• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ডিবি পরিচয়ে বাড়িতে ঢুকে বৃদ্ধকে হাতুড়িপেটা, হাসপাতালে মৃত্যু

রাজবাড়ী প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০৫ মার্চ ২০২৪, ১৮:০৬
ডিবি পরিচয়ে বাড়িতে ঢুকে বৃদ্ধকে হাতুড়িপেটা, হাসপাতালে মৃত্যু
ছবি : সংগৃহীত

রাজবাড়ীর কালুখালীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বাড়িতে ঢুকে হাতুড়িপেটায় আহত মঙ্গল চন্দ্র বিশ্বাস (৬৫) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

রোববার ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। হাসপাতালে ১৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে আহত মঙ্গল চন্দ্র মারা যান।

সোমবার (৪ মার্চ) বিকেলে ময়নাতদন্তের পর মরদেহ হস্তান্তরের পর উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের লাড়িবাড়ি গ্রামের নিজ বাড়িতে মঙ্গল চন্দ্র বিশ্বাসকে সমাহিত করা হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ীর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা।

তিনি বলেন, মঙ্গল চন্দ্র বিশ্বাসকে মারধরের ঘটনায় তার ছেলে কুমারেশ কুমার গত ২০ ফেব্রুয়ারি কালুখালী থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। তাদের মধ্যে চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা জেলা কারাগারে আছেন। বাকি দুই আসামি জামিনে আছেন। বর্তমানে মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মামলায় ৩০২ ধারা যুক্ত করা হয়েছে। কারাগারে থাকা আসামিদের আমরা রিমাণ্ডে এনে হত্যার প্রকৃত কারণ আমরা জানতে পারবো। জামিনে থাকা ২ আসামি যেন জামিন বাতিল হয় সেজন্য আমরা কার্যক্রম চালাচ্ছি। পরবর্তীতে তাদেরকেও রিমাণ্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

নিহত মঙ্গল চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে সঞ্জয় কুমার বিশ্বাস বলেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে আমাদের মামলা রয়েছে। তারা সন্ত্রাসী ভাড়া করে আমার বাবাকে মেরেছে। দেড় বছর আগেও একবার এরাই আমার বাবাকে প্রকাশ্য দিবালোকে মেরে রক্তাক্ত জখম করে। আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।

সঞ্জয় বলেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত দেড়টার দিকে বাবা নিজের ঘরে টিভি দেখছিলেন। আমি আমার ঘরে শুয়ে মোবাইলে নাটক দেখছিলাম। এ সময় হঠাৎই কয়েকজন লোক আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে, আমি তাদের পায়ের আওয়াজ শুনে উঠে বসি। এরপর তারা বাবার ঘরের দরজায় টোকা দেন। বাইরে থেকে বলা হয়, আপনার সঙ্গে কথা আছে, আমরা রাজবাড়ী থেকে ডিবির লোক এসেছি। আপনারা মাদক ব্যবসা করেন। আমরা আপনাদের ঘর তল্লাশি করবো। তাদের কথা শুনে আমি আমার ঘরের দরজা খুলে বাইরে বের হই। সেসময় দেখি তারা বাড়ির মধ্যে ১০-১২ জন ছিল। আমি দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে দুজন আমার গলায় পিস্তল ঠেকিয়ে ধরে।

সঞ্জয় বলেন, আমার বাবা তাদের ডাকাডাকিতে দরজা না খুললে তারা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে বাবার জামার কলার ধরে টেনে বাইরে নিয়ে আসে। এরপর বাবাকে মাটিতে ফেলে হত্যার উদ্দেশ্যে হাতুড়ি, লোহার রড ও রাইফেলের বাট দিয়ে পেটায়। আমাদের বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে প্রায় ২০ মিনিট তারা আমার বাবাকে ইচ্ছামতো পেটায়। এক পর্যায়ে তারা আমার ছোটভাই কুমারেশের ঘরে ঢুকে স্টিলের সাব বাক্সের ভেতর থেকে ২ লাখ ৯৩ হাজার টাকা লুট করে নেয়। পরে বেশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়ে তারা চলে যায়।

সঞ্জয় আরও বলেন, আমরা বাবাকে উদ্ধার করে প্রথমে কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। বাবার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। রাতেই বাবাকে ফরিদপুর হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রাজবাড়ীতে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
রাজবাড়ীতে মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল যোগাযোগ বন্ধ
রাজবাড়ীতে ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ, চালক নিহত
বাড়িতে মিলল ৪৫ গোখরা সাপের বাচ্চা
X
Fresh