• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

গাঁজা সেবনের সময় কথাকাটাকাটি, বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন   

নোয়াখালী প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:১৪
গাঁজা সেবনের সময় কথাকাটাকাটি, বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন   
অভিযুক্ত আসামি সোহাগ (বামে) এবং মামুন (ডানে)

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক বন্ধুর হাতে আরেক অটোরিকশা চালক বন্ধু খুন হয়েছেন। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ ক্লুলেস এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তার মো. সোহাগ (২৪) উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ দোয়ালিয়া গ্রামের বদিউর জামানের ছেলে। তিনি পেশায় একজন অটোরিকশা চালক।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে বেগমগঞ্জ থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন।

এর আগে গত শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মাদধসিংহ গ্রামের গাজী আলাউদ্দিনের ঘরের পেছনে সুপারি বাগান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মামুনুর রশীদ ওরফে মামুন (১৮) উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বাকীপুর গ্রামের দেওয়ান বাড়ির কবির হোসেনের ছেলে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ জানায়, ভিকটিম নিখোঁজের পর থেকে আত্মগোপন চলে যায় ঘাতক। পরবর্তীতে জেলার সুবর্ণচর উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এক বছর পূর্বে গ্রেপ্তারকৃত আসামি সোহাগ অটোরিকশা চালানোর সময় ভিকটিম আরেক অটোরিকশা চালক মামুনের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর থেকে তারা একসঙ্গে বিভিন্ন সময় গাঁজা সেবন করতেন। ঘটনার দিন গত ২২ জানুয়ারি এশার নামাজের পর সোহাগ ভিকটিমকে মোবাইলে কল দিয়ে গাঁজা সেবনের বিষয়ে জানায়। কিছুক্ষণ পরে ভিকটিম ফোন করে গাঁজা কেনার কথা জানিয়ে সোহাগকে সিগারেট নিয়ে ঘটনাস্থল মাধবসিংহ গ্রামের গাজী আলাউদ্দিনের বাড়ির পশ্চিমে সুপারি বাগানে আসার জন্য বলে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ আরও জানায়, আসামি ভিকটিমের কথা অনুযায়ী সিগারেট নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃত আসামি ও ভিকটিম দুজনে মিলে দুই স্টিক গাঁজা সেবন করে। গাঁজা সেবনের একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয় এবং উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হাতাহাতির একপর্যায়ে সোহাগ ইট ভাঙার অর্ধেক হাতল দিয়ে মামুনের মাথায় আঘাত করে এবং অণ্ডকোষে লাথি মারে। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আসামি ইটের ভাঙা টুকরোটি ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলে পালিয়ে যায়। পুলিশ পরবর্তীতে আসামির দেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তাকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলের পাশের পুকুর থেকে ভাঙা ইটের টুকরো ও ঘটনাস্থলের পাশের বাগান থেকে ভিকটিমের পরিহিত স্যাণ্ডেল উদ্ধার করে।

আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে পুলিশ।

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সাত খুনের ১০ বছর : বিচার শেষ না হওয়ায় হতাশ স্বজনরা
বাবুলকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় খুন হন মিতু
শাহজাদপুরে এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা : প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
মেলায় জুয়ার আসর বসানোকে কেন্দ্র করে কলেজছাত্র খুন, গ্রেপ্তার ১
X
Fresh