• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে পুলিশের বাড়িতে কলেজছাত্রীর অনশন

স্টাফ রিপোর্টার (লালমনিরহাট), আরটিভি নিউজ

  ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৮
ছবি : সংগৃহীত

স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের তুষভাণ্ডার ইউনিয়নে এক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে পাঁচদিন ধরে এক কলেজছাত্রী অনশন করছেন।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘনেশ্যাম এলাকার পুলিশ সদস্য রাব্বি আল মামুনের বাড়িতে অনশন করছেন তিনি। পুলিশ সদস্য ওই এলাকার আল আমিনের ছেলে। সে ডিএমপির রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে এমটি শাখায় পিওএমএ পদে কর্মরত কনস্টেবল।

মঙ্গলবার বিকেলে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী জানান, ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর ঢাকা মেট্রো পলিটনের পল্টন থানায় কয়েকজন পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতে পুলিশ সদস্য রাব্বির সঙ্গে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক ওই তরুণীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী হিসেবে এক সপ্তাহ তারা পল্টন থানার পাশে একটি আবাসিক হোটেলে রাত্রিযাপন করে। পরে বাসা ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে থাকবে এমন আশ্বাসে সে তার বাবা-মা ও তরুণীর বাবার সঙ্গে কথা বলে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি আসার পর দুই তিন মাস সে মুঠোফোনে কথা বলে সুসম্পর্ক বজায় রাখে এবং স্ত্রী হিসেবে ভরণপোষণ দেয়। এ সময় আবারও আশ্বাস দিয়ে বলে, কয়েক দিনের মধ্যে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে আসবে।

কিন্তু ছয় মাস পর সে মোবাইল ফোন নম্বর পরিবর্তন করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে খোঁজ নিয়ে ওই তরুণী রাব্বির অফিসে গিয়ে তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে বাড়িতে নেওয়ার জন্য চাপ দেয়। তখন সে আবারও কৌশলে নানা আশ্বাস দিয়ে বুঝিয়ে রংপুরে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে এক বছর যেতে না যেতেই আবারও সব সম্পর্ক ছিন্ন করে। তখন ওই তরুণীর কাছে সংরক্ষিত ডকুমেন্ট পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থাপন করলে তারা তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে বাড়িতে তোলার জন্য বলে। কিন্তু সে আজকাল করে ওই তরুণীকে বাড়িতে নিচ্ছে না এবং স্ত্রীর মর্যাদাও দিচ্ছে না। অবশেষে সে স্ত্রীর মর্যাদা পেতে পুলিশ সদস্য রাব্বির বাড়িতে এসে অবস্থান নেয়।

তুষভাণ্ডার ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য রাকিবুল ইসলাম পলাশ জানান, স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে গত রোববার বিকেলে রংপুরের একটি মেয়ে পুলিশ কনস্টেবল রাব্বির বাড়িতে আসলে বাড়ির লোকজন দরজা বন্ধ করে মেয়েটিকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ সময় মেয়েটি বাড়ির দরজার সামনে অবস্থান নেয়।

তিনি আরও জানান, মেয়েটির নিরাপত্তার জন্য আমি পুলিশকে জানিয়ে ওই রাতে গ্রাম্য পুলিশ দিয়ে পাহারা রেখেছি। যাতে মেয়েটির কোনো ক্ষতি না হয়।

এ বিষয়ে পুলিশ সদস্য রাব্বি আল মামুন ওরফে ইশতিয়াক বুলবুলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ওই মেয়ের সঙ্গে ঢাকায় আমার যা হয়েছে সেগুলো সমাধান হয়েছে। আমি তার সঙ্গে যা করেছি তার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমাকে শাস্তিও দিয়েছেন। ওই মেয়েকে আমি বাড়িতে উঠতে দেব না বলে তিনি ফোন কেটে দেন।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ কবির বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। কেউ যদি অভিযোগ করেন তাহলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহির ইমাম বলেন, বিষয়টি জেনেছি। কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে বিষয়টি দেখতে বলেছি।

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
লালমনিরহাটে হিটস্ট্রোকে পত্রিকা বিক্রেতার মৃত্যু 
লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির ৫ নেতা কারাগারে
ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল প্রতিবন্ধী নারীর
লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপি নেতা কারাগারে
X
Fresh