• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
খরচ কমাতে বাড়িতে গাঁজা চাষ, বাগান মালিকসহ গ্রেপ্তার ৪
গাঁজা তো কিনে সেবন করতে হয়। যদি গাছই লাগানো যায়! এতে নিজের চাহিদা যেমন পূরণ হবে তেমনি বিক্রি করে বাড়তি আয় করা যাবে। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে এমন পরিকল্পনা থেকেই বাড়ির আঙিনার পাশে বাঁশের চাটাই দিয়ে চারপাশে বেড়া তৈরি করে গাঁজার চাষ করেন বীরবল (৪০) নামের এক ব্যক্তি। এ খবর জানতে পেরে পুলিশ অভিযান চালায় তার বাড়িতে।  রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টায় উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ওই গাঁজা গাছের মালিকসহ গ্রেপ্তার করা হয় আরও তিনজনকে। গ্রেপ্তারকৃত অন্য তিনজন হলেন ঘোড়াঘাট উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের সত্যজিৎ (৩০), সাতপাড়া গ্রামের শাহ আলম (৩৫) ও গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা সুলতানপুর গ্রামের উপেন দাস (৫৫)।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তাকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান। তিনি জানান, সাধারণ মানুষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়াতে বীরবল নামের ওই ব্যক্তি নিজের বাড়ির আঙিনাতেই সযত্নে রোপণ করেছিলেন গাঁজার গাছ। তিনি নিজেও একজন গাঁজা সেবনকারী। বাইরে থেকে কিনতে গেলে খরচ বেশি হয়। তাই নিজেই বীজ রোপণ করেছিলেন। এ ছাড়াও তিনি নিজের গাছের গাঁজা বিক্রি করে অর্থ উপার্জনের স্বপ্ন দেখছিলেন। বিক্রিও শুরু করেছিলেন। পরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান ও অরুপ কুমার রায়সহ পুলিশের একটি দল তার বাড়িতে অভিযান চালায়। সেসময় ১৩ কেজি ওজনের ১১ ফিট লম্বা গাঁজার গাছ ও ৭০ গ্রাম গাঁজাসহ গাঁজা সেবনের সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।  তিনি আরও জানান, বসতবাড়িতে গাঁজার গাছ চাষাবাদ এবং ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে হেফাজতে রেখে সেবনের অপরাধে চার জনের নাম উল্লেখ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু হয়েছে। আজ রোববার তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৬

যবিপ্রবিতে ৭ গাঁজা গাছের সন্ধান
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শহীদ মসিয়ূর রহমান ছাত্র হলে ৭টি গাঁজা গাছের সন্ধান পাওয়া গেছে।  শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) হলের পেছনের পশ্চিম পাশে এ ৭ গাঁজা গাছ পাওয়া যায়।  এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ১৫টি গাঁজা গাছ উদ্ধার করে আনসার সদস্যের মাধ্যমে পুড়িয়ে দেয় হল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন যবিপ্রবির শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. মো. আশরাফুজ্জামান জাহিদ। তিনি বলেন, আমরা গাছগুলো ধ্বংস করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। গতমাসে গাঁজা গাছ পাওয়ার পরই মালিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল এসব গাছ যেন কোনোভাবেই জন্মাতে না পারে। হল সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।  তিনি বলেন, বারবার কেনো গাঁজা গাছ জন্মাচ্ছে তার সঠিক কারণ জানার চেষ্টা চলছে। আগের গাঁজা গাছ উদ্ধারের পর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলে আমরা জানতে পারবো কেন গাছগুলো জন্মাচ্ছে। এ ছাড়াও শনিবার মিটিং করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৬

কারাবন্দিকে গাঁজা দিতে এসে হাতেনাতে ধরা নারী
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে (কেরানীগঞ্জ) গাঁজা নিয়ে কারাবন্দির সঙ্গে দেখা করতে এসে হাতেনাতে ধরা খেয়েছেন তাসলিমা বেগম নামে এক নারী। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ এই তথ্য নিশ্চিত করেন। ওই নারী নিজেকে মো. আল আমিন লিটন নামে এক বন্দির খালা বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, বন্দি আল আমিন লিটনের খালা পরিচয়ে সাক্ষাৎ করতে কারাগারে আসেন তসলিমা বেগম। সাক্ষাৎকক্ষে প্রবেশকালে গেটে তল্লাশি কাজে নিয়োজিত নারী কারারক্ষীরা তার দেহ তল্লাশি করে আনুমানিক ১১০ (একশত দশ) গ্রাম গাঁজা পায়। পরে নিয়ম অনুযায়ী উপস্থিত সবার সামনে সেই গাঁজা পুড়িয়ে ফেলা হয়। তিনি আরও জানান, সাক্ষাৎকক্ষে ওই নারীর কাছ থেকে গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় কারাগারে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে সাজা দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:২০

গাঁজা সেবনের সময় কথাকাটাকাটি, বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন   
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক বন্ধুর হাতে আরেক অটোরিকশা চালক বন্ধু খুন হয়েছেন। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ ক্লুলেস এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার মো. সোহাগ (২৪) উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ দোয়ালিয়া গ্রামের বদিউর জামানের ছেলে। তিনি পেশায় একজন অটোরিকশা চালক।   রোববার (২৮ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে বেগমগঞ্জ থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন।  এর আগে গত শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মাদধসিংহ গ্রামের গাজী আলাউদ্দিনের ঘরের পেছনে সুপারি বাগান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।   নিহত মামুনুর রশীদ ওরফে মামুন (১৮) উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বাকীপুর গ্রামের দেওয়ান বাড়ির কবির হোসেনের ছেলে। প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ জানায়, ভিকটিম নিখোঁজের পর থেকে আত্মগোপন চলে যায় ঘাতক। পরবর্তীতে জেলার সুবর্ণচর উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এক বছর পূর্বে গ্রেপ্তারকৃত আসামি সোহাগ অটোরিকশা চালানোর সময় ভিকটিম আরেক অটোরিকশা চালক মামুনের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর থেকে তারা একসঙ্গে বিভিন্ন সময় গাঁজা সেবন করতেন। ঘটনার দিন গত ২২ জানুয়ারি এশার নামাজের পর সোহাগ ভিকটিমকে মোবাইলে কল দিয়ে গাঁজা সেবনের বিষয়ে জানায়। কিছুক্ষণ পরে ভিকটিম ফোন করে গাঁজা কেনার কথা জানিয়ে সোহাগকে সিগারেট নিয়ে ঘটনাস্থল মাধবসিংহ গ্রামের গাজী আলাউদ্দিনের বাড়ির পশ্চিমে সুপারি বাগানে আসার জন্য বলে।  প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ আরও জানায়, আসামি ভিকটিমের কথা অনুযায়ী সিগারেট নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃত আসামি ও ভিকটিম দুজনে মিলে দুই স্টিক গাঁজা সেবন করে। গাঁজা সেবনের একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয় এবং উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হাতাহাতির একপর্যায়ে সোহাগ ইট ভাঙার অর্ধেক হাতল দিয়ে মামুনের মাথায় আঘাত করে এবং অণ্ডকোষে লাথি মারে। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আসামি ইটের ভাঙা টুকরোটি ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলে পালিয়ে যায়। পুলিশ পরবর্তীতে আসামির দেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তাকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলের পাশের পুকুর থেকে ভাঙা ইটের টুকরো ও ঘটনাস্থলের পাশের বাগান থেকে ভিকটিমের পরিহিত স্যাণ্ডেল উদ্ধার করে।  আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে পুলিশ।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:১৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়