• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প এবার স্টার সিনেপ্লেক্সে!
৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে ২০২২ সালে কাতারে বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসির সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপ, প্রথম ম্যাচে হারের পর ঘুরে দাঁড়ানো এবং দীর্ঘ অপেক্ষা এই বিশ্বকাপ জয়কে করেছে বেশ নাটকীয় । বিশ্বকাপ জিতে সর্বকালের সেরাদের কাতারে নাম লিখিয়েছেন মেসি নিজেও। এই বিশ্বকাপকে অনেকেই ফুটবল বিশ্বকাপের সেরা আসর হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। একের পর এক অঘটন আর শেষমেশ মেসির হাতে বিশ্বকাপ, এমন বিশ্ব আসরকে সেরা বলতে বাধ্য যে কেউ। অবিস্মরণীয় এই বিশ্বকাপ নিয়ে এরইমধ্যে নির্মিত হয়েছে বেশ কিছু প্রামাণ্যচিত্র এবং ডকুফিল্ম। যার মধ্যে আলোচিত একটি স্প্যানিশ ভাষায় নির্মিত ডকুফিল্ম ‘মুচাচোস’।  গত ডিসেম্বরে আর্জেন্টিনায় মুক্তি পাওয়া এই ছবি সেখানকার দর্শকদের দারুণ সাড়া পেয়েছে। আর্জেন্টিনার হলগুলোতে ইতিহাসের সবচাইতে বেশি দর্শক এটি দেখেছে বলে জানা গেছে।  ছবিটি এবার বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য নিয়ে আসছে স্টার সিনেপ্লেক্স । স্প্যানিশ পরিচালক জেসাস ব্র্যাসেরাস নির্মাণ করেছেন ১০০ মিনিট দৈর্ঘ্যর এই ডকুফিল্ম। আগামী শুক্রবার থেকে চলবে ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রামের স্টার সিনেপ্লেক্সের শাখাসমূহে।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৪১

সমুদ্রের রোমাঞ্চকর গল্প বলেন তারা, শোনান গান
নিঃসীম সমুদ্রে ভেসে চলা নাবিকদের জীবন সমুদ্রের মতোই বৈচিত্রময়। বিশাল বিশাল ফণা তোলা সব ঢেউ। মাঝসমুদ্রে থাকা জাহাজের গায়ে মুহুর্মুহু আছড়ে পড়ে একেকটা ঢেউ। মুহূর্তেই বাষ্পের মতো ওপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে সমুদ্রের নোনা পানি। ভয়ংকর গর্জনে সমুদ্র তার খ্যাপাটে ভাবের জানান দেয়। এই গর্জনে গায়ে কাটা দেয়। কখনো আবার সমুদ্র থাকে শান্ত। পাটি বিছানো নীল সমুদ্রের দিগন্তরেখায় হেসে ওঠে রংধনু। সমুদ্রের এমন সব বৈচিত্র্যপূর্ণ রূপ মানুষের সামনে তুলে ধরেন দুই নাবিক আবদুল্লাহিল মারুফ ও মোহাম্মদ রেদওয়ান সরকার। সেইল উইথ মারুফ : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘সেইল উইথ মারুফ’ নামে পরিচিত আব্দুল্লাহিল মারুফ। পেশায় একজন নাবিক। সমুদ্রগামী জাহাজে বসে অবসরে তিনি ভ্লগ করেন। ভ্লগিংয়ের মাধ্যমে এই তরুণ তুলে ধরেন সমুদ্র, সমুদ্রযাত্রা, সমুদ্রচারী জীবনের নানা দিক। দারুণ গানও করেন মারুফ। জাহাজে বসে তার করা গানে মুগ্ধ হন নেটিজেনরা। তার গান, ভ্লগ লাখো দর্শক দেখেন। তারা তাকে প্রশংসায় ভাসান।  মারুফের শৈশব-কৈশোর কেটেছে জন্মস্থান রাজশাহীতে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে তিনি ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রকৌশল বিভাগে। কিন্তু ভিন্ন কিছু করার ইচ্ছে থেকে সেই যাত্রা আর দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। এরপর ভর্তি হন দেশের একটি বেসরকারি মেরিটাইম ইনস্টিটিউটে। সেখান থেকে সামুদ্রিক প্রকৌশলবিদ্যার প্রাথমিক দীক্ষা নিয়ে যোগ দেন জাহাজের শিক্ষানবিশ কর্মী হিসাবে। পরবর্তী সময়ে ইংল্যান্ডের লিভারপুল জন মুর্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জন করেন উচ্চতর প্রফেশনাল ডিগ্রি। বর্তমানে তিনি হংকং ভিত্তিক একটি কোম্পানির তেলবাহী জাহাজের সেকেন্ড অফিসার হিসাবে কর্মরত আছেন। নাবিক হিসেবে এখন পর্যন্ত ২৫টির বেশি দেশে গেছেন মারুফ। সমুদ্রযাত্রা করেছেন প্রায় ৪০টি। ২০২১ সালের আগস্টে চীন থেকে ভেনেজুয়েলা যাওয়ার পথে দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরে বড় ঝড়ের কবলে পড়েছিল মারুফের জাহাজ। কী মনে করে ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সমুদ্রের ভিডিও ধারণ করেন তিনি। নিজের ফেসবুক পেজে ভিডিওটি প্রকাশ করেন। হাজারো মানুষ ভিডিওটি দেখেন। তারা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানান। অনেকে সমুদ্রযাত্রার নানা গল্প জানার আগ্রহ দেখান। এই ঘটনার পরই সমুদ্রযাত্রা নিয়ে ভ্লগ করার ভাবনা মাথায় আসে মারুফের। তিনি বলেন, ‘আমার ভ্লগিংয়ের উদ্দেশ্য হলো, সমুদ্রযাত্রার অজানা দিকগুলো বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে খুব সাধারণভাবে তুলে ধরা।’ ‘সেইল উইথ মারুফ’ নামের ফেসবুক পেজে এখন পর্যন্ত ৪০টির মতো ভিডিও আপলোড করেছেন এই নাবিক। এসব ভিডিওতে সমুদ্র, ঝড়ঝঞ্ঝা, ঢেউ, সমুদ্রযাত্রা, বন্দর, জাহাজের অভ্যন্তরীণ নানা কারিগরি বিষয়, জাহাজ পরিচালনা, নাবিকদের কাজ, খাওয়াদাওয়াসহ হরেক কৌতূহলোদ্দীপক বিবরণ রয়েছে।  মারুফ বলেন, শখের বশেই তার প্রফেশনাল জীবনকে নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করা। সাধারণ মানুষের পক্ষে সামুদ্রিক জাহাজের অভ্যন্তরীণ ক্রিয়াকৌশল সম্পর্কে জানা সম্ভব হয় না। তাই এমন কনটেন্টের আগ্রহ বেশি। অবসরে আরেকটা কাজ করেন মারুফ। তিনি জাহাজে বসে হাতে তুলে নেন ইউকেলেলে। দরদভরা কণ্ঠে তোলেন সুর। গেয়ে ওঠেন, ‘ওরে নীল দরিয়া’, ‘আহারে জীবন’, ‘পথের ক্লান্তি ভুলে স্নেহভরা কোলে তব’, ‘দিন যায়, কথা থাকে’, ‘ওকি একবার আসিয়া সোনার চান্দ মোর যাও দেখিয়া রে’, ‘কি নামে ডেকে বলব তোমাকে’, ‘প্রেমে পড়া বারণ’, ‘যদি হিমালয় হয়ে’ এমন সব গান। হিন্দি গানেও সমান পারদর্শী তিনি। মারুফ অধিকাংশ গান জাহাজের ব্রিজে বসে করেন। সেখান থেকে সহজেই সমুদ্র দেখা যায়। তার গান সমুদ্রের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে। ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি ভীষণ ভালোবাসা মারুফের। তবে গানের প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা তার নেই। শুনে শুনে গান রপ্ত করেছেন তিনি। মারুফ বলেন, পরিবার থেকে বহু দূরে, সমুদ্রচারী জীবনের নানা বাঁকে গানই আমাকে উজ্জীবিত রাখে।  হৃদয় দ্য সেইলর : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মোহাম্মদ রেদওয়ান সরকারের পরিচয় ‘হৃদয় দ্য সেইলর’। সমুদ্রজীবনের নানা বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরি করেন এই নাবিক। হৃদয় কাজ করছেন জাহাজের ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে। জাহাজে আসার আগে স্যোশাল মিডিয়ায় টেক ভিডিও কনটেন্ট বানানোর নেশা ছিলো হৃদয়ের। নীল সমুদ্রের স্নিগ্ধ জলে এসেও সে নেশা আর কাটেনি। এখন ভিডিও বানান জাহাজের নাবিক জীবন নিয়ে। নাবিকরা কীভাবে ঘুমান, ইঞ্জিন রুম-ব্রিজে কী কাজ চলে, জাহাজে কেউ মারা গেলে কী করা হয়, জলদস্যু এলে কী করা হয় —এমন সব চমকপ্রদ ঘটনা তার কনটেন্টের বিষয়বস্তু। যা সাধারণ মানুষের কাছে খুবই আগ্রহের।  ফেসবুক আর টিকটকে হৃদয়ের অনুসারীর সংখ্যা সাত লাখের অধিক। ইউটিউব চ্যানেল যেমন (৭ মার্চ পর্যন্ত) ১৩৮টি ভিডিও তুলেছি। আমার এই চ্যানেলে যুক্ত আছেন ১ লাখ ৭১ হাজার সাবস্ক্রাইবার। আর ভিডিওগুলো দেখা হয়েছে ১ কোটি ৮৮ লাখের বেশিবার। দর্শকরা কমেন্ট বক্সে জানতে চান জাহাজের অভ্যন্তরীণ খুঁটিনাটি নানা বিষয়ে। হৃদয় চেষ্টা করেন সেগুলোকে পরিবর্তী ভিডিওতে যুক্ত করার। মোহাম্মদ রেদওয়ান বলেন, বেশ কয়েক বছর হলো ইউটিউবে আমার আনাগোনা। তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আগ্রহ থাকায় এটা নিয়ে ভিডিও বানাতাম। সেগুলো শেয়ারও করতাম। কিন্তু সেটি ছিল অনিয়মিত। তবে কাজটা করতে আমার আনন্দই লাগে। সেই আনন্দই এবার নতুন মাত্রা পায়। ইউটিউবে আমার চ্যানেল ‘হৃদয় দ্য সেইলর’-এ আপলোড করতে থাকি। এখন ‘হৃদয় দ্য সেইলর’ নামেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে পেজ ও চ্যানেল আছে। একই ভিডিও সব মাধ্যমেই শেয়ার করি। মোহাম্মদ রেদওয়ান সরকারের জন্ম, বেড়ে উঠা কুড়িগ্রামে। কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোন হৃদয়। এরপর উচ্চশিক্ষার ভর্তিযুদ্ধে বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেলেও আগ্রহের জায়গা থেকে ভর্তি হন বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে। এরপর একাডেমিক এবং শিক্ষানবিস পর্ব শেষ করে ২০২২ সালে জাহাজের পেশাদার জগতে ঢুকে পড়েন।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৪০

‘শেষমেশ’, যে গল্প কাঁদিয়েছে দর্শকদের
দেশের নাট্যাঙ্গনে আলোচিত নাম কাজল আরেফিন অমি। ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ধারাবাহিক দিয়ে দর্শকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। শুধু ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নয়, নির্মাণ করেছেন একাধিক একক নাটক, ড্রামা সিরিজ ও ওয়েব সিরিজ। এবার ঈদে তিনি নির্মাণ করেছেন ‘শেষমেশ’ নামের একটি টেলিফিল্ম। এটি মুক্তির পর থেকেই দর্শক মহলে বেশ সাড়া ফেলেছে।  নাটকটি প্রচারের পর বিভিন্ন স্থিরচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নানা গ্রুপে শেয়ার দিয়ে নির্মাতা, অভিনয় শিল্পীদের প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন দর্শকরা। বিশেষ করে মনিরা মিঠু ও পলাশের অভিনয়ে মুগ্ধ দর্শক।  আরটিভির সঙ্গে আলাপ কালে নাটকটি নিয়ে নির্মাতা অমি বলেন, আলহামদুল্লিহাহ, ‘শেষমেশ’ নিয়ে একটু চিন্তিত ছিলাম কারণ আমার অন্যান্য কন্টেন্টের মত ছিলো না। আসলে দর্শক যখন গল্পটির সঙ্গে নিজদের মিল খুঁজে পায় তখন সেই গল্প গুলো মানুষ আপন করে নেয়।  টেলিফিল্মটি মুক্তির পর চার ঘন্টায় এক মিলিয়ন হয়ে যায়। ‘শেষমেশ’  নিয়ে মানুষ যে পরিমাণ পজেটিভ রিভিউ দিচ্ছে তা সত্যই আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। দর্শক যখন এই ধরণের গল্প পছন্দ করে তখন আসলে আমি আরও অনেক ধরণের গল্প বলার সাহস পাই।  এ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জিয়াউল হক পলাশ, পারসা ইভানা, মনিরা মিঠু, চাষি আলম, শিমুল শর্মা, পাভেল, সুমন পাটোয়ারী, ইশরাত জাহিন, তানজিম অনিক, সাদিয়া তানজিন।  
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৮

বিশ্বকাপের দেড় মাস আগে হতাশার গল্প শোনালেন শান্ত
চলতি বছরের জুন-জুলাইয়ে মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বৈশ্বিক এই আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই অংশগ্রহণকারী দেশগুলো নিজেদের পরিকল্পনা সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছে। তবে বিশ্বকাপের আগেই হতাশার গল্প শোনালেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে একটি অনুষ্ঠানে আসন্ন বিশ্বকাপ নিয়ে বেশি প্রত্যাশা না রাখার অনুরোধ করেন তিনি। তিনি বলেন, প্রতি বছর দেখি, বিশ্বকাপের আগে এগুলো নিয়ে অনেক কথা হয়। প্রত্যাশা থাকে এটা করব, সেটা করব।  ‘আমার একটা অনুরোধ থাকবে আপনাদের কাছে। এই প্রত্যাশা খুব একটা করার দরকার নেই। এই প্রত্যাশা সবার মনের মধ্যে থাক। আপনারা জানেন বাংলাদেশ দল কী চায়, আমরা খেলোয়াড়রাও জানি বাংলাদেশকে কতদূর নিয়ে যেতে চায়।’ শান্ত বলেন, যে দলটা খেলবে তারা ১২০ ভাগ দিবে প্রতিটি ম্যাচ জেতার জন্য। এই নিশ্চয়তা দিতে পারি। প্রতিটি ম্যাচ জেতার জন্য খেলবে। প্রতিটি ম্যাচ আমরা যখন খেলি, তখন অনেক আশা নিয়েই খেলি। এবার বেশ প্রত্যাশা করছি, আমার অনুরোধ থাকবে এই বিষয় নিয়ে আমরা যেন মাতামাতি না করি। আইপিএলে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে মোস্তাফিজ। তবে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য পুরো আসরে খেলা হচ্ছে না তার। মোস্তাফিজকে নিয়ে টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘আমি যেটা বলতে চাই, যখন মোস্তাফিজ বাংলাদেশের হয়ে খেলে তখন ওর আগ্রহটা আরও বেশি থাকে। ওটা তো বাইরে একটা লিগ খেলছে। অবশ্যই ওখানে ওর কমিটমেন্ট আছে।  ‘তার কমিটমেন্ট ওখানে সে শো করে (দেখায়)। ও যখন বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলে, প্রত্যেকটা বল যখন ও করে, তখন চিন্তা করে যে দেশের বা দলের কীভাবে উপকার হয়।’
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩১

বৈশাখের ‘মেলায় যাইরে’ গান তৈরির পেছনের গল্প
পহেলা বৈশাখ এলেই চায়ের দোকান থেকে শুরু করে যেকোন আড্ডায় বাজতে শোনা যায়  ‘মেলায় যাইরে মেলায় যাইরে’ গানটি। গানটি ১৯৯০ সালে জনপ্রিয় ব্যান্ড ফিডব্যাকের একটি অ্যালবামের শিরোনাম সংগীত হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছিল। গান তৈরির হিসেবে এবার ৩৪ বছর হতে চলছে। গানের বয়স বাড়লেও এর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি একটুও।  বৈশাখের এই গানের সুর ও কণ্ঠ দিয়েছেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী মাকসুদুল হক। ১৯৯০ সালে গানটি যখন প্রকাশ পায় তখন তিনি যুক্ত ছিলো জনপ্রিয় ব্যান্ড ফিডব্যাকের সঙ্গে। ১৯৯৬ সালে ফিডব্যাক ছেড়ে ‘মাকসুদ ও ঢাকা’ ব্যান্ড গড়ে তোলেন মাকসুদুল হক। কীভাবে গানটি তৈরি হয়েছিল, সেই গল্প শুনিয়েছিলেন গানটির স্রষ্টা মাকসুদ।  মাকসুদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, গানটি লিখি ১৯৮৮ সালে । প্রথমত গানটি আমি একবারে লিখতে পারিনি। আমার সময় লেগেছিল দুই মাস। লেখার পর  সাত-আটবার সংশোধন করেছি। এরপর  সুর করেছি।  স্টেজে আমরা গানটা পারফর্ম করাও শুরু করি। গানটি রেকর্ডিং একদিনে হয়নি। অনেক সময় লেগেছে। আমরা  সেই সময়  ডিজিটালে রেকর্ডিং করেছি। সেজন্যই সময় বেশি লেগেছিল।  ঢাক, ঢোল, মন্দিরার শব্দ লাইভে বাজানো সম্ভব নয়। ব্যান্ডের সদস্যদের সঙ্গে আমাদের কথা কাটাকাটি কত কিছু যে হয়েছে। রেকর্ডিং স্টুডিওতে গিয়েও বেগ পেতে হয়েছে অনেক। পুরো গান তৈরি হতে  প্রায় এক থেকে দেড় বছর সময় লেগেছিল।  গানের জন্মকথা প্রসঙ্গে মাকসুদ দেশের এক পত্রিকায় তার লেখায়  উল্লেখ করেছিলেন, কত সময় ব্যয় করে এর কথা লিখেছি, তার সঠিক হিসাব-নিকাশ হয়তো এখন দেওয়া সম্ভব নয়। এটুকু মনে আছে, গানে সেই চিত্র তুলে ধরতে চেয়েছি, যা প্রতি বৈশাখে আমাদের চোখে পড়ে। অনেক শব্দের কাটিকুটি শেষে বেরিয়ে এসেছিল কিছু ছন্দোবদ্ধ কথা। লেখা শেষে নিজেই তাতে সুর বসিয়েছি। এরপর ফিডব্যাকে সদস্যদের সঙ্গে বসেছি কম্পোজিশন নিয়ে। বাদ্য বাদনেও অনেকটা সময় ব্যয় করতে হয়েছে। এরপর কণ্ঠে তুলি নিয়েছি গান। গেয়েছি মনপ্রাণ উজাড় করে, লেগেছে বাঙালির ঘরে ঘরে এ কি মাতন দোলা, লেগেছে সুরেরই তালে তালে হৃদয়ে মাতন দোলা; বছর ঘুরে এলো আরেক প্রভাতে, ফিরে এলো সুরেরই মঞ্জরি; পলাশ শিমুলগাছে লেগেছে আগুন, এ বুঝি বৈশাখ এলেই শুনি, মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে...। স্টুডিওতে গিয়ে রেকর্ড করা পর্যন্ত একটি গানের পেছনে কত সময় ব্যয় করতে হয়, তার লেখাজোখা থাকে না। কারণ, সংগীত কোনো কাজ নয়, একধরনের সাধনা। যারা গান করেন, তারা ভালো করেই জানেন, প্রতিটি সৃষ্টির পেছনে কতটা শ্রম-ঘাম ঝরাতে হয়। যা হোক, “মেলা” গানটি রেকর্ড করার পর আমি, ফোয়াদ নাসের বাবু, পিয়ারু খান, লাবু রহমান, সেকেন্দার আহমেদ খোকা—প্রত্যেকেই অন্য রকম এক সৃষ্টির স্বাদ পেয়েছিলাম। ১৯৮৮ সালে  চট্টগাম মেডিকেল কলেজ হলে ফিডক্যাকের প্রথম কনসার্টে ‘মেলায় যাইরে মেলায় যাইরে’ গানটি প্রথম গাওয়ার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে মাকসুদ বলেন,   সেই কনসার্টে আমরা প্রথম এই গান গাই। একেবারে নতুন গান। কিন্তু এটা শোনার পর  ডাক্তার ও ছাত্র সবাই একসঙ্গে নেচেছে।  সবার অনুরোধে সেদিন এই গান আমাদের দুবার গাইতে হয়েছিল।   নব্বই দশকে যখন গানটি তুমুল জনপ্রিয় তখনকার একটি ঘটনা উল্লেখ করে এই জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী বলেন, ১৯৯২ সালে  তো ল্যান্ডফোন ছিল । এক ভদ্রমহিলা বাসার ল্যান্ডফোনের নাম্বারে বারবার ফোন করেছিলেন আমার সঙ্গে কথা বলার জন্য। যখন ফোন করতেন আমাকে তিনি বাসায় পেতেন না। আমার স্ত্রী এটা বলার পর একদিন আমি সেই ভদ্রমহিলার সঙ্গে ফোনে কথা বললাম।  তিনি আমাকে বলেছিলেন, আপনার  কাছে এই গান  কি  আমি জানি না।  তবে  আমার কাছে  এই গান  অনেক কিছু। আমার কোলে তিন মাস বয়সী শিশু এখন।  তাকে কিছুতেই দুধ খাওয়ানো যেত না। অনেক কষ্ট হতো।  একদিন আপনার গানটা ঘরে বাজছিল তখন আমার বাচ্চা হঠাৎ করেই দুধ  খাওয়া  শুরু করল। এখন এই গান না শুনলে আমার বাচ্চা দুধ খায় না। এই কথা শোনার পর  আমার চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি চলে এসেছিল। এখন মনে হয়, এটুকু ভালো কাজের জন্য ঈশ্বর আমাকে দিয়ে গানটা করিয়েছিলেন। সবার এসব ভালোবাসার  আমার কাছে  গুরুত্বপূর্ণ, ওটা  খুব গুরুত্বপূর্ণ নয় যে ‘মেলায় যাইরে’  কত হাজার লোক তালি দিল, নাচল।  
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ২১:২১

প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে পিএসজিকে হারাল বার্সা
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে পিএসজির মাঠে রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। শুরুর দিকে কোণঠাসা থাকলেও কাতালনাদের জাগিয়ে তুলেন ব্রাজিলিয়ান রাফিনিয়া। তার জোড়া গোলেই মূলত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। বুধবার (১১ এপ্রিল) পার্ক দেস প্রিন্সেসে প্রথম লেগে ৩-২ গোলে জয় তুলে নিয়েছে কাতালানরা।  ম্যাচের শুরুটা ছন্দহীনভাবে করলেও ধীরে ধীরে দাপট দেখাতে থাকে বার্সা। অন্যদিকে বার্সার রক্ষণে শুরু থেকেই আক্রমণ চালায় লুইস এনরিকের শিষ্যরা। তবে কাতালানদের গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগানের নৈপুণ্যে ফরাসি জায়ান্টদের বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্ট হয়। তবে চাপ কাটিয়ে দ্রুতই চেনা ছন্দে ফেরে জাভির দল। ম্যাচের ৩৭তম মিনিটে রাফিনহার গোলে লিড নেয় বার্সা। লামিনে ইয়ামালের দুর্দান্ত শট ফিরিয়ে দিলেও দলকে বিপদমুক্ত করতে পারেননি পিএসজি গোলরক্ষক দোনারুম্মা। সুযোগে বল পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা। প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়া পিএসজি দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতায় ফেরে। বিরতি থেকে ফিরে পিএসজিকে সমতায় ফেরান উসমান ডেম্বেলে।  এরপর লিড নিতেও সময় নেয়নি ফরাসি জায়ান্টরা। ফাবিয়ান রুইজের বাড়িয়ে দেওয়া বলে ম্যাচের ৫১তম মিনিটে ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের এগিয়ে নেন ভিতিনহা।  তবে ম্যাচের ৬২ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল আদায় করে বার্সেলোনাকে সমতায় ফেরান রাফিনহা। কাতালানদের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেন। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে তার গোলে জয় নিশ্চিত করে জাভির দল। উল্লেখ্য, আগামী মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বার্সার ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৫

যেখানে সম্মান নেই, সেখানে যেতে নেই : পরীমণি
ঢালিউডের আলোচিত নায়িকা পরীমণি। স্বামী শরিফুল রাজের সঙ্গে ডিভোর্সের পর বর্তমানে ছেলে রাজ্যকে নিয়ে একাই থাকছেন এই নায়িকা। ছেলের সব দায়িত্বও তিনি পালন করছেন। কাজের ফাঁকে পুরো সময়টা ছেলেকেই দেন। পাশাপাশি কাজেও নিয়মিত হয়েছেন এই নায়িকা।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সক্রিয় থাকেন পরীমণি। প্রায় সময়ই নিজের ছবি, ভিডিও কিংবা অনুভূতি ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভোলেন না তিনি। জীবনে প্রিয় মানুষের কাছ থেকে শুধু অবহেলা পেয়েছেন পরীমণি। তবে কারও অবহেলায় এখন আর কিছু যায় আসে না তার। শুধু তাই নয়, যেখানে সম্মান নেই, সেখানে যেতে নেই বলে মনে করেন পরীমণি। শনিবার (২ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমনটাই লিখেছেন এই নায়িকা।   এদিন বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি ছবি শেয়ার করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন পরীমণি। ক্যাপশনে নায়িকা লিখেছেন—  যেখানে সম্মান নেই, সেখানে যেতে যেতে নেই। এটাই আসল কথা। তাদের বোধোদয় হোক। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন একটি লাভ ইমোজি।  এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ফেসবুকে আরেকটি পোস্টে পরীমণি লিখেছিলেন— ‘যখন মানুষের খুব প্রিয় কেউ তাকে অপছন্দ, অবহেলা কিংবা ঘৃণা করে তখন প্রথম প্রথম মানুষ খুব কষ্ট পায় এবং চায় যে সব ঠিক হয়ে যাক। কিছুদিন পর সে সেই প্রিয় ব্যক্তিকে ছাড়া থাকতে শিখে যায়। আর অনেক দিন পরে সে আগের চেয়েও বেশি খুশি থাকে যখন সে বুঝতে পারে যে কারও ভালোবাসায় জীবনে অনেক কিছুই আসে যায়, কিন্তু কারও অবহেলায় সত্যিই কিছু যায় আসে না।’  গেল বছর ‘ডোডোর গল্প’ সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন পরীমণি। এরপর যুক্ত হয়েছেন ‘খেলা হবে’ নামের নতুন একটি সিনেমায়। এ ছাড়া তার হাতে রয়েছে অনম বিশ্বাসের ওয়েব সিরিজ ‘রঙিলা কিতাব’। সম্প্রতি নায়ক ফেরদৌস আহমেদের সঙ্গে একটি বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন পরীমণি। এ ছাড়া ভালোবাসা দিবসে মুক্তি পেয়েছে পরীমণি অভিনীত ওয়েব ফিল্ম ‘বুকিং’। এটি নির্মাণ করেছেন মিজানুর রহমান আরিয়ান। এতে পরীর বিপরীতে অভিনয় করেছেন এ বি এম সুমন।  
০২ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫২

ক্যাম্পাসে নির্যাতিতদের গল্প তুলে ধরবে ‘সোচ্চার’
গত এক দশক কিংবা তারও আগ থেকে দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের গল্প তুলে ধরা এবং নির্যাতনের ঘটনা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ‘সোচ্চার-টর্চার ওয়াচডগ বাংলাদেশ’। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় অনলাইন প্লাটফর্ম জুমে এক অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে এই মানবাধিকার সংগঠনটি যাত্রা শুরু করে। সোচ্চারের নির্বাহী পরিচালক ড. মাহফুজুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন সংগঠনটির আরেক নির্বাহী পরিচালক রাহনুমা সিদ্দিকি। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ও মানবাধিকার কর্মী নুর খান লিটন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনজীবী, জাস্টিস অ্যাব্রোড ইউকের ডিরেক্টর ব্যারিস্টার মাইকেল পোলাক। বক্তব্য রাখেন বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্যাতিত শিক্ষার্থী মুকুল আহমেদসহ ক্যাম্পাসে নির্যাতিত কিছু ভিক্টিম। অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, আমি বুয়েটে আবরার ফাহাদের মৃত্যুসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থী নির্যাতনের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছি। এটা আমাকে এত বেশি বিমূঢ় করেছে। সোচ্চারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, ‘সারা পৃথিবীতে কোন রাষ্ট্রে এমন বর্বর ঘটনা ঘটে না। সারা পৃথিবীতে যত ছাত্র সংগঠন আছে তারা এভাবে অপারেট করে না।’ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যারা পড়ে তারা দেশকে গড়ে তুলবে। এই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এদেশের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় থাকার স্বার্থে, যাতে কেউ প্রতিবাদ করতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতে ব্যবহার করে। তারা হলে আসন সঙ্কটের সুযোগ নিয়ে কাজগুলো করে থাকে।  তিনি বলেন, এই দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয় কিন্তু এই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বেশি আসন সমৃদ্ধ হল নির্মাণ করার ক্ষমতা সরকারের নেই। এসব খাতে সরকার টাকা ব্যয় করে না। তারা এটা করতে চায় না। আবাসিক সংকট থাকার কারণে যারা একটু অসচ্ছল পরিবার থেকে পড়তে আসে তারা বাধ্য হয়ে তাদের দাসত্ব গ্রহণ করে। এমন একটি সংস্থার মাধ্যমে যদি সাধারণ শিক্ষার্থীরা পরিত্রাণ পায় তবে সবাই এটাকে সাধুবাদ জানাবে।  অনুষ্ঠানে সংগঠনটির রিসার্চ এন্ড ইভালুয়েশন ডিরেক্টর শিব্বির আহমেদ বলেন, ক্যাম্পাসে নির্যাতিতদের না বলা গল্পগুলো নীরবতা ভেঙে আমরা সামনে নিয়ে আসতে চাই এবং তাদের গল্পগুলো আমরা শেয়ার করতে চাই। গত এক দশক ধরে কিংবা তারও আগে যারা নির্যাতিত হয়েছে তাদের গল্পগুলো আমরা সোচ্চারে প্রকাশ করব। তিনি বলেন, একইসঙ্গে আমাদের সংগঠনের মাধ্যমে ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করব। আমরা বিশ্বাস করি, একদিন না একদিন এসব ঘটনার বিচার পাবে নির্যাতিতরা। শিব্বির আহমেদ আরও বলেন, যদিও সংগঠনটির কাজের পরিধি আরও বড়। তবে প্রাথমিকভাবে ক্যাম্পাস টর্চারের ভিকটিমদের পাশে দাঁড়ানো, টর্চার বন্ধে অ্যাডভোকেসি করা এবং ছাত্রছাত্রীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই সংগঠনটির পথ চলার সূচনা হচ্ছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:৩৮

বাংলাদেশের উন্নয়নের গল্প অনেক দেশের জন্য অনুপ্রেরণা : বিশ্বব্যাংকের এমডি
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের গল্প অনেক দেশের জন্য অনুপ্রেরণামূলক বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) আন্না বেজার্ড। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে প্রথম সফর শেষে এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। আন্না বেজার্ড বলেন, মুদ্রা ও রাজস্ব নীতিতে দ্রুত এবং সাহসী সংস্কার বাংলাদেশকে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে, আর্থিক খাতের ঝুঁকি হ্রাস করতে এবং বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সক্ষম করবে। এ ছাড়া বিবৃতিতে বাংলাদেশকে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্য অর্জনে দৃঢ় সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন বিশ্বব্যাংকের এমডি আন্না বেজার্ড।  তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্ব নিয়ে আমি গর্বিত। দেশটি লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে সহায়তা করেছে। আমরা বাংলাদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, একটি শক্তিশালী বেসরকারি খাত গড়ে তুলতে, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এবং জলবায়ুর অভিঘাত ও ভবিষ্যতের সংকট মোকাবিলার সক্ষমতা তৈরিতে সহায়তা অব্যাহত রাখব। একই সঙ্গে কেউ যেন পিছিয়ে পড়ে না থাকে, সেটি নিশ্চিত করব। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন বিশ্বব্যাংকের এমডি। মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত তাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন মেটাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিও দেন।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫১

উজবেকিস্তানে ভাষা আন্দোলনের গল্প শোনালেন রাষ্ট্রদূত
উজবেকিস্তানে মহান ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্যের গল্প শোনালেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে উজবেকিস্তান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে এক অনুষ্ঠানে বাংলা ভাষার অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও অবদানের কথাও জানান তিনি। দূতাবাস থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল মহান ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্যের ওপর আলোচনা করেন। উজবেকিস্তানে নিযুক্ত ভারত, তুরস্ক ও মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূতসহ কূটনীতিক, অধ্যাপক, গবেষক, সাংবাদিক ও শিক্ষার্থী মিলিয়ে তিন শতাধিক দর্শক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন উজবেকিস্তান স্টেট ইউনিভার্সিটি অব ওয়ার্ল্ড ল্যাঙ্গুয়েজের ভারপ্রাপ্ত রেক্টর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ চুতপুলেটভ ও উজবেকিস্তানে নিযুক্ত ইউনেস্কো প্রতিনিধি মিস সারা নাশাদ। এ সময় উজবেকিস্তানের স্বনামধন্য শিল্পীরা ও উজবেকিস্তান স্টেট ইউনিভার্সিটি অব ওয়ার্ল্ড ল্যাঙ্গুয়েজের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ, ভারত, চীন, তুরস্ক, রাশিয়া, উজবেকিস্তান ও ফ্রান্সের ঐতিহ্যবাহী, জনপ্রিয় সঙ্গীত ও নৃত্য মঞ্চস্থ করেন।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:০১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়