• ঢাকা রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নায়ক দেবের হেলিকপ্টারে আগুন
টলিউড সুপারস্টার ও ভারতের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী দীপক অধিকারী ওরফে দেবকে বহকারী হেলিকপ্টারে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৩ মে) ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহ (মালদা) জেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে পুরোপুরি সুস্থ আছেন দেব। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়, দেবকে বহনকারী হেলিকপ্টারটিতে মালদহ হেলিপ্যাড থেকে ওড়ার পরই আগুন লাগে। পরে তৎক্ষণাৎ মালদহ হেলিপ্যাডেই জরুরি অবতরণ করেন এর পাইলট। হেলিকপ্টারে আগুন লাগলেও অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন দেব। তবে দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পেয়েও থেমে থাকেননি তৃণমূলের তারকা প্রার্থী। বথুয়ায় তৃণমূলের নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিয়েছেন তিনি। এই মুহূর্তে ভোটের প্রচারে ব্যস্ত রয়েছেন পশ্চিম মেদেনীপুরের ঘাটালের দুবারের সংসদ সদস্য তথা এবারের প্রার্থী দেব। তৃণমূলের একনিষ্ঠ সৈনিকের মতোই ছুটে বেড়াচ্ছেন দলীয় কর্মসূচিতে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা ব্যানার্জি ফোনে দেবের খোঁজখবর নিয়েছেন।
০৩ মে ২০২৪, ২৩:৪৬

হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করলেন পোশাক শ্রমিক
বাবা-মায়ের স্বপ্নপূরণে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করলেন গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার পোশাক শ্রমিক হজরত আলী (২২)। শুক্রবার (৩ মে) বিকেলে উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ইসবপুর গ্রামের রেফা মনিকে (১৮) বিয়ে করেন তিনি। হজরত আলী সাদুল্লাপুর উপজেলার রফিকুল আকন্দ ও সালমা বেগম দম্পতির ছেলে। জানা গেছে, হজরত আলীর জন্মের পর থেকে রফিকুল আকন্দ ও সালমা বেগম স্বপ্ন বুনেন যে ছেলেকে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে বিয়ে করাবেন। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার বিকেলে আকাশ পথে গিয়ে বিয়ে করেন তিনি। এ সময় বর-কনের বাড়িতে হেলিকপ্টার দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় করেন। হেলিকপ্টারে চড়ে বর আসায় মেয়ের বাবা এনমামুল হক বলেন, আমরা গর্বিত যে জামাই হেলিকপ্টার চড়ে আমাদের মেয়েকে নিতে এসেছে। এ বিষয়ে বরের বাবা রফিকুল আকন্দ ও মা সালমা বেগম জানান, হজরত আলী ছাড়া আমাদের আর কোনো ছেলে নেই। ছেলেকে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে বিয়ে করানোর স্বপ্ন ছিল। আজ সেই ইচ্ছেপূরণ করতে পেরে নিজেদের ধন্য মনে হচ্ছে।
০৩ মে ২০২৪, ২২:৪৮

হেলিকপ্টারে বউ আনলেন ছাত্রলীগ নেতা
একমাত্র ছেলে ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ বিন সিয়ামের বিয়ে স্মরণীয় করে রাখতে হেলিকপ্টারে বউ নিয়ে আসলেন বাবা-মা। সিয়াম টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার আজগানা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক।  শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে আব্দুল্লাহ বিন সিয়াম হেলিকপ্টারে নববধূকে নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বিকেল সাড়ে ৫টায় বংশাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে হেলিকপ্টার থেকে নামেন তারা। এ সময় সেখানে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা।  সিয়াম আজগানা ইউনিয়নের বেলতৈল গ্রামের ইটভাটা মালিক হাবিবুর রহমান হবির ছেলে। জানা গেছে, ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমানের একমাত্র ছেলে সিয়ামের বিয়েটাকে স্মরণীয় করে রাখতে হেলিকপ্টারে বউ আনার পরিকল্পনা ছিল। পার্শ্ববর্তী লতিফপুর ইউনিয়নের লতিফপুর গ্রামের আলমাস মাস্টারের একমাত্র মেয়ে আফরিন আক্তারের সঙ্গে শুক্রবার বিয়ের দিন ধার্য হয় সিয়ামের। এর আগে সিয়াম বেলা আড়াইটার দিকে হেলিকপ্টারে করে লতিফপুর একতা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নামেন। এ সময় উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। বিয়ের অনুষ্ঠানে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত হন। বিবাহ অনুষ্ঠান শেষে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হেলিকপ্টারে করে নববধূকে নিয়ে বংশাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে নামেন সিয়াম। লতিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন রনি বলেন, হেলিকপ্টারে বরযাত্রী আসা আমাদের এলাকায় এবারই প্রথম। বিয়ের অনুষ্ঠানটি এলাকায় আলোচনার খোরাক হয়েছে।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৪

হেলিকপ্টারে চড়িয়ে বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করলেন প্রবাসী ছেলে
দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল স্ত্রীকে নিয়ে হেলিকপ্টার চড়বেন স্বামী। আর বাবা-মায়ের সেই স্বপ্ন পূরণ করলেন প্রবাসী ছেলে অর্নব চৌধুরী। হেলিকপ্টারে চড়িয়ে বৃদ্ধ বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের টনকী শিকারমোড়া এলাকার সাবেক বিজিবি কর্মকর্তা বোরহান চৌধুরীর ছেলে মো. অর্নব চৌধুরী।  বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কসবার বিনাউটি ইউনিয়নের চাপিয়া খেলার মাঠ থেকে বাবা ও মাসহ দুইজন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন প্রবাসী হেলিকপ্টারটি। প্রবাসী ছেলের বাবা সাবেক বিজিবি কর্মকর্তা বোরহান চৌধুরী বলেন, বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে প্রতিটি সন্তান চাই। হেলিকপ্টারে চড়ব সেটা আমার দীর্ঘদিনের একটা লালিত স্বপ্ন ছিল। ছেলের মাধ্যমে আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হলো। আমার ছেলে সৌদিআরব প্রবাসী। সবার কাছে প্রবাসীদের জন্য দোয়া প্রার্থী। জীবনের প্রথম হেলিকপ্টার চড়ব তা-ও আবার শেষ বয়সে কোনো দিন আশা করি নাই। প্রবাসী অর্নব চৌধুরী বলেন, বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল হেলিকপ্টার চড়বে সেটা জানার পর থেকেই পরিকল্পনা করি অন্তত বাবা-মামাকে তাদের এ স্বপ্নটা পূরণ করি। আল্লাহ সেই আশাটা পূরণ করেছে।  এদিকে এলাকায় প্রথমবারের মতো হেলিকপ্টার অবতরণ করে। এই দৃশ্য ও হেলিকপ্টার দেখতে স্থানীয় বাসিন্দাসহ আশপাশের নারীপুরুষ-শিশুসহ অন্তত কয়েক হাজার উৎসুক জনতার ভিড় জমে। যা পুলিশ প্রশাসনের লোকজন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমশিম খেতে হয়েছে।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২০

জিম্মি জাহাজ থেকে ভারতীয় নৌবাহিনীর হেলিকপ্টারে গুলি
ভারত মহাসাগরে জিম্মি একটি মাল্টিজ-পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ থেকে ভারতীয় নৌবাহিনীর হেলিকপ্টারে গুলি চালিয়েছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। শনিবার (১৬ মার্চ) ভারতীয় নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর ‘ইক্স-এমভি রুয়েন’ নামের মাল্টার পতাকাবাহী একটি কার্গো জাহাজ ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এই জাহাজটিকেই আবার ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ছিনতাইয়ের কাজে এই জাহাজটি ব্যবহার করেছে জলদস্যুরা। জাহাজটিকে আটকাতে অভিযান চালিয়েছিল ভারতীয় নৌবাহিনী। তারা একটি যুদ্ধজাহাজ দিয়ে ছিনতাইকৃত জাহাজটি আটকাতে সক্ষম হন। এরপর ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার এমভি রুয়েনের কাছে যায়। তখন সেটি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। শুক্রবার (১৫ মার্চ) এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার ৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও এক্সে (সাবেক টুইটার) প্রকাশ করা হয়েছে।  দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় নৌবাহিনী জাহাজে থাকা জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ করতে বলেছে এবং জাহাজটিতে আটকে থাকা বেসামরিক নাগরিকদের ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। এই অঞ্চলে সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং নাবিকদের নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে যোগ করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। ব্রিটিশ মেরিটাইম সিকিউরিটি ফার্ম অ্যামব্রে বলছে, এমভি আবদুল্লাহকে যখন ছিনতাই করা হয়, তখন রুয়েন মাত্র ২৯৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল এবং পূর্বদিকেই যাচ্ছিল। ফলে তাদের ধারণা, মাল্টিজ জাহাজ রুয়েনকে জলদস্যুরা ছিনতাইয়ের কাজে মাদার ভ্যাসেল হিসেবে ব্যবহার করছে। যদিও একজন বাদে ওই জাহাজের ১৬ নাবিক এখনো জিম্মি আছেন। গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। সে সময় জাহাজটি সোমালিয়া উপকূল থেকে ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছিল। দস্যুদের কাছে জিম্মি হয় ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু। বৃহস্পতিবার দুপুরে সোমালিয়ার গারাকাড উপকূল থেকে ২০ মাইল দূরে জাহাজটি নোঙর করে। পরে সেটি আরও এগিয়ে উপকূলের ৭ মাইলের মধ্যে অবস্থান নেয়। কিন্তু শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ জাহাজটি আরারও চলতে শুরু করে। সর্বশেষ ২৩ নাবিকসহ জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজটিকে সোমালিয়ার গারাকাড থেকে গোদবজিরান উপকূলে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আগের অবস্থান থেকে এটি প্রায় ৫০ নটিক্যাল মাইল উত্তরে। বর্তমানে জাহাজটি উপকূল থেকে মাত্র ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে রয়েছে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৩

সোনাগাজীতে হেলিকপ্টারে চড়ে প্রবাসীর বিয়ে
ঘোড়ায় চড়ে স্বপ্নের রাজপুত্র এসে নিয়ে যাবে রাজকন্যাকে গল্পকথায় এমন উপমার দেখা হরহামেশাই মেলে। তবে যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে একালের রাজকন্যাদের বিয়ের গল্পরও আধুনিকায়ন হয়েছে। এখন রাজকন্যাদের স্বপ্নের রাজপুত্র আর ঘোড়ায় চড়ে নয়, আসেন হেলিকপ্টারে চড়ে। একালের এমনই এক রাজপুত্রের দেখা মিলল ফেনী জেলার সোনাগাজী পৌরসভার তুলাতলি গ্রামে।  সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে তুলাতলি মাঠে এসে নামল এমনই একটি হেলিকপ্টার। চারপাশে ততক্ষণে বেশ ভিড় জমে উঠেছে। কিছুক্ষণ পর আকাশযান থেকে নেমে এলেন বর স্পেন প্রবাসী ইসরাফুল আলম।  লালগালিছা অতিক্রম করে পাশেই অপেক্ষা করা ফুল দিয়ে সাজানো বিয়ের গাড়িতে ওঠেন বর। তাতে চড়েই রাজকন্যাকে আনতে জারা কমিউনিটি সেন্টারে গেলেন স্বপ্নের রাজপুত্র।  বর-কনের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, হেলিকপ্টারে চড়ে আসা বর উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের স্পেন প্রবাসী মো. আলমগীর হোসেন ও রোকেয়া বেগম দম্পতির একমাত্র ছেলে মো. ইসরাফুল আলম রিফাত। আর কনে হলেন সোনাগাজী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের তুলাতলি গ্রামের কুয়েত প্রবাসী মাঈন উদ্দিন মানিক ও নুর নাহার বেগম দম্পতির মেয়ে খাদিজাতুল কোবরা নিঝুম। বিয়ের এই মুহূর্তটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ও গ্রামবাসীর মাঝে উৎসবের আমেজ ছড়াতে দুই লাখ দশ হাজার টাকা দিয়ে হেলিকপ্টার ভাড়া করেছেন বর পক্ষ। মাঠে হেলিকপ্টারটি যতক্ষণ ছিল, ততক্ষণই চারপাশে ছিল উৎসুক জনতার উপচেপড়া ভিড়। নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলেন সোনাগাজী মডেল থানার একদল পুলিশ।  সরেজমিনে দেখা যায়, হেলিকপ্টারে করে আসা বরকে দেখার জন্য আশপাশের অনেকেই ভিড় জমান মাঠে। বিশ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বর-কনের। বর ও কনে পক্ষের দুই হাজার ১০০ জন অতিথির ভোজন শেষে বিকেল সাড়ে চারটায় কনেকে নিয়ে বর ফের চড়লেন হেলিকপ্টারে। কনের বাড়ি থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে ছিল বরের বাড়ি। সেখানে কনেকে বরণ করে নেন শ্বশুর বাড়ির লোকজন।   বরের ভগ্নিপতি মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, বিয়ের দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে বাবা-মার একমাত্র ছেলে হিসেবে বিয়েতে হেলিকপ্টার ভাড়া করা হয়।  কনের বাবা মাঈন উদ্দিন মানিক বলেন, বরের পক্ষ থেকে আমাকে বিষয়টি জানানো হলে আমিও গ্রামবাসীর মাঝে উৎসবের আমেজ ছড়াতে হেলিকপ্টার ভাড়ার ব্যাপারে সম্মত হই। নবদম্পতির জন্য আমি সবার কাছে দোয়া চাই। 
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৮

স্বপ্ন পূরণে হেলিকপ্টারে মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠালেন বাবা  
দুটি পরিবারের দীর্ঘদিনের ইচ্ছে ছিলো তাদের সন্তান চিকিৎসক হবেন। চিকিৎসক হয়ে বিয়ে করে ফিরবেন হেলিকপ্টারে চড়ে। অবশেষে দুটি পরিবারের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে হেলিকপ্টারে চড়ার মধ্য দিয়ে। পারিবারিকভাবে বিয়ে শেষে নববধূ তার শশুর বাড়ি আর বর তার নিজ বাড়ি ফিরেছেন হেলিকপ্টারে চড়ে। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার নড়িয়া বিহারী লাল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে হেলিকপ্টারে উড়াল দেন বর-কনে। স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্র জানায়, নুরুজ্জামান বেপারী মেয়ে ডা. নীলিমা আফরিন নওমীর সঙ্গে পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটা এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে ডা. তৌফিকুল ইসলামের বিয়ে ঠিক হয়। দুজন ঢাকার বেসরকারি চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেছেন। শুক্রবার দুপুরে নড়িয়া পৌর এলাকায় আতাউর রহমান কমিউনিটি সেন্টারে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়েতে দুই পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। পরে শনিবার দুপুরে কনের বাড়ি থেকে প্রথমে সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়ি চড়ে নড়িয়া বিহারী লাল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আসেন নব দম্পতি। সেখান থেকে তারা হেলিকপ্টারে পটুয়াখালীর কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এ সময় আশেপাশের এলাকা থেকে হাজারো উৎসুক জনতা হেলিকপ্টার দেখতে ভিড় জমায়। কনের বাবা নুরুজ্জামান বেপারী বলেন, আমার দীর্ঘদিনের ইচ্ছে ছিল মেয়েকে চিকিৎসক বানানোর পাশাপাশি বিয়ে শেষে হেলিকপ্টারে করে শ্বশুরবাড়ি পাঠানো। আজ সে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। বিয়ে শেষে আমার মেয়ে হেলিকপ্টার করে তার শ্বশুরবাড়িতে গেছেন। সবাই আমার মেয়ে ও জামাইয়ের জন্য দোয়া করবেন।  এ বিষয়ে বর ডা. তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ছোট বেলা থেকে বাবা-মায়ের দুটি স্বপ্ন ছিল। প্রথমে আমাকে চিকিৎসক বানাবে পরে বিয়ে শেষে বউকে হেলিকপ্টারে করে বাড়ি নিয়ে যাবে। বাবা-মায়ের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। কনে নীলিমা আফরিন নওমী বলেন, এর আগে কখনো প্লেন বা হেলিকপ্টারে উঠিনি। এ প্রথম আমি হেলিকপ্টারে চড়বো। আমার একটু অন্যরকম লাগছে। স্থানীয় একজন জানান, আমাদের এলাকায় এই ধরনের বিয়ের অনুষ্ঠান আগে কখন হয়নি। হেলিকপ্টারে করে কনেকে নিয়ে বর যাচ্ছে নিজ বাড়ি। আগে কখনো সামনে থেকে হেলিকপ্টার দেখিনি তাই এখানে এসেছি এক নজর দেখতে। প্রথমে তারা ঘোড়ার গাড়িতে করে মাঠে আসেন। এরপর হেলিকপ্টারে করে চলে যান।
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫০

হেলিকপ্টারে করে এসেও দলকে জেতাতে পারলেন না ওয়ার্নার
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিডনি টেস্ট দিয়ে লাল বলের ক্যারিয়ারের ইতি-টেনেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। সপ্তাহ না পেরোতেই সেই সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডেই আবার প্রত্যাবর্তন হয়েছে ওয়ার্নারের। তবে এবার বিগ ব্যাশ খেলতে এসেছেন তিনি। সবাই টিম বাসে করে আসলেও সিডনি ডার্বি খেলার জন্য হেলিকপ্টারে করে মাঠে অবতরণ করেন এই অজি ক্রিকেটার। অবসর নেওয়ার পর ভাইয়ের বিয়েতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন ওয়ার্নার। সব কাজ শেষ করে শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) হেলিকপ্টারে করে সিডনি ডার্বি খেলার জন্য রওনা হন তিনি। প্রায় ২৫৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সেই হেলিকপ্টার ল্যান্ড করে 'থ্যাংক্স ডেভ' লোগোর ওপর। বিগ ব্যাশ লিগে সিডনি থান্ডারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকায় সিডনি সিক্সার্সের বিপক্ষে খেলার কথা আগেই পাকা করা ছিল ওয়ার্নারের।  তবে চমক দিয়ে মাঠে অংশ নিলেও শেষটা ভালো হয়নি ওয়ার্নারের। কারণ, তার দল ১৯ রানে হেরে গেছে স্মিথের সিডনি সিক্সার্সের বিপক্ষে। এদিন টস জিতে সিডনি সিক্সার্সকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় সিডনি থান্ডার। ব্যাটিংয়ে নেমে সাত উইকেট হারিয়ে ১৫১ রানের লড়াকু পুঁজি পায় সফরকারীরা।  জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯ ওভার পাঁচ বলে ১৩২ রান তুলতেই অলআউট হয় ওয়ার্নারের দল। এতে ১৯ রানের জয় পায় স্মিথের দল। ১৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩৯ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তবুও হার এড়াতে পারেনি সিডনি থান্ডার। এটি তাদের আসরের টানা চতুর্থ হার। চলমান আসরে খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই ওয়ার্নারের দল। ৮ ম্যাচে মাত্র ১টি জয় পাওয়া ফ্র্যাঞ্চাইজিটি এখন পয়েন্ট টেবিলের ৭ নম্বরে আছে। 
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৭

বান্দরবানের দুর্গম কেন্দ্রগুলোতে হেলিকপ্টারে গেল নির্বাচনী সরঞ্জাম
বান্দরবানের চার উপজেলার ১২‌টি দুর্গম কেন্দ্রে হে‌লিকপ্টা‌রে পৌঁছেছে নির্বাচনী সরঞ্জাম।  শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে নিজ নিজ উপজেলা থেকে হে‌লিকপ্টার‌যো‌গে কেন্দ্রগু‌লো‌তে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠা‌নো হয়। কেন্দ্রগু‌লো হ‌লো- রোয়াংছ‌ড়ি উপজেলার রো‌নিন পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রুমা উপজেলার নুন থিয়ার হেডম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাক‌নিয়ার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চিংলক পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, থান‌চি উপজেলার দ‌লিয়ান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রেমা‌ক্রি বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড় মদক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছোট মদক বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিন্দু গ্রু‌পিং পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাইথোয়াইহ্লা কারবারি পাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জিন্না পাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আলীকদ‌ম উপজেলার কমচঙ ইয়ুংছা মাওরুম পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজা‌হিদ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, বান্দরবানের ১৮২টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২টি কেন্দ্রে হে‌লিকপ্টা‌রের সাহায্যে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে। ইতোম‌ধ্যেই এসব সরঞ্জাম পৌঁছা‌নো হয়ে‌ছে।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৬

ভোট দিতে হেলিকপ্টারে বাড়ি এলেন প্রবাসী
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ভোট দিতে হেলিকপ্টারে করে সপরিবারে বাড়িতে আসলেন এক ইতালি প্রবাসী।  বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে কটিয়াদী পৌরসভার তাহেরা নূর উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ মাঠে অবতরণ করেন তিনি। আবুল কাশেম স্বপন (৪৫) কটিয়াদী পৌরসভার তেলিচাড়া এলাকার মেনু মিয়ার একমাত্র ছেলে। স্বপন ১২ বছর ধরে ইতালিতে ব্যবসা করেন। তিনি কটিয়াদী উপজেলা প্রবাসী ঐক্য ফাউন্ডেশনের সভাপতি। হেলিকপ্টারে করে স্বপন, তার বাবা মেনু মিয়া, তার স্ত্রী হোসনা আক্তার ও ছোট ছেলে বিজয়কে নিয়ে বাড়িতে আসেন। এ বিষয়ে আবুল কাশেম স্বপন গণমাধ্যমকে জানান, মূলত বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে ও সামনে নির্বাচনে ভোট দিতেই বাড়িতে এসেছি। আমি আওয়ামী লীগের সমর্থক। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে হেলিকপ্টার করে বাড়ি এসেছি। বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে চাই।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়