• ঢাকা শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
হিলিতে চালের দাম বেশি, বিপাকে সাধারণ ক্রেতা
দিনাজপুরের হিলিতে সব ধরনের চালের দাম কেজি প্রতি ৩ থেকে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। মিলাররা ধান গুদামজাত করে রাখার কারণে বেড়েছে চালের দাম বলছেন খুচরা চাল ব্যবসায়ীরা। এদিকে চালের দাম বৃদ্ধি হওয়ার কারণে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে হিলি চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে অটো মিলের স্বর্ণা চাল ৪৯ থেকে ৫০ টাকা,  লোকাল স্বর্ণা ৪৭ থেকে ৪৮ টাকা, আটাশ জাতের চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, কাটারী জাতের চাল ৬০ থেকে ৬২ টাকা এবং জিরা জাতের চাল ৬২ থেকে ৬৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হিলি বাজারে চাল কিনতে আসা আশরাফুল ও আবেদ আলী বলেন, দেশের বাজারে সব নিত্যপণ্যেরই দাম প্রায় বেশি। আলু, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন মসলার দাম অনেক চড়া। আমরা গরিব মানুষ ১ হাজার টাকা নিয়ে বাজারে আসলে ব্যাগের কোনায় ভরে না। এর মধ্যে আবার চালের দাম বেশি। বিরামপুরের কাটলা বাজারের থেকে কেজি প্রতি ৫ টাকা বেশি যাচ্ছে স্বর্ণাচলের দাম। যার জন্য অল্প করে চাল কিনলাম। আমরা চাই সরকার নিত্যপণ্যসহ চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখুক। তাহলে গরিব মানুষ খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারবে।  হিলি বাজারের চাল ব্যবসায়ীরা বলেন, চাল বিক্রি করে মোকামে চাল কিনতে গেলেই চালের দাম বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। আগে যে চাল ৪৮ টাকা কেজিতে কিনেছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা সেই চাল এখন ৫২ টাকা দরে কিনে ৫৪ টাকায় বিক্রি করছেন তারা। কারণ, মিলাররা ধান মজুত করে রেখে চালের দাম বৃদ্ধি করে দিয়েছে। সেই সাথে স্বর্ণা চাল, পাইজাম চাল বলে বিক্রি করছেন মিলাররা। কারণ পাইজাম চাল বলে কোন চাল বাজারে নেই। সেই সাথে আঠাশ চাল এখন বাজারে নেই, তবু মিলাররা বস্তার গায়ে এই সব চালের নাম লিখে ক্রেতাদের ধোকা দিচ্ছেন মিলাররা। জহুরা, সাদিয়া পাইজাম বলে কোন চাল নেই বলেও অভিযোগ করেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।    
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৩

মেহেরপুরে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম বৃদ্ধি, ক্রেতা নেই সবজির 
মেহেরপুরে পেঁয়াজ, রসুন, আদা এবং আলুর দর বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। তবে দাম কমেছে সব ধরনের সবজির। ঈদের সময় সবজির দাম আরও কমার কথা জানালেন ব্যবসায়ীরা।  মেহেরপুর তহ বাজার ও গাংনী কাঁচাবাজার জেলার সবচেয়ে বড় পাইকারি সবজি বাজার। এ দুটি পাইকারি বাজারে রোববার (৭ এপ্রিল) প্রতি কেজি পেঁয়াজ পাইকারিতে ১০ টাকা বেড়ে ৫৪ টাকা, রসুনে ২০ টাকা বেড়ে ১৬৩ টাকা এবং আদা ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা পর্যন্ত। পাইকারি তে দর বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে খুচরা বাজারে দর। বাজারগুলোতে খুচরা পর্যায়ে এসব পণ্য কেজিতে আরও ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেশিতে বিক্রি হচ্ছে।  গাংনী কাঁচা বাজারের আড়তদার সাহাদুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় পেঁয়াজের দাম কমেছে। তবে স্থানীয় পেঁয়াজ সংরক্ষণ শুরু হওয়ায় দর বেড়েছে। বিশেষ করে ফরিদপুর ও পাবনা অঞ্চলে মৌসুম ভিত্তিক পেঁয়াজ সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। অন্যদিকে ঈদের সময়ে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এ কারণেও দর বৃদ্ধি হতে পারে।  এদিকে সব ধরনের সবজির দর কমেছে। গত এক সপ্তাহের মতই আজও লাউ, কুমড়ো, পটল, ঢেঁড়স, বেগুন ও পুঁইশাকের দাম রয়েছে ১০ টাকার নিচে। ঈদে মাংসের চাহিদা বেশি থাকায় আগামী এক সপ্তাহ সবজির দর আরও কমবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। রোজায় এবার সবচেয়ে আলোচিত ছিল শসার দাম। মাঝ রোজার সময়টাতেও শসার বাজারে ব্যাপক অস্থিরতা ছিল। ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছিল। সেই শসার কেজি এখন মাত্র ১১ টাকা। খুচরা পর্যায়ে গিয়ে ২০ থেকে ১৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি  বাজারে সবজি কিনতে আসা কয়েকজন সবজি ব্যবসায়ী জানান, গত সপ্তাহে এক কেজি পটলের দর ছিল ৬০ টাকা। এখন তা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২৫ টাকায়। এছাড়া ঢেঁড়সের দাম অর্ধেকে নেমে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি। অন্যদিকে আগের মতই কম দামে পাওয়া যাচ্ছে লাউ, পুঁইশাক ও বেগুন। ব্যবসায়ীরা জানান, রমজান মাস এবং ঈদের কয়েকদিন পর পর্যন্ত সবজির চাহিদা স্বাভাবিকভাবেই কম থাকে। তবে এবার এ সময়টাতে স্থানীয় সবজির ব্যাপক জোগান থাকায় অনেকটাই পানির দরে বিক্রি হচ্ছে এসব সবজি। ঈদের পরে ভোক্তা পর্যায়ে সবজির চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে উৎপাদন কমে আসবে। এতে আবারও সবজির দর আকাশচুম্বী হওয়ার আশংকা রয়েছে।  
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৭

হিলিতে ক্রেতা সংকট, কমেছে পেঁয়াজের দাম
তিন দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা কমে বর্তমানে প্রকারভেদে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে। যা গত তিনদিন আগে বিক্রি হয়েছিলো ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়।  ক্রেতা সংকটের কারণে বিক্রি না হওয়াতেই কমেছে দাম, বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।  রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে হিলির কাঁচা বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।  হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আশরাফুল ইসলাম, মিনারুল আলম বলেন, পেঁয়াজের দাম এই বৃদ্ধি এই কম। কাঁচাবাজার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হলেও নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হলে কিছুটা দাম নিয়ন্ত্রণে থাকতো। হিলিতে কোনো প্রকার বাজার মনিটরিং করা হয় না। আগে ৫ কেজি করে পেঁয়াজ কিনতাম এখন কমিয়ে দিয়েছি। ১ থেকে ২ কেজি পরিমাণ পেঁয়াজ এখন ক্রয় করি।  হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল মাহমুদ বলেন, বৈরী আবহাওয়া সেই সঙ্গে বাজারে ক্রেতা সংকটের কারণে কমেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। আমাদের কিছুটা লোকসান হলেও কাঁচামাল বেশি দিন রাখা যাবে না, সেই জন্য লোকসান করেই পেঁয়াজ বিক্রি করছি। 
২৫ মার্চ ২০২৪, ০২:৩৯

দুনিয়ার ক্রেতা এক হও 
এবছরও রোজার আগের আলোচিত পণ্য তরমুজ। একইভাবে গণমাধ্যমে দেখছি ঢাকার ৮০০ টাকার তরমুজে আসলে কৃষক কত পাচ্ছেন। গতবারের মত এবারও আমরা অবাক হচ্ছি ক্রেতা আর উৎপাদকের বঞ্চনার চিত্র দেখে। আমার অবশ্য অবাক হওয়ার সুযোগ কম ৷ কারণ পেশার সুবাদে আমাকে মানুষের নানা বঞ্চনার সঙ্গে সব সময় থাকতে হয়। তবু হচ্ছি। কারণ গোটা বিষয়টি আর তরমুজে আটেকে নেই। বলতে পারি আমাদের বাজার পরিস্থিতি এখানে এসে আটকে গেছে। এখন এটাই নিয়ম। তাই বিষয়টি যেন কেউ নিয়ম না বলে, অন্তত অনিয়ম বলে। যে কারণে আসলে অবাক হতে হয়।   সম্প্রতি গণমাধ্যমে তরমুজ নিয়ে নানা খবরা খবরা আসছে। তরমুজের আড়তে ভোক্তার অভিযান । কর্মকর্তারা দাড়িয়ে থেকে ন্যায্যমূল্যে তরমুজ বিক্রি করাচ্ছেন। কোথাও ন্যায্যমূল্য তরমুজ বিক্রির নির্দেশ দেয়ার পর বিক্রেতা বিক্রি বন্ধ করে দিচ্ছেন। কোথা্ও ভোক্তার লোকজন চলে যা্ওয়ার পরপরই আবার আগের দামে বিক্রি করছেন। সব মিলিয়ে তরমুজ নিয়ে টানা হেচড়া চলছেই।  তরমুজ ঘিরে একটি তাদের ব্যবসায়ী গ্রুপ তাদের অসততা সবার সামনে নিয়ে আসছে। হাজার চেষ্টা করেও তাদের প্রতিরোধ করা যাচ্ছে। আসলে আমাদের এই মুহূর্তের বাজারে তরমুজ কোন একক পণ্য নয়। আমরা বলতে পারি আমাদের যেকোন পণ্যের প্রতীক। এভাবেই অসৎ ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্য হচ্ছে। আর সাধারণ মানুষ দিনের পর দিন অবাক হয়েই যাচ্ছে।  আবারও ফিরি তরমুজের কাছে, আমি নিজেও তরমুজের খবর নিয়েছি। একজন কৃষক একশ’ তরমুজ বিক্রি করেন, সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারেন। আবার সর্বনিন্ম ৫ হাজার টাকা শ'তেও বিক্রি করেন। সেই তরমুজ ঘাটে ঘাটে চাঁদা দিয়ে ডাকাতের হামলা এড়িয়ে আসে ঢাকায়। আড়তে সব সাইজের তরমুজ বেচার পর গড়ে প্রতিটি ফলের বিক্রি দাম দাঁড়ায় এক থেকে দেড়শ টাকায়।  আড়তদারের কাছ থেকে ব্যবসায়ীও গড়ে ১ থেকে ১৫০ টাকায় বড় তরমুজ কেনেন। শ’ হিসাবে কিনে তিনি এবার বিক্রি করছেন ৮০ থেকে থেকে ৯০ টাকা কেজিতে। এতে দেখা চোখেই প্রতিটি তরমুজে, খুচরা ব্যবসায়ী এক থেকে চার'শ টাকা লাভ করেন। অর্থনীতিবিদ কিম্বা বাজার বিশ্লেষকরা এটাকে হয়তো সুন্দর করে বলবেন মুনাফা। কিন্তু আম জনতার কাতার থেকে বলা হবে প্রকাশ্যে চুরি। দিন শেষে এই চুরিটাই সত্যি অনেক ভাবলাম আসলেই তো তাই। যেখানে যাই সেখানে প্রশ্ন ওঠে। এই পণ্যের কী এই দর হওয়া উচিত ছিল? যে সার্ভিস নিতে যাই, প্রশ্ন ওঠে এত দাম কেন? এমন কি রিকশা ভাড়াও বদলে যায় প্রতি মাসে। শুধু আয় বাড়তে চায় না নিয়মিত চাকরিজীবীর। সুতরাং প্রত্যেককে বাড়তি আয়ের চিন্তা করতে হয়। তাই এদের কেউ অতিরিক্ত সময় কাজ করতে চান। আবার কেউ তরমুজ ওয়ালার মত কৌশলী হন। কেউ কেউ নামতে নামতে চুরিতে নেমে পড়েন। যদি ঘুরিয়ে বলি, তাহলে বলতে হবে, প্রত্যেকে নিজে ঠকছেন, পাশাপাশি অন্যকেও ঠকাচ্ছেন। আমি মনে করি এর মূল কারণ বাজার ব্যবস্থা। ব্যবস্থা না বলে অব্যবস্থা বলাই ভাল। পাঠক আপনি চাইলে আরেক ধাপ এগিয়ে বলতে পারেন, আমার দেশে আজ অস্থিরতা নামে যে লতার বাড় বাড়ন্ত, তার বীজ বপন করা হয়েছে বাজারে। যত বিরোধ, ক্ষমতা দখল, আধিপত্য বিস্তার যাই বলেন, এর উৎস কিন্ত বাজার। মূলত এটা ক্রয় ক্ষমতা বাড়ানোর অস্থির প্রতিযোগিতা। বাজার বলতে আমি আক্ষরিক অর্থেই বাজার বুঝিয়েছি। এখানে পেঁয়াজও যেমন পণ্য, রড সিমেন্টের সেতুও পণ্য। আমি টিকেট জালিয়াতি বলতে যা বুঝি, তরমুজ ওয়ালার কেজিতে তরমুজ বিক্রিকেও তাই বুঝি। বাস বা লঞ্চের টিকেটে ঈদের বাড়তি দাম নেয়া, কারণ ছাড়াই পেঁয়াজ বা তেলের দাম বাড়াও আমার কাছে এক সূতোয় গাঁথা। স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে যে যুদ্ধ এবং দুর্নীতি তাও আমার মনে হয় এই অস্থির বাজারের অংশ।    ধীরে ধীরে আমাদের বেশি চাওয়া চাওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। আর এদের চাওয়ার ধরণ হচ্ছে "কত কম পরিশ্রম করে কত বেশি পাওয়া যায়"। কৌশলে ধার না ধেরে গায়ের জোরেই সব কিছু নিজের দখলে নিতে চায়। যেকারণে আমরা বলতেই পারি যে এখন পুঁজিবাদী গায়ের জোরের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে চৌর্যবৃত্তি। তার চেয়ে বড় কথা সবার বাজার একই। চোর চুরির টাকা নিয়ে যে বাজারে ঢুকছে সাধারণ মানুষও সেই বাজারে যাচ্ছেন। তাই কেনার প্রতিযোগিতায় পড়ে অনেকেই চৌর্যবৃত্তিতে উৎসাহিত হচ্ছেন।   আবারো মাথায় ভিড় করে হাজারো প্রশ্ন, কী হবে আমাদের? কী হবে এই অস্থিরতার সমাধান? আমাদের বাজার থেকে যেভাবে মানুষ শোষণ শুরু হয়েছে তাতে কীভাবে মানুষ বাঁচানো যাবে? যারা এই প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবে না বা প্রতিযোগিতা করবে না তারা কী দেশ ছাড়বে? নিশ্চয়ই এসব প্রশ্নের ইতিবাচক সমাধান চাই আমরা। তাহলে এই অবস্থায় বাজারে কঠোর নিয়ন্ত্রণ ছাড়া কোন পথ দেখি না। নিয়ন্ত্রণ বলতে আমি বুঝি চৌর্যবৃত্তি একেবারে বন্ধ। বন্ধ শব্দটির সঙ্গে জোর করার সম্পর্ক আছে। অর্থাৎ জোর খাটিয়ে মানুষের পকেট কাটা বন্ধ করতে হবে। তাহলে যারা কাজটি করবে তাদের হাতে থাকতে হবে, পকেটকাটা দের চেয়ে বেশি জোর। এত জোর আসলে রাষ্ট্র ছাড়া কেউ দিতে পারে না। অর্থাৎ যারা বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে, তাদের হাতে শক্তি থাকতে হবে। শুধু শক্তি নয়, থাকতে হবে তথ্য এবং গবেষণা। যে কারণে তাদের থাকতে হবে বাজারের সঙ্গেই। কারণ তাদের ভেতর থেকে জানতে হবে প্রকৃত উৎপাদন খরচ, পরিবহন খরচ এবং বাজারজাত খরচ। সুতরাং বোঝাই যায়, কাজটি সহজ নয়। চাইলেই একটা একটা নিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থা আকাশ থেকে পড়বে না। কিন্তু এবছর বাজাররের কিছু শুভ উদ্যোগ দেখে আমি কিছু আশার আলো দেখতে পাই। যেমন আমরা দেখলাম কিছু ব্যবসায়ী কম লাভে পণ্য বিক্রি করে প্রচুর বেচাকেনা করছেন। বলা যায় এই উদ্যোগগুলো বার বার ঠকে যাওয়া মানুষের পক্ষে নেয়া হয়েছে এবং পরিস্কার সাফল্যও পাওয়া গেছে। আসলে এই ঠকে যাওয়া মানুষদের একত্রিত হওয়া দরকার।  ধরা যাক কোন একটি বিশেষ সময় উপলক্ষে কোন একটি পণ্যের দাম বেড়ে গেলো। সবাই মিলে বেশি বেশি ওই পণ্য কিনতে চেয়ে এর চাহিদাও বাড়িয়ে দেয়া হলো। আমাদের মুখস্ত অনুশীলন অনুযায়ী, বেশি চাহিদার কারণে তাৎক্ষনিকভাবে ওই পণ্যে দাম হয়ে যায় আকাশ ছোঁয়া। কিন্তু আমরা যারা বার ঠকি এবং অবাক হই তারা যদি ওই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পণ্যটি আপতত না কেনার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে কী হয়? প্রচলিত অর্থনীতি কী বলে? দুঃখজনক হচ্ছে বঞ্চিত মানুষেরা কখনো একত্রিত হয় না। অথচ বাজার শোষনের বিরুদ্ধে ক্রেতাদের একত্রিত হওয়ার চেয়ে তাৎক্ষণিক কার্যকর আর কোন সিদ্ধান্ত আছে বলে আমার মনে হয় না।    লেখক: গণমাধ্যমকর্মী
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৭:২৭

১০০ টাকার বেগুন বগুড়ায় বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, মিলছে না ক্রেতা
বগুড়ার বাজারে আলু ছাড়া কমেছে অধিকাংশ শাকসবজির দাম। তবুও মিলছে না ক্রেতা। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন সবজি ব্যবসায়ীরা।  রোজা শুরুর আগের দিনও রাজাবাজার ও ফতেহ আলী বাজারে ৫০ টাকা কেজি দরের বেগুনের দাম ওঠে ১০০ টাকায়। ৪০ টাকার শিম বিক্রি হয় ৮০ টাকায়। এভাবে টমেটো, গাজর, খিরা, শসা ও লেবুসহ প্রায় সব ধরনের শাকসবজি দ্বিগুণ দামে বিক্রি হয়। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে বেগুনের দর খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি ২০ টাকায় নেমেছে। অন্য শাকসবজির দামও নেমেছে অর্ধেকে। এ দিকে রোজার আগের দিন থেকে শিম ১০০, গাজর ৪০, টমেটো ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। লেবুর হালি ছিল সর্বনিম্ন ৪০ টাকা। শসার কেজি ১০০ টাকা, খিরা ৮০ টাকা।  সরেজমিনে কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, কয়েকদিনের ব্যবধানে শিমের দাম চাওয়া হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা, গাজর ১৫ টাকা ও টমেটো ২৫ টাকা, শসা ও খিরা ৪০ টাকা। লেবুর হালি ২০-২৫ টাকা। এ বিষয়ে রাজাবাজারের একজন ব্যবসায়ী জানান, গত সোম থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সব ধরনের শাকসবজির দাম চড়া ছিল। শুক্রবার ধস নামে। ১০০ টাকা কেজির বেগুন ২০ টাকা হলেও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।  দাম কমার বিষয়ে এ ব্যবসায়ী বলেন, আমদানি বেশি। সেই তুলনায় ক্রেতা নেই। এ কারণে কম দামেও পণ্য বিক্রি করা যাচ্ছে না। যেখানে দেশি নতুন পেঁয়াজের কেজি ছিল ৮০ টাকা। গতকাল থেকে সেই পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে আলুর দাম কেজিতে ছয় টাকা বেড়ে ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচের দাম কমেছে অর্ধেক। রোজার এক দিন আগে ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয় ৮০ টাকা কেজি দরে। অথচ রোববার আবার আগের দামেই কাঁচামরিচ বিক্রি হয়। ফতেহ আলী বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, আলুর দাম তিন দিন আগেও কেজিপ্রতি ৩০ টাকা ছিল। শুক্রবার ৩৬ টাকায় বিক্রি হয়। মাঠে কৃষকের খেতে আলু নেই। এ কারণে সরবরাহ কমায় দাম বাড়ছে। কৃষি বিপণন বিভাগ বগুড়ার মাঠ ও বাজার পরিদর্শক আবু তাহের জানান, বেগুন, শিম, খিরা, শসা ও লেবুর দাম যেভাবে বেড়েছিল সেভাবেই কমেছে। বাজারে সরবরাহের তুলনায় ক্রেতা না থাকায় দাম কমেছে।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৫

রোজার শুরুতে লেবু-শসার দামে আগুন, ক্ষুব্ধ ক্রেতা
রমজানে ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয় শসা ও লেবু। চাহিদা বিবেচনায় বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন। অসাধু ব্যবসায়ীরা রোজাকে ঘিরে অস্থির করে তুলছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার। রোজা শুরুর একদিন আগে থেকে ইফতারের অত্যাবশ্যকীয় উপাদান লেবুর বাজারে চড়া মূল্য বিরাজ করছে। দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে লেবু। শুধু লেবু নয় শসার বাজারেও আগুন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ)  রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া শসা প্রথম রমজানেই বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। মাঝারি মানের শসা গত সপ্তাহে ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও সেটিও দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। আর নিম্ন-মানের শসা গত সপ্তাহে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও আজ তা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। গতকাল যে লেবু ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে মঙ্গলবার তার এক হালির দাম ৮০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি পিস লেবু ২০ টাকা। আকারে ছোট লেবুর পিস কেনা যাচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকায়। এ ছাড়া ইফতার তৈরিতে প্রয়োজনীয় ধনে পাতা, কলা, পেঁয়াজ, মরিচ সবকিছুই রোজার প্রথম দিনে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষকে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হচ্ছে, তেমনি ইফতারের আয়োজনেও হিমশিম অবস্থা। ইফতার তৈরিতে ব্যবহৃত কাঁচা বাজারের দাম জানতে চাইলে দোকানি জানালেন সোমবারের তুলনায় বেড়েছে দাম। অজুহাত, সরবরাহ কম। কিন্তু চাহিদা বেশি। সে কারণে দামও বেড়েছে। এদিকে বাজারের এমন হুলুস্থুল পরিস্থিতিতে কেনাকাটা অনেকটা কমিয়ে দিয়েছেন ক্রেতারা। বেশ কয়েকজন ক্রেতা এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, তারা তুলনার চেয়ে কম কিনছেন। বাজারের এই পরিস্থিতিতে একজন ক্রেতা বলেন, গতকাল যে বেগুন ৬০ টাকায় বিক্রি হইছে আজ সেসব ১২০ টাকার নিচে বিক্রি করছেন না বিক্রেতারা।  এক জন ক্রেতা বলেন, সবকিছুই দামি! কি কিনবো আর কি কিনবো না সেই অঙ্ক মেলে না। সবসময় চেষ্টা করছি এক কেজি প্রয়োজন থাকলেও আধা কেজি দিয়ে চালাতে। তাও পারছি কই? রাতারাতি সব বদলে যায় আমাদের দেশে। বদলায় না শুধু ক্রেতাদের অসহায় অবস্থা।
১২ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪২

ক্রেতা সেজে সাত কোটি টাকার বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার করল পুলিশ
পঞ্চগড়ে ক্রেতা সেজে সাত কোটি টাকা মূল্যের কষ্ঠি পাথরের বিষ্ণুমূর্তি সহ চোরাচালান চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।  বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাতে দেবীগঞ্জের বানুরহাট এলাকা থেকে মূল্যবান ওই বিষ্ণুমূর্তিটি উদ্ধার করা হয়।  আটককৃতরা হলেন- দেবীগঞ্জ উপজেলার বন্দিরাম এলাকার মোশারফ হোসেনের ছেলে শাহীন শাহ (৪০), তেঁতুলিয়া উপজেলার কৃষ্ণকান্তজোত এলাকার আমানত আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান (৪৮) ও একই উপজেলার একরামুল হকের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৫৫)। ডিবি পুলিশ জানায়, কষ্টি পাথরের মূর্তি বিক্রি চক্রের সদস্যদের ধরতে কয়েক মাস ধরে কাজ করছিল পুলিশ। এমনকি পুলিশ ক্রেতা সেজে যোগাযোগ করে বিক্রেতাদের সাথে। কথা মতো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেবীগঞ্জ উপজেলার বানুরহাট এলাকার ওষুধ বিক্রেতা শাহীন শাহের ফার্মেসিতে ওই বিষ্ণুমূর্তিটি ব্যাগে করে দেখাতে নিয়ে আসে তেঁতুলিয়ার হাবিবুর ও শহিদুল। তাদের দাবি, মূর্তিটি তারা পাথরের সাইটে পেয়েছে। পুলিশের সাথে দরদাম ঠিক হয় ৫ লাখ টাকা। এদিকে আগেই ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল বাজার এলাকায় ওৎ পেতে থাকে। ব্যাগে করে মূর্তিটি আনা মাত্রই কষ্টি পাথরের বিষ্ণু মূর্তিসহ ৩ জনকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ আরও জানায়, কষ্টি পাথরের মূর্তিটির ওজন ১৭ কেজি। উচ্চতায় ২৯ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ১১ ইঞ্চি। যার বাজারমূল্য প্রায় ৭ কোটি টাকা। পঞ্চগড় ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, ওষুধ বিক্রেতা শাহীন দীর্ঘদিন ধরে এই মূর্তি বিক্রি চক্রের সাথে জড়িত। আমরা পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনায় কয়েক মাস ধরে তার ওপর নজরদারি করি। এক পর্যায়ে ক্রেতা সেজে আজ তাদের হাতেনাতে আটক করি। আটককৃতদের বিরুদ্ধে দেবীগঞ্জ থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।  
০৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০৪

ক্রেতা সংকটে বাণিজ্য মেলার সময় বাড়ানোর দাবি
২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার সময় আরও তিন দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে মেলায় অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ীরা। শনিবার দুপুরে এই দাবিতে মেলার মূল ফটকের সামনে মেলা ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছেন ব্যবসায়ী ও গেট ইজারাদাররা। ব্যবসায়ীদের দাবি, বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে এবারের মেলা শুরু হওয়ায় লোকসানের সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের। মেলা চলাকালীন বিশ্ব ইজতেমা, ঢাকা ম্যারাথন ও এসএসসি পরীক্ষার কারণে কাঙ্খিত ক্রেতা সমাগম ঘটেনি এবারের মেলাতে।    অবস্থান কর্মসূচীতে ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, এবারের মেলা এক জানুয়ারির পরিবর্তে ২১ জানুয়ারি মেলা উদ্বোধন করা হয়েছে। মেলা শুরুর প্রথম শুক্রবারেই (২৬ জানুয়ারি) ধাক্কা খেয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ওইদিন ঢাকা ম্যারাথন থাকার কারণে ৩০০ ফিট রাস্তা বন্ধ রেখে অনুষ্ঠান করায় মেলায় লোকসমাগম কম হয়েছে। দর্শনার্থীদের ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, দুই দফায় বিশ্ব ইজতেমার কারণে মেলায় আসতে গিয়ে যানজটের সম্মুখীন হতে হয়েছে দর্শনার্থীদের। অনেকে মাঝরাস্তা থেকে ফিরে গেছেন। তাছাড়া উদ্বোধনের দিন থেকে অতিমাত্রায় শৈত্য প্রবাহের কারণে মেলার নির্মাণ কাজ শেষ করতেও দেরি হয়। কর্মসূচি থেকে নেতারা আরও বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কারণে লোকসমাগম চাহিদার চেয়ে কম হচ্ছে। ক্রেতা ও দর্শনার্থী কম হওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে অব্যবস্থাপনার অভিযোগও তুলেছেন তারা। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী, বাণিজ্য সচিব, ইপিবির ভিসি ও সচিবের কাছে আরও তিন দিন বিনা ভাড়ায় মেলার সময় বাড়ানোর জন্য দাবি করেন মেলায় অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ীরা। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সে দাবি নাকচ করে দেওয়ায় এই বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেছেন তারা।  
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়