলছুমের মায়ের দাবি, আসাদ আমার ১৩ বছরের মেয়ে কুলছুমকে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করতো। শুক্রবার সকালে তারা আমার মেয়েকে বাসায় ডেকে নিয়ে হত্যার পর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এখন তারা মিথ্যা বলছে। এ বিষয়ে জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইবরাহিম খলিল বলেন, আসাদের পরিবারের দাবি মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। আর কুলছুমের পরিবারের দাবি তাকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। আসাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের পর কেউ আসামি হলে তাকে বিচারের আওতায় আনা হবে।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:১৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়